দেশের পৃথক দুটি সীমান্তস্থানে এক বাংলাদেশী ও তিনজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ।
অন্যদিকে যশোরের বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাবু মিয়া (৩২) ও ডালিম হোসেন (৩২) নামে দুই বাংলাদেশি যুবক আহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাটি ঘটে। নিহত সাইফুল ইসলাম (৩০) রাধানগর ইউনিয়নের মৃত হাসান আলীর ছেলে এবং আহত রাজু হলেন একই ইউনিয়নের ভোলার ছেলে।
গোমস্তাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জুবায়ের আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিএসএফ এর গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহতের বিষয়ে শুনেছি। ঘটনা জানার পর আমাদের একটি টিম পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরীণ। শুনেছি মরদেহ বিএসএফ নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যশোরের বেনাপোলের দৌলতপুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পের ওপারে ভারতে কালিয়ানী বিএসএফ ক্যাম্পের ওদিক থেকে গুলি আসলে বেনাপোল পোর্ট থানার দৌলতপুর গ্রামের বাবু মিয়া ও ডালিম হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে বিজিবি সীমান্ত থেকে তাদের উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খুরশিদ আনোয়ার জানান, বাবু ও ডালিম নামে দুই বাংলাদেশি দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে মাদক আনার জন্য যায়। এ সময় ভারতের কালিয়ানী বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের ১৭/৭ এস এর ১৮২ আর পিলারের নিকটে ২৫ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করে। এতে ডালিম ও বাবুর পা ও চোখ ক্ষতবিক্ষত হয়। সীমান্তে টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ক্যাম্পে এনে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে আটক দেখিয়ে তাদের হেফাজতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। সুস্থ হলে তাদের থানায় সোপর্দ করবেন বলে জানান তিনি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) কর্মরত ১৫ জন পুলিশ পরিদর্শককে বদলি ও পদায়ন করা হয়েছে। রোববার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) মো. আমির খসরু স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলি বা পদায়ন করা কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
যাদের বদলি ও পদায়ন করা হলো- ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের পরিদর্শক আহসান উল্লাহকে ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সরদার ইব্রাহিম হোসেন সোহেলকে কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. মাসুদ রানাকে সূত্রাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি তেজগাঁও বিভাগের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), পিএস অ্যান্ড আইআই বিভাগের পরিদর্শক আব্দুস সালামকে নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত), আইএডির পরিদর্শক মো. মুনিরুজ্জামানকে উত্তরা পশ্চিম থানা পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবির রমনা বিভাগের পরিদর্শক মীর রেজাউল ইসলামকে শাহ আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি মতিঝিল বিভাগের পরিদর্শক মোহা. আনোয়ার হোসেন খানকে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ডিবি ওয়ারি বিভাগের পরিদর্শক বাহালুল খানকে রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত), ক্যান্টনমেন্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হাসান খানকে গেন্ডারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত), নিউমার্কেট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হাফিজুল ইসলামকে যাত্রাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত), বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ রফিকুল ইসলামকে উত্তরখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত), রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ মশিউল আলমকে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত), উত্তর পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ উল্লাহ ফয়সালকে গোয়েন্দা বিভাগ ও কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলামকে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড।
রবিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ শুক্রবার মহেশখালী থানাধীন সোনাদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন এলাকায় এফ বি মায়ের দোয়া-৩ নামক একটি ফিশিং বোট ডাকাতির কবলে পড়ে। ডাকাতদল বোটে থাকা মাছ, খাবার, ইঞ্জিন, ব্যাটারি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ বোটে থাকা জেলেদের জিম্মি করে রাখে।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে এফ বি তাসমীম নামক অন্য ফিশিং বোট গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখ সকাল ৮ টায় কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১ এ সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।
সিয়াম-উল-হক বলেন, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, কোস্ট গার্ড স্টেশন মহেশখালী হতে একটি উদ্ধারকারী দল অতিদ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত জেলেদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করত ফিশিং বোটসহ মালিক পক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দলই বিজয়ী হোক না কেন, সরকার ও জাতির স্বার্থে আমরা তাদের পাশে থাকবো বলে মন্তব্য করেছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় বরিশালের বাবুগঞ্জে আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর বাবুগঞ্জ–মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাওজুল কবির বলেন, নির্বাচন যেন উৎসবমুখর পরিবেশে হয়। আগের মতো ভোটকেন্দ্র দখল বা সহিংসতার পুনরাবৃত্তি চাই না। নির্বাচনের দায়িত্ব এখন সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের। আমরা শুধু স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছি। বিভিন্ন জটিলতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে সেতু প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়েছে, ফলে প্রকল্প ব্যয়ও বেড়েছে। এ কারণে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান বলেন, মীরগঞ্জ সেতু বরিশালের তিন উপজেলা মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাবে। আমরা প্রকল্পটি দ্রুত শুরু করার চেষ্টা করেছি। আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ মেঘনা ও এর শাখা নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তিনি সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুবুর রহমান ও নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেনের সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহার করতেই সরকারী পরিকল্পনা রয়েছে। সেখানে ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। তবে নতুন আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ভোলার সঙ্গে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত কোনো পাইপলাইন না থাকায় জাতীয় গ্রিডে ভোলার গ্যাস সরবরাহের কোনো পরিকল্পনা নেই।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আড়িয়াল খাঁ নদীর উপর সেতুটি বরিশালের তিন উপজেলার মানুষের জীবনমান বদলে দেবে। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান যেন মানসম্মতভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনকে সেতু নির্মাণে বাধা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানান।
বরিশাল নদী বন্দরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পোর্ট রোড উন্নয়ন করা হয়েছে, নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজও এগোচ্ছে। বন্দর সচল রাখতে ড্রেজিংসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. খায়রুল আলম সুমনসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর ৩১ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক―এর সভায় মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা, ডিপিপি চূড়ান্ত অনুমোদন লাভ করে। ঐ ডিপিপি অনুযায়ী, ২০২৮ এর জুনের মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক ও নদী শাষন কাজ সম্পন্ন করে মীরগঞ্জ সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।
এক হাজার ৪৮৪ মিটার দীর্ঘ মীরগঞ্জ সেতুটি দৃশ্যত চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কর্ণফুলী সেতু ও বরিশালের পায়রা সেতুর আদলে নির্মিত হবে। সেতুর মূল অংশ ২টি এবাটমেন্ট এবং ১৭৫ মিটারের দুটি ও ৯৭ মিটারের দুটি পীয়ার সহ মোট ৫৪৪ মিটার। এরসাথে দু প্রান্তে সংযুক্ত ভায়াডাক্ট ৯৪০ মিটার। সেতু ও ভায়াডাক্ট সহ মোট পীয়ারের সংখ্যা থাকছে ৩০টি। সেতুটির দুই প্রান্তে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। যারমধ্যে টোলপ্লাজার সন্নিকটে রিজিট পেভমেন্ট এবং অবশিষ্ট ৩ হাজার ৯৭৩ মিটার ফ্লেক্সিবেল পেভমেন্ট-এর সড়ক নির্মিত হবে। খরস্রোত আড়িয়াল খাঁ নদের সম্ভাব্য যে কোনো ঝুঁকির হাত থেকে সেতুটি রক্ষায় ৪৬০ মিটার নদীতীর রক্ষাকাজে ৯৬.৬১ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে। এছাড়া সেতুটির প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে ২১.৫৫ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহনে ৯৩.৫৮ কোটি টাকা বরাদ্ব রাখা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুড়াপাড়া ইউনিয়নের মাছিমপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া (৩০) কে গ্রেপ্তার করে রূপগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল। মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ মিয়া মাসিমপুর কান্তিক পাড়া এলাকার ভূমিদস্যু ইয়াকুব মিয়ার ছেলে।
সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রূপগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের একটি চৌকস দল শনিবার (৬) ডিসেম্বর দিবাগত রাতে এই অভিযান পরিচালনা করে সেনাবাহিনী।
এসময় ৭টি দেশীয় অস্ত্র, ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
রূপগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, আমরা সোহাগের অস্ত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে সোহাগ জানান তার সহযোগী আরমানের কাছে তার একটি পিস্তল রয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমাদের অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারিকুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনীর হাতে আটক সোহাগ মিয়াকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য জব্দ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাস দমন ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৩৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বিভিন্ন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৯০ জন এবং অন্যান্য ঘটনায় আরও ৩৪৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘অভিযানকালে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি, দুটি চায়নিজ কুড়াল, দুটি বার্মিজ চাকু, একটি খুর, চারটি হাঁসুয়া, দুটি রামদা, দুটি চাপাতি, একটি চাকু, দুটি ককটেল, দুটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, একটি বিদেশি রিভলভার এবং দুটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
ফেনীতে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে দরিদ্র বর্গাচাষিদের ধান কাটা, মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে কৃষকদল নেতা-কর্মীরা। ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব।
এ সময় ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া, জেলা কৃষকদল নেতা আমির হোসেন বাদশা, সদর উপজেলা কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আব্দুল গনি, পৌর সদস্য সচিব বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নূর নবী, ফেনী জেলা যুবদলের সদস্য মদুদ আহাম্মদ রনিসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা গ্রামের কৃষক আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমি একজন বর্গাচাষী। শ্রমিকের মূল্য বেশি ধান কাটতে পারছি না। তাই চাষাবাদ করা চুয়ান্ন শতাংশ জমির ধান বিএনপি ও কৃষকদলের নেতা-কর্মীরা এসে কেটে দিয়েছে। তাতে আমার উপকার হয়েছে।’
ইলাশপুর গ্রামের জামাল উদ্দিন, মাথিয়ারা গ্রামে মুসলিমপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়া ও বগই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম জানায়, বাজার থেকে শ্রমিক এনে ধান কেটে ঘরে তুলতে অনেক খরচ পড়ে। তবে কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলতে সময় ও অর্থ দুটিই কম লাগে। কৃষকদলের নেতারা ধান কেটে দেওয়ায় বাড়তি সুবিধা পাওয়া গেছে।
ফেনী পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শ্রমিকের উচ্চ মূল্যের কারণে যে সকল কৃষক ধান কাটতে পারছে না তাদের পাশে কৃষকদল দাড়িয়েছে। আমরা নবান্নের শুরু থেকে দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। কৃষকদলের কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, ‘প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সহযোগিতা করার জন্য ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার জন্য আমরা মাঠে এসেছি। সারাদেশে দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়ার কৃষকদল কর্মসূচি নিয়েছে। দরিদ্র কৃষকরা ধান চাষাবাদ করে ঘরে তুলতে যে খরচ হয় এটা বহন করে তাদের পক্ষে চাষাবাদ করে ধান ঘরে তুলে লাভবান হওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। আমরা যে প্রযুক্তিতে ধান কাটার পদক্ষেপ নিয়েছি ধান কাটা, মাড়াই ও ঝেরে একেবারে পরিচ্ছন্ন ধান ঘরে তোলার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেক কম আসবে এবং কৃষকরা লাভবান হবেন। আগামীতে কৃষকরা ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত ও উদ্যোগী হবেন। যা আমাদের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে, খাদ্য সংকট দুর করবে এবং খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করবে।’
দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হহয়েছে।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মো. জেদান আল মুসা
বলেন, ‘মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিনাজপুরের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূর উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে।’ তিনি দিনাজপুরকে যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রফিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিম সুপার (সদর সার্কেল) আব্দুল হালিম, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মুরুল হুদা দুলাল, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রঞ্জু, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জাতীয় দৈনিকের দিনাজপুর প্রতিনিধি, সাদাকাত আলী খান,
সাংবাদিক ইউনিয়ন অপর অংশের সভাপতি মোফাসসিলুল মাজেদ, দিনাজপুর টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েনের সহসভাপতি সুলতান মাহমুদ, জাতীয় দৈনিকের দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধ মাহবুবুল হক খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট দিনাজপুর প্রতিনিধি এসএম আলমগীর হোসেন, দৈনিক বাংলা জেলা প্রতিনিধ মিজানুর রহমান. মানবজমিন পত্রিকারজেলা প্রতিনিধি কামরুজ্জামানসহ দিনাজপুর জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে পল্লী কবি জসীমউদ্দীনের কবর কবিতা প্রকাশের ১০০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ‘কবর কবিতার শতবর্ষ গ্রন্থে’ প্রকাশনা উৎসব ও মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠান শনিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কবি লেখক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী খান সম্পাদিত কবর কবিতার শতবর্ষ গ্রন্থের প্রকাশনা ও মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম এ সামাদ, সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কাকলী মুখোপাধ্যায়, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল হালিম, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ওবায়দুর রহমান, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন পিয়ালসহ কবি ও সাহিত্যিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গ্রন্থের সম্পাদক কবি লেখক ও গবেষক ড. মোহাম্মদ আলী খান বলেন, ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘কল্লোল’ পত্রিকার পেছনের পাতায় একটি ‘গ্রাম্যকবিতা’ নামে ‘পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের’ এই কবর কবিতাটি সেই ১৯২৫ সালে ছাপা হয়।
তারপরের ইতিহাস আলোয় ভরা, সোনা দিয়ে মোড়া ‘কবর’ কবিতা স্কুলের পাঠ্য হয়ে বাঙালি তরুণ-তরুণীর হৃদয়ে যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনি বাংলা সাহিত্যে পেয়েছে স্থায়ী আসন। কবিতার শব্দে ছন্দে ঝরে পড়ে বেদনার অশ্রুবিন্দু।
সেই কবিতা প্রকাশের শত বছর পার হলো এই ২০২৫ সালে। শতবর্ষ পরেও ‘কবর’ কবিতা আজো পাঠকের হৃদয়ে আলোড়ন তোলে, আবৃত্তিকারের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় তার মহিমা। একজন কবির কবিতা ১০০ বছর পরেও হয়ে ওঠে প্রিয় কবিতা, যাকে বারে বারে স্পর্শ করা যায় অন্তরের গহীন কোণে।
সাতক্ষীরায় শ্যামনগর শীতকালের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সুস্বাদু ও পরিচিত খাবার কুমড়োর বড়ি। তরকারির সাথে এই কুমড়োর বড়ি রান্না করে খাওয়ার প্রচলন বহু বছরের। শীতের মৌসুম এলেই সাতক্ষীরা জেলাজুড়ে শুরু হয় কুমড়া বড়ি তৈরির মহোৎসব। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর শীতের শুরু থেকেই কুমড়ার বড়ি তৈরির ধুম পড়ে যায় এবং এখন পর্যন্ত বড়ি তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে শ্যামনগরের গৃহিণীরা। গ্রাম থেকে শহরের অনেকেই নিজেদের খাওয়ার পাশাপাশি জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছে এই কুমড়া বড়ি তৈরির কাজ। শ্যামনগর উপজেলায় প্রায় প্রতিটা বাড়িতে দেখা যায় শীত এলেই মাষকলাই ডালের সাথে চাল কুমড়া দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে বড়ি তৈরি করা হয়।
শীতের কাকডাকা ভোরে মহিলারা বিশেষ পদ্ধতিতে দলবেঁধে কুমড়োর বড়ি দেওয়া শুরু করলেও মূলত আগের দিন থেকে শুরু করতে হয় মূল কর্মযজ্ঞ। শ্যামনগর মূলত অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত চলে কুমড়া বড়ি তৈরির মহোৎসব। কেউ কেউ নিজেরা মিলে আবার কেউ পাড়ার সবাই একসাথে তৈরি করে এই বিশেষ সুস্বাদু কুমড়ার বড়ি।
গৃহবধূ মিনারা পারভীন জানান, গ্রাম বাংলায় আবহমান কাল ধরে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি অত্যন্ত সুস্বাদু এই কুমড়োর বড়ি তরকারিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। ছোট বড় সকলের প্রিয় সুস্বাদু এই বড়ির চাহিদা সারা বছর থাকলেও শীতকালে শুধু তৈরি করা হয়। পরিবারের সারা বছরের চাহিদা অনুযায়ী সংরক্ষণের পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও কুমড়োর বড়ি দিয়ে থাকি। আসলে কুমড়ার বড়ি তৈরি গ্রাম বাংলার পুরানো ঐতিহ্য।
তিনি আরও জানান, তার ৩৮ বছরের জীবনে ছোট থেকে দেখে আসছেন শীতকাল পড়লে গ্রামের মা-বোন ও চাচিরা মিলে কুমড়া দিয়ে বড়ি তৈরি করতে। এটা খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়। এই কুমড়ার বড়ি বিভিন্ন রকম তরকারির সাথে দিয়ে রান্না করলে তরকারিতে অন্য রকম মজাদার ও লোভনীয় স্বাদ আসে। আগে যেমন তারা দেখতেন মা-চাচিরা বাড়িতে শীল-নোড়া, হিজিড়-মালশায় ফেলে ডাল বাটা-কুটার কাজ করতো।
কিন্তু এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় ডাল ও কুমড়া বাটা-কুটার মেশিন বের হয়েছে। মেশিনে কুটার কারণে এখন তাদের অনেক কষ্ট কম হয় এবং সময়ও তুলনামূলক অনেক কম লাগে। নিজেদের পরিবারের চাহিদা মতো বড়ি তৈরির পাশাপাশি প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে দেওয়া হয় বলে আমাদের একটু বেশি তৈরি করতে হয় বলে জানান তিনি।
এছাড়া বর্তমানে গ্রামের অনেক গৃহিণীরা আর্থিক লাভবান হওয়ার আশায় নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি কিছু উপার্জনের আশায় কুমড়োর বড়ি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। এই কুমড়া বড়ি গ্রাম থেকে কিনে অনেকে আবার শহরে নিয়ে যান বিক্রি করতে।
এই বড়ি কেজি প্রতি দুশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। যার কারণে অনেক মহিলারা এটাকে আবার পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন। সারাদেশে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় এবং কুমড়োর বড়ি তৈরির উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় শ্যামনগর অত্যন্ত সুস্বাদু ও জনপ্রিয় খাবারটিকে ঘিরে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে অনেকেরই কর্মসংস্থান গড়ে তোলা সম্ভব বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা।
নাটোরে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হতেই ১ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা প্রদান করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
অভিযোগ উঠেছে, এই অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও ৯০ ভাগ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এক বছরে সকল কাজ শেষ করার কথা থাকলে তা শেষ হয়নি চার বছরেও। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সেই কাজ তড়িঘড়ি করে শেষ করতে গিয়ে কাজের মান খারাপ হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, চিরচেনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কলরব নেই এখানে। সুনসান নীরবতায় ঘেরা প্রতিষ্ঠানটিতে নেই শিক্ষক, শিক্ষার্থী এমনকি একটি সাইনবোর্ডও। কয়েকজন রাজমিস্ত্রী নির্মাণাধীন ভবনের প্লাস্টারের কাজ করছেন। একপাশে চলছে টয়লেট নির্মাণের কাজ। পাশের টিনশেড মাদ্রাসাটির একটি ঘরে ভবনের চালা নেই। অপর একটি ছোট টিনশেড ঘর তালাবদ্ধ। সুমন আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, এক সময় এই মাদ্রাসাটির থেকে আড়াইশ ছাত্র নিয়মিত ক্লাশ করত। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হয়নি। বলেন ২০২১ সালে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার পরে টিনশেড ঘরটির চালা ঝড়ে উড়ে যায়। এরপর ক্লাসরুমের অভাবে মাদ্রাসাটি বন্ধ হয়ে যায়। আশা ছিল অল্পদিনের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হলে মাদ্রাসাটির ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু দীর্ঘ ৪ বছরেও কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের মাদ্রাসাটি বন্ধই রয়েছে। কাজের মান ভালো নয়।
জানা যায়, ২০২১ সালের জুন মাসে এখানে ভবন নির্মাণে বরাদ্দ হয় ৭৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মাদ্রাসাটির ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় যশোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুল মান্নান। ৯ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ৪ বছরেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। অথচ ৩০ শতাংশ কাজ বাকি থাকলেও ২০২৩ সালের ২১ জুন ওই কাজের জন্য ৭০ লাখ টাকা প্রদান করা হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটিকে। এরপর চলমান কাজ বন্ধ রাখে ঠিকাদার। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে অসমাপ্ত কাজগুলো করা হচ্ছে। এ নিয়ে তেমন সদুত্তর নেই উপসহকারী প্রকৌশলীর কাছে। ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান মিষ্টু বলেন, ‘মাদ্রাসাটির কাজ সময়মতো না হওয়া খুব দুঃখজনক ঘটনা। এ কারণে বিলমাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার অনেক ক্ষতি হয়েছে।’
লালপুরের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সেলিম রেজা জানান, ঠিকাদার যতটুকু কাজ করেছেন সেই অনুপাতে বিল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভবনের দরজা-জানালা প্লাস্টার ও টয়লেটের কাজ শেষ না করেই কীভাবে তাকে ৯০ ভাগ বিল প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
একই চিত্র নাটোরের সদর উপজেলার বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে। ভবন নির্মাণকাজের জন্য ২০২২ সালের মার্চ মাসে ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় নাটোরের মেসার্স সিফাত এন্টার প্রাইজ। এখানে ৪৫ শতাংশ কাজ বাকি থাকলেও একই সময়ে (২০২৩ সালের ২১ জুন) ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা বিল নিয়ে ঠিকাদার কাজ বন্ধ রাখে। সম্প্রতি দিন-রাত একাকার করে কাজ করা হচ্ছে।
সরেজিমেন দেখা যায়, বিল্ডিংয়ের ঢালাই, প্লাস্টার, রং, দরজা-জানালা তৈরির জন্য কাঠমিস্ত্রি, ইলেকটিক মিস্ত্রি এবং টাইলস মিস্ত্রি এক দ্রুত কাজ করছেন। ঢালাইয়ের ব্যবহৃত পানিতে কর্দমাক্ত উচ্চবিদ্যালয়ের ভেতরের মাঠ। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা কষ্ট করে ক্লাস করছেন।
বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘কাজের মান খুব নিম্নমানের। আমরা প্রতিবাদ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে বিলমাড়িয়া দাখিল মাদ্রাসার সাব ঠিকাদার ও বারঘরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের মূল ঠিকাদার মিজানুর রহমান জানান, বরাদ্দ না থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল। নতুন করে বরাদ্দ পাওয়ার পর এখন বাকি কাজ করা হচ্ছে।
কাজ শেষ না করেই তৎকালীন নাটোর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী এবং বর্তমান প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-২ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যতটুকু কাজ হয়েছে অতটুকই বিল প্রদান করা হয়েছে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি।’
তবে বর্তমান শিক্ষা প্রকৌশল নাটোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাতোয়ারা পারভীন ঠিকাদারদের গাফিলতি অকপটে স্বীকার করে জানান, আগস্ট বিপ্লবের পরে অনেক ঠিকাদার ঠিকমতো কাজ করতে না পারায় অনেক কাজে বিলম্ব হয়েছে। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর বন্ধ থাকা কাজ বুঝে নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ মো. আসাদুজ্জামানসহ মোট পাঁচজন প্রকৌশলী ও ১১ জন ঠিকাদারের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্ত করতে ইইডির প্রধান প্রকৌশলীকে চিঠি দেয়। চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পূর্বেই তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন ঠিকাদার।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখার জন্য সরকার সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, শুরুতে কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। পুলিশ বাহিনীও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য একটি বড় পরীক্ষা।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই নির্বাচন হবে ‘আদর্শ নির্বাচন’। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য-এই দুই খাতেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার-নার্স সংকট নিরসনে স্বল্প সময়ে সাড়ে তিন হাজার নার্স ও তিন হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আলু রপ্তানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বে নিয়মিত আলু আমদানি করে এমন দেশ খুবই কম। বিশেষ পরিস্থিতি না হলে রপ্তানির সুযোগও সীমিত।
বিদেশে মানবসম্পদ রপ্তানি বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, দক্ষতা না থাকায় দেশের কর্মীরা বিদেশে কম বেতন পান। নার্সিং পেশায় বিদেশে বিপুল চাহিদা রয়েছে। দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারলে দেশ উপকৃত হবে।
এছাড়া রংপুরে পালন করা ছোট জাতের দেশি গরুর মাংসের প্রশংসা করে এর বাণিজ্যিক উৎপাদনে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল আহসানের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মারুফাত হুসাইনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।
চার দিনের সফরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রংপুরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান পরিদর্শন করছেন। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি রংপুর ক্যাডেট কলেজ পরিদর্শন করবেন এবং আগামীকাল রোববার কিশোরগঞ্জের মাগুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি সৈয়দপুর হয়ে ঢাকায় ফিরবেন।
ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুরে ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ছনুয়া-ফাজিলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে এই প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছে। দীর্ঘ ৫২ বছর পর বিদ্যালয় মাঠে ঢাকার শমরিতা হাসপাতাল লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সমাজসেবক ডা. এ বি এম হারুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন। এ সময় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ নবনির্মিত শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। গত শুক্রবার বিকেলে বিদ্যালয় সভাপতি এবিএম ইমরানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদা আক্তার খানম, সাবেক ব্যাংকার এম এম আলমগীর, বায়ো ডট বাংলাদেশের সিইও আব্দুল লতিফ মীর ও সংগীতশিল্পী ডা. আরিফ আহমেদ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইতোমধ্যে ভাষা আন্দোলনবিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা তিনজনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেন ৮ম শ্রেণির আছমিনা ইয়াসমিন, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাসফিয়া ও তৃতীয় স্থান নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহসান উদ্দিন আবির। পরে ভাষা আন্দোলনবিষয়ক সংগীতের আয়োজন করা হয়। সংগীতশিল্পী ডা. আরিফ আহমেদ ভাষা আন্দোলন নিয়ে মনমুগ্ধকর সংগীত পরিবেশন করেন।
প্রধান অতিথি ডা. এবিএম হারুন বলেন, ‘দীর্ঘ ৫২ বছর পর ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মাণ হয়েছে, এতে আমি খুশি। শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করতে পারবে এবং শ্রদ্ধা জানাতে পারবে। আমি এ এলাকারে সন্তান। আমি চাই এ বিদ্যালায়ের শিক্ষার্থীরা ভালো পড়ালেখা করুক, ভালো ফলাফল করুক। স্বপ্ন দেখুক ভালো কিছু করার। আমি আশা করি, শিক্ষার্থীরা দেশকে ভালোবাসবে, দেশের জন্য কাজ করবে।’
অন্তঃসত্ত্বা ভারতীয় নারী সোনালী খাতুনকে অবশেষে তার দেশেই ফিরিয়ে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিএসএফের অমানবিক ‘পুশইন’-এর শিকার হয়ে আলোচনায় আসা সোনালী খাতুন ও তার আট বছর বয়সি ছেলে মো. সাব্বির শেখকে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ আইসিপিতে অনুষ্ঠিত আনুষ্ঠানিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
হস্তান্তর শেষে মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফের এই অমানবিক ‘পুশইন’ কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড এবং দ্বিপাক্ষিক সীমান্ত ব্যবস্থাপনা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুশইনের এই কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় মানবিক সংকটের সৃষ্টি করছে এবং উভয় দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সীমান্ত ব্যবস্থাপনার পথে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিএসএফের অমানবিক আচরণের বিপরীতে বাংলাদেশ সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিজিবি মানবিক মূল্যবোধ, আন্তর্জাতিক আইন ও প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্কের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছে।’
বিজিবি আশা প্রকাশ করেছে, পুশইনসহ এ ধরনের অমানবিক ও আন্তর্জাতিক আইনবিরোধী কার্যক্রম বিএসএফ বন্ধ করবে এবং ভবিষ্যতে সীমান্তে সৌহার্দ্যপূর্ণ, মানবিক ও আইনসম্মত প্রক্রিয়া বজায় রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ২৫ জুন বিএসএফ কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে মোট ৬ ভারতীয় নাগরিককে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করে। এদের মধ্যে ৩৫ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সোনালী খাতুন ও তার নাবালক শিশুও ছিলেন। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে এবং গত ২২ আগস্ট আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠায়।
পরে মানবিক বিবেচনায় আদালত ২ ডিসেম্বর তাদের স্থানীয় জিম্মায় দিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেন।