গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই উত্তরের বিভিন্ন জেলায় চলছে শৈত্যপ্রবাহ। সূর্যের দেখা নেই। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু জীবন। এ অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ঘোষণা আসে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে স্কুলগুলোতে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। তবে কখন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি থাকলে বন্ধ এবং সেটা কে, কখন প্রতিদিন স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানাবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সমন্বয়হীনতার কারণে একেক স্কুলে চলছে একেক অবস্থা। কোনো কোনো স্কুলে তীব্র শীত উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত হওয়ার পর ছুটি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিস্তারিত প্রতিবেদকদের পাঠানো প্রতিবেদনে।
রংপুরে তিন দিন প্রাথমিক স্কুলের কার্যক্রম বন্ধঃ
তীব্র শীতের কারণে রংপুর জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম তিন দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বিভাগীয় উপপরিচালকের কার্যালয়, প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগ।
গতকাল সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ভোর ৬টায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের চিঠি মোতাবেক এবং বিভাগীয় উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, রংপুর বিভাগের পরামর্শক্রমে রংপুর জেলায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের জন্য সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ ঘোষণা দেরিতে জানতে পারায় গতকাল তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। পরে সাংবাদিক ও অন্য সহকর্মীদের মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সকালেই উপপরিচালক স্যারের ম্যাসেজ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপে দিয়ে দিয়েছি। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এই ম্যাসেজ দেরিতে দেখে। যে কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে আগে থেকেই অ্যালার্ট করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বিষয়গুলো দেখছি গুরুত্বসহকারে।’
একই কথা জানান প্রাথমিক শিক্ষা রংপুর বিভাগের বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, সবাইকে হোয়াটসআ্যাপ গ্রুপে সজাগ থাকার জন্য বলা হয়েছে। প্রথম দিনের জন্য এ পরিস্থিতি হয়েছে, পরবর্তী সময়ে এমন হবে না।
আজ পাবনার সব মাধ্যমিক ও প্রাথমিক স্কুল বন্ধঃ
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় আজ মঙ্গলবার পাবনা জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১৩৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৫২৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সোমবার বিকেলে পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ঈশ্বরদীতে সোমবার বন্ধ ছিল স্কুলঃ
এদিকে গতকাল সোমবার ঈশ্বরদীতে সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ছিল। গত রোববার রাতে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবির কুমার দাস এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গতকাল সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি শীত মৌসুমে এটিই ঈশ্বরদীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
জয়পুরহাটে আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে স্কুলঃ
শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জয়পুরহাট জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান আরও দুই দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসন এ ঘোষণা দেয়।
ফলে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার প্রাথমিকের একাডেমিক কার্যক্রম ও মাধ্যমিকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এর আগে রবি ও সোমবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল।
জয়পুরহাট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আমান উদ্দিন মণ্ডল বলেন, জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকায় গতকাল রোববার আজ সোমবার মাধ্যমিক পর্যায়ের সব বিদ্যালয় ছুটি ছিল। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে থাকবে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসক স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে আগামীকাল মঙ্গলবার ও পরদিন বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ১৫৬টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ১১২টি মাদরাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। সব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ছুটির কথা জানানো হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই দুই দিন খোলা থাকলেও পাঠদান বন্ধ থাকবে।
কুড়িগ্রাম জেলায় দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ ছিল স্কুলঃ
কুড়িগ্রাম জেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। জেলার তাপমাত্রা গতকাল সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
লালমনিরহাটে দুই দিনের জন্য স্কুল বন্ধ ঘোষণাঃ
জেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামায় জেলার ৭৬৭টি সরকারি এবং ৩৯৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রায় ২০০টি সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার রায় চৌধুরী বলেন, ‘আবহাওয়ার ফোরকাস্ট বিবেচনায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল ও আজ মঙ্গলবার বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী সময় আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গতকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত লালমনিরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থা আরও দু-এক দিন বিরাজ করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
সুন্দরবনের সংলগ্ন নদী-খাল থেকে নিদারুণভাবে শামুক ও ঝিনুক সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, কিছু ক্ষেত্রে সীমান্তপথে পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের মতে, দিনে কিংবা গভীর রাতে ট্রলার ও নৌকা ব্যবহার করে নির্বিচারে এ আহরণ চলছে, যা বনভূমি ও নদীর তলদেশীয় পরিবেশের ভারসাম্য বিপন্ন করছে।
অবৈধ আহরণকারীদের অর্থের লোভে পরে প্রান্তিক জেলেদেরও এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় সূত্রে বলা হয়, কয়েকশো মণ শামুক একদিনে সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং তা সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সীমান্তপথে পাচার করা হচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ী এসব শামুক ১৫ টাকা দরে কিনে ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
পরিবেশবিদ ও গবেষকরা জানান, শামুক-ঝিনুক নদীর তলদেশের মাটির গুণগত মান বজায় রাখতে, মাটির উর্বরতা রক্ষায় এবং নদীতে বাস করা মাছের খাদ্য চক্র বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অধ্যাপক আশেক এলাহী ও গবেষক গৌরাঙ্গ নন্দীর মত অনুযায়ী, ব্যাপক হারে এ প্রাণীর নিধন হলে নদী জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ভয় রয়েছে। সুন্দরবনে আনুমানিক ২৬০ প্রজাতির প্রাণী রয়েছে- তাদের মধ্যে শামুক ও ঝিনুকের গুরুত্ব উল্লেখযোগ্য।
আইনি দিক থেকেও সমস্যা গুরুতর। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নদী, খাল ও প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে শামুক ও ঝিনুক কুড়িয়ে নেওয়া বা পরিবহন করা নিষিদ্ধ। এ ধরনের কার্যক্রম পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) ও জলজ সম্পদ সংরক্ষণ আইন, ১৯৫০-এর আওতায় অপরাধ হিসেবে দণ্ডনীয়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, সাতক্ষীরার রেঞ্জ—পশ্চিম সুন্দরবনের পশুরতলা খাল, কৈখালীর মাদার নদী ও জয়াখালীর খালসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে শামুক আহরণ হয়ে থাকে। আগাস্ট মাসের শুরুতে বন বিভাগের এক অভিযানে পার্ক সংলগ্ন মালঞ্চ নদী থেকে শামুক ও ঝিনুক ভর্তি নৌকা জব্দ করে মুন্সিগঞ্জ ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির সদস্য ও নৌপুলিশ। পরে কদমতলা স্টেশন থেকে উদ্ধার করা দশ বস্তা শামুক-ঝিনুক নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
শ্যামনগর উপজেলার পরিবেশকর্মী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু নৌকা জব্দ করলেই হবে না; চক্রের মূলহোতাদের সনাক্ত করে তাদের উৎসকে নির্ণয় করতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরী।’ সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এ কে এম ফজলুল হক বলেন, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে; শামুক-ঝিনুক সংগ্রহ ও পাচার নদী সংরক্ষণ আইন ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন—অভিযুক্তদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
ময়মনসিংহের সদর উপজেলা থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মোক্ষপুর ইউনিয়নের কইতর বাড়ি (খলাবাড়ি) এলাকায় আড়াই একর জমিতে বিদেশি রেড লেডি জাতের পেঁপে চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল ইসলাম। পেঁপের বাম্পার ফলন হাওয়ায় ত্রিশালের রফিক হয়েছেন আর্থিকভাবে লাভবান।
বিদেশি জাতের পেঁপে চাষের কিছু বিশেষ সুবিধা আছে, যা রফিককে সফল হতে সাহায্য করেছে। এই জাতের পেঁপের স্বাদ, রং এবং আকার ভালো হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি এবং দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়াও বিদেশি জাতের পেঁপেতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ কম, তাই ফলন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই। রফিক বলেন, পেঁপে চাষের সময় জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে পাশাপাশি চারা রোপণের আগে জমি ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে। তাহলেই জমিতে পেঁপের ভাল ফলন হবে।
ত্রিশাল উপজেলা কৃষি কমকর্তা তানিয়া রহমান বলেন, রফিকের বাগানে বাম্পার ফলন হয়েছে। এক একটি গাছে ৪০ কেজির মতো করে পেঁপে এসেছে। ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা লাভ হবে বলে জানিয়েছে রফিক। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা তার বাগানের নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারের বাদুরাগাছা গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শাহ গাজীকালুর চম্পাবতীর মাজার কমিটির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সোমবার সকালে মাজার প্রাঙ্গণে মাজার কমিটি আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান।
সে সময় কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, একটি মহল সম্প্রতি মাজারের কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। যার কোনো ভিত্তি বা প্রমাণ নেয়।
কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিবছর মাজারে দুটি বড় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। একটি ফাল্গুন মাসে, অন্যটি ভাদ্র মাসে। সর্বশেষ আয়োজিত মাহফিলে বিভিন্ন খাত থেকে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা বর্তমানে বারবাজার সোনালী ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়-এখানে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসলো কীভাবে?
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, বিগত ১৭ বছর ধরে যারা মাজার কমিটি পরিচালনা করেছেন, তারা কখনোই আর্থিক হিসাব দেননি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাবও খোলা হয়নি। অথচ বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কিশোরগঞ্জে পুলিশি বাঁধায় হেযবুত তাওহীদের গোলটেবিল বৈঠক পণ্ড হয়ে গেছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে শহরের একটি রেস্তোরাঁয় কনফারেন্স রুমে গোলটেবিল বৈঠক শুরু হওয়ার পর বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয় কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। পরে পুলিশের বাঁধার কারণে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়নি।
কেন্দ্র ঘোষিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারের প্রস্তাবনা- তওহীদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা’ শিরোনামে ওই বৈঠকের আয়োজন করেছিল সংগঠনের জেলা শাখা।
এ বৈঠক আয়োজনের কয়েক দিন আগে থেকেই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়।
সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুষ্ঠানে এসে ওই বৈঠকের অনুমতি নেই বলে বাঁধা দেন। ফলে হেযবুত তওহীদের নেতা–কর্মীরা বৈঠক করতে পারেননি। পরে সংগঠনের লিফলেট বিতরণ করে উপস্থিতিদের বিদায় দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ অনুষ্ঠান করার জন্য প্রশাসনের কাছ থেকে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া এগুলো করা ঠিক না। এ জন্য আমরা তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ করেছি।’
যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
আজ রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে স্বাক্ষর করেন যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেল, খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বি. এম. আব্দুল মোমিন। সেনাবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মামুন উর রশিদ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
প্রকল্পের আওতায় যশোর ও খুলনা অঞ্চলের হরিহর নদী (৩৫ কিমি), হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি), আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি), টেকা নদী (৭ কিমি) ও শ্রী নদী (১ কিমি)সহ মোট ৫টি নদীর ৮১.৫ কিমি পুনঃখনন করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩৯৯৮ দশমিক ১৯ লক্ষ টাকা। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সেনাবাহিনী “অর্পিত ক্রয়কার্য (Delegated Procurement)” পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
নদী খননের পাশাপাশি নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন, ড্রেজড মাটি সংরক্ষণ ও স্থানীয় জনগণের চলাচলের রাস্তা হিসেবে ব্যবহারযোগ্য করা হবে। পরিবেশবান্ধব পুনঃখনন নিশ্চিত করতে টার্ফিং ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে।
এ সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন, তদারকি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় পরিবর্তন আসবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম; সেনাবাহিনীর স্টাফ অফিসার-১ (পরিকল্পনা) লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ, পিএসসি; যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান।
নীলফামারীতে এস.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া ৭০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে জেলা পরিষদের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। সোমবার পরিষদের হলরুমে পাঁচ হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে এই অর্থ তুলে দেন জেলা পরিষদ প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, ‘আজকের (সোমবার) মেধাবীরাই আগামী দিনের সম্পদ। শুধু ফলাফলে নয়, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবেও গড়ে উঠতে হবে। জেলা পরিষদের এই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করবে। শিক্ষা খাতে সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় জানান, ‘শিক্ষাই জাতির অগ্রগতির মূল ভিত্তি। এ বৃত্তি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে। প্রতি বছরই মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো হবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে।’
ফেনীতে ১৫০ পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে সাজসজ্জা ও মণ্ডপ নির্মাণের কাজ।
ফেনীতে গত বছর ১৪৭টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন হলেও তা এবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর তিনটি বেড়ে ১৫০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, এ বছর কোনো পূজামণ্ডপকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে না, তবে সার্বিকভাবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি এ বছর দুর্গোৎসবের নিরাপত্তায় থাকবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে জানালেন পুলিশ সুপার।
এ বছর দুর্গাপূজায় মা দুর্গা হাতিতে চড়ে আসবেন এবং দোলায় করে গমন করবেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন উপলক্ষে প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ।
দুর্গাপূজায় পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করবে। মণ্ডপগুলোতে চলছে সাজসজ্জা ও প্রতিমা তৈরির কাজ। কোনো কোনো মন্দিরে দেখা যায় প্রতিমা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারি সহযোগিতা আগের তুলনায় বৃদ্ধির দাবিও জানিয়েছেন অনেকে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মন্দিরে সিসি ক্যামেরা সচল রাখা ও পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রাখতে বলা হয়েছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হলে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ফেনীতে ১৫০টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপ নেই। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে প্রতিটি পূজামণ্ডপে প্রশাসনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। দুর্গোৎসব সফল করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। মন্দির কমিটিগুলো সতর্ক করা হয়েছে।
ফেনী শহরে সবচেয়ে বড় ও বেশি প্রতিমা তৈরি হচ্ছে শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরে। প্রতিমা তৈরির কারিগর সুশীল পাল গত ৪০ বছর যাবত প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সুন্দর ও নিখুঁতভাবে সেরা প্রতিমা তৈরি করে থাকি। ভক্তরা খুবই পছন্দ করেন।
শ্রী শ্রী গুরুচক্র মন্দিরের পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শিফন চৌধুরী বলেন, এই মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে আমাদের কারিগররা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যাতে ভক্তদের মন জুড়িয়ে যায়।
শহরতলির বারাহীপুর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কুমার কর বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম- সবখানেই দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সবার মাঝে আনন্দ উৎসব পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, এবার অত্যন্ত সুন্দর ও আনন্দঘন পরিবেশে পূজা উদযাপন হবে।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হীরালাল চক্রবর্তী বলেন, সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ আনন্দ-উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এবারের পূজায় কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে- এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ উৎসবটি পালিত হবে- এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
ফেনী জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি শুক দেবনাথ তপন বলেন, সকল ধর্মের জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান- শারদীয় দুর্গোৎসবটি সুন্দর ও শান্তিশৃঙ্খলার মাধ্যমে পালনে সবাই যেন সহযোগিতা করেন। জেলার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতিও এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানাই।
হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে আমরা বারবার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতারা, সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ সবার সাথে বৈঠক করেছি। আমাদের প্রত্যাশা, এবার দুর্গাপূজা সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
ফেনী পুলিশ সুপার বলেন, নাশকতা ঠেকাতে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। দুর্গোৎসব ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, পূজার পূর্বেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মন্দিরগুলোতে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও মন্দিরের জায়গা-সংক্রান্ত বিরোধ দুর্গাপূজার আগেই সমাধান করতে হবে, তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে নীলফামারী জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হলেন প্রীতম সাহা। তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত রোববার জেলা প্রশাসন হলরুমে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এ সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
বাল্যবিবাহ, মাদক, অবৈধ বালু উত্তোলন ও অসাধু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বিশেষ অবদান রাখায় তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়। তিনি বিসিএস ৩৫তম ব্যাচের (প্রশাসন) ক্যাডার মেধাবী কর্মকর্তা। ২০২৫ সালের ০১ জুলাই তিনি কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তিনি নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে উপজেলাবাসীর কল্যাণে কাজ করে তাদের মনে জায়গা অর্জন করেছেন।
জানাগেছে এর আগে তিনি যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তিন বছর সঠিভাবে দায়িত্ব পালন করে জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা নির্বাচিত হয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার পান।
এরপর দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করে দিনাজপুর জেলার শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড নির্বাচিত হয়ে পুরস্কার পেয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে কৃষিতে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বলেন, যোগদানের পর থেকেই উপজেলাবাসীর সহযোগিতা পেয়েছি। জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তাগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষের ঐকান্তিক সহযোগিতায় প্রতিটি কাজ সহজ হয়েছে। এজন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে উপজেলাকে কিভাবে রোল মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেজন্য টিম গঠন করে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী দিনেও যেন এরকম আরও সাফল্য অর্জন করতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারে দৌলতপুরে লিফলেট বিতরণ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের বহড়া, বালিতা ও মুকন্দবাড়ি এলাকায় সাধারণ ভোটার ও মহিলাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন উপজেলা বিএনপি নেতারা।
উঠান বৈঠকে বক্তারা বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস.এ জিন্নাহ কবির দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে রাজপথে ছিলেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
বক্তারা আরও বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফায় মা-বোন, কৃষক-শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে জানান তারা। এসময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী, কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হোসেন নাসির, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মুজিবুর রহমান, সহসভাপতি বিল্লাল মাতাব্বর প্রমুখ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে এবার ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। যার মধ্যে ভিপি পদে ২৩ জন, জিএস পদে ২১ জন ও এজিএস পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বাকিরা অন্যান্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সোমবার সকালে চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চাকসু নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ করা তালিকায় এ তথ্য জানা যায়।
চাকসুর ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, চাকসু নির্বাচনে ভিপি, জিএস ও এজিএস ছাড়াও খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১ জন, সহ-খেলাধুলা ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১২ জন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৬ জন, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা পদে ১৬ জন, দফতর সম্পাদক পদে ১৮ জন, সহদপ্তর সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্রী কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদে ১২ জন, সহছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ১১ জন, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া গবেষণা ও উদ্ভাবনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৩ জন, সমাজসেবা ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৭ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৬ জন, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০ জন, সহযোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১৪ জন, আইন ও মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়াবিষয়ক ম্পাদক পদে ১৯ জন এবং নির্বাহী সদস্য পদে ৮০ জনসহ মোট ৪১২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
অন্যদিকে সইয়ের ভুল, তথ্যের অসংগতি থাকা ও অন্যান্য কারণে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা থেকে ১৯ জনকে বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন তারা।
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যের ভুলের জন্য ১৯ জনের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তবে তারা নির্বাচন কমিশনের কাছে সংশোধনের জন্য আপত্তি জানাতে পারবেন। আগামী ২৫ তারিখ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
গত ২৮ আগস্ট ঘোষিত হয় চাকসু নির্বাচন তফসিল। সে অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বও চাকসুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। বহুল আকাঙ্খিত চাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১২ অক্টোবর। সকাল নয়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কর্ণফুলী টানেলের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর হতে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ দিবাগত রাত ১১:০০টা হতে ভোর ০৫:০০টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী 'পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা' অথবা 'আনোয়ারা টু পতেঙ্গা' টিউবের ট্রাফিক ডাইভারসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানচলাচল অব্যাহত রাখা হবে। এসময় বিদ্যমান ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ০৫ (পাঁচ) হতে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) মিনিট টানেলের উভয়মুখে সম্মানিত যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকার প্রয়োজন হতে পারে। কর্ণফুলী টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে আপনার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম পিন্টু বলেছেন— বর্তমানে দেশের অবস্থা ভালো না, তাই যতদ্রুত সম্ভব নির্বাচন হওয়া উচিত। আমরা আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ মাঠে আয়োজিত উপজেলার ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পিআর প্রসঙ্গে সালাম পিন্টু বলেন— বাংলাদেশে যে অবস্থাতে নির্বাচন হয়ে আসছে সে অবস্থাতেই নির্বাচন হবে এবং জনগণ এ নির্বাচনের পক্ষ। এছাড়া দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বুঝেও না, তারা চিনেও না। মানুষ তার নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তাফা, সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু, পৌর শাখা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান রহমান গিয়াস, ইমাম ও খতিব শহীদুল ইসলাম আন্দিপুরী, মাজহারুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার ভক্ত রাসেল মোল্লা হত্যা মামলায় নুরাল পাগলার দরাবার থেকে গরু নিয়ে যাওয়ার দায়ে মো. সজিব শেখ (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত সজিব শেখ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া এলাকার উজ্জল শেখ এর ছেলে।
রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শরীফ আল রাজীব।
তিনি জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে ও পর্যালোচনা করে দেখা গেছে সজিব শেখ নুরাল পাগলার দরবার থেকে একটি গরু নিয়ে যাচ্ছে। ফুটেজের উপর ভিত্তি করে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে তাকে নুরাল পাগলার দরবারের ভক্ত রাসেলের পিতা আজাদ মোল্লার দায়ের করা মামলায় চুরি ও লুটের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সজিব শেখকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, যে গরুটি তিনি নিয়েছিলেন ৫-৭ দিন আগে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে গরুটি গোয়ালন্দ ঘাট থানায় পাঠিয়ে দেয়। পরে গরুটি দেখাশোনার জন্য একজনের হেফাজতে রাখা হয়। দুটি মামলায় এ পর্যন্ত মোট ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।