বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫
২৯ শ্রাবণ ১৪৩২

হকার আর যানজট- সিলেট নগরের দুই যন্ত্রণা

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০১
দেবাশীষ দেবু, সিলেট
প্রকাশিত
দেবাশীষ দেবু, সিলেট
প্রকাশিত : ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০

বেদখল হয়ে আছে নগরের বেশির ভাগ ফুটপাত। ফুটপাতে পণ্যের পসরা নিয়ে বসেছে ভাসমান ব্যবসায়ীরা। ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কের অনেকাংশও তাদের দখলে। ফলে পথচারীদের হাঁটাচলারও সুযোগ নেই। এ ছাড়া নগরজুড়েই লেগে থাকছে ভয়াবহ যানজট। হকারদের উপদ্রব আর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং- যানজট আরও বাড়িয়ে তুলছে।

হকার আর যানজট- এই দুটিই এখন হয়ে উঠেছে সিলেট নগরবাসীর প্রধান যন্ত্রণা। এই দুই যন্ত্রণা থেকে রেহাই মিলছে না কিছুতেই। বরং দিনদিন যন্ত্রণা আরও তীব্র হচ্ছে।

একাধিক নগরবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী দায়িত্বে থাকাকালে ফুটপাত হকারদের দখল থেকে মুক্ত করতে ও অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড উচ্ছেদে কিছু তৎপরতা চালান। তবে এতে খুব একটা সফলতা মেলেনি। গত জুনে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের আগ মুহূর্ত থেকে হকারদের উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। আর সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিকিক) নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর রীতিমতো হকারদের দখলেই চলে গেছে নগরের বেশির ভাগ ফুটপাত ও সড়ক। গত ৭ নভেম্বর দায়িত্ব নেন আনোয়ারুজ্জামান। এরপর হকার উচ্ছেদে সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

হকারদের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরের বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে। দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কের অনেকাংশ ও দুই পাশের ফুটপাতের পুরোটাই হকারদের দখলে। ফলে এই সড়ক দিয়ে পথচারীদের হাঁটাচলার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া সব সময়ই লেগে থাকে তীব্র যানজট।

জিন্দাবাজার এলাকায় সড়কের মধ্যে শীতের কাপড় বিক্রি করা ময়েজুল ইসলাম বলেন, ‘দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করার মতো পুঁজি নেই। তাই সড়কেই পণ্য নিয়ে বসেছি। এখানে বসার জন্যও অনেককে চাঁদা দিতে হয়।’

তিনি বলেন, ‘কেবল হকারদের কারণে নয়, মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কারণেও এই সড়কে যানজট হয়। কারণ এখানকার বেশির ভাগ মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গা নেই। মার্কেটে আসা গাড়িগুলো সড়কেই পার্কিং করা হয়। ফলে সব সময় যানজট লেগে থাকে।’

এই দুর্ভোগ লাঘবে ২০২১ সালে হকার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। ওই বছরের জানুয়ারিতে নগরভবন লাগোয়া লালগিঘির পাড়ের খোলা মাঠে হকারদের জন্য অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করে সিসিক। প্রাথমিক অবস্থায় নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১ হাজার ৭০ জন হকারকে পুনর্বাসন করা হয় ওই মার্কেটে। তবে দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ভেস্তে গেছে এই উদ্যোগ। সিসিক নির্মিত অস্থায়ী মার্কেটে আর বসেন না হকাররা। উল্টো নগরের ফুটপাত ছাপিয়ে সড়কেরও বহুলাংশ দখল করে রেখেছেন তারা। ফলে দিনভর নগরে লেগে থাকে যানজট।

নগর ঘুরে দেখা গেছে, নগরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, লামাবাজার, সোবহানীঘাট, উপশহর, শিবগঞ্জ, মদিনা মার্কেট, সুদিবাজার এলাকায় সবচেয়ে বেশি যানজট হয়। এসব এলাকায় দিনভর যানজট লেগে থাকে।

নগরবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, সড়ক হকারদের দখলে চলে যাওয়া, সড়কের ওপরে গাড়ি পার্কিং, বেশির ভাগ বিপণি বিতানের পার্কিং প্লেস না থাকা এবং সড়কে চলা সংস্কার কাজের কারণেই নগরে যানজট এমন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ ছাড়া স্কুল-কলেজ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে যানজট লেগে যায়।

ব্যাংক কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘পাঁচ বছর আগেও সিলেটে এমন যানজট ছিল না। গত কয়েক বছরে সিলেটে যানজট অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। পুরো ট্রাফিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।’

তিনি বলেন, এই সময়ে সিলেটের সড়কগুলো অনেক প্রশস্ত করা হয়েছে, কিন্তু তাতে যানজট না কমে আরও বেড়েছে। এখনই যানজট নিরসনে পরিকল্পনা গ্রহণ না করলে সিলেট স্থবির হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

নগরে হকারদের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে হকারদের অবস্থান নিয়ে সমালোচনা চলছে। বিষয়টা আমাদেরও দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এ নিয়ে আমরা কাজ করতে শুরু করেছি। হকার নেতাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। বিষয়টির সঙ্গে অনেক কিছু জড়িয়ে আছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে নাগরিক জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা, রাজপথে হকার থাকার কারণে যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ আগামী এক মাসের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে। সিলেটের রাজপথ অবশ্যই হকারমুক্ত করতে বা রাখতে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবকিছু করা হবে।’

এ ব্যাপারে সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহাব বলেন, হকার উচ্ছেদ, ফুটপাত দখলমুক্ত করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। হকারদের আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে উচ্ছেদ করেও লাভ হবে না। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি বলেন, ‘নগর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ ও যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ এবং সড়ক থেকে হকারদের সরাতে পারলে যানজট অনেকটা কমে আসবে। এ জন্য জনগণকেও সচেতন হতে হবে।’


টিফিনের টাকায় গাছের চারা বিতরণ শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ০১:১৭
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদক ও সামাজিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে ৫শত শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৩ আগষ্ট) উপজেলার রায়পুর কৈলাশ চন্দ্র রায় চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ।
সংগঠনের সদস্যদের এক দিনের টিফিনের জমানো টাকায় গাছের চারা কিনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনন্দের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী।
এসময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ ভূইয়ার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোমেন ভূইয়া, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা সফিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তালুকদার, সাংবাদিক লিটন সরকার বাদল, সাংবাদিক আলমগীর হোসেন, প্রভাষক রতন চন্দ্র দেবনাথ, সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আশরাফ উদ্দিন নিলয়, আনসার ভিডিপি কুমিল্লা রেঞ্জ (মেডিকেল অফিসার) ডাঃ রবিউল হোসেন পাটোয়ারী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন দেবিদ্বার শাখার সভাপতি ইয়াছিন মুন্সী, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ হোসাইন, দাউদকান্দি শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, অর্থ সম্পাদক মেহেদী হাসান মারুফ, রাব্বি ভূইয়া প্রমুখ।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল জানান, সংগঠনটির সব সদস্যই শিক্ষার্থী। তারা সারাদেশে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে গাছের চারা বিতরণ করছে। এবছর তাদের লক্ষ্য ৫০ হাজার গাছের চারা বিতরণ। শিক্ষার্থীদের গাছের চারা হাতে নিয়ে মাদক, বাল্যবিয়ে ও সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার বার্তা দেন সংগঠনের সদস্যরা। এসময় বিদ্যালয়ের ৫০০ শিক্ষার্থী গাছের চারা হাতে নিয়ে সবুজ উৎসবে মেতে উঠেন।


ভারতে আটক ৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান রমি, জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার কয়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে একই পরিবারের ৫ সদস্যকে ফেরত পাঠালো ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যরা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কয়া সীমান্তের ২৭১/৫৪ পিলার এলাকায় বাংলাদেশি এসব নাগরিকদের বিজিবির হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।
দেশে ফেরত আসা ব্যাক্তিরা হলেন, খুলনা সদর উপজেলার দক্ষিণ টুটপাড়া গ্রামের পরান মোড়লের ছেলে মুরাদ মোড়ল, মুরাদের স্ত্রী সাগরিকা বেগম, মুরাদের দুই ছেলে রমজান মোড়ল ও মুসকান মোড়ল এবং মেয়ে আমেনা মোড়ল।
জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের (২০ বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আরিফুরদৌলা জানান, গত ১২ আগস্ট রাতে জয়পুরহাট ২০ বিজিবির কয়া বিওপির বিপরীতে ভারতের বালুপাড়া এলাকায় সীমান্ত পিলার ২৮২/৪৩-এস থেকে প্রায় ৮শ গজ ভেতরে ওই ৫ জনকে আটক করে বিএসএফ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানান, ২০২০ সালে ভারতের কেরালা রাজ্যের এন্নাকুলাম নামক স্থানে একটি ভাংগাড়ি দোকানে দিন মজুরের কাজ করতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরার পথে বিএসএফ তাদের আটক করে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, বিজিবি নারী-পুরুষ, শিশু সহ ৫ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে।তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা জানায়, ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে আসার সময় বিএসএফ তাদের আটক করে বিজিবির হাতে তুলে দেয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের নিকট তাদেরকে হস্তান্তর করা হবে।


ইবিতে মীর মুগ্ধ সরোবরে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মীর মুগ্ধ সরোবর ঘিরে পূবালী ব্যাংকের উদ্যােগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে পূবালী ব্যাংক পিএলসি কুষ্টিয়া শাখার উদ্যোগে এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আওতায় নারকেল, মৌচন্দ্রা, রঙ্গন, চেরি, পবনঝাউ, রাধাচূড়া, চন্দ্রপ্রভা ইত্যাদি গাছের মোট ১৫০টি চারা রোপন করা হয়।

অফিস সূত্র, ব্যাংকিং কার্যক্রমের-সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সাদ্দাম হোসেন হলে টিভি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যাত্রী ছাউনি ও পানীয় সুব্যবস্থা করবে। একই সাথে আইটি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাবনা দিয়েছে বলে জানা যায়।

এসময় পূবালী ব্যাংক পিএলসি’র ফরিদপুর অঞ্চলপ্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া শাখার প্রধান মো. ইসমাইল হাওলাদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রকাশনা ও জনসংযোগ অফিসের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাহেদ হাসান, ইবি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) গোলাম মাহফুজ মঞ্জু, ব্যাংকের কুষ্টিয়া শাখার কর্মকর্তা নাজমুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


মাগুরায় সবুজ উৎসব -২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পদক প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় জুলাই পূনর্জাগরণে সবুজ উৎসবে বৃক্ষরোপন পদক-২০২৫ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার মাগুরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মাগুরা ও ‘পরিবর্তনে আমরাই’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সার্বিক মোঃ হুসাইন শওকত প্রধান অতিথি হিসেবে সবুজ উৎসব-২০২৫ এর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোঃ অহিদুল ইসলাম । এ সময় আরও ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক )আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মাহবুবুল হক,জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার শামীম কবির, মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার হাসিবুল হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন, মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ও 'পরিবর্তনে আমরাই ' সংগঠনের পরিচসলক নাহিদুর রহমান দুর্জয় প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে সাতটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রদান করা হয়। সেরা প্রতিষ্ঠান সরকারি সিভিল সার্জন অফিস, সেরা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি মাগুরা প্রেস ক্লাব, সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক) কুমার কোটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান( মাধ্যমিক) আড়পাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সেরা সংগঠন প্রতিশ্রুতি উন্নয়ন সংস্থা,ব্যক্তি পর্যায়ে সেরা বৃক্ষপ্রেমী আশীষ কুমার দে মন্ডল ও সেরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন কে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

এ অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা।


মাদরাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. আল- আমিন, ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও শিক্ষক মাওলানা জসিম উদ্দিন (৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ আগস্ট) অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, লম্পট ওই নারীলোভী শিক্ষক উপজেলার রঘুনাথপুর মধ‍্যেপাড়া এলাকায় রঘুনাথপুর জামিয়া খাদিজাতুল কুবরা (রাঃ) মহিলা মাদ্রাসা নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সেখানে মেয়েদের ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বুজিয়ে অভিভাবকদের আকৃষ্ট করে তার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় মেয়েকে ভর্তি নেন।

এমতাবস্থায় মাদরাসা আসা যাওয়ার পথে একা পেলেই ওই শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেন মাওলানা জসিম উদ্দিন। পরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে চাকুরি নেওয়া আরেক নারীর সহায়তায় ওই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় মাদরাসার অফিস কক্ষে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসেন।

স্থানীয়রা জানান, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিকবার যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠে, যা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। তবে এবার ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন ও তার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন।

ফুলবাড়িয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রুকনুজ্জামান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


স্বাধীনতা পুরষ্কার প্রাপ্ত অধ্যাপক যতিন সরকার আর নেই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এ বি চৌধুরী নাদিম, নেত্রকোনা প্রতিনিধি

স্বাধীনতা ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত অধ্যাপক যতীন সরকার মারা গেছেন। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৩টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। যতীন সরকার (৯৯) দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন এর মধ্যে গত জুন মাসে পড়ে গিয়ে উরুর হাড়ে আঘাত পান পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।গত সপ্তাহে ময়মনসিংহে নেয়ার পর সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। যতীন সরকার দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ছিলেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তার মরদেহ উদীচীর ময়মনসিংহ কার্যালয়ে নেয়া হবে। তবে শেষকৃত্যের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সিপিবির ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক মিল্লাত। প্রসঙ্গত,যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোণার কেন্দুয়ার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজের বাংলা বিভাগের সাবেক এই শিক্ষক সুদীর্ঘকাল ধরে মননশীল সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। লেখক হিসেবে যতীন সরকার ২০১০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ২০০৭ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পদক, ২০০৫ সালে পাকিস্তানের জন্ম-মৃত্যু দর্শন গ্রন্থের জন্য প্রথম আলো বর্ষসেরা গ্রন্থপুরস্কার,ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, মনিরুদ্দীন ইউসুফ সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেন।

৪২ বছরের বেশি সময় শিক্ষকতা পেশায় থেকে ২০০২ সালে অবসর গ্রহণের পর যতীন সরকার স্ত্রী কানন সরকারকে নিয়ে শিকড়ের টানে চলে যান নিজ জেলা নেত্রকোণায়। তার প্রথম গ্রন্থ সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় বাংলাদেশের কবিগান বাঙালির সমাজ তান্ত্রিক ঐতিহ্য সংস্কৃতির সংগ্রাম মানবমন,মানবধর্ম ও সমাজবিপ্লব। এ প্রবন্ধ গ্রন্থগুলোর পাশাপাশি শিশুদের জন্য সুপাঠ্য একটি ব্যাকরণ গ্রন্থও রচনা করেন তিনি। বাংলা একাডেমি থেকে ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত গল্পে গল্পে ব্যাকরণ’ বাংলাদেশের শিশুসাহিত্যে এবং ব্যাকরণ গ্রন্থের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন। বাংলা একাডেমির জীবনী গ্রন্থমালার মধ্যে চারটি গ্রন্থ রচনা করেন তিনি। যথাক্রমে-কেদারনাথ মজুমদার চন্দ্রকুমার দেহরিচরণ আচার্য সিরাজউদ্দিন কাসিমপুরী। তার সম্পাদিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের সোনার তরী প্রসঙ্গ মৌলবাদ ও জালাল গীতিকা সমগ্র। এ ছাড়া তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আরও রয়েছে পাকিস্তানের জন্মমৃত্যু দর্শন দ্বিজাতিতত্ত্ব, নিয়তিবাদ ও বিজ্ঞান-চেতনা সংস্কৃতি ও বুদ্ধিজীবী সমাচার সাহিত্য নিয়ে নানাকথা।


কুমিল্লা মহানগরের অধিকাংশ সড়কই যেন একেকটি মরণফাঁদ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা দক্ষিণ

কুমিল্লা নগরীতে প্রবেশ পথের প্রধান সড়কগুলো যেন এখন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। কান্দিরপাড়-আলেখারচর, টমছমব্রিজ-বাখরাবাদ, কান্দিরপাড়-ধর্মপুর এবং টমছমব্রিজ-কোটবাড়ি,

সড়কে জায়গায় জায়গায় বিশাল গর্ত, উঠে যাওয়া কার্পেটিং, ভাঙাচোরা পিচ ও জলাবদ্ধতা জনদুর্ভোগের নতুন নাম হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা ও ভারী যানবাহন এসব ঝুঁকিপূর্ণ পথে চলাচল করছে চরম ঝুঁকি নিয়ে। বৃষ্টির পানিতে গর্ত ঢেকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর এমন করুণ দশা কর্তৃপক্ষের অবহেলারই প্রমাণ। দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন জনসাধারণ। যদিও বর্ষার দোহাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সড়কগুলোর সংস্কার নিয়ে দায়সারা কথা বলছেন।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে আলেখারচর বিশ্বরোডের অন্তত এক কিলোমিটার জুড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত, উঠে যাওয়া পিচ ঢালাই, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথর সব মিলিয়ে সড়ক নয়, যেন মরণফাঁদে রূপ নিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গণপরিবহনের চালক ও যাত্রীরা। মাঝেমধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও। অথচ এই সড়কটি নগরের অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক। এখানে রয়েছে কুমিল্লা নগরের বৃহত্তম বাসস্ট্যান্ড 'শাসনগাছা বাস স্ট্যান্ড'। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রায় হাজার হাজার মানুষের চলাচল৷

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, কুমিল্লা নগরে প্রবেশের অন্যতম এই ব্যস্ত সড়কটির কথা ভুলেই গিয়েছেন প্রশাসন। দীর্ঘদিন ধরে এই গর্তগুলো সড়কে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনার সৃষ্টি করছে। এক সময় গর্তগুলো ছোট ছোট থাকলেও এখন সেগুলো বড় হয়ে রূপ নিয়েছে ভয়ংকর।

দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সড়কের সর্বত্র সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। বর্ষার পানিতে সেই ক্ষত আরও বেড়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। পানিতে গর্তগুলো ঢেকে যাওয়ায় না বুঝে গাড়ি সেখান দিয়ে চলাচল করলেই ঘটে দূর্ঘটনা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে কুমিল্লা নগরী থেকে শহরতলীর শাসনগাছা হয়ে দুর্গাপুর এলাকার দিঘীরপাড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারটির প্রবেশমুখেই সড়কের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্তই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা,

দুরবস্থার কারণে চালকরা গর্ত এড়িয়ে এঁকেবেঁকে গাড়ি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন। এছাড়াও, গর্ত থাকায় হেলে দুলে চলছে গাড়িগুলো। এতে গাড়ির ভিতরে থাকা যাত্রীরা পোহাচ্ছেন ভোগান্তি। রোগী বহনের ক্ষেত্রেও এই সড়ক প্রায় অচল। অথচ এটি কুমিল্লার উত্তরাঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষের অন্যতম যোগাযোগপথ।

এই সড়কের সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পাসপোর্ট অফিস পার হয়ে ওষুধ মার্কেট এলাকা, শাসনগাছা ফ্লাইওভারের দুই পাশে, দুর্গাপুর দিঘিরপার বাজার ও আলেখারচর এলাকায়। প্রতিদিন গড়ে এক হাজারের বেশি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, শত শত বাস, ট্রাক, পণ্যবাহী গাড়ি ও তেলের লরি এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

যাত্রীদের অভিযোগ, এত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়ায় বর্ষায় তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে কর্মজীবীদের কর্মস্থলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এই সড়ক দিয়ে চলাচলে ভোগান্তির শিকার হওয়া অন্তত পাঁচজন পথচারী ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, বড় যানবাহন কষ্ট করে চললেও অটোরিকশা নিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব। অধিকাংশ সময় অটোরিকশা হেলে পড়ে, এতে যাত্রীরা আহত হন। কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। মালামাল নিয়ে যাতায়াত এখন অনেকটাই অসম্ভব। এগুলো দেখার কি কেউ নেই?

স্থানীয়দের দাবি, যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত সড়কটির সংস্কার করা। টমসমব্রীজ-বাখরাবাদ সড়ক। বড় বড় গর্তে জমে থাকা পানি দেখে মনে হয় সড়ক নয়, যেন জলাশয়। প্রতিদিন অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী যান, পোশাককর্মী ও শিক্ষার্থী এ পথে চলাচল করেন। পথে রয়েছে ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইপিজেড, পিবিআই, সদর উপজেলা পরিষদ, বাখরাবাদ গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড,সহ বহু সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এই সড়ককে নগরীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও বলা চলে।

এই সড়কে কাজ শুরু হয়েছে এমন আশার দৃশ্য সিটি কর্পোরেশন থেকে দেখানো হলেও বর্ষার দোহাই দিয়ে সেটিও বন্ধ হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। এতে খানাখন্দ যেন আরো বেড়ে গিয়েছে। যদিও সিটি কর্পোরেশন বলছে আগের তুলনায় এই সড়ক অনেক বেশি চলাচল উপযোগী হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।

বুধবার সকালে সরেজমিনে এই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল এন্ড কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে ইপিজেড ১ নং গেইট পর্যন্ত সড়ক যেন দাঁড়িয়েছে মরণফাঁদ হয়ে। এই সড়ক দিয়ে গাড়িগুলো চলছে একপ্রকার বাধ্য হয়ে। বড় বড় গর্তে পড়ে মাঝে মাঝে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ির ইঞ্জিন। এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এছাড়াও রোগীবাহী এম্বুলেন্স সাইরেন বাজিয়েও সঠিক সময়ে রোগী নিয়ে পৌঁছাতে পারেন না মেডিকেলের জরুরী বিভাগের সামনে। এতে অনেক সময় রোগীর জীবনের ঝুঁকির কারণও হয়ে দাঁড়ায়।

টমসমব্রীজ-মেডিকেল সড়কে প্রতিদিন চলাচল করা অন্তত ১০ জন যাত্রী এই বলেন, এই সড়কে রোগী নিয়ে গেলে গর্তে ধাক্কা খেয়ে অনেক সময় রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। বৃষ্টির সময় তো গর্ত দেখা যায় না, তখন দুর্ঘটনার ঝুঁকি দ্বিগুণ। পানি ময়লা, আবার সড়ক পিচ্ছিল। এতে যাত্রীদের অনেক সময় পড়ে যাওয়ারও ভয় থাকে। এই সড়ক দিয়ে মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে রোগী আসলে রোগীর সাথে যারা আসে তারাও অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত এই সড়ক পূর্ণাঙ্গ সংস্কার প্রয়োজন।

হেলে দুলে গাড়ি চলছে নগরীর কান্দিরপাড়-ধর্মপুর সড়কে

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে ভোগান্তী চরমে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে রাণীর বাজার হয়ে ধর্মপুর সড়ক। নগর বাসীর দাবি দ্রুত সড়ক গুলো মেরামত করা হোক, এবং অবৈধ দখল, পার্কিং,অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে স্বস্তি দেওয়া হোক।


দুর্নীতির আখড়া রাণীনগরের মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস

আপডেটেড ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২২:১৫
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তাসহ অফিসে কর্মরতদের চাহিদা মত ঘুষ দিলেই হয় সব কাজ, না দিলেই হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের।

সরেজমিন অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সেবাপ্রত্যাশীদের অভিযোগ- ঘুস বাণিজ্যে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা, প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ। তারা তিনজন জন মিলেমিশে এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে যেন ঘুসের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার কাশিমপুর ও মিরাট ইউনিয়নের ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছিল একটি কাশিমপুরে। ভূমিসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে প্রত্যন্ত এলাকা মিরাট ইউনিয়নের জন্য গত প্রায় সাত মাস আগে মিরাট ইউনিয়নের হামিদপুর বাজার এলাকায় নতুন করে মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস করা হয়। ওই ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন দুরুল হুদা। আর প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ।

অভিযোগ উঠেছে খাজনার অনুমোদন, খাজনার চেক করে দিতে, খারিজের প্রতিবেদন-প্রস্তাব, হোল্ডিং এন্ট্রিসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন দিতে দুই হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার, ২০ হাজার, এমনকি লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা। সেবাপ্রত্যাশীরা তাকে চাহিদা মত ঘুস দিলেই মিলে কাজ, না দিলেই সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানিতে পরতে হয়। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অফিসে দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ। তার মদদে অফিসের স্টাফদের মতো দুইজন দালাল থাকেন সব সময় অফিসে। দালালদের মধ্যস্ততায় সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকেও হাজার হাজার টাকা ঘুষ হাতিয়ে নেন তারা।

অফিসের প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগের বিরুদ্ধেও যেন অভিযোগের শেষ নেই। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ- জায়গা-জমির খারিজ (নামজারী) করিয়ে দিতে তারা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে ৭ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নেন। খারিজের জন্য কেউ ঘুষ দিয়েও ঘুরছে দিনের পর দিন। আবার নিয়ম না থাকলেও টাকার বিনিময়ে তারা দু’জন গোপনে দেন প্রস্তাবিত খতিয়ান। খারিজ শেষে কেউ হোল্ডিং খুলতে গেলে বা কেউ খাজনা দিতে গেলে সেবাপ্রত্যাশীদের মাসের পর মাস হয়রানি করেন। পরে তাদের কব্জায় ফেলে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুস ও পিওন সোহাগ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে দেন।

উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের ধনপাড়া গ্রামের মোছা. মেঘনা নামে ভুক্তভোগী এক নারী জানান, জমি খারিজের পর খাজনা দেওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। কিন্তু অফিসের নায়েব অনুমোদন দেননি। আবার আবেদন করেছি। প্রায় ৬ মাস ধরে অফিসে ঘুরছি। অফিসের পিওন সোহাগের কাছেও ঘুরেছি। এখনো অনুমোদন মেলেনি, খাজনাও দিতে পারিনি।

জালালাবাদ গ্রামের রায়হান রাফু জানান, আমাদের একটি জমির খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ মিসকেস করেছে। এই মিসকেস থেকে কিভাবে উদ্ধার হওয়া যায় সেজন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েবের কাছে যাই। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও তার সাথে থাকা একজন দালাল আমাদের জমির সকল সম্যসা সমাধান করে দেওয়ার জন্য টাকা দাবি করেন। পরে তারা দুইজন মিয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর নায়েব দুরুল হুদা ও দালাল বলে এই সাম্যান্য টাকা দিয়ে কাজ হবে না। পরে তারা দুইজন আমাদের সাথে ৯৭ হাজার টাকা চুক্তি করেন। কয়েক ধাপে নায়েব ও তার দালাল ৯৭ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই কাজের কোন সমাধান হয়নি বা নায়েব আমাদের টাকাও ফেরত দিচ্ছেনা। তার পিছনে তিন মাস ধরে ঘুরছি। আমি এর প্রতিকার চাই।

পার্শবতী মান্দা উপজেলার তুরুকবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে নায়েবের কাছে গেলে তার একজন দালাল আমার কাছ থেকে জমির কাগজপত্র নিয়ে নেয়। পরে কিজানি ইন্টি করতে হবে এজন্য ২ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানায়। আমি তাদের চাহিদামত টাকা দিইনি তাই খাজনা দেওয়া হয়নি। এছাড়া চলতি বছরে আমার কয়েক দাগে জমির খারিজ করে নিয়েছি। সেই খাজিরের ৪৬ শতাংশ জমির খাজনা দিতে অফিসে গেলে নায়েব দুরুল হুদা আমার কাছে ৩১ হাজার ৮১৮ টাকা দাবি করেন। সেই টাকা তাকে না দেওয়ায় আর খাজনা দেওয়া হয়নি। পরে নায়েবের কাছে আবার গেলে তিনি আমার জমির হোল্ডিং বের করে জমির নানা সমস্য তুলে ধরেন। এরপর টাকা না পেয়ে হোল্ডিংয়ে লাল কালির চিহ্ন দিয়ে দেয়।

হরিশপুর গ্রামের সোলাইমান জানান, আমার ৪৫ শতাংশ জমির খাজনা দেওয়ার জন্য পিওন সোহাগ খাজনার চেক করে দিবে বলে ১৩ হাজার টাকা দাবি করেন। সেইদিন চাহিদামত টাকা দিইনি দেখে খাজনা করে দেননি।

মিরাট উত্তরপাড়া গ্রামের ফাহাদ জানান, জমির খাজনা দিতে মিরাট ভূমি অফিসে গেলে অফিসের কুদ্দুস ও সোহাগ ১০ হাজার টাকা চায়। এরপর তারা আমাকে বেশ কয়েকদিন ঘুরিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাত্র ৭৭২ টাকার খাজনার চেক করে দিয়েছে।

মিরাট গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী ছাত্তার জানান, আমার তিন দলিলে ৮ শতাংশ জমি খারিজের জন্য অফিসের সোহাগ প্রথমে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে ৭ হাজার টাকা নিয়ে বেশ কয়েক মাস ঘুরিয়ে খারিজ করে দিয়েছে। এখন হোল্ডিং খোলার জন্য অফিসে ঘুরতে হচ্ছে। হয়রানির কথা জানালেন ফজলু সরদার ও মজনু সরদার দুই ভাই। তারা কয়েক মাস আগে পৃথক দলিলে ৬ শতাংশ জমির খারিজের জন্য সোহাগের হাতে ঘুষ দিয়েছিলেন ৫ হাজার টাকা। কাজ হওয়ার পর চুক্তি অনুযায়ী আরও ৭ হাজার টাকা দেওয়ার কথা আছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ঘুরেও কোন সমাধান পাচ্ছে না অসহায় ওই দুই ভাই।

স্থানীয় ইয়াকুব নামের এক লোকের কাছে প্রস্তাবিত খতিয়ান দিয়ে দুই হাজার দুইশ’ টাকা ঘুষ নিয়েছে কুদ্দুস ও সোহাগ। ইয়াকুব জানালেন, কুদ্দুস ও সোহাগ দুজনেই খুব খাইখোর। তারা ঘুষ ছাড়া কিছুই বোঝে না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য মিরাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুরুল হুদা কথা বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকদের সাথে আমি কোন কথা বলবো না।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে প্রসেস সার্ভার কুদ্দুসের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পিওন সোহাগও ফোন রিসিভ করেনি।

এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, বিষয়গুলো আমার জানা নেই। কেউ কোন মৌখিক বা লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে যদি কোন অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


অভাব অসুস্থতা আর-ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যা করলেন মা-মেয়ে

আপডেটেড ১৩ আগস্ট, ২০২৫ ২০:০৮
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

স্বামী নেই। তিন মেয়ের মধ্যে দুজনের বিয়ে হয়েছে। অসুস্থ হয়েও সংসার চালাতে চাকরি নেন একটি মিলে। তবে সংসারে অভাব দূর করতে পারেন নি। অসুস্থতা অভাব আর ঋণে জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় নমিতা রানী পাল (৪২) ও তার মেয়ে তন্বী রানী পাল(১৮)।

বুধবার সকাল ৯ টায় হৃদয়বিদারক এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, মৃত জীবন চন্দ্র পালের স্ত্রী নমিতা রাণি পালের তিন মেয়ে ছিল। এর মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট মেয়ে তন্বী এখনও অবিবাহিত ছিল। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন নমিতা রাণি, যিনি স্থানীয় দেবপুর স্পিনিং মিলে চাকরি করতেন। তবে গত দুই মাস ধরে অসুস্থ থাকায় কাজে যেতে পারছিলেন না। এতে পরিবারের আয় বন্ধ হয়ে যায় এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় খরচ মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। এ ছাড়া বিভিন্ন এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে না পেরে তারা চরম মানসিক চাপে ছিলেন।

বুধবার সকালে মা ও মেয়ে দুজনেই বিষপান করেন। প্রতিবেশীরা দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল্লাহ প্রধান বলেন, “খবর পেয়ে বেলা আড়াইটায় আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করি।”

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক আরো জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।


স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ৩৫ হাজার মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাজ্জাদ হোসেন শিমুল, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

মুরাদনগর উপজেলার শ্রীকাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রে একজনও নেই জনবল। সৃষ্ট ৬ টি পদ থাকলেও সবকয়টি পদই শূন্য। জনবলের অভাবে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই ভঙ্গুর দশা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি জনবল নিয়োগ দিয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হউক।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শ্রীকাইল ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রটি বন্ধ। নেই কোনো চিকিৎসক। রোগী এসে ফেরত চলে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনেই মলমূত্র ত্যাগ করছেন মানুষ। প্রস্রাব ও আবর্জনার তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশে। রেগীরা সুস্থ হতে এসে আরো বেশি অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন।

শ্রীকাইল ইউনিয়নের ভূতাইল গ্রামের সুজন মুন্সি (২৮) বলেন, প্রতিদিন শতো শতো রোগী এসে চিকিৎসা সেবা না পেয়ে ফেরত যায়। এদের মধ্যে বেশিরভাগ রোগী খুবই দরিদ্র। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার নাই। বাউন্ডারি নাই। দুটি ভবন পুরোপুরি পরিত্যাক্ত। চারদিকে খোলা মেলা ও ঝোপঝাড় থাকায় এটি এখন জনসাধারণের নিরাপদ প্রস্রাব কেন্দ্র।

তৃণমূলের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতলটি চালু করা খুবই জরুরি।

স্বাস্য কেন্দ্রের পাশের বাড়ীর তাজুল ইসলাম (৬০) জানান, যেকোনো রোগের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শ্রীকাইল স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রই একমাত্র ভরসা। শ্রীকাইল থেকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। জেলার দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা কিংবা জেলায় পৌঁছানোর আগে মৃত্যুর কোলে ঢলে যায়।

সোনাকান্দা বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মফিজুল ইসলাম জানান, ১ নং শ্রীকাইল ইউনিয়নে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। ইউনিয়নবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে স্বাধীনতার পূর্বে শ্রীকাইলে দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি চালু করা হয়। সময়ের পরিবর্তনের সাথে নামেরও পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমান নাম ইউনিয়ন উপস্বাস্হ্য কেন্দ্র। চিকিৎসক না থাকায় কেন্দ্রটি প্রায়ই বন্ধ থাকে। একারণে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত থেকে হচ্ছে।

এদিকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের তিনটি ভবনই পরিত্যক্ত। ঝরাজীর্ণ একটি কক্ষে সপ্তাহে দুই দিন বসে রোগী দেখেন অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাজহারুল ইসলাম। তিনার কর্মস্থল রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র।

অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মাজহারুল ইসলাম জানান, রোগীর চাহিদা আছে। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। গড়ে প্রতিদিন ১'শ রোগী দেখা হয়। জনবলের অভাবে রোগীরা এসে ফিরে যায়। সরকার নতুন করে সৃষ্ট পদসমূহে জনবল দিলে স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়াও অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন।

মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি জনবল শূণ্য হওয়ায় চিকিৎসা সেবা ব্যবহত হচ্ছে। আমরা চাহিদা দিয়ে রাখছি। নিয়োগ হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


৬ ঘন্টা ঢাকা-উত্তরবঙ্গ রেলপথ আটকে দিয়েছিলো রবীন্দ্র শিক্ষার্থীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে দির্ঘ ৬ ঘন্টা ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কের পর এবার উত্তরবঙ্গের রেলপথ আটকে দিয়েছিলো রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ আগষ্ট) সকাল ৯টায় জেলার উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় উত্তরাঞ্চলের রেলপথ আটকে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন তারা। টানা ৬ ঘন্টা আন্দোলনের পর বৃহস্পতিবার যমুনা সেতুর পশ্চিম পাড়ে মহা সড়ক ও রেলপথ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভকারীরা জানান, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে রোববার হাটিকুমরুল গোলচত্বরে এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। ওই দিন ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছিল। এরপরও সরকারের কোন পক্ষের ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। ৪৮ ঘণ্টা শেষ। আমাদের দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে উল্লাপাড়া স্টেশনে শিক্ষার্থীরা অবস্থন নিয়ে রেলপথ ব্লকেড করা হয়।

জাকারিয়া ও হৃদয়সহ একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ৮ বছরেও ক্যাম্পাস নির্মিত হয়নি, এটি দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এভাবে আর চলতে পারে না। আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাস চাই। ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না। এদিকে রেলপথ অবরোধ করায় উভয় প্রান্তে একাধিক ট্রেন আটকা পড়েছে।

উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে, চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে এবং ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে অবরোধের কারণে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আপাতত ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সাাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। দুই পাড়ে মোট ৫ টি ট্রেন আটকে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

উল্লাপাড়া রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার মনিরুল ইসলাম জানান, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ৩৯ মিনিটে, চিলাহাটি থেকে ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস সকাল ১১টা ২৮ মিনিটে এবং ঢাকাগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস দুপুর ১টা ৪৭ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। তবে অবরোধের কারণে ট্রেনের শিডিউলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। আপাতত ঢাকা-উত্তরবঙ্গের সাাথে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক তপন ঘোষ জানান, জামতৈল স্টেশনে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস লাহিড়ী মোহনপুর স্টেশনে আটকা পড়েছে। অন্যান্য স্টেশনেও আরও ট্রেন থাকতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।


১৫ দিন ধরে ডুবন্ত রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত সেতু, হতাশ পর্যটকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি প্রতিনিধি

টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় রাঙামাটির পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ ও জেলার আইকন খ্যাত ঝুলন্ত সেতুটি টানা ১৫ দিন ধরে পানির নিচে ডুবে রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেতুর উপর চলাচল নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক সেতুতে উঠতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরছেন।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশন জানিয়েছেন, গত ৩০ জুলাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে সেতুটি পানিতে তলিয়ে যায়। বুধবার (১৩ আগস্ট) পর্যন্ত সেতুর পাটাতন ৬ ইঞ্চি পানির নিচে রয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানি আরও ছাড়া হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সেতুটি পানির উপরে উঠে আসতে পারে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুতে পর্যটক কম থাকায় একপাশে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করে রাখা হয়েছে পর্যটন বোটগুলো। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন বোটচালকরা। তবে সেতুতে উঠতে না পারলেও অনেকে সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন এবং বোটে করে আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আগত পর্যটকরা।

রাজশাহী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক রুবিনা ও মাসুদ রানা বলেন, “অনেক দূর থেকে সেতু দেখতে এসেছি। কিন্তু উঠতে না পারায় খারাপ লাগছে। তবে রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে।”

চট্টগ্রাম থেকে আসা রাহুল বলেন, “ছবি ও টিভিতে দেখা এই সেতুটি দেখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় সম্ভব হলো না, যদিও এটা প্রাকৃতিক ঘটনা, তাই কিছু করার নেই।”

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হ্রদের পানি উচ্চতা ১০৭.০৭ ফুট মিনস সি লেভেল। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট সচল রয়েছে এবং সর্বোচ্চ ২২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ।

এ প্রসঙ্গে সিএইচটি ট্যুরিজম অ্যান্ড কালচার রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, “সেতুটি নির্মাণের সময় পানির উচ্চতা বিবেচনা না করায় বর্ষায় প্রতি বছরই ডুবে যায়। এতে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দীর্ঘদিনেও কোনো সংস্কার হয়নি। নতুন বা আধুনিক সেতু নির্মাণে পর্যটন করপোরেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ এগিয়ে আসা উচিত।”

পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক অলোক বিকাশ চাকমা বলেন, “সেতুটি ৪০ বছর আগে নির্মিত হয়েছে। আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য উন্নয়ন বোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন পেলে পর্যটকদের জন্য উন্নত মানের ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কাপ্তাই হ্রদের উপর এই আইকনিক ঝুলন্ত সেতু নির্মাণ করে, যা রাঙামাটির পর্যটনের অন্যতম প্রতীক।


লেবাননের প্রতি ‘সহায়তা’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার ইরানের নিরাপত্তা প্রধানের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ইরানের নিরাপত্তা প্রধান লেবাননের প্রতি ‘সহায়তা’ অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন। লেবাননের সরকার তেহরান-সমর্থিত গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা তৈরির জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়ার পর বুধবার লেবাননে ইরানের শীর্ষ নিরাপত্তা প্রধান এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

ইরানের নিরাপত্তা প্রধান বলেন, তার সরকার লেবাননের প্রতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।

বৈরুত থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের আগে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার সরকারি পরিকল্পনার বিরোধিতা প্রকাশ করার পর আলী লারিজানির লেবানন সফর। হিজবুল্লাহ গত বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধের আগে লেবাননের সেনাবাহিনীর চেয়ে ভালো অস্ত্রে সজ্জিত বলে মনে করা হত।

জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান লারিজানি বৈরুতে অবতরণের পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি লেবাননের জনগণ কষ্ট ভোগ করে, তাহলে আমরা ইরানেও এই যন্ত্রণা অনুভব করব এবং আমরা সকল পরিস্থিতিতে লেবাননের প্রিয় জনগণের পাশে থাকব’।

লারিজানিকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর সড়কে বহু হিজবুল্লাহ সমর্থক জড়ো হয়েছিল। লারিজানি যখন সমর্থনের স্লোগান দিচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদের স্বাগত জানাতে গাড়ি থেকে নেমে আসেন।

লেবাননে, লারিজানি প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন ও প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালামের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ সংসদ স্পিকার নাবিহ বেরির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।

ইসরাইলের সাথে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইরান একাধিক আঘাতের সম্মুখীন হয়েছে। যার মধ্যে গত জুন মাসে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের প্রকাশ্য যুদ্ধও অন্তর্ভুক্ত।

২০২৪ সালের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত নতুন লেবানন সরকার গোষ্ঠীটিকে আরো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।

হিজবুল্লাহ ইরানের তথাকথিত ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ গাজার হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীসহ এই অঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর একটি নেটওয়ার্কের অংশ, যারা ইসরাইলের বিরোধিতায় একত্রিত হয়েছিল।

ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, লেবাননের অস্ত্র সরবরাহের পথ বন্ধ করে দেয়। এটি দীর্ঘকাল ধরে ইরান ও হিজবুল্লাহর মধ্যে অস্ত্র সরবরাহের পথ হিসেবে কাজ করেছিল।


banner close