সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা হেলাল-খসরু হাই স্কুল। তবে মুক্তিযোদ্ধা স্কুল নামেই এটি বেশি পরিচিত। প্রত্যন্ত এলাকায় অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করতে শিক্ষার আলোকবর্তিকা নিয়ে এগিয়ে চলেছে দুই মুক্তিযোদ্ধার স্থাপিত এ স্কুলটি।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে পাকিস্তানের করাচির সেনানিবাস থেকে পালিয়ে আসেন বাঙ্গালি ক্যাপ্টেন এ এস হেলাল উদ্দিন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি আতাউল গণি ওসমানীর নির্দেশে ৫ নম্বর সেক্টরের সেলা সাব-সেক্টর বাঁশতলায় কমান্ডার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি বীর-মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ক্যাপ্টেন হেলাল নামেই পরিচিত ছিলেন। যুদ্ধকালীন ক্যাপ্টেন হেলালের বীরত্বগাথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গৌরবের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে।
যুদ্ধশেষে যুদ্ধদিনের সাথী বীর-মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধরী খসরুকে নিয়ে রাস্তা-ঘাটবিহীন জনবিচ্ছিন, অবহেলিত এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত এই জনপদে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেন ক্যাপ্টেন হেলাল।
যেভাবে হলো স্কুলের সূচনা
বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর গ্রামের বাড়ি দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তিনি ছিলেন এই গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তার মা মজিদা খাতুন চৌধুরীর দানকৃত এক একর জায়গা এবং ক্যাপ্টেন হেলালের ৬ লাখ টাকা অর্থায়নে ১৯৯৬ সালে গড়ে তোলেন ক্যাপ্টেন হেলাল খসরু হাই স্কুল। প্রথমে ৪ কক্ষ বিশিষ্ট পাকা দেয়ালের টিনশেড স্কুল ঘর এবং আলাদা বাথরুম নির্মাণ করা হয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও একই গ্রামের বিএ (সম্মান) পাস করা যুবক গুলজার আহমেদ প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন। অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে কাজে নামেন স্কুলে শিক্ষার্থী নিয়ে আসার।
তিনি তার সহকারী শিক্ষক প্রথমে মোস্তফা কামাল পরে আলী আকবর, আতাউর রহমানকে সাথে নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ৩৫ জন শিক্ষার্থী সংগ্রহ করেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই স্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ২০০৪ সালে এটি মাধ্যমিক স্কুলের স্বীকৃতি লাভ করে এবং ২০১৯ সালে মাধ্যমিকপর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়।
স্কুলের সাফল্য
২০০৪ সালে ৫ জন শিক্ষার্থী এই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চারজন পরীক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে শত শত শিক্ষার্থী এই স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে কলেজ হয়ে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি চাকরিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কর্মরত রয়েছেন। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৭৮ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৬৮ জন কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়। পাসের হার ৮৭ শতাংশ নিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। উপজেলা ও জেলাপর্যায়ে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান ও গণিতে মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করে চলেছে এই স্কুলটি। ২০২৪ সালে স্কুল থেকে ৯১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
স্কুলের বর্তমান অবস্থা
মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন হেলাল খসরু হাই স্কুল অর্থাৎ ‘মুক্তিযোদ্ধা স্কুল’ প্রতিষ্ঠা হওয়ায় আলোকিত হয়েছে পুরো লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন। এখন আশপাশের গ্রামে কোনো নিরক্ষর লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে চাকরিজীবী শিক্ষিত পরিবার। এক সময় স্কুল ড্রেস ভিজিয়ে, গায়ে কাদামাটি মেখে, নৌকায় করে, হেঁটে স্কুলে পৌঁছাতে হতো। এখন স্কুলকে কেন্দ্র করে সেখানকার রাস্তা-ঘাটেরও বেশ উন্নতি হয়েছে।
স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকর্মী আল আমিন বলেন, ‘এই স্কুলের জন্য পুরো এলাকা আলোকিত হয়েছে। এ জন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা জাতির দুই শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। মুক্তিযোদ্ধা স্কুলের ছাত্র হিসেবে আমি গর্বিত।’
প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক আহমদ বলেন, স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিচালনা পরিষদের যথেষ্ট আন্তরিকতা রয়েছে। স্কুলটির আরও অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার। শিক্ষক সংকট দূর করা এবং নিরাপত্তার জন্য স্কুলের চতুর্দিকে সীমানা দেয়াল নির্মাণ জরুরি।
স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুনমুন চৌধুরী বলেন, শিক্ষক সংকট দূর হলে জেলার শ্রেষ্ঠ স্কুল হতে পারে এই স্কুল। আশা করছি এটি শিগগিরই স্কুল থেকে কলেজে উন্নীত হবে।
স্কুলের হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দোয়ারাবাজারের প্রত্যন্ত জনপদে শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে ১৯৯৬ সালে আমি এবং বীর-মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করি। বর্তমানে স্কুলের সাফল্য দেখে আমি আনন্দিত।’
ভোলায় চলতি বছরে গেলো ৮ মাসে ১শো ২০জন শিশুর পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার দুপুরে ভোলা সদর হাসপাতালে দেখা মিলে, এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। একমাত্র কন্যা শিশু রাইসাকে (৮) হারিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে গড়াগড়ি করে কাদঁছেন রাইসার বাবা রাসেল মিয়া ও তার স্ত্রী। রাইসা তার দাদির সঙ্গে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে পানিতে ডুবে মারা যান।
জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য মতে, পরিবারের অসচেতনতায় প্রতি বছরই পানিতে ডুবে প্রায় ২শোর মত শিশুর মৃত্যু হয়। তবে, চলতি বছরে ৮ মাসেই ১২০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে, চরফ্যাশনে ৩৭ জন, মনপুরায়, ৮ জন, তজুমদ্দিনে ১০ জন, লালমোহনে ১২ জন, দৌলতখানে ৩ জন, বোরহানউদ্দিনে, ২৪ জন, ভোলা সদর উপজেলায় ২৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বর্ষা মৌসুম আসলেই জেলার নদ -নদী ও পুকুর গুলো পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শিশুরা পানিতে খেলা করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করায় পানির পাশে অনায়াসে গিয়ে এরকম দূর্ঘটনার শিকার হন। শিশু মৃত্যুর প্রতিকারে, পরিবারের সচেতনতাই মূল দায়িত্ব বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা বলছেন, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অধিকাংশ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মারা যায়। কারন, এসময় শিশুদের মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। এই সুযোগে শিশুরা বাড়ির আঙ্গিনায় খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়।'
জেলায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চরফ্যাশন উপজেলায়। এই উপজেলায় বিস্তীর্ণ জনপদে রয়েছে অসংখ্য পুকুর আর খাল বিল। যার, ফলে এখানে প্রায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
গেলো মার্চ মাসে এই উপজেলার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে রেদোয়ান নামের ৫ বছর বয়সী এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির বাবা প্রবাসী রুবেল হোসেন আজও ছেলেকে হারানোর শোক বুকে নিয়ে প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। মা মুক্তা বেগম একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মাঝে মাঝে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কেঁদে ওঠেন।
ভোলা সদর হাসপাতালে নিহত শিশু রাইসার চাচা ফরহাদ মিয়া সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিশু রাইসা ও তার চাচাতো ভাই রাহাত তাদের দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে যান। পরে তাদের দাদির গোসল শেষে রাইসা ও রাহাতকে ডেকে বাড়িতে আসতে বলে তিনি ঘরে ফিরে আসেন। কিছুক্ষন পর তাদের দেখতে না পেয়ে পূনরায় পুকুর ঘাটে গিয়ে শিশু রাহাতকে পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষনিক রাহাতকে উদ্ধার করে রাইসাকে খুঁজে পান পুকুরের ঘাটলার নিছে। পরে দু'জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক রাইসাকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং রাহাতকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গেল বৃহস্পতিবার ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নে খাদিজা নামের ৩ বছর বয়সী এক শিশুর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। শিশুটির মা জাহানারা বেগম সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'আমার মাইয়্যা ডা আর নাই, ওরে কইলাম মা তুমি পুস্কুনিত (পুকুরে) যাইয়ো না' কিন্তুুক মাইয়্যা ডা কোন ফাঁকে গেল গা টের পাইলাম না। বাড়ির উডানে (আঙ্গিনা) দেখলাম খেলে, এরপর আর দেখি নাই, চাইয়্যা দেখি মাইয়্যা আমার পুস্কুনির (পুকুর) পানিতে ভাসে।
পানি ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে বাংলাদের শিশু একাডেমির সহযোগীতায় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার অর্থায়নে সাঁতার প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে।
শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান (আইসিবিসি) প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর মো হারুন অর রশির সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমাতে ভোলায় ৫০ টি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার শিশুকে সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'এই প্রকল্পে জেলায় ১০০ জন প্রশিক্ষকের মাধ্যমে ৬ বছরে থেকে ১০ বছরের শিশুদের সাঁতার শিখানো হচ্ছে। আশা করি এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও শিশু মৃত্যুর হার কামনো যাবে।'
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের লোকাল সুইমিং ইনস্ট্রাক্টর (এলএসআই) মো. আল আমিন সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, 'আমাদের প্রতিটি সাঁতার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সপ্তাহে ৫০ জন শিশুকে সাঁতার শিখানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি শিশু সাঁতার শিখে নিজেকে আত্নরক্ষা করতে পারে। এতে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার অনেকটা কমে আসবে।'
ভোলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মনিরুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'চলতি বছরের ৮ মাসে পানিতে ডুবে ১২০ জন শিশু মৃত্যু হয়েছে। যা অত্যান্ত দুঃখজনক। শিশু মৃত্যু রোধে শিশুর মায়েদের আরও সচেতন হতে হবে। বাড়ির পাশের পুকুর থাকলে তাতে জাল বা বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে দিতে হবে, যাতে শিশুরা পুকুরে কাছে যেতে না পারে। এছাড়াও শিশুদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে তাদের প্রতি নজর রাখতে হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'বেশিরভাগ শিশুই সকাল ১০ টাকা থেকে দুপুর ২ টার মধ্যে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়। এসময় মায়েরা ঘরে রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকেন। যার ফলে শিশুরা খেলা করার সময় অসাবধানতাবশত পানিতে ডুবে গিয়ে মৃত্যু হয়। এই সময়টায় শিশুদের প্রতি খেয়াল রেখে শিশুদের মায়েদের কাছে রাখতে হবে। 'পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু রোধে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। এছাড়াও, শিশুদের ৪ /৫ বছর বয়স হওয়ার সাথে সাথে তাদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। যাতে নিজেদের আত্নরক্ষা করতে পারে।'
নরসিংদী থেকে চুরি হওয়া নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে রায়পুরা উপজেলার মরজাল এলাকা থেকে নবজাতককে উদ্ধার করা হয়। এর আগে দুপুরে শহরের বাসাইল এলাকার ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতাল থেকে নবজাতকটি চুরি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক।
নবজাতক চুরি করা নারীর নাম ফাতেমা বেগম। তিনি শিবপুর উপজেলার কুমারটেকের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি রায়পুরা থানার রাজবাড়ি (মৌলভী বাড়ি)।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, ন্যাশনাল হেলথ কেয়ার হাসপাতাল থেকে দুপুর ২ টার দিকে নবজাতকটি চুরি হয়। ওই নবজাতক জেলার শিবপুর উপজেলার বাড়ৈআলগী এলাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক শরীফ মিয়া ও মিথিলা দম্পতির সন্তান।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে নবজাতকের নানি ওয়াশরুমে যাওয়ার সুযোগে এক অপরিচিত নারী নবজাতকটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে অভিযান চালিয়ে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।
নবজাতকের বাবা শরীফ হোসেন জানান, শনিবার (৯ আগস্ট) তার স্ত্রী মিথিলা ছেলে সন্তান প্রসব করেন। রোববার দুপুরে এক নারী তার বাচ্চাটি চুরি করে পালিয়ে যান। এরপর পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিশু চুরি করা ওই নারী নিজেকে শিশুর মায়ের আত্মীয় পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি বেশ কিছু সময় সেখানে ছিলেন এবং শিশুটি তার কোলে ছিল।
নবজাতকের স্বজনরা জানান, ওই নারী নিজেকে হাসপাতালের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন।
ওসি মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, বাচ্চাটি চুরি হওয়ার সংবাদ ও অভিযোগটি আমলে নিয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তারা নবজাতকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় ওই নারীর পরিবারে ছেলে সন্তান না থাকায় স্বামীর চাপে নবজাতকটি চুরি করেন তিনি। নবজাতক চুরি করার দায়ে নারীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
দীর্ঘ ৯৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর অবশেষে সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে চন্দ্রঘোনা–রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কীর্তি নিশান চাকমা সকালে জানান, কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি গেট খোলার ফলে কর্ণফুলী নদীতে প্রবল স্রোত তৈরি হয়। এ কারণে গত ৭ আগস্ট সকাল ৭টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে অসংখ্য হালকা ও মাঝারি যানবাহন ফেরিতে উঠছে। কিছু যানবাহন ফেরিতে উঠার অপেক্ষায় রয়েছে। ফেরি চালু হওয়ায় রাইখালী ও চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে আবারও কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।
বাস চালক জামাল হোসেন, ট্রাক চালক জনি সূত্রধর, সিএনজি চালক করিম ও জনি মারমা, এবং জীপ চালক মো. আলম জানান, গত ৪ দিন ফেরি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছিলেন তারা। ফেরি চালু হওয়ায় কষ্ট অনেকটাই লাঘব হবে।
এদিন সকালে ফেরিঘাটে দেখা হয় রাঙামাটি থেকে বান্দরবানগামী সরকারি কর্মকর্তা ও মোটরসাইকেল আরোহী বিদ্যুৎ শংকর ত্রিপুরা, রাইখালী কালামাইস্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রিয়ময় তনচংগ্যা ও বিশু দাশ, কাপ্তাই রাইখালীর বাসিন্দা রবিন ভট্টাচার্য, এবং বগারচর হাক্কানী হেফজখানার কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তারাও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও সাতজন।
রবিবার (১০ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার নিমতলা স্টেশনের সামনে ঢাকামুখী হাইওয়ে লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
আহতদের মধ্যে রউনত (১৯), মোহাম্মদ লুৎফর (৬০) এবং রায়হান (২৫)-এর অবস্থা গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান, হানিফ পরিবহনের একটি বাস দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম জানান, শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি রেকারের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ কারণে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হলেও পরে স্বাভাবিক হয়।
ঝালকাঠি শহরের থানা রোডের বাসিন্দা আজাদ হোসেন পান্না নামের এক ব্যবসায়ীর বহুতল ভবন "বিসমিল্লাহ হাউস" থেকে ইয়াবা, গাজা এবং বিদেশী মদসহ চার জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ২টার কিছু আগে ঝালকাঠি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান চালিয়েছে। মাদকসহ যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা হলেন, 'সদর উপজেলার কিস্তাকাঠি গ্রামের মৃত তৈয়ব আলী খানের ছেলে মো. হাকিম (৩২), একই গ্রামের মৃত আনসার আলী হাওলাদারের ছেলে মো. হুমায়ুন হাওলাদার (৪০), পৌর শহরের বাকলাই সড়ক এলাকার খালেক মোল্লার ছেলে মো. মনির হোসেন (৪৫) এবং দিয়াকুল গ্রামের মাসুম হাওলাদারের ছেলে মো. সাগর (৩২)।
ভবন মালিক আজাদ হোসেন পান্না বলেন, 'আটককৃতদের মধ্য হুমায়ুন নামের ব্যাক্তি আমার ভবনের কেয়ারটেকার। বাকিরা তার বন্ধু। আমার ভবনে তারা মাদকের আড্ডা বসিয়েছে তা আমি জানতাম না।'
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ঝালকাঠির উপ-পরিদর্শক মো. আকবর হোসেন সার্চ বিডি নিউজকে বলেন, 'গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা আজাদ হোসেন পান্নার ভবনের নিচ তলার একটি কক্ষে অভিযান চালাই। সেখান থেকে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় চারজনকে আটক করা হয়।'
আকবর হোসেন আরো বলেন, 'অভিযান শেষে বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের সাজা প্রদান করেছেন।
ঝালকাঠি সসদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, 'আটক চারজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিক নগদ আদায় করা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান বলেছেন, 'সামনে অনেক কাজ, অনেক চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। তারা বিএনপিকে আস্থায় রাখতে চায়। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। না হলে আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবো না। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা।
রবিবার রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আধা ঘন্টার বক্তব্যে তিনি নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনে আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপর জোর দেন।
তারেক রহমান বলেন গত আড়াই বছর আগে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা দিয়েছিলাম। বর্তমানে রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে যা বিএনপি আগেই বলেছিল। আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ জনগণের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি ৩১ দফার বাস্তবায়ন। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে না পারলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন স্বৈরাচার বিতাড়িত হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে মূল আন্দোলন ছিল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধিকার বাস্তবায়নের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই অধিকার বাস্তবায়ন হবে। শুধু ভোট হলেই হবে না সরকার গঠন করলেই হবে না। দেশের অধিকাংশ জনগণ বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে চায় আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ জনগণের সমর্থন পাবে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে পার্শ্ববর্তী দেশে চিকিৎসার জন্য মানুষকে পাঠানোর ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নির্বাচন ব্যবস্থা, আইন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সহ অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলা হয়। আমাদেরকে সেখান থেকে দেশকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে কলকারখানা নির্মাণ করতে হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় দেড়যুগ পর অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সম্মেলন।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে সকাল থেকে সম্মেলনে যোগ দিতে দুরদুরান্ত থেকে নেতাকর্মীরা নগরীতে প্রবেশ করেন। দুপুর গড়ানোর সাথে সাথে সম্মেলন স্থল কানায় কানায় পুর্ণ হয়ে যায়। সম্মেলনস্থলে জায়গা না পেয়ে বিএনপির নেতাকর্মী সমর্থকরা পদ্মা নদীর ধারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির সকল নেতাকর্মী সহ সাধারণ জনগণ।
২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. এরশাদ আলী ঈশাকে আহ্বায়ক ও মামুনুর রশিদ মামুনকে সদস্য সচিব করে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় সাড়ে তিন মাস পর আহ্বায়ক কমিটির পরিধি বাড়িয়ে ৬১ সদস্যের করা হয়। তারপর থেকে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে আহ্বায়ক কমিটিতেই চলছে রাজশাহী মহানগর বিএনপি।
পারিবারিক কলহের জেরে জয়পুরহাটের কালাইয়ে বটির কোপে ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামীকে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষিকা স্ত্রীর বিরুদ্ধে। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের টাকাহুত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যাংক কর্মকর্তা মতিয়র রহমান (৩৫) ওই গ্রামের আব্দুল মতিন সরকারের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত। অভিযুক্ত স্ত্রী জেলার বিনইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা বলে জানাগেছে।
স্থানীয় ও পরিবারের সুত্র জানা যায়, বিয়ের পর থেকে ওই সহকারী শিক্ষিকাকে নিয়ে বগুড়া শহরের একটি বাসা ভাড়া থাকতেন ব্যাংক কর্মকর্তা মতিয়র রহমান। তবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলতে থাকে। সম্প্রতি শহরে একটি বাসা ও সন্তানের নামে ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার দাবি করেন ওই সহকারী শিক্ষিকা। এ নিয়ে রোববার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে শিক্ষিকা ঘর থেকে বটি এনে স্বামীর মাথা, হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অভিযুক্ত শিক্ষিকা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কর্মস্থলে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে তার স্বামীর অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে এসব বলায় স্বামী নিজেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে তার ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
এ বিষয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকবৃন্দের পক্ষ থেকে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও বিশ্ব ব্যাংক সহায়িত ৪০০০ কোটি টাকার হায়ার এডুকেশন অ্যাকসেলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) প্রকল্পে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ অভিযোগ করেন, হিট প্রকল্পে ভালো এবং স্বীকৃত গবেষকদের বাদ দিয়ে লো প্রোফাইল ও কম সাইটেশনধারী শিক্ষকদের প্রজেক্ট নির্বাচিত করা হয়েছে। এক ফিল্ডের শিক্ষক দিয়ে অন্য ফিল্ডের প্রজেক্ট মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমনকি প্রজেক্ট নির্বাচনে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সমর্থক শিক্ষকরা বিকল্প পদ্ধতিতে প্রজেক্ট মূল্যায়নের রিভিউয়ার হওয়া এবং প্রজেক্ট পাওয়ার ব্যবস্থা করেছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
রোববার (১০ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মাওলা, অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান, অধ্যাপক ড. এ.টি.এম. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ড. মো. জাহিদুল ইসলাম ও ড. মুহা. শরিফুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকবৃন্দ তিনটি দাবি উত্থাপন করেন, অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যমান সব প্রজেক্ট বাতিল করতে হবে। ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান এবং পরামর্শক অধ্যাপক মোজাহার আলীর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে নতুন করে রিভিউ করে প্রকল্প নির্বাচন করতে হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. মিজানুর রহমান বলেন, প্রায় ৪০ শতাংশ লো প্রোফাইলধারী (টোটাল সাইটেশন ১০০ এর কম) গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। এছাড়া ৫০০ সাইটেশনের কম আছে এমন ৪০ শতাংশ গবেষকদের প্রজেক্ট নির্বাচন করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত গবেষকদেরকে বাদ দিয়ে তুলনামূলক কম গবেষণা ও সাইটেশন রয়েছে এমন গবেষক নির্বাচন করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ইসলামী বায়োটেকনলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, অনেক লো-প্রোফাইল আবেদনকারী, যাদের পিএইচডি নেই বা আন্তর্জাতিক মানের প্রকাশনা নেই, তারাই বরং অনুদান পেয়েছেন। অথচ যারা বাদ পড়েছেন, তাদের প্রোফাইল ছিল অনেক সমৃদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকরা আরও বলেন, রিভিউ কমিটিতে যে বিষয়ে যারা এক্সপার্ট তাদেরকে রাখা হয়নি। এমনকি পিএইচডি করেননি এমন ব্যক্তিকেও রিভিউ কমিটিতে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় গবেষণার জন্য অর্থায়নে বিচারহীনতা, স্বচ্ছতার অভাব এবং রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে। ফলে প্রকৃত গবেষকরা বঞ্চিত হয়েছেন, যা গবেষণা ক্ষেত্রে এক ভয়াবহ সংকট বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এই হিট প্রকল্পে শিক্ষকদের আনিত অভিযোগসমূহ হলো- প্রধান অভিযোগসমূহ
রিভিউ প্রক্রিয়ার গুণগত মান ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব, "ব্লাইন্ড পিয়ার রিভিউ"-এর দাবি মিথ্যা, প্রেজেন্টেশন মূল্যায়ন প্রসঙ্গে, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, অঘোষিত বিভাগভিত্তিক বৈষম্য, রিসার্চ কোয়ালিটির নামে বিভ্রান্তি এবং অবহেলা, শিল্প সহযোগী (পার্টনারিং agreement) ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট অনুমোদন, বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বা বিভাগ ভিত্তিক প্রকল্প সংখ্যা ও অঞ্চলভিত্তিক বৈষম্য, নৈতিক ও আদর্শগত সংকট, অপ্রকল্প জমাদানের সময় বর্ধিত করে অনৈতিক সুযোগ প্রদান, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তার প্রভাব, চূড়ান্ত বাছাই বোর্ডে তাচ্ছিল্যমূলক ব্যবহার, হিট রিভিউ পদ্ধতির মাধ্যমে এবং ব্যবস্থাপনার নামে অর্থের অপচয়ের গুরুতর অভিযোগ করেন
জানা যায়, হিট প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ পরীক্ষায় ৩২ প্রার্থীর মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোলায়মান। গত বছরের ১৪ মার্চ ইউজিসি তাকে নিয়োগ দেয়। কিন্তু ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের মৌখিক নির্দেশে মাত্র এক দিনের মাথায় তার নিয়োগ বাতিল করে মন্ত্রণালয়।
গাজীপুরে প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এবং দেশব্যাপী সাংবাদিক খুন, হামলা, নির্যাতন ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে জামালপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ আগষ্ট) দুপুরে জামালপুর জেলা প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
জামালপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএটিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকামের সভাপতিত্বে প্রবীণ সাংবাদিক উৎপল কান্তি ধর, আজকের জামালপুরের সম্পাদক এম এ জলিল, সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সভাপতি অজয় কুমার পাল, ভাষা ও স্বাধীনতাসংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আশরাফুজ্জামান স্বাধীন, আমার দেশের সাংবাদিক ইউসুফ আলী, দিনকালের মুকুল রানা, নিউ নেশনের শাহ জামাল, ইত্তেফাকের শাহীন আল আমীন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ডিবিসি নিউজের শুভ্র মেহেদী, সমকালের সোলায়মান হোসেন হরেক, যায়যায়দিনের লিয়াকত হোসাইন লায়ন, মাইটিভির শামীম আলম, এশিয়ান টিভির মোস্তাক আহমেদ মনির, এখন টিভির জুয়ের রানা, এনটিভি ও খবরের কাগজের আসমাউল আসিফ, বাংলা টিভির ফজলুল করিম কাওছার, একুশে টিভির খন্দকার রাজু আহমেদ, সাপ্তাহিক মুক্তকালের সম্পাদক মোহাম্মদ আলীসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, সরকার কোন সাংবাদিক হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার না করায় সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কিছু আসামীকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তারা বিভিন্ন আইনি ফাকফোকর দিয়ে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এতে করে সন্ত্রাসীরা আরো বেশি ভয়ংকর হয়ে উঠছে, একের পর এক সাংবাদিক হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে ও সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান বক্তারা।
রাজধানীতে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অটোরিকশা চুরির ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। জহিরুল (২২) ২। আলমগীর (৩২) ৩। মেহেদী (২১) ও ৪। ইয়ামিন (১৯)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) আদাবর ও মোহাম্মদপুর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে মিরপুর মডেল থানার একটি টিম।
মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মোঃ সজিবুল ইসলাম রাসেল (২২) একজন অটোরিকশা চালক। গত ৩ আগস্ট ২০২৫ দুপুর ৩:০০ ঘটিকার দিকে মিরপুর-১০ গোল চত্বরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তার অটোরিকশা ভাড়া নেন। অটোরিকশা নিয়ে তারা প্রথমে শের-ই-বাংলা নগরের জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে যায়, পরে মোহাম্মদপুরের শ্যামলীতে ১০ নং কমার্শিয়াল প্লট, ২ নং খিলজি রোডে পৌঁছায়। সেখানে আরও দুইজন তাদের সাথে গাড়িতে উঠে। এক সময় চালককে কৌশলে একটি বেকারি থেকে রসমালাই খাওয়ায়, যাতে চেতনানাশক ওষুধ মেশানো ছিল। ভিকটিম রাসেল বিকেল আনুমানিক ৩:৩০ ঘটিকার দিকে অচেতন হয়ে পড়েন। চোরেরা তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িটির মূল্য প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ভিকটিম রাসেলের জ্ঞান ফিরে আসে ৬ আগস্ট ২০২৫ রাত ৮.০০ টার দিকে, তখন সে জানতে পারে একজন অজ্ঞাত রিকশা চালক তাকে মিরপুর-১০ এ তার বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
থানা সূত্র আরও জানায়, মামলাটি রুজুর পর তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি দল মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিভিন্ন অটোরিকশা গ্যারেজে আদাবর থানার সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে জহিরুল, আলমগীর, মেহেদী ও ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে। তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে ৪৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি-গুলশান বিভাগ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১। নাজমুল হাসান রবিন (৩৫) ও ২। মোঃ তারিফুল ইসলাম রোমান (২০)।
রবিবার (১০ আগস্ট ২০২৫) রাত ১২:০৫ ঘটিকার সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করে ডিবি গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম।
ডিবি-গুলশান বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে তাদের কাছে তথ্য ছিল যে, কতিপয় মাদক কারবারি ইয়াবাসহ যাত্রাবাড়ী থানাধীন ঢাকা চট্রগাম মহাসড়কের ঢাকাগামী রাস্তার মাতুয়াইলে একটি চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১২:০৫ ঘটিকায় ডিবি গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ নাজমুল হাসান রবিন ও তারিফুল ইসলাম রোমানকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন মাদক কারবারিদের নিকট বিক্রি করত।
গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও থানা দুর্ধর্ষ ধাক্কামারা চক্রের সক্রিয় দুই নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- জুথী আক্তার শ্রাবন্তী ওরফে যুথি আক্তার জ্যোতি ওরফে লিমা আক্তার (২২) এবং শাহনাজ বেগম (৪২)।
শুক্রবার (৮ আগস্ট ২০২৫) বিকাল আনুমানিক ৫.০০ ঘটিকায় তেজগাঁও থানাধীন বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তেজগাঁও থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ৭ম তলার লিফটের সামনে কৌশলে এক নারীকে ধাক্কা মেরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা চুরি করে।
এ সময় সন্দেহ হলে তিনি তার ব্যাগ পরীক্ষা করে টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এরপর তিনি ও তার স্বামী ডাক চিৎকার করলে শপিং মলের নিরাপত্তা প্রহরীরা এগিয়ে আসেন। নিরাপত্তা প্রহরীদের সহায়তায় দুই নারী আসামিকে আটক করা হয়, তবে তাদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও দুজন কৌশলে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও দুজন নারী ভুক্তভোগী জানান যে, তাদের কাছ থেকেও যথাক্রমে এক লাখ টাকা ও ৪.৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণের টিকলি (মূল্য আনুমানিক ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং দশ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামিরা চুরির কথা স্বীকার করেছে।
তেজগাঁও থানা পুলিশ ও নারী পুলিশের সহায়তায় আসামি যুথি আক্তারের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে চুরি যাওয়া নগদ এক লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং স্বর্ণের টিকলি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ধৃত যুথি আক্তার একটি আন্তঃজেলা পকেটমার চক্রের নেতা। তার নেতৃত্বে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে একটি সংঘবদ্ধ চক্র বিভিন্ন শপিং মল, রাস্তা ও গণপরিবহনে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি মামলা রুজু আছে মর্মে জানা যায়।
এ ঘটনায় ডিএমপির তেজগাঁও থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আদিবাসী স্বীকৃতির দাবির অন্তরালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি পৌর শাখা।
রবিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০টায় শহরের বনরুপা সিএনজি স্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের পৌর সভাপতি পারভেজ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান। বিশেষ বক্তা ছিলেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন, জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বা উপজাতিরা আদিবাসী নয়; তারা ইতিহাসে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার, ভারত, চীনসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অভিবাসী হয়ে এখানে বসতি স্থাপন করেছে। সংবিধানের ২৩(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো আদিবাসী নেই, বরং তারা ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃত।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির নামে একটি গোষ্ঠী ‘জুম্মলেন্ড’ নামে পৃথক রাষ্ট্র গঠনের ষড়যন্ত্র করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।