সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
৩ ভাদ্র ১৪৩২

দালাল সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি চমেক হাসপাতাল

গ্রেপ্তার ৩৮
ফাইল ছবি
আপডেটেড
২২ মার্চ, ২০২৪ ০৫:২৮
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত
রতন কান্তি দেবাশীষ, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : ২২ মার্চ, ২০২৪ ০৫:২৮

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) দালাল চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে আছে রোগী ও তাদের স্বজনরা। এখানে দালাল ছাড়া রোগী ভর্তি থেকে শুরু করে কোনো সেবাই পাওয়া যায় না। দালালদের বিরুদ্ধে কথা বললে বা তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই মারধর বা হেনস্তার শিকার হতে হয়।

হাসপাতাল এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, সিএনজি, অটোরিকশা এবং ইজিবাইক চালকদের নিয়ে দালাল চক্র তৈরি করা হয়। দালালরা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ও সেবার অপ্রতুলতার বর্ণনা দিয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার প্রতি রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ছাড়া চিকিৎসকরা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে সেগুলো দ্রুত করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এবং কমিশন পাওয়ার আশায় বিভিন্ন কৌশলে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।

শয্যা ও ওয়ার্ড সিন্ডিকেট

প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসা সাধারণ রোগীরা ভর্তি হওয়ার পর তারা নানা সমস্যায় পড়েন। প্রথমেই জরুরি মুহূর্তে রোগীকে বহনের ট্রলি থেকে শুরু করে শয্যা বা ওয়ার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে দালালরা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।

দুরারোগ্য রোগের ভীতি সঞ্চার

হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রোগী আগমন করা মাত্রই দালালরা রোগীর মধ্যে একটা ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে কোনো বড় ধরনের রোগের কথা বলে বেসরকারি কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভর্তি করায়। ফলে রোগীরা সরকারি হাসপাতালের বিনা মূল্যের চিকিৎসা ও স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হন। এতে অধিক অর্থ ব্যয় করে রোগী ও তার স্বজনরা সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন। দালালদের প্রলোভনে পড়ে মানহীন হাসপাতালে যাওয়ায় অনেক সময় সুচিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট

হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তার অপ্রতুলতার কথা বাড়িয়ে বর্ণনা করে সিন্ডিকেটকারীরা দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেবে মর্মে ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স বেশি টাকায় ভাড়া দেয়। এমনকি চিকিৎসাধীন কোনো রোগী এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করার প্রাক্কালে এবং কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করলেও হাসপাতাল থেকে তার মরদেহ বহনেও সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে।

কমিশন বাণিজ্য

একজন রোগী হাসপাতালে আগমনের পর ভর্তি থেকে শুরু করে রোগী বহনের জন্য ট্রলি, শয্যা বা ওয়ার্ড পাইয়ে দেওয়া, বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরিদর্শন পিছন থেকে সামনে নেওয়া, স্বল্পমূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়া, তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের ওষুধ কেনাসহ সব ক্ষেত্রে রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে আসছে।

এ ছাড়া রোগীদের বিনা মূল্যের ওষুধ থেকে বঞ্চিত করে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের ওষুধ কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কমিশনপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। পরে ফার্মেসি ওষুধের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে স্বাভাবিক মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ওষুধ বিক্রি করে রোগীর কাছে।

এ অবস্থায় সরকারি হাসপাতালের চরম ইমেজসংকট তৈরি হয়েছে। রোগীর কাছে ভোগান্তির অপর নাম হয়ে দাঁড়ায় সরকারি হাসপাতাল।

এসবের পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার র‌্যাবের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৩৮ দালালকে গ্রপ্তার করেছে। র‌্যাব-৭-এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময়ে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। দালালরা রোগী ও তাদের স্বজনদের জিম্মি করে রেখেছে। এখন থেকে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।’


পলায়নের অভিযোগে হারুনসহ ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদসহ পুলিশের ১৮ জন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। সোমবার (তারিখ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জারি করা প্রজ্ঞাপনে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমুল গনি।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন তিনজন ডিআইজি, ছয়জন অতিরিক্ত ডিআইজি, চারজন পুলিশ সুপার ও চারজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(গ) ধারা অনুযায়ী পলায়নের শাস্তিযোগ্য অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী তাদের চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্তকালীন তারা খোরপোষ ভাতা পাবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।


সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা: কঠোর বিধিনিষেধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২–এর বিধি ৫ অনুযায়ী সরকার ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভার উপজেলাকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান এনডিসি স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে রোববার (১৭ আগস্ট) এ ঘোষণা জারি করা হয়।

ঘোষণার ফলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে সাভারে টানেল ও হাইব্রিড হফম্যান কিলন ছাড়া অন্য কোনো ইটভাটায় ইট পোড়ানো বা ইট প্রস্তুতের কার্যক্রম চলবে না। পাশাপাশি উন্মুক্ত স্থানে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো, নতুন করে স্থাপিতব্য বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প কারখানাকে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান এবং কর্মপরিকল্পনায় উল্লিখিত অন্যান্য কার্যক্রমও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সার্বক্ষণিক বায়ুমান পরিবীক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাভারের পরিবেষ্টক বায়ুর বার্ষিক মানমাত্রা জাতীয় মানদণ্ডের প্রায় তিন গুণ ছাড়িয়েছে।

এর ফলে জনগণের স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে প্রায় পাঁচ মাস ধরে উত্তর–পশ্চিম ও উত্তর–পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত বায়ু সাভারের দূষণকে ঢাকায় নিয়ে আসে, যা রাজধানীর ঘনবসতিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।

সরকার আশা করছে, এ ঘোষণার মাধ্যমে সাভার ও ঢাকা উভয় অঞ্চলের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পরিবর্তন আসবে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষিত হবে।


সমুদ্রে ভাসতে থাকা আট জেলেকে উদ্ধার করেছে কোষ্টগার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎বাগেরহাট প্রতিনিধি

‎শ্যাফট বিকল হয়ে ৩ দিন ধরে সমুদ্রে ভাসতে থাকা ফিশিং বোট এর ৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
‎সোমবার ১৮ আগষ্ট সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
‎গত ১৪ আগস্ট মাছ ধরার উদ্যেশ্যে ৮ জেলে সহ "এফবি মায়ের দোয়া" নামের একটি ফিশিং বোটটি সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শ্যাফট বিকল হয়ে বোটটি সমুদ্রে ভাসতে থাকে।
‎পরবর্তীতে ৩ দিন পর মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসলে, গত ১৭ আগস্ট রবিবার সকাল ১০ টায় বোটে থাকা জেলেরা কোস্ট গার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১ এ ফোন করে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষনিকভাবে সমুদ্রে টহলরত কোস্ট গার্ড জাহাজ স্বাধীন বাংলা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে মোংলা ফেয়ারওয়ে সংলগ্ন ৫ নম্বর বয়ার সমুদ্র এলাকা হতে ৮ জেলেসহ ফিশিং বোটটিকে উদ্ধার করে।

‎পরবর্তীতে কোষ্টগার্ড উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা এবং প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করে বোটটিকে নিরাপদে হারবারিয়া সংলগ্ন নদীর তীরে পৌঁছে দেয়।
‎বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


ঝিনাইদহে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

‘অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ।
সোমবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বরে বেলুন উড়িয়ে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। পরে সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক ছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসনে আরা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফরহাদুর রেজা, সদর উপজেলা মৎস কর্মকর্তা গোলাম সরোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, অভয়াশ্রম গড়ে তুললে দেশি মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে। এতে যেমন জীববৈচিত্র্য টিকে থাকবে, তেমনি দেশি মাছে ভরবে দেশের বাজার। তাই সকলকে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বক্তারা।

অনুষ্ঠান শেষে জেলার ৪ জন শ্রেষ্ঠ মৎস্য চাষী ও খামারিকে সম্মননা প্রদাণ করা হয়।


স্বতন্ত্র কোডে শিক্ষা ক্যাডারসহ ২ দফা দাবি ইবি'র লোক প্রশাসন শিক্ষার্থীদের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) লোক প্রশাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র কোডে শিক্ষা ক্যাডার এবং এনটিআরসিএ-এর অধীনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (১৭আগস্ট) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। পরবর্তীতে মিছিল নিয়ে প্রদান ফটক গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয় তারা।

মানববন্ধনে তারা দু’দফা দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো— লোক প্রশাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র কোড প্রদান করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) শিক্ষা ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)-এর মাধ্যমে কলেজ পর্যায়ে ‘পৌরনীতি ও সুশাসন’ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্গত বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণ করা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রতিবছর প্রায় দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করছে। কিন্তু তারা তাদের এই শিক্ষা প্রয়োগ করার মতো যোগ্য স্থান খুঁজে পায় না। যদি কর্মক্ষেত্রে সুযোগ দেয়া না হয় তাহলে এ বিভাগকে রেখে কী লাভ? আপনারা এ বিভাগ বাদ দিয়ে দেন।নাহলে কর্মক্ষেত্রের সুযোগ দিন। লোক প্রশাসন বিভাগে আমরা ৬-৭ বছর পড়াশোনা করে থাকি। আর আপনারা অন্য বিভাগ থেকে নিয়োগ দিয়ে ৬-৭ মাসের ট্রেনিং এর মাধ্যমে কাজ চালান। যদি সেটা হয়ই তাহলে তো আমাদের এখানে ৬-৭ বছর সময় নষ্ট করার কোনো মানে নাই।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সবথেকে অবহেলিত ও অধিকার বঞ্চিত বিভাগ হিসেবে অবস্থান করছে লোক প্রশাসন বিভাগ। দেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে তাদের শিক্ষা প্রয়োগ করার মতো উপযুক্ত কর্মক্ষেত্র শিক্ষার্থীরা খুঁজে পায় না।

তারা আরও জানান, দেশে যদি আমাদের নির্দিষ্ট কর্মসংস্থান না থাকে তাহলে এই বিভাগ রাখার তো প্রয়োজন নেই। যদি বিভাগ থাকে তাহলে বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মক্ষেত্রে আমাদের প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে। লোক প্রশাসন নিয়ে পড়াশোনা করে আমাদের প্রশাসনে যাওয়ার সুযোগ করে না দিলে কর্মক্ষেত্রের সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।


রাজবাড়ীতে অচল খাল সচল ও জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবীতে বিক্ষোভ ও স্বারকলিপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জহুরুল হক, রাজবাড়ী প্রতিনিধি

কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে অচল খাল সচল এবং জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে রাজবাড়ীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি। রবিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্বারকলিপিও প্রদান করা হয়।

এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন কৃষক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন তালুকদার। বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মানিক মজুমদার, আব্দুস সামাদ মিঞা, নূর আব্দুল্লাহ সাইদ, জাহানারা বেগম ও মঞ্জুয়ারা বেগম।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সুলতানপুর ইউনিয়নের খলিশা রামকান্তপুর এলাকায় প্রভাবশালীরা খালের মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ১০০ একর জমি জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত রয়েছে। এতে ধান রোপণ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত খাল সচল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানান তারা।


ফরিদপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুর সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আয়োজনে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪টায় মমিন খারঁ হাট মাধবদিয়া ময়েজউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে উদ্বোধনী খেলায় সাবেক ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মির্জা সাইফুল ইসলাম আজমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলাদলের আহবায়ক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ।

এ সময় ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সেক্রেটারি চৌধুরী নাজমুল হাসান রঞ্জন, ফরিদপুর কোতয়ালী থানা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা মিরাজ, ফরিদপুর সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা বেনজির আহমেদ তাবরিজ, ফরিদপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, ডিগ্রীরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মজিবর রহমান মাতুব্বর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুর রাজ্জাক শেখ, আমেরিকা প্রবাসী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ আক্তারুজ্জামান খান, মমিন খাঁর হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম বেপারী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রেজাউল করিম মোল্লা, মোহন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সায়েম মোল্লা, ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মোঃ বশির আহমেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। উদ্বোধনী খেলায় অংশগ্রহণ করে আশিক স্মৃতি স্পোর্টিং ক্লাব- অম্বিকাপুর বনাম লালখান বাজার ফুটবল একাদশ। টুর্নামেন্টের আয়োজক মমিন খারঁ হাট বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ-সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা জাতীয়তাবাদী প্রবাসী দলের সভাপতি মির্জা প্রিন্স আলির আমন্ত্রণে মাঠে হাজার হাজার ফুটবল প্রিয় দর্শকের আগমন ঘটে, যা ছিল চোখে পড়ার মতো। খেলা পরিচালনার অন্যতম দায়িত্ব পালন করেন ক্রীড়া অনুরাগী জনি মির্জা ও অন্যান্যরা। খেলায় ২-১ গোলের ব্যবধানে আশিক স্মৃতি স্পোটিং ক্লাব অম্বিকাপুর, লালখান বাজার ফুটবল একাদশকে পরাজিত করে।


কুমিল্লায় এশিয়া বাসচাপায় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার নিহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিশা ট্রান্সপোর্টের এক সুপারভাইজার গাড়ি চাপায় নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার।

নিহত সোহেল রানা (৪৫) কুমিল্লা বাঙ্গরাবাজার খামারগ্রামের মৃত কবির আহম্মেদের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ডান পাশে তিশা প্লাস পরিবহন দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় বাম দিক থেকে এশিয়া ট্রান্সপোর্ট বেপরোয়া গতিতে কাউন্টার ত্যাগ করার সময় তিশা ট্রান্সপোর্টের সুপারভাইজার অসাবধানতাবশত চাকার নিচে পড়ে যান। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা ইকবাল বাহার বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

স্থানীয়রা জানান, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড চৌরাস্তায় প্রতিদিনই বাস ও ট্রান্সপোর্ট কাউন্টারের বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় এ ধরনের প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না।


পানির দাবীতে রাস্তায় নেমেছে পৌরবাসী, শিঘ্রই সমাধানের আশ্বাস পৌর প্রশাসকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হাসনাইন তালুকদার দিবস, ঝালকাঠি প্রতিনিধি

ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগান এলাকায় পৌর পানি সরবরাহের সমস্যা গত দু'বছর ধরে। সাবেক মেয়র, বর্তমান প্রশাসক সবার কাছে বহুবার ধন্না ধরেও কোনো লাভ হয়নি। ঐ এলাকার বিকল পাম্প গুলো মেরামতের নেই কোনো উদ্দোগ। এসব কথা জানিয়েছেন সেখানকান (কলাবাগান) বাসিন্দারা।

রোববার ১৭ আগষ্ট সকালে পানির দাবীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে ৯নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষ। মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তারা। বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে। স্মারক লিপিও দিয়েছে জেলা প্রশাসক বরাবরে।

আন্দোলনরতো ঝালকাঠি পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কলাবাগানবাসী ডিসি বরাবর লিখিত পত্রে উল্লেখ করেছেন, "দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কলাবাগান এলাকায় পানি সরবরাহের তীব্র সমস্যা থাকায় উক্ত এলাকার

জনগন সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করলেও ইহাতে তারা কোন কর্নপাত করেনাই। বর্তমানে পানির সমস্যার কারনে এলাকাবাসী নিরুপায় হয়ে নদীর পানি ব্যবহার করার কারনে বিভিন্ন ধরনের পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।"

এলাকাসীর এই আন্দোলনের মুখপাত্র ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুরাদ হোসেন বলেন, 'নিয়মিত পৌর পানির বিল পরিশোধ করলেও কি কারনে বছরের পর বছর পানির পাম্প অকার্যকর থাকে সে বিষয়ে আমরা বোধগম্য নই। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির সমস্যা সামাধান করা এখন বাসিন্দাদের দাবী।'

এ সমস্যা কেনো এবং সমাধান কি? এ প্রশ্নের জবাবে পৌর প্রশাসক কাওছার হোসেন মুঠো ফোনে দৈনিক বাংলাকে জানান, 'পৌসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৪টি পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হতো। কিন্তু পানির লেয়ার নিচে নেমে যাওয়ায় ২টি পাম্পে পানি উঠছেনা এবং ১ টি পাম্প থেকে লবনাক্ত পানি ওঠে তাই এই তিনটি পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে ৯ নং ওয়ার্ডে পানির সংকট বিরাজ করছে। ঝালকাঠি পৌরসভা ৭ জেলা পানি সরবরাহ প্রকল্প ও ২৫ জেলা পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পে ঐ বিষয়ে প্রকল্প প্রেরণ করা হ‌য়ে‌ছে। শীঘ্রই এ প্রকল্প শুরু হলে ঝালকাঠি বাসী এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে ব‌লে আশা কর‌ছি।'


চারঘাটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী ব্যুরো

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেয়ার নামে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী এলাকার জোতকার্তিক বি এন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে নিয়োগ বোর্ড না করেই টাকার বিনিময়ে চারটি পদে নিয়োগ দিয়ে এমপিও’র আবেদন করেছে ঐ শিক্ষক। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন’র সীমাহীন দুর্নীতির বিচার এবং এমপিও আবেদন বাতিলের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. মকবুল হোসেন। তিনি নন্দনগাছীর কালাবীপাড়া এলাকার মৃত ছবির উদ্দিনের ছেলে।

আবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রধান শিক্ষক মারফত জানতে পারেন যে, আইসিটি ল্যাব সহকারী পদে একজন লোক নিয়োগ করা হবে। তার কথা শুনে আমার ছেলের বৌকে নিয়োগ দেয়ার কথা বললে প্রধান শিক্ষক ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। তিনি তার কথায় রাজি হয়ে ২০১৯ সাল থেকে ২০ সালের বিভিন্ন সময় মোট ৯ লক্ষ টাকা তার নিজ বাসায় নিজ হাতে গ্রহণ করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার ছেলের বৌকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ না দিয়ে নানা রকম তালবাহানা করছে। মকবুল হোসেন আবেদনে আরো উল্লেখ করেন, বর্তমানে একান্ত সূত্রে জানতে পারেন, আইসিটি পদসহ মোট ৪টি পদে প্রায় অর্ধ কোটি নিয়োগ বাণিজ্য করে ব্যাক ডেটে বাস্তবে নিয়োগ বোর্ড না করেই অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছে। এই আবেদন বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোগকারী সাবেক ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন আমার ছেলের বৌকে তার প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়ার কথা বলে ৯ লক্ষ টাকা নিয়েছে। কিন্তু তাকে চাকরি না দিয়ে বেশী টাকার বিনিময়ে অন্যজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে এবং স্কুলটি এমপিও’র জন্য আবেদন করেছে। আমি এই এমপিও আবেদন বাতিলের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদন করেছি।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন। মন্ত্রীর পরিচয়ে নানাভাবে প্রভাব খাটিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করেছেন এই শিক্ষক। অভিযোগ বিষয়ে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহা. আবদুর রশিদ জানান, এ ধরনের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। একজন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে বিষয়টি তদন্ত করানো হবে। টাকা লেনদেনের বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখা হবে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দেন তিনি।


ফরিদপুরে এবার ভুয়া তথ্যে সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা, প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে সাহসিকতার ভুয়া তথ্যে ফরিদপুরের দুই নামধারী সাংবাদিককে ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা প্রদানের প্রতিবাদে ও সম্মাননা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিকরা। গতকাল রোববার সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে ফরিদপুর জেলা ও উপজেলার সাংবাদিকরা অংশ নেন। গত ৩ আগস্ট সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট জুলাই আন্দোলনে সাহসী ও আহত সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে সম্মাননা প্রদান করে। এতে ফরিদপুরে জুলাই আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি শেখ ফয়েজ আহমেদ ‘সাহসী সাংবাদিক’ সম্মাননা বাগিয়ে নেন। অন্যদিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার ইমরান হোসাইন নামের এক ব্যক্তি ভুয়া জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে সম্মাননা গ্রহণ করেন। তাদের মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য পরিচয় ব্যবহার করে প্রাপ্ত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী আহত সাংবাদিক সম্মাননা পুরস্কার প্রত্যাহার ও বিচারের দাবিতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তথ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, সিনিয়র সদস্য মফিজ ইমাম মিলন, পান্না বালা, হাসানুজ্জামানসহ অন্যান্যরা। এ সময় ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সদস্যরা বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, শেখ ফয়েজ আহমেদের মতো একজন ভুয়া সাংবাদিক তাকে এই ধরনের পদক প্রদান করে সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থা একটা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত জন্ম দিয়েছে। এতে প্রকৃত সাংবাদিকদের অসম্মান করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার যে সমস্ত সাংবাদিকরা সরাসরি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করেছিল। তাদের বাদ দিয়ে একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে এই ধরনের পুরস্কার দেওয়ার কি যুক্তি থাকতে পারে? তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার একজন আসামি। অবিলম্বে ওই পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।


মানিকগঞ্জের পদ্মা নদীর ভাঙনে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব মানুষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায় পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে লঞ্চ ঘাট এবং ফেরি ঘাটের একাংশ। নদী ভাঙন অব্যাহত থাকায় এলাকার মানুষের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি ঘরবাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। নদীর তীরের বসবাসকারীরা ঘরবাড়ি অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাট এবং আশপাশের পুরো এলাকাজুড়ে এখন নদীভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে। সেই সঙ্গে ভিটে-বাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে অনেক পরিবার।

জানা গেছে, গত শনিবার পাটুরিয়া ৪নং ঘাটসংলগ্ন একটি বাড়ির অর্ধেক অংশ নদী গর্ভে চলে গেছে। ওই বাড়ির লোকজনকে ঘর-দরজাসহ আসবাবপত্র অন্যত্রে সরিয়ে নিতে দেখা গেছে। গত কয়েকদিন ধরে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোতের কল কল শব্দে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে পাটুরিয়া ফেরি ঘাটসহ পার্শ্ববর্তী শত শত পরিবারের বসতবাড়ি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিপাতের পানি হু হু করে বাড়ছে পদ্মা-যমুনার পানি। এতে পাটুরিয়া ঘাটের বিভিন্ন অংশে আঘাত হানছে তীব্র স্রোতের ধাক্কা। ঘাট এলাকার নিচের মাটি পানির স্রোতে ধুয়ে গিয়ে ধসে পড়ছে পাড়। গত ৫ আগস্ট বিলীন হয়ে গেছে লঞ্চ ঘাট এবং গত ১২ আগস্ট ৪ ও ৫নং ফেরি ঘাটের একাংশ নদীতে ধসে পড়েছে। ৪নং ফেরি ঘাটসংলগ্ন একটি বাড়িও নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে পুরো ফেরি ঘাট ভেঙে গিয়ে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

পাটুরিয়া ঘাটের বাসিন্দা রানা সিকদার বলেন, পানি বৃদ্ধির শুরু থেকেই ঘাট এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিলেও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। নদীতে পানি আসা মাত্রই ঘাট এলাকায় নদীভাঙন দেখা দিয়েছে।

পাটুরিয়া ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের আশপাশে বিআইডব্লিউটির ফোরসোর জায়গায় অন্তত পাঁচটি স্থানে অবৈধ বালুর চাতাল রয়েছে। নদীর তীরে এসব জায়গা থেকে বালু মাটি কেটে নেওেয়ার ধুম পড়েছে। সরকারি জায়গা অবৈধভবে দখল করে (এক্সক্যাভেটর) ভেকু মেশিনের সাহায্যে সরারাত নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে বালু-মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধভাবে বালু-মাটির ব্যবসা করছে। বেপরোয়াভাবে বালু মাটি কেটে নেওয়ায় চলতি বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকভাবে নদীভাঙনের শুরু হয়েছে।

শিবালয় মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পাটুরিয়ায় অবৈধ বালু কাটা এবং তা বাজারজাত করার জন্য আমার ইউনিয়নের রাস্তাটি ব্যবহার করে ভেঙে ফেলা হচ্ছে। এখন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এবং সরকারি সম্পত্তিরও ক্ষতি হচ্ছে। এখনতো লঞ্চে যাত্রী ওঠানামায়ও ভোগান্তি হচ্ছে। আমি এসব বিষয়ে বারবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেও কোনো ফল পাচ্ছি না।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান বলেন, পাটুরিয়া ঘাটটা এবং লঞ্চ ঘাট এগুলো বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক পরিচালনা করে থাকে নদী শাসন থেকে শুরু করে সবগুলোই করে থাকে। আমাদের যদি কোনো ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয় আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করব, কারিগরি সহযোগিতা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি আমরা।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নির্বাহী প্রকৌশলী নেপাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, পাটুরিয়া ঘাট নং৫ এবং ৪ ল্যান্ডিং স্টেশনগুলো গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে। তিনি বলেন, জেটি ধসের পর তারা তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙনস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি আরও বলেন, ভাঙন নিয়ন্ত্রণের জন্য নদীতে ফেলার জন্য বর্তমানে পর্যাপ্ত জিও-ব্যাগের অভাব রয়েছে।

শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রচণ্ড শ্রোতের ফলে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের আশেপাশে নদীতে প্রচণ্ড ভাঙন হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানির পরিমাণ করে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ দ্রুতগতিতে জিও-ব্যাগে বালু ভর্তি করে নদীভাঙন রোধে কাজ শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিআইডব্লিউটিএ আরিচা থেকে পাটুরিয়ায় ফেরি ঘাট স্থানান্তর করে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ২১টি জেলার মধ্যে যোগাযোগ সহজ হয়।


ফুলগাজীতে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের উপকরণ হস্তান্তর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজীতে বেকার ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং তাদের স্বাবলম্বী করে তোলার লক্ষে স্বাবলম্বী প্রজেক্টের উপকরণ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ১৪ জন অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ব্যাটারিচালিত মোটরভ্যান, সেলাই মেশিন, গরু, দোকানের মালপত্র, ৪টি ঘর পুনর্নির্মাণ ও ৪টি ঘর মেরামতের জন্য টিন প্রদান করা হয়েছে। গত শনিবার বিকালে ‘পরিবর্তন সমাজের কল্যাণে’ সংগঠনের আয়োজনে ফুলগাজী উপজেলার উত্তর আনন্দপুরে একটি কনভেনশন হলে এই হস্তান্তর করণ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি ফিরোজ আহাম্মদ সাজিমের পরিচালনায় ও সংগঠনের সদস্য শারমিন আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মো. মোর্শেদ, মো. সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। এ সময় আমন্ত্রিত অতিথি, সংগঠনের অন্যান্য সদস্যসহ উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, শাহবাগ মঞ্চ এগুলো সব আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ফর্মুলায় হয়েছে। সবাই দোয়া করবেন আমাদের দেশটাকে যেন বহিঃশত্রু থেকে রক্ষা করে। আমাদের তরুণ সমাজ আমাদের যেটা দিয়েছে সেটা বলতে হবে আল্লাহরই দান।


banner close