দক্ষ কারিগর, প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা ও বাজারজাতকরণের সুবিধা না থাকায় দিন দিন ছোট হয়ে আসছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী খাদির বাজার। হাতে বোনা তাঁতের আসল খাদি এখন বিলুপ্তির পথে। বর্তমানে গুটি কয়েক তাঁত টিকে আছে। আর তাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে খাদির দৈন্য।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, কুমিল্লার দেবিদ্বার, চান্দিনা ও মুরাদনগর উপজেলায় হাজারেরও বেশি তাঁত ছিল। সেসব তাঁতের তৈরি কাপড় থেকে খাদির পাঞ্জাবি, ফতুয়া, কাপড় তৈরি হতো। এসব পোশাক কুমিল্লা থেকে চলে যেত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। আর তাতেই কুমিল্লাকে চেনা হতো খাদির শহর হিসেবে। সেই তাঁত বিলুপ্তির পথে। তাঁতের সঙ্গে বিলুপ্তির পথে আসল খাদিও।
সরেজমিনে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বড় কামতা গ্রামে গিয়ে জানা যায় তাঁত ও তাঁতিদের নানান সমস্যার কথা। বড়কামতা গ্রামের দুই ভাই চিন্তাহরণ ও রণজিৎ দেবনাথ। স্বাধীনতার আগ থেকে তারা তাঁতের তৈরি খাদির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এখান থেকে খাদির তাঁত ছড়িয়ে পড়ে।
কেন আসল খাদি বিলুপ্তির পথে, কেনই বা খাদির বাজার বাড়ছে না এমন প্রশ্নে তাঁতি চিন্তাহরণ দেবনাথ জানান, এখন মেশিনে বোনা হয় খাদি। তাঁতের খাদি ও মেশিনের খাদি দেখতে একই রকম হলেও গুণে-মানে অনেক তফাৎ রয়েছে। চিন্তাহরণ আরও জানান, এখন কুমিল্লার বাজারে তাঁতের খাদি অনেক কম। মেশিনের খাদিই বেশি।
খাদি বিলুপ্তির জন্য দায়ী যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাব। এমন মন্তব্য জুড়লেন চিন্তাহরণের ভাই রণজিৎ দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘এক সময় হাজার তাঁতি ছিল এ অঞ্চলে। নারীরা চরকায় সুতা কাটত, তাঁত বুনে যে আয় হতো তা দিয়ে পরিবারের ভরণ-পোষণ চলত। এখন দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি, তুলার সরবরাহ কম এবং সরকারি কোনো পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় খাদির বাজার ছোট হয়ে আসছে। তাঁতিরা এখন অন্য পেশায় ঝুঁকছেন।’
রণজিৎ দেবনাথের ছিল ৮টি তাঁত। একটি ছাড়া সবই এখন বন্ধ। শখের বশে দুই–এক থান বুনে চলেন এখনো। স্মৃতির পাতা হাতড়ে রণজিৎ বলেন, এক সময় পুরো গ্রামের বাড়ি বাড়ি চরকায় সুতার কাটার ছন্দের সঙ্গে সঙ্গে শত শত পিস থান কাপড় বেরিয়ে আসত। কতশত ব্যস্ততা ছিল তাঁত পাড়ায়। কত আনন্দ-বেদনার গল্প লুকিয়ে ছিল। এখন সেই তাঁত নেই। তাঁতের সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে আসল খাদি কাপড়। এখনই খাদি উত্তরণে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আসল খাদির সুতা কাটা ও বুনন হারিয়ে যাবে।
এ অবস্থায় খানিকটা আশা জাগানিয়া বাণী দিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান। জেলা প্রশাসক বললেন, ‘আমরা খাদিকে ফিরিয়ে আনার জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বের সঙ্গে জানানোর চেষ্টা করব। এ ছাড়া কুমিল্লার খাদিকে ভৌগোলিক স্বত্ব (জিআই) স্বীকৃতির জন্য আবেদন করার চেষ্টা করছি।’
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৯ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ - নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ-এনায়েতনগর -কাশিপুর আওতাধীন বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এবং শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং, নারায়ণগঞ্জ এলাকার দুইটি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বাড়ৈভোগ, ফতুল্লা এলাকায় অভিযানকালে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিসমিল্লাহ হোটেল এ আবাসিক লাইন হতে অবৈধভাবে ঘণ্টাপ্রতি ৯২ ঘনফুট হিসেবে ৬৫০.২৪ ঘনমিটার/মাস হারে গ্যাস ব্যবহার করায় গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে এবং একই এলাকায় অন্য একটি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মায়ের দোয়া হোটেল এ ইতিপূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত আবাসিক গ্যাস লাইন হতে ঘণ্টাপ্রতি ২৪৭ ঘনফুট হিসেবে ১৭৪৫.৭৭ ঘনমিটার/মাস হারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে গ্যাস লাইনটি পুনরায় বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করায় ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় কর্তৃক জরিমানাকৃত ৫০,০০০/- টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, শাসনগাও, চাঁদনী হাউজিং এলাকায় অভিযানকালে মেসার্স এম আর ইয়ার্ণ ডাইং এ ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন (ঘণ্টাপ্রতি ৩০০০ ঘনফুট হিসেবে মাসিক ২১,২০৩.৬৪ ঘনমিটার) একটি বয়লারে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষনিকভাবে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। এতে করে তিনটি প্রতিষ্ঠানে মাসে প্রায় ৭.১০ লক্ষ টাকার গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে।
একই দিনে, জনাব হাসিবুর রহমান, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-মেঘনাঘাট আওতাধীন জামালদি, গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ এলাকার ০৫ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ১ টি মার্বেল ফ্যাক্টরী, ৩ টি হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, এবং ১ টি বেকারীর গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৬০ ফুট লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে সর্বমোট ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক উইন্টার ড্রেস লিমিটেড (গ্রা:সং-৮৩৮/৩৩৮-০০০৭৫০), ঠিকানা: কলমা,সাভার,ঢাকা এর আঙিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনকালে গ্রাহকের শিল্প রানের গ্যাস ব্যবহারে বিভিন্ন প্রকার অসংগতি পরিলক্ষিত হয় যা পরীক্ষণ সাপেক্ষে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জোন কে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও, ভিজিল্যান্স বিভাগ কর্তৃক ১২ গ্রিন স্কয়ার, গ্রীন রোড, ধানমন্ডি, ঢাকা এর আঙ্গিনা সরজমিনে পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে বারো তলা বিশিষ্ট ভবনে দুইটি রাইজারের মাধ্যমে ০৩(তিন) ডাবল ও ০১(এক) সিঙ্গেল চুলায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার জনিত কারণে সংযোগটি তাৎক্ষণিকভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত দুইটি রাইজারের লক উইং কর্কে TGTDCL-1388136 ও TGTDCL-1388138 নম্বরের প্ল্যাস্টিক সীল স্থাপন করা হয়। বিচ্ছিন্নকৃত ০২(দুই) টি রেগুলেটর সংশ্লিষ্ট জোনে (মেঢাবিবি-৫) জমা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, জনাব সৈকত রায়হান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -জয়দেবপুর, জোবিঅ-জয়দেবপুর আওতাধীন টেকনগপাড়া ও তেলিপাড়া, বাসন থানা, গাজীপুর এলাকার ০২ টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, আনুমানিক ৭০ টি ডাবল চুলার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩০০ ফুট (পিভিসি) পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৯ আগস্ট, ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ২৯৭টি শিল্প, ৩৬৪টি বাণিজ্যিক ও ৬৫,৩২৯টি আবাসিকসহ মোট ৬৫,৯৯০টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,২৫,২২৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ২৫০.৫ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
যশোরের কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় লুৎফার রহমান (৬৫) নামে এক ভ্যান শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২০ আগষ্ট) বেলা আড়াই দিকে পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের লুৎফার রহমান ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে আসছিলেন। পথিমধ্যে কেশবপুর ফিলিং ষ্টেশনের সামনে পৌছাইলে বিপরীদিক থেকে আসা যশোর গামী একটি মালবাহী ট্রাক তাকে থাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার তার মৃত্যু হয়। থানা পুলিশ ট্রাকটি আটক করেছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, সড়ক দু'ঘটনায় আহত লুৎফার রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছে।থানার ওসি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কেশবপুরে সড়ক দু'ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। এব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে মামলা গ্রহন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভার বালুর মাঠে আনন্দ মেলার আড়ালে চলছে রমরমা জুয়ার আসর ও মাদক ব্যবসা। এ শুরু হওয়া ‘আনন্দ মেলা’ স্থানীয়দের জন্য আনন্দ নয়, বরং উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে,১২ দিন যাবত মেলার আড়ালে সেখানে চলছে অবাধে মাদক সেবন ও জুয়ার আসর। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলায় দেখা যায় অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারাবো পৌরসভার তারাব বিশ্বরোড সংলগ্ন বালুর মাঠে অনুমোদনহীন ভাবে চলছে এই আনন্দমেলা। প্রায় শতাধিক দোকানপাট বসেছে মেলায়। মেলার দক্ষিণ কর্নারে চলছে রমরমা জুয়ার আসর, রাত ১০ টার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলে মাদক বিক্রি ও সেবন । ইয়াবা ফেন্সি গাজা সহ বিভিন্ন রকমের মাদক পাওয়া যাচ্ছে এই মেলাতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান,২০২৪ সালের জুলাই আগস্ট আন্দোলনের পরে অনেকে নেতা বনে গেছেন,অনেকেই আবার দল পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে এসে বড় নেতা হয়ে গেছেন। তিন চার মাস পরে পরেই আয়োজন করা হয় এই মেলার, মূলত মেলার আড়ালে রয়েছে তাদের ভিন্ন ব্যবসা,মাদক এবং জুয়া তাদের মূল উদ্দেশ্য,মেলা হচ্ছে লোক দেখানো।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মেলার ভেতরে বিভিন্ন স্টলের আড়ালে ছোট ছোট অংশে জুয়ার বোর্ড বসানো হয়েছে। এতে অল্প বয়সী তরুণ থেকে শুরু করে বয়স্করাও অংশ নিচ্ছেন। অন্যদিকে, মেলার এক কোণে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মাদক। এতে উঠতি বয়সের যুবকদের একটি অংশ আসক্ত হয়ে পড়ছে। স্থানীয় কয়েকজন অভিভাবক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, তাদের সন্তানেরা প্রতিদিন মেলায় গিয়ে টাকা নষ্ট করছে এবং মাদকের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তারাব পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সদস্য- জহিরুল ইসলাম, তারাব পৌর ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব- নাবির প্রধান, পৌর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক- আশিক,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শরীফ, আল-ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সেক্রেটারী- জুয়েল, যুবলীগ কর্মী বর্তমানে ছাত্রদল কর্মী তানভীর প্রধান, বিশ্বরোড বাগান বাড়ী এলাকার জাহাঙ্গীরসহ অনেকেই এই মেলার আয়োজক।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এই অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করে মেলাটিকে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনা হোক। অন্যথায়, এই মেলা স্থানীয় সমাজে বিশৃঙ্খলা এবং অপরাধের হার আরও বাড়িয়ে দেবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেনঃ আমরা খুব হতাশ। আমাদের চোখের সামনেই এই ধরনের অসামাজিক কাজ চলছে। মেলা তো আনন্দের জন্য হয়, কিন্তু এটা এখন মাদকের আখড়া আর জুয়ার আড্ডায় পরিণত হয়েছে। আমাদের ছেলে-পেলেরাও এর শিকার হচ্ছে। মেলা বন্ধ করার জন্য আমরা প্রশাসনকে বারবার জানিয়েছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। মনে হচ্ছে, প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব চলছে। এই মেলা আমাদের সমাজের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলছে। সন্ধ্যার পর থেকে এখানে যে নোংরামি শুরু হয়, তাতে সুস্থ মানুষ যেতে পারে না। জুয়া আর মাদকের কারণে অনেক পরিবারে অশান্তি শুরু হয়েছে। মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। আগে এই ধরনের মেলায় মানুষজন তাদের পরিবার নিয়ে আসত, এখন ভয়ে কেউ আসে না। প্রশাসন যদি এখনই কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক। মেলার নামে যে অবৈধ কাজ চলছে, তা বন্ধ করা হোক। শুধু মেলার অনুমতি দিলেই হবে না, এর ভেতরের কার্যকলাপও নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা দরকার। আমরা চাই আমাদের এলাকার যুবসমাজ এই সর্বনাশা পথ থেকে ফিরে আসুক। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)তরিকুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার বিষয়ে বেশি আমার জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম বিষয়টি অতি শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম বলেন,তারাব পৌরসভার আনন্দ বিনোদন মেলার তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাননি। তবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র ফকিরগঞ্জ বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪ ব্যবসায়ীর নিকট হতে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে।
দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড় জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অ.দা.) এ.এস.এম মাসুদ উদ দৌলা’র নেতৃত্বে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী ফকিরগঞ্জ বাজারের ‘ফেন্সি ফার্মেসী’র (ভেটেরিনারি ঔষধ ও খাদ্যের দোকান) স্বত্বাধিকারী মোঃ ফজলুল হককে ১০,০০০/- টাকা, ‘ভাই ভাই স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারী মোঃ তৌহিদুল ইসলামকে ৩,০০০/- টাকা, ‘ইব্রাহিম স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারীকে ৩,০০০/- টাকা এবং ‘সোহেল স্টোর’ (মসলার দোকান) এর স্বত্বাধিকারী মোঃ সোহেল রানাকে ৪,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ আব্দুল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিটারি পরিদর্শক(ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল গনি, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারী ও আটোয়ারী থানার অফিসার সহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতি সংরক্ষণে হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি বলেন, হাতির উপযোগী গাছ লাগানো, করিডোর চিহ্নিত করে মুক্ত রাখা, জরিপের মাধ্যমে হাতির সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।
বুধবার বন ভবনে বিশ্ব হাতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ক্যাপটিভ হাতি নিয়ন্ত্রণ, গ্রামীণ জনগণকে সচেতন করা এবং হাতির জন্য টেকসই আবাসস্থল নিশ্চিত করা জরুরি। উপদেষ্টা জানান, হাতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় ৩৫০ হেক্টর জমিতে হাতির খাদ্যোপযোগী গাছের বাগান, ৫০ হেক্টর বাঁশবাগান সৃজন এবং রোপিত উদ্ভিদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
উপদেষ্টা জানান, মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ইকোলোজিক্যাল বাউন্ডারী বায়োফেন্সিং নির্মাণ করা হবে, যেখানে বেত, লেবু ও বড়ইসহ কাঁটাজাতীয় জীবন্ত বেড়া দিয়ে ১০ কিলোমিটার সীমানা তৈরি হবে। একইসঙ্গে এলিফ্যান্ট রিজার্ভ-সংলগ্ন এলাকায় “অ্যান্টি ডেপ্রেডেশন স্কোয়াড (এডিএস), এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) ও এলিফ্যান্ট রেসকিউ টিম” গঠন করে কার্যক্রম জোরদার করা হবে। হাতির চলাচল পর্যবেক্ষণে ১৬টি ট্রি টাওয়ার নির্মাণ করা হবে এবং গাজীপুর সাফারি পার্ক ও ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে দুটি হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানান, আহত হাতির চিকিৎসার জন্য সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও শেরপুর অঞ্চলে অস্থায়ী সেড নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনে এনথ্রোপোজেনিক প্রভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ এবং নৃ-বৈজ্ঞানিক জরিপ পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রামের চুনতিতে দশ একর জায়গাজুড়ে একটি হাতি অভয়ারণ্য স্থাপন করা হবে, যেখানে পোষা হাতিদের পুনর্বাসন করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: খায়রুল হাসান; দুবাই সাফারি পার্কের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ডলাইফ স্পেশালিস্ট ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আলী রেজা খান; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান; বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) এ. এস. এম. জহির উদ্দিন আকন; আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও হাতি বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ আবদুল মোতালেব এবং বন সংরক্ষক (বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চল) মো: ছানাউল্যা পাটওয়ারী।
তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত মাওলানা ভাসানী সেতু আজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি আগে তিস্তা সেতু নামে পরিচিত ছিল।
সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে দুপুরে সেতুটির উদ্বোধন করবেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
সেতুর উভয় পাশে স্থানীয় জনগণ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বড় মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতুটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ঘাট ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ঘাটের মধ্যে তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে।
এলজিইডি সূত্র জানায়, সেতুটি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার মধ্যে ভ্রমণের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি কমিয়ে দেবে।
সেতুটি সৌদি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় ও এলজিইডির তত্ত্বাবধানে চীনা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে। মোট নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।
এর মধ্যে মূল সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, সংযোগ সড়কে ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, নদী ব্যবস্থাপনায় ৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
সেতুটিতে মোট ৩০টি পিলার রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি নদীর ভেতরে এবং ২টি নদীর তীরে। নদী শাসনের আওতায় উভয় তীরে মোট ৩.১৫ কিলোমিটার কাজ করা হয়েছে।
এছাড়াও, মোট ৫৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণাধীন-এর মধ্যে চিলমারী মাটিকাটা জংশন থেকে সেতু পর্যন্ত ৭ দশমিক ৩ কিলোমিটার এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট থেকে হরিপুর সেতু পর্যন্ত ৫০ কিলোমিটার।
এলজিইডি সূত্র জানায়, এই সেতুটি রংপুর শহর এবং কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা শহরের মধ্যে কৃষিপণ্যের পরিবহন জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে কৃষকেরা সময়মতো পণ্য বাজারজাত করতে পারবেন, আয় বাড়বে এবং অঞ্চলের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।
কুমিল্লা শহরের আদর্শ সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক মানবপাচারকারী ও পাসপোর্ট দালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
২০ আগস্ট মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে কুমিল্লা আদর্শ সদর ক্যাম্পের সেনা টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃত মো. সাজেদুল ইসলাম (৩৫) কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার হালিমা নগর নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে ৫২ টি পাসপোর্ট , অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ৩টি, বাটন মোবাইল ফোন ১টি উদ্ধার করা হয়।
সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মানবপাচার, পাসপোর্ট জালিয়াতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ এবং অস্ত্র রাখাসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই তার বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
সেনাবাহিনী জানায়, অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও জব্দকৃত সামগ্রী কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
কোতয়ালী থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম জানান, সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আগে অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। সেনাবাহিনী বিপুল পরিমান পাসপোর্টসহ তাকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। তাকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।
জনবল নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন তারা। তবে বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোকনুজ্জামান এই নির্দেশ দেন।
আত্মসমর্পণ করা ৬ কর্মকর্তা হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বিলাল আহমদ চৌধুরী, সেকশন অফিসার বেলাল উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ, মো. রেদোয়ান, আব্দুল মজিদ ও তানভীর আহমদ। তারা সবাই দুদকের চার্জশিটভুক্ত আসামি।
দুদকের আইনজীবী লুৎফুল কিবরিয়া শামীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদকের চার্জশিটভুক্ত ৬ আসামি মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। পরে ২৪ এপ্রিল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে ইউজিসি ২০২৩ সালে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারসহ ৫৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল মামলা করে দুদকের সিলেটের সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মামলায় তৎকালীন উপাচার্য মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. নঈমুল হক চৌধুরী ছাড়া আরও ৫৬ জন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যাকবলিত দুই ইউনিয়নের ১ হাজার ১০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করেছে উপজেলা বিএনপি।
বুধবার সকাল থেকে দিনভর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পানিবন্দী অসহায় মানুষের হাতে এ সহায়তা তুলে দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শের আলী সবুজ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মস্তোফা, বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক বোনজির আহমেদ বাচ্চু ও থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলী।
চলতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পদ্মা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেলে উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ গ্রামের অন্তত অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। বর্তমানে পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কাটেনি দুর্গত মানুষের।
এ ছাড়া বন্যায় ফিলিপনগর, মরিচা, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিপুল আবাদি জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা বলেন,“বিএনপি সবসময় অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছে, এখনও সেই ধারা অব্যাহত রেখেছে। আমরা উপজেলা বিএনপির পক্ষন থেকে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এসেছি, যা বিতরণ চলছে।”
পাঁচশ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী ইদ্রিস মাতুব্বরকে (৫০) আটক করে বেধরক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। গুরুত্বর অবস্থায় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে পুলিশ পাহারায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাট এলাকার। আটককৃত ইদ্রিস ওই ইউনিয়নের মাগুরা-মাদারীপুর এলাকার কাদের হাওলাদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে ইদ্রিস। এতে যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার ভোরে ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের সংবাদে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ঘোষেরহাট এলাকায় স্থানীয়রা ইদ্রিসকে আটক করে। পরে তার কাছ থেকে পাঁচশ’ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এসময় স্থানীয় জনতা ইদ্রিসকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় থানা পুলিশের কাছে সোর্পদ করে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, আহত অবস্থায় ওই মাদক ব্যবসায়ীকে পাঁচশ’ পিচ ইয়াবাসহ আটক করা হয়েছে। আটককৃতের মাথায় জখম থাকায় তাকে পুলিশ পাহারায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে জলাবদ্ধতা ইস্যুতে ভিন্নধর্মী প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে । মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলা জলাবদ্ধতা সমস্যার প্রতিবাদে ভিন্নধর্মী এ কর্মসূচি পালন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ১০ মিনিট থেকে ৫টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জলাবদ্ধ পানিতে কই মাছ ছেড়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানানো হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলন ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি আবরার নাদিম ইতু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানবতার কল্যাণে ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি সাইফুর রহমান সদস্য সৌরভ হোসেন রায়হান, মো. মেহেদী হাসান, আসিফ সাকিব, মো. ওয়ালিদ সহ হাসপাতালের আশপাশের স্থানীয় মানুষ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান প্রবেশপথে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
তারা আরও বলেন, জরুরি পরিস্থিতিতে রোগী পরিবহনে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, যা অবহেলা করার মতো বিষয় নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ায় ফের নতুন করে বাংলাদেশমুখী হচ্ছে রোহিঙ্গারা। বুথিডংসহ বিভিন্ন এলাকার রোহিঙ্গারা দালালের সহায়তায় নাফ নদী ভেলায় পাড়ি দিয়ে টেকনাফ সীমান্তে প্রবেশ করছে। পরে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে।
এরই মধ্যে রোহিঙ্গা পারাপারে জড়িত স্থানীয় দুই দালালকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হলেন—টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া এলাকার শামসুল আলম (৪৫) ও একই এলাকার মোহাম্মদ আলমগীর ওরফে জাবের (৩১)।
বিজিবি টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “দালালদের আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশকারীদের প্রতিরোধ করা হচ্ছে।”
সরেজমিনে দেখা যায়, টেকনাফের জাদিমুড়া ও নাফ নদীর বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। এক সদস্য বলেন, “কাল বিকেলে জাদিমুড়া পয়েন্ট দিয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এরপর সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এত বড় সীমান্ত একা পাহারা দেওয়া কঠিন।”
এদিকে, সোমবার বিকেলে নাফ নদী ভেলায় করে টেকনাফের জাদিমুড়া সীমান্তে প্রবেশের একটি ভিডিও পাওয়া গেছে। সেখানে দেখা যায়, ভেজা কাপড়ে নারী-শিশু ও যুবকেরা নদী পার হয়ে দ্রুত সড়কে উঠে যাচ্ছে।
টেকনাফ জাদিমুড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ কাওছার উদ্দিন জানান, “নাফ নদীর ওপারে লালদিয়া ও পেরাংপু এলাকায় বহু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় আছে। গতকাল বিকেলেও কয়েকজন প্রবেশ করে গাড়ি যোগে উখিয়া চলে গেছে।”
রোহিঙ্গাদের ভেতরের পরিস্থিতি বর্ণনা করে টেকনাফ ২৭ নম্বর ক্যাম্পের মাঝি মো. নুর বলেন, “২০১৭ সালে আমি বাংলাদেশে আশ্রয় নিই। কিন্তু আমার পরিবারের ৯ জন এখনো রাখাইনের মাংগালা এলাকায় আটকা আছে। আরাকান আর্মি নিয়মিত তাদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রতিটি রোহিঙ্গা পরিবারকে জোর করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এমনকি তেল-মরিচসহ নিত্যপণ্য লুট করছে এবং জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছে। তাই জীবন বাঁচাতে রোহিঙ্গারা নতুন করে সীমান্ত পার হচ্ছে।”
টেকনাফ ক্যাম্প ২৬ ও ২৭-এর ইনচার্জ খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, “কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে শুনেছি। তারা উখিয়ার দিকে চলে গেছে। মাঝিদের মাধ্যমে খবর মিলেছে, সীমান্তে আরও অনেক রোহিঙ্গা জড়ো রয়েছে।”
টেকনাফ মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানান, “বিজিবি আটক দুই দালালকে থানায় হস্তান্তর করেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দিয়ে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”
এদিকে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় হোয়াইক্যং থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার জল-স্থলপথে বিজিবির টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।
তালাত মাহামুদ নামে এক ভুয়া সাংবাদিক আটক, পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুর নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে। জানা গেছে বেলাব উপজেলার বাজনাবো গ্রামের মো: জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো: জহিরুল ইসলামকে নরসিংদী শহরের টাউয়াদী মহল্লার মো: হারিছ মিয়ার পুত্র তালাত মাহামুদ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘নিউজ ২৪ এর একটি ভুয়া পরিচয়পত্র’ প্রদান করে।
মঙ্গলবার ১৯ আগস্ট ভোরে জহিরুল ইসলাম নরসিংদী শহরের একটি বেকারীর দোকানে গিয়ে নিজেকে নিউজ ২৪ এর পরিচয় দিয়ে অর্থ আদায় করার চেষ্টা করে। বিষয়টি বেকারীর মালিক জানতে পেরে ঢাকা নিউজ ২৪ কার্যালয়ে ফোন দিলে তারা জানায় এ নামে তাদের কোন প্রতিনিধি নেই। নিউজ ২৪ এর জেলা প্রতিনিধি হচ্ছে মো: হৃদয় খান। পরে হৃদয় খান ঘটনাটি জানতে পেরে জহিরুল ইসলামকে ফোন করে এবং নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে জহিরুল ইসলামের সাথে দেখা করে। এই পরিচয়পত্র কোথায় পেয়েছেন জানতে চাইলে সে বলে তালাত মাহামুদ নামে এক ব্যক্তি ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকে এই পরিচয়পত্র প্রদান করে। জহিরুল ইসলামকে দিয়ে তালাত মাহামুদকে এনে জিজ্ঞাসা করলে সে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে গণধোলাই দিলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তালাত মাহামুদের শরীর তল্লাশী করলে তার পকেট থেকে ৮টি গণমাধ্যমের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে নরসিংদী প্রেসক্লাবের সভাপতি এসে তালাত মাহামুদকে প্রেসক্লাবে নিয়ে যায় এবং ৩শত টাকার স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে আর কোন দিন এ ধরনের কাজ করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়।
পরিচয়পত্র গুলো হচ্ছে-দৈনিক বজ্রশক্তি, জাতীয় সাপ্তাহিক স্বকাল চিত্র, দৈনিক মুক্তি সমাচার, বিবিসি নিউজ ২৪, তদন্ত রিপোর্ট, জাতীয় দৈনিক বাংলা প্রতিদিন, দৈনিক চৌকস, জাতীয় সাপ্তাহিক অন্যায়ের প্রতিবাদ।