রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৬ আশ্বিন ১৪৩২

ঝড়ো হাওয়ায় সাতজনকে নিয়ে নৌকাডুবি, প্রাণ গেলো মা-শিশুর

আপডেটেড
২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৫৬
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২২ ০৯:৪১

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে সিরাজগঞ্জে একই পরিবারের ছয়জনসহ সাতজনকে নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচজনকে।

গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রাম থেকে নৌকাটি পূর্বমোহনপুরে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে স্থানীয় ও পুলিশের সহায়তায় পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলেই এক শিশু এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তার মায়ের মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া দুজন হলেন পূর্বমোহনপুর গ্রামের খোকনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন (২৮) ও তার ছেলে আরাফাত হোসেন (২)।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মোহনপুর গ্রামের শিল্পপার্ক এলাকা থেকে বৈঠাচালিত ছোট্ট নৌকাযোগে ওই ছয়জন পূর্বমোহনপুরে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে তীব্র বাতাসে নৌকাটি ডুবে যায়।

এসময় শিশু আরাফাত তার মায়ের কোল থেকে নদীতে পড়ে যায়। তৎক্ষণাৎ তার মৃত্যু হয়। শিশুটির মা আয়েশা খাতুনকে মুমুর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।


কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিকে সংবর্ধনা প্রদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

দীর্ঘ ১৭ বছর পর নিজ এলাকা যশোরের কেশবপুরে আসলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। গত শনিবার বিকেলে তিনি কেশবপুরে এসে পৌঁছান। এ সময় কয়েকশ মোটরসাইকেল ও যানবাহনযোগে তাকে স্বাগত জানান বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী। শ্রাবণের আগমন উপলক্ষে আগে থেকেই কেশবপুর শহরসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো হয়। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ কেশবপুরে প্রবেশ করলে রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে সাধারণ জনতা হাত নেড়ে তাকে স্বাগত জানান। কেশবপুরে এসেই তিনি সর্বপ্রথম জনপ্রিয় বিএনপি নেতা ও মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চার বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রয়াত আবু বকর আবুর কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি কেশবপুরে পথসভা ও বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা সম্বলিত প্রচারপত্র বিতরণ করেন। শহরের ত্রিমোহিনী মোড় চত্বরে তার আগমন উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। পথসভায় সভাপতিত্ব করেন কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর মশিয়ার রহমান। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামছুল আলম বুলবুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম অটল, উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির মিন্টু, পৌর সেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ প্রমুখ।

এদিন দুপুরে যশোরে পৌঁছে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের কবর জিয়ারত করেন। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ বর্তমানে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তার বাড়ি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে। তিনি রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন। দলের বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে শ্রাবণ সামনে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। যে কারণে বহুবার তাকে হামলা-মামলার শিকারও হতে হয়েছে। ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি পত্রে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর শ্রাবণকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে। দলকে সুসংগঠিত করতে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ কাজ করে চলেছেন। ইতোমধ্যেই কেশবপুরে তাকে নিয়ে সর্বমহলে আলোচনা চলছে। তিনি বিএনপি থেকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে সংসদ সদস্য পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।


মুরাদনগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগরে আসন্ন সারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা পরিষদের কবি নজরুল মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করে মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসন। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার জহিরুল ইসলাম সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান, তথ্য প্রযুক্তির সহকারী প্রোগ্রামার রাফিত আহম্মেদ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিনিয়ার ওয়ারেন্ট অফিসার মো. জসিম উদ্দিন, মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান, বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ জোনাল পল্লি বিদ্যুৎ ডি.জি.এম মো. মহিউদ্দিন, রাহিমপুর আজাচক আশ্রমের ড. মানবেন্দ্র যুগল ব্রহ্মচারি।

সভায় বক্তব্য রাখেন, দুলাল দেবনাথ, অরুপ নায়ায়ন পোদ্দার, দিন দয়াল পাল, চেয়ারম্যান শুকলাল দেবনাথ, ভিপি জাকির, নবিপুর পশ্চিম ইউনিয়নের বি.এন.পি নবিপর পশ্চিম ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হেদায়াত হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপজেলা বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতরা মতামত প্রদান করেন।

সভায় বক্তারা পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, বিদ্যুৎ ও আলোকসজ্জা, স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ বছর মুরাদনগর উপজেলায় মোট ১৫৩টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখরভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে কতিপয় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সবশেষে ১৫৩ টি সার্বজনীন পূজা মণ্ডপের অনুকুলে ৫০০ কেজি করে জি আর চাল এর ডিও বিতরণ কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।


চিকিৎসক সংকটে ঝিনাইদহের ৫ উপজেলায় বন্ধ সিজারিয়ান

ভোগান্তিতে প্রসূতিরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সিজারিয়ান অপারেশন। মহেশপুর, হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুরে দীর্ঘদিন ধরে এ সেবা বন্ধ থাকায় প্রসূতিদের বাধ্য হয়ে ছুটতে হচ্ছে দূরের বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে। এতে একদিকে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়, অন্যদিকে মা ও নবজাতক পড়ছেন চরম ঝুঁকিতে।

জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় এক বছর ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ। একই পরিস্থিতি অন্য চার উপজেলাতেও। এনেস্থেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও গাইনি চিকিৎসকের অভাবেই এ সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ হাসপাতালগুলোতে আধুনিক অপারেশন থিয়েটার, অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন স্ট্যান্ডসহ সব সরঞ্জাম ব্যবহার উপযোগী অবস্থায় আছে। প্রসূতি শিরিন আক্তার বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে গেলে খরচ কম হতো। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে দূরের ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। তাতেও চিকিৎসক সবসময় থাকেন না।’

কালীগঞ্জের কৃষক রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালেই যদি চিকিৎসা না পাই, তাহলে আমরা যাব কোথায়? ডাক্তার না দিলে গরিব মানুষ আরও বিপদে পড়বে।

হরিণাকুন্ডুর গৃহবধূ ফারজানা খাতুন জানান, ‘ক্লিনিকে গেলে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। গরিব মানুষ কীভাবে এই টাকা জোগাড় করবে? তারপরও বাধ্য হয়ে ক্লিনিকেই যেতে হচ্ছে।’

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সব উপজেলাতেই অপারেশনের যন্ত্রপাতি রয়েছে। কিন্তু চিকিৎসক সংকট বড় সমস্যা। দ্রুত পদায়ন হলে আবারও সিজারিয়ান চালু করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, চিকিৎসক থাকলে শুধু এই পাঁচ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই প্রতি মাসে অন্তত ২০০ প্রসূতি সরকারি সেবা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে সিজারিয়ান বন্ধ থাকায় গরিব পরিবারগুলো চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।


মাগুরার সোনারবাংলা হোটেলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয় কর্তৃক সদর উপজেলার ভায়না মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় হোটেল ও মুদিদোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । রোববার মাগুরা সদর উপজেলার ভায়নার মোর এলাকায় মেসার্স সোনার বাংলা হোটেল তদারকিকালে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। রান্না ঘরের অবস্থা খুবই স্যাতসেঁতে ও নোংরা, কর্মচারীদের নাই কোন স্বাস্থ্যবিধি, নোংরা মেঝেতে যত্রতত্র খাবার খোলা রাখা হয়েছে। মাছ-মাংসের রক্ত চর্বিযুক্ত নোংরা ফ্রিজে গতদিনের বাসি গ্রিল ও মুরগির চাপ সংরক্ষণ করা হয়েছে আবার গরম করে খাওয়ানোর জন্য। খোলা রাখা মিষ্টির গামলায় পরে আছে মাছি তেলাপোকার বাচ্চাসহ নানা পোকা। মুল্যতালিকা আপডেট করা হয়না ২০দিন যাবত। খাবার রাখতে ও ঢাকতে ব্যবহার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ খবরের কাগজ ও ছাপা কাগজ। পুর্বে ভোক্তা অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ অফিস কর্তৃক তাদের নিয়ে মিটিং করলেও হোটেলের রান্নার পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাবার তৈরি ও সংরক্ষণের বিষয়ে তাদের মধ্যে কোন উন্নতিই পরিলক্ষিত হয়নি। অস্বাস্থ্যকরভাবে খাবার তৈরি, সংরক্ষণ ও গতদিনের বাসি গ্রিল ও মুরগির চাপ সংরক্ষণ করে পুনরায় বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: উজির বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ফ্রিজে রাখা বাসি গ্রিল ও চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর পাত্রে রাখা সস নষ্ট করে দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে এধরণের আইন অমান্যকারী কার্যকলাপ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়।

পরবর্তীতে অন্যান্য পণ্যের প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রয়, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা সুমন অধিকারী ও মাগুরা জেলা পুলিশের একটি টিম।


রাউজানে মাল্টা বাগানে সাফল্য প্রবাসী হামিদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

উত্তর চট্টগ্রামে রাউজান উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাসী মোহাম্মদ হামিদ ওমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। অবসরে একদিন ইউটিউবে ভিয়েতনামি হলুদ মাল্টা চাষের ভিডিও দেখেন। ২০২২ সালে ছুটিতে দেশে এসে তিনি রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নে পৈতৃক দুই বিঘা পরিত্যক্ত জমিতে উন্নত জাতের হলুদ মাল্টার ৪০০ গাছ রোপণ করেন। এতে খরচ হয় প্রায় ১৩ লাখ টাকা। রোপণের চার বছরের মধ্যে ফলন এসেছে। চলতি বছর পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রি হবে। সরেজমিন দেখা যায়, হামিদের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে পাকা মাল্টা। আকারে বাজারের বিদেশি মাল্টার চেয়ে বড়। বাগানে মিশ্র ফল হিসেবে লাগানো হয়েছে উন্নত জাতের আম, লেবু, কলা, পেয়ারা, পিংক কাঁঠাল, লিচু গাছ। বর্তমানে বাগানে মাল্টার সঙ্গে উৎপাদিত হচ্ছে আম, কলা, পেয়ারা ও লেবু। পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত রুহুল আমীন জানান, বাগানের সব গাছে ধরেছে মাল্টা। বাগান থেকেই ২৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মাল্টা ফরমালিনমুক্ত। এদিকে হামিদের হলুদ মাল্টার বাগান দেখতে আসেন স্থানীয়রা। অনেকে নিজের হাতে গাছ থেকে ছিঁড়ে মাল্টা কেনার সুযোগটা নিচ্ছেন। কেউ কেউ মাল্টা কিনে বাগানেই কেটে খাচ্ছেন। প্রবাসী হামিদের পিতা মোহাম্মদ হারুন বলেন, ‘আমিও দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলাম। ছেলে প্রবাস থেকে বাগান করার উদ্যোগ নেয়। আমিও উৎসাহ দিয়েছি, বাগান করতে সহযোগিতা করছি।’ রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, ‘উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপকভাবে সবুজ মাল্টার চাষ হয়েছে। কিন্তু হামিদই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ভিয়েতনামি হলুদ রঙের মাল্টার চাষ করেছেন। এই মাল্টা সুস্বাদু। কৃষি বিভাগ থেকে তাকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মাল্টা একটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ফল। দেশে উৎপাদন বাড়ানো গেলে, আমদানি কমে আসবে এবং দেশের মানুষ ফরমালিনমুক্ত ফল খেতে পারবেন।’ মাল্টা কিনতে আসা ফাহমিদা আক্তার বলেন, ‘বাজারে বিদেশি মাল্টার কেজি ৩০০ টাকা। বাজারের ফলে ফরমালিন থাকার আশঙ্কা আছে। কিন্তু হামিদের বাগানে যে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো শতভাগ নিরাপদ। দাম হাতের নাগালে। খেতে বাজারের মাল্টার চেয়েও সুস্বাদু।’ বাগানের কর্মচারী সবুজ দাশ জানান, মাসে ১২ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন তিনি। এই বাগানে চাকরি করে পরিবার চালান। তিনি বলেন, ‘কিছু গাছের মাল্টা বিক্রির উপযোগী হয়েছে। তবে ফলগুলো পুরোপুরি পাকতে আরও ২০ দিন লাগতে পারে।’

থাকেন বিদেশে, অথচ বাগান করলেন দেশে- এই প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ হামিদ বলেন, ‘একদিন ইউটিউবে হলুদ মাল্টা বাগানের একটি ভিডিও দেখি। প্রায় ১০ মিনিটের ভিডিওটি আমার চোখ খুলে দেয়। সেদিনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশের বাড়িতে মাল্টা বাগান করব। ২০২২ সালে বাগান করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। প্রথম বছর মাল্টা তুলিনি। গত বছর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাল্টা উৎপাদান শুরু হয়। এ বছর পাঁচ লাখ টাকার মাল্টা বিক্রির আশা করছি।


নরসিংদীর রায়পুরা আসনে এবার বিএনপির মনোনয়ন চান ৬ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নরসিংদীর রাজনীতিতে ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির মাঠে বেশ সরব হওয়ায় আশায় বুক বাঁধছে এলাকার মানুষ। বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এ সংসদীয় আসনে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। নীতি নির্ধারণী মহল এবং সম্ভাব্য নির্বাচনী বোর্ডের নজর কাড়তে একক উদ্যোগসহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি নিজেদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর উপজেলা হিসেবে পরিচিত নরসিংদী

রায়পুরা উপজেলা। ২৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত হয়েছে নরসিংদী-৫ আসন। বিগত দিনগুলোতে নরসিংদীর ৫টি আসনের মধ্যে এ আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে। তবে এ আসনে একবার ছিল জাতীয় পার্টি এবং দুইবার ছিল বিএনপির হাতে। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মো. মাইন উদ্দিন ভূইয়া এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে আব্দুল আলী মৃধা এমপি নির্বাচিত হন।

এরপর থেকে টানা ৭ বার এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এ আসটিতে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে বিএনপি। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী আগ্রহী প্রার্থী হয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক, আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সহসভাপতি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. জামাল আহমেদ চৌধুরী, নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক এমএন জামান, নরসিংদী জেলা বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বাদল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, নরসিংদী জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল আমিন ভূইয়া রুহেল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়: জামায়াতে ইসলামী নরসিংদী জেলা শাখার মজলিসে শুরা সদস্য ও রায়পুরা উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমকে। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয়ে জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী রায়পুরা উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মাওলানা বদরুজ্জামান।

সকলেই মনোনয়ন পাওয়ার জন্য গ্রুপিং লভিং চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের মন জয় করার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করছেন। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল। তিনি একজন হেভিওয়েট প্রার্থী। তিনি প্রতিনিয়ত দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সভা সমাবেশ করছেন। ইতিমধ্যে তিনি এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও খেলাধূলা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের মধ্য দিয়ে নিজের জনসমর্থন বাড়ানো চেষ্টায় ছুটে বেড়াচ্ছেন। ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল এ প্রতিনিধিকে বলেন, তিনি শুধু নিজের এলাকা নয় সারাদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে দলীয় মনোনয়ন ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী। জামাল আহমেদ বলেন, তিনি দলের জন্য সবদা কাজ করে আসছেন। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি এমপি নির্বাচিত হয়ে রায়পুরা উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। এছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমএম জামান, জাহাঙ্গীর আলম বাদল, ইকবাল হোসেন শ্যামল, রফিকুল ইসলাম ভূইয়া রুহেল প্রতিনিয়ত এলাকায় গণসংযোগ এবং সভা সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির পাশাপাশি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী মাওলানা বদরুজ্জামান। প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করছেন এবং মানুষকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। এ আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল্লাহ ফয়সাল। তবে এ পর্যন্ত তাকে এলাকায় কোন গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি।


সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নয় আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি: মীর হেলাল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, দেশে কেউ সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নয় শহীদ জিয়ার দর্শন অনুযায়ী আমরা সবাই গর্বিত বাংলাদেশি।

তিনি বলেন, বিভেদ সৃষ্টি করে পতিত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করেছিল, এবার জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতিকে একটি বৈষম্যহীন সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ উপহার দেবেন। গত শনিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী পৌরসভার পার্বতী স্কুল মিলনায়তনে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী দুর্গাপূজার সময় অপশক্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পথ বেছে নিতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে মীর হেলাল দলীয় নেতা-কর্মী ও সনাতন সম্প্রদায়ের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার আহ্বান জানান।

হাটহাজারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মাস্টার লায়ন অশোক কুমার নাথের সভাপতিত্বে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক বাবলু দাশের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ নুর মোহাম্মদ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, আইয়ুব খান, পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অহিদুল আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস শুক্কুর মেম্বার, শাহেদুল আজম, অ্যাডভোকেট রিয়াদ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আলহাজ রহমতুল্লাহ মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন আলী, ডা. আবুল খায়ের, স্বোচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, জেলা জাসাসের সভাপতি কাজি সাইফুল ইসলাম টুটুল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ,হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের হাটহাজারী উপজেলা আহ্বায়ক উত্তম কুমার দাশ।


ফেনীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সংগঠনের বার্ষিক হিসাব উপস্থাপন করা হয় এবং জেলায় কর্মরত ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা তাদের পেশাগত বিভিন্ন সমস্যা সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে তুলে ধরেন। গত শনিবার বিকালে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার আয়োজনে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিতি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি মো. জিয়াউল হায়দার পলাশ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব সৈয়দ জাহীদ হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (ডিকেআইবি) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (চট্টগ্রাম বিভাগ) সহসভাপতি মো. শামছুল আলম, ডিকেআইবি (চট্টগ্রাম অঞ্চল) কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি হাবিবুর রহমান, ডিকেআইবি চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম কাউছার।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন ফেনী জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছালেহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সোনাগাজী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আজমীর হোসেন, দাগনভূঞা উপজেলা সদস্য সাইফুল ইসলাম, ফেনী সদর উপজেলা সদস্য মাহমুদুল করিম, পরশুরাম উপজেলা সভাপতি দেবাঞ্জন বনিক, ছাগলনাইয়া উপজেলা সভাপতি রনি মজুমদার, ফুলগাজী উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সোনাগাজী উপজেলা সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম পাটোয়ারী, দাগনভূঞা উপজেলা সহসভাপতি এমদাদুল হক, ফেনী সদর সাধারণ সম্পাদক সেলিনা বেগমসহ ডিকেআইবির বিভিন্ন উপজেলা নেতারা, জেলা কমিটির নেতারা, অঞ্চল কমিটির নেতারা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বন্যা পরবর্তী ফেনী জেলায় কৃষিকাজের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কর্মপরিবেশ বজায় রাখা, ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদানে জটিলতা নিরসন, দশম গ্রেড গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদান, ৩ বছর মেয়াদি কৃষি ডিপ্লোমাধারী, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দশম গ্রেড প্রাপ্যতার জটিলতা নিরসন, নিজ জেলায় পদায়নসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথরা উপস্থিত ছিলেন।


রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধনের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের ফুরোমন পাড়ায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত এলজিআইসির আওতায় গ্র্যাভিটি ফ্লো সিস্টেম (GFS) ভিত্তিক রাঙামাটিতে সৌরচালিত ভূপৃষ্ঠস্থ পানি পরিশোধন ও সররাহ ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শনিবার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. মোবারক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আসমা।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন এলজিইডি রাঙামাটি সদর উপজেলা প্রকৌশলী প্রণব রায় চৌধুরী এবং রাঙামাটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সুব্রত বড়ুয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুল্লাহ বলেন,‘বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এই সৌরচালিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা শুধু বিশুদ্ধ পানির চাহিদা পূরণ করবে না, বরং স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সময় সাশ্রয় ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। স্থানীয় জনগণকে এই প্রকল্পের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনভাবে ব্যবহার করতে হবে।’

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির মোট ধারণক্ষমতা ১০ হাজার লিটার। এর মধ্যে ৫ হাজার লিটার সুপেয় পানি এবং ৫ হাজার লিটার দৈনিক ব্যবহারযোগ্য পানি। এতে ১২টি ট্যাপ স্ট্যান্ডের মাধ্যমে ৪৫টি পরিবারসহ প্রায় ১৮৬ জন মানুষ উপকৃত হবেন।


রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ  প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ২১নং দক্ষিণবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দীপকের নানা অনিয়ম, স্কুলে অনুপস্থিত, শিক্ষার্থী অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা।

রোববার উপজেলার দক্ষিণবাগ এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে শতাধিক অভিভাবক ও স্থানীয়রা এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

এ সময় বক্তারা অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার দায়িত্ব পালনে অবহেলা করছেন, অনিয়মের মাধ্যমে স্কুলকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছেন, এবং সংবাদ প্রকাশ করতে গেলে সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করছেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ জুলাই দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি নাজমুল হোসেনকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ ও হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক হরিকান্ত সরকার। এ সময় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষক সাংবাদিককে ‘বেয়াদবের বাচ্চা’ বলে গালি দেন এবং মারধরের হুমকি দেন।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হরিকান্ত সরকারের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তারা দ্রুত তার অপসারণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা হুঁশিয়ার দিয়ে আরও বলেন, দ্রুত প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আরও কঠোর অবস্থান নেবেন।


৫৪ বছরেও ব্রিজ নির্মাণ না হওয়ায় ভোগান্তি চরমে

কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ঘাট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ঘাট। প্রতিদিন ভোর থেকে রাত অবধি হাজারো মানুষ এখানে ভিড় করেন নদী পারাপারের জন্য। বুড়িগঙ্গার মতো বিশাল নদীতে আশপাশের ১০/১৫ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনো ব্রিজ। এই এলাকায় চলাচলে একমাত্র ভরসা নৌকা। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মাঝেমধ্যেই বালুবাহী বালহেটের সঙ্গে নৌকার সংঘর্ষে ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও। অথচ দীর্ঘ ৫৪ বছরেও এখানে স্থায়ী ব্রিজ হয়নি।

দুই পাড়ের অনেকে কম বেতনে চাকরি করতে। স্কুল-কলেজে পড়তে যায় এলাকার ছেলে-মেয়েরা। কিন্তু গরীব মানুষের অর্ধেক টাকাই খরচ হয়ে যায় নদী পারাপারেই। শুধু তাই নয়, প্রতিদিনই ইজারাদারদের সঙ্গে যাত্রীদের ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, ইজারাদাররা ভাড়া নিয়ে টানাহেঁচড়া করে, বাজে ব্যবহার করে, এমনকি অনেক সময় হয়রানির শিকারও হতে হয়।অথচ তারা নামমাত্র মূল্যে ঘাটের ইজারা নেয়।

খোলামোড়ার তরুণ আরিফ বলেন, ব্রিজ হবে শুনে বড় হয়েছি, কিন্তু পাইনি। প্রতিদিন নদী পার হয়ে স্কুল-কলেজে যেতে যে কষ্ট, তা ভাষায় বোঝানো যায় না। তাছাড়া ইজারাদারদের ব্যবহার খুবই খারাপ। ৫/ ৭ বছরের বাচ্চাদেরও ইজারার টাকা ছাড়া বের হতে দেয়না। ব্রিজটা খুবই জরুরি।

গৃহবধূ সাদিয়া অফরিন বলেন, এক পাশে বাবার অন্য পাশে শ্বশুরবাড়ী, যাতায়াতের সময় তিন বাচ্চাকে নিয়ে নৌকায় উঠতে বুক কাঁপে। কখন যে দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না। তার ওপর ইজারাদারদের খামখেয়ালি আচরণে ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী বাদশা মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নৌকায় মালামাল আনা-নেওয়া করতে গিয়ে কত ক্ষতি হয়েছে। দুর্ঘটনায় মানুষ মরেছে, মালামাল নষ্ট হয়েছে। ব্রিজ হলে শুধু যোগাযোগই নয়, ব্যবসা-বাণিজ্যও এগিয়ে যাবে। কিন্তু এত বছরেও হয়নি।

কেরানীগঞ্জের সাবেক এমপি আমান উল্লাহ আমান জানান, বাবুবাজার ব্রিজ, বসিলা ব্রিজ আমরাই করেছি, এটাও আমরাই করব। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সবার আগে খোলামোড়া-কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ হবে।

স্থানীয়রা মনে করেন, পোস্তগোলা, বাবুবাজার ও বসিলা ব্রিজ কেরানীগঞ্জের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এবং নবাবগঞ্জ, দোহার, মুন্সীগঞ্জসহ দক্ষিণবঙ্গের ১০/১২টি জেলার রাজধানীতে প্রবেশের জন্য যথেষ্ট নয়। তাই নতুন একটি স্থায়ী ব্রিজ সময়ের দাবি।

খোলামোড়া ও কামরাঙ্গীরচরের দুই পাড়ের কয়েক লাখ মানুষের একটাই প্রশ্ন—আসলেই কি হবে এই ব্রিজ? আর না হলে বাধাটা কোথায়? প্রতিশ্রুতি নয়, তারা এখন দেখতে চান বাস্তবায়ন।


৩১ বছর ধরে নানা সমস্যায় বামন্দীর পশু হাসপাতাল

গাংনীর পশু হাসপাতালটি এখন যেনো বালির ঘাট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলার প্রান কেন্দ্র বাণিজ্যিক এলাকা বামন্দী ইউনিয়নে একত্রিশ বছর পূর্বে স্থাপন করা হয় গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল।

এই এলাটিতেই অবস্থিত খুলনা বিভাগের ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট। যেখানে বিভাগের কয়েকটি জেলার হাজার পশুপালনকারি খামারি ও ব্যবসায়ীদের আনাগোনা এই বামন্দীতে।

এসব দিক বিবেচনা করেই ১৯৯১-১৯৯২ সালের দিকে নির্মাণ করা এই গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্র পশু হাসপাতাল। এটি নির্মাণের ঠিক তিন থেকে চার বছর পরই বন্ধ হয়ে যায় উপকেন্দ্রটি।

এরপর থেকে তিন দশক ধরে এভাবেই পড়ে রয়েছে হাসপাতালটি। এর মধ্যে দেখা মেলেনি কোনো প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তার। উপায় না পেয়ে পশুর চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যেতে হয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে। এতে একদিকে যেমন বেড়ে যায় ব্যয়, তেমনি বাড়ে কষ্ট।

আর বতর্মান চিত্র আরো ভয়াবহ, হাসপাতালটির প্রবেশ পথের সামনে রাখা হয়েছে বালুর স্তূপ। এখানে সারাদিন ধরে বালির ব্যবসা, আর রাতে পরিনত হয় মাদকসেবীদের আকড়া।

স্থানীয় খামারিদের দাবি, দ্রুত এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক, কর্তৃপক্ষের কাছে এটিই চাওয়া।

বামন্দী পশুহাট মালিকদের দাবি, জেলার সবচেয়ে বেশি ভ্যাট দিয়ে থাকে বামন্দী পশুহাট কর্তৃপক্ষ। তাই এই পশু হাসপাতালটি চালু করা খুব দরকার।

এদিকে গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে বলা হয়েছে, অতিদ্রুতই-এর কাগজপত্র প্রস্তুত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

স্থানীয় জনি আহমেদ বলেন, আমার বয়স পঁচিশ বছরের মতো হবে। আমি জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি হাসপাতালটি বন্ধ হয়ে আছে। এত দিন ধরে পড়ে থাকার কারণে পশু হাসপাতালটি একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু দাঁড়িয়ে আছে ঘরটি। হারিয়ে গেছে পশু চিকিৎসার সরঞ্জাম ও দরজা-জানালা।

মানুষ এখন এটির সামনে বালি রেখে ব্যবসা করে এটিকে বালির ঘাট বানিয়ে ফেলেছে। তবে দ্রুত এ ঘরটি সংস্কার করে নতুনভাবে চালু করা হোক।

বামন্দী ব্যবসায়ীক সমিতির সভাপতি ও ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশুহাট ইজারাদার মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘হাসপাতালটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারণে একেবারে পরিত্যক্ত হয়ে গেছে। তাই আমাদের জোর দাবি, এই পশু হাসপাতালটি চালু করা হোক।

আমরা এই হাটটি থেকে বছরে জেলার সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদান করে থাকি। আমাদের শুক্র ও সোমবার এই দুদিন হাটে ৮ থেকে ১০ হাজার পিস গরু ছাগল আমদানি হয়ে থাকে। এই পশু যেকোনো সময় অসুস্থ হতে পারে। পশু হাসপাতালটি চালু হলে খামারি ও ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হবে। কেননা খামারিদের পশু অসুস্থ হলে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য উপজেলায় যেতে হয়। এটা অত্যন্ত কষ্টকর।

খামারি আ. জাব্বার বলেন, আমরা খামারে গরু পালন করি আর পশু অসুস্থ হলে দশ কিলোমিটার দূরে উপজেলা প্রাণিসম্পদে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। আর আমাদের বামন্দী পশু হাসপাতালের ডাক্তার ডেকে আনতে গেলে টাকা দিয়ে নিয়ে আসা লাগে। তাই এই হাসপাতালটি চালু হলে আমরা গরু চাষিরা অনেক উপকৃত হবো।

স্থানীয় পশু চিকিৎসক ইউসুফ আলী বলেন স্থানীয় গবাদিপশু পালনকারিদের কথা ভেবে, আমিসহ আরও কিছু লোক টাকাপয়সা তুলে এই জমি ক্রয় করেছিলাম। পরে উপজেলা পরিষদের টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল। আমিও চাই পশু হাসপাতালটি আবার চালু করা হোক।

গাংনী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মোত্তালেব আলী বলেন, বামন্দীর উপকেন্দ্র পশু হাসপাতালটি ১৯৯০ অথবা ১৯৯১ সালের দিকে নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ ৩১ বছর পড়ে থাকায় নানা সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের উপকেন্দ্রটি। এটি বামন্দী ইউনিয়নে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পশু হাসপাতালটি নিয়ে ইতোমধ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে দ্রুত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।

মোত্তালেব আলী আরও বলেন, বিষয়টি জানার পরই আমরা সরেজমিনে পরিদর্শনও করেছি। সেখানে তিনটি রুম বিশিষ্ট ঘর ছাড়া আর অবশিষ্ট কিছুই নেই। কোনো জানালা, দরজা বা চিকিৎসার সরঞ্জাম দেখতে পাইনি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন দপ্তরে যেতে হচ্ছে।


মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারকালে ৩ পাচারকারী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ পণ্যসামগ্রীসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় কোস্ট গার্ড আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক মায়ানমারের নাইক্ষ্যনদিয়া সংলগ্ন সমুদ্র এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় একটি সন্দেহজনক কাঠের বোটে তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মায়ানমারে পাচারের সময় প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্যসামগ্রী জব্দ করা হয়।

জব্দকৃত পণ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে— ৮৩ বস্তা সিমেন্ট, ৮৫ বস্তা সার ও ৩৪০ লিটার সয়াবিন তেল। এ সময় পাচার কাজে ব্যবহৃত কাঠের বোটসহ তিনজন পাচারকারীকে আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ড জানায়, জব্দকৃত মালামাল, আটককৃত পাচারকারী ও বোটের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক আরও বলেন, “চোরাচালান রোধকল্পে কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।”


banner close