বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
১৬ আশ্বিন ১৪৩২

ফেনসিডিলসহ আটক, উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক বহিষ্কার

বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম ইসলাম প্রিন্স। ছবি: সংগৃহীত
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:০৩

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফাহিম ইসলাম প্রিন্স ফেনসিডিলসহ র‌্যাবের হাতে আটকের ঘটনায় তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বুধবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ পাভেল এ তথ্য জানিয়েছেন।

ফয়েজ আহমেদ পাভেল জানান, সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও নৈতিক স্খলনজনিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে (ফাহিম ইসলাম প্রিন্স) ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছেন।

মুন্সিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা বলেন, ফাহিম ইসলাম প্রিন্সের ঘটনাটি নজরে এলে আমরা কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদককে জানিয়েছিলাম। তারাই এ ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কেরানীগঞ্জ থানার বন্দর নগরকান্দা এলাকার জনৈক হাজী কালুর বাড়ির দ্বিতীয় তলার ভাড়া বাসা থেকে তিন সহযোগীসহ ফাহিম ইসলাম প্রিন্সকে আটক করে র‌্যাব-১০। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল ও ফেনসিডিল বিক্রির নগদ ৯ হাজার ৯০ টাকা জব্দ করা হয়।

ফাহিমের সঙ্গে আটক তিন সহযোগী হলেন— মো. হুমায়ুন কবির (৩৬), ইমরান মাহমুদ (৩১) ও মো. শরীফ হোসেন। তাদের সবাইকে পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুস সালাম মিয়া জানান, চারজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।


নারী ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই: মাহমুদুল হক রুবেল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে মহিলা দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের অর্ধেক ভোট হচ্ছে নারী। নারী ভোটারদের উপস্থিতিও সবসময় বেশি থাকে। কাজেই প্রার্থী এবং দলের বিজয় দেখতে চাইলে এখন থেকেই নারী ভোটারদের কাছে যেতে হবে। নারী ভোট ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা সম্পর্কে তাদেরকে অবগত করতে হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় এ নেতা বিএনপির ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ঝিনাইগাতী সদর ইউনিয়ন মহিলা দলের নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ঝিনাইগাতী উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জেবুন নেছা হক কোহিনুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোছা. জেসমিন আক্তারের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শাহজাহান আকন্দ, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুৎফর রহমান প্রমুখ।


ফুলের মালায় সংসার চলে বৃদ্ধ রশিদ মিয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

মানুষের কাছে হাত না পেতে বৃদ্ধ বয়সে জীবন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন একাই। জয় পরাজয় বুঝেন না, বাঁচার জন্য খেতে হবে। ঘরে বসে থাকলে খাবার আসবে না। কাজ করেই খেতে হবে। কাজ না করলে ভিক্ষা করে খেতে হবে। মানুষের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা করতে আব্দুর রশিদ মিয়ার লজ্জা করে। তাই তো জীবনের শেষ প্রান্তে এসেও হাল ছাড়েননি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গুতিয়াবো গ্রামের আব্দুর রশিদ (৯০)। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও প্রতিদিন সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে ওঠে তিনি শুরু করেন জীবনের লড়াই। চন্ডীতলা এলাকার এক বকুল গাছের নিচে পড়ে থাকা ফুল কুড়িয়ে তিনি নিজেই মালা গেঁথে বাজারে বিক্রি করেন।
এত ব্যবসা থাকতে ফুল বিক্রি করেন কেনো জানতে চাইলে মুচকি হেসে বলেন, একটা সময় আমিও ফুল খুব ভালবাসতাম। আজ সে ভালবাসা পেটের দায়ে টাকায় বিক্রি করি। বাবাগো এত শুধু ফুল বিক্রি না, ভালোবাসা বিক্রি করি, জীবন সংগ্রামের নামে আমি ভালোবাসা বিক্রি করি। ভালোবাসার প্রতিক ফুল। আজো মানুষ ভালোবাসে তাই ফুল কিনে ভালোবাসার মানুষকে দেয়, আমারও ভালো লাগে। আয়ও মন্দ না, চলে যায় মোটামুটি।
প্রতিটি মালা মাত্র ২০ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। দিনের পরিশ্রম শেষে প্রায় এক হাজার থেকে বারোশো টাকা আয় হয় তার। তবে সবদিন সমান যায় না- কখনো বিক্রি কম হয়, আবার কখনো ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে ভালো দামও পান। আব্দুর রশিদ নিজেই স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘পূর্বাচল ৩০০ ফিট এলাকায় একদিন আমি দুইটা মালা নিয়ে গিয়েছিলাম। একজন ক্রেতা খুশি হয়ে আমাকে ৭০০ টাকা দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, এখনও মানুষ ভালোবাসা দিতে জানে।
৯০ বছরের এই বৃদ্ধের সংসারে রয়েছে দুই ছেলে ও চার মেয়ে। ছেলেরা নিজের মতো কাজকর্ম করেন, তবে সংসারের খরচ টানতে আব্দুর রশিদ এখনো নিজের শ্রমে নির্ভরশীল। রাজধানীর খিলক্ষেত, বসুন্ধরা, পূর্বাচল ৩০০-ফিট, গাউছিয়া—এসব এলাকার রাস্তা ঘুরে ঘুরে তিনি ফুল বিক্রি করেন।
জীবনের কঠিন বাস্তবতা সত্ত্বেও আব্দুর রশিদের মুখে নেই কোনো অভিযোগ। তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, শরীর যতদিন সায় দেবে, ততদিন নিজের হাতেই উপার্জন করে খাব।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদ একজন পরিশ্রমী ও সৎ মানুষ। তার বয়সকে অতিক্রম করে কাজ করার ক্ষমতা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হন। জীবনের সংগ্রাম আর শ্রমের মধ্য দিয়েই তিনি যেন এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন- কষ্টকে জয় করার অদম্য শক্তি নিয়েই তিনি পথ চলছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, এত বয়সেও উনি কাজ করেন, এ জন্য উনাকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই। আমার সাথে যোগাযোগ করলে বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করে দিব। অন্যান্য সুযোগ থাকলে তাও দেখব।


ভরা মৌসুমেও পদ্মা-যমুনায় মিলছে না ইলিশ, হতাশ জেলেরা

দিন-রাত নদী চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

ইলিশের এ ভরা মৌসুমেও পদ্মা-যমুনা নদীতে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। ফলে বাজারে চলছে ইলিশের চরম সংকট এবং দামও অনেক চড়া। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ না পাওয়ায় জেলেরা দিন-রাত নদী চষে বেড়ালেও জ্বালানি খরচ উঠছে না তাদের। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটছে তাদের। ইলিশ সংকটের কারণে পদ্মা-যমুনার তীরবর্তী মাছের আড়তগুলোতেও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন আরিচা ঘাটের আড়তদার ও পদ্মা-যমুনা মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা।
ইলিশের এমন সংকটের কারণ হিসেবে মৎস্য বিভাগ জানিয়েছে, ভরাট হয়ে নদীর গভীরতা কমে যাওয়া, নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল নির্বিচারে মাছ ধরা, নদীর তলদেশে খাদ্য সংকট এবং নদীর পানি দূষণসহ অন্যান্য কারণে ইলিশের সংকট দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এখন বর্ষাকাল চলছে। পদ্মা-যমুনা পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। নদীতে রয়েছে মাছ শিকারী জেলে নৌকার আনাগোনা। কিন্তু এ দৃশ্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে দীর্ঘশ্বাস এবং হতাশার কালো মেঘ। কারণ ভরা মৌসুমেও জেলেদের জালে উঠছে না কাঙ্ক্ষিত চক চকে রুপালি ইলিশ। সারাদিন নদীতে জাল ফেলে উঠছেনা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। এতে জেলেদের জ্বালানি খরচসহ খোরাকিই উঠছে না। হতাশার সাগরে পড়ে হাবু-ডুবু খাচ্ছে পদ্মা-যমুনার জেলেরা।
এদিকে মৌসুমের শুরুতেই মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়েছিলেন যেসব জেলেরা, তাদের ঋণের বোঝা ক্রমেই বেড়েই চলছে। এ প্রতিনিধিকে এমন তথ্যই জানিয়েছেন শিবালয় উপজেলার পদ্মা-যমুনায় মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা।
গত মঙ্গলবার সকালে আরিচা ঘাটের আড়তে গিয়ে দেখা গেছে দেশীয় কিছু মাছ উঠেছে। দু-একটি আড়তে ইলিশ মাছ দেখা গেলেও সেগুলো পদ্মা-যমুনার নয়। এগুলো চাঁদপুর, চট্রগ্রাম থেকে আমদানি করা ইলিশ। কাক ডাকা ভোরে জেলেদের নৌকা তীরে এসে ভেড়া দেখে আশায় বুক বাঁধে আড়তদাররা। কিন্তু নদীতে টানা ১০-১২ ঘণ্টা জাল ফেলে দু-একজন ১ থেকে ২টি ইলিশ মাছ নিয়ে আসে। বাকিরা কেউ আসে শূন্য হাতে, না হয় অন্যমাছ নিয়ে। ৩ থেকে ৫ জনের একটি জেলে নৌকায় অনেক খরচ হয়। এর মধ্যে জ্বালানিসহ অন্যান্য খরচ তুলতে জেলেরা আড়তে এনে ইলিশ মাছের চড়া দাম হাঁকেন। চড়া দামে মাছ ক্রয়ের পরে পাইকাররাও চড়া দামে তা কিনে নিয়ে চড়াদামে বিক্রি করে সাধারণ মানুষের নিকট।
আড়তদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগে এক কেজি ইলিশের দাম ছিল ১ হাজার টাকা। এখন সেই একই ইলিশের দাম ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শিবালয় উপজেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, শিবালয়ের জাফরগঞ্জ পাল পাড়া থেকে বাল্লা মালুচি পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের বিশেষ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বর্ষার এ সময়ে শিবালয় উপজেলার পদ্মা-যমুনার ওই এলাকাজুড়ে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়। উপজেলায় কার্ডধারী মৎস্যজীবী রয়েছে ৪ হাজার ২০০ জন এবং এর বাইরেও আরও অনেক জেলে রয়েছে। শিবালয়ে পর্যাপ্ত মাছের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন অনেক কম। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিবালয় উপজেলায় ৪৯৯ মেট্রিন টন ইলিশ মাছ উৎপাদন হয়। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বছরে দুবার জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। গত অর্থবছরে মা ইলিশ সংরক্ষণের সময় ২ হাজার ১১৪ জন জেলে পরিবারকে মাসে ২৫ কেজি করে দুই মাসের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণের সময় ৬৫০ জন জেলে পরিবারকে প্রতি পরিবারকে ৮০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এছাড়া এসব জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে গরু-বাছুরসহ বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর ইলিশ উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রয়োজনের তুলনায় নদীর নাব্যতা কম, পানি দূষণ, অবৈধ জাল ব্যবহার, অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং জলবায়ু পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য কারণ। নদীর নাব্যতা সংকট এবং ইলিশের খাদ্যের অভাবও মাছের সংখ্যায় প্রভাব ফেলছে।
আড়তদার হাজী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ইলিশের আমদানি না থাকায় অনেক আড়তদারের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে অনেক আড়ত বন্ধ হয়ে গেছে আবার অনেক আড়ত এখন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।’
চৌহালির জেলে ইউসুফ আলী বলেন, ‘আমরা নৌকায় ৬ জন জেলে মিলে নদীতে দিন-রাত মাছ ধরি। ১০-১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে ইলিশ পাই ২-৩ হাজার টাকার কিন্তু আমাদের খরচ হয় তার থেকে অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এই বছর নদীতে ইলিশ নেই বললেই চলে।’
মানিকগঞ্জ জেলা মাৎস্য বিভাগের মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘জাফরগঞ্জ, তেওতা, নিহালপুর, বাল্লা, মালুচিসহ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে পদ্মা-যমুনা নদী। এ বছর আমরা লক্ষ্য করছি এবং জেলেদের থেকে জানতে পেরেছি নদীতে ইলিশ সংকট। তবে আমরা আশাবাদী, আমাদের যে মা ইলিশ সংরক্ষণ করার সময় সূচি, তার আগেই নদীতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ইলিশ আসবে এবং জেলেরা ইলিশ শিকার করতে পারবেন।’


দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করছে একটি চক্র: শরীফ উদ্দিন জুয়েল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে আওয়ামী লীগ, এমন অভিযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল। গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গা উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

দুর্গা পূজা উপলক্ষে তিনি উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ঘোড়ামারা এলাকার ছাতারপাড়া সার্বজনীন মাতৃমন্দির থেকে শুরু করে খলিশাকুন্ডি এলাকার দুটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে তিনি পিয়ারপুর এলাকার একটি মন্দির পরিদর্শন শেষে আল্লারদর্গা এলাকায় গিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ করেন।

পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শরীফ উদ্দিন জুয়েল বলেন, এই দেশ সবার। এ দেশের প্রতিটি ধর্মের মানুষের সমান অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এ বিশ্বাস করে। বিএনপি সবসময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছে।

তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের মুসলমানরা যে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও সমানভাবে সেই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

এসময় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। এমন কোনো পরিস্থিতি চোখে পড়লে আমাদের ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন। যেন আমরা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে এই উৎসব পালন করতে পারি।

সবশেষে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শরীফ উদ্দিন জুয়েল প্রতিটি পূজা মণ্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।


বেনাপোল কাস্টমস কর্মকর্তাদের পূজার ছুটি বাতিল

ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি কম 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

আজ বুধবার এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার পূজার কারণে সরকারি ছুটি থাকলেও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড । ছুটি বাতিল হওয়ায় সীমিত পরিসরে কাস্টমস ও বেনাপোল বন্দরে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম চালু থাকবে।বেনাপোল কাস্টমস এর সহকারী কমিশনার তৌওফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে যে তথ্য জানিয়েছেন। সরেজমিনে সকালে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরে ঘুরে দেখা গেছে কাস্টমসের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করায় তারা সকলেই অফিসে উপস্থিত থেকে কাজ করছেন। কাস্টমস কর্মকর্তাদের উপস্থিতি থাকলেও ব্যবসায়ীদের তেমন কোন উপস্থিতি ছিলনা। ব্যবসাহীদের উপস্থিতি না থাকার কারণে রাজস্ব আদায়ের তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন হঠাৎ করে কাস্টমস কর্মকর্তা পত্রের মাধ্যমে জানিয়েছেন ছুটির দিনে কাস্টমস ও বন্দর খোলা রেখে কার্যক্রম চালু থাকবে। ২/১ দিন আগে তথ্যটা জানালে কাস্টমসে ব্যবসায়ীদের উপস্থিতি থাকতো এবং সরকারের রাজস্ব আদায় হতো। পুজার ছুটির কারনে গতকালই অফিসের স্টাফরা চলে গেছে। এখন কাজ করবে কে? এজন্য কাস্টমস ও বন্দর খোলা থাকলেও আমরা কোন কাজ করতে পারছি না।


বিএনপি ঐক্য ও সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী: মোস্তাফিজুর রহমান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা(চট্টগ্রাম)প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বিএনপি সব সময়ই জাতিগত ঐক্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। গত মঙ্গলবার রাতে তিনি আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। রাতভর তিনি উপজেলার সদর,বারশত,বৈরাগ, বারখাইনসহ বেশ কয়েকটি এলাকার পূজামণ্ডপে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন,ধর্ম আলাদা হলেও আমাদের জাতিসত্তা এক। কে হিন্দু, কে মুসলমান,কে খ্রিস্টান এটি বড় পরিচয় নয়। আমাদের আসল পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশি। এখানে ধর্মের কোনো দেয়াল নেই।

তিনি আরও বলেন,বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচিতে নাগরিক অধিকার, আইনের শাসন,বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার রয়েছে। দেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায়। সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন,শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি, সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে কাজ করলেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা সম্ভব। এটাই বাংলাদেশের সৌন্দর্য।

এসময় আনোয়ারা উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আনোয়ারা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এম নুরুল ইসলাম, আনোয়ারা উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সাগর মিত্র, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ ধর, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, আনোয়ারা উপজেলা বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, আনোয়ারা উপজেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহবায়ক আবদুল গফুর, আনোয়ারা কলেজ ছাত্রদলের সহসভাপতি শেখ আবদুল্লাহ, যুবদল নেতা লোকমান হোসেন, শাহবাজ খান, বৈরাগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, বারখাইন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মো. পারভেজ, রুবেল, ছাত্রদল নেতা মুরাদুল ইসলাম, আশিকুজ্জামান চৌধুরীসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল,ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।


শারদীয় দুর্গোৎসবে সবসময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ছিল: শাহ রিয়াজুল হান্নান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান বলেছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে বাংলাদেশে সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় ছিল। পূজাকে ঘিরে কাপাসিয়া উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ। প্রতিটি মণ্ডপে চলছে দেবী দুর্গার বন্দনা, ভক্ত-শুভানুধ্যায়ী ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত চারপাশ। বিএনপি বরাবরই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের যেকোনো আচার অনুষ্ঠানে তাদের পাশে ছিল, আগামী দিনেও আন্তরিকভাবে থাকবে।

তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে গত মঙ্গলবার রাতে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। তিনি গভীর রাত পর্যন্ত কাপাসিয়া সদর বাজারের যুব ব্যবসায়ী পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পূজামণ্ডপ, কাপাসিয়া বাজারের হরি বাড়ি মন্দির ও জয়কালী মন্দিরে অনুষ্ঠিত পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

এছাড়া উপজেলা বিএনপির নেতারা প্রতিটি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে উপস্থিত হয়ে পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সাথে মতবিনিময় করছেন। নেতারা পূজারিদের সাথে তাদের নিরাপত্তা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে তিনি আরো বলেন, ‘দুর্গাপূজা শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব নয়, বাংলাদেশ একটি শতভাগ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে আমরা বহুকাল যাবত সবাই মিলেমিশে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির উৎসব পালন করি। এটি বাংলা ভাষাভাষীর হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের প্রতীক। দুর্গোৎসবের মাধ্যমে অশুভ শক্তির ধ্বংস ও মঙ্গলের জয়গান সবাই মিলে করি। ‘সব ধর্মেই ভালোর কথা বলা হয়েছে, দুর্গাপূজা আমাদের শিখায়- অশুভ, হানাহানি ও বিভেদ দূর করে ঐক্য, সত্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি আধুনিক ও আদর্শ প্রতিনিধিত্বশীল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

এবছর কাপাসিয়ায় ৭০টি মণ্ডপে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। পরিদর্শনের সময় পূজারীদের বিভিন্ন দাবি পূরণে আন্তরিকতার সাথে আশ্বাস দেন।

এ সময় পূজারীদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বাবু চিত্ত রঞ্জন সাহা, জয়কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি সাংবাদিক সঞ্জীব কুমার দাস, কোষাধ্যক্ষ চন্দন কুমার রক্ষিত, উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ চন্দ্র পাল প্রমুখ।


রাউজানে ১২ কোটি টাকার ট্রমা সেন্টার পুর্নাঙ্গভাবে চালু হয়নি ৩ বছরেও

চুরি হয়ে যাচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরঞ্জমাদি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টার উদ্বোধনের তিন বছরেও চালু হয়নি পুর্নাঙ্গভাবে শুধু ভবনই দৃশ্যমান। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের জরুরিসেবা দেওয়ার জন্য নির্মিত এ প্রতিষ্ঠান এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এরই মধ্যে চুরি হয়েছে সিলিং ফ্যান। একাধিকবার দামি জেনারেটর চুরিরও চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দ্রুতভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা না নিলে এসিসহ অন্যান্য সরঞ্জামও চুরি হয়ে যেতে পারে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর ট্রমা সেন্টার পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক ডা. ফজলে রাব্বী। তারা দ্রুত কেন্দ্রটি চালুর আশ্বাস দেন। জানা যায়, ট্রমা সেন্টার চালু করতে ৩৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে মন্ত্রাণলয়ে। এর মধ্যে আছেন ১ জন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, ৩ জন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ৬জন সহকারী সার্জন, নার্স ও টেকনোলজিস্ট।

দেখা গেছে, প্রায় ২ একর জমির ওপর নির্মিত নান্দনিক এই ট্রমা সেন্টারের প্রবেশমুখে তালাবদ্ধ।

স্থানীয় এক নারী জানান, অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় ইতোমধ্যে সেন্টারের কয়েকটি ফ্যান চুরি হয়েছে, জেনারেটর চুরিরও চেষ্টা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজনে অভিযোগ করেন, ট্রমা সেন্টারের ভেতরের কিছু জায়গা তাদের মালিকানাধীন।

রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জমি জবরদখল করে পরে নকল কাগজপত্রের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পাকিস্তানি নামের এক নারী জানান, তাদের ১৬ শতক জমি এ ট্রমা সেন্টারের ভেতরে দখলে আছে।

একই অভিযোগ তুলে আবুল ফয়েজ তালুকদার জানান, তাদের ১০ শতক জমি জবর দখল করা হয়েছে, এ নিয়ে আদালতে মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে। প্রায় ২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই ট্রমা সেন্টারে ৩তলা প্রশাসনিক ভবন, ৫তলা ২টি ভবন, কনসালট্যান্ট ও অফিসারদের ডরমিটরি, পার্কিং গ্যারেজ ও জেনারেটর রুম রয়েছে। কক্ষগুলোয় লাগানো আছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র। মূল ভবনের দেয়ালে উল্লেখ আছে ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর এটি উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ১ মাস ধরে মোহাম্মদ বাবুল নামের এক ব্যক্তি সেন্টারের দেখভাল করছেন। তবে কে তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তা তিনি স্পষ্ট বলতে পারেননি। শুধু বলেছেন, ম্যানেজারের মাধ্যমে তিনি দায়িত্ব পেয়েছেন। রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করতে জনবলের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ট্রমা সেন্টারের কিছু লাগানো ফ্যান চুরি হয়েছে। সীমানা প্রাচীরের ৪ শতাংশ কাজ বাকি আছে।’ কিছু ভূমি জটিলতা রয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মনি কুমার শর্মা বলেন, বর্তমানে ট্রমা সেন্টারে একজন কেয়ারটেকার দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রমা সেন্টারটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু করতে মন্ত্রণালয়ে যা যা সুপারিশ করতে হয়, সেটি আমরা করেছি। অচিরেই আমরা একটা ভালো সিদ্ধান্ত পাব। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা অত্র ট্রমা সেন্টারটি পুর্নাঙ্গভাবে চালু হলে সেবা পাবে চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের সড়ক দুর্ঘটনা কবলিত হাজারো যাত্রীরা।


মধুপুরে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের চোঙায় তৈরি খাবার ব্রেংআ

নানা পার্বণে উৎসবে গড়ে গারো সম্প্রদায়ের অতিথি আপ্যায়নে আদি ঐতিহ্য
গারো সম্প্রদায়ের বাঁশে পোড়ানো মাংস রান্না করা ব্রেংআ বাসনে ঢালা হচ্ছে। ছবিটি মধুপুরের ভুটিয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

গারো সম্প্রদায়ের আদি ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে ব্রেংআ এখনও কম বেশি তাদের নিজস্ব আচার অনুষ্ঠান পালা পার্বণে ঐতিহ্যবহন করে চলছে। প্রাকৃতিক নিজস্ব রীতি নীতির খাবারে অভ্যস্থ এ জাতি গোষ্ঠীর মানুষেরা তাদের ভাষা সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার খাবারে রয়েছে বৈচিত্র্য। যুগ যুগ ধরে তারা নিজস্ব রীতির খাবার বংশ পরম্পরায় খেয়ে আসছে। যদিও আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোনো কোনো এলাকায় আগের মতো হয়ে ওঠে না। নতুন প্রজন্মের কাছে থেকে যাচ্ছে অজানা। প্রাকৃতিক উপায়ে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এসব খাবার শুধু নিজের কাছেই প্রিয় নয়, অতিথি আপ্যায়নেও চলছে আদি নিয়মেই। তবে প্রাকৃতিক বুনো খাদ্যের ভান্ডার সংকুচিত হওয়ায় খাদ্যের উৎস কমে যাচ্ছে বলে মনে করছে তারা। তবে ব্রেংআ খাবারটি তাদের কাছে প্রিয় স্বাদের ঐতিহ্যবাহী এক খাবারের নাম। যা নিজস্ব রীতিতেই প্রস্তুত করে খাচ্ছে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বসবাসরত গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা।

সরেজমিনে মধুপুরের ভুটিয়া পীরগাছা জলছত্র গায়ড়া টেলকিসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে গারো সম্প্রদায়ের লোকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের ঐতিহ্যবাহী ব্রেংআ বাঁশে পোড়ানো খাবারের নানা গল্প। তারা জানায়, বাঁশের একটি গিটার মধ্যে চুঙা পদ্ধতিতে মাছ, মাংস, শুঁটকী অথবা যেকোনো সবজি রান্নার নাম ব্রেংআ।

উপাদানগুলো হলো- পরিমাণমত লবন, কাঁচামরিচ, পেয়াজ, আদা মেখে একইরকম চুঙ্গায় ভরে কলা বা যেকোন সবাজির পাতা দিয়ে চুঙার মুখটি বন্ধ করে আগুনে পুড়ে রান্না তরকারি। এই রান্নায় তেল মসলার প্রয়োজন নেই। এ খাবারটি তাদের কাছে আদি ঐতিহ্যবাহী একটি খাবার।

ভুটিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষিকা মার্জিনা চিসিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ব্রেংআ রান্নার নানা বিষয়। রান্নাটি করার জন্য একটি স্থানীয় জাতের তল্লা বাঁশের এক হাত পরিমাণ একটি চুঙাতে দেশি মুরগির মাংস ভরার আগে তেল পেয়াজ রসুন আদা সস মরিচ মিশিয়ে নেন। পরে চুঙার মুখ কলার পাতা দিয়ে বন্ধ করে চুলার আগুনে পোড়া দেয়। চুঙার ভেতরে থাকা মাংসটি সিদ্ধ হওয়ার পর তোলে আনে। একটি প্লেটে মাংসগুলো মসলায় মেশানো সুন্দর রঙে বের করেন। এভাবেই ব্রেংআ রান্না করতে দেখা যায়।

মার্জিনা চিসিম জানালেন, এ খাবার তারা বংশ পরম্পরায় তৈরি করে খাচ্ছে। উৎসব পার্বনে বেশি করা হয়।

তার স্বামী জানালেন, ‘ব্রেংআ’ বাঁশের চুঙায় ভরে পোড়ানো একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। এটি মূলত পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ দিয়ে ভর্তা করে তৈরি করা হয়, তবে এতে কাঁকড়া, শামুক ও শূকরের মাংসসহ যেকোনো মাংস রান্না হতে পারে।

চুনিয়া গ্রামের নেবুল দারু জানালেন, এটি মূলত প্রাকৃতিক খাবার। স্বাস্থ্যকর। তাদের সংস্কৃতিতে এ খাবারের কদর রয়েছে। উৎসবে অতিথি আপ্যায়নে বেশির ক্ষেত্রে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।

ভুটিয়া গ্রামের বেনেডিক্ট চিসিক ও থানার বাইদ গ্রামের মিরনী হাগিদক জানালেন, এ খাবার ছাড়াও তাদের এ রকম আরো অনেক খাবার আছে, যা বংশ পরম্পরায় চলে আসছে। তবে আগের মতো এখন আর ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো তৈরি হয় না। দিন দিন আধুনিকতাসহ বিভিন্ন কারণে কমে যাচ্ছে। তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো টিকিয়ে রাখার প্রয়োজন মনে করেন এই দুই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

নেত্রকোনার বিরিশিরি নৃতাত্ত্বিক কালচারাল একাডেমির পরিচালক কবি পরাগ রিছিল বলেন, এ খাবারটি তাদের ঐতিহ্যবাহী একটি খবার। স্বাস্থ্যসম্মত প্রাকৃতিকভাবে প্রস্তুত করা। খেতে অন্য রকম স্বাদ পুষ্টিগুণও বেশি। দিন দিন এ খাবার কম দেখা যাচ্ছে। পারিবারিক ও সমাজিকভাবে নিজেদের মধ্যে রান্না করার মধ্যে দিয়ে ধরে রাখতে পারলে যুগ যুগ টিকে থাকবে এমনটাই মনে করছেন তিনি।


রাজধানীর ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দির পরিদর্শন করলেন বিজিবি মহাপরিচালক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরে দুর্গাপূজা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক আজ বুধবার (০১ অক্টোবর) সকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দির এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বহির্ভাগে অবস্থিত রমনা কালী মন্দিরে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক সনাতন ধর্মাবলম্বীদেরকে শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানান এবং ঢাকেশ্বরী ও রমনা কালী মন্দিরের সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন এন্ড ট্রেনিং) এবং ঢাকা সেক্টর কমান্ডারসহ বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবিও দুর্গাপূজার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। বিজিবি সীমান্তবর্তী দুই হাজারের অধিক পূজামন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের অন্যান্য বড় বড় পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় দায়িত্বও পালন করছে। যার যার ধর্মীয় উৎসব সবাই যাতে নির্বিঘ্নে উদযাপন করতে পারে সেলক্ষ্যে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। আর একটা দিন বাকি আছে, বাকি সময়টুকুতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের দুর্গাপূজা অত্যন্ত সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিজিবি মহাপরিচালক।

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ থেকে বিজিবির ৪৩০ প্লাটুন সদস্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় ২৪টি বেইজ ক্যাম্প স্থাপন করে সর্বমোট ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি নিয়ন্ত্রণাধীন ২,৮৭০টি পূজামণ্ডপের মধ্যে সীমান্তবর্তী (সীমান্তের ০৮ কিলোমিটারের মধ্যে ও পার্বত্য অঞ্চলের ১৫টি পূজামণ্ডপসহ) রয়েছে ১,৪১৭টি এবং সীমান্তবর্তী এলাকার বাইরে রয়েছে ১,৪৫৩টি পূজামণ্ডপ। সীমান্ত এলাকার বাইরের পূজামণ্ডপসমূহের মধ্যে রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪৪১টি, চট্টগ্রাম মহানগরী, রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ায় ৬৯৪টি এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ৩১৮টি পূজামণ্ডপ বিজিবির নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে।

পূজা উপলক্ষে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি ও বিশেষ টহল পরিচালনা করছে বিজিবি। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করছে বিজিবি।


নির্বাচনে পুলিশের সক্ষমতা তৈরি ও ফ্যাসিস্ট মোকাবিলাই বড় চ্যালেঞ্জ: আইজিপি

বক্তব্য রাখছেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

‎বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পর পুলিশ যে ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল সেখান থেকে গত এক বছরে অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার জন্য পুলিশের সক্ষমতা তৈরি করা এবং ফ্যাসিস্টদের মোকাবিলা করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
‎গতকাল মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘এমন একটি বিপ্লবের পরে পুলিশ তাদের স্টেশন ত্যাগ করেছে। সেখান থেকে পুলিশ আজকের অবস্থানে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা চাচ্ছি, অন্তত নির্বাচনটাকে নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর করার জন্য আমাদের যে সক্ষমতা আছে সেটা দিয়েই কাজ করব। আমার বিশ্বাস আমরা সেটা পারব। এই যে আমার করতে পারার যেই প্রচেষ্টা, সেটা করতে পারাটা, এটা সফল হওয়া, এই জায়গাটাই আমি চ্যালেঞ্জ মনে করছি। আমি কিন্তু পালিয়ে যাচ্ছি না। এই চ্যালঞ্জগুলো নিয়েই সামনে এগিয়ে যাব এবং সফল হব।’
‎নির্বাচন চ্যালেঞ্জ হওয়ার পেছনে কী শক্তি রয়েছে সেই বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘কোন শক্তি সেটা আমি এখন বলতে পারব না। এখানে অনেক লোক, অনেক দল ও গোষ্ঠী রয়েছে। যারা পরাজিত ফ্যাসিস্ট তারা অবশ্যই একটা দল। এই দলের যারা সদস্য, সমর্থক, তারা তো অবশ্যই স্বাভাবিকভাবেই একটি বিরোধী শক্তি।’
দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘সারাদেশে ৩১ হাজার ৬০৬টা মণ্ডপে পূজা হচ্ছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। ছোট যেকোনো ইস্যুতে খবর পেলেই আমরা গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
গতরাত পর্যন্ত বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ৪৯টি ঘটনা ঘটছে। তবে কোনোটাই বড় কোনো বিপত্তি সৃষ্টি করেনি। এসব ঘটনায় ১৫টা মামলা হয়েছে এবং ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অপর দুজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলা হওয়ার পরও এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে কেউ কেউ।’
জুলাই আন্দোলনের হতাহতের ঘটনায় মামলা সম্পর্কে আইজিপি বলেন, ‘১ হাজার ৭৬৯টি মামলার মধ্যে ৫৫টির চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি হত্যা মামলা এবং ৩৭টি অন্যান্য মামলা। মামলা তদন্ত শেষ করতে প্রায় এক বছর লেগেছে।’ বাকি মামলাগুলো তদন্ত কবে শেষ হবে তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।


ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

এ বছরের ডিসেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজের দপ্তরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কবে চালু হবে জানতে চাইলে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাশিয়াকে নভেম্বরে চালু করার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা জানিয়েছে ডিসেম্বরে চালু করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি চলে এসেছে। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) একটা দল পর্যবেক্ষণ করে কিছু সুপারিশ করেছে। আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। তারা আবার এসে ফাইনাল সম্মতি দেবে।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম কত হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।
পদ্মা নদীর তীরে পাবনায় অবস্থিত এ দুই-ইউনিটের প্ল্যান্টটি রাশিয়ার নির্মিত ভিভিইআর-১২০০ রিঅ্যাক্টর রয়েছে, যা দুই ইউনিটে মোট ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) নিরাপত্তা মান, প্রাসঙ্গিক দিকনির্দেশনা ও আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন অনুসরণ করা হচ্ছে।
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর নির্মাণকাজ শুরু হয়।


২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট এতে চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও যানবাহন চালকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের অংশে ২৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রী এবং যানবাহন চালকরা।

জানা যায়, বুধবার ভোররাতে মহাসড়কের মোগড়াপাড়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী লেনে একটি যানবাহন বিকল হয়ে যানজটের সূত্রপাত হয়। সকালে কিছুটা যানজট কমলেও দুপুর থেকে আবারও তীব্র হয়েছে যানজট। অসহনীয় যানজেট আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘক্ষণ একই স্থানে দাঁড়িয়ে রয়েছে যাত্রীবোঝাই দূরপাল্লার সব যানবাহন।

যানজটে আটকে পড়া কুমিল্লার চাঁদপুর যাত্রী মোঃ আনোয়র দৈনিক বাংলাকে জানান, ‘সকালে ঢাকা থেকে বাসে উঠে শিমরাইলে এসে যানজটে ৩/৪ ঘণ্টা আটকা পড়েছি।’

আছিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী বলেন, ‘নিলাচল পরিবহনে শিমরাইল থেকে উঠেছি। কাঁচপুর পার হতে ২ ঘণ্টা সময় লেগেছে। এখনও যানজটে পড়ে আছি। গাড়ির নড়ছেই না। পুলিশ কী করছে জানি না।’

নোয়াখালীর যাত্রী ইউসুফ ও কাজী সোহেল বলেন, ‘শিমরাইল থেকে হিমাচল পরিবহনের একটি বাসে সকাল ১০টায় উঠি। কিন্তু ৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা। কখন নোয়াখালী পৌঁছাবো তার হিসেব নেই। মহাসড়কে পুলিশ ঠিকমতো কাজ করলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।’

হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ জুলহাস উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘মোগড়াপাড়া ও দড়িকান্দি এলাকায় বড় গাড়ি বিকল হওয়াতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটি উপলক্ষে মহাসড়কে গাড়িরও দ্বিগুণ চাপ রয়েছে। সাইনবোর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল যানজট। বুধবার দুপুর থেকে যানজট কমতে শুরু করেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘গাড়ি বিকল হওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টি, অপরদিকে পূজা উপলক্ষে ছুটি থাকায় মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।’ আমরা হাইওয়ে পুলিশ ভোররাত থেকে যানজট নিরসনে কাজ করছি জানিয়ে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখন যানজট অনকেটাই কেটে গেছে। ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।


banner close