শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে সরকার আন্তরিক বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যাশা করব কিন্তু তাদের প্রত্যাশা পূরণ করব না সেটা হয় না। আমাদের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠে শিক্ষকের আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তা ও সম্মানের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকের প্রত্যাশা পূরণে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় ভালো কিছু চাইলে অবকাঠামো উন্নয়ন যেমন জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি ভালো পরিবেশ তৈরি করা। সেই পরিবেশ শুধু ইট-কাঠ-বালুর অবকাঠামো দিয়ে হয় না, সেই পরিবেশ শুধুমাত্র প্রযুক্তি দিয়ে হবে না। আমার শিক্ষকের মনে যদি প্রশান্তি থাকে, আমার শিক্ষকের মনে যদি উৎসাহ থাকে, তাহলে শিক্ষার পরিবেশ সত্যিই যথার্থ হয়ে উঠবে। কাজেই আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাতে চাই। সেই সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা থেকে আমরা প্রশ্নফাঁসের মতো আপদগুলো দূর করার চেষ্টা করছি। তারপরও দুয়েকটি জায়গায় কিছু শিক্ষক নামধারী ব্যক্তি এই কাজটি করার চেষ্টা করেন। এসব শিক্ষকরা কিন্তু সমগ্র শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন না। কিন্তু তার দায় সবাইকে নিতে হয়। সে কারণে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। কোথাও যদি শিক্ষক মনে করেন যে আমার ছাত্র, আমার প্রতিষ্ঠানকে আরও বেশি ভালো ফলাফল করতে হবে, তাহলে সেটি শিক্ষকের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করে। শিক্ষার মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, একজন শিক্ষার্থী কত নম্বর পেল, শুধু সেই নম্বর দিয়ে যেন তাকে বিচার না করি। শুধু নম্বর পাওয়াই যথেষ্ট নয় কিংবা শুধু নম্বর পাওয়াই একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। সে আসলে কতটা শিখল, সে কতটা মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হলো সেটিই বিবেচ্য বিষয়। এই বিষয়কে মাথায় রেখে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে বাস্তবতার আলোকে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের লিখতে পারা, বলতে পারা, গুণতে পারার দক্ষতা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেটা সম্ভব হয়েছে আমাদের শিক্ষকদের কারণে। খুব নিদারুন কষ্টের মধ্য দিয়ে ছাত্রদের পড়িয়েছেন। মাধ্যমিক শিক্ষায় আমরা আমরা অনেক দেশের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছি। সেখানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের শিক্ষকদের নিষ্ঠা, আন্তরিকতা এবং দক্ষতা।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের সংবাদ তৈরির প্রচলিত কর্মকৌশলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী প্লাটফর্মের জন্য সংবাদ তৈরিতে পারদর্শী করার লক্ষ্যে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়াবিষয়ক প্রশিক্ষণ। বুধবার সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের আয়োজনে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আল হক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস, সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সদস্য এবং জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মোবাইল সেটিংস, ক্যামেরা সেটিংস এবং ভিডিও ধারণের নিয়মাবলী, মোবাইল শুটিং, মোবাইল সাংবাদিকতা, ডিজিটাল সাংবাদিকতা ও এআইয়ের ব্যাবহার, ফ্যাক্ট চেকিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে প্রশিক্ষকেরা। আর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মাল্টিটাস্কার দক্ষ পেশাশক্তিতে রুপান্তর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ।
প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন, বাংলা নিউজ ২৪ ডট কমের চিফ মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. মিনহাজুল আবেদীন। তিনি ডিজিটাল মিডিয়াবিষয়ক বিভিন্ন কলাকৌশল উপস্থাপন করেন এবং সাংবাদিকদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে আপডেট থাকার আহ্বান জানান। কাল শুক্রবার বিকালে প্রশিক্ষণের মূল্যায়ন শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র দেওয়া হবে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বাঁধের প্রায় ৫০টির বেশি গাছ বিক্রি করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে কুকুয়া গ্রামের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের রিভার ও কান্ট্রি সাইটে বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট জমি রয়েছে। ২০০০ সালে ওই জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহগনি, চাম্বল ও শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।
সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ দিন ধরে বেল্লাল মিয়া বাঁধের গাছ কেটে নিচ্ছেন। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছ স্তুপ আকারে রাখা হয়েছে এবং বেল্লাল মিয়া সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন, জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কি না, তা আমি জানি না।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার রেকর্ডীয় জমিতে রোপণকৃত গাছ আমি বিক্রি করেছি। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন গাছ নেই।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। আমরা বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের গাছ কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় কাভারভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাউখালীর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ইসহাক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সিএনজি ড্রাইভার নাম হাসান মিয়া (২২), বাবার নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল লালমোহন। সে রাঙামাটি থেকে কাঁচামাল নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। আহত সিএনজি যাত্রীর নাম গিয়াস উদ্দিন। বাবার নাম আব্দুল কাদের। তার গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুর, চকরিয়া, কক্সবাজার।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এসিআই গ্রুপের মালিকানাধীন ওষুধ বহনকারী কাভারভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ম)- ১৪- ১৩৭০ দ্রুতগতিতে বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা অতিক্রম করছিলে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রাম-থ- ১২-৮৩৬৭ সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
মুহূর্তেই সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজিতে থাকা চালক হাসান (২২) ও যাত্রী গিয়াস উদ্দিন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আশংঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে রাউজান হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত গিয়াস উদ্দিন বর্তমানে রাউজান জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার ভ্যানটি আটক করেছে পুলিশ। তবে কাভার্টভ্যানের ড্রাইভার চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর। তার নাম শিব বড়ুয়া। দুর্ঘটনার পর ড্রাইবার পালিয়ে গেছে। বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. ইসহাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এ ব্যাপারে থানায় মামলার পক্রিয়া চলছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ২৪ ফুট থেকে ৩৪ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে শ্যামনগরের সর্বস্তরের জনগণ এ কর্মসূচি পালন করে। এতে বক্তব্য রাখেন খাঁন আব্দুস সালাম, পল্লী চিকিৎসক গ.ম আব্দুস সালাম, প্রভাষক মাহবুব আলম, প্রভাষক মনিরুজ্জামান বিপ্লব, মো. মনিরুল ইসলাম, ঠিকাদার মো. জাবের হোসেন, পল্লী চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন, শেখ জাকির হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সওজ ও জনপদ বিভাগ রাস্তার দুপাশের সকল অবৈধ স্থপনা উচ্ছেদ করেছে তাহলে এই জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি কেনো ৩৪ ফুটের পরিবর্তে ২৪ করা ফুট হবে? এই বৈষম্য আমরা মানতে পারি না। তাদের দাবি না মানলে সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুশিয়ারী দেন বক্তারা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা, বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের নেতারা, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সিএমএম কোর্ট চট্টগ্রামের উদ্যোগে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে প্রবেশন অধ্যাদেশ ১৯৬০-এর এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রবেশন কার্যালয়ে প্রশিক্ষণে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, মো. আবু বকর সিদ্দিক, মোহাম্মদ মোস্তফা ও নুসরাত জাহান জিনিয়া।
সিএমএম কোর্টের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নাছিমুল আবেদীন চৌধুরী, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আয়েশা আক্তার সানজি, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. খুরশেদুল আলম, সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহেদুল হক শাহেদসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় কর্মরত উপজেলা সমাজসেবা অফিসাররা প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের শুরুতে সঞ্চালক প্রবেশন অফিসার, সিএমএম কোর্ট মনজুর মোরশেদ চট্টগ্রাম মহানগর অধিক্ষেত্রে আদালতসমূহে গত দুই বছরে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি জানান প্রবেশন অফিসে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মোট ২টি প্রবেশন মামলা থাকলেও বর্তমানে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭১৭টিতে। এ জন্য তিনি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মিজানুর রহমান ও অন্যান্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রবেশন অধ্যাদেশ ১৯৬০-এর গুরুত্বপূর্ণ আইনি দিক এবং তার বাস্তব প্রয়োগসমূহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আগে আদালতসমূহ প্রবেশন আদেশ কম দিলেও সুপ্রিম কোর্টের ২০১৯ সালের একটি সার্কুলার ও সুপ্রিম কোর্টে মতি মাতবর বনাম রাষ্ট্র মামলার রায়ের পর সারাদেশে প্রবেশন মামলার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি তার বিচারিক জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে প্রবেশন অধ্যাদেশের প্রয়োগ আলোচনা করেন। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমান প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে বলেন, প্রবেশন অফিসসমূহে বাজেট ও জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও বিচারক ও প্রবেশন অফিসারদের প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে প্রবেশন মামলার সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রধান প্রশিক্ষকের বক্তব্যে কাজী মিজানুর রহমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রবেশন কার্যক্রমের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশে প্রবেশন কার্যক্রম আরও কীভাবে বেগবান করা যায় সে সম্পর্কিত সুপারিশমালা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, চট্টগ্রামের উপপরিচালক মো. ফরিদুল আলম চট্টগ্রামে প্রবেশন কার্যক্রম বেগবান ও দৃশ্যমান করার জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, চট্টগ্রাম কাজী মিজানুর রহমানকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি জানান, চট্টগ্রামের প্রবেশন কার্যক্রম স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদ মাধ্যমেও বর্তমানে আলোচিত হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রবেশন ব্যবস্থায় আরও গতিশীলতা আসবে মর্মে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিককালে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলাচাষ প্রবর্তনের ফলে তুলার ফলন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে তুলার বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষিদের তুলা এখন একটি লাভজনক ফসল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তুলা উন্নয়ন বোর্ড অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে চাষিদের সঙ্গে নিয়ে তুলা উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং দিন দিন এর সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হতে চলেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে যে সকল অর্থকরী ফসল রয়েছে লাভের দিক দিয়ে তুলা অন্যতম।
দৌলতপুর উপজেলায় একসময় ব্যাপকভাবে হতো তামাকের চাষ। উপজেলার ১৪ ইউপির বিভিন্ন স্থানে তামাকের জায়গায় তুলার চাষ হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউপি-তে এখন তুলার সমারোহ। এতে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন চাষিরা।
তুলাচাষ বাড়াতে চাষিদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ ন্যায্যমূল্যে সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে। এবারে উপজেলার বিভিন্ন ইউপি-তে ব্যাপকভাবে বেড়েছে তুলার চাষ। হাইব্রিড জাতের রুপালি-১, হোয়াইট গোল্ড-১, হোয়াইট গোল্ড-২ তুলার বীজ উচ্চ ফলনশীল হওয়ায় বিঘা প্রতি ১৫-১৭ মন উৎপাদনের আশা দৌলতপুরের অনেক তুলা চাষিদের।
উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের তুলাচাষি মোস্তাক আহমেদ বলেন, এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে কয়েকবার তুলার বীজ বপন করতে হয়েছে। এরপরও সার ও কীটনাশকের দাম গত বছরের তুনায় এবার দ্বিগুন বেশি। প্রতিবিঘা জমিতে তুলা চাষ করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
আরেক চাষি নাহারুল ইসলাম বলেন, তুলার আবাদ একটি দীর্ঘমেয়াদি আবাদ। প্রায় ৭-৮ মাস লেগে যায় এই আবাদ শেষ করতে। প্রতিবিঘা জমিতে ১৫-১৭ মন তুলা হওয়ার সম্ভবনা আছে এ বছর। গত বছর প্রতিমন ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করতে পেরেছি তবে এবার দাম বাড়ানোর দাবি জানান এই তুলাচাষি।
কুষ্টিয়া জেলার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল মামুন বলেন, কুষ্টিয়া অঞ্চলে তিনটা উপজেলায় তুলাচাষ হয়। দৌলতপুর, মিরপুর এবং ভেড়ামারা উপজেলায় তুলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪৫০ হেক্টর জমি, ২৪৩৪ হেক্টর অর্জন করতে পেরেছি। ২০৫০ জন চাষিকে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এনেছি। এর মধ্যে দৌলতপুরেই তুলাচাষির সংখ্যা জেলার সবচেয়ে বেশি। হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল তুলাচাষে আগ্রহী কৃষকরা ন্যায্য দামেও সন্তুষ্ট যার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরে বেড়েছে তুলা চাষির সংখ্যা।
আবহাওয়া চাষের অনুকূলে থাকায় নরসিংদীতে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রোপা আমনের ফলন হয়েছে। গুণগত মান বিবেচনায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহ নিয়ে আধুনিক যন্ত্র (কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন) ব্যবহার করে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে ভালো খড় পেতে প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ কৃষক হাতে ধান কেটে মাড়াই করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এবার ২০২৫-২৬ মৌসুমে সারাদেশে ৫৭ লাখ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দিনাজপুর, সুনামগঞ্জ, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা অন্যতম।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত কয়েক বছর ধরে দেশে ধারাবাহিকভাবে হেক্টর প্রতি আমনের গড় উৎপাদন বাড়ছে। গত ২০২৪- ২৫ মৌসুমে হেক্টর প্রতি আমনের গড় ফলন হয়েছে ২.৯৫ টন, যা আগের বছরের ২০২৩-২৪-এর গড় ২.৮১ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া, ২০২২-২৩ অর্থবছরে হেক্টর প্রতি ২.৬৯ টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২.৬১ টন, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২.৫৫ টন উৎপাদন হয়েছে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাধানগর, লোচনপুর, মনোহরদীর চর বেলাবো এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সোনালি ধানের সমারোহ। অগ্রহায়ণের বাতাসে দুলছে পাকা ধানের শীষ, যা দেখে আনন্দে উচ্ছ্বসিত কৃষকরা। সরকারের বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্বুদ্ধকরণে এ বছর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে।
নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে প্রতি হেক্টরে গড় উৎপাদন হয়েছে ৫ মেট্রিক টন। মাঠ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, কৃষকরা কাস্তের পাশাপাশি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন ব্যবহার করে দ্রুত ধান কাটা ও মাড়াই করছেন। ইতোমধ্যে প্রায় ১৮-২০ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। মাঠজুড়ে পাকা ধানের আভা। স্বল্প সময়ে পুরো ফসল উঠবে কৃষকের ঘরে। এদিকে স্বল্প সময়ের ধান ঘরে তুলে অনেক কৃষক সরিষা চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও আমনের ভালো ফলনে কৃষকরা খুশি, তবুও উৎপাদন খরচ উঠানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার কৃষক আমিনুল ইসলামসহ কথা হয় আরও কয়েকজনের সঙ্গে।
তারা জানান, এবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হওয়া এবং মাঝে মধ্যে আমন চাষ উপযোগী বৃষ্টি হওয়ায় সামগ্রিকভাবে ফলন ভালো হয়েছে। তবে ধান বিক্রি করে খরচ ওঠানো নিয়েই বেশি চিন্তিত কৃষকরা। আমিনুল ইসলাম জানান, তার এক বিঘা জমি থেকে প্রায় ২০-২১ মণ ধান ঘরে তুলেছেন।
রায়পুরা উপজেলার নয়াহাটি এলাকার কৃষক আব্দুল আজিজ জানান, ধানের পচন রোগ এবং ইঁদুর কিছুটা ভুগিয়েছে এবার আমন চাষিদের। এছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় ফলন ভালো হয়েছে। ধানের গুণগত মানও ভালো এবার।
নরসিংদী সদর উপজেলা শীলমান্দী গ্রামের কৃষক মতিউর রহমান জানান, তিনি এক একর জমিতে আমন ধান ফলিয়েছিলেন। জমিতে ফসলের উৎপাদন হওয়ার কথা ছিল ১৫ মণ। ধানও খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু ইঁদুর তার জমির ধান কেটে সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন তিনি ১০-১২ মণ পাবেন কি না, সন্দেহ রয়েছে।
পলাশ উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, তিনি প্রায় দুই একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন। ধান খুবই ভালো হয়েছে। সময়মতো তুলতে পারলে তিনি লাভবান হবেন।
শিবপুর উপজেলার কৃষক তোফাজ্জল আহমেদ জানান, তার প্রায় সাত একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধান চাষ হয়েছে। প্রতি একর জমিতে ৪০ থেকে ৫২ মণ ফলনের আশা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) সালাউদ্দিন টিপু জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়া এবং সরকারের সার্বিক সহায়তায় এ বছর ধানের ভালো ফলন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই কৃষকরা ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করেন, তাই ধান ভালোভাবে শুকিয়ে নিরাপদে সংরক্ষণ করে পরে দাম বাড়লে বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর নরসিংদী জেলায় রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪০ হাজার ৯৪১ মেট্রিক টন। বাস্তবে উৎপাদন হয়েছে ৪০ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন ধান।
দিনে ও রাতে এলাকাভিত্তিক শব্দের মানমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়ে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা জারি করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করেছে।
২০০৬ সালের বিধিমালা বাদ দিয়ে এবার নতুন করে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা জারি করল সরকার। এ বিধি লঙ্ঘনে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ডের সঙ্গে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ভোর ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সময় ‘দিবাকালীন’ সময় হিসেবে চিহ্নিত হবে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিবেচিত হবে ‘রাত্রিকালীন সময়’ হিসেবে। কোন সময়ে কত মাত্রার শব্দকে মান ধরা হবে, বিধিমালায় তা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
>> নীরব এলাকা: দিনে ৫০, রাতে ৪০ ডেসিবল
>> আবাসিক এলাকা: দিনে ৫৫, রাতে ৪৫ ডেসিবল
>> মিশ্র এলাকা: দিনে ৬০, রাতে ৫০ ডেসিবল
>> বাণিজ্যিক এলাকা: দিনে ৭০, রাতে ৬০ ডেসিবল
>> শিল্প এলাকা: দিনে ৭৫, রাতে ৭০ ডেসিবল
যানবাহনের হর্ন সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রমকারী হর্ন, হাইড্রোলিক হর্ন, মাল্টি টিউন হর্ন ও সহায়ক যন্ত্রাংশ প্রস্তুত, আমদানি, মজুদ, বিক্রয়, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, বিতরণ, বাজারজাতকরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশে পরিবহন ও ব্যবহার করা যাবে না।
কোনো ব্যক্তি মোটরযান বা নৌযানে অননুমোদিত শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী হর্ন স্থাপন ও ব্যবহার করতে পারবে না।
নীরব এলাকায় যানবাহনে কোনো প্রকার হর্ন বাজানো যাবে না। আবাসিক এলাকায় রাত ৯টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত হর্ন বাজানো যাবে না।
নীরব এলাকায় দিনে ও রাতে এবং অন্যান্য এলাকায় রাতে পটকা, আতশবাজি ও অনুরূপ শব্দ সৃষ্টিকারী কোনো কিছুর বিস্ফোরণ ঘটানো যাবে না। তবে রাষ্ট্রীয়, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবে অনুমতি নিয়ে সীমিত আকারে পটকা, আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, সব ধরনের শিল্প কারখানাকে শব্দের মানমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
আবাসিক, বাণিজ্যিক, মিশ্র, শিল্প ও নীরব এলাকার সকল জেনারেটর ব্যবহারকারীকে জেনারেটর থেকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও বন্যপ্রাণীর আবাসস্থলে বনভোজন নিষিদ্ধ। প্রাকৃতিক বনাঞ্চলে উচ্চ শব্দ উৎপন্ন হয় এমন শব্দের উৎস ব্যবহার করা যাবে না।
বনভোজন ও সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহৃত যানবাহনে উচ্চ শব্দ উৎপন্নকারী মাইক, লাউড স্পিকার, এমপ্লিফায়ার, সুরযন্ত্র (মিউজিক সিস্টেম) বা অন্য কোনো উচ্চ শব্দ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে ন।
শাস্তি কী
বিধিমালায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত মানমাত্রা অতিক্রমকারী হর্ন, হাইড্রোলিক হর্ন, মাল্টি টিউন হর্ন ও সহায়ক যন্ত্রাংশ প্রস্তুত, আমদানি ও বাজারজাত করলে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড দেওয়া যাবে।
মোটরযান বা নৌযানে অননুমোদিত শব্দের মানমাত্রা অতিক্রমকারী হর্ন ব্যবহার করলে এবং নীরব এলাকায় যানবাহনের হর্ন বাজালে সর্বোচ্চ তিন মাসের কারাদণ্ড বা দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড হেতে পারে। চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসেবে ১ পয়েন্ট কাটা যাবে।
এছাড়া অন্যান্য বিধি ভঙ্গের জন্য সর্বোচ্চ এক মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তবে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা বা অন্য কোনো ধর্মীয় উপাসনালয়ে; ঈদের জামাত, জানাজা, নাম-সংকীর্তন এবং শবযাত্রাসহ অন্যান্য আবশ্যিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে; সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচারকালে; প্রতিরক্ষা, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক কাজ সম্পাদনকালে; স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, বিজয় দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি, পহেলা বৈশাখ, মহররম বা সরকার ঘোষিত অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ দিবসের অনুষ্ঠান চলাকালে; আকাশযান ও রেলগাড়ি চলাচলের ক্ষেত্র এই বিধিমালা প্রযোজ্য হবে না।
ভোটের প্রচারেও মানতে হবে শব্দের বিধি
ভোটের প্রচারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বিধিমালায় বলা হয়েছে, সব নির্বাচনে নীরব এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে মাইক, লাউড স্পিকার, পাবলিক অ্যাড্রেসিং সিস্টেম বা অন্য কোনো উচ্চ শব্দ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
নীরব এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকায় নির্বাচনী প্রচারাভিযানে নির্বাচন কমিশনের আচরণ বিধিমালা মেনে চলতে হবে। তবে শব্দের মানমাত্রা অতিক্রম করা যাবে না।
এদিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় মাইক ও লাউড স্পিকার ব্যবহারের বিষয়ে বলা হয়েছে- কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো ব্যক্তি কোনো নির্বাচনী এলাকায় একইসঙ্গে ৩টির বেশি মাইক্রোফোন বা লাউড স্পিকার ব্যবহার করতে পারবেন না।
>> দল, প্রার্থী বা তার পক্ষে প্রচারের সময় কোনো নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্য যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন।
>> নির্বাচনী প্রচার কাজে ব্যবহৃত মাইক বা শব্দ বর্ধনকারী যন্ত্রের শব্দের মানমাত্রা ৬০ ডেসিবেলের বেশি হতে পারবে না।
>> কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোটগ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না এবং ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ৪৮ (আটচল্লিশ) ঘণ্টা আগে নির্বাচনি প্রচার শেষ করতে হবে।
এ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের দণ্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। সর্বোচ্চ প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন কর্ণফুলী টানেলের রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ২৫ নভেম্বর হতে ৩০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ দিবাগত রাত ১১:০০টা হতে ভোর ০৫:০০টা পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী 'পতেঙ্গা হতে আনোয়ারা' অথবা 'আনোয়ারা টু পতেঙ্গা' টিউবের ট্রাফিক ডাইভারসনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে যানচলাচল অব্যাহত রাখা হবে। এসময় বিদ্যমান ট্রাফিকের পরিমাণ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ০৫ (পাঁচ) হতে সর্বোচ্চ ১০ (দশ) মিনিট টানেলের উভয়মুখে সম্মানিত যাত্রীদের অপেক্ষমাণ থাকার প্রয়োজন হতে পারে। কর্ণফুলী টানেলের নিরাপদ ও কার্যকর রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে আপনার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব সুমি রানী দাস,সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, গাজীপুর -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ- চন্দ্রা, জোনাল বিক্রয় অফিস-চন্দ্রা আওতাধীন বারেন্ডা, মোল্লা মার্কেট,কাশিমপুর, গাজিপুর মহানগর, গাজীপুর এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ২৫ টি বাড়ির ১৫০ ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৫০ ফুট জি আই পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ২০০ ফুট প্লাস্টিক কয়েল পাইপ, ৩/৪ ইঞ্চি ব্যাসের ৩০ ফুট প্লাষ্টিক থ্রেড পাইপ ও সম্পুর্ন অবৈধ ৬ টি রেগুলেটর জব্দ/অপসারণ করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারনে ০৩ জন অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী হতে মোট-২,২০,০০০/- জরিমানা তাৎক্ষণিক আদায় করা হয়েছে।
একই দিনে, অবৈধ গ্যাস ব্যবহার প্রতিরোধ ও সিস্টেম লস হ্রাসকল্পে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৬ ও মেট্রো ঢাকা রাজস্ব বিভাগ -৬ -এর যৌথ উদ্যোগে পল্লবী বিক্রয় শাখা ও কাফরুল বিক্রয় শাখার আওতাধীন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, হেভেন ইন্টারন্যাশনাল ডাই প্রসেসিং, নর্থ বেঙ্গল স্ট্রিম/ ওয়াশিং, নিউ ফোর স্টার ওয়াশিং ও জাকি ডাইং এন্ড এক্সেসরিজ নামক প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইব্রাহীমপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পিছনের রাস্তায় ২” ডায়া বিশিষ্ট বৈধ বিতরণ লাইনে লিকেজ থাকায় বৈধ গ্রাহকগণ অফিসের অনুমোদন ব্যতীত নিম্নমানের ফিটিংস দিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে উক্ত রাস্তায় বিদ্যমান বৈধ ২” ডায়া বিশিষ্ট বিতরণ লাইনের পাশাপাশি অবৈধভাবে আনুমানিক দৈর্ঘ্য ৪০০ ফুট অন্য একটি ২” ডায়া বিশিষ্ট বিতরণ পাইপলাইন উত্তোলনের জন্য রাইজার টিমের মাধ্যমে মাটি খননের কিছুক্ষণের মধ্যে এলাকার কিছু লোকজন/ মহিলা ও পুরুষ মিলে মাটি গুলো দিয়ে ভরাট করে ঢেকে দেয় এবং লাইন বিচ্ছিন্ন করতে বাধা দেয় যার ফলে অবৈধভাবে স্থাপিত বিতরণ লাইন বিচ্ছিন্ন/অপসারণ করা সম্ভব হয়নি, যা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে, বিভিন্ন ব্যাসের ৪৮ ফুট লাইন পাইপ, ২টি রেগুলেটর, ১টি লক উইং কক, ২টি বার্নার ও ১টি বল ভাল্ব অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়া, জনাব সায়মা রাইয়ান, সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-সোনারগাঁও আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পিরোজপুরের সোনারগাঁও ইকোনোমিক জোনের গেট সংলগ্ন এলাকা এবং ঝাউচর এলাকার ৫টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৪টি চুনা কারখানা ও ২০০টি অবৈধ আবাসিক চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, বিভিন্ন ব্যাসের ৩৮৪ ফুট লাইন পাইপ, এয়ার মিক্স বার্ণার- ১টি, পাথর ওজন করার মেশিন- ১টি, কারখানার কাজে ব্যবহৃত বেলচা- ৪টি অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। চুনা কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে ও ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে৷
এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-সাভার, জোবিঅ-আশুলিয়া আওতাধীন ডেবনিয়ার গার্মেন্টস সংলগ্ন, গোরাট, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা, ও ধনাইদ, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা এলাকার ২টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ৩ কিলোমিটার বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৭০০ টি অবৈধ আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, বিভিন্ন ব্যাসের ৬০০ মিটার লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ১৭,৯৮,২৩৬ টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
অধিকন্তু, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ-চন্দ্রা, জোবিঅ -টাঙ্গাইল আওতাধীন নাজিরপাড়া,গন্ধব্যপাড়া গোড়াই, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল এলাকার ৪টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, অতিরিক্ত চুলা ব্যবহারের জন্য ০৪ টি রাইজারের ৫ ডাবল অতিরিক্ত চুলা, ০২ টি বহুতল ভবনের সম্পূর্ণ অবৈধ ৩৫ টি ডাবল ও সম্পূর্ণ অবৈধ ২৭ টি আধাপাকা বাড়ির ৯০ টি ডাবল চুলাসহ মোট ১৩০ টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময়, ৩/৪ ইঞ্চি পাইপ ২০০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও, জোবিঅ-কিশোরগঞ্জ, রাজস্ব উপ শাখা- কিশোরগঞ্জ -এর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বকেয়ার জন্য ০৭ টি রাইজারের ৮টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ২০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৪৩১টি শিল্প, ৫৪৬টি বাণিজ্যিক ও ৭৬,৬৬১টি আবাসিকসহ মোট ৭৭,৬৩৮টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,৬৬,৬৯৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ৩১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
রূপগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবনে চার তলার ছাদে কাজ করার সময় পড়ে গিয়ে মোজাম্মেল শিকদার (৭০) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার পূর্বাচলের জলসিড়ি আবাসিক প্রকল্পের ১১নং সেক্টরের নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত মোজাম্মেল শিকদার (৭০) উত্তরখান থানার কাঁচকুড়া এলাকার আবেদ আলী শিকদারের ছেলে।
স্থানীয় ও মোজাম্মেল শিকদারের মেয়ে নাজমা বেগম (৩০) জানান, ছাদে কাজ করার সময় মোজাম্মেল শিকদার পড়ে গিয়ে আহত হলে নির্মাণাধীন ভবনের অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পরে ডিএমপি ঢাকার শাহবাগ থানা থেকে বেতার বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। পরে নাজমা বেগম বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ নিয়ে যান।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রাজধানীর মেট্রোরেল ব্যবহারে যাত্রীসেবা আরও সহজ করতে চালু হয়েছে অনলাইন রিচার্জ সুবিধা। এখন থেকে স্টেশনের কাউন্টারে লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই ঘরে বসেই র্যাপিড পাস বা এমআরটি পাসে রিচার্জ করা যাবে। মঙ্গলবার সকালে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে এ সেবার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মইনউদ্দিন।
ডিটিসিএ জানিয়েছে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, নগদ, রকেটসহ যেকোনো অনলাইন পেমেন্ট মাধ্যম ব্যবহার করে রিচার্জ করা যাবে। এজন্য ডিটিসিএর ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপে নিবন্ধন করে লগইন করতে হবে। তবে অনলাইনে পেমেন্ট সফল হলেও স্টেশনে স্থাপিত নতুন এভিএম মেশিনে কার্ড স্পর্শ না করা পর্যন্ত রিচার্জ কার্যকর হবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, অনলাইন রিচার্জে অতিরিক্ত পেমেন্ট গেটওয়ে ফি প্রযোজ্য হবে। রিচার্জ করা টাকা তিন মাস পর্যন্ত ‘অপেক্ষমাণ’ অবস্থায় থাকবে। নির্ধারিত সময়ে কার্ড এভিএম-এ ট্যাপ না করলে টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাকাউন্টে ফিরে যাবে, তবে ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ কেটে রাখবে কর্তৃপক্ষ।
গ্রাহক চাইলে সাত দিনের মধ্যে রিফান্ড নিতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ফি কাটবে। এ সুবিধায় সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
তবে কার্ড ব্ল্যাকলিস্ট হলে কোনো ধরনের রিচার্জ নেয়া হবে না। অনলাইন রিচার্জ সেবা চালুর অংশ হিসেবে ১৬টি স্টেশনে ৩২টি নতুন এভিএম মেশিন স্থাপনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিটিসিএ।
অনলাইন রিচার্জ করা যাবে যেভাবে: মেট্রোরেলের কার্ডে অনলাইন রিচার্জ করতে শুরুতে মেট্রোর র্যাপিড পাস ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। রিচার্জের ক্ষেত্রে র্যাপিড পাস কার্ডটি ইতোমধ্যে নিবন্ধন করা না থাকলে নিবন্ধন করতে হবে।
যেকোনো একটি পেমেন্টের মাধ্যম ব্যবহার করে অনলাইনে কার্ড রিচার্জ করতে হবে। তবে অনলাইনে রিচার্জ করার পর এভিএম কার্ড স্পর্শ করার আগ পর্যন্ত তা (রিচার্জ) অপেক্ষমাণ (পেন্ডিং) দেখাবে। ১৬টি মেট্রোস্টেশনে ৩২টি এভিএম মেশিন বসানো হয়েছে অনলাইন রিচার্জ চেক করার জন্য।
রিচার্জ সফল হলে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি এসএমএস দেওয়া হবে। একটি কার্ডে একবারে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা, সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে। রিচার্জ বাতিল করা যাবে ৭ দিনের মধ্যে। তবে ৫ শতাংশ চার্জ কেটে নেওয়া হবে।
এবারের নির্বাচন হবে ইতিহাস সৃষ্টিকারী নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। এখন ডিসিদের একটাই কাজ সেটা হলো নির্বাচন। আর বাকি কাজ হলো রুটিন ওয়ার্ক। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় জয়পুরহাট জেলার নতুন জেলা প্রশাসক মো. আল-মামুন মিয়া। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলার সার্বিক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নতুন জেলা প্রশাসক আলোচনা করেন।
সামনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিকদের জন্য কোন আগাম বার্তা দিয়েছেন বা আছে কি না? এমন প্রশ্নে জেলা প্রশাসক মো. আল-মামুন মিয়া বলেন, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছিলেন। ব্রিফিং শুরু হয়ে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা ভাষণ দিয়েছেন। তারপরে ৪ জন সচিব আবার ব্রিফিং দিয়েছেন। তারমধ্যে ইলেকশন কমিশনের সচিব , তারপরে স্বরাষ্ট্র সচিব , জনপ্রশাসন সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মন্ত্রীপরিষদ সচিব। এ সময় ব্রিফিংয়ে তারা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রেখেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় তার বক্তব্যে বলেছেন, একটা নির্বাচন হয় প্রতি পাঁচ বছর পর পর গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু ইতিহাস কীভাবে হবে? ইতিহাস হবে যে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে? অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে আরেকটা গণভোট হচ্ছে। কাজেই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন হবে। বাংলাদেশ কি রূপরেখা তার ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে সেটা এইবারের নির্বাচনে সিদ্ধান্ত হবে? ওনার বক্তব্য হচ্ছে আমরা ব্যর্থ হইতে পারি না। আমরা ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। কাজেই যেকোনভাবে আমাদেরকে এই নির্বাচনে সফল হইতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেসমিন নাহার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাইমেনা শারমীন, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, জয়পুরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, প্রথম আলো জেলা প্রতিনিধি রবিউল ইসলামসহ জেলার ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট, অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ার সাংবাদিকরা।