রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
২৬ শ্রাবণ ১৪৩২

গম খাওয়ার ‘অপরাধে’ প্রাণ গেল ২ শতাধিক ঘুঘুর

দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২ জানুয়ারি, ২০২৪ ১৭:২৮

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় গম খাওয়ার ‘অপরাধে’ বিষ প্রয়োগ করে দুই শতাধিক ঘুঘু মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে শাহজাহান মাদবর নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পাখিগুলোকে মেরেই ক্ষান্ত হননি তিনি, সুতায় বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন ওই জমিতেই। তার এমন অমানবিক কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

শুক্রবার উপজেলার সিড্যা ইউনিয়নের মধ্যসিড্যা এলাকায় শাহজাহান মাদবরের জমিতে এসব পাখি মরে থাকতে দেখা যায়।

কৃষক শাহজাহান মাদবর সিড্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি মেম্বার ও মকিম বক্স মাদবরের ছেলে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহজাহান মাদবর তার জমিতে গম বপন করেছিলেন। বীজ গমগুলো যাতে পাখিতে না খেতে পারে সেজন্য জমিতে বিষ প্রয়োগ করেন তিনি। বিষ দেয়া ওই গম খেয়ে গত তিনদিনে দুই শতাধিক ঘুঘু মারা গেছে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি সুতা দিয়ে বেঁধে জমিতে ঝুলিয়ে রাখেন ও বাকি পাখিগুলোকে বস্তাবন্দি করে মাটিচাপা দেন শাহজাহান মাদবর।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যিনি এমন অমানবিক কাজ করেছেন তার শাস্তি হওয়া উচিত।’

বিষ প্রয়োগের বিষয়টি অস্বীকার করলেও মরা পাখি জমিতে ঝুলিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শাহজাহান মাদবর। তিনি বলেন, ‘কেউ আমার সঙ্গে শত্রুতা করে পাখিগুলোকে মেরে আমার জমিতে ফেলে রেখেছে। আমি মরা পাখিগুলোকে সুতা দিয়ে জমিতে বেঁধে রেখেছি যাতে অন্য পাখি ভয়ে না আসে। এই একটা জিনিসই আমি ভুল করেছি।’

এ বিষয়ে সিড্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী জিল্লু বলেন, ‘বিষয়টি দুঃখজনক। তবে শাহজাহান মাদবর বলেছেন, তিনি নাকি পাখিগুলো মারেননি। আমি বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নেবেন।’

ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোবাশ্বের আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এমন একটি খবর পেয়েছি। এসিল্যান্ডকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।’


আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পিসিসিপির মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা।

রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহরের বনরুপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিরা আদিবাসী নয়; তারা ইতিহাসে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অভিবাসী হয়ে এখানে বসতি স্থাপন করেছে। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই, বরং তারা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির নামে একটি গোষ্ঠী ‘জুম্মলেন্ড’ নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।


মাধবপুরে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক -১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সানাউল হক চৌধুরী, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় মালামালসহ এক ব্যাক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রবিবার (১০ আগষ্ট) সকাল সাড়ে ৮ টায়

সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর ধর্মঘর বিওপি'র একটি টহল দল উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দেবনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রবাল বনিক(৪৪) নামে এক ব্যাক্তিকে আটক করেন। সে হবিগঞ্জ পৌরসভার বগলাবাজার এলাকার মৃত হরিদাস বনিক এর পুত্র। এসময় তার নিকট থেকে ভারতীয় ২৪০০ রুপি, ১ টি কষ্টিপাথর,বিভিন্ন কালার আংটির পাথর-১৪৫ পিস এবং ওয়েট মেশিন ছোট-০১ টি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য সিজার মূল্য--৫,৬৬,০৬০/- টাকা। এসময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে দালাল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দেবনগর গ্রামের ইদু মিয়ার পুত্র মো: মোক্তার মিয়া (৩৫) পালিয়ে যায়। সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধৃত আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধবপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফরে গুরুত্ব পাবে অভিবাসন ও বিনিয়োগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালয়েশিয়া সফরে অভিবাসন ও বিনিয়োগ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেছেন, ‘আগামীকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সফর। এই সফরে অনেকগুলো সমঝোতা স্বাক্ষর হবে। এই সফরের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হবে। সফরের মূল ফোকাস অভিবাসন নিয়ে আলাপ, দ্বিতীয় ফোকাস হচ্ছে বিনিয়োগ’।

রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার মালয়েশিয়া সফর নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রেস সচবি বলেন, মালয়েশিয়া আমাদের জনশক্তি খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। আমরা আমাদের অভিবাসন এমন জায়গায় নিয়ে যেতে পারি-যাতে মালয়েশিয়া আমাদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক জনশক্তি নেয়। এগুলো নিয়ে কিছু আলাপ হবে এবং এটার আলোকে কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হবে। তিনি বলেন,মালয়েশিয়ার বড় বড় যেসব কোম্পানি আছে—তাদের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হবে।

শফিকুল আলম জানান, আগামী ১২ আগস্ট একটি বিজনেস কনফারেন্স আছে। এরপর ১৩ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাকে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (ইউকেএম) সম্মানসূচক ডিগ্রি দেবে। এই অনুষ্ঠানে আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীম উপস্থিত থাকবেন । মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১২ আগস্ট একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আছে। সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, আমরা আশা করছি, মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের যে সুসম্পর্ক আছে, সেটা একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক শাহ আসিফ রহমান বলেন, আগামী ১১ থেকে ১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় সফরে মালয়েশিয়া যাবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল যাচ্ছেন। প্রতিনিধিদলে রয়েছেন-পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বিন হারুন।

তিনি জানান, সফরের প্রথম দিন প্রধান উপদেষ্টাকে গার্ড অব অনারের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে, সেখানে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুসন ইসমাইল প্রধান উপদেষ্টাকে গ্রহণ করবেন। ১২ আগস্ট পুত্রজায়ায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে। বৈঠকের পর দুদেশের প্রতিনিধি পর্যায়ে বৈঠক ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হবে তা হলো প্রতিরক্ষা বিষয়ক সহযোগিতা; এলএনজি ও পেট্রোলিয়াম সরবরাহ ও অবকাঠামো নির্মাণসহ জ্বালানি সহযোগিতা; বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) ও ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ মালয়েশিয়া (আইএসআইএস); বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) ও চিপ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মিমোস (এমআইএমওএস) এর সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক চেম্বার এফবিসিসিআইর সঙ্গে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়িক চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা।

সম্ভাব্য এক্সচেঞ্জ নোটগুলো হলো হালাল ইকোসিস্টেম, দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং উচ্চ শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ক নথি সই।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কোনো দেশের সরকার প্রধান হিসেবে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সফর করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। গত অক্টোবরে প্রায় এক দশক পর মালয়েশিয়ার সরকার প্রধান বাংলাদেশ সফর করেন।

শাহ আসিফ রহমান জানান, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর একটি সংবাদ সম্মেলন এবং প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে একটি রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে। একই দিন বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা একটি ব্যবসায়িক ফোরামে অংশ নেবেন এবং এর পরপরই মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন খাতে নতুন কর্মী নিয়োগ, অধিক সংখ্যক পেশাদার নিয়োগ, শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

শ্রমবাজারের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রের সঠিক ব্যবহার,কৃষিসহ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বিষয়গুলোও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।


পরিবারসহ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু আগামীকাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে আগামীকাল সোমবার।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই মামলাগুলো দায়ের করে। এসব মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে এসব মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পৃথক তিন মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসানকে আদালত হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম আজ বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতির পৃথক তিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১১ আগস্ট দিন ধার্য রয়েছে। সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য পৃথক তিন মামলার বাদীকে আদালত হাজির হতে সমন জারি করা হয়েছে। এদিন তারা আদালতে হাজির হবেন বলে আশা করছি।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ছাড়াও এ মামলায় অপর ১১ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক,খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সজিব ওয়াজেদ জয় ও তার মা শেখ হাসিনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্তে প্রাপ্ত আরো দুইজনসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান।

শেখ হাসিনা ও জয় ছাড়াও এ মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর ১৫ আসামি হলেন-জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন,সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, পরিচালক কামরুল ইসলাম, উপ- পরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সদস্য মো. নুরুল ইসলাম, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

রাজধানীর পূর্বাচলে দশ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ তদন্ত প্রাপ্তে আরো দুই আসামিসহ শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

শেখ হাসিনা ও পুতুল ছাড়াও মামলার অপর ১৬ আসামি হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), মো. নুরুল ইসলাম, পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও হাবিবুর রহমান, তদন্ত প্রাপ্তে আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।

গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই তিন মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।


রাজবাড়ীতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী ভারতে গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র রিপন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী জামাল পত্তনদার ওরফে কুদ্দুস রহিম শেখকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার উত্তর দৌলতদিয়ার ফেলু মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা হোসেন পত্তনদারের ছেলে।

রবিবার (১০ই আগস্ট) টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ব্রাঞ্চের ক্রাইম ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (সিআইইউ) ৩৭ বছর বয়সী মোহাম্মদ জামাল হোসেন পত্তনদার ওরফে কুদ্দুস রহিম শেখকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ তাকে দক্ষিণ মুম্বাইয়ের কামাঠিপুরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজবাড়ী আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তিনি সাজা এড়াতে পালিয়ে ভারতে চলে আসেন এবং তখন থেকেই পলাতক ছিলেন।

তদন্তে জানা গেছে, জামাল পত্তনদার ২০২৩ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছিলেন এবং মিথ্যা ভারতীয় পরিচয় তৈরি করতে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করছিলেন। তার কাছ থেকে একটি আধার কার্ড, প্যান কার্ড ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার একটি পাসবুক, আধার আপডেটের স্বীকৃতিপত্র এবং বাংলা ভাষায় লেখা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার একটি ফটোকপি জব্দ করা হয়েছে। গুগল লেন্স ব্যবহার করে পরোয়ানাটির প্রাথমিক অনুবাদে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে এটি বাংলাদেশের একটি আদালত পত্তনদারের বিরুদ্ধেই জারি করেছিল।

জানাগেছে, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইফুল ইসলাম রিপন হত্যা মামলায় জামাল পত্তনদার নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে। তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ( ফেলু মোল্যার পাড়া) হোসেন পত্তনদারের ছেলে। এ মামলায় ১২ আসামীকে খালাস দিয়েছে আদালত। রায়ের সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামাল পত্তনদার অনুউপস্থিত ছিলো। গত ২০২৩ সালের ৬ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার সময় রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোছাঃ জাকিয়া পারভীন এ রায় প্রদান করেন।

মামলা সুত্রে জানাগেছে, দৌলতদিয়া বাজার ব্যবসায়ী পরিষদের সাবেক সভাপতি মোহন মণ্ডলের ছেলে ও ঢাকা সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র সাইফুল ইসলাম রিপন ২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিকালে বাড়ীতে বেড়াতে আসে। রাতের খাবার শেষে সে তার বন্ধু ফরিদ শেখের সাথে রাত সোয়া ৮টার সময় বাসা থেকে বের হয়ে যায়। রাত পৌনে ৩টার দিকে সাইফুল ইসলাম রিপনকে প্রলোভন দিয়ে দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে নিয়ে কল্পনা বাড়ীওয়ালীর ২য় গেইটের সামনে গলির উপর আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে বুকে, মাথায় ও থুতনিতে গুলি করে ঘটনাস্থলে হত্যা করে। তার বন্ধু ফরিদকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুখের মধ্যে গুলি করলে তার ৭-৮টি দাঁত ও মাড়ি উড়ে যায় ও পায়ে গুলি করে। ফরিদকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম রিপনের মামা মোঃ খলিল বাদী হয়ে ৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৮-১০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ ১৩জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীর্ট দাখিল করেন।

এ মামলায় অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ( ফেলু মোল্যার পাড়া) হোসেন পত্তনদারের ছেলে জামাল পত্তনদারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ মামলায় অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া (খানকাহ শরীফ মসজিদ পাড়া) মৃত ওসমান সরদারের ছেলে মোঃ তমশের সরদার, উত্তর দৌলতদিয়া (মসজিদ পাড়া) আবু দাউদ বোপারী ওরফে দাদনের ছেলে মোঃ আশরাফ হোসেন, শাহ ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত সিদ্দিক শেখের ছেলে মোঃ ইয়াছিন শেখ, উত্তর দৌলতদিয়া (শামসু মাষ্টার পাড়া) হালিমের ছেলে শহিদ শেখ ওরফে সোহেল, উম্বারকাজী পাড়া ( উত্তর দৌলতদিয়া ৬নং ওয়ার্ডের) আইজাল প্রামানিক ওরফে আবজাল প্রামানিক ওরফে আজিজুল প্রামানিকের ছেলে আমজাদ প্রামানিক, উত্তর দৌলতদিয়া ( হোসেন মন্ডল পাড়া) ইসলাম প্রামানিকের ছেলে সুজন ওরফে জীবন প্রামানিক, পূর্ব উজানচর (সাহের মন্ডল পাড়া) আদেল উদ্দিন ওরফে আদুর ছেলে মোঃ শমসের আলী শেখ, দৌলতদিয়া হোসেন মন্ডল পাড়ার মোহন মন্ডলের ছেলে ইউসুফ, কুষ্টিয়া জেলার খোকসা থানার গোপ গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে হারুন-অর রশিদ হারুন, শমসেরপুর গ্রামের রোকন উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে রাকিব উদ্দিন বিশ্বাস, পাবনা জেলার সাথিয়া থানার ছাতুক বরাট গ্রামের মৃত আজিজ প্রামানিকের ছেলে বর্তমানে দৌলতদিয়া পতিতালয়ের লাল মিয়া কমান্ডারের বাড়ীর রাজা প্রামানিক, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন থানার চরশালীপুর গ্রামের আঃ খালেকের ছেলে আসাদকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন ।


২ ঘন্টা পড় ঢাকা উত্তরবঙ্গ মহাসড়ক ছেড়েছে শিক্ষার্থীরা, যানবাহন চলাচল শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবিতে সিরাজগঞ্জে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়কের সকল যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছিলেন। প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল।

রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে ঢাকা-পাবনা, ঢাকা-রাজশাহী ও ঢাকা-বগুড়া মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ সড়ক ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ২ ঘন্টা পরে সড়ক ছেড়ে দিয়েছি। অবরোধ চলাকালে উভয়মুখী যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় যাত্রী ও পরিবহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে অবরোধ প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় ৯ বছর পরও ভাড়া করা ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ১২০০ শিক্ষার্থী, ৩৪ শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ কর্মচারী নিয়ে বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সঙ্গীত ও ব্যবস্থাপনা - এই পাঁচটি বিভাগে একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। নিজস্ব জমিতে ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠালেও তা এখনও অনুমোদন পায়নি। ২০২৫ সালে ১০০ একর জমিতে ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যা একনেকের নীতিগত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দ্রুত অনুমোদন ও কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে আমাদের আন্দোলন আরও কঠোর পযার্য়ে যাবেন। এই ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।


রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা প্রচারে নীলফামারী জেলা বিএনপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসির উদ্দিন শাহ (মিলন), নীলফামারী প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নীলফামারী জেলা বিএনপির উদ্যোগে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১০ আগষ্ট) দিনব্যাপী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ৩১ দফার গুরুত্ব ও ধানের শীষের প্রচারণা চালান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ.এইচ.এম সাইফুল¬াহ রুবেল।

এসময় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা প্রধান হক বাচ্চু, সদস্য মোজাম্মেল হক, রেদওয়ানুল হক বাবু, ইউনুস আলী, হারুন অর রশিদ খোকন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোর্শেদ আযম, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল নোমান কলে¬াল, সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রাশেদ রেজাউদ্দৌলা, সাবেক ছাত্রনেতা এনামুল হক এনাম, জেলা ছাত্রদলের জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস জীবন, নীলফামারী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পায়েলুজ্জামান রকসী সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় সকলের উদ্দেশ্যে এ.এইচ.এম সাইফুল¬াহ রুবেল বলেন, “বিএনপির ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, সুশাসন নিশ্চিত হবে এবং জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে।”

তিনি জানান, “এই দফাগুলো শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুর্নীতি দমন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গড়ার রূপরেখা। এজন্য তিনি নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণকে এই কর্মসূচিকে সফল করতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।”


নেত্রকোণায় আন্তর্জাতিক উশু-কুংফু দিবস পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

এই দিনটি কেবলই উশুকাদের” নেত্রকোণায় নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে বিশ্ব উশু কুংফু দিবস। শনিবার নাদিম মার্শাল আর্ট উশু সেন্টার এর উদ্যোগে কালেক্টর মাঠ প্রাঙ্গণে সকাল ৯. ৩০ ঘটিকার সময় উশু-কুংফু দিবসে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও কুংফু ডিসপ্লে অনুষ্ঠিত হয়। দিনটিকে বিশেষভাবে পালন করলেন নেত্রকোণা অঙ্গন থেকে উশু এসোসিয়েশন । জেলা নাদিম মার্শাল আর্ট উশু সেন্টার এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রশিক্ষক নাদিম আহমেদ এর নেতৃত্বে আনন্দ র‌্যালি বের হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে অংশ নেন জেলার, ক্লাব ও সংস্থার উশু ও কুংফু ক্রীড়াবিদ। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা উশু সেন্টার এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মনি চেয়ারম্যান,নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাংবাদিক হাফিজ উল্লাহ চৌধুরী আলিম, জেলা উশু সেন্টার এর যুগ্ম সম্পাদক প্রনয় বিশ্বাস,, সদস্য দেলোয়ার হোসেন, অভিভাবক মোঃ আউলাদ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।


২৫-২৮ আগস্ট বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর মধ্যে ০৪ দিনব্যাপী (২৫-২৮ আগস্ট) মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন আগামী ২৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরে শুরু হবে।

বিএসএফ মহাপরিচালক এর নেতৃত্বে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

এবারের সম্মেলনে- সীমান্ত হত্যা, পুশ ইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ; ভারত থেকে মাদক, অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অন্যান্য চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন; আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন এবং অননুমোদিত অবকাঠামো নির্মাণ রোধ; সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ এবং সীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ; সাম্প্রতিককালে ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারের ফলে সীমান্তে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগ গ্রহণ; দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয়সমূহ এবং সীমান্ত স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।


সন্তান হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়ে থানায় স্বামী অতঃপর

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১৮:১৬
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন এক যুবক। মূহুর্তেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ে উপজেলা জুড়ে। তবে এমন ঘটনার সত্যতা পায়নি পুলিশ। যুবকের নাম মোঃ বেলাল হোসেন, তিনি সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের জুগিরখিল আশরাফ খানের নতুন বাড়ি এলাকার মোঃ রফিকের ছেলে।

থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার বাইপাস গোল চত্বর এলাকায় বেলাল নামের যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে থানা পুলিশের মোবাইল টিম। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করে। পরে ওই ছেলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী থানা পুলিশ ঘটনায় গিয়ে যুবকের স্ত্রী-সন্তানকে জীবিত ও সুস্থ অবস্থায় পায়।

যুবকের স্ত্রী রবিনা আক্তার জানান, তার স্বামী গত ছয়মাস পূর্বে গ্রীস থেকে দেশে ফিরে তাকে বিয়ে করেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় তিনি মাফিয়াদের হাতে নির্যাতনের শিকার হন। পরে মুক্তিপণ দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পান। এর পরে গ্রীসের পুলিশের হাতে আটক হয়ে কয়েকমাস অবর্ণনীয় নির্যাতন সোহ্য করে দেশে ফেরেন। এর পর থেকে মানসিক সমস্যায় রয়েছেন।

থানায় গিয়ে কথা হলে বেলাল হোসেন জানান, জমি বিক্রি করে ও ঋণ নিয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা খরচ করে আরব-আমিরাতে যান। এসময় ৬ মাসের মাথায় গ্রিসের মাফিয়া চক্র তাকে একমাস ১৪ দিন বন্দী রেখে নির্যাতন করে। পরে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পান। এর কিছুদিন পর অবৈধ ভাবে গ্রীসে থাকার অপরাধে ওই দেশের পুলিশ একমাস নির্যাতন চালিয়ে দেশে ফেরত পাঠায়। দেশে ফিরে জানতে পারেন তার প্রেমিকার বিয়ে হয়ে গেছে। এই কষ্টে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকার এক মহিলাকে তার কন্যা সন্তান সহ বিয়ে করেন যে ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে মেনে নেয়নি। এছাড়া অর্থনৈতিক ভাবে ঋণগ্রস্ত থাকা সহ সামাজিক চাপের কারনে তিনি মানষিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, পূর্বের স্বামীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রুবিনা আক্তার তার বর্তমান স্বামী বেলাল হোসেনের সাথে তুলনা করেন। যুবক বেলাল হোসেন কন্যা সন্তান সহ রুবিনাকে বিয়ে করায় সামাজিক ভাবে চাপে থাকেন। এছাড়া কয়েক লাখ টাকা দেনা করে বিদেশ গিয়ে কয়েক মাসের মাথায় দেশে ফেরত আসেন। বর্তমানে তিনি পারিবারিক ও অর্থনৈতিক চাপে থাকায় তার মানষিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে। যে কারনে তিনি উদ্ভট আচরন করছেন। বেলাল হোসেনকে তার পরিবারে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।


শ্রীবরদীতে সেই ভাইরাল স্বামী-স্ত্রীকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মেরাজ উদ্দিন, শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের শ্রীবরদীতে সেই ভাইরাল স্বামী-স্ত্রীকে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। ৯ আগষ্ট রাতে জেলা বিএনপির পক্ষে শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপির আকাধিক নেতা এ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অসুস্থ স্ত্রীকে নিজের বাড়ির উঠানে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর চলছে তোলপাড়। অসুস্থ স্ত্রীকে বিশ বছরের সেবা করার প্রশংসনীয় কাজের সব এক ভিডিওতেই শেষ হয়ে যায় উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোসালপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভাইরাল এ ঘটনার বিষয়ে দৃষ্টি আসে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তার নির্দেশে শেরপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ৯ আগষ্ট রাতে আর্থিক সহায়তা করা হয়। জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব মো. হযরত আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ও সদস্য সচিব অধ্যক্ষ এবিএম মামুনুর রশীদ পলাশের পক্ষে শ্রীবরদী উপজেলা বিএনপি নেতা মাহফুজুর রহমান আঙ্গুর ও আবু রায়হান আল বিরোনী।

এ সময় আবু রায়হান আল বিরোনী বলেন, এ ঘটনাটি আমাদের নাড়া দিয়েছে। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে।


পুলিশ সদস্যদের কাজে ফেরানো গত এক বছরে বড় সফলতা: আইজিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হতাশাগ্রস্ত পুলিশ কর্মীদের কাজে ফিরিয়ে নিয়ে আসাকে গত এক বছরে বাংলাদেশ পুলিশের বড় ধরনের সফলতা মনে করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘গত বছরের ৬ আগস্ট পুলিশ সদস্যদের পরিস্থিতি এবং বর্তমানে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে চিন্তা করে দেখুন। তারা থানায় ফিরে কাজ শুরু করেছে এবং এটি বড় ধরনের সাফল্য।’

সারাদেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে কতটা সন্তুষ্ট, সে ব্যাপারে জানতে চাইলে আইজিপি জানান, তিনি পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন।

তিনি বলেন, ‘আমি শতভাগ সন্তুষ্ট নই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো উন্নতির এখনো সুযোগ রয়েছে।’

আইজিপি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের ব্যাপারে এখন প্রস্তুতি চলছে। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য আগামী নির্বাচন। আমরা সে ব্যাপারেই প্রস্তুত হচ্ছি।’

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরপরই সৃষ্ট প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি লুট হয়ে যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ গত বছরের ৫ আগস্টের পরপরই অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করে। এ অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দেশব্যাপী অভিযান অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।


পটিয়ায় ব্যাংক অচল, চাকরিচ্যুতদের অবরোধে লেনদেন বন্ধ

আপডেটেড ১০ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৭
পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিক্ষোভ করছেন। এতে অচল হয়ে পড়েছে ব্যাংকের সব কার্যক্রম। রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শতাধিক চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারী পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। এরপর তারা সড়কে কয়েক দফা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

পরে তারা পটিয়া সদরের বিভিন্ন ব্যাংকের মূল ফটকে ব্যানার টানিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে গ্রাহকরা ব্যাংকে প্রবেশ করতে না পারায় লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর চাকরিচ্যুতরা পটিয়া থানার মোড়ে অবস্থান নেন। এসময় পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানুর রহমান, পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান এবং পটিয়া থানার ওসি নুরুজ্জামান আন্দোলনকারীদের অনুরোধ জানান, যাতে জনসাধারণের ভোগান্তি না হয়।

আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা মফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি। পটিয়ায় সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে। আজ বিকেল পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।’

অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া চাকরিচ্যুতরা অভিযোগ করেন, অন্যায়ভাবে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত পুনর্বহাল ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।


banner close