বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫
১৬ আশ্বিন ১৪৩২

নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ বেচাকেনায় জমে উঠছে আড়ত

পদ্মা-মেঘনা নদী থেকে ইলিশ শিকারের পর তা আনা হয় আড়তে। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৪৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৪৭

দেশব্যাপী ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুত, বাজারজাতকরণ ও বেচাকেনার ওপর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা গত শুক্রবার মধ্য রাতে শেষ হয়। এরপর থেকেই মাছ ধরার জাল, বরফ, খাদ্য ও ইটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে ট্রলারে করে ইলিশ শিকারে নদীতে ছুটছেন জেলেরা। চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের জেলেরা এখন মেঘনায় ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর ফলে জেলেপাড়া, মৎস্যঘাট ও মাছের আড়তগুলোতে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য।

নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ আহরণ শুরু করেছেন জেলেরা। এতে দীর্ঘ বিরতির পর দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে ব্যবসায়ী ও জেলেদের বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। গতকাল শনিবার ভোর থেকে আহরিত ইলিশ নিয়ে মাছঘাটে আসছেন জেলেরা। যদিও আশানুরূপ ইলিশ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তারা।

এদিকে ইলিশ মাছ কেনার জন্য মাছঘাটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকায় এখন প্রচুর মাছ ধরা পড়বে এবং দামও কম হবে- এমন ধারণা নিয়ে তারা ভোরেই ঘাটে ভিড় জমান। তবে ঘাটে এসে ক্রেতাদের এই ধারণা পাল্টে যায়। অনেক ক্রেতাকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতেও দেখা গেছে।

বড়স্টেশন মাছঘাটে ইলিশ কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, তারা যেমনটা ভেবেছিলেন, বাস্তব চিত্র তার চেয়ে ভিন্ন। ঘাটে খুব বেশি ইলিশ নেই। যা আছে, তার দামও অনেক বেশি। তবে তাদের আশা, কয়েক দিনের মধ্যেই ইলিশের আহরণ বাড়বে এবং দামও কমবে।

ঘাটে আসা জেলে রফিক মোল্লা বলেন, রাত থেকেই নদীতে মাছ ধরা শুরু করেছেন। কিন্তু জালে তেমন ইলিশ পাননি। তবে তাদের জালে ওঠা অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম রয়েছে। এখন যা ইলিশ পেয়েছেন, ঘাটে সেগুলো বিক্রি করে আবার নদীতে ফিরে যাবেন।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার বলেন, জেলেরা সবেমাত্র ইলিশ ধরা শুরু করেছেন। আর কয়েক দিন পর ইলিশের আমদানি আরও বৃদ্ধি পাবে। সকাল (শনিবার) পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মণ ইলিশ ঘাটে এসেছে।

এদিকে মেঘনা নদীতে জাল ফেলা ও মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছেন লক্ষ্মীপুরের জেলেরা। তারা এখন পুরোদমে ইলিশ শিকার করছেন। জেলেরা জানান, নদীতে জাল ফেললেই মিলছে ইলিশ। তাই তারা খুব খুশি। নিষেধাজ্ঞার সময় তারা অনেক ঋণ করেছেন। এবার সেসব ঋণ শোধ করে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা করছেন তারা।

গতকাল শনিবার সকালে নদী থেকে ফিরে জেলেরা জানান, প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে মাছের পেটে এখনো প্রচুর ডিম রয়েছে। মা ইলিশ পুরোপুরি ডিম ছাড়তে পারেনি। তবে মাছের আকার অনেক বড়। দামও ক্রেতার নাগালের ভিতরে। এভাবে যদি সব সময় ইলিশ পাওয়া যায়, তাহলে কিস্তির টাকা ও সংসার চালাতে তাদের আর কোনো কষ্ট হবে না।

জেলেদের জালে ইলিশও বেশ ধরা পড়ছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, এবার সিত্রাংয়ের কারণে নদীতে প্রচুর পানি বেড়েছে। এর ফলে সাগর থেকে মেঘনার মোহনায় ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসতে শুরু করেছে। তাই জেলেদের জালেও ধরা পড়ছে ইলিশ। মাছের আকারও বেশ বড়।

আমিনুল ইসলাম বলেন, দুই থেকে তিন কেজি ওজনের ইলিশও পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া এবার মা ইলিশ প্রচুর পরিমাণ ডিম ছেড়েছে। এবার ইলিশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার মেট্রিক টন। এটি গত বছরের চেয়ে তিন হাজার টন বেশি।

লক্ষ্মীপুরে প্রায় ৩০টি ছোট-বড় মাছঘাট রয়েছে। প্রত্যেকটি ঘাটেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি ঘাটই এখন লোকে সরগরম রয়েছে।

মজু চৌধুরীরহাট ঘাটের জেলে কালাম ও মারফত উল্যাহ বলেন, দীর্ঘ ২২ দিন অলস সময় কাটিয়েছেন তারা। এখন মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষে মেঘনায় তাদের জালে ধরা পড়ছে রুপালী ইলিশ। শনিবার যে মাছ পাওয়া গেছে, তা গত কয়েক বছরের তুলনায় আকারে অনেক বড়।

মতিরহাটের আড়তদার লিটন বলেন, ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে। দামও তুলনামূলক কম। ক্রেতা ও বিক্রেতার নাগালের ভেতরেই রয়েছে দাম। এ হাটে সকাল (শনিবার) ১০টা পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ আমদানি ও রপ্তানি হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ৫২ হাজার জেলে মাছ ধরেন। তারা সবাই মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের ১ হাজার টন ভিজিএফের চাল বিতরণ করা হয়েছে।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি]


শ্রীমঙ্গলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আব্দুল গফুর শেখ (৪১) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

বুধবার (১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার মতিগঞ্জ লইয়ারকুল ব্রিজের উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল গফুর ওই প্রাইভেটকারের যাত্রী ছিলেন। তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকার বাসিন্দা।

আহতরা হলেন— লক্ষীনারায়ণ সিং এর ছেলে অজয় সিং (৪২), নিউ পূর্বাসা এলাকার বাসিন্দা, এবং মো. তানভীর হোসেন (জনি), রেলগেইট এলাকার বাসিন্দা। অজয় সিং বর্তমানে মৌলভীবাজার লাইফ লাইন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর তানভীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার মো. নাজিম উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।

শ্রীমঙ্গল সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।


খাগড়াছড়িতে সেই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত পায়নি মেডিকেল বোর্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়িতে অষ্টম শ্রেণির সেই স্কুলছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বে থাকা চিকিৎসক।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের পরীক্ষায় রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর শরীরের ভেতরে ও বাইরে ধর্ষণের কোনো চিহ্ন মেলেনি।

২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সিঙ্গিনালা এলাকায় ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে সদর থানায় মামলা করেন। পর দিন ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে (১৯) গ্রেপ্তার করে।

মেডিকেল বোর্ডের নেতৃত্বাধীন খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. জয়া চাকমা বলেন, ধর্ষণের আলামত শনাক্ত করার ১০টি সূচকের সবগুলোই স্বাভাবিক পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে তার সঙ্গে স্বাক্ষর করেছেন আরও দুই চিকিৎসক ডা. মীর মোশারফ হোসেন ও ডা. নাহিদা আক্তার।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. ছাবের আহমেদ জানান, প্রতিবেদনটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সেনা রিজিয়ন কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, ইউপিডিএফ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাহাড় অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।

খাগড়াছড়ি সেনানিবাসে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনাকে পুঁজি করে ইউপিডিএফ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে, যা বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ।

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল কালাম রানা বলেন, পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পেছনে ইউপিডিএফ দায়ী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঘটনার পর জুম্ম ছাত্র-জনতা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক অবরোধ ডাকে। তবে দুর্গাপূজা ও প্রশাসনের আশ্বাসে তা আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

গত কয়েকদিনের সংঘাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ স্থানীয়রাও আহত হয়েছেন। সহিংসতায় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি অফিস, দোকানপাট, বসতঘর, গুদাম ও মোটরসাইকেল। বর্তমানে খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে।


পূজার ছুটি ঘিরে কুয়াকাটায় বাড়ছে পর্যটকদের ভিড়

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে আবাসিক হোটেল-মোটেলের ব্যবসা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
 কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

শারদীয় দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যভূমি সাগরকন্যা কুয়াকাটায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে। আজকে ব্যাপক পর্যটকের আনাগোনা। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল মোটেল রিসোর্ট গুলোর অধিকাংশই আগাম বুকিং হয়ে গেছে। এখনো বুকিং এর জন্য অনেক পর্যটকরা যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠন হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

মঙ্গলবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধ। চার দিনের এ লম্বা ছুটিকে ঘিরে আবাসিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্টসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো আগত পর্যটকদের বরণে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।

শারদীয় উৎসবকে ঘিরে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এবার পূজোর ছুটিতে লক্ষাধিক লোক সমাগমের আশা করছেন ব্যবসায়িরা। পুজোর ছুটির পর অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যটন মৌসুম শুরু হবে। পূজোর ছুটির মধ্যদিয়ে এ-মৌসুমের ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে এমনটাই মনে করছেন পর্যটন ব্যবসায়িরা।

এদিকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন কে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সদস্যদের নজরদারিতে থাকবে সৈকত এলাকা। আগতরা যাতে নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন কতৃপক্ষ।

আগত পর্যটকদের বরণে এরইমধ্যে প্রস্তুত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফিসফ্রাই, আচার ঝিনুক, বারমিজ প্রসাধনী ব্যবসায়ীসহ মোট ১৬টি পেশার প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক। দেশের চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে আসছে পর্যটন মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটবে বলে জানান পর্যটনমুখী ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা দেশের অস্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের কাছে আহবান জানান তারা।

তা নাহলে পর্যটনে এর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবাসিক হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটায় ছোট বড় মিলে আড়াই শতাধিক হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোর বেশির ভাগই বুকিং রয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতেও ৫০-৬০ ভাগ আগাম বুকিং রয়েছে। তবে শতভাগ বুকিং হয়ে যাবে এমনটাই আশা তাদের।

আবাসিক হোটেল সৈকত এর ম্যানেজার রাজিব হোসেন জানান, তাদের হোটেলে ৭০টি রুম রয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত একটানা বুকিং রয়েছে। এখনো অনেক পর্যটকরা রুমের জন্য ফোন দিলেও তারা রুম দিতে পারছেন না।

পর্যটন করপোরেশনের মোটেল ইয়ুথ ইন ও হলিডে হোমস কতৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের মোটেলে ৭৭টি রুম রয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ ভাগ রুম আগাম বুকিং হয়ে গেছে।

অভিজাত আবাসিক হোটেল সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড বিলাসের এজিএম আল-আমিন খান উজ্জ্বল বলেন, ২৮-৩০ সেপ্টেম্বর ৬০ ভাগ কক্ষ বুকিং রয়েছে।আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত রিসোর্ট এবং ভিলা শতভাগ বুক হয়েছে। এছাড়াও ৪-৬ অক্টোবর পর্যন্ত আশানুরূপ বুকিং রয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম. এ মোতালেব শরীফ জানান, চলতি সপ্তাহে দুর্গাপূজা আর সাপ্তাহিক ছুটি মিলে লম্বা ছুটিকে কাজে লাগাতে এরইমধ্যে কুয়াকাটায় থাকা প্রথম শ্রেণির আবাসিক হোটেলের প্রায় শতভাগ আগাম বুকিং হয়ে গেছে। ছোট-বড় আবাসিক হোটেল গুলোতেও ৬০-৭০ শতাংশ হোটেল কক্ষ হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান জানান, পূজো ও সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় প্রচুর সংখ্যক পর্যটক দর্শনার্থীদের আগমন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। আগত পর্যটক দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ তারা যেন নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে পারে এজন্য নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ দর্শনীয় স্পটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টহল থাকবে।

কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো ইয়াসিন সাদেক বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় পৌর কতৃপক্ষ, মহিপুর থানা পুলিশ, ব্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সড়ক মহাসড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেক পোস্টের মাধ্যমে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।


মুরাদনগরে অবৈধ ড্রেজারে মাটি উত্তোলন, হুমকিতে ফসলি জমি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মুরাদনগর (কুমিল্লা)

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার চাপিতলা ইউনিয়নে কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে নষ্ট হচ্ছে উর্বর তিন ফসলি জমি, অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।

জানা যায়, চাপিতলা গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মীর আলমগীর দীর্ঘদিন ধরে ফসলি জমিতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি উত্তোলন করছেন। পাইপলাইন সংযোগ দিয়ে উত্তোলিত মাটি কখনো অন্য ফসলি জমি, আবার কখনো পুকুর বা গর্ত ভরাটে ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে তিন ফসলি জমি জলাশয়ে পরিণত হয়ে আশপাশের কৃষি জমি চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে।

অপর দিকে উপজেলার সিমানাপাড় ২টি ড্রেজার, কোরবানপুর জিএম উচ্চবিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে পুকুরের ভেতরে ১টি ও তার আরও ৪০০ মিটার দক্ষিণে ২ এবং কোরবানপুর নতুন কবরস্থানের পাশে ১টি ড্রেজার দেদারসে চলছে।

অভিযোগ রয়েছে, ড্রেজার সিন্ডিকেট প্রথমে একটি জমিতে গর্ত সৃষ্টি করে, পরে আশপাশের জমি ভেঙে পড়তে শুরু করলে মালিকদের জিম্মি করে কম দামে জমি বিক্রিতে বাধ্য করা হয়। এতে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, অবৈধ ড্রেজিং কার্যক্রমে শুধু জমিই নয়, আশেপাশের রাস্তা ও ঘরবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কুদ্দুস জানান, আলমগীর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এই ড্রেজার ব্যবসা করছে যা খুবই নিন্দনীয়। আমরা চাই এই এলাকায় কোণো ড্রেজার না চলুক।

অভিযুক্ত ড্রেজার ব্যবসায়ী মীর আলমগীর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘আমি ড্রেজার ভাড়ায় এনেছি আমার নিজস্ব জমি ভরাটের জন্য।

মুরাদনগরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাছান খান বলেন, ‘অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


কর্দমাক্ত কাঁচা সড়কে চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ গ্রামীণ কাঁচা রাস্তার বেহাল দশার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার তিন লাখ মানুষ। রাস্তাগুলোতে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বিষয়টি বারবার কর্তৃপক্ষকে জানালেও টনক নড়ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের উত্তর বালিগাঁও-বাগমারা গ্রামের সংযোগ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কটি পরিণত হয় জলাশয়ে। ফলে প্রতিদিন হাজারও মানুষের যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষ সবাই পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষাকালে গ্রামের কাঁচা রাস্তাগুলো খানাখন্দ, গর্ত ও কর্দমাক্ত হয়ে যায়। একটু বৃষ্টিতেই কাদা হওয়ায় দুর্ভোগ বাড়ে চলাচলকারীদের। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা পড়েন বিড়ম্বনায়। বড় বড় গর্ত আর রাস্তায় পানি জমে থাকায় ভোগান্তির শেষ নেই পথচারীদের। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় গর্ত। কোথাও আবার বৃষ্টির পানি জমে থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। বহুদিন ধরে সড়ক সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমিনা বেগম বলেন, ‘এলাকার মানুষকে নিয়ে আমি নিজেও বিপাকে আছি। বর্ষায় রাস্তাটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আমরা বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছি, আশা করছি শিগগিরই এই রাস্তার উন্নয়ন কাজ শুরু হবে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, ‘রাস্তাটি সংস্কারের জন্য প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে। বরাদ্দ এলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।’

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কমলগঞ্জ উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী মো.আব্দুর রকিব বলেন, গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের জন্য আমরা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছি। এ রাস্তার বিষয়টি তালিকাভুক্ত রয়েছে, ধাপে ধাপে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বরাদ্দ পেলে পর্যায়ক্রমে রাস্তা পাকা করা হবে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘এলাকার জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা অবগত আছি। ইতোমধ্যে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’


ভূঞাপুরে কৃষি প্রণোদনা পেয়ে খুশি সাড়ে ৬ হাজার কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের রবি মৌসুমে শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন পেঁয়াজ, চিনাবাদাম, মসুর ও খেসারি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৬ হাজার ৬৭০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এতে খুশি ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা। এছাড়া গত অর্থবছরে মাসকলাই ২০০ জন কৃষক, তিল ১ হাজার জন, পাট ৩৫০ জন, রোপা আমন ১ হাজার ৩৫০ জন, শাকসবজি ৮০ জন ও বোরো হাইব্রিড ধানের ১ হাজার ৬০০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কৃষি প্রণোদনা দেয়। এর মধ্যে উপজেলার অর্জুনাতে ৯৯৫ জন, গাবসারায় ৮৫৫ জন, ফলদায় ১৪১০ জন, গোবিন্দাসী ৭৭০ জন, অলোয়া ১ হাজার ৭০ জন, নিকরাইল ৭২৫ জন এবং পৌরসভায় ৮৪৫ জন কৃষক প্রণোদনা পান।

প্রণোদনা পেয়ে চর অলোয়া গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় সরিষার বীজ ও সার পেয়েছি। জমিতে চাষ করে এবার প্রচুর ফলন হয়েছে। এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। বাগবাড়ী গ্রামের কৃষক কুদ্দুস বলেন, প্রণোদনা হিসেবে ভুট্টার বীজ ও সার পেয়েছি। নিজের জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছি। এ উদ্যোগ আমাদের কৃষকদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। তারা বিনামূল্যে বীজ ও সার তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছেছে এবং তারা কৃষি অফিসের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কৃষি প্রণোদনা চান ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা।

এদিকে সম্প্রতি উপজেলা কৃষি অফিসের অনিয়মের অভিযোগ তুলে সংবাদ পরিবেশ করে। যা ভুল ও মিথ্যা তথ্যে ভিত্তিতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হাসানুর রহমান।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কার্যক্রম সঠিকভাবে বিতরণ সম্পন্ন করা হয়। কোনো অনিয়ম হয়নি।


কেউ অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চাইলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে: ফরিদপুরে র র্যাব১০ এর অধিনায়ক

আপডেটেড ১ অক্টোবর, ২০২৫ ০০:০৭
ফরিদপুর প্রতিনিধি

শারদীয়া দুর্গাপূজা ঘিরে কেউ অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চাইলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান। তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি জানান- তাদের বিশেষ ইন্টেলিজেন্স টিমের মাধ্যমে দুর্বৃত্তদের তথ্য দ্রুত পৌছে যাবে এবং ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মঙ্গলবার মহাঅষ্টমিতে ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামটস্থ পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জেলা বাস মালিক সমিতি ও জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির দুটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন র্যাব কর্মকর্তা মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।

এ সময় তিনি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা যাতে নিরাপদে এবং নিরবিচ্ছিন্নভাবে পূজা উদযাপন করতে পারে তার জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের প্রথমস্তরে পেট্রোল টিম প্রতিটি পূজামন্ডপ পরিদর্শন করছে।

তিনি আরো বলেন, দ্বিতীয়স্তরের বিশেষ ইন্টেলিজেন্স টিম মন্ডপের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে৷ কেউ যদি কোন প্রকার অসাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডে জড়াতে চায়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায় তাহলে সেই তথ্য দ্রুত পেয়ে যাব এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন, জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান সিদ্দিকী, ফরিদপুর র্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড্রন লিডার তারিকুল ইসলাম, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়াল, জেলা বাসমালিক পূজামণ্ডপের সভাপতি সূর্যনাথ দাস, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার ঘোষ, কোষাধক্ষ্য মানিক চৌধুরী মিঠু, মিনিবাস মালিক সমিতির পূজামণ্ডপের সভাপতি মৃত্যঞ্জয় দাস মনা, সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সাহা পিয়াস উপস্থিত ছিলেন।


পূজার মতো উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব

চট্টগ্রামে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

পূজার মতো উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেছেন, আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প নেই। আমরা আর পশ্চাতে যেতে পারব না। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক অর্থনীতিকে যাতে সমৃদ্ধির দিকে নিতে পারি সেটার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় আমরা নিয়োজিত আছি। আজকের (মঙ্গলবার) এই পূজার মতো উৎসবমুখর পরিবেশে আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করব।

তিনি বলেন, যার যা দায়িত্ব তা আমরা পালন করব। সার্বিক দায়িত্ব ভোটে অংশগ্রহণ করা। যা এই সময়ের একটি অনিবার্য প্রেক্ষিত। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর জে এম সেন হলে চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের পূজা পরিদর্শনে শেষে এক অনুষ্ঠানে বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা এসব কথা।

বাঙালির জাতীয় চেতনার মধ্যে দুর্গোৎসব অনাদিকাল থেকে জীবনের অংশ মন্তব্য করে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, এবারের আয়োজনকে সাবলীল করতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছে। এটার সার্বিক একটা রূপ আছে। যেমন ধর্মীয় আছে, তেমনি নানা ধর্মের মানুষ উৎসব আয়োজনে শামিল হয়।

উপদেষ্টা বলেন, সকাল থেকে আমি কয়েকটি মণ্ডপ পরিদর্শন করেছি। এর মধ্যে কাঠগড়ে একটি মণ্ডপে গিয়েছি। পরিসর সংকীর্ণ হলেও তাদের হৃদয় প্রসারিত এবং আনন্দের উচ্ছ্বাসও উপলব্ধি করা গেছে। আগ্রাবাদে একটি মণ্ডপে গিয়েছি। একতা গোষ্ঠী, তারা সম্প্রীতির এক অনন্য প্রদর্শনী আয়োজন করেছে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা, জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে অষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অঞ্জলী দেন ভক্তরা। তারা সকাল থেকে উপবাস করে পূজার অঞ্জলি দেন, তারপর চরণামৃত ও প্রসাদ নিয়েছেন। এ সময় নগরের বিভিন্ন এলাকার মণ্ডপগুলোয় দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে।


গভীর রাতে শুরু সূর্য উঠার আগেই শেষ জামদানির হাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা

‘আসেন আসেন, হাতে বোনা, টেকসই, মসলিনের বিকল্প বাংলার ঐতিহ্য আসল জামদানি শাড়ি, আমরাই বেচি। নিয়ে নেন, সুলভ মূল্যে, অরিজিনাল জামদানি নেন, বিভিন্ন স্থান থেকে নকল শাড়ি কিনে ঠকবেন না। আমাগোডা একেবারেই খাঁটি হাতে বোনা জামদানি, নেন ভাই নেন। শাড়িতেই নারী, না কিনলে ফস্তাবেন। প্রতিটা নারীর বহুল কাঙ্কিত এ জামদানি, নেন ভাই। এমন হাঁকডাকে মুখর পুরো জামদানির হাট।

শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে রূপগঞ্জের তারাব পৌর এলাকার নয়াপাড়ায় জামদানি হাটটি মধ্যরাতের পর শুরু হয়ে সূর্যোদয়ের আগেই শেষ। অনেকের কাছেই এটি অবিশ্বাস মনে হবে।

এটি আহামরি কোন হাট নয়। তারপরও প্রতি হাটে কোটি টাকার জামদানি কাপড় লেনদেন হয়। হাটে সেড নেই। ঠায় দাঁড়িয়ে কিংবা মাটিতে চট বিছিয়ে শাড়ি বেচাকেনা চলে। হাটের নিজস্ব কোন জায়গা নেই। নয়াপাড়া জামদানি পল্লীর মাঠেই এ হাট বসে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বহু আগে রূপগঞ্জের নোয়াপাড়ায় প্রতি মঙ্গলবার জামদানির হাট বসত। নানা প্রতিকূলতার কারণে তা এক সময় চলে আসে ডেমরা বাজারে। বর্তমানে আবার এ হাট নোয়াপাড়ায় বসে প্রতি শুক্রবার। মধ্যরাত থেকে ক্রেতা বিক্রেতা আসতে শুরু করে। বেচাকেনা শুরু হয় ৩টার পর থেকে। পার্শ্ববর্তী এলাকার জামদানি তাঁতীরা এর বিক্রেতা। নির্জন রাত গাড়ি ঘোড়া কিছুই চলে না। হেঁটে কিংবা নৌকায় চড়ে তাঁতীরা চলে আসেন হাটে। পাইকারদের কেউ কেউ আগে থেকেই হাটে অবস্থান নেয়। সারাদেশ থেকে দল বেধে আসেন অনেক পাইকার।

তাঁতীদের সবার হাতে থাকে ২/১ টি জামদানি শাড়ি। ওরা নিজেরাই এ শাড়ির শিল্পী। পার্শ্ববর্তী নোয়াপাড়া, রূপসী, মৈকুলী, খাদুন, পবনকুল, কাজীপাড়া, মোগরাকুল, সোনারগাও ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আসেন তাঁতীরা। ক্রেতারা আসেন সারা দেশ থেকে। তবে অধিকাংশ ক্রেতাই রাজধানী ঢাকার কাপড় ব্যবসায়ী। স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ীরাও এখানে হাট করতে আসেন। এক একটি শাড়ি দেড় হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকায় এখানে। জামদানি শাড়ি ছাড়া অন্য কোন কাপড় কিংবা পন্য এ হাটে মিলে না।

ভোর ৪টায় পুরো জমজমাট হয়ে ওঠে হাট। তখন ফঁড়িয়া, দালাল, জামদানি তাঁতী, ব্যবসায়ীতে পূর্ণ থাকে। দাড়িয়ে পায়চারি করে তাঁতীদের শাড়ি প্রদর্শন করতে হয়। কেউ কেউ ৩ সপ্তাহ বোনা শাড়ি আবার কেউ ৪ সপ্তাহ বোনা শাড়ি বলে হাকডাক দিয়ে থাকেন। পছন্দ হলেই ক্রেতারা তা দরদাম করে কিনে নেন। প্রতি হাটে এখানে বিক্রি হয় ৫ থেকে ৭ হাজার পিস শাড়ি। লেনদেন হয় প্রায় এক কোটি টাকার ওপরে। শাড়ি পিছু ইজারা দিতে হয় ৫০ থেকে ১শ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর বেশিও আদায় করা হয়।

বেচাকেনার জন্য নির্দিষ্ট স্থান কিংবা শেড নির্মাণ করা হয়নি। ফলে খোলা আকাশের নিচে হাকডাক দিয়ে তাঁতীদের শাড়ি বিক্রি করতে হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্রেতা বিক্রেতারা ভিজে একাকার হন। কখনও দামি সব শাড়ি ভিজে নষ্ট হয়।


ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় প্রতিহত সব ষড়যন্ত্র: নিরাপদে পূজা উদযাপনে আশাবাদ আনসার-ভিডিপি মহাপরিচালকের

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আজ মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ নরসিংদী জেলার মাধবদি থানার শ্রী শ্রী গৌরি-নিতাই আখড়া ধাম পূজা মণ্ডপ এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার চীনতলা চণ্ডী মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। শারদীয় দুর্গাপূজা–২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবেই এ পরিদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। শারদীয় দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেকোনো উসকানি ও গুজব প্রতিহত করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা হয়েছে।
নরসিংদীতে পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি দায়িত্বে নিয়োজিত আনসার-ভিডিপি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দায়িত্ব পালনে সতর্কতা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। এসময় তিনি বলেন, “আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত শক্ত অবস্থানে রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য যেকোনো ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে আনসার-ভিডিপি সর্বদা সজাগভাবে দায়িত্ব পালন করছে।”
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বাংলাদেশের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, “সম্প্রীতির বন্ধন এবং সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে যেকোনো ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ হয়ে যাবে।” আনসার মহাপরিচালক এবং স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্থানীয়দের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
নরসিংদীতে কর্মসূচি শেষে মহাপরিচালক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চীনতলা চণ্ডী মন্দির সার্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাধারণ জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সার্বিক নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এবারের শারদীয় দুর্গাপূজায় উসকানি ও গুজব ছড়ানোর যেকোনো প্রচেষ্টা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত পদক্ষেপে প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনেও এই সম্মিলিত নিরাপত্তা প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জনগণের বাহিনী হিসেবে সকল নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে একযোগে যেকোনো নিরাপত্তাবিঘ্নকারী প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে সক্ষম হবে। মহাপরিচালক আশা প্রকাশ করেন যে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিঘ্নে শারদীয় দুর্গাপূজার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।
মহাপরিচালকের এ পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন উপ-মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. সাইফুল্লাহ রাসেল, উপ-মহাপরিচালক (ঢাকা রেঞ্জ) মো. আশরাফুল আলম, নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, মেজর এ কে এম রিয়াদুল ইসলাম (উপ-অধিনায়ক, ৫১ এমএলআরএস রেজিমেন্ট আর্টিলারি), নারায়ণগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, নরসিংদী জেলা কমান্ড্যান্ট এস. এম. আকতারুজ্জামান এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।


তিন মাস আগেই আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তারেক রহমান -নূরুল ইসলাম মনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাথরঘাটা ও বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম মনি দাবি করেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে তিন মাস আগেই মনোনয়ন দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বরিশাল বিভাগে কারা কারা মনোনয়ন পেতে পারেন সেসব নামের একটি তালিকাও তার কাছে চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গত সোমবার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মাজহার উদ্দিন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন ।

নূরুল ইসলাম মনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে পাথরঘাটায় মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ কারও আসেনি। এখন যে সুযোগ এসেছে, তা কেউ যেন হাতছাড়া না করেন। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করলে আমি আমৃত্যু পর্যন্ত আপনাদের জন্য কাজ করে যাব।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও কিছু বিতর্কিত প্রশ্ন উত্থাপন করেন। তিনি জানতে চান দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে কি জান্নাতে যাওয়া যাবে? আর না দিলে কি জাহান্নামে যেতে হবে? এছাড়া তিনি প্রশ্ন রাখেন কোনো স্ত্রী যদি স্বামীর কথা না মেনে ইসলামিক দলের প্রতীকে ভোট না দিয়ে অন্য প্রতীকে ভোট দেন , তবে কি সেই নারী জাহান্নামে যাবে?

প্রশ্নের জবাবে ‘আলেমরা বলেন কোনো দলের প্রতীকের উপরে নির্ভর করে জান্নাত নির্ধারণ করা এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, প্রতীক কেবল নমুনা নিজেকে ইমান ও আমলের মধ্যে রেখে আত্মসমর্পণ করার মধ্যেই জান্নাত নিহিত রয়েছে।

আরও বলেন, ভিডিওতে দেখলাম, হাতপাখায় ভোট দিলে নাকি ভোট যাবে আল্লাহর রাসুলের কাছে। এসব দল চাচ্ছে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে। তারা চায় সময়মতো নির্বাচন না হোক । আর যদি নির্বাচন বিলম্ব হয়, তাহলে ফাঁক দিয়ে ভারত ঢুকে পড়বে।

এই অনুষ্ঠানে জেলা ও উপজেলা ওলামা দলের সভাপতি, সম্পাদকসহ কয়েক শতাধিক ওলামা উপস্থিত ছিলেন। সভায় তারা পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এ সময় বরগুনা জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা শাহজালাল রুমি বলেন, পিআর পদ্ধতি ইসলাম কখনো সমর্থন করেনি। কিছু নেতা তাদের স্বার্থ অনুযায়ী ইসলামকে ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। তার এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।


রাঙামাটির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাঙামাটি প্রতিনিধি

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূত (অব.) সুপ্রদীপ চাকমা গত সোমবার রাতে রাঙামাটি জেলা শহরের গর্জনতলী ও তবলছড়ি কালীমন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। তিনি দুর্গাপূজার সার্বিক আয়োজন ও নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।

পূজা আয়োজকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব আমাদের শান্তি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির প্রতীক। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে এই উৎসব আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই শান্তি ও উন্নয়নের জন্য অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এবং গুণগত শিক্ষা অপরিহার্য।

উপদেষ্টা আরও বলেন, পাহাড়ের মানুষ যদি শিক্ষিত ও সচেতন হতো, তাহলে এত সমস্যা হতো না। আমাদের দরকার কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন, যা মানুষকে ভালো-মন্দ বোঝতে শেখাবে এবং প্ররোচনার বাইরে রাখবে। আমি চাই পাহাড়িদের মধ্যে গুণগত শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক। তাহলেই তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারবে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।

এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিমসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।


পদ্মার বিলুপ্ত এক ঢাঁই অর্ধলক্ষ টাকায় বিক্রি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়েছে বিলুপ্ত প্রজাতির সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের একটি ঢাঁই মাছ। মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া মৎস্য আড়তে উন্মুক্ত নিলামে উঠলে মাছটি দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা কিনে নেন। এসময় মাছটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করে।

তিনি জানান, প্রতিদিনের মতো জাফরগঞ্জরের জেলে সুনাই হালদার মধ্যরাতে তার ইঞ্জিন চালিত ট্রলার ও তার সহযোগীদের নিয়ে পদ্মা নদীর উজানে মাছ ধরতে যায়। ভোররাতে জাল তুলতেই দেখতে পায় বড় একটি ঢাই মাছ ধরা পড়েছে। পরে সাড়ে ১৪ কেজি ওজনের ঢাই মাছটি সকালে দৌলতদিয়া আনো খাঁর মৎস্য আড়তে আনলে উন্মুক্ত নিলাম উঠলে চান্দু মোল্লা প্রতি কেজি ৪১০০শ টাকা কেজি দরে কিনে নেন নিয়ে ফেরিঘাটে তার আড়তঘরে নিয়ে আসেন।

তিনি আরও বলেন, মাছটি সর্বমোট আমি ৫৯ হাজার ৪৫০ টাকায় কিনে নেই। মাছটি বিক্রয়ের জন্য আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ করছি। আজ মাছটি কিনতে পেরে আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে। মাছটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা লাভে বিক্রি করে দেব।

দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের স্থানীয়া মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পদ্মার এ ধরনের বড় মাছ নিলামে উঠলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে যায়। দাম যতোই বেশি হোক, মাছটি কেনার চেস্টা করে সবাই। তাছাড়া ঢাই মাছ অনেক সুস্বাদু।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, ঢাই মাছ এখন খুবই কম দেখা যায়, তাছাড়া এটি বিলুপ্তির পথে। মাছগুলো খেতেও অনেক সুস্বাদু। পদ্মার এ ধরনের মাছ আকারে বড় হয়ে থাকে। এই মাছের দামও তুলনামূলক বেশি। এ ধরনের মাছ কিনতে বড় বড় ব্যবসায়ী, প্রবাসীদের চাহিদা থাকে।


banner close