শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৯ ভাদ্র ১৪৩২

সীমান্ত থেকে গুলি এসে লাগল ইউপি সদস্যের গায়ে

গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য সাবের আহমদকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
১১ মার্চ, ২০২৪ ২২:২৬
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১ মার্চ, ২০২৪ ২২:১৩

মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি গুলি বাংলাদেশে ছাবের আহমেদ (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যের গায়ে এসে লেগেছে। এতে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। জামছড়ি বিওপিতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার বিকেল ৫টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহত ছাবের আহমেদ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য।

আহত ছাবের দৈনিক বাংলাকে জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের জাংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। এসব গোলার আওয়াজে এপাড়ে যেন ভূমিকম্প সৃষ্টি হচ্ছিল।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন বলেন, ‘মিয়ানমারের গোলাগুলিতে ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছাবের আহমেদ আহত হয়েছেন। তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘর্ষের জেরে এর আগেও দেশটির সীমান্তরক্ষীসহ বিভিন্ন বাহিনীর ৩৩০ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। যদিও তাদেরকে উভয়পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।


তালেপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র জলাবদ্ধতার কারণে সেবা বঞ্চিত রোগী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের তালেপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে কার্যত সেবা বন্ধনের মধ্যে পড়ে আছে। হাসপাতালের ভেতরে ও মাঠে জমে থাকে কোমর থেকে হাঁটু সমান পানি। সামান্য বৃষ্টিতেই পুরো এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই রোগীরা আসেন না তেমন। হাসপাতাল দেখে মনে হয় হাসপাতাল নিজেই রোগী।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেবা দিতে ডাক্তার আসেন সপ্তাহে মাত্র তিন দিন। ডাক্তার আঞ্জুমান আরা দুয়েল ওই তিন দিনে রোগী দেখেন। বাকি দিনগুলোতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট শারমিন এবং ফার্মাসিস্ট অজিৎ কুমার দাস সীমিত চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, এখানে কোনো ওষুধ দেওয়া হয় না, শুধু প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন। গরিব রোগীরা বাধ্য হয়ে বাইরের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে নেন। স্থানীয়রা বলছেন, এভাবে সেবা দেওয়ার ফলে রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন।
রোগী সালেহা বেগম জানান, বাড়ির কাছে সরকারি হাসপাতাল ভালো মনে করে আসতে আসতে দেখি কোন ডাক্তার নাই, নেই কোনো ওষুধ। আগে এখানে সব ওষুধ পাওয়া যেত, ডাক্তারও আসত কয়েকজন। এখন শুধু কাগজে প্রেসক্রিপশন।
অবকাঠামোর অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেবা দিতে হচ্ছে হাসপাতাল ছেড়ে সামান্য দূরের একটি যাত্রী ছাউনিতে। সেখানে ধুলাবালি, যানবাহনের শব্দ এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোগীদের ভোগান্তি আরও বাড়াচ্ছে।
স্থানীয় খাইরুল ইসলাম জানান, হাসপাতালটি এমন অবস্থায় পড়ে আছে যে কোনো দিন এটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এত বড় জায়গা, মাঠ, একাধিক বিল্ডিং সবই নষ্ট হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন কোনো মাটি পড়েনি, কোন নতুন বিল্ডিংও হয়নি।
দুই দশক আগে উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়ন ও তার আশেপাশের এলাকার সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে আশির দশকের মাঝামাঝি এলাকার কৃতি সন্তান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল ডা. হেদায়েত নিজ গ্রাম তালেপুরে স্থাপন করেন একটি দাতব্য চিকিৎসালয়। উদ্দেশ্য ছিল এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা। শুরুতে চোখের অপারেশন, ছোট ও মাঝারি সার্জারি, টিকা এবং ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হতো।

বর্তমানে এটি শুধুই রোগীর দুর্ভোগের জায়গা। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, অবিলম্বে হাসপাতালের সংস্কার, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা, নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ এবং পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। না হলে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র কেবলই অকার্যকর ভবনের খোলস হয়ে থাকবে।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোকাদ্দেস হোসেন জানান, এ বছরের মধ্যেই এটিকে সাময়িক সংস্কার করা হবে। হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন এবং আগামী বছর আশা করি এখানে ৮ তলা বিল্ডিং হবে যার পরিকল্পনাও ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া ন্যাশনাল ইপিআই ড্রাই স্টোর হবে। আর আগামী মাসের ৩ তারিখ থেকে ওষুধ পাওয়া যাবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা

আপডেটেড ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৬:৫৮
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়দের সাথে মতবিনিময় সভা করেছে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি। সভায় সনাতন ধর্মালম্বী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।

শনিবার জেলা শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক মিলন কুমার ঘোষ। জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সদস্য সচিব সমীর কুমার হালদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, সিনিয়র সহ সভাপতি আক্তারুজ্জামান, সহ সভাপতি মুন্সি কামাল আজাদ পান্নু, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মজিদ বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুর রহমান পপ্পু, ঝিনাইদহ পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান লাকী, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান শেখর, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক তপন বিশ্বাস, সদস্য সচিব প্রহল্লাদ সরকার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চন্দন বসু মুক্ত ।
প্রধান অতিথি এম এ মজিদ বলেন, সম্প্রীতির এই বাংলাদেশ কারো একার পক্ষে স্বাধীন করা সম্ভব হয়নি। মুসলিমদের যেমন স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান আছে, তেমনি আছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানদের। সবার মিলিত প্রচেষ্টার ফসল আজকের বাংলাদেশ।
তিনি বলেন এই দেশকে নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করে তারা কখনোই সফল হয়নি। শেখ হাসিনা এই বাংলাদেশকে ভারতের কদর রাজ্য করতে চেয়েছিল কিন্তু এদেশের মানুষ তার সেই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
বিএনপির এই তরুণ নেতা বলেন, আসন্ন দূর্গা পূজা নির্বিঘ্ন করতে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।


মৌলভীবাজারে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে প্রেস কাউন্সিলের কর্মশালা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আয়োজনে ‘গণমাধ্যমে অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধ এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শাহিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি একেএম আব্দুল হাকিম। তিনি বলেন, অপসাংবাদিকতা গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল থেকে জনগণের কাছে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন করতে হবে।

কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব মো. আব্দুস সবুর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা তথ্য অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল খায়ের।

দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন। শেষে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বক্তারা সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতা, তথ্য যাচাইয়ের গুরুত্ব ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।


ভালুকায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় বন বিভাগের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিহিংসামূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেন জেলার জ্যেষ্ঠ ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। তারা জানান, দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম জুয়েল, নয়া দিগন্তের আসাদুজ্জামান ফজলু, মানবকণ্ঠের শফিকুল ইসলাম ও গ্লোবাল টিভির শাহিদুজ্জামান সবুজের বিরুদ্ধে বন বিভাগ কর্তৃক দায়ের করা মামলাটি সম্পূর্ণ হয়রানিমূলক ও প্রতিহিংসার অংশ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ভালুকা রেঞ্জের বিট অফিসার আনোয়ার হোসেন ও হারুন অর রশিদের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তাদের প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাংবাদিকরা তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।

বক্তারা আরও বলেন, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলেই এ ধরনের মামলা দায়ের করা গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের অপচেষ্টা। অতীতে এমন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, ভবিষ্যতেও ব্যর্থ হবে।

মানববন্ধনে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।


কেশবপুরে মাছ চাষে শ্যাওলার ব্যবহার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে ভবদহ অঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব টেকসই মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছে ঘের ব্যবসায়ীরা। মাছ রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে মালিকরা প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহে ঘেরে শ্যাওলার ব্যবহারে ঝুকে পড়ছে। মৎস্য অধিদপ্তর এটি একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখছে।

সংশ্লিষ্ট উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুরে ৪ হাজার ৬৫৮ টি, মণিরামপুরে ৪ হাজার ৮৮৯ টি ও অভয়নগরে ১ হাজার ২০৫টি মাছের ঘের রয়েছে। বর্তমানে ঘের মালিকরা উপজেলার বিভিন্ন জলাবদ্ধ বিল থেকে পাটা শ্যাওলাসহ জলজ জাতীয় উদ্ভিদ সংগ্রহ করে মাছের ঘেরে ব্যবহার করছে। প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবে শ্যাওলা ব্যবহার করায় ঘের মালিকদের বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচও কম হচ্ছে। এ সকল উপজেলায় ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯০২ বিঘা জমিতে মোট ১০ হাজার ৭৫২টি মৎস্য ঘের রয়েছে।

সরেজমিন কেশবপুর, মণিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন জলাবদ্ধ বিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই ঘের মালিকদের পাটা নামক এক প্রকার চিকন শ্যাওলা সংগ্রহ করতে। পাঁজিয়া জলাবদ্ধ বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করার সময় বাগডাঙ্গা এলাকার ঘের ব্যবসায়ী পরেশ মন্ডল বলেন, ঘেরের মাছ মোটাতাজাসহ রোগ বালাই থেকে রক্ষা করতে শ্যাওলা খুবই উপকারী। মণিরামপুরের গৌরীপুর বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করাকালীন ঘের ব্যবসায়ীর শ্রমিক তাজুল ইসলাম বলেন, ঘের মালিকরা মাছ চাষে বিলের শ্যাওলা ব্যবহার করায় তারা প্রতিদিন কাজ পাচ্ছে। মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী সুলতান হোসেন বলেন, ঘেরে প্রাকৃতিক খাদ্য সরবরাহ করা গেলে মাছ সতেজ হয়ে উঠে। শ্যাওলা ব্যবহারে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না। তাছাড়া যে সমস্ত বিল থেকে শ্যাওলা তোলা হয় সে সমস্ত বিলেও দেশী প্রজাতি মাছ সহজে চলা ফেরা করে প্রজননে সুষ্ঠু পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে। অভয়নগরের ভবদহ এলাকার ঘের ব্যবসায়ি মোস্তাক হোসেন বলেন, মাছের খাদ্য হিসেবে পাটা শ্যাওলা এখন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই শ্যাওলা খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করলে মাছের রোগ বালাই এয় না। তা ছাড়া বানিজ্যিক খাদ্যের খরচের হাত থেকেও অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়। জলাবদ্ধ বিল থেকে শ্যাওলা সংগ্রহ করে ঘের মালিকরা প্রতিদিন মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করছে। পাটা শ্যাওলা মাছো শ্যাওলা নামেও পরিচিত। চিংড়ি মাছ ছাড়া সব ধরণের সাদা মাছের প্রিয় খাদ্য শ্যাওলা।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা মৎস্য অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, বিল থেকে শ্যাওলা তুলে ঘেরে মাছকে খেতে দেওয়ায় মাছের বৃদ্ধি ঘটে। এ পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব ও টেকসই। ঘেরে প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করতে পারলে মালিকদের বাণিজ্যিক খাদ্যের খরচ কম হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করায় প্রতিদিন শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থান হয়। এটি স্থানীয় মৎস্যজীবীদের আয় বৃদ্ধিসহ মাছ উৎপাদনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শ্যাওলা মাছের খুবই পুষ্টিকর খাদ্য।


জয়পুরহাটে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, ঘাতক স্বামী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জয়পুরহাট প্রতিনিধি 

জয়পুরহাট সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাঁসুয়ার কোপে রোকেয়া বেগম (৬০) নামে এক নারী স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক স্বামী জহির উদ্দীনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের বড় তাজপুর মৌলভীপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, ভোরে প্রকৃতির ডাকে ঘুম থেকে উঠলে স্ত্রী রোকেয়ার সঙ্গে স্বামী জহির উদ্দীনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ঘরে থাকা হাঁসুয়া দিয়ে রোকেয়ার মাথায় বেশ কয়েকটি কোপ দেন জহির। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালর মর্গে পাঠায়।

নিহতের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আগেও হত্যার চেষ্টা করেছেন স্বামী।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তামবিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জহির উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


দিনে কুকুর আর রাতে শিয়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রূপগঞ্জবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

“ফজরের নামাজের পর হাটতে বের হলে শিয়াল কুকুরের জ¦ালায় কোথাও যেতে পারি না। একটু নিরিবীলি জায়গা পেলেই দলবেধে ওরা এসে কামড়ে দেয়ার চেষ্ঠা করে। শুক্রবার ভোরে জলসিঁড়ির বালুতে হাটতে গেলে একদল শিয়াল আক্রমন করে বসে, কোন রকমে প্রাণপনে দৌড়ে রক্ষা পাই।” এমনি করে কথাগুলো বলেন কাজী আবুল হোসেন।
মহসিন মিয়া বলেন, রাতের আধারে আমার খামারে শিয়ালের দল ডুকে ৪ টা ছাগলকে কামড়ে মেরে ফেলেছে। এতে আমার লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। দিনে কুকুরে কামড়ায় আর রাতে শিয়ালে। এ থেকে আমাগো কেউ বাঁচান।
“কি আর কমু গো ভাই? নগর পাড়া ব্রিজ, কেওডালা ব্রিজ অদৃশ্য শক্তির ছোয়ায় আটকে আছে। ভয়ঙ্কর ঝুকিপূর্ন চনপাড়া সেতুর মেরামত হচ্ছে না একযুগ ধরে। আমরা রূপগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরের বাসিন্দারা অনেক বিপদে আছি। আমাগো দেখার কেউ নেই। আমরা নিজ দেশে পরবাসীর মত। নদীতে পচা পানি। দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। মশার জ¦ালার কথা আর কি কমু? দিনে দুপুরেই কামড়ায়। রাত হলে তো কথাই নাই। একটু বাতাস ছুটলে বালির জ¦ালায় ঘরে বাহিরে থাকা দায়। এরওপর নতুন আরো জ¦ালা, দিনে কুকুরের জ¦ালা আর রাতের বেলায় শিয়ালের খেলা/ উপদ্রব। আর ভাল লাগে না। আল্লাহ ছাড়া আমাগো দেখার আর কেউ নাই।” এমনি করে মনের দুঃখে কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার আমজাদ হোসেন।
দিনে কুকুর আর রাতে শিয়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জবাসী। জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়া হলেও কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার শঙ্কায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। বেশি আতঙ্ক ছোট শিশুদের নিয়ে। ছোট্ট শিশু নুশাইবা বলেন, কুকুরের ভয়ে দিনের বেলায় ঘর থেকে বের হতে পারি না। দলবেধে যেভাবে খা খা করে এগিয়ে আসে ভয়েই সামনে দিয়ে যাওয়া যায় না। আরেকজন হামিম বলেন, বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। কি কারণে জানি না দলবদ্ধ কুকুর ভয়ঙ্কর আচরন করছে। বিগত ১ মাসে ২০ জনকে কামড়েছে এ কুকুর। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১২ টি ছাগলকেও কামড়ে দিয়েছে ভয়ঙ্কর কুকুরদল।
এ তো গেল দিনের চিত্র, রাতের চিত্র ভিন্ন। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের নানী দাদীরা ছোট শিশুদের ঘুম পাড়াতে রাক্ষস-খোক্কস, দৈত্য-দানবের গল্প না বলে শেয়ালের গল্প বলছে। শুধু গল্প নয়, শঙ্কাও আছে। এখানে সন্ধ্যা নামলেই শিয়ালের উপদ্রব বেড়ে যায়। দল বেঁধে শেয়াল বাড়ি-ঘরের আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা শুরু করে। এতে হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগল এমনকি ছোট শিশুদের নিয়েও ভয়ে আছে বাসিন্দারা। সন্ধ্যার আগেই গবাদিপশু ও ছোট শিশুদের নিয়ে ঘরে চলে আসতে হয়।
শেয়াল-কুকুরের উপদ্রব নিয়ে সিয়াম মিয়া বলেন, কী আর করমু ভাই, দিনের বেলা কুত্তা আর রাইতে হিয়ালের (শিয়াল) তা-বে আমরা আছি বড়ই যন্ত্রণায়। এসবের কারণে পশু-পাখিসহ বাচ্চাদের নিয়ে সারা দিন দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
উপজেলার তালাশকুট এলাকার সারমিন আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে ভয়ে থাকি। যে পরিমাণ শেয়াল-কুকুর বেড়েছে এলাকায়, না জানি কখন কাকে কামড়ে দেয়! সন্ধ্যার পর শেয়াল বেড়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে উপজেলার খামারপাড়া এলাকার এক মাদ্রাসার ছাত্র শিয়ালের কামড়ে ভোগে অবশেষে মৃত্যুবরণ করে।
রূপগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকাগুলোতে কুকুর বেশি থাকলেও শেয়াল তেমন একটা নেই। তবে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের খামারপাড়া , নগরপাড়া, কামসাইর, দেইলপাড়া, বাঘবাড়ী, পিরুলিয়া, ছনেরটেক, কায়েতপাড়া সহ বিভিন্ন গ্রামে শেয়াল-কুকুরের উপদ্রব বেশি।
উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ডাঃ আইভী ফেরদৌস বলেন, শিয়াল কুকুরের কামড়েরর রোগী আসে। আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা করি। ওষুধ সাপ্লাই স্বল্পতা রয়েছে। আর এ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে নেয়াই ভাল।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস বলেন, ভাদ্র মাসে কুকুরের উপদ্রব একটু বেড়ে যায়। মানুষকেও কামড়ে দেয়। শুনেছি শিয়ালের উপদ্রবও বেড়ে গেছে। তাই আমরা উপজেলার প্রতিটি এলাকায় কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়েছি। ভয়ের কিছু নেই। সচেতন থাকতে হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, শেয়াল কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি সত্যিই আতঙ্কের বিষয়। বিশেষ করে শিশুরা অনেক ভয়ে থাকে। প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানে কথা বলব। তবে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সর্বক্ষেত্রেই সচেতনতার বিকল্প নেই।


গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ১২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের আনারপুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ইউটার্নে যাত্রীবাহী বাস ও রেডিমিক্সের গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ উভয় পরিবহনের ১২জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে নয়টায় মহাসড়কের আনারপুরা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ১০ জনের নাম জানা গেছে গেছে। তারা হলোঃ আয়াজ(৩৫), ইউনুস মুন্সী (৪৫), মাইন উদ্দিন (৪২), রাসেল(৪০), ওমর ফারুক (২৫), মারুফ(৪০), তারেক রহমান(৩০), হারুন-অর-রশিদ(৪০), হাবিবুর রহমান (৪৫) ও জেমস(২৮)।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস। পথে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের আনারপুরা এলাকায় প্রিমিয়ার সিমেন্ট কোম্পানির একটি রেডিমেক্সের গাড়ি ইউটার্ন নেওয়ার সময় সেটিকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় রেডিমিক্সের গাড়ির চালক-হেলপার ও বাসের ১০জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় স্থানীয়রা।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ১০ জন গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। গুরুতর অবস্থায় ইউনুস মুন্সী, মাইন উদ্দিন, মারুফ ও রাসেলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে।

এ বিষয়ে গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. শওকত হোসেন বলেন,' সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে'।


রাজবাড়ীতে র‌্যাবের অভিযানে ১৯ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এস,কে পাল সমীর, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর কালুখালীতে র‌্যাব-১০ এর অভিযানে ১৯ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়। জব্দকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে মোঃ তোফাজ্জল (৪৫) এবং দিঘীরপাড় গ্রামের মোঃ রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ রিজন (২১)।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক ২টা ১৫ মিনিটে র‌্যাব-১০, সিপিসি-৩ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালুখালীর বোয়ালিয়া ইউনিয়নের সোনাপুর মোড় সংলগ্ন ভাবীর হোটেলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় মেহেরপুর থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসে তল্লাশি চালিয়ে গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
র‌্যাব-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তাপস কর্মকার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছিল।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তারকৃতদের কালুখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


ভালুকায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  

ময়মনসিংহের ভালুকায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভরাডোবা তাসরিফ কটন মিলের সামনে ময়মনসিংহগামী রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।

ভালুকা মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে গুরুতর আহতদের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরো বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ বাস দুটি জব্দ করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে এবং নিহতদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


কোটালীপাড়ায় অপহৃত শিশুকে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থেকে অপহরণকৃত শিশু আইয়ান (৩) কে অপহরণের ২৪ ঘন্টার মধ্যে নাটোরের লালপুর থেকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।

আইয়ান গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার পূর্ণবতী গ্রামের মো. হাইয়ুল মিয়া ও পাকিজা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান।

আত্মীয় পরিচয়ে বেড়াতে এসে গত বৃহস্পতিবার দোকান থেকে চিপস কিনে দেওয়ার কথা বলে আইয়ানকে অপহরণ করে ৩লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আমিরুল হোসেন বাপ্পি নামের এক যুবক।

ওই ঘটনায় রাতে শিশু রাইয়ানের মা বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর শিশু আইয়ানকে উদ্ধারে রাতেই কোটালীপাড়া থানার এস আই সাদ্দাম হোসেন খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম মাঠে নামে।

এসআই সাদ্দাম হোসেন খান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় টানা ১২ ঘন্টা অভিযান চালিয়ে শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার ধুপইল এলাকা থেকে অপহরণকারী আমিরুল হোসেন বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে শিশু আইয়ানকে উদ্ধার করি।

অপহরণকারী আমিরুল ইসলাম ধুপইল গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

এদিকে শিশু আইয়ানকে উদ্ধারের খবরে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ ভাসছে প্রশংসার জোয়ারে।

শিশু আইয়ানের মা পাকিজা বেগম বলেন, আমিরুল ইসলাম আমার স্বামীর খালাতে ভাইয়ের বন্ধু। কিছুদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে ১দিন থেকে চলে যায়।

গত মঙ্গলবার রাতে সে আবার আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টার দিকে চিপস, চকলেট কিনে দেওয়ার নাম করে আইয়ানকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সকাল ১১ টার দিকে আমার মোবাইলে ফোন দিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা দিলে ছেলেকে ফিরিয়ে দিবে বলে জানায় আমিরুল। থানা পুলিশকে জানাতে নিষেধ করে। পরে কোনো কূলকিনারা না পেয়ে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করি।

কোটালীপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান খন্দকার বলেন, অপহরনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পরই আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিতে অভিযানে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রাতেই ঢাকাসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার দুপরে নাটোরের লালপুর থেকে শিশুকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।


‘আমরা আমরাইতো’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ‘আমরা আমরাইতো সমাজসেবা সংগঠন’ ও আমরা আমরাইতো ব্লাড ডোনেটিং ক্লাবের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন ও নবম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন প্রতিযোগিতা ও এক বেলা আহারের আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার দিনব্যাপী ফেনীর শর্শদি ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলী বাজার সংলগ্ন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা হাফেজিয়া ও এতিমখানায় ওই আয়োজন করা হয়।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার হেফজখানার ৬০জন ছাত্রের মধ্যে ২০জন কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে প্রথম থেকে ১০ পর্যন্ত বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

মাওলানা কামরুল ইসলামের উপস্থাপনায় ওই সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন দত্তসার রহমানিয়া মাদ্রাসা ও হাফিজিয়া এতিমখানা এর নায়েবে মুহতামিম মাওলানা মুফতি আজিজুর রহমান, সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা ইউনুস, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনীর ইতিহাস ঐতিহ্যভিত্তিক সংগঠন ‘নরননীয়া’ এর সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইমন উল হক।

সংগঠনের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কাজী আফতাবুল ইসলাম, সভাপতি আবদুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হৃদয় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সংগঠনটির সর্বোচ্চ দাতা সদস্য ইমাম মেটালের স্বত্বাধিকারী মো. ইমাম হোসেনকে সম্মাননা জানানো হয়।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাদ্রাসার সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীদের নিয়ে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষকে ‘একবেলার আহার’ এ আপ্যায়ন করা হয়।


পিরোজপুর থেকে ঢাকা-খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ, ভোগান্তি চরমে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পিরোজপুর ও বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে নতুন করে সংসদীয় আসন বিভাজনকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আন্দোলনের কারণে পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনার মধ্যে সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত বুধবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ দেওয়া হয়। পরে তার সময়সীমা বাড়িয়ে শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বিশেষ করে বাগেরহাটের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে ভোগান্তিতে পড়েন খুলনায় চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা। খুলনা-সাতক্ষীরা- যশোরগামী যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। যাত্রীদের কেউ কেউ ব্যাটারিচালিত গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। ফলে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়েছে যাত্রীদের।

পরিবহন শ্রমিক আলিম সিকদার বলেন, ‘বাগেরহাটের সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে সমস্যাটা সৃষ্টি হয়েছে। পিরোজপুর থেকে ঢাকা এবং খুলনাসহ বেশ কয়েকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

রফিক শেখ নামের আরেক পরিবহন শ্রমিক বলেন, ‘বাগেরহাটে অবরোধের কারণে ঢাকার সঙ্গে পিরোজপুরের বাস চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। গাড়ি চলাচল না করায় আমাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা আরও বেশি সমস্যায় পড়বো। আমরা চাই এ সমস্যা অতিদ্রুত সমাধান হোক।’

অফিসের কাজে ঢাকায় যাবেন শাহরিয়ার আলম। তবে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তিনিও পড়েছেন ভোগান্তিতে। তিনি বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে ঢাকায় যাবো কিন্তু এসে দেখি এখানে কোনো পরিবহন ঢাকায় যাচ্ছে না। সঠিক সময় ঢাকা না যেতে পারলে আমার অনেক ক্ষতি হবে। অতিদ্রুত এই সমস্যা সমাধান করে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমানো উচিত।’

পিরোজপুর জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গাজী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বাগেরহাট সংসদীয় আসনকে কেন্দ্র করে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে আবারও ৭২ ঘণ্টার অবরোধ দিয়েছেন স্থানীয়রা। এ কারণে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট পেশার কয়েক হাজার মানুষ। এই সমস্যার সমাধান না করলে বাস মালিকেরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।’

এর আগে গত বুধবার বাগেরহাট জেলার চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে শুরু হওয়া সর্বাত্মক ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও সড়ক-মহাসড়ক অবরোধে অচল হয়ে পড়ে দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর মোংলাসহ পুরো বাগেরহাট জেলা।

সেদিনের বিএনপি-জামায়াতসহ সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির ডাকা এই কর্মসূচির কারণে জেলার জীবনযাত্রা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল। সেদিন সকাল থেকে বাগেরহাট হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুরসহ দেশের সব দূরপাল্লা ও আন্ত জেলা রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর সেদিন শহরের দোকানপাট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, ব্যাংক-বিমা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

হরতালকারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় কর্মকর্তারাও অফিসে ঢুকতে পারেননি। জেলার মোরেলগঞ্জের পানগুছি ও মোংলা নদীতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল।

সেদিন বুধবারে জেলার শতাধিক স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ ফেলে ও মাছ ধরার জাল টানিয়ে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে পালন করেন নেতাকর্মীরা। ফলে মোংলা বন্দরসহ বাগেরহাট সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মোতায়েন ছিল।

হরতালের কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘ দূরপাল্লার যাত্রীদের অনেকেই বাস টার্মিনাল বা সড়কের পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যানবাহন পাননি। জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া রোগীরা পড়েছিলেন বিপাকে।

গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ কারিগরি কমিটি খসড়া প্রস্তাবে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি কমিয়ে তিনটি রাখার প্রস্তাব দেয়। বিরোধিতা সত্ত্বেও গত ৪ সেপ্টেম্বর ইসি চূড়ান্ত গেজেটে বাগেরহাটে একটি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত জানায়। এতে জেলার রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে আন্দোলনে নামে।


banner close