বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড
২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৭:২৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ২৭ অক্টোবর, ২০২২ ১৬:০৭

শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যাশা করব কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ করব না সেটা হয় না। আমাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে শিক্ষকের আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় ভালো কিছু চাইলে অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি ভালো পরিবেশ তৈরি করা। সেই পরিবেশ শুধু ইট-কাঠ-বালুর অবকাঠামো দিয়ে হয় না, সেই পরিবেশ শুধুমাত্র প্রযুক্তি দিয়ে হবে না। আমার শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি থাকে, আমার শিক্ষকের মনে যদি উৎসাহ থাকে, তাহলে শিক্ষার পরিবেশ সত্যিই যথার্থ হয়ে উঠবে। কাজেই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে চাই। সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি।

দীপু মনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা প্রশ্নফাঁসের মতো আপদগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। তারপরও দুয়েকটি জায়গায় কিছু শিক্ষক নামধারী ব্যক্তি এই কাজটি করার চেষ্টা করেন। এসব শিক্ষকরা কিন্তু সমগ্র শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিন্তু তার দায় সবাইকে নিতে হয়। সে কারণে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কোথাও যদি শিক্ষক মনে করেন যে আমার ছাত্র, আমার প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি ভালো ফলাফল করতে হবে, তাহলে সেটি শিক্ষকের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী কত নম্বর পেল, শুধু সেই নম্বর দিয়ে যেন তাকে বিচার না করি। শুধু নম্বর পাওয়াই যথেষ্ট নয় কিংবা শুধু নম্বর পাওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সে আসলে কতটা শিখল, সে কতটা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হলো সেটিই বিবেচ্য বিষয়। এই বিষয়কে মাথায় রেখে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বাস্তবতার আলোকে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের লিখতে পারা, বলতে পারা, গুণতে পারার দক্ষতা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেটা সম্ভব হয়েছে আমাদের শিক্ষকদের কারণে। খুব নিদারুন কষ্টের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের পড়িয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষায় আমরা আমরা অনেক দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছি। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শিক্ষকদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং দক্ষতা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


বান্দরবানের কেএনএ আস্তানা থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি। ছবি: আইএসপিআর
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ) আস্তানায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গোয়েন্দা তথ্যে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

বিকেলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে সহকারি পরিচালক রাশেদুল আলম খান এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি অপারেশন দল বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়া নামক এলাকায় কেএনএ'র বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অপারেশন দলটি মুনলাই পাড়ার উত্তর পশ্চিমে রুমা খালের পার্শ্ববর্তী লাইচেংয়াই নামক আমবাগানে কেএনএ'র অবস্থানের উপর অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের অস্ত্র-সরঞ্জামাদি ফেলে পালিয়ে যায়।

পরে ওই এলাকা তল্লাশি করে ১টি এসএমজি (ম্যাগাজিনসহ), ২টি গাঁদা বন্দুক (১৫৯ রাউন্ড কার্তুজ ও ১টি কার্তুজ ভর্তি বেল্ট), ১টি বাইনোকুলার, ২টি ওয়াকিটকি সেট, ৩ জোড়া কেএনএ ইউনিফর্ম, ১ জোড়া বুট, ১টি হ্যান্ডকাফ, ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আই ই ডি) তৈরিতে ব্যবহৃত স্প্লিন্টার ও ৫টি স্মার্ট ফোন উদ্ধার করা হয়।


নির্বিচারে পাথর লুটে বিবর্ণ প্রকৃতির লীলাভূমি

৫ আগস্টের পর জাফলং ও সাদাপাথর এলাকা থেকে ২০০ কোটি টাকার পাথর লুট
পাথর উত্তোলনের ফলে দিন দিন সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৫
দেবাশীষ দেবু, সিলেট

দেশের অন্যতম পর্যটক আকর্ষণীয় এলাকা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিখ্যাত জাফলংয়ে সারা বছরই ভিড় করেন পর্যটকরা। তবে নির্বিচারে পাথর উত্তোলনের ফলে দিন দিন সৌন্দর্য হারিয়ে মলিন হয়ে পড়ে জাফলং। কেবল জাফলিই নয়, একই অবস্থা পাথর কোয়ারি হিসেবে পরিচিত সিলেটের পর্যটন আকর্ষণীয় আরও পাঁচটি এলাকারও। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে এসব এলাকা থেকে চলছে নির্বিচারে পাথর লুট। কেবল জাফলং আর সাদাপাথর থেকেই লুট হয়েছে দুইশ কোটি টাকার পাথর। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান সত্ত্বেও পাথর লুট থামানো যাচ্ছে না।

যদিও এলাকার পরিবেশের সুরক্ষা এবং পর্যটক আকর্ষণ ধরে রাখতে ২০১৬ সালে পাথর উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা জারি করে খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। তারও আগে ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এ-সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানা কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন, যা ভবিষ্যতে আরো সংকটাপন্ন হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যেকোনো খনিজসম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’

জানা যায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম কিছুদিন প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে কেবল জাফলং ও সাদাপাথর পর্যটন এলাকা থেকেই প্রায় দুইশ’ কোটি টাকার পাথর লুটে নিয়েছে লুটপাটকারীরা। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতারা জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনার পরও থেমে না থেকে জাফলং-সাদাপাথরসহ সব কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আন্দোলনে নেমেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা। এ জন্য নতুন সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলছেন তারা। অপরদিকে, পরিবেশকর্মীদের পক্ষ থেকে পাথর লুটপাট বন্ধ ও লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পরিবেশ ও পর্যটন সুরক্ষার দাবি উঠেছে। ফলে সরকার পরিবর্তনের পর আরবারও প্রশ্ন উঠেছে- পাথর উত্তোলন নাকি পরিবেশ ও পর্যটনের সুরক্ষা- কোনো পথে হাঁটবে সরকার।

মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত কয়েকবছর বন্ধ ছিলো পাথর উত্তোলন। ফলে জাফলংয়ের পিয়াইন ও কোম্পানীগঞ্জের ধলাই নদীর উৎসমুখে (সাদাপাথর) বিপুল পরিমাণ পাথর মজুদ হয়। স্রোতের তোড়ে উজান থেকে আসা পাথর স্তরে স্তরে মজুদ হয় দুই নদীর উৎসমুখে। এসব পাথরের কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে জাফলং ও সাদাপাথরে পর্যটক সমাগম বাড়ছিলো।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, সরকার পতনের পর প্রথম তিনদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেকটা নিস্ত্রিয় ছিল। এই সুযোগে জাফলং থেকে প্রায় ১২০ কোটি টাকার পাথর লুট হয়েছে। আর কোম্পানিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার ভাষ্যমতে, সাদাপাথর থেকে লুট হয়েছে ২০ কোটি টাকার পাথর। যদিও স্থানীয়দের দাবি, দুই কোয়ারি থেকে ১৪০ কোটি নয়, দুইশ কোটি টাকার ওপরে পাথর লুট হয়েছে। কোয়ারি থেকে পাথর ও বালু লুটের ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানায় ৩টি ও কোম্পানীগঞ্জ থানায় ১টি মামলা দায়ের হলেও মূলহোতারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দুই কোয়ারিতে বালু ও পাথর লুটের সাথে জড়িত প্রভাবশালীদের বেশিরভাগ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। জাফলংয়ের পিয়াইন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের প্রমাণ পেয়ে দলীয় পদ হারান জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহপরাণ। এছাড়া পাথর লুটের সাথে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্সের নাম জড়িয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান, মামলা আর অভিযুক্ত বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ- কোনো কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না পাথর লুট। গত ৬ নভেম্বর সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনেও এমন অভিযোগ করা হয়। মো. ইসমাইল হোসেন নামে জাফলংয়ের এক ব্যক্তি ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের মদদে চলছে পাখর লুট।

এদিকে পাথর উত্তোলনের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে জাফলং ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সামাজিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন খাঁন আনু বলেন, জাফলংসহ সকল পাথর কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন, সংগ্রহ ও সরবরাহ করে দেশের কয়েক লক্ষাধিক মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এই পাথর কোয়ারি বন্ধ থাকায় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন। বেকার হয়ে পড়েছে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক। তিনি বলেন, প্রতি বছরই ঢলের সাথে প্রচুর পাথর ভারত থেকে এই এলাকায় এসে জমা হয়। এসব পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় নদীর উৎসমুখ বন্ধ হয়ে সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটে ঘনঘন বন্যা দেখা দিচ্ছে। তাই পরিবেরে স্বার্থেই পাথর উত্তোলন করা প্রয়োজন।

জাফলং স্টোন ক্রাশার মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবলু বখত বলেন, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় প্রতি বছরই ভারত থেকে প্রচুর পরিমান পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ডলার সংকট আরও বাড়ছে। বেলার সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ সাহেদা আখতার বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে লুটপাট করে জাফলং ও সাদপাথরকে পাথরশূন্য করে ফেলা হয়েছে। এখন আবার পাথর উত্তোলনের দাবিতে মাঠে নেমেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের এই দাবি মানা হলে এসব পর্যটন এলাকা আবার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।

পরিবেশবাদী সংগঠন ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশারুল কবির বলেন, দেশে চাহিদার খুব সল্প সংখ্যক পাথর সিলেটের কোয়ারিগুলোতে পাওয়া যায়। ফলে বড় অংশই ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। তাই পাথর কোয়ারি খুলে দিলে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে এমন দাবি সত্য নয়। কোয়ারি সচল হলে কিছু মানুষ আর্থিকভাবে লাভভান হতে পারেন কিন্তু দেশের বিরাট ক্ষতি হবে। এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহমুদ মুরাদ জানিয়েছেন, পাথর কোয়ারি সচল করা হবে কি না এটি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। তবে এখন পর্যন্ত সরকার থেকে এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। ফলে যারা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একটি গোষ্ঠী বালু পাথর উত্তোলনের মাধ্যমে জাফলংয়ে পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি।


মরা পদ্মায় অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন

ঝুঁকিতে স্থাপনা-ফসলি জমি
অবৈধ ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৪
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী:

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদীর উজানচর ইউনিয়নের নতুন ব্রিজ এলাকায় অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। এতে করে আশপাশের ফসলি জমি, বসতবাড়ি ও কয়েকটি পোল্ট্রি ফার্ম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।

গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, মরা পদ্মায় ড্রেজার বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে বালু তুলে পূর্ব উজানচর, দক্ষিণ উজানচর নতুন পাড়া, বাহাদুরপুর কালুর মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে মোটা পাইপের মাধ্যমে মাটি ফেলা হচ্ছে। এসব বালু বিক্রি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মাটি খেকো চক্র। চক্রের দাবি, তারা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বালু তুলছে।

গোয়ালন্দ উপজেলার জামতলা থেকে দৌলতদিয়া ক‍্যানালঘাট পর্যন্ত মরা পদ্মায় কমপক্ষে ৪-৫টি অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে দিনে-দুপুরে মাটি কাটছে মাটি খেকোরা। মাটি কাটার ফলে ওই এলাকার বসতবাড়ি, মুরগির ফার্ম ও ফসলি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ‘দিনের পর দিন এভাবে মাটি কাটার ফলে আমাদের ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে মাটি কাটা চালু থাকলে আমাদের বসতবাড়ি নিশ্চিহ্ন হতে সময় লাগবে না। মাটি কাটতে নিষেধ করলেও তারা আমাদের ভয়ভীতি দেখায়।’

ফকির সাইফুজ্জামান সান্টু নামের এক ব্যক্তি জানান, নদীর মাঝে তার জমিতে এলাহি নামের এক ব্যক্তি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু তুলছেন। নিষেধ করলে তিনি জানান প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে বালু তুলছেন।

আলাপকালে ড্রেজার মালিক মুঠোফোনে শহীদ ও জামাল দাবি করে বলেন, তারা জমির মালিকদের টাকা দিয়ে মাটি-বালি তুলছেন। তবে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, কোনো নদী বা পুকুর থেকে বালু উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। কেউ বালু-মাটি তুললে সেটা বেআইনি। তিনি কাউকে বালু বা মাটি তুলতে কোনো অনুমতি দেননি। আবারও কেউ নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু-মাটি তুললে অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, উপজেলায় কোনো অবৈধ ড্রেজিং মেশিন বসিয়ে কেউ বালু-মাটি তুলতে পারবে না। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন জিরো টলারেন্সে থাকবে।


ফের ট্রলারসহ ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরের নাফ নদীর মোহনা থেকে আরাকান আর্মি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলরত দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে ধরে নিয়ে গেছে। রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে তাদের ধরে নিয়ে যায় তারা। এর আগে সাম্প্রতিক সময়ে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বুধবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, ‘গতকাল টেকনাফ থেকে দুটি ট্রলার রড-সিমেন্টসহ মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সদস্যরা তাদের বঙ্গোপসাগরের নাফ নদীর মোহনা থেকে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় দুটি ট্রলারে ৬ জন কর্মী ছিল। তারা সবাই সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা।

তিনি জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলারের মধ্য আমার একটি ট্রলার রয়েছে। এ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে।’

সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘টেকনাফ থেকে দ্বীপে আসার পথে দুটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। সেখানে ট্রলারে ৬ জন মানুষ রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’

এ প্রসঙ্গে সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মালামাল ভর্তি দুটি ট্রলারসহ ৬ জনকে মিয়ানমারে ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে কারা কীভাবে ঘটনা ঘটেছে খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’

তবে এ ধরনের ঘটনার বিষয়ে কেউ অবহিত করেননি বলে দাবি করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ।


রূপগঞ্জের লেক থেকে সাত টুকরো লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরের লেকের পাড় থেকে তিনটি পলিথিনের বস্তায় ভর্তি অজ্ঞাতপরিচয়ে এক যুবকের শরীরের বিভিন্ন অংশের সাতটি অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই যুবকের বয়স আনুমানিক ৪০ বছর।

বুধবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ্বরোড সড়কের উত্তর পাশে ৫ নম্বর সেক্টরের ব্রাক্ষণখালী এলাকার লেকের পাড় থেকে শরীরের খণ্ডিত এসব অংশ উদ্ধার করা হয়।

রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, সকাল ৮টার দিকে পূর্বাচলের ৫ নম্বর সেক্টরে লেকের পাড়ে তিনটি কালো পলিথিনের বস্তা পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক এক করে পলিথিনের বস্তাগুলো খুললে একজন পুরুষের শরীরের মাথা, দুটি হাত, শরীরের পিছনের অংশ, নাড়ি ভুড়ি, বাম পা, বাম উড়ুর কাটা অংশ উদ্ধার করে।

ওসি আরেও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ২/৩ দিন আগে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে মরদেহ টুকরো করে তিনটি পলিথিনের বস্তায় ভরে গত মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় পূর্বাচলে লেকের পাড়ে ফেলে যায়। ওই মরদেহের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডির একটি দল ঘটনাস্থলে এসেছে।


শেরপুরে পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুজন নারী। এ ঘটনায় সিএনজির চালকসহ আরও ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের নকলা উপজেলার পাইস্কা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের কন্যা তায়েবা (১০), শেরপুর সদর উপজেলার পালাশিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার পুত্র তাজেন মিয়া (১৫) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়া কান্দা এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী সুবিনা বেগম (২০) ও ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর এলাকার আবুল কাসেমের পুত্র আলাল উদ্দিন (৩৫)।

আহতরা হলেন নিহত তায়েবার বড় বোন তোয়া (১৬), ছোট ভাই আদনান ছাবিদ (৩) ও মা উম্মে সালমা (৪০)।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা এলাকার উম্মে সালমা তার দুই মেয়ে ও শিশুপুত্রকে নিয়ে দুদিন আগে শেরপুরের এক আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। গতকাল বুধবার ময়মনসিংহের উদ্দেশে তারা সিএনজিযোগে রওনা হন। এ সময় সিএসজিতে আরও যাত্রী ওঠেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নকলার গড়েরগাও থেকে পাইস্কা বাইপাস হয়ে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কে ওঠেন সিএনজি চালক। সেখানেই বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগামী একটি পিকআপ সিএনজিচালিত অটোরিকশাটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিন চাকার গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তায়েবা ও তাজেন নামের দুই শিশু নিহত হয়। অন্যরা গুরুতর আহত হন।

তারা জানান, স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। যাওয়ার পথেই সুবিনা বেগম ও আলাল উদ্দিন নামে অন্য দুজনও প্রাণ হারান। বাকি তিনজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হাবিবর রহমান বলেন, বুধবার দুপুরে নকলার পাইস্কা বাইপাসে সিএনজি-পিকআপের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এতে আরও ৫ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে আরও ২জন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। বাকিরা সেখানে চিকিৎসাধীন। পিকআপের চালক পলাতক রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি ও পিকআপটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।


শিশু মুনতাহা হত্যা: গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়াসহ ৪ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

সিলেটের কানাইঘাটের আলোচিত শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তারসহ ৪ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে সিলেটে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী মো. আবু জাহের বাদল তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সিলেটের পিপি আশিক উদ্দিন আশুক জানান, বাদী পক্ষের আইনজীবীরা ৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- নিহত মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার সুমি ওরফে শামীমা (২৫), তার মা আলিফজান বেগম (৫৫), তাদের প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন (৪০) ও নাজমা বেগম (৩৫)।

এদের মধ্যে মার্জিয়া আক্তারকে শনিবার রাতেই সন্দেহবশত আটক করে পুলিশ। রোববার ভোরে মুনতাহার লাশ সরানোর সময় মার্জিয়ার মা আলিফজান বেগমকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের প্রতিবেশী ইসলাম উদ্দিন ও নাজমা বেগমকে আটক করা হয়।

রোববার এ ঘটনায় আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার ভোরে নিজ বাড়ির পাশের পুকুর থেকে মুনতাহার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ভোরে মার্জিয়ার মা আলিফজান একটি শুকনো খালে মাটিতে পোতা মুনতাহার মরদেহ তুলে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয়রা দেখে ফেললে তিনি মরদেহ পুকুরে ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করেন ও মুনতাহার লাশ উদ্ধার করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মার্জিয়াদের ঘর জ্বালিয়ে দেয়।

গত ৩ নভম্বের দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল কানাইঘাট উপজেলার ছয় বছর বয়সি এই শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। মুনতাহার নিখোঁজের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। তার সন্ধান চেয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে পুরস্কারও ঘোষণা করেন। তার লাশ উদ্ধারের খবরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকে।

পুলিশ জানিয়েছে, মুনতাহা হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে মেয়ে নিখোঁজের পর বাবা শামীম আহমদের করা সাধারণ ডায়েরিকে (জিডি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় রূপান্তর করে এই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল জানান, প্রায় চার মাস আগে মুনতাহার গৃহশিক্ষক হিসেবে শামীমা পড়ানো শুরু করেন। কিছুদিন আগে মুনতাহার পরিবার তাকে পড়াতে মানা করে দেয়। এ সময় তার বিরুদ্ধে কাপড় চুরিরও অভিযোগ আনা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিশু মুনতাহাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।

নিহত মুনতাহার বাবা শামীম আহমদ বলেন, পড়ানো শুরু করার পর প্রায়ই মুনতাহার কাপড় কাউকে না বলে মার্জিয়া ফেলে দিতেন। কেউ এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলতেন, এত দামি কাপড় বাচ্চাদের পরানো ঠিক নয়। আবার আমাদের ঘর থেকে হারিয়ে যাওয়া কাপড়ও তাদের ঘরে পাওয়া যেত। এ বিষয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করলে শামীমা বলতেন, এসব কাপড় কে নিয়েছেন, তিনি জানেন না।

তিনি বলেন, আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।


ট্রেনে কাটা পড়ে ৪ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন উপজেলার জোংড়া ইউনিয়নের ইসলাম নগর গ্রামের আজিজার রহমান (৬৫), মোবারক হোসেন (৫৫) ও মকবুল হোসেন (৪৫) এবং একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল ওহাব (৪২)।

স্থানীয় লোকজন জানান, বিকেলে বাউরার আলাউদ্দিন নগর রেলস্টেশনে নামাজ আদায় করার পর চারজন সারাদিনের কাজের টাকা ভাগ করতে রেললাইনে বসেন। ওই সময় পাশেই ধান মাড়াই মেশিন চলছিল। মেশিনের শব্দের কারণে ট্রেনের শব্দ শুনতে পাননি তারা। পরে ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে লালমনিরহাট জিআরপি থানা পুলিশ তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর লালমনিরহাট জিআরপি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

পাটগ্রাম স্টেশন মাস্টার নুর ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তারা চারজন দিনমজুরের কাজ করেন। নামাজ শেষে ট্রেন লাইনের ওপর বসে সারাদিনের কাজের টাকা ভাগ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।

পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক আল মোমেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ দুর্ঘটনা, তা তদন্ত করা হচ্ছে।


সাতক্ষীরায় মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদে মাদ্রাসা শিক্ষকের সাংবাদিক সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই মাদ্রাসা শিক্ষক।

আজ সোমবার বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলন করেন জাফরপুর সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভুক্তভোগী সুপার আব্দুস সাত্তার ও সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মাদ্রাসার সুপার (প্রধান শিক্ষক) আব্দুস সাত্তার। এসময় তিনি বলেন, মানববন্ধনসহ স্থানীয় কিছু পত্রিকায় ১০ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

এসময় মানববন্ধন ও প্রকাশিত সংবাদে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানান আব্দুস সাত্তার। জানান, আওয়ামী লীগের সমথর্ন দূরের কথা বরং জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিগত স্বৈরাচারী সরকারের ১৭ বছরে অসংখ্যবার হামলা, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন তিনি।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগও সঠিক নয়। আওয়ামী সরকারের সময়কালে স্থানীয় আওয়ামী ক্যাডাররা প্রাণনাশসহ নানা হুমকি ও জোরজবরদস্তি করায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও কিছু কাজ করতে বাধ্য হন তারা। এসময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

এর আগে গত রোববার ভুক্তভোগী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন কিছু শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। জানা যায়, মাদ্রাসার কতিপয় শিক্ষক, স্থানীয় কিছু মানুষসহ সমন্বয় পরিচয়ে কিছু বহিরাগত শিক্ষার্থী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জোর করে মানববন্ধন ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন। তবে খবর নিয়ে জানা যায় সমন্বয় পরিচয় দেয়া সবাই ভুয়া।

এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকি বিল্লাহ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।


আলোচিত জিয়াউল আহসানের অবৈধ মার্কেট গুড়িয়ে দিল সড়ক বিভাগ

# অবৈধ মার্কেটের ম্যানেজার ছিলেন র‌্যাব-৮ এর ডিএডি কামরুল # পরিশোধ করা হয়নি মার্কেটের ব্যবসায়ীদের জামানতের অর্ধ কোটি টাকা
বরিশালের রূপাতলী এলাকায় সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খান রুবেল, বরিশাল ব্যুরো

বরিশালে সড়ক বিভাগের জমি লিজের নামে অবৈধভাবে দখল করে বিশাল মার্কেট গড়ে তুলেছিলেন দেশের আলোচিত আয়না ঘরের রূপকার চাকরিচ্যুত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।

এমনকি লিজ বাতিলের পরও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখা এতিমখানা মার্কেট নামক সেই অবৈধ মার্কেটটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

আজ সোমবার সকালে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এসময় জিয়াউল আহসানের নিয়ন্ত্রণে থাকা মার্কেটের ২৬টি দোকানসহ রূপাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে সাগরদী ব্রিজ পর্যন্ত বরিশাল-ঢাকা সড়কের দুই পাশে অর্ধ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম। এসময় জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট তাকে সহযোগিতা করেন।

স্থানীয়রা জানান, ইতিপূর্বে র‌্যাব-৮ এর সদর দপ্তর ছিল রূপাতলী এলাকায়। বর্তমান সমাজসেবা ভবনে অস্থায়ীভাবে চলতো র‌্যাব-৮ এর কার্যক্রম। তখন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান।

তার ক্ষমতার আমলে তৎকালীন র‌্যাব-৮ সদর দপ্তরের সামনে সড়ক ও জনপদ বিভাগের জমি দখল করে জিয়াউল আহসান গড়ে তোলেন একটি মার্কেট। যার নাম দেয়া হয় এতিমখানা মার্কেট। মার্কেটের ২৬টি স্টল ভাড়া দেয়া হয় চড়া দামে। নেয়া হয় মোটা অংকের জামানত।

মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জিয়াউল আহসানের বড় ভাই ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউল হকের নামে ছিল মার্কেটটি। তবে ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন র‌্যাব-৮ এর ডিএডি কামরুল সিকদার। আর ভাড়ার টাকা জমা নিতেন জিয়ার ছোট ভাই বরিশাল সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক প্যানেল মেয়র জিয়াউর রহমান বিপ্লব।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তার হন চাকরিচ্যুত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান। সেই সঙ্গে আত্মগোপনে চলে যান জিয়াউল হক, জিয়াউর রহমান বিপ্লব এবং র‌্যাবের ডিএডি কামরুল সিকদার।

তাদের অবর্তমানে অবৈধ মার্কেটটি দেখভাল করছেন তাদেরই বোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক পাখি আক্তার। তবে মার্কেট ভাড়া নেয়ার সময় ব্যবসায়ীদের কাছে রাখা অর্ধ কোটি টাকা জামানত ফেরত দেয়নি জিয়া পরিবার।

এদিকে দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জিয়াউল আহসানের বোন পাখি আক্তার। তিনি জানিয়েছেন, সড়ক বিভাগের কাছ থেকে নাসির উদ্দিন এতিমখানা নামক একটি মাদ্রাসার নামে জমিটি লিজ নিয়েছিলেন তার বড় ভাই। লিজের মেয়াদ শেষে পূণরায় নবায়নের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চলতি বছরের গত মে মাসে সেই আবেদন বাতিল করে দেয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

তিনি বলেন, মার্কেটে ২১টি দোকান ছিল। দোকানের প্রত্যেক ভাগাটিয়াকে লিজ বাতিলের বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তাদের দোকান ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা ছাড়েনি। আর উচ্ছেদের বিষয়টিও আমরা তাদের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রীম বাবদ প্রায় ৪০-৪২ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে। যেটা মাদ্রাসার ব্যাংক একাউন্টে জমা রয়েছে। ভাই গ্রেপ্তারের পর সেই একাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। যে কারণে টাকা দিতে পারছি না। সেই টাকা পরিশোধের জন্যই আমাকে বিষয়টিতে যুক্ত করা হয়েছে। এর বাইরে কোনভাবেই আমি বিষয়টির সঙ্গে জড়িত নই।

বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল ইসলাম বলেন, নগরীর রূপাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে সাগরদী ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে অবৈধভাবে নির্মাণ করা বিভিন্ন দোকানপাট, স্থাপনা গড়ে তোলা হয়। এগুলো উচ্ছেদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও মাইকিং করা হয়েছে। অনেকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিয়েছে। যারা সরিয়ে নেয়নি তাদের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। চলমান এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


উখিয়া টেকনাফের শ্রমবাজার রোহিঙ্গাদের দখলে 

রোহিঙ্গা বিচরণ ঠেকাতে তৎপরতা নেই স্থানীয় প্রশাসনের # অটোরিকশা চালনা থেকে ফিশিং ট্রলারেও রোহিঙ্গা # টেকনাফে বাসা ভাড়া নিচ্ছে নতুন আসা রোহিঙ্গারা
ক্যাম্পের বাইরে নানা ধরণের কাজ করছেন রোহিঙ্গারা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:১২
রহমত উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)

২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে নির্বিচার গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী নানা অপরাধ শুরু করে দেশটির সামরিক বাহিনী। সে বর্বরতায় টিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে একসঙ্গে ১০ লাখ রোহিঙ্গা। সময়ের পরিক্রমায় সেখানে জান্তাবাহিনীর আক্রমণ আরও বাড়ায় এদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। ১২ লাখ রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ায় ও দেশটিতে তাদের প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে যাওয়ায় ২০২২ সালে আর রোহিঙ্গাকে আশ্রয় না দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু, এ বছর মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধ ও বাংলাদেশে সরকার পতনসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে এদেশে ঢুকে পড়েছে আরও লাখখানেক রোহিঙ্গা। ২০১৭ সালের আগেও এদেশে দেড় লাখ রোহিঙ্গা বসতি গেড়েছিল। তাই সব মিলিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস করছে সাড়ে চৌদ্দ লাখ রোহিঙ্গা। শুরুতে মানবিকতা দেখালেও এখন এত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের। অবস্থা এমনই যে উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় এখন স্থানীয়রাই পড়েছেন হুমকির মুখে। এই দুই উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারাই রোহিঙ্গাদের কারণে নিজেদের ভবিষ্যৎ ও অস্তিত্ব নিয়ে উদ্বিগ্ন। ওই এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে তো বটেই আশপাশের সব জায়গায় এমনকি কক্সবাজারেও ছড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গারা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা ছড়িয়ে যাচ্ছে সারা দেশে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উখিয়া-টেকনাফসহ কক্সবাজারে এখন তাদের কাজ পাওয়াই কষ্টকর, তাদের চেয়ে কম মজুরিতে রোহিঙ্গারা কাজ করে বলে শ্রমবাজারের বড় অংশই এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। তাদের অভিযোগ,

উখিয়া টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কাজের খোঁজেই প্রতিদিন দুই শতাধিক রোহিঙ্গা বের হয় বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে। বিজিবি চেকপোস্টে কার্ড দেখিয়ে কৌশলে পার হয়ে বিভিন্ন কাজে যোগ দেন দুই শতাধিক রোহিঙ্গা।

এমনকি ক্যাম্পের বসতি ছেড়ে টেকনাফের ভাড়া বাসাগুলোতেও থাকছেন রোহিঙ্গারা।

উখিয়া ও টেকনাফ ঘুরে দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত টমটম, মাহিন্দ্র গাড়ির চালক, খাবার হোটেল, আবাসিক হোটেল, গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে, জেলেদের ফিশিং বোটে ও ব্যবসা-বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য কাজ এরইমধ্যে দখল করে নিয়েছে রোহিঙ্গারা। এমনকি গুরুত্বপূর্ণ টেকনাফের স্থলবন্দরে ও রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে। স্থানীয় শ্রমবাজার চলে গেছে তাদের দখলে। এতে উখিয়া ও টেকনাফসহ আশপাশের স্থানীয় মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

টেকনাফের জেলে আব্দুল হামিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের উখিয়া টেকনাফের শ্রমিকদের আগে কাজের অভাব ছিল না। এখন কাজে নেয় না আমাদের। রোহিঙ্গাদের মজুরি সস্তা তাই সব কাজ তাদের দখলে এ রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে যত বিপত্তি আমাদের। এ রোহিঙ্গা অপহরণে জড়িত। তাদের চলাফেরা দেখলে মনে হয় তারা এ দেশের নাগরিক আমরা অধিবাসী। সর্বত্রই আজও রোহিঙ্গাদের রাজত্ব ও বিচরণ চলছে।

টেকনাফ ও শাহপরীরদ্বীপ জেলে নেতা মো. করিম ও মোহাম্মদ আবদুল গণি জানান, ২০১৭ সালে নাফ নদীতে মাছ ধরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় সরকার। ওই সব বোটের মালিকরা স্থানীয় জেলেদের বাদ দিয়ে রোহিঙ্গা মাঝি-মাল্লাদের দিয়ে মাছ শিকার করছে। এই রোহিঙ্গা মাঝি-মাল্লারা মাছ শিকারের নামে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এবং চোরাচালান ও রোহিঙ্গা এদেশে অনুপ্রবেশ করাই আর স্থানীয় জেলেদের অগ্রিম টাকা দিতে হয় বোট মালিকদের। তাই এ কারণে ফিশিং ট্রলার চলছে রোহিঙ্গা মাঝিমাল্লা দিয়ে। আগে সব ফিশিং ট্রলারে মাঝিমাল্লাদের আইডি কার্ড থাকত। এখন এসব তদারকি করে না কোস্টগার্ড ও বিজিবি। তার কারণে রোহিঙ্গা মাঝিমাল্লা বেড়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয়রাই এখন বিপাকে। আমরা ভবিষ্যতের শঙ্কায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের বাইরে আসার কোনো সুযোগ নেই। ঠিকই তারা বাইরে বের হচ্ছে, নানা কাজে জড়িয়ে পড়ছে। আজ আমরা রোহিঙ্গাদের কারণে বড় বিপদে আছি। পথে-ঘাটে, দোকানে-বাজারে, গাড়িতে সর্বত্রই তাদের দেখা মেলে। শ্রম বাজার দখল করে এখন উখিয়া টেকনাফ রোহিঙ্গাদের জন্য মালয়েশিয়া। রোহিঙ্গারা বিচরণের ক্ষেত্রে চেকপোস্ট যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তাদের গাফিলতি আছে।

টেকনাফ বাজারে দেখা হয় একজন রোহিঙ্গা জেলের সঙ্গে তার নাম মো. তৈয়ব। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফিশিং ট্রলারে মাছ শিকার করে আসছেন। সপ্তাহ পর আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফিরে যান। কীভাবে চেকপোস্ট পার হয়ে আসা যায় প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গা যুবক টেকনাফ ফিশিং ট্রলারে মাছ শিকার করে। তাদের মধ্যে অনেক রোহিঙ্গা ভুয়া কার্ড তৈরি করে চেকপোস্ট পার হয়। কিন্তু কার্ড যে ভুয়া তা বোঝা যায় না।

টেকনাফ শাপলা চত্বরে দেখা মেলে রোহিঙ্গা টমটমচালক তার আবু ছৈয়দ। তিনি লেদা ক্যাম্পে থাকেন। টমটমচালক রোহিঙ্গা সৈয়দ আলম বলেন, আমি পাঁচ মাস হয়েছে টেকনাফে টমটম চালাই। টমটম মালিককে দিনে ৭০০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আমার মতো শতাধিক রোহিঙ্গা টমটম চালায়। রাতে মালিককে গাড়ি বুঝিয়ে দিয়ে ক্যাম্পে চলে যায়। মাঝেমধ্যে পুলিশ আটক করলে মালিককে ফোন দিই। মালিক এসে আমাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। টমটম লাইসেন্স মালিকের নামে। পুলিশের কড়াকড়ি হলে সেদিন মালিক না চালাতে নিষেধ করে আমাদের।

টেকনাফের বাসিন্দা মো. আবু তালহার দাবি, দুই-তিনমাস ধরেই টেকনাফে প্রতিটি ভাড়া বাসায় রোহিঙ্গা রয়েছে। প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না এদের বিরুদ্ধে। নতুন-পুরাতন মিলিয়ে রোহিঙ্গারা নির্বিঘ্নে ঘুরছে। কিন্তু স্থানীয় হলেও আমাদের সবখানে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। সস্তা শ্রম দিয়ে শুধু টেকনাফ নয়- পুরো কক্সবাজারের শ্রমবাজারে রোহিঙ্গারা। এ সুযোগও নিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মাসিক চার-পাঁচ হাজার টাকায় ওরা কাজ করে। যেখানে এক দিনে স্থানীয়দের দিতে হয় ১৫০০ টাকা। আর রোহিঙ্গাদের দিতে ১০০০ টাকা। মিয়ানমারের মুদ্রায় হিসাব করলে দিনে এর পরিমাণ হবে ৫০ হাজার টাকা। তাও রোহিঙ্গাদের জন্য বেশি। এদের কারণে স্থানীয়দের কাজের পথও রুদ্ধ করা হয়েছে।

জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বলেন, রোহিঙ্গারা আর ফিরবে না, এটা এক রকম স্পষ্ট। শান্ত টেকনাফ আজ অশান্ত-বিশৃঙ্খল হয়েছে রোহিঙ্গাদের কারণে। শৃঙ্খলা ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই স্থানীয় প্রশাসনের। ‘আমাদের অনুরোধ, টেকনাফবাসীর জন্য কিছু করুক প্রশাসন। যাতে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি। তা না হলে টেকনাফ কেন, এক সময় পুরো কক্সবাজার চলে যাবে রোহিঙ্গাদের কবজায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. সালা উদ্দিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের রোহিঙ্গাদের বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিচরণের ক্ষেত্রে বিজিবি চেকপোস্ট ছাড়া যৌথবাহিনীর চেকপোস্ট ও বসানো হয়েছে। টমটম, সিএনজিচালকসহ ক্যাম্প থেকে বের হয়ে বিভিন্ন কর্মে জড়িত রোহিঙ্গাদের আটক করে সংশ্লিষ্টদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যেসব ভাড়া বাসার মালিকরা রোহিঙ্গাদের ঘর ভাড়া দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


শিশু মুনতাহাকে হত্যা করেন তার গৃহশিক্ষিকা!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিলেট ব্যুরো

কানাইঘাটের শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন (৬) কে হত্যা করেছে তার সাবেক গৃগশিক্ষিকা মার্জিয়া আক্তার সুমি। এতে সুমিক সহযোগীতা করেন তার মা।

আজ রোববার ভোরে সুমির মা মুনতাহার মরদেহ অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এমনটি জানিয়েছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল।

তিনি জানান, এ ঘটনায় গৃ্‌হশিক্ষিকা সুমি এবং তার মা আলিফজান বিবি ও তার আরেক মেয়েকে আটক করা হয়েছে। তারা মুনতাহাদের পাশের বাসারই বাসিন্দা।

৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর রোববার (১০ নভেম্বর) ভোর চারটার দিকে মুনতাহার নিজ বাড়ির পুকুরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে মুনতাহার সাবেক প্রাইভেট শিক্ষিকা তাকে অপহরণ করে হত্যা করেন। প্রতিবেশি ও মুনতাহার শিক্ষক সুমিকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ ছিল তার পরিবারের উপর। এছাড়া সুমির উপর চুরির অপবাদ দেওয়ার ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

এর আগে গত ৩ নভম্বের দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলো সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার এই শিশু। মুনতাহা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদলের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে। মুনতাহার নিখোঁজের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক তোলপাড় হয়। তার সন্ধান চেয়ে দেশ-বিদেশে অনেকে পুরষ্কারও ঘোষণা করেন তার পরিবার।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আওয়াল বলেন, শনিবার রাতেই সন্দেহবশত আমরা মুনতাহার হাউস টিউটর সুমিকে ধরে নিয়ে আসি। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হচ্ছিল। তখন হাউস টিউটরের বাড়ির দিকে নজর রাখার জন্য রাতেই আমরা মুনতাহার পরিবারের সদস্যদের বলি।

তিনি বলেন, ভোরের দিকে মুনতাহার পরিবারের সদস্যরা দেখতে পান বাড়ির পাশের একটি ছড়ার মাটি খুঁড়ে মুনতাহার মরদের পাশের পুকুরে ফেলে দেন ওই হাউস টিউটরের মা আলিফজান বিবি। সঙ্গে সঙ্গিই স্থানীয়রা আলিফজান বিবিকে আটক করে আমাদের খবর দেন। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং হাউস টিউটরের মা ও তার নাতনীকে ধরে নিয়ে আসি।

মরদেহের গলায় রশি পেঁচানো ছিল ও শরীরে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, আমাদের জিজ্ঞাসাবাদে হাউস টিউটর ও তার মা মুনতাহাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। পূর্ব বিরোধের কারণে এটি হয়ে থাকতে পারে।

মুনতাহা চাচা কায়সার আহমেদ জানান, মুনতাহার সাবেক গৃহশিক্ষিকা সুমি পুর্ব শত্রুতার জেরে অপহরণ ও তাকে হত্যা করে। পরে, বাড়ির পাশে ডোবায় কাঁদার নিচে পুঁতে রাখে। ভোরের দিকে সুমির মা আলিফজান বিবি সেই লাশ সরিয়ে নিতে গেলে জনতার হাতে আটক হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো রফিকুল ইসলাম জানান, সুমির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩ নভেম্বর রাতেই মুনতাহাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ডোবায় ফেলে রাখা হয়। সুমিকে শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্ষোভ থেকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফিরে মুনতাহা। পরে প্রতিদিনের মতো আশপাশের বাড়িতে শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে হলে বাড়ি না ফিরলে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তারপর তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ভোরেই সুমির ঘরে আগুন লাগিয়ে দেন। আর দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে মুনতাহার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।


কক্সবাজার রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবক নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩ টার দিকে কক্সবাজার-ঢাকা রেলরুটের রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের মাছুয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- রামুর রশিদনগর ইউনিয়নের কাহাতিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ ওয়াহিদ (২৫) ও আব্দুল মজিদের ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (১৯)।

স্থানীয়দের বরাতে ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে রামু উপজেলার মাছুয়াখালী এলাকায় স্থানীয় দুই যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে রেললাইন পার হচ্ছিল। এসময় কক্সবাজারমুখি একটি ট্রেনের সামনে পড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক। এতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায় এবং দুই যুবক কাটা পড়ে নিহত হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে ঘটনাটি রেলওয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়।

রেলওয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর মৃতদেহ দুইটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।


banner close