টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে চাষ হয়েছে বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপি। প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা বিষমুক্ত রঙিন কপির ফলন ভালো হওয়ায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। রঙিন স্বপ্নের জাল বুনছেন কপি চাষে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভারতের সিনজেন্টা থেকে বীজ এনে চারা উৎপাদন করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা প্রকল্পের মাধ্যমে ধনবাড়ীতে বেগুনি ও হলুদ ফুলকপি চাষ করা হয়েছে। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বেগুনি ও হলুদ রঙের কপি শোভা পাচ্ছে। পোকা-মাকড় দমনে সেক্স ফেরোমন ও আঠালো ফাঁদ ব্যবহার করা হয়েছে। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করা রঙিন ফুলকপি সুস্বাদু, পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধক। ঔষধিগুণ থাকায় বিশ্বজুড়ে এর চাহিদাও রয়েছে।
গত বছরের মতো এ বছরও উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এক বিঘা জমিতে বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপি চাষ করেছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী মুশুদ্দি গ্রামের মৌসুমি সবজিচাষি মিলন মিয়া ও মিজানুর রহমান। ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিন জমি থেকে কপি কেটে বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। ভিন্ন ধরনের এ কপির চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কেজি কপি ৫০-৭৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মিলন মিয়া বলেন, তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে বিদেশি জাতের হলুদ ও বেগুনি রঙের কপি চাষ করেছেন। কৃষি বিভাগের দেওয়া প্রদর্শনী প্লটে ভালো ফলন হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপি চাষ করে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বরুরিয়া গ্রামের কৃষক রিপন মিয়াও (২৮) ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছেন।
দুই বছর আগে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে রিপন মিয়া ৭ বন্ধুকে নিয়ে ‘সেভেন স্টার অ্যাগ্রো’ ফার্ম নামে ৪ একর জমিতে ফুলকপি, শসা, চিচিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়ার চাষ শুরু করেন। এ বছর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জামালপুর থেকে দুই হাজার রঙিন ফুলকপির চারা সংগ্রহ করে ২০ শতাংশ জমিতে সাদা ফুলকপির পাশাপাশি বেগুনি ও হলুদ রঙের ফুলকপির চাষ করেন। এতে তার সেচ, পরিবহন ও জৈব রাসায়নিক সারের খরচ বাবদ ব্যয় হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
রঙিন ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এবং প্রতিটি কপির ওজন হয়েছে দেড় থেকে ২ কেজি। এতে এক লাখ টাকার ওপরে বিক্রি মূল্য আসবে বলে জানান রিপন মিয়া।
মুশুদ্দি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জানান, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধির জন্য এ রঙিন কপি গুরুত্বপূর্ণ। এই কপির জমিতেই একসঙ্গে চাষ করা হয়েছে কুমড়া ও পটোল। কপি কাটার পরই মাচা দিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের গড় নিবিড়তা বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি মনে করেন।
গোপালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার দৈনিক বাংলাকে বলেন, এ কপি ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে বিক্রি করা যায়। রঙিন ফুলকপির মধ্যে বিটা কেরোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সডিন্টে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আগামীতে এই কপির চাষাবাদ বাড়াতে কৃষককে প্রয়োজনীয় সব পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
প্রায় দুই দশকের দাম্পত্য জীবনের করুণ পরিণতি- সন্দেহ এবং টাকা আত্মসাতের ভয় থেকেই ঘটেছে ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড। স্ত্রীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মরদেহ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন মো. নজরুল ইসলাম (৫৯)। সন্তানদের ফুফুর বাসায় রেখে আত্মগোপনে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি তার। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশাল থানাধীন নবাবপুর রোড এলাকা থেকে কলাবাগান থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যে বাসার ওয়্যারড্রব থেকে উদ্ধার করা হয় হত্যায় ব্যবহৃত ধারালো দা।
গতকাল বুধবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।
তিনি বলেন, গত ১২ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে নজরুল ইসলাম কলাবাগানে একটি ফ্ল্যাটে ফিরে দেখেন ঘরের দরজার তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। স্ত্রী তাসলিমা আক্তারের প্রতি দীর্ঘদিনের সন্দেহ- পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক ও তার সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার ভয় তাকে উত্তেজিত করে। রাত ১২টার দিকে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করেন তিনি। এরপর মরদেহ গামছা দিয়ে বেঁধে, বিছানার চাদর ও ওড়না দিয়ে মুড়িয়ে বাসার ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন।
পরে রক্তমাখা তোশক উল্টিয়ে, মেঝে পরিষ্কার করে এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে আলামত গোপনের চেষ্টা করেন। পরদিন সকালে নজরুল ইসলাম তার বড় মেয়ে নাজনীন আক্তারকে জানায়, তাদের মা অন্য পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে। এ সময় নাজনীন আক্তার ঘরের দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পায়। এরপর নজরুল ইসলাম তার দুই মেয়েকে নানার বাড়ি রেখে আসার কথা বলে রাজধানীর আদাবরে তাদের ফুফুর বাসায় রেখে নিজের প্রাইভেটকারে করে পালিয়ে যান।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, এ বিষয়ে সন্দেহ হলে নিহত নারীর ছোট ভাই নাঈম হোসেন ও দুই মেয়ে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলাবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কলাবাগান থানা পুলিশের একটি টিম নিহত নারীর ওই ফ্ল্যাটে উপস্থিত হয়ে ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ঘরের মধ্যে রাখা ডিপ ফ্রিজ খুলে ফ্রিজের ওপর থেকে মাছ-মাংস সরালে ফ্রিজের ভেতর চাদর দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় তাসলিমা আক্তারের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ।
তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন ও সিআইডির ক্রাইম সিন টিমের সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ ডিপ ফ্রিজের ভেতর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন রাতে তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলাটি রুজুর পর সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ নিহতের স্বামী মো. নজরুল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করে। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাসার ওয়্যারড্রব থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার নজরুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিসি মাসুদ আলম জানান, নজরুল ইসলাম ও তাসলিমা আক্তার দম্পতির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। নজরুল ইসলাম অবৈধ সম্পর্কের সন্দেহে স্ত্রীকে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। এমনকি সে ভয় পেতো যে স্ত্রী তার সম্পত্তি ও ব্যাংকে রাখা অর্থ হাতিয়ে নেবে। এই সন্দেহ ও নিয়ন্ত্রণের মানসিকতা থেকেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রমনা বিভাগের ডিসি বলেন, ঘাতক স্বামীর একটি অ্যাকাউন্টে ফিক্সড ডিপোজিট করা ছিল এক কোটি টাকা। নমিনি ছিলেন তার স্ত্রী। আরেকটি অ্যাকাউন্টে ৪০ লাখ টাকা ছিল সেটাও নমিনি স্ত্রীর নামে। এই টাকা নেওয়ার জন্য নজরুল ইসলামকে তার স্ত্রী যে-কোনো সময় মেরে ফেলতে পারে বলে ধারণা ছিল গ্রেপ্তার নজরুল ইসলামের।
২০ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী হিসেবে রয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
দুদক জানায়, আসামি মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ’ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন ঘোষণা প্রদানসহ মোট ২০ কোটি ৬৯ লাখ ২৫৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ-দখলে রেখেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, আসামি দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অবৈধ অর্থের প্রকৃতি গোপন করার অসৎ উদ্দেশে ৬৮ একর জমির বায়না অর্থ পরিশোধ করে নিজ নামে বায়না দলিল সম্পাদন করেন। পরবর্তীতে তিনি তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এভালন এস্টেট লিমিটেড-এর নামে জমিটি ক্রয় করে ওই অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে দুরারোগ্য ব্রেইন স্টোক রোগে আক্রান্ত তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শিশু মুক্ত শর্মা (১১) বাঁচতে চায়।
সে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের হতদরিদ্র দীপক শর্মা ও মুক্তা রাণী শর্মা দম্পতির ছেলে এবং রঘুনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। অসুস্থতার কারণে তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার অভাবে যত দিন যাচ্ছে স্কুল ছাত্র শিশু মুক্ত শর্মা’র অসুস্থতা ততই বেড়ে যাচ্ছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে সে। এভাবে সময় পার হলে এ সুন্দর পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করবে এমন আশঙ্কা করছে মুক্ত শর্মা’র পরিবার। মুক্তা শর্মা’র বাবা সেলুন ব্যবসায়ী দীপক শর্মা আবেগাপ্লুত কন্ঠে জানান, ২০২৪ সালে ছেলের ব্রেইন স্টোক হয়।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নিউরোলজি বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সুকুমার মজুমদারের চিকিৎসা করেছি। তার পরামর্শ নিয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোলজি বিভাগের স্টোক এন্ড ইন্টারভেনশনালহেড অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে’র চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুয়ায়ী, মুক্ত শর্মাকে বাঁচাতে হলে দ্রত ব্রেইন অপারেশন করতে হবে। এতে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
মুক্ত শর্মা’র বাবা-মা কেঁদে কেঁদে বলেন, ছেলের চিকিৎসা খরচ মেটাতে গিয়ে নি:স্ব হয়ে গেছি। ভিটেবাড়ীর জমিটুকুও বিক্রি করে তার চিকিৎসা খরচ চালিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করানোর মত আর কোন সহায় সম্বল নাই। শিশুটির বাবা-মা সন্তানের এমন অবস্থায় বাকরুদ্ধ। চোখে মুখে অন্ধকার ছাড়া কিছুই দেখছেন না। তার আপন সন্তানের চিকিৎসায় এত টাকা কোথায় পাবে তা নিয়ে চিন্তিত। কে দেবে এতটাকা, তাও বলতে পারছেন না।
এমতাবস্থায় ফুট ফুটে ১১ বছর বয়সী এ শিশুটির জীবন বাঁচাতে পরিবারের পক্ষ থেকে সমাজের বিত্তবান, দানশীল,বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা সহ দেশ-বিদেশের স্ব-হৃদয়বান মানুষদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
রোগাক্রান্ত শিশু মুক্ত শর্মা’র আকুতি, আপনারা আমাকে বাঁচাতে সাহায্য করুন, আমি বাঁচতে চাই। আমি ভালো হয়ে স্কুলে পড়তে যাবো।
শিশু মুক্ত শর্মাকে চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে যোগাযোগ : মুক্ত’র পিতা দীপক শর্মা: ০১৭৬৪৯৭০৪৭৮ (নগদ/বিকাশ)।
রাজবাড়ীর পাংশায় জুয়েলার্সের কারখানায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় শহরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পাংশা পৌরশহরের স্টেশন রোডের কাজী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ‘সিকদার জুয়েলার্সের কারখানা’তে বুধবার (১৫ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে
কারখানার কারিগররা প্রতিদিনের ন্যায় কাজ শেষ করে কারখানা বন্ধ করে চলে যান। গভীর রাতে কোনো একসময় সংঘবদ্ধ চোরের দল জানালার গ্রীল কেটে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে এ চুরি সংঘটিত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে কারিগররা দোকান খুলে দেখেন, ড্রয়ারগুলো ভাঙা ও কারখানার সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে দোকান মালিক সঞ্জীব সিকদার পাংশা মডেল থানায় জানান।
সিকদার জুয়েলার্সের মালিক সঞ্জীব সিকদার বলেন, "কারিগররা কাজ শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কারখানা বন্ধ করে চলে যায়। সকালে এসে কারখানা খুলে দেখে সবকিছু এলোমেলো ও কারিগরদের ড্রয়ার ভাঙা।" তিনি আরও জানান, "কারখানা থেকে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণ ও ৩০ থেকে ৩৫ ভরি রূপা চুরি হয়েছে।"
একই রাতে শহরের অনুপ দত্ত নিউ মার্কেটের ছাদে অবস্থিত মৌচাক রেস্টুরেন্টেও চুরির ঘটনা ঘটে। রেস্টুরেন্টের মালিক নাজমুল আলম বলেন, "রাতে আমার দোকানের জানালা দিয়ে চোর ভিতরে ঢুকে প্রায় ২ হাজার ২ শত টাকার সিগারেট নিয়ে গেছে।"
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার এবং পাংশা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সহকারী পুলিশ সুপার দেবব্রত সরকার বলেন, “সিকদার জুয়েলার্সের একটি কারখানায় গত রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্ত শুরু করেছি। বাজারের বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে পারব।”
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘দয়া করে দেশটাকে বাঁচান। এখন আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। এখন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে দেশটাকে বিশৃঙ্খলার দিকে ঠেলে দেবেন না। যারা বিভিন্ন দাবি তুলছে, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তারা নির্বাচনটাকে বন্ধ করতে চায়। কিন্তু দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। দয়া করে এসব আন্দোলন বাদ দিয়ে নির্বাচনটা শেষ করতে দিন।’
গতকাল বুধবার ঠাকুরগাঁও-১ আসনের গড়েয়া ইউনিয়নে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না, আর কোনো নতুন দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট ও পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দেন, দেশের মানুষ বাঁচুক।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হতেই পারে, সেটা পরবর্তী সংসদে আলোচনা করতে পারেন। কিন্ত এ জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার প্রয়োজন নেই। দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুত নির্বাচন হতে দেন।’
তিনি বলেন, ‘আর কোনো হিংসার রাজনীতি আমরা চাই না। শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রই বিএনপির চাওয়া। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। দেশের সাধারণ মানুষের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ আরও সুন্দর হয়। সংস্কারের মাধ্যমের দেশটাকে সুন্দর, সমৃদ্ধ করতেই তো ছুটছি আমরা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনগণ যে প্রার্থীকে ভোট দেবেন, তিনি সংসদে গিয়ে আপনাদের জন্য কথা বলবেন সেটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা। সে নিয়মে ভোট হয়ে এসেছে। তবে এবারের নির্বাচন একটু ভিন্ন, যেখানে পার্লামেন্টে দুটা কক্ষ থাকবে, উচ্চ ও নিম্নকক্ষ। নিম্নকক্ষে দল থেকে মনোনীত ও আপনাদের ভোটে নির্বাচিত প্রার্থী নির্বাচিত হবেন। আর উচ্চকক্ষে যারা প্রতিনিধি হবেন, সেখানে আলেম সমাজের মানুষ, বিজ্ঞ সমাজ, হিন্দু-বৌদ্ধ সবাই থাকবেন। যারা আপনাদের নিয়ে কাজ করবেন, আপনাদের পক্ষে কথা বলবেন। সবাই মিলে থাকাটাই বাংলাদেশ। শত ফুল ফুটতে দাও। সকল ফুল ফুটলে সৌরভ ছড়িয়ে যাবে।’
জুলাই সনদ নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীকাল শুক্রবার এ সনদে স্বাক্ষর করা হবে। কঠিন শব্দ জনগণ কম বোঝে, তারপরও এটা করা হবে। সবাই যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, তা নিয়ে সনদ হবে। সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, সেগুলো স্বাক্ষরিত হবে। আর যেগুলোতে সম্মত হয়নি, সেগুলো জনগণের মতামত লাগবে।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ভোট টানতে নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগ করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত মঙ্গলবার থেকে নিজের নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন বিএনপির এ শীর্ষ নেতা।
জনসংযোগের সময় বিএনপির ঠাকুরগাঁও জেলা সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির অনেক নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে বান্দরবান ও চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন স্থানে বাহিনীর চলমান কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সফরকালে তিনি বাহিনীর সদস্যদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি, অপারেশনাল সক্ষমতা উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। একই সঙ্গে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুসংহত রাখতে আনসার ও ভিডিপির সমন্বিত দায়িত্ব ও কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বান্দরবানের সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন (১০ বিএন)-এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মহাপরিচালক স্বাধীনতা-পরবর্তী ও পূর্ববর্তী সময়ে পার্বত্য অঞ্চলে আনসার ব্যাটালিয়নের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “আনসার বাহিনী ১৯৭৬ সাল পূর্বকাল থেকেই মাতৃভূমির স্বার্থরক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে নিবিড় সমন্বয় ও সামঞ্জস্য বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করে আসছে। ফলে বাহিনী অর্জন করেছে দেশবাসীর অবিচল আস্থা।” “পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ, সবুজ বাংলাদেশ” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সুয়ালক আনসার ব্যাটালিয়ন আয়োজিত গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে মহাপরিচালক মহোদয়ের হাত থেকে বান্দরবানের সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা গাছের চারা গ্রহণ করে। আনসার সদস্য ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডে সম্মিলিত অংশগ্রহণ কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাই নয়, বরং টেকসই পরিবেশ ব্যবস্থাপনা গঠনে বাহিনীর দীর্ঘদিনের দায়বদ্ধতাকে পুনর্ব্যক্ত করে।
রুমা আনসার ব্যাটালিয়ন (১৬ এবিএন) পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “দেশের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মানদণ্ডে আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালনের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, “নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে বহিঃশত্রু বা অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকি, সামাজিক উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা কিংবা নিরাপত্তা পরিধি স্খলনের যেকোনো ঝুঁকি প্রতিহত করতে আনসার বাহিনীর ভূমিকা হবে শক্তিশালী ও অবিচল।” মহাপরিচালক দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, “বর্তমানে আনসার বাহিনীর অন্যতম অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হলো সদস্যদের পেশাগত উৎকর্ষ অর্জন।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা প্রদান, যৌথ টহল কার্যক্রম (এসআরপি, এলআরপি) এবং সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে আনসার বাহিনীর সক্রিয়, সহনশীল ও পেশাদার ভূমিকা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। সফরের শেষাংশে মহাপরিচালক চট্টগ্রামের পটিয়া আনসার ব্যাটালিয়ন (৩৭ বিএন)-এর চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের প্রতি দেশ ও জাতির কল্যাণে একনিষ্ঠভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, আগামীকাল মহাপরিচালক চট্টগ্রামের রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় চলমান ভিডিপি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবেন বলে আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে। মহাপরিচালকের এ সফরকালে আরও উপস্থিত ছিলেন উপমহাপরিচালক (অপারেশন্স) মোঃ সাইফুল্লাহ রাসেল, উপমহাপরিচালক (চট্টগ্রাম রেঞ্জ) ড. সাইফুর রহমানসহ বাহিনীর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নূরুল আমিন বিপ্লব আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। পাশাপাশি আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের অতিরিক্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইসলাম উদ্দিন (৫৫) তাড়াইল উপজেলার ধলা ইউনিয়নের তেওরিয়া গ্রামের মৃত আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি ধলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তর ধলা চকেরবাড়ির ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম ও তেওরিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইসলাম উদ্দিন কামরুল ইসলামকে ছুরিকাঘাত করেন।
তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে কামরুলের ভাতিজা আনোয়ার ফকির ওরফে আনার (৩৭) এর বুকেও ছুরিকাঘাত করেন ইসলাম উদ্দিন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় আনোয়ার ফকিরকে উদ্ধার করে তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহতের ছোট ভাই আখলাকুল ফকির বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে তাড়াইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ইসলাম উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করে।
মাগুরায় হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে ‘তওহিদভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে গণমাধ্যম কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার মাগুরা প্রেসক্লাব হলরুমে এই সভার আয়োজন করা হয়। মাগুরা জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম মিলনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি আলিম শেখ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান মিলন এবং খুলনা বিভাগীয় রাজনৈতিক যোগাযোগ সম্পাদক ফিরোজ মেহেদী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বর্তমান বিশ্বে কোন মতবাদ বা ব্যবস্থা মানবজাতির জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আজ পৃথিবীতে গভীর সংকট বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।
বক্তারা আরো বলেন, কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা নাগরিকদের নিরাপত্তা, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে না পারলে সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা ব্যর্থ। তাই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের শান্তিপূর্ণ ভূমিকা অপরিসীম।
গোলটেবিল বৈঠকে মাগুরার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সংগঠনের নেতারা ও সুধীরা উপস্থিত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শুম্ভপুর রেল গেইট এলাকায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্র-জনতা। বুধবার দুপুরে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শুম্ভপুর রেল গেইট এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, ভৈরবকে জেলা বাস্তবায়ণের দাবিতে ছাত্রজনতা জড়ো হয়ে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনের পূর্বে শুম্ভপুর রেল গেইটে এলাকায় রেল লাইনের ওপর লাল কাপড় টাঙিয়ে ট্রেনটি বেলা ১.২১ মিনিটে থামিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ছাত্র জনতা তাদের দাবি জানিয়ে ৫-৭ মিনিট পর ভৈরব থানার পুলিশের সহযোগিতায় শুম্ভপুর এলাকা থেকে ভৈরব স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এ সময় হঠাৎ চলতি ট্রেন থাকতে দেখে পথচারীদের মধ্য নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
এ সময় স্থানীয় ছাত্র-জনতার নেতা রাজীব বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি ভৈরবকে দেশের ৬৫ তম জেলায় রূপান্তর করা। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত বিগত সরকার আমাদের দাবি পূরণ করেননি। তাই বর্তমান সরকারের কাছে দাবি থাকবে অতি দ্রুত ভৈরবকে জেলা ঘোষণাসহ বাস্তবায়ন করবে। তা না হলে কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে ভৈরবে সড়ক, রেল ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়ার হুশিয়ারি দেন।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি এসআই তোফায়েল আহমেদ জানান, জেলার দাবিতে ছাত্র-জনতা নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেন। ট্রেনটি শুম্ভপুর এলাকায় ৫-৭ মিনিটের মত থেমে ছিল বলে তিনি জানান।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর প্রশাসনের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করেছে পৌরসভাটির চিত্র। প্রাণ ফিরে পেয়েছে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও বাজার উন্নয়নের কার্যক্রম। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকাসহ ভানুগাছ বাজারের স্থানীয় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা তাদের অর্থ দিয়ে নির্মাণ করেছেন দোকানকোটা। যা থেকে পৌরসভা মাসিক ভাড়া গ্রহণ করতে পারবে যা পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে। নতুন করে নানামুখী উন্নয়নের মাধ্যমে কমলগঞ্জ পৌরসভাকে বদলে দেওয়ার কারিগর হিসেবে ক্লান্তিহীনভাবে কাজ করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মাখন চন্দ্র সূত্রধর।
জানা যায়, কমলগঞ্জ পৌরসভার ভানুগাছ বাজারে পূর্ব ও পশ্চিম পাশের নালার ওপর প্রকল্প কর্তৃক জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার থেকে ইজিপিতে দরপত্রের মাধ্যমে ড্রেন স্ল্যাবসহ নির্মাণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে। তৎকালীন পৌর মেয়র মো. জুয়েল আহমেদের সিদ্ধান্ত ছিল কালভার্টে স্ল্যাব নির্মিত হলে পূর্ব ও পশ্চিম অংশ ভবিষ্যতে পৌর কর্তৃপক্ষ সালামির বিনিময়ে সেখানে সেমিপাকা দোকান গৃহনির্মাণ করে পৌরসভার মাসিক ভাড়া গ্রহণ করতে পারবে যা পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে। সে লক্ষ্যে কালভার্টের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে স্ল্যাবসহ কালভার্ট নির্মিত হওয়ার পর জায়গাটি অরক্ষিত থাকায় ভানুগাছ বাজারের ব্যবসায়ীসহ খুচরা ফল বিক্রেতারা সে জায়গার ওপর ময়লা-আবর্জনা ফেলে জায়গাটি দখল করে নষ্ট করে ফেলতেছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে সিদ্ধান্ত নেয় যে, জায়গাটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেলামির ভিত্তিতে সেমিপাকা দোকান গৃহনির্মাণ করে দিলে জায়গাটি সুরক্ষিতসহ পৌরসভার রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
অতিসম্প্রতি একটি কুচক্রীমহল ইর্ষান্বিত হয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে ভানুগাছ বাজারের দোকানকোঠা নির্মাণ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভুল এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজী মামুনুর রশীদ, আবু তালেব, আরমান হোসেন দুলনসহ অনেক ব্যবসায়ীরা জানান, পৌরসভার এমন উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। আরও আগে যদি এমন উদ্যোগ নেওয়া হতো তাহলে কমলগঞ্জের ভানুগাছ বাজারের চিত্র পাল্টে যেত। বর্তমানে বাজারের ভেতরে দোকান ঘর নির্মাণ ও পৌরসভার ভেতরে ড্রেনের ওপর দোকানকোটা নির্মাণ করায় পৌর এলাকার ভানুগাছ বাজারের চিত্র পাল্টে গেছে। সবগুলো চালু হলে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মানুষজন এসে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবে। যা থেকে সরকার ভালো রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
নিজ অর্থায়নে পৌরবাজারে ঘর নির্মাণ করা রাজন, পারভেজ, শুভ, বুলবুল, মুক্তাদিরসহ অনেকেই জানান, আমরা পৌরসভায় আবেদন করি। তার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ অর্থায়নে দোকানকোটা নির্মাণ করি। যা থেকে পৌরসভা মাসিক ভাড়া আমাদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন। এতে করে সরকারের বাড়তি রাজস্ব আয় হবে। তারা জানান, বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল পৌরসভার এমন উন্নয়নের চিত্র দেখে ওঠে পড়ে লেগেছে নিন্দা করার জন্য। তারা ফায়দা লুটতে না পারায় বিভিন্ন ফেক আইডি ব্যবহার করে পৌরসভার বদনাম ছড়াচ্ছে। যা তারা কখনো সফল হতে পারবে না।
ভানুগাছ বাজার পৌর বণিক সমিতির সভাপতি ও কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া সফি বলেন, স্থানীয় উদ্যোক্তা ও বণিক সমিতির সহায়তায় বাজারে দোকানকোটা নির্মাণ করা হয়। যা পৌর বণিক সমিতির যেমন লাভ হবে, তেমন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পৌরসভার আয় বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরও জানান, বর্তমান পৌর প্রশাসক যেকোনো ধরনের নাগরিক সমস্যার কথা জানালে তিনি ছুটে যান সেই সমস্যা সমাধানে। এভাবে তিনি অল্প সময়ে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। এত অল্প সময়ে প্রশাসক হিসেবে যে সকল কাজ হাতে নিয়েছেন সেগুলো ছিল পৌরবাসীর প্রাণের দাবি।
আলাপকালে কমলগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ বেলাল আহম্মদ জানান, পৌরসভার ভানুগাছবাজারে ঘর নির্মাণ ও ড্রেনের ওপর দোকান কোটা নির্মাণের পর বাজারের পুরো চিত্র পাল্টে গেছে। যা আগের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এসব ঘর ও দোকানঘর থেকে পৌরসভা রাজস্ব আয় করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ গেজেট অতিরিক্ত, অক্টোবর ৬, ২০০৯ সালের পৌরসভার সম্পত্তি চুক্তি ৪৪-১ (ক) বিধি মোতাবেক ‘পৌরসভার মালিকানাধীন অথবা তার ওপর ন্যস্ত সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা, রক্ষণাবেক্ষণ, উন্নয়নের জন্য বিধান করিতে পারিবে’ এবং ৪৪-২ (খ) বিধি মোতাবেক ‘নিজস্ব অথবা সরকার অথবা অন্য কর্তৃপক্ষ হতে প্রাপ্ত সম্পত্তির সার্বিক ব্যবস্থাপনা এবং উন্নতি সাধন করতে পারবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কমলগঞ্জ পৌর প্রশাসক মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, তিনি নিজের দায়বদ্ধতা থেকেই এ কাজগুলো করে যাচ্ছেন। যতদিন দায়িত্বে রয়েছেন ততদিন কমলগঞ্জ পৌর ও উপজেলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাবেন। এ বিষয়ে তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নাটোর জেলার সেপ্টেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ থানা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে বড়াইগ্রাম থানা। একই সঙ্গে জেলার শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন বড়াইগ্রাম থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) রাকিবুল ইসলাম। মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও বিভিন্ন মামলার আসামি গ্রেপ্তারে বিশেষ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই পুরস্কার অর্জন করেন।
বড়াইগ্রাম থানার পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ থানার পুরস্কার গ্রহণ করেন ওসি মো. গোলাম সারোয়ার। গত মঙ্গলবার নাটোর জেলা পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে সেপ্টেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুলিশ সুপার (এসপি) মো. তারিকুল ইসলাম পুরস্কার ও সন্মাননা স্মারক তুলে দেন। সভায় জেলার সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মামলার নিষ্পত্তি, ওয়ারেন্ট তামিল, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক মামলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, চুরি-ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, নাটোর জেলার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের অগ্রাধিকার। তিনি চাঁদাবাজি রোধ, রাত্রিকালীন টহল জোরদার এবং চুরি-ডাকাতি ও দস্যুতা নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা কার্যক্রম আরও জোরদারের নির্দেশনা দেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. ইফতে খায়ের আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বড়াইগ্রাম সার্কেল) শোভন চন্দ্র হোড়, জেলার সব থানার ওসি, সিআইডি প্রতিনিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি গোলাম সারোয়ার বলেন, এই অর্জন বড়াইগ্রাম থানার পুরো টিমের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। মাদক নির্মূল, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা দিনরাত পরিশ্রম করছি। এই স্বীকৃতি আমাদের আরও দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া কোনো সাফল্য সম্ভব নয়, তাই জনসাধারণের সহযোগিতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি।
সারাদেশে চলমান টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ উপলক্ষে গাজীপুরের কালীগঞ্জে শিশুদের মাঝে জুস ও চকলেট বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার সকালে বালিগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও গাজীপুর-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম ফজলুল হক মিলনের উদ্যোগে বালিগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শামসুন্নাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে জুস ও চকলেট তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, কোমলমতি শিশুদের সুস্বাস্থ্য রক্ষার লক্ষ্যে গত রোববার থেকে সারাদেশে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। কিন্তু অনেক শিশুর মধ্যেই টিকা গ্রহণে অনাগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এই অনাগ্রহ কাটাতে উৎসাহমূলক উদ্যোগ হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে জুস ও চকলেট বিতরণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে টিকা গ্রহণের আগ্রহ বেড়ে গেছে। তারা আনন্দের সঙ্গে টিকা নিচ্ছে এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশে উৎসবমুখরতা বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, জুস ও চকলেট হাতে পাওয়ার পর টিকা নিতে গিয়ে যে ব্যথা পেয়েছিলাম তা একেবারেই ভুলে গেছি। আমরা খুবই আনন্দিত।
এ বিষয়ে উপস্থিত অভিভাবকেরা বলেন, এই উদ্যোগে বাচ্চারা উৎসাহ পেয়েছে। যারা আগে ভয় পেত, তারাও আগ্রহ নিয়ে টিকা নিয়েছে। বিএনপি নেতাদের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।’
বালিগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, ‘অনেক শিক্ষার্থী টিকা নিতে ভয় পাচ্ছিল। পরে বিএনপি নেতারা জুস ও চকলেট নিয়ে মাঠে উপস্থিত হয়ে ঘোষণা দেন- যারা টিকা নেবে না, তারা উপহার পাবে না। এতে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ পায় এবং সবাই টিকা নেয়। এতে স্কুলে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
এ সময় কালীগঞ্জ পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ সিমন সরকার -এর নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৪ এর আওতাধীন গুলশান সংলগ্ন কড়াইল বস্তিতে অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন অত্র কোম্পানির মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌ. শাহনেওয়াজ পারভেজ মহোদয় বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ অভিযান পরিদর্শনসহ জরুরী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং বিভিন্ন গ্রাহক আঙ্গিনায় অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালান।
কড়াইল বস্তির অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে দেখা যায়, উক্ত বস্তিতে বসবাসরত একশ্রেনীর অসাধু লোকজন অবৈধ উপায়ে পুকুরের পানির নীচ দিয়ে ও ম্যানহোলের ভিতর দিয়ে জিআই পাইপ, কয়েল পাইপ ও প্লাস্টিকের পাইপ দিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়েছে। উক্ত অভিযানে রোড-৩৪, গুলশান-২ গ্রাহকের সার্ভিস লাইন হতে অবৈধভাবে প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে কড়াইল বস্তিতে গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হওয়ায় সংযোগটি বিচ্ছিন্নপুর্বক বিভিন্ন সাইজের ১০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। রোড-৩৩, গুলশান-২ এ একজন গ্রাহকের সার্ভিস লাইন হতে অবৈধভাবে প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে কড়াইল বস্তিতে গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হওয়ায় সংযোগটি বিচ্ছিন্নপুর্বক আনুমানিক ২০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। রোড-৩২, গুলশান-২ এ কড়াইল বস্তিতে প্লাস্টিক পাইপের সাহায্যে গ্রাহকের সার্ভিস লাইন হতে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করার কারণে সংযোগটি বিচ্ছিন্নপুর্বক আনুমানিক ৭০ ফিট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে। রোড-২৩/সি, গুলশান-২ এ গ্রাহকের সার্ভিস লাইন হতে অবৈধভাবে প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে কড়াইল বস্তিতে গ্যাস সংযোগ পরিলক্ষিত হওয়ায় সংযোগটি বিচ্ছিন্নপুর্বক আনুমানিক ১৩০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।
Gulsan lake view নামক হোটেলে গ্রা: সং:নং: ১২৮-২১৬২১ এর বিপরীতে মিটার বিহীন আবাসিক রাইজার হতে ২৫ ঘ.ফু স্টার বার্ণার ২টি এবং ২টি ২১ ঘনফুট এর মডিফাইড ডাবল চুলা সহ সর্বমোট ৯২ ঘ.ফু হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হওয়ায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ৬০,০০০/- টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ১টি রেগুলেটর, প্লাস্টিক পাইপ- আনুমানিক ৫০ ফুট অপসারণ করা হয়েছে এবং গাওসুল আজম মসজিদ ( গুলশান মহাখালী রোড সংলগ্ন), ১৫ নম্বর রোডে পুলিশ বক্সের সাথে সার্ভিস লাইন হতে অবৈধভাবে কড়াইল বস্তিতে প্লাস্টিক পাইপের মাধ্যমে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হওয়ায় আনুমানিক ১৫০ ফিট প্লাস্টিক পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।