সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
৩ ভাদ্র ১৪৩২

রূপগঞ্জের চনপাড়া বস্তি: ভয়াবহ অগ্নি ঝুঁকিতে দেড় লাখ বাসিন্দা

রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত
রাসেল আহমেদ, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৪ ১৪:১৫

রূপগঞ্জের চনপাড়া। সবাই চেনে বস্তি হিসেবে। ১২ হাত বাই ১৫ হাতের একেকটি ঝুপড়ি ঘর। মাঝেমধ্যে উঁকি দিচ্ছে দালান-কোঠাও। এলাকাজুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। সরু রাস্তা। ২০ হাজার ঝুপড়ি ঘরে প্রায় দেড় লাখ লোকের বসবাস এখানে।

চনপাড়াকে আশপাশের লোকজন অপরাধের আখড়া হিসেবেই বেশি চেনে। ভয়াবহ অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে এ চনপাড়া। নেই কোনো অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা। গত ৪৫ বছরে এখানে কমপক্ষে ২০টি স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটারের মধ্যে রূপগঞ্জে এ চনপাড়া বস্তির অবস্থান। উপজেলার বালু ও শীতলক্ষ্যা নদের তীর ও ডেমরার শেষ মাথায় চনপাড়া। ১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি তৎকালীন সরকার নদীভাঙনের শিকার ভূমিহীনদের চনপাড়ায় ওয়াসার ১২৬ একর জমির ওপর পুনর্বাসন করেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চনপাড়াজুড়ে রয়েছে হাজারও ঝুপড়ি ঘর। ঘরগুলো সাধারণত টিন-কাঠের তৈরি। চনপাড়াজুড়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল। এসব বৈদ্যুতিক তার থেকে শর্ট সার্কিটের কারণে বড় ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া চনপাড়ার ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এসব থেকেও বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো, এখানকার রাস্তাগুলো একেবারেই সরু। এসব রাস্তা দিয়ে রিকশা তো দূরের কথা কয়েকজন একসঙ্গে হাঁটাও দায়। এলাকার ভেতরে আগুনের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারবে না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চনপাড়ায় বাড়িঘরের পাশাপাশি রয়েছে প্রশিকা, ব্র্যাক, পিত্র মটিসি, ইউএসটিসিসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। রয়েছে সরকারি, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আগুনের ঘটনা ঘটলে বাড়িঘর, বিপণিবিতানের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানগুলোরও ক্ষতি হবে।

কথা হয় চনপাড়ার মুদি ব্যবসায়ী কেরামত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজানগো নিজেই তো দেখলেন। এলাকাডায় হাঁটাচলাও কষ্ট। আগুন লাগলে গাড়ি ঢুকবার পারবোনা। আর কারেন্টেরতো কোনো আগামাতা নাই।’

চা-দোকানি রজ্জব খাঁর সোজা কথা। তার দোকানের ক্ষতি হলে তিনি মরেই যাবেন। তিনি বলেন, ‘যেই ভাবে হারা দেশে আগুন লাগতাছে। হগল সময় ডরে-ডরে থাহি। কহন জানি আমাগো বস্তিত আগুন লাগে।’

চনপাড়া এলাকার ইউপি সদস্য শমশের আলী বলেন, চনপাড়া আগুনের ঝুঁকিতে আছে এটা সত্য। বড় ধরনের আগুনের ঘটনা ঘটলে বড় ধরনের ক্ষতিও হবে। তিনটি রাস্তা ছাড়া বাকি সব রাস্তা চিকন গলির মতো। তিনি বলেন, চনপাড়ায় প্রায় ৬ হাজার ঘর রয়েছে। আগুনের ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকবার।

কাঞ্চন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, চনপাড়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এখানে আগুন লাগলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। ঘটতে পারে অনেক হতাহতের ঘটনা। তাদের বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে, যেন অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা রাখে।


সোনারগাঁয়ে মৎস্য সপ্তাহে আলোচনা, র‌্যালী ও মাছের পোনা অবমুক্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপিত হয়েছে। ‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল সোমবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান। এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সফল মৎস্য উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান, মাছের পোনা অবমুক্ত ও র‌্যালী বের করা হয়। সোনারগাঁ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমান।
সোনারগাঁ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শারমিন আহমেদ তিথি, কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক, উপজেলা প্রকৌশলী মো: আলমগীর চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা বিভিন্ন দপ্ততের অন্যান্য কর্মকর্তা ও মৎস উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে উপজেলার সফল মৎস উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে র‌্যালি বের করা হয় এবং উপজেলা পরিষদের পুকুরে বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। র‌্যালিটি উপজেলা চত্বরে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।


৮৫ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের রায় প্রকাশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন আপিল বিভাগ। রায়ে আবেদনকারী এসব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ২০০৭ সালে বরখাস্তের পর থেকে প্রাপ্য বকেয়া বেতনভাতা জ্যেষ্ঠতাসহ ফেরত দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া এসব কর্মকর্তার বরখাস্ত থাকাকালীন সময়কে বিশেষ ছুটি হিসেবে বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির দেওয়া এই রায়ের ১৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে ২০২২ সালে আবেদনকারীদের আপিল খারিজ করে দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা পৃথক আবেদনের ওপর শুনানি শেষে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের রায় দেন। আজ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া।

২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চার দলীয় জোট সরকারের সময়ের এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৩২৭ জনের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামের তৎকালীন জোট সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া এই ৮৫ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করেন। এই আপিল মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।

এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।

এর ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে। ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন আপিল বিভাগ। ফলে তাদের চাকরিতে ফেরত আটকে যায়। পরে ২০২৩ সালে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য তারা আবেদন করেন। সেই আবেদনের ওপর ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি হয়। পরে ২৫ ফেব্রুয়ারি আবেদনকারীদের আবেদন মঞ্জুর করে এবং ২০২২ সালে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল করে তাদেরকে চাকরিতে পূর্ণবহালের নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।


ভোলায় বিরলরোগে আক্রান্ত নুহামনিকে বাচাতে পরিবারের আকুতি

অর্থাভাবে চলছেনা চিকিৎসা
বিরল চর্মরোগে কাতরাচ্ছে পাঁচ বছরের নুহামনি।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো: ইউসুফ হোসেন অনিক, ভোলা

ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের ছোট এক গ্রামে জন্ম নিয়েছিল ফুটফুটে কন্যা শিশু নুহামনি। আজ তার পাঁচ বছর বয়স। কিন্তু জন্মের পর থেকেই অন্য সব শিশুর মতো স্বাভাবিক জীবন নয়, তাকে লড়তে হচ্ছে এক অজানা ও বিরল চর্মরোগের সঙ্গে।

নুহামনির মুখমণ্ডল, হাত-পা, পিঠসহ সারা শরীরজুড়ে ছড়িয়ে আছে বড় বড় ফোসকা, ঘাঁ পাঁচরা ও খসখসে ত্বক। শরীরজুড়ে চুলকানি ও ব্যথা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারটি চিকিৎসার জন্য একাধিকবার স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করলেও রোগের সঠিক নাম ও প্রতিকার এখনও মেলেনি।

বাবা-মায়ের সংসারে অভাব অনটনের টানাপোড়েনে শিশু নুহামনি যেনো এক ভারী বোঝা হয়ে আছে।

নুহামনির বাবা আলামিন মিয়া একজন দিনমজুর। সামান্য আয়ে চলে তাদের সংসার। বাবা মায়ের কণ্ঠে ও চোখে মুখে রয়েছে অসহায়ত্বের ছাপ।

মা শিল্পী বেগম জানান "মেয়ে জন্মের পর থেকেই শরীরটা আলাদা রকম। প্রথমে ভাবছিলাম, সময় গেলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এখন ওর যন্ত্রণা সহ্য হয় না। কোনো ভালো ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই।"

আদরের নাতনিকে নিয়ে অঝোরে কাদঁছেন দাদী বিনু বেগম। নাতনিকে আগলে রেখে দেখভাল করেন তিনি। দাদী বিনু বেগম বলেন, " জন্মের পর থেকে তাকে ভালো করে গোসল করাতে পারেননি। এমনকি শরীরে লাগাতে পারেননি সাবানও। ব্যাথা আর চুলকানির কারণে রাতে ঘুমাতে পারেন না নুহামনি।"

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের দেওয়া ঔষধেই চলছে শিশু নুহামনির চিকিৎসা। কিন্তু, তাতে তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরে কিংবা ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ এলেও অর্থাভাবে থেমে গেছে চিকিৎসার পথ।

স্থানীয়রা বলেন, গ্রামের সব শিশুদের থেকে আলাদা নুহামনি। তার খেলাধুলার সাথীরা যখন একত্রিত হয়ে খেলা করে, তখন সে ঘরের কোনে বন্দী থাকে। তার শরীরের ভয়াবহতার কারণে শিশুরা তার সাথে মিশে না। তার চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবান ও সরকারকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তারা।

পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে থাকা প্যানেল চেয়ারম্যান মো.হুমায়ুন কবির দৈনিক বাংলাকে জানান, 'মেয়েটার খোঁজ নিচ্ছি এবং আবেদন করে সমাজসেবার অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা মেয়েটাকে যথাযথ সাহায্য করার চেষ্টা করছি।'

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, “এটি একটি মারাত্মক চর্মরোগ। উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শিশুটিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

উন্নত চিকিৎসা পেলে সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবেন নুহামনি, এমনটাই পত্যাশা পরিবারের। তাই, নুহামনির জীবনের জন্য প্রয়োজন সঠিক চিকিৎসা, যা তার পরিবারের সাধ্যের বাইরে। সমাজের মানবিক মানুষ, স্থানীয় প্রশাসন কিংবা সরকার এগিয়ে এলে হয়তো নতুন এক জীবন পেতে পারে এই অসহায় শিশুটি।

শিশুটির পরিবার তার চিকিৎসার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


কুষ্টিয়া দৌলতপুরে জাতীয় প্রজন্ম দলের মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুষ্টিয়া (দৌলতপুর) প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম দল দৌলতপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রত রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল রবিবার রাতে স্থানীয় প্রজন্ম দলের নিজস্ব কার্যালয়ে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দোয়া পরিচালনা করেন তারাগুনিয়া হাফেজিয়া মাদরাসার প্রধান মাহাততিম হাফেজ মাওলানা ফারুক হোসাইন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজু আহমেদ মোল্লা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি মোঃ আলাউদ্দিন মোল্লা সাধারণ সম্পাদক হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপি মোঃ মাহবুবুর রহমান সবুর মোল্লা সাবেক সহ সভাপতি দৌলতপুর উপজেলা যুবদল মোঃ মিঠু যুগ্ন আহবায়ক দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদল মোঃ সোহাগ সভাপতি দৌলতপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদল এবং সভাপতিত্ব করেন মোঃ হৃদয় আহমেদ শুভ, সাধারন সম্পাদক প্রজন্ম দল কুষ্টিয়া জেলা শাখা।


জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫ উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর উদ্বোধন করেছেন।

আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এর উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, মৎস্যচাষী, উদ্যোক্তা ও গবেষকগণ অংশ নেন।

উদ্বোধনী ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘মৎস্য খাতের অবদানের জন্য আমাদেরকে প্রকৃতি ও পানির প্রতি সদয় হতে হবে। প্রকৃতি- প্রতিবেশ নষ্ট হলে মাছ উৎপাদন একসময় বন্ধ হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশ বান্ধব চাষাবাদ ও তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে এ খাতকে সমৃদ্ধ করা সম্ভব।’

অধ্যাপক ইউনূস মৎস্য খাতের অপার সম্ভাবনা বিশেষ করে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের সুযোগকে কাজে লাগানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে জাতীয় মৎস্য পদক ২০২৫ তুলে দেন।

মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রদর্শনী, কর্মশালা ও আলোচনা সভার মাধ্যমে চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তি, মাছের রক্ষণাবেক্ষণ এবং বাজারজাতকরণ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো হবে।

এবারের মৎস্য সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য-‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’।

মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, মৎস্য সপ্তাহের মূল লক্ষ্য প্রকৃতির সুরক্ষা, স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানো, রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং দেশের পুষ্টি নিরাপত্তায় অবদান রাখা।


পলায়নের অভিযোগে হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশের ১৮ জন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। সোমবার (তারিখ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমুল গনি।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন তিনজন ডিআইজি, ছয়জন অতিরিক্ত ডিআইজি, চারজন পুলিশ সুপার ও চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(গ) ধারা অনুযায়ী পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা: কঠোর বিধিনিষেধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২–এর বিধি ৫ অনুযায়ী সরকার ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে রোববার (১৭ আগস্ট) এ ঘোষণা জারি করা হয়।

ঘোষণার ফলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সাভারে টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ছাড়া অন্য কোনো ইটভাটায় ইট পোড়ানো বা ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম চলবে না। পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, নতুন করে স্থাপিতব্য বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প কারখানাকে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান এবং কর্মপরিকল্পনায় উল্লিখিত অন্যান্য কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাভারের পরিবেষ্টক বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় মানদণ্ডের প্রায় তিন গুণ ছাড়িয়েছে।

এর ফলে জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস ধরে উত্তর–পশ্চিম ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

সরকার আশা করছে, এ ঘোষণার মাধ্যমে সাভার ও ঢাকা উভয় অঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আসবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।


সমুদ্রে ভাসতে থাকা আট জেলেকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎বাগেরহাট প্রতিনিধি

‎শ্যাফট বিকল হয়ে ৩ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ফিশিং বোট এর ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
‎সোমবার ১৮ আগষ্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
‎গত ১৪ আগস্ট মাছ ধরার উদ্যেশ্যে ৮ জেলে সহ "এফবি মায়ের দোয়া" নামের একটি ফিশিং বোটটি সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্যাফট বিকল হয়ে বোটটি সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
‎পরবর্তীতে ৩ দিন পর মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে, গত ১৭ আগস্ট রবিবার সকাল ১০ টায় বোটে থাকা জেলেরা কোস্ট গার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে সমুদ্রে টহলরত কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে মোংলা ফেয়ারওয়ে সংলগ্ন ৫ নম্বর বয়ার সমুদ্র এলাকা হতে ৮ জেলেসহ ফিশিং বোটটিকে উদ্ধার করে।

‎পরবর্তীতে কোষ্টগার্ড উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে বোটটিকে নিরাপদে হারবারিয়া সংলগ্ন নদীর তীরে পৌঁছে দেয়।
‎বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


ঝিনাইদহে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।
সোমবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজা, সদর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তুললে দেশি মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে। এতে যেমন জীববৈচিত্র্য টিকে থাকবে, তেমনি দেশি মাছে ভরবে দেশের বাজার। তাই সকলকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠান শেষে জেলার ৪ জন শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী ও খামারিকে সম্মননা প্রদাণ করা হয়।


স্বতন্ত্র কোডে শিক্ষা ক্যাডারসহ ২ দফা দাবি ইবি'র লোক প্রশাসন শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র কোডে শিক্ষা ক্যাডার এবং এনটিআরসিএ-এর অধীনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৭আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে প্রদান ফটক গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় তারা।

মানববন্ধনে তারা দু’দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো— লোক প্রশাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র কোড প্রদান করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর মাধ্যমে কলেজ পর্যায়ে ‘পৌরনীতি ও সুশাসন’ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ করা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করছে। কিন্তু তারা তাদের এই শিক্ষা প্রয়োগ করার মতো যোগ্য স্থান খুঁজে পায় না। যদি কর্মক্ষেত্রে সুযোগ দেয়া না হয় তাহলে এ বিভাগকে রেখে কী লাভ? আপনারা এ বিভাগ বাদ দিয়ে দেন।নাহলে কর্মক্ষেত্রের সুযোগ দিন। লোক প্রশাসন বিভাগে আমরা ৬-৭ বছর পড়াশোনা করে থাকি। আর আপনারা অন্য বিভাগ থেকে নিয়োগ দিয়ে ৬-৭ মাসের ট্রেনিং এর মাধ্যমে কাজ চালান। যদি সেটা হয়ই তাহলে তো আমাদের এখানে ৬-৭ বছর সময় নষ্ট করার কোনো মানে নাই।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সবথেকে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বিভাগ হিসেবে অবস্থান করছে লোক প্রশাসন বিভাগ। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে তাদের শিক্ষা প্রয়োগ করার মতো উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র শিক্ষার্থীরা খুঁজে পায় না।

তারা আরও জানান, দেশে যদি আমাদের নির্দিষ্ট কর্মসংস্থান না থাকে তাহলে এই বিভাগ রাখার তো প্রয়োজন নেই। যদি বিভাগ থাকে তাহলে বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে আমাদের প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে। লোক প্রশাসন নিয়ে পড়াশোনা করে আমাদের প্রশাসনে যাওয়ার সুযোগ করে না দিলে কর্মক্ষেত্রের সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।


রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে অচল খাল সচল এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপিও প্রদান করা হয়।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন তালুকদার। বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, আব্দুস সামাদ মিঞা, নূর আব্দুল্লাহ সাইদ, জাহানারা বেগম ও মঞ্জুয়ারা বেগম।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের খলিশা রামকান্তপুর এলাকায় প্রভাবশালীরা খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমি জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ধান রোপণ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত খাল সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তারা।


ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আয়োজনে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪টায় মমিন খারঁ হাট মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্বোধনী খেলায় সাবেক ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের আহবায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

এ সময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সেক্রেটারি চৌধুরী নাজমুল হাসান রঞ্জন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ তাবরিজ, ফরিদপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান মাতুব্বর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক শেখ, আমেরিকা প্রবাসী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আক্তারুজ্জামান খান, মমিন খাঁর হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বেপারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম মোল্লা, মোহন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম মোল্লা, ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোঃ বশির আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে আশিক স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাব- অম্বিকাপুর বনাম লালখান বাজার ফুটবল একাদশ। টুর্নামেন্টের আয়োজক মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আমন্ত্রণে মাঠে হাজার হাজার ফুটবল প্রিয় দর্শকের আগমন ঘটে, যা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা পরিচালনার অন্যতম দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়া অনুরাগী জনি মির্জা ও অন্যান্যরা। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে আশিক স্মৃতি স্পোটিং ক্লাব অম্বিকাপুর, লালখান বাজার ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে।


কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিশা ট্রান্সপোর্টের এক সুপারভাইজার গাড়ি চাপায় নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার।

নিহত সোহেল রানা (৪৫) কুমিল্লা বাঙ্গরাবাজার খামারগ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ডান পাশে তিশা প্লাস পরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বাম দিক থেকে এশিয়া ট্রান্সপোর্ট বেপরোয়া গতিতে কাউন্টার ত্যাগ করার সময় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার অসাবধানতাবশত চাকার নিচে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় প্রতিদিনই বাস ও ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারের বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।


banner close