শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রেল নেটওয়ার্কে প্রথম যুক্ত হচ্ছে শেরপুর

ছবি: সংগৃহীত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত
তৌফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:১৫

বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের জামালপুর ও শেরপুর জেলার মধ্যে নতুন রেললাইন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। নতুন রেললাইনের সম্ভাব্যতা যাচাই ও বিশদ নকশার বিষয়ে আলোচনা করে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে রেলওয়ে। সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা করতে প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ব্যয় বাংলাদেশ সরকার বহন করবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার জন্য প্রাথমিকভাবে যে রুট নির্ধারণ করা হয়েছে তা পড়েছে জামালপুর ও শেরপুর জেলার মধ্যে। প্রস্তাবে নতুন যে রুটের কথা বলা হয়েছে তা হলো, জামালপুর-শেরপুর-বকশীগঞ্জ এবং জারিয়া ঝাঞ্জাইল থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত। এই লাইনটি যুক্ত হবে শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর পর্যন্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পূর্বাঞ্চলের জামালপুর পর্যন্ত বর্তমানে যে রেললাইন আছে সেটি মিটারগেজ এবং সিঙ্গেল লাইন অবস্থায় আছে। তবে নতুন যে রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে সেখানে ডুয়েলগেজ রেললাইন করতে চায় রেল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে শেরপুর জেলায় রেললাইন নেই। এই রেললাইন হলে শেরপুর জেলাও রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।

রেল মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশা এবং প্রকল্পের ওপর একটি সভা করেছে গতকাল সোমবার। সভায় প্রকল্পের মেয়াদকাল, সমীক্ষার সময়কাল, পরামর্শকের সংখ্যা, পরামর্শক ব্যয়, জনমাস, আউটসোর্সিং জনবলের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে রেলওয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সভায় অংশ নেয়া রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘নতুন রেললাইনের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার জন্য রেলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। সভায় দেখা হয়েছে, সমীক্ষার জন্য তারা যেসব বিষয় উপস্থাপন করেছে সেগুলো ঠিক আছে কি না । অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিছু মতামত দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। সেগুলো সংশোধন করে পরবর্তীতে আবারও সমীক্ষা প্রস্তাব জমা দেবে। তবে প্রাথমিকভাবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে সেটার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।’

এই প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) চূড়ায় করে রেল মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। তারপর সেটার অনুমোদন পেলে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া এবং সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশার মূল কাজ শুরু হবে বলে জানা গেছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. ইয়াসীন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটি খুবই প্রথমিক পর্যায়ে আছে। সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশার প্রস্তাব তৈরির কাজ চলছে। অনেক বিষয় যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত হবে।’

প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করা হচ্ছে প্রস্তাবিত রুটটি প্রযুক্তিগত, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং সামাজিকভাবে কার্যকর হবে কি না সেটি দেখার জন্য । তা ছাড়া জমি অধিগ্রহণ এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কেমন ব্যয় হবে এবং দরপত্র নথি প্রস্তুত-সংক্রান্ত কাজ করা হবে সম্ভাব্যতা সমীক্ষার মধ্যে।

এই রেললাইন করার বিষয়ে রেলের সমীক্ষা প্রস্তাবে বলা হচ্ছে, জামালপুর-শেরপুরের অর্থনীতি প্রধানত কৃষিভিত্তিক। জামালপুর স্থানীয় ধান, আখ, পাট, তামাক ও সরিষার বাজারকেন্দ্র। এখানকার প্রধান রপ্তানি দ্রব্য হলো পাট, তামাক, সরিষা, চীনাবাদাম, চামড়া, ডিম, ডাল, পান এবং হস্তশিল্প। নকশিকাঁথা তৈরি করাও একটি ঐতিহ্যবাহী পেশা। তা ছাড়া জামালপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে বেজা। সে কারণে নতুন এই লাইনটি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

প্রস্তাবে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত রেল নেটওয়ার্ক জামালপুর, শেরপুর এবং কুড়িগ্রামকে রেলপথের পাশাপাশি সীমান্ত স্থলবন্দরের সঙ্গেও যুক্ত করবে। এটি রপ্তানি উন্নয়নের জন্য দেশকে শিল্পায়ন করতে এবং স্থানীয় এলাকার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে বিদেশি এবং স্থানীয় বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করবে যা কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে পরিচালিত করবে।

প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘একটি প্রকল্প শুরুর আগে তার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে বেশির ভাগ প্রকল্পের এই কাজটি সঠিকভাবে হয় না । ফলে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে নানা সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যায় প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, সমীক্ষার নামে অর্থও নষ্ট হচ্ছে। এগুলোর জন্য জবাবদিহি প্রয়োজন। তবে রেলওয়ে যে নতুন সমীক্ষা হাতে নিয়েছে সেটি যেন সঠিকভাবে করে। না হলে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা তৈরি হবে।’


জুনে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ

কুমিল্লায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

আগামী জুন মাসের মধ্যেই ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন করবে সরকার। সে জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী এ কথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।

রুমানা আলী বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কেউ যেন প্রতারিত না হয় কিংবা কেউ যেন প্রতারণা না করতে পারে সে জন্য সরকার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। সেখানে খুব ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হচ্ছে।’ তবে এ বছর নিয়োগ পরীক্ষায় প্রার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম বলে তিনি মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া, পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু জাফর খানসহ কলেজটির অন্যান্য শিক্ষক জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।


মানিকগঞ্জে যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জ শহরের প্রবেশপথে যানজট নিরসন ও পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষের উদ্যেগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ও পৌর সুপার মার্কেটের সামনের সড়ক ও ফুটপাত থেকে শতাধিক হকার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জহিরুল আলম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ মো. তসলিম মিয়া ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানাসহ থানা পুলিশ ও পৌরসভার কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্যানেল মেয়র তসলিম মিয়া জানান, পথচারীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ও শহরের যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কারন দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ অস্থায়ী কিছু ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ও সড়কের একাংশ দখল করে ব্যবসা করে আসছে। এতে করে শহরে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং পথচারীদের ভোগান্তীতে পড়তে হয়।

তিনি আরও জানান, পথচারীদের সুবিধার্থে যানজট দূর করতেই এই উচ্ছেদ অভিযান।

বিষয়:

বাসচাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত, আহত চার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১৪:৪৭
ময়মনসিংহ ব্যুরোঃ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার উজানপাড়ায় বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ত্রিশালের উজানপাড়ায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, সকাল ১১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের উজানপাড়ায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় সিএনজিটিকে একটি যাত্রীবাহী বাস চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুই বছরের শিশু রুবাইয়া এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সিএনজির চালক শরিফুল ইসলাম (৩৩) ও অজ্ঞাত আরেক যাত্রী মারা যান।

নিহত সিএনজি চালক শরিফুল উপজেলার চিকনা মনহর গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে।

আহতরা হলেন, রুদ্র গ্রামের জালাল উদ্দিনের স্ত্রী মনি আক্তার (৪৫), একই গ্রামের শামীম আহমেদের স্ত্রী সাহিদা আক্তার (৪৫)। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।


বিএসএফের গুলিতে নিহত আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:০৯
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক আল আমিনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে সীমান্তের হাঁপানিয়া এলাকায় ২৩৬ মেইন পিলারের কাছে বাংলাদেশ ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য ছাড়াও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পোরশা থানা পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

নওগাঁ ১৬ বিজিবির পোরশা উপজেলার নিতপুর বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত আল আমিনের মরদেহ ফেরত নিতে বিএসএফের সঙ্গে বুধবার দিনভর যোগাযোগ করেন তারা।

তিনি আরও জানান, রাত ১০টায় সীমান্তের হাপানিয়া এলাকার ২৩৬নং পিলারের কাছে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আল আমিনের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ। পরে পোরশা থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের কেদারি পাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার ইন্সপেক্টর সুভাষ চন্দ্র মিনা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ মার্চ মঙ্গলবার ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকায় গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় বাংলাদেশি যুবক আল আমিন।

বিষয়:

নোয়াখালীতে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৭:১৩
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় এক নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও এক শ্রমিক।

বুধবার সকালে কোম্পানীগঞ্জ-দাগনভূঞা সড়কের মীর বাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আবুল কালাম (৩৫) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘নিহত কালাম পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সকালে হেঁটে দাগনভূঞার তালের চারা এলাকার কাজ করতে যাওয়ার পথে একটি অ্যাম্বুলেন্স পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিষয়:

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।

উচ্ছেদকৃত ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি খাবার হোটেল, কনফেশনারী এবং মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।

চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন বলেন, ‘৬৮ শতাংশ সম্পত্তির উপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোন অবৈধ স্থাপনা থাকবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে সবগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’


নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১৮:৫৭
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দায়িত্ব পালনকালে বাসের ধাক্কায় আব্দুল গফুর নামের এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছনবাড়ি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল গফুর নারায়ণগঞ্জের ট্রাফিক বিভাগের (কনস্টেবল নং ৯৬১) কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায় ও তার বাবার নাম দুলু মণ্ডল।

স্থানীয়রা জানায়, মহাসড়কে দায়িত্ব পালনকালে নরসিংদী থেকে ঢাকামুখী একটি বাস পুলিশ সদস্য আব্দুল গফুরকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহ বলেন, ‘ভুটানের রাজা আড়াইহাজারে আসার ফলে পুরো উপজেলায় সড়ক ও মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ তৎপর ছিলেন। এ সময় দায়িত্বপালনকালে ট্রাফিক পুলিশের সদস্য আব্দুল গফুরকে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। পরে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাসটি আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


জমে উঠেছে শেরপুরের ঈদবাজার

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ব্যবসায়ীসহ ক্রেতাদের ব্যস্ততা। সব বয়সি মানুষের মধ্যে এখন ঈদবাজার নিয়েই যত ভাবনা।

ঈদকে সামনে রেখে বিপণি বিতান, মার্কেটগুলো এখন নতুন নতুন দেশি-বিদেশি হরেক রকম জামা-কাপড়ে ঠাসা। দোকানগুলো ক্র‍েতার ভিড়ে জমজমাট। ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবার জন্য জামা-কাপড়, জুতো, প্রসাধনীসামগ্রী কিনতে ব্যস্ত মানুষ। বিশেষ করে পরিবারের কর্তারা ব্যস্ত পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে। শপিংমলগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলছে বেচা-কেনা।

ঈদের জামায় এবার মেয়েদের আলিয়া কাট, সারারা, নাইরা চলছে বেশি। ছেলেদের দৃষ্টি বেশি পাঞ্জাবির দিকে।

নারগিস নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘পরিবারের সদস্যের জন্য প্রায় ১৫ হাজার টাকার কাপড় কিনলাম। গতবারের তুলনায় এবার দাম অনেক বেশি। যা সামর্থ্যে কুলাচ্ছে তাই কেনার চেষ্টা করছি।’

ছোট্ট জাবিরা বলে, ‘আমি মার সাথে মার্কেটে এসেছি। আলিয়া কাট জামাটা দেখছি। এটা আমার খুব পছন্দের। বান্ধবীরাও এটা কিনেছে। এই জামাটাই আমি নিব।’

ব্যবসায়ীরা জানান, ১০ রমজানের পর থেকেই তাদের ব্যবসা জমে উঠছে। বর্তমানে অত্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। বিভিন্ন মার্কেটে এখন চলছে জমজমাট বেচাকেনা। শিশু, পুরুষ ও মহিলাদের পছন্দের কাপড়-চোপড়ের দোকানগুলোতে এখন বেশ ভিড়। সামনের মাসের শুরুতে জুতা ও প্রসাধনীর দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।

জননী বস্ত্রালয়ের মালিক চন্দন কুমার বলেন, মার্কেটগুলোতে টাঙ্গাইলের সুতি, জামদানি, জর্জেট এবং সিল্ক শাড়ির চাহিদা এবার অনেক বেশি।

জে আর ফ্যাশনের জিহাদ বলেন, আলিয়া কাট জামার এবার ব্যাপক চাহিদা।

এদিকে ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের ভিড় জমে উঠেছে ফুটপাতগুলোতেও। বলতে গেলে ফুটপাতেই এখন মধ্যবিত্ত এবং দরিদ্রদের ঈদের প্রধান বাজার। শ্রমিকশ্রেণির অনেকেই চাঁদ রাতে অথবা ১-২ দিন আগে কেনাকাটা করে। স্বল্প বেতনভোগী ও খেটে খাওয়া মানুষকেও আপাতত কেনাকাটায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।

বস্ত্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান বলেন, তারা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিকিকিনি করছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। আর জিনিসপত্র‍ের দাম মানুষের হাতের লাগালের মধ্যেই আছে। তাই মানুষ ঈদবাজারে আগে থেকেই ঝুঁকে পড়েছে।


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি: বাসস
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানা যায়।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মহাসড়কের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা দখল করে বসা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের পর মহাসড়কে নিরবিচ্ছিন্ন যান চলাচল দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন স্থানীয় লোকজন।

কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মাসুম সরদার বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের বিভিন্ন অফিসারদের সমন্বয়ে পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চলাচলরত যাত্রী ও সচেতন মহল। আমাদের এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।’


মৌলভীবাজারের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট: বাঁচানো গেল না সোনিয়াকেও

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ি এলাকার ভাঙারপার গ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনা ঘটে।মর্মান্তিক এই ঘটনা পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সেই শোকের মধ্যে পরিবারের শেষ এবং একমাত্র বেঁচে থাকা সোনিয়া আক্তারও (১২) আজ বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনের পর সেও মারা গেছে বলে সোনিয়ার মামা আবদুল আজিজ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

সোনিয়া উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালবাড়ী গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী ফয়জুর রহমানের মেয়ে। সে স্থানীয় উত্তর গোয়ালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট থেকে ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোনিয়ার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোনেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সে বেঁচে ছিল।

মামা আবদুল আজিজ বলেন, গুরুতর দগ্ধ সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সে মারা যায়।

ওই ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজের ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন ছিল। সেহরির পরে ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে বসতঘরের চালের ওপর পড়ে ঘরটি বিদ্যুতায়িত হয় এবং আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা ফয়জুর রহমান, স্ত্রী শিরিন বেগম, মেয়ে সামিয়া, মেঝ মেয়ে সাবিনা ও ছেলে সায়েমের মৃত্যু হয়।


ঈশ্বরদীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ১১:৫৬
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীতে মালবাহী দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একটি ইঞ্জিন ও দুটি বগির ৮ চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-খুলনা রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিলো। এই ঘটনার প্রায় ৭ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহ সূফী নুর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঈশ্বরদী হতে খুলনাগামী তেলের খালি ওয়াগন নিয়ে একটি ট্রেন রওনা করলে তা ঈশ্বরদী লেভেল ক্রসিং গেইট অতিক্রম করে বিপরীত দিক থেকে পুশিং এ আসা মালবাহী শানটিং ওয়াগনে আঘাত করে। এতে মালবাহী ২টি ওয়াগনের ৮ চাকা এবং লোকোমোটিভের সবগুলো চাকা লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনায় প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সকাল ৭টার দিকে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। ঈশ্বরদী লোকোমোটিভ কারখানা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন প্রথমে মালবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করে। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর তেলবাহী ট্রেনকে উদ্ধার করা হয়। এখন সব রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন জমা দিলেই দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে। প্রাথমিকভাবে দুই ট্রেনের দুই চালকসহ তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।


অনিয়মে বিতরণ করা ঋণ আদায় করে আত্মসাৎ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৫৬
আওয়াল শেখ, খুলনা

ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা হয় ঋণের টাকা। সেই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে নিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তারাই। এখন ব্যাংক থেকে খেলাপি ঋণের দায়ে গরিবের শেষ সম্বল সঞ্চয়টুকু কেটে নিয়ে আর্থিক সমন্বয় করা হচ্ছে। তবে টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে নারাজ সরকারি ওই দপ্তরটি।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) ডুমুরিয়া কার্যালয়ে ঘটেছে এমনি ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে গোটা কয়েক কর্মকর্তা এভাবেই আত্মসাৎ করে নিয়েছেন পৌনে দুই কোটি টাকারও বেশি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় বিআরডিবির ব্যবস্থাপনায় ১০২টি সমবায় সমিতি পরিচালিত হয়। সরকারি দপ্তরটির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সমিতির ২ হাজার ৫০ জন সদস্যের মধ্যে বিতরণ করা হয়। সেই অর্থ আদায় করে পুনরায় ব্যাংক ঋণ শোধ করা হয়।

তবে বছরের পর বছর ধরে ওই উপজেলায় ঋণ বিতরণে অনিয়ম হয়ে আসছে। একই সঙ্গে আদায় করা ঋণ ব্যাংকে পরিশোধ না করে আত্মসাৎ করে নিয়েছেন দায়িত্বরতরা। এখন ব্যাংক খেলাপি ঋণ না পেয়ে সমিতির সদস্যদের জমা রাখা অর্থ থেকে সমন্বয় করে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। একই সঙ্গে নতুন করে আর কোনো ঋণ দেবে না বলে জানিয়েছে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) খুলনা শাখার সভাপতি কুদরত-ই খুদা বলেন, ‘গরিবের টাকা সরকারি কর্তাকর্তাদের আত্মসাৎ করা সরাসরি দুর্নীতি। যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে গরিবের সঞ্চয়টুকু বাঁচাতে হবে।’

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা অর্থ আত্মসাৎ করবে, আর গরিবের শেষ সম্বলটুকু কেটে নিয়ে যাবে ব্যাংক। ডুমুরিয়ার জনগণের এত বড় ক্ষতি আমি কিছুতেই হতে দেব না। আমি চাই দুর্নীতি দমন কমিশন সঠিকভাবে অনুসন্ধান করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিক।’

২৯ সমিতিতে খেলাপি পৌনে দুই কোটি টাকা

বিআরডিবির একাধিক নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বর্তমানে ২৯টি সমিতির খেলাপি ঋণ রয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বকেয়া রয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৯৯ হাজার ৩০৫ টাকা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে ওই উপজেলায় ৩৩টি সমিতির মধ্যে ৬০.৮১ লাখ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে একটি সমিতিতে ২৪ হাজার ৩৪২ টাকা ঋণখেলাপি ছিল। পরে ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৩৩টি সমিতির মধ্যে ৭৭.৫৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হলে ২টি সমিতিতে ১ লাখ ২৫ হাজার ৪০৭ টাকা ঋণখেলাপি থাকে। এরপর দীর্ঘ ৮ বছর ধরে কোনো সমিতির ঋণখেলাপি ছিল না। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে ঋণখেলাপি হতে শুরু করে।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৬টি সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল ৩৭৮.৩৯ টাকা। যার মধ্যে ৮টি সমিতিতে ঋণখেলাপি রয়েছে ৫৪ লাখ ৮১ হাজার ৮৯৪ টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২টি সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল ২৮২.৩৪ টাকা। যার মধ্যে ৪টি সমিতিতে ঋণখেলাপি রয়েছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৯৫১ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩২টি সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল ২৮৫.৪৩ টাকা। যার মধ্যে ৮টি সমিতিতে ঋণখেলাপি রয়েছে ৪২ লাখ ২৬ হাজার ২২ টাকা এবং সর্বশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪টি সমিতির মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল ২২৬.২৯ টাকা। যার মধ্যে ৬টি সমিতিতে ঋণখেলাপি রয়েছে ৩৯ লাখ ৩৫ হাজার ৬৮৯ টাকা।

ডুমুরিয়া উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা বলেন, সুদে-আসলে এই টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি। এখন ব্যাংক থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই টাকা পরিশোধ না হলে, নতুন করে কোনো ঋণ দেওয়া হবে না। দিন দিন ব্যাংকে খেলাপি ঋণের সুদ বাড়ছে।

ব্যাংক থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৯ অক্টোবর সোনালী ব্যাংক থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। তাতে উল্লেখ রয়েছে, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১০২টি সমবায় সমিতির ২ হাজার ৫০ জন সমবায়ীর শেয়ার-সঞ্চয়ের জমা করা ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা থেকে সোনালী ব্যাংক খেলাপি ঋণে সমন্বয় করে নেবে।

ঋণ বিতরণে অনিয়ম

ঋণখেলাপি হওয়া ২৯টি সমিতির নথি পর্যালোচনা করে একাধিক গড়মিল পাওয়া গেছে। যার মধ্যে ১২টি সমিতির গ্রাহকরা যেদিন ঋণ পরিশোধ করেছেন তার পরের দিনই নতুন করে ঋণ পেয়েছেন। যার পরিমাণ ১ কোটি ৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ৮টি সমিতির গ্রাহকরা পূর্বের ঋণ পরিশোধের পরের দিনই ঋণ পেয়েছেন। যার পরিমাণ ৯৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া শোভনা মধ্যেপাড়া সমিতিতে একই দিন পরিশোধ ও ঋণ বিতরণের ঘটনা ঘটেছে। যার পরিমাণ ১৩ লাখ ২০ হাজার টাকা।

নথি যাচাই করে আরও পাওয়া গেছে, চন্ডিপুর মধ্যেপাড়া সমিতির ঋণ বিতরণ সনদে পরিদর্শকের কোনো স্বাক্ষর নেই। বাঘারদাইড় সমিতির সব সদস্যের ঋণ বিতরণের তথ্য ফ্লুইড দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে।

বিআরডিবি খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-প্রকল্প পরিচালক আফরুজ্জামান বলেন, ২১টি সমিতির নথিতে ঋণ বিতরণের জন্য ন্যূনতম একদিনও সময় নেওয়া হয়নি। ফলে এখানে প্রতীয়মান হয়, ঋণ বিতরণের সঙ্গে যারা ছিলেন তারা ভালো করে সদস্য বাছাই না করেই ঋণ প্রদান করেছেন। আর কিছু নথিপত্রে পরিদর্শকের স্বাক্ষর ফ্লুইড দ্বারা ঘষামাজা করা রয়েছে। তাই এখানেও অনিয়ম হয়েছে।

ঋণের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ

চন্ডিপুর দক্ষিণপাড়া সমিতি থেকে ১৮ জন গ্রাহক ঋণ নিয়েছিলেন। যার মধ্যে ধর্মদাশ মণ্ডল ঋণ নিয়েছিলেন ৬৬ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ‘আমি ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। তবে আমাকে পরিদর্শক মো. শাহজালাল কোনো ভাউচার দেননি।’ অন্যদিকে বিআরডিবি উপজেলা কার্যালয়ের নথি থেকে পাওয়া গেছে, ধর্মদাশ মণ্ডলের নামে মাত্র ৩ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়েছে।

অনুরূপ একই সমিতি থেকে ৬৬ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তাপস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘আমি এ পর্যন্ত দর্শক মো. শাহজালালের কাছে ২৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। সে কখনো কোনো ভাউচার দিত না। বলত অফিসে গিয়ে নথিতে টাকা তুলে দেব।’ তবে বিআরডিবি উপজেলা কার্যালয়ের নথিতে তাপস মণ্ডলের নামে কোনো টাকা জমা হয়নি।

একইভাবে প্রেসন মণ্ডল ৫১ হাজার, সনাতন মণ্ডল ১০ হাজার ও প্রশান্ত বিশ্বাস ১২ হাজার টাকা পরিদর্শকের কাছে জমা দেওয়ার দাবি করলেও তাদের নামে অফিসের নথি বা ব্যাংকে কোনো টাকা জমা হয়নি।

এ ছাড়া বাঘারদাইড় সমিতি থেকে ২০১৯ সালের ২৬ জুন ঋণ নিয়েছিলেন। তাকে একটি নকল পাস বই দেওয়া হয়েছে। তাতে মোট ৫৭ হাজার ৯০৯ টাকা জমা দেখানো হয়েছে। তবে অফিসের নথি বা ব্যাংকে তার নামে কোনো টাকা জমা দেওয়া হয়নি।

এখানেই শেষ নয়। চন্ডিপুর মধ্যেপাড়া সমিতিতে আরও বড় অনিয়ম ঘটেছে। ২০২১ সালের ২৯ জুন ২২ জন সদস্যের মধ্যে ১০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছিল। অফিসের নথিতে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেখানে পরিশোধ দেখানো হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৯ টাকা। বর্তমানে ঋণখেলাপি রয়েছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। তবে ২০২২ সালের ২৮ জুন ওই সমিতির ম্যানেজার বিপ্রদাশ বাছাড় হাত স্লিপের মাধ্যমে পরিদর্শক মো. শাহজালালের কাছে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রধান করলেও তা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়নি।

অনিয়মের মূল হোতা প্রধান পরিদর্শক

গত কয়েক বছর ধরে এভাবে ঋণের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন পরিদর্শকরা। আর তাদের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধান পরিদর্শক মো. শাহজালাল। তবে তাদের বিরুদ্ধে বিআরডিবি থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম বলেন, ‘আমি ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলায় যোগদান করি। যোগদানের পর থেকে খেলাপি ঋণ আদায়ে উদ্যোগ নেই। এতে তিন পরিদর্শক ক্ষিপ্ত হন আমার ওপর। এ বিষয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর ডুমুরিযা থানায় প্রধান পরিদর্শক মো. শাহজালাল, পরিদর্শক সৈয়দ মসিউর রহমান ও রথিন তরফদারের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছি।’

ডুমুরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই সাধারণ ডায়েরি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে প্রধান পরিদর্শক মো. শাহজালাল বলেন, ‘উপজেলা কর্মকর্তা মো. হাসান ইমামের সঙ্গে আমাদের পরিদর্শকদের সঙ্গে একটু মনোমালিন্য হয়েছে। যার কারণে তিনি ওইসব ঋণ তথ্য জোগাড় করছেন। বাস্তবে আমরা টাকা আত্মসাৎ করিনি। করোনার কারণে কিছু গ্রাহক টাকা দিতে পারেনি। যার কারণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সাড়ে ৪ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় একাধিক পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। তবে খুলনা জেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার দায়িত্বে বহাল রয়েছেন এ কে এম আশরাফুল ইসলাম। আর এই ঋণ বিতরণ ও আদায়ের অনিয়মগুলি হয়েছে তার সময়েই।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঋণখেলাপির ঘটনা নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে তদন্ত চলছে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক আব্দুল গাফ্‌ফার খান বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, ‘যারা উপকারভোগী বা গ্রাহক তারা যদি প্রসঙ্গটি নিয়ে আমার কাছে অভিযোগ দেয়, তবে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


বিএসএফের গুলিতে নওগাঁর যুবক নিহত

মঙ্গলবার ভোরে ভারতের অভ্যন্তরে মিলমারি নামক এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়া বাংলাদেশী যুবক আল-আমিন (৩৮)। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ২৬ মার্চ, ২০২৪ ১৬:৫৭
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর পোরশা সীমান্তে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় মিলমারি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম আল-আমিন (৩৮)। তিনি পোরশা উপজেলার নীতপুর গ্রামের কলনীপাড়ায় বসবাস করতেন। তার বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক।

এ ঘটনায় বিজিবি-১৬ ব্যাটলিয়নের পক্ষ থেকে বিএসএফ-১৫৯ ব্যাটালিয়নে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল সোমবার রাতে ৭-৮ জনের একটি দল উপজেলার নীতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের মালদা জেলার মধ্য গরু আনতে গিয়েছিল। গরু নিয়ে আজ মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশে ফেরার সময় বিএসএফ-১৫৯ ব্যাটলিয়নের অওয়াতাধীন টেক্কাপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করেন। এ সময় তারা পালিয়ে নীতপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশের অভ্যন্তরে আসার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ভারতের মালদা জেলার মিলমারি এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আল-আমিন।

নওগাঁ-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে মিলমারি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানতে পেরে ভারতের বিএসএফ-১৫৯ ব্যাটালিয়নে ইতিমধ্যে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে।’

বিষয়:

banner close