শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫
২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

চাঁদপুরের ৫টি আসনেই নৌকার বিজয়

ড. সেলিম মাহমুদ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. দীপু মনি, মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম
আপডেটেড
৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৪:৪৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০৪:৪৬

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে আনন্দ বইছে। প্রায় প্রতিটি আসনেই দলটির নেতাকর্মীরা বেশ খোশ মেজাজেই আছেন।

চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. সেলিম মাহমুদ পেয়েছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ সেলিম প্রধান চেয়ার প্রতীক ৫৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।

চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া পেয়েছেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৯ ভোট। তার তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক নিয়ে এম. ইসফাক আহসান পেয়েছেন ২১ হাজার ৩৩৫ ভোট।

চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক প্রার্থী ডা. দীপু মনি পেয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঈগল প্রতীকে ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ২৪ হাজার ১৯৭ ভোট।

চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মুহম্মদ শফিকুর রহমান পেয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীক ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভুঁইয়া পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৪২৫ ভোট।

চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৮৪ হাজার ১৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মাঈনুদ্দিন ঈগল প্রতীক পেয়েছেন ৩৮ হাজার ১৫৫ ভোট।

বিষয়:

নানান কারণে পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কুমিল্লার কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন- কুমিল্লা দক্ষিণ

বাংলাদেশের একসময় পাট শিল্প ছিল অর্থনৈতিক চাবিকাঠি, সারা বাংলাদেশের ন্যায় কুমিল্লার অঞ্চলের অধিকাংশ উপজেলার কৃষকরা পাট চাষ করত। বর্তমান সময়ে নানান কারণে অধিকাংশ এলাকায় পাট চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা। কারণ হিসেবে অনেকে বলছেন, অতীতের ন্যায় বর্ষা মৌসুমে পানি না থাকা এবং পাটজাত পণ্যের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় চাষিরা আগ্রহ হারাচ্ছে। কুমিল্লার সর্ববৃহৎ পাটের বাজার ছিল গৌরীপুর, রামচন্দপুর, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ, চান্দলা, সিদলাই, দুলালপুরসহ বিভিন্ন হাট। এগুলোতে পাটের আড়তদার ছিল, ময়াল থেকে বড় বড় গহনা, কবুত কুসা, সরাঙ্গ নৌকা নিয়ে গ্রামের কৃষক দের কাছ থেকে পাট কিনে পাট ব্যাবসায়ীরা গুদাম ঘরে রেখে নারায়ণগঞ্জ শীতালক্ষার নদীর তীরে নিতাইগঞ্জ পাট বাজারে। বড় বড় আড়তদাররা বিদেশে রপ্তানি করত। আবার কখনো দেশের চাহিদা মেটাত, তখন বিখ্যাত জুট মেইল ছিল নারায়ণগঞ্জের আদমজী, চট্টগ্রামের আমিন জুট মেইল। এই বৃহৎ মেইলগুলোতে পাট শিল্প হারিয়ে যাওয়ার ফেলায় বাংলাদেশের কৃষকরা পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। সরেজমিনে দৈনিক বাংলার প্রতিবেদকের চোখ পড়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার কৃষকদের নানা সমস্যার চিত্র।

এদিকে, পাট শিল্প ও পাট উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ, তারা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে পাটের দরপতন, কৃষি উপকরণের মূল্য ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, পাট পঁচানোর পানির অভাব ও শ্রমিক সংকটের কারণেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

চান্দলা, বলাকিয়া, সিদলাই, দুলালপুর, ছাতিয়ানি গ্রাম ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় এবং বিভিন্ন সমস্যার কারণ তুলে ধরেন ওই এলাকার কৃষক আবদুল মতিন, হক ভূইয়া, ফারুক আহমেদ, আবদুল কাদেরসহ অনেকেই বলেন, পাটের বদলে রবি ফসল, বোরো ও আমনসহ অন্যান্য লাভজনক ফসলের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা।

ফলে দিন দিন ব্রাহ্মণপাড়াসহ কুমিল্লার নিচু অঞ্চলগুলোতে পাটের আবাদ কমে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় এ বছর ৫৩ হেক্টর লক্ষ্য মাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে পাট চাষের জন্যে, এ বছর লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে মাত্র ৩০ হেক্টর। বিভিন্ন ইউনিয়নে গত বছর ভয়াবহ বন্যা হওয়ায় কৃষকেরা পাট চাষ সময় মতো জমি তৈরি করতে পারেনি। এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগুলো নিচু হওয়ার সময় মতো জমি চাষাবাদ ও তৈরি করতে অনেক কৃষকের বেগ পেতে হয়েছে।

তাই কৃষকেরা পাট চাষে কিছুটা আগ্রহ হারাচ্ছে। পাট চাষিরা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই ইউনিয়ন এর কৃষক আবদুল হান্নান জানান, পাট চাষে খরচ বেশি এছাড়াও কয়েক বছর ধরে বন্যা না হওয়ায় আমরা পাট চাষ করতে সমস্যা হচ্ছে। পাট চাষে আমাদের খরচ পুষে না তাই আমরা পাট চাষের বদলে অন্যান্য ফসল করছি।

ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের আটকিল্লার পাড় গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়া বলেন, পাটের আবাদ করে বেশ কয়েকবার লাভের মুখ দেখতে পারিনি। গত বছর ৩০ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করলেও, এবার সংসারের প্রয়োজনে জ্বালানি হিসেবে মাত্র ৭ শতাংশ জমিতে পাটের আবাদ করেছি।

দুলালপুর ইউনিয়নের বালিনা গ্রামের কৃষক তাহের মিয়া বলেন, ‘গত দুবছর পাটচাষ করে পানির অভাবে পাট পঁচাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। এছাড়া পাটের আঁশ ছাড়াতে শ্রমিক পাওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, চাষিদের নিকট থেকে পাট কিনে লাভের একটি বড় অংশ হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্থতার ব্যাবসায়ীরা, কারণ অতীতে সরাসরি বাড়িতে পাট ব্যাবসায়ীদের নৌকা আসত, এখন পানি না থাকায় মধ্যেস্থতার কাছে বিক্রি করতে হয়। এ বিষয়ে সচেতন মহলের কয়েকজন বলেন, সোনালী আঁশ পাট এখন কৃষকের গলায় ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার অচিরেই উদ্যোগ না নিলে গ্রামবাংলা থেকে পাট চাষ হারিয়ে যাবে। সরকারের উচিত কৃষকদের ভর্তুকি দিয়ে পাট চাষিদের বাঁচিয়ে রেখে পাট শিল্পকে উন্নয়ন করে বিদেশে পূর্বের ন্যায় রপ্তানি করে কর্মসংস্থান বাড়ানো।


সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:৩৪
রাকিবুল হাসান রোকেল, স্টাফ রিপোর্টার- কিশোরগঞ্জ

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি শহীদুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪ সিপিবি-২ এর একটি দল। শনিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার সদরের পুরানবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শহীদুল ইসলাম (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার মৃত আবদুল করিমের ছেলে। র‍্যাব-১৪ সিপিবি-২ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশরাফুল কবির এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সন্ধ্যা ৬ টার দিকে র‍্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


আওয়ামীলীগ কুকর্মের জন্য আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে- ড. মইন খান

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:০৫
নজরুর ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, ইতিহাস কখনো ক্ষমা করে না। আজ আওয়ামীলীগ তাদের কুকর্মের জন্য আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হয়েছে। তবুও তাদের অনুশোচনা নেই। আওয়ামীলীগ আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখছে, তারা পরাশক্তিকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে, কিন্তু তাদের আকাশ কুসুম স্বপ্ন কখনো বাস্ববায়ন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড.আব্দুল মইন খান।

শনিবার (৯ই আগস্ট) দুপুরে রূপগঞ্জ উপজেলা মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বিএনপির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মতিন চৌধুরীর ১৩ম মৃত্য বার্ষিকি উপলক্ষ্যে এক স্বরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি মতিন চৌধুরীর স্বৃতিচারন করে বলেন, আধুনিক রূপগঞ্জ ও পুর্বাচল উপশহরের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মতিন চৌধুরী। রূপগঞ্জের মানুষ এই পুর্বাচল উপশহর গড়ার বিরোধিতা করেছিলেন, তারা বুজতেই পারেনি এই পুর্বাচল একদিন আধুনিক শহর হবে। আজ পুর্বাচলকে ঘিরেই আশপাশের এলাকায় কতশত উন্নয়নের মহাযঙ্গ চলছে। অথচ উপজেলার কোন স্থাপনায় মতিন চৌধুরীর নামফলক বা স্বৃতি চিহ্ন। এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জিম্মি করে অর্থ পাচার ও লুটপাট করেছে শেখ পরিবার, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। বিগত সময়ে তারা পরিবার তন্ত্র কায়েম করেছে। আর পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি দল গঠন করে মানুষের

ড. মইন খান আরো বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না, বিএনপি সবসময় ধৈর্য্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। রাজনীতিতে সহনশীলতা ও ভাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করাই বিএনপির লক্ষ্য। আগামী নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে অতীতের মতো নীতির সাথে কখনও আপোষ করবে না। সকল প্রকার অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে এবং অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

স্বরণসভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে ও না.গঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব এ্যাড আমিরুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন, জেলা যুদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি শাহিন মিয়া, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হামিদুল হক খান, তারাবো পৌর যুবদলের সদস্য সচিব কাজী আহাদ, জেলা ছাত্রদল নেতা আবু মোহাম্মদ মাসুম, সুলতান মাহমুদ, কাঞ্চন পৌর যুবদল নেতা সানাউল্লাহ মান্নান সানি, আওলাদ হোসেন গুপি, শিপলু জাহান শান্ত, জামান মিয়া, মোক্তার হোসেন, মোতাহার মিয়া প্রমুখ।


সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে হ্যানিট্র্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৬:৫০
কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর প্রতিনিধি

সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ডের কিছু আগে পারুল আক্তার ছদ্মনাম গোলাপী নামে একজন নারী দিয়ে হ্যানিট্র্যাপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান ।

শনিবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান।

পুলিশ কমিশনার ডক্টর নাজমুল করিম খান জানান, ওই দিন বাদশা নামে এক ব্যক্তি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৫ হাজার টাকা তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা গোলাপীকে দিয়ে হ্যানিট্র্যাপ করে।

ওই নারী বাদশাকে টাকা উঠানোর পর থেকে বিরক্ত করতে থাকে, এক পর্যায়ে বাদশা নারীকে কিল ঘুসি মারতে থাকেন।

এসময় গোলাপীর সহযোগীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাদশাকে কোপ দেয়। বাদশা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া দেয় একদল সন্ত্রাসী। আর বাদশাকে কোপানো এবং ধাওয়া দেওয়ার ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক তুহিন।

ভিডিও ধারণের ঘটনা সন্ত্রাসীরা দেখা ফেলায় ধারণকৃত ভিডিও কেটে দেওয়ার জন্য সাংবাদিককে চাপ প্রয়োগ করে। তুহিন ভিডিও ডিলিট না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তুহিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। তুহিন দৌড়ে একটি মুদি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। সেখানে সন্ত্রাসীরা তুহিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, একজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব - ১। এ ঘটনায় পুলিশের কিছুটা হলেও ব্যর্থতা অবশ্যই আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ভিডিও ক্লিপ দেখে ৮ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতার সন্ত্রাসী কেটু মিজানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুর মহানগরীতে প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের পুলিশের সংখ্যা কম । তা দিয়ে এ বিশাল আয়তনের সিটি করপোরেশনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হচ্ছে। তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. জাহিদ হোসেন ভূইয়া, মো. রবিউল হাসান, এস এম আশরাফুল আলম, এস এম শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।


তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে নবীনগর প্রেসক্লাবের মানববন্ধন

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

গাজীপুরের দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ টাফ রিপোর্টার নির্ভীক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর প্রেসক্লাবের আয়োজনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় নবীনগর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে আয়োজিত কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব নবীনগর প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি সভাপতিত্বে দৈনিক কালবেলা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি করেন শাহনূর খান আলমগীরের সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

এসময় বক্তব্য দেন সিনিয়র সহ সভাপতি তাজুল ইসলাম,সাবেক সভাপতি, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি মাহাবুব আলম লিটন,প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন প্রতিনিধি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামল, সাবেক সভাপতিও দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধি জালাল উদ্দিন মনির, ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কল্লোল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ, বাংলা টিভি প্রতিনিতি পিয়াল হাসান রিয়াজ,আনন্দ টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধ আবু কাউছার, দৈনিক বাংলা প্রতিনিধি জামাল হোসেন পান্না, মানবকন্ঠ প্রতিনিধি মিঠু সূত্রধর পলাশ সাংবাদিক এম কে জসিম উদ্দিন,রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি শাহিন রেজা টিটু, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শরিফ,উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ,,নিউ মডেল প্রেস ক্লাব সভাপতি খলিলুর রহমান,সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির, কাউসার আলম, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং উপজেলা সকল ক্লাবের সদস্যবৃন্দ ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তুহিন ছিলেন একজন সৎ ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদকর্মী, যিনি দীর্ঘদিন নানা চাপ ও হুমকি উপেক্ষা করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে গেছেন। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে, যা মুক্ত সাংবাদিকতার ওপর এক নির্মম আঘাত।

তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তুহিন হত্যার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে দেশব্যাপী সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে নামবে। একইসঙ্গে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান বক্তারা।


ইউপি সদস্যকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার

আপডেটেড ৯ আগস্ট, ২০২৫ ১৫:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লা নাঙ্গলকোটে ইউপি সদস্য আলাউদ্দিনকে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে ঢাকার হাতিরঝিল রেল মগবাজার রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। শুক্রবার দিনগত রাতে অভিযানটি শেষ করে র‍্যাব।

গ্রেফতারকৃত আসামী শেখ ফরিদ (৪৫) নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ আলীয়ারা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে কুমিল্লা অশোকতলা এলাকায় র‍্যাব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন

র‍্যাব ১১ এর কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম।

মেজর সাদমান জানান, নাঙ্গলকোটের আলিয়ারা গ্রামে দুই পরিবারের মধ্যে বংশপরম্পরায় একটি বিরোধ চলে আসছিল। গেল গেল ২৫ জুলাই গরুর ঘাস খাওয়া কে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

সেদিন দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়।

এ ঘটনার রেশ ধরে গেলো ৩ আগস্ট দুপুরে আলিয়ারা গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন তার চাচাতো ভাইয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে একটি সিএনজিতে তুলে নিয়ে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করে।

পরে এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।


রাজশাহীতে ১২টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাথে রাজশাহী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৯ আগস্ট) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন সংস্থা সমূহের বাস্তবায়িত ১২ টি প্রকল্পের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন। এর আগে উপদেষ্টা একদিনের সরকারি সফরে রাজশাহী সার্কিট হাউজে উপস্থিত হলে তাকে গার্ড অফ অনার প্রদর্শন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার,
পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান, এসপি ফারজানা ইসলাম সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃন্দ। এর পর রাজশাহী থেকে তিনি নাটোরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে তিনি স্বশরীরে নাটোর মিনি স্টেডিয়াম সহ ভার্চুয়ালি নাটোর এলজিইডির কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রকল্পসমূহের উদ্বোধন করবেন এবং সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করবেন।


গাজীপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত, আটক ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে ছুরিকাঘাতে জুয়েল নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার উড়ালসেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জুয়েল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযান চালিয়ে রাকিব (২৫) ও রবিন (২৭) নামে দুইজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরিও জব্দ করা হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল বারিক জানান, মাওনা চৌরাস্তার গল্প ছড়া নামক অস্থায়ী চায়ের দোকানের পাশে কয়েকজন যুবক ঘুমাতে যায়। চটের বিছানায় ঘুমানো নিয়ে নিহত জুয়েল এবং আটক রাকিব ও রবিনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে ধস্তাধস্তির সময় রাকিবের ছুরিকাঘাতে জুয়েলের বুক বিদ্ধ হয় এবং রবিনের হাত কেটে যায়।

স্থানীয়রা জুয়েলকে উদ্ধার করে প্রথমে মাওনার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাওনা চৌরাস্তার টহলরত পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত অভিযান চালিয়ে রাকিব ও রবিনকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ওসি জানান, নিহত জুয়েল ও গ্রেপ্তাররা সবাই ভাসমান এবং মাওনা চৌরাস্তা কেন্দ্রিক বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। 


শেরপুরে স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে কবর দেওয়ার চেষ্টার ভিডিও ফেইসবুকে ভাইরাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ স্ত্রীকে নিজের বাড়ির উঠানে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারই স্বামী খলিলুর রহমান। আর এ ঘটনার ভিডিও রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত স্বামীর হলেন খোশালপুর মধ্যপাড়ার মৃত জহুর আলীর ছেলে মো. খলিলুর রহমান (৮০)।

ভুক্তভোগী স্ত্রীর হলেন, একই এলাকার স্ত্রী খোশেদা বেগম (৭০)।

স্থানীয়রা জানায়, শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় অসুস্থ স্ত্রী বিছানায় মলত্যাগ করায়। তার স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে টেনে হিঁচড়ে নিজের বাড়ির উঠানে নিয়ে যান এবং কোদাল দিয়ে ছোট করে গর্ত খুঁড়ে তার গায়ে মাটি চাপা দিতে থাকেন। এ সময় তাকে হাত দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায়। এ সময় তারই নাতি মো. খোকন (১৯) ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। যা রাতে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে জেলা জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। প্রায় ছয় বছর ধরে শয্যাশায়ী খোশেদা বেগম।

ফেইসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে শাহাদাৎ নামের একজন লেখেন, আমাদের উপজেলায় এসব কি দেখছি। এ ঘটনার আমরা স্বামীর শাস্তি চাই।

এলাকার বাসিন্দা হাফিজ বলেন, খলিলুর রহমান মানুষ হিসেবে মন্দ নন, তবে কারও সঙ্গে খুব বেশি মিশেন না। স্ত্রী বিছানায় পড়ার পর তিনি সেবা করতেন। আজকের ঘটনাটি দুঃখজনক।

পাশের বাড়ির সুজন বলেন, তিনি তেমন ঝামেলায় জড়ান না, তবে গরিব মানুষ। গতকালই স্ত্রীর জন্য একটি চেয়ার কমোড কিনে আনেন। স্ত্রী চোখে ভালো দেখেন না। একটু কথা না শোনায় আজ এই ঘটনা ঘটে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ জানান, আমরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক টিম পাঠিয়েছি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসা করেছেন। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ জানান, আমি ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি সত্যিই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


কারাগার থেকে পালাতে দেয়াল খুঁড়ছিলেন ফাঁসির ৩ আসামি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করছিলেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি। এ জন্য তারা বিভিন্ন উপকরণ সংগ্রহ করে দেয়াল খুঁড়ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে বন্দিদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে উপকরণগুলো জব্দ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএিমপি) কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের শাহাদাত হোসেন, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মাঝিনা গ্রামের শ্রী রনি মোহন্ত ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট রাত সোয়া ৮টার দিকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারী প্রধান রক্ষী মোখলেছুর রহমান। এ সময় তিনি তমাল ভবনের নিচ তলায় ১২নং কক্ষ থেকে দেওয়ালে আঘাতের শব্দ শুনতে পান। পরদিন ৬ আগস্ট সকালে ওই কক্ষে তল্লাশি করে একটি লোহার পাত, দুই চুকরা রড, কম্বল কেটে বানানো ২৮ ফুট লম্বা একটি রশি, কম্বল দিয়ে তৈরি ২৫ ফুট লম্বা একটি বেল্ট, লোহার তৈরি দুটি আংটা, ১০ ফুট লম্বা একটি খুঁটিসহ বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে বন্দিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কারা কর্তৃপক্ষকে জানান, জেল থেকে পলানোর জন্য প্রস্তুতির সহায়ক উপকরণ হিসেবে উদ্ধার করা মালামাল তারা সংগ্রহে রেখেছিলেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তারা জেল থেকে পালাতে অথবা সে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কোনাবাড়ী থানার ওসি সালাহউদ্দিন বলেন, হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার ওই ঘটনায় মামলা করেছেন।


কুমিল্লায় ফুটবল খেলা শেষে ফেরার পথে ট্রাক খাদে, স্কুলছাত্র নিহত; আহত অন্তত ১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ফুটবল ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার পথে খেলোয়াড় ও সমর্থকবাহী একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আব্দুল্লাহ আল ইমন (১৪) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে উপজেলার বাকশিমুল উত্তরপাড়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইমন হরিপুর উত্তরপাড়া এলাকার শফিউল আলমের ছেলে এবং হরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে “এলইডি টিভি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় হরিপুর উত্তর একাদশ ও হরিপুর দক্ষিণ একাদশ মুখোমুখি হয়। উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় হরিপুর দক্ষিণ একাদশ বিজয়ী হয়।

খেলা শেষে খেলোয়াড় ও সমর্থকরা একটি ট্রাকে করে নিজ নিজ গ্রামে ফিরছিলেন। পথে বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের বাকশিমুল উত্তরপাড়া এলাকায় পৌঁছালে ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গভীর খাদে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে ইমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইমনের মৃত্যুর খবরে তার পরিবার, সহপাঠী ও সমগ্র হরিপুর উত্তরপাড়া এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, “খেলা শেষে ফেরার পথে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের বহনকারী ট্রাক খাদে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।”

শনিবার সকালে জানাজা শেষে ইমনের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে।


গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার

গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোডের ফুটপাতে একটি ট্রাভেল ব্যাগ থেকে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের বেশ কয়েক টুকরো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে। ছবি: ফোকাস বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে পৃথক স্থান থেকে চারটি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। টঙ্গী, কোনাবাড়ি, সালনা ও ভবানীপুর এলাকা থেকে এ লাশগুলো উদ্বার করা হয়। পরে মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আজ শুক্রবার মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় শুক্রবার সকালে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে কৌতূহল বশতঃ কয়েকজন ব্যক্তি ব্যাগটি খুললে টুকরা করা মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ সকাল ৯টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ ধারণা, গত রাতের কোনো এক সময়ে দুর্বৃত্তরা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশটিকে কয়েকটা টুকরা করে। পরে ওই ট্রাভেল ব্যাগে করে ভোরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে।

টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বেশ কয়েকটি টুকরা করে ওই ব্যাগের মধ্যে ভরে টঙ্গীর ওই স্থানে ফেলে পালিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নগরীর দক্ষিণ সালনা মিয়াপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়ন (২৮) নামে এক অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি শেরপুর জেলার শ্রীবরদী গোসাইপুর এলাকার মোশারফ হোসেন মোসার ছেলে। সদর থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

অন্যদিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় এক ডেকোরেটর ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে জয়দেবপুর থানার পুলিশ।

নিহতের ছেলে সুমন জানান, রাত ১০টার দিকে তার বাবার মরদেহটি ভবানীপুর অনন্ত ভবন নামে একটি রিসোর্টের কাছে রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তার বাবার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি দাড় করানো অবস্থায় ছিল। শরীরে কোনো জামা কাপড় ছিল না। দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যার পর মরদেহটি এখানে ফেলে যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। জয়দেবপুর থানার ওসি তৌহিদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপর দিকে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি এলাকা থেকে এক অটোচালকের মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই চালকের নাম জিল্লু ফকির (৫০) তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকার ভালকি গ্রামের মাফেজ খার ছেলে। তিনি ২২ বছর ধরে গাজীপুরের কোনাবাড়ি আমবাগ এলাকায় সপরিবারে বসবাস করতেন।

নিহতের মেয়ে উর্মি জানান, তার বাবা সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা যোগে লোকজন ধরাধরি করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহত ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিষক্রিয়া উল্লেখ করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। কোনাবাড়ি থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আমতলীর মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা রাসেল গ্রেপ্তার, কঠোর শাস্তির দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার মাদক সিন্ডিকেটের মূল হোতা রাসেল হাওলাদারকে হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা রাসেলের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।

জানা গেছে, দক্ষিণ পশ্চিম আমতলী গ্রামের মৃত বারেক হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার দীর্ঘ ১২ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গড়ে তুলেছেন বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদেরও এই নেটওয়ার্কে যুক্ত করেছেন তিনি। এ কাজে স্ত্রী, দুই ভাই রুবেল হাওলাদার ও সজিব হাওলাদারকেও সম্পৃক্ত করেছেন। তারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের কাছে মাদক সরবরাহ ও অর্থ সংগ্রহ করতেন।

এছাড়া স্থানীয়দের অভিযোগ, রাসেলের সঙ্গে পুলিশ, র‍্যার , ডিবি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কিছু সদস্যের সখ্যতা রয়েছে। ফলে তার বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতেন তারা। রাসেলের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় ৯টি এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী থানা পুলিশ রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় একগ্রাম হিরোইন, হিরোইন পরিমাপ যন্ত্র ও প্যাকেজিং মেশিন উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় জানান, রাসেলের পরিবারের সকলেই মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত। তাদের কব্জায় পড়ে অনেক পরিবার ধ্বংসের পথে গেছে। তাই তারা রাসেলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, রাসেলের বিরুদ্ধে ৯টি মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের উপ-পরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে রাসেলকে বরগুনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।


banner close