রোববার, ১৭ আগস্ট ২০২৫
২ ভাদ্র ১৪৩২

পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনে হার্ডলাইনে সরকার

ফাইল ছবি
আপডেটেড
৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪
চট্টগ্রাম, বান্দরবান থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
চট্টগ্রাম, বান্দরবান থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০৪

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে গত মঙ্গল ও বুধবার পরপর দুদিনের ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী কেএনএফ নিয়ে দেশজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংক ডাকাতির পাশাপাশি দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে অস্ত্র লুট, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণসহ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে মারার ঘটনায় এলাকায় বেশ আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে র‌্যাবের মধ্যস্থতায় সন্ত্রাসী বাহিনী থেকে উদ্ধার এবং গতকাল শুক্রবার ম্যানেজারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বৃহস্পতিবার থানচি থানায় পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে সেখানে বেশ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে যান। বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনা গতকালও থানচিতে দেখা গেছে বলে দৈনিক বাংলার স্থানীয় প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছে। এদিকে এই ঘটনার মাধ্যমে পাহাড়ে আবারও সন্ত্রাসীদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানান। র‌্যাব বলছে, সন্ত্রাস দমনে পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালাবে। অন্যদিকে আজ শনিবার বান্দরবানের পরিস্থিতি পরিদর্শনে যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রুমা ও থানচিতে ৬ মামলা

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে পৃথক তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) সঞ্জয় সরকার। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুমা সোনালী ব্যাংকে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র লুটপাট করে। ভল্টের টাকা নিতে না পেরে ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। পরদিন থানচি বাজারের সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ সময় কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যায় ডাকাতরা।

কারা এই কেএনএফ

আবার আলোচনায় সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। বান্দরবানের দুই উপজেলায় ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই ব্যাংকের তিন শাখায় ডাকাতির ঘটনায় ব্যাপক আলোচনায় আসে এ সংগঠনটি। সূত্র জানায়, প্রায় দু’বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)। পার্বত্য এলাকার দুটি জেলার ৯ উপজেলা নিয়ে আলাদা স্বায়ত্তশাসনের ঘোষণা দিয়েছিল তারা। ব্যাংক ডাকাতির পূর্বেও কয়েকটি সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। বেশ কিছুদিন নীরব থাকার পর হঠাৎ সরব হয়ে উঠেছে কেএমএফ।

এ গোষ্ঠীর সামর্থ্য, বিস্তৃতি ও সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধির একটা ইঙ্গিত এসব হামলার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে অনেকে মনে করছেন। জানা গেছে, সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনাও হয়েছিল এ সংগঠনের। ২২ এপ্রিল শান্তি আলোচনা হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তার আগেই ব্যাংক ডাকাতি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর শান্তি আলোচনার উদ্যোক্তারা পিছু হটেছে।

দু’বছর আগে ২০২২ সালে তারা সক্রিয় হয়। ফেসবুকে তাদের অস্তিত্বের জানান দেওয়ার পাশাপাশি সশস্ত্র ঘটনাও ঘটায়। বান্দরবানের বম জাতিগোষ্ঠীর কিছু ব্যক্তি এটি গড়ে তুলেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়।

কেএমএফ ৯ উপজেলা নিয়ে স্বায়ত্তশাসনের দাবি জানিয়ে আসছে। এগুলো হল রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি এবং বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম।

তাদের মূল সংগঠনের সভাপতি নাথান বম। তিনি রুমা উপজেলার এডেন পাড়ার অধিবাসী। নাথান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের স্নাতক। রুমার এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তার অবস্থান কোথায় তা কেউ জানে না।

গত বছর কেএনএফের চার হামলার ঘটনায় পাঁচ সেনাসদস্য নিহত হন। আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) সঙ্গে সংঘর্ষে গত বছর রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাংপাড়া এলাকায় আটজন এবং রুমা উপজেলার মুয়ালপিপাড়া একজন নিহত হন। ২০২২ সালের ২১ জুন রাঙামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় তিন ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

সূত্র জানায়, কেএনএফ এর সঙ্গে সমঝোতার আলোচনা থেকে সরে এসেছে প্রশাসন। কেএনএফকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে তাদের কঠোর হস্তে দমন ঘোষণা দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, কুকি চিনের জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আস্তানা আমরা গুড়িয়ে দিয়েছিলাম। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকলে আজ তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারত না। তাদের সঙ্গে আলোচনা ছিল সুদূরপ্রসারী একটি গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র।

শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা ঘোষণা করেন, সন্ত্রাসী ঘটনায় কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে আর সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আলোচনা স্থগিত করা হলো।

পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে-আলম মিনা বলেন, কেএনএফ ব্যাংক ডাকাতি করেছে। তারা অস্ত্র লুট করেছে। সে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা নিয়ে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের সশস্ত্র তৎপরতা সম্পর্কে সরকার জানে। সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। অচিরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে একটা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কিছু সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীটি রাঙামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং এই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় গোটা পার্বত্য অশান্ত হবে, এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’

আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিদর্শনে যাবেন

বান্দরবানে সশস্ত্র হামলা ও ব্যাংকে লুটপাটের পর বর্তমানে সেখানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শনে আজ শনিবার যাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে বান্দরবানে যাবেন তিনি। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বান্দরবানের রুমাসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করবেন। এলাকা পরিদর্শনের সময় তিনি বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। শনিবার দুপুরে বান্দরবান সার্কিট হাউসে মতবিনিময় শেষে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন তিনি। ঢাকা থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চলবে: র‌্যাব

টাকা লুট ও শক্তির জানান দিতেই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও হামলা করেছে। তাই পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

খন্দকার মঈন বলেন, বান্দরবান জেলায় বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। তাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতা, উত্তরসূরিদের অনুপ্রেরণা ও বিশ্বে তাদের সহযোগীদের সক্ষমতা জানান দিতেই এ ঘটনাটি কেএনএফ সশস্ত্র সদস্যরা ঘটিয়েছে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগেও কুকি-চিন সদস্যরা টাকার বিনিময়ে জঙ্গিদের অস্ত্র পরিচালনা প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সন্ত্রাসীদের নির্মূলের পাশাপাশি রুমা সোনালী ব্যাংক থেকে লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারে আজ থেকে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে।

এদিকে ব্যাংকে হামলা, অস্ত্র লুট, অপহরণ ও গোলাগুলির ঘটনার পর বান্দরবানের থানচি উপজেলা সদরে গতকালও পরিস্থিতি ছিলো থমথমে। বন্ধ রয়েছে থানচি বাজারের বেশির ভাগ দোকানপাট। আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক নারী ও শিশু।

থানচি এলাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ও পুলিশের সতর্ক পাহারা দেখা গেছে। পুলিশ বলছে, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। গতকাল থানচি উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদের গাড়ি করে এলাকা ছাড়ছেন।

এলাকার বেশির ভাগ দোকান বন্ধ। বাজারের ব্যবসায়ীদের কেনাবেচা কমে গেছে বলে জানায় স্থানীয় ব্যবসায়িরা।

গতকাল থানচি থানার চারপাশে সতর্ক অবস্থানে পুলিশ সদস্যদের থাকতে দেখা গেছে। থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি থানায় একজন করে সহকারী পুলিশ সুপারকে (এসপি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, গোলাগুলির পর থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। লোকজনের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান তিনি।

অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর

অপহরণের দুই দিনের মাথায় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখার ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শুক্রবার র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) তাকে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, র‌্যাব খবর পাওয়ায় পরপরই সোনালী ব্যাংক বান্দরবানের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজারকে নিরাপদে উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং অক্ষত অবস্থায় ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে রুমা থেকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। র‌্যাব কমান্ডার আরও বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না, আর সন্ত্রাসীদের নির্মূলের পাশাপাশি রুমা সোনালী ব্যাংক থেকে লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র উদ্ধারে আজ থেকে সাঁড়াশি অভিযান চালানো হবে। বৃহস্পতিবার র‍্যাবের মধ্যস্থতায় ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় রুমা উপজেলার বেথেল পাড়া দিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। গতকাল তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিল র‌্যাব।


বিভাজন নয়, সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে: আমীর খসরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। বিএনপি সব ধর্মের মানুষ, বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তোলবে। নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে কোনো বিভাজন করা যাবে না।

গতকাল শনিবার জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধান অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলা আছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না। একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের দায়িত্ব।

তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আমরা একটা জাতি, একটা দেশ, একটা সমাজ। যারা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে তারা বারবার ধ্বংস হয়েছে, আবার বারবার নতুনভাবে শুরু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এ দেশের সাধারণ মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে মনেপ্রাণে ঘৃণা করে। আজকের বাংলাদেশে আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে সবাই। মানুষের মধ্যে অনেক দাবি সৃষ্টি হয়েছে, অনেক প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছে।

“যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে হয় তবে কোনো বিভাজন করা যাবে না। দেশে সবার ধর্ম থাকবে, সংস্কৃতি থাকবে। সবাই তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করবে। এটার সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সংঘর্ষ থাকতে পারে না। জাতি হিসেবে, রাজনীতিবিদ হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে। ধর্ম যেমন মানুষের ভিন্ন ভিন্ন হয় রাজনৈতিক মতভেদও ভিন্ন ভিন্ন হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে সবাইকে এক হতে হবে।

শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরি মহারাজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ।


হিলিতে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দুদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ১০ টাকা করে। সরবরাহের এমন ধারা অব্যাহত থাকলে ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ বাড়লে দাম আরো কমবে বলে দাবি বিক্রেতাদের। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষ।

সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতিটি দোকানেই আগের তুলনায় দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে। সেই সঙ্গে দাম পূর্বের তুলনায় কমতির দিকে রয়েছে। দুদিন পূর্বে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আগের তুলনায় ক্রেতা সমাগম বেশি, এছাড়া ক্রেতারা পরিমাণে বেশিও কিনছেন।

হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা হায়দায় আলী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করেছে। ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দাম বাড়তে বাড়তে ৭৫ টাকা কেজিতে উঠে যায়। পেঁয়াজ খুবই জরুরি নিত্যপ্রয়োজনীয় হওয়ায় বাধ্য হয়ে এক কেজির জায়গায় হাফ কেজি কিনছিলাম। তবে দুদিন ধরে পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে, বর্তমানে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় নেমেছে। হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই দাম স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু বর্তমানে মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমতে শুরু করেছে। এতে মোকামে প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। আর তাই বাজারেও পণ্যটির দাম বাড়ছিল। দাম নিয়ন্ত্রণে সম্প্রতি সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার সোনা মসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার থেকে হিলিসহ দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। এমন খবরে মোকামে যারা দেশীয় পেয়াজ মজুদ করছিল তারা সেসব পেঁয়াজ বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। এতে সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। দু'দিন আগেও যেখানে মোকামে প্রতি মণ পেঁয়াজ আমাদের কিনতে হয়েছিল ৩ হাজার ২শ টাকা সেটি এখন কমে ২ হাজার ২শ টাকা হয়েছে। আমদানির খবরেই পেঁয়াজের দাম মণপ্রতি ১ হাজার টাকা করে। কমে গেছে। কম দামে কিনতে পারায় আমরাও এখন কম দামে বাজারে বিক্রি করতে পারছি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুরের সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বলেন, কেউ যাতে কোনো পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে দাম বাড়াতে না পারেন সেজন্য আমরা নিয়মিতভাবে বাজারগুলোয় অভিযান পরিচালনা করছি। তারা কী দামে পণ্য কিনছেন কী দামে বিক্রি করছেন সে সম্পর্কিত তথ্য যাচাইবাছাই করছি। কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে।


কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার বিমানবন্দরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরুর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী।

রবিবার দুপুরে কক্সবাজার বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান তিনি।

চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকী বলেন, 'আমরা আজকে বিমানবন্দরের দ্বিতীয় টার্মিনাল ও সাগরের বুকে নির্মিত হওয়া রানওয়ের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছি। তাতে মনে হয়েছে আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে আংশিকভাবে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'কত শতাংশ কাজ শেষে তা বলা না গেলেও তবে মাঝামাঝি সময়ে শুরু করা সম্ভব। যার জন্য আমাদের প্রস্তুতি শেষের পথে।

পরিদর্শনকালে কক্সবাজার বিমানবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ইউনূছ ভুঁইয়া, বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্তজা হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজন আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার বিমানবন্দরে ক্রিকেট ব্যাট থেকে পাঁচ সহস্রাধিক ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করেছে বিমানবন্দরের কর্মিরা; যাদের মধ্যে একজন বিমানবন্দরের চাকুরিচ্যুত কর্মি।

রোববার সকাল সোয়া ১০ টায় বিমানবন্দরে মালামাল তল্লাশীর সময় তাদের আটকের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াস খান।

আটকরা হল, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা জাকির হোসেন (২৬) এবং বরিশাল জেলার বাসিন্দা তানভীর আহমদ (৩০)। এদের মধ্যে তানভীর বিমানবন্দরেক চাকুরিচ্যুত কর্মি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টদের বরাতে ইলিয়াস খান বলেন, আটকরা বেলা ১১ টা ২৫ মিনিটের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী ইউএস বাংলা নামের বিমান পরিবহন সংস্থার একটি ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। তারা ফ্লাইটে উঠতে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিমানবন্দরে আসেন। এসময় বিমানবন্দরের কর্মিরা যাত্রীদের মালামাল তল্লাশী কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

এতে ব্যাগ ও মালামাল স্কেনিং করার সময় ক্রিকেট ব্যাটের ভিতরে বিশেষ কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৫ হাজার ১০০ টি ইয়াবা পাওয়া বলে জানান ওসি।

ইলিয়াছ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।


চকরিয়ায় মাছের ঘের দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত- ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাছের ঘেরে আধিপত্য বিস্তার ও ঘের দখল নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শেকাব উদ্দিন(৩৭) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার চিরিংগা ইউনিয়নের সওদাগরঘোনা রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শেকাব উদ্দিন উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের রামপুর এলাকার মঞ্জুর আলমের ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রামপুর আবাসন প্রকল্প এলাকায় একটি মাছের ঘের নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ওই ঘেরের দখল নিয়ে গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এ সময় শেকাব উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, মাছের ঘেরের বিরোধ নিয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।


অস্ত্রসহ আটক অনিন্দ্য সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা, রিমান্ড চাইবে পুলিশ 

আপডেটেড ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১৪:৫০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ। রাতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের এসআই রেজাউল করিম বাদী হয়ে অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গাজীউর রহমান জানান, এ মামলায় গ্রেপ্তার প্রত্যেকের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন প্রস্তুত করছে পুলিশ। রিমান্ড আবেদন প্রস্তুতের পর তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

শনিবার রাজশাহী নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় ‘ডক্টর ইংলিশ’ কোচিং সেন্টার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ কোচিং সেন্টারের মালিক মুনতাসির আলম অনিন্দ্য, তার দুই সহযোগী মো. রবিন ও মো. ফয়সালকে আটক করে যৌথবাহিনী। বিকেলে তাদের নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। তারপর থেকে তারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

অনিন্দ্য ঢাকার হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সন্দেহভাজন। এ মামলায় ২০১৬ সালে গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাবন্দী ছিলেন তিনি।


রূপগঞ্জে নেপিয়ার ঘাস চাষে ঝুকছে কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নজরুল ইসলাম লিখন, রূপগঞ্জ

রূপগঞ্জে গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আবাসন চাহিদা পুরনের জন্য কৃষি জমিতে বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানীর বালি ভরাটের কারনে এ সঙ্কট দেখা দিয়েছ্। গৃহপালিত পশু পালনে কৃষকদের এখন ভরসা নেপিয়ার জাতের ঘাস। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে গোখাদ্যর সংকটের বিষয়টি কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। গোখাদ্য সংকটে অনেকই কম দামে পশুগুলোকে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার কাঞ্চন, ভোলাব,দাউদপুর, মুড়াপাড়া, মাঝিনা নদীর পাড়, দেইলপাড়া, নদ্দাসহ অর্ধ শতাধিক গ্রামে এখন নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে। বেসরকারি দুগ্ধ খামারিরা তাদের বাড়িতে খরচ কমানোর জন্য নেপিয়ার ঘাস চাষের দিকে ঝুকছে। আঁশযুক্ত,পুষ্টিকর, সুস্বাদু খাদ্য হিসেবে চাহিদা ব্যাপক। একবার কেটে নিলে ঘাস মরে যায়না বরং কাটা অংশ থেকে পুনরায় কুঁড়ি জন্মে আবার তা পূর্নাঙ্গ ঘাসে পরিণত হয়।
সরজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে গোখাদ্য সংকট এবং নেপিয়ার জাতের ঘাসে কৃষকের ভরসার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। বারৈ গ্রামের কদম আলী বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ, অন্যের জমি চাষ করি। বাড়তি আয়ের জন্যে গরু-ছাগল পালি। কৃষক টিপু হায়দার বলেন, গরুর খাদ্য সমস্যার জন্যে আমাদের গরু কম দামে বিক্রি করে দিছি। নেপিয়ার জাতীয় ঘাস দ্রুত বর্ধনশীল, ২০ থেকে ২৫ দিনের মধ্যেই কেটে নেয়া ঘাসগুলো বড় হয়ে যায়।
উপজেলা পশু পালন কর্মকর্তা ডা. সজল কুমার দাস গোখাদ্যের সংকটের কথা স্বীকার করে জানান, বর্তমানে পশু খাদ্যের আরেক নাম নেপিয়ার ঘাস। দ্রুত বর্ধনশীল, উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার চাষিরা দিনদিন নেপিয়ার জাতীয় ঘাস চাষে ঝুঁকছেন। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে গোখাদ্য সংকট নিরসনেও ভূমিকা রাখছেন। প্রতি মাসে খামারিদেরকে বিনামূল্যে নেপিয়ার ঘাসের বীজ কাটিং দেয়া হয়। নেপিয়ার ঘাস ১০/১২ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। চাষের পদ্ধতিও সহজ।


ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে ভালো কিছুই দেখছে না ইউক্রেনীয়রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শীর্ষ বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কী বলা হচ্ছে, তা জানার জন্য ইউক্রেনের খারকিভ শহরে মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকেন স্থানীয় বাসিন্দা পাভলো নেব্রোয়েভ।

খারকিভ থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে চলা রাশিয়ার হামলার ব্যাপারে আলোচনার জন্য ট্রাম্প ও পুতিন আলাস্কায় বৈঠকে বসেন।

তবে, বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো এই সময়ে ইউক্রেনের খারকিভে শক্তিশালী আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। অবশ্য বৈঠকের আগে থেকেই এই আয়োজনকে পুতিনের জন্য চূড়ান্ত বিজয় হিসেবে বিবেচনা করছিলেন অনেকে।

৩৮ বছর বয়সী থিয়েটার ম্যানেজার পাভলো বলেন, ‘আমি দেখলাম, প্রত্যাশা অনুযায়ীই (বৈঠকের) ফলাফল এসেছে। আমি মনে করি, এটা পুতিনের জন্য কূটনৈতিকভাবে বড় ধরনের বিজয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘তিনি (পুতিন) নিজের বৈধতা সম্পূর্ণরূপে আদায় করেছেন।’

২০২২ সালে হামলা চালানো শুরুর পর থেকে রুশ নেতাকে পশ্চিমা বিশ্বে এড়িয়ে চলার যে প্রবণতা ছিল, ট্রাম্প এবার পুতিনকে যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে সেটির অবসান হলো।

শীর্ষ বৈঠকে আমন্ত্রণ না পাওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটাকে পুতিনের একার বিজয় হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বৈঠকে ইউক্রেনকে না রাখায় নেব্রোয়েভ শুধু ক্ষুব্ধই হননি, বরং এই বৈঠককে সময়ের অপচয় মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এটা অর্থহীন একটি বৈঠক ছিল। ইউক্রেন সম্পর্কিত সমস্যাগুলো ইউক্রেনের সঙ্গে, ইউক্রেনীয়দের অংশগ্রহণে এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে সমাধান করা উচিত।’


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মতিথি ও শুভ জন্মাষ্টমীতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হিন্দু সম্প্রদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করেছেন। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূজা-অর্চনা, ধর্মালোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়।

এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানা গেটসংলগ্ন স্থানে পূজা ও প্রার্থনা সম্পন্ন হয়।

আলোচনা সভায় হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা’র অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নয়ন কুমার রাজবংশী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রসাশক এ্যাড. সুব্রত কুমার চক্রবর্তী, ঝিনাইদহ জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক এবং উপসচিব রথীন্দ্রনাথ রায় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহা. শাহীনুজ্জামান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে বরাবরই স্পেশাল। পবিত্র কুরআনেই বলা হয়েছে কেউ অন্য ধর্মের অবতারকে গালি দিবে না তাহলে তোমার ধর্মকে গালি দিবে না। মদিনা সনদেও রাসুলুল্লাহ (সা.) অন্যান্য ধর্ম পালনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে আপনাদের মধ্যে যেন কোনো সংকীর্ণতা না আসে। সমান মর্যাদা সহকারে আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করতে পারবেন এই নিশ্চয়তা আমি দিচ্ছি। সকল ধর্মের মূলমন্ত্র হলো মানবিকতা। আমি এখানে আসার পর ইসলামিক এন্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন নামে একটি নতুন ফ্যাকাল্টি চালু করেছি। এই ফ্যাকাল্টি চালু হলে হিন্দুধর্ম ও অন্যান্য ধর্মের গবেষণা চালু করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু ধর্ম মতে, যখন পৃথিবীতে অধর্মের চর্চা বেড়ে যায়, সাধারণ মানুষের জীবনযাপন যখন দূর্বিষহ হয়ে যায় তখন দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালনের জন্য শ্রী কৃষ্ণ অবতার হিসেবে আগমন করেন। কুরআন ব্যক্তিমানুষ এবং সমাজকে এড্রেস করেছে। উপমহাদেশের ভক্তিবাদের জন্য বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে সাজশ আছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্র ধর্মীয় পরিচয় ভুলে মানুষ পরিচয় নিয়ে তারা পাশাপাশি থাকবে এই চেতনা লালন করতে হবে। সনাতন ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত করলে মানববন্ধন না করে আমার কাছে আসলে আমি সমাধান করে দিবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি এথিজম চর্চা করে এবং কোনো ধর্মকে স্ট্রাইক করে তাহলে তাকে যুক্তি দিয়ে দমন করতে হবে কারণ বর্তমান পৃথিবী হলো যুক্তিতর্কের পৃথিবী। আধুনিক পৃথিবী শক্তির পৃথিবী না বরং যুক্তির পৃথিবী।”

উল্লেখ্য, ধর্মালোচনা অনুষ্ঠানে উপাচার্যের নিকট একটি স্থায়ী মন্দিরের দাবি জানান অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা।


স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই হামলার ঘটনা ঘটে: মহিউদ্দীন রনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তারিকুল ইসলাম তুহিন, বরিশাল ব্যুরো

স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলন থামছে না। বরং আন্দোলন আরও জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার (১৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় বরিশাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দীন রনি এই ঘোষণা দেন।

রনি অভিযোগ করে বলেন, আমরা ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু দুঃখজনক হলো, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শান্তিপূর্ণ অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ বারবার হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালকসহ প্রশাসন-সমর্থিত একটি চক্র জড়িত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরিশালে এসে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার পরই ন্যাক্কারজনক এই হামলার ঘটনা ঘটে।

তিনি আরও জানান, হামলার পর সংশ্লিষ্টরা উল্লাস করে খিচুড়ি পার্টি” এবং ১৫ আগস্ট উপলক্ষে কাঙালীর ভোজের আয়োজন করেছে যা দেখে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে।

রনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, এই আন্দোলন থামবে না। যতদিন না দালালচক্র ভেঙে প্রকৃত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, ততদিন আমরা রাজপথ ছাড়ব না। ছাত্র আন্দোলন বন্ধ হয়ে গেছে এমন অপপ্রচার চালানো হলেও বাস্তবে আন্দোলন চলছে এবং চলমান থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আগামীকাল (রোববার) সকাল ১১টায় বরিশাল সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হল টাউন হল চত্বর থেকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। এ কর্মসূচিতে বরিশালবাসীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২০ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সেবায় অব্যবস্থাপনা, সিন্ডিকেট ও দালালচক্র ভেঙে সাধারণ মানুষের জন্য দালালমুক্ত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শ্রমিক, অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। তবে আন্দোলনকারীরা প্রায়ই হামলা ও বাধার মুখে পড়ছেন।


পঞ্চগড়ে বিলুপ্তির পথে ছাতা মেরামতের কারিগররা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. মিজানুর রহমান পঞ্চগড় প্রতিনিধি

বৃষ্টি আর প্রচণ্ড রোদ হলেই প্রয়োজন হয় ছাতার। ঝমঝম আর টিপটিপ বৃষ্টি যেটাই বলেন, বৃষ্টিতে ছাতার কোনো জুড়ি নাই।

একসময় দেখা যেতো গ্রামে গ্রামে ফেরী করে ছাতা মেরামত করতে আসতো কারিগররা। আর মুহূর্তেই অস্থায়ী এই দোকানগুলোতে থাকতো উপচে পড়া ভিড়। এই পেশাতে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করত। কিন্ত সভ্যতার বিকাশের মাধ্যমে আজ আর চোখেই পরে না ছাতা মেরামত কারিগরদের। যেন পেশাটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে দেখা যায় পঞ্চগড় জগদল বাজার এলাকায় ছাতা মেরামত করছিলেন এনামুল। তিনি একটি দোকানের সামনে অস্থায়ী বসেছেন। হরেকরকমের ভাঙ্গা ছাতা মেরামত করছেন। আর কাজ বুঝে বেশ দামও নিচ্ছেন।

ছাতা মেরামত করতে আসা দুলাল বলেন, আমার বয়স ৪০বছর। ছোটবেলায় দেখতাম মোড়ে মোড়ে ছাতা মেরামতের মিস্ত্রি পাওয়া যেতো। কিন্ত এখন আর ছাতা মিস্ত্রিদের চোখেই পড়ে না। তাছাড়া, ছাতা মেরামত করতে যে টাকা লাগে, তার সাথে কিছু টাকা দিয়ে নতুন ছাতা কেনা যায়।

ছাতা মিস্ত্রি এনামুল বলেন, বর্ষা মৌসুমে আমাদের কাজের হিড়িক পরে যেতো। আর এক মৌসুমে কাজ করেই চলতাম সারাবছর। কিন্ত আজকাল মানুষের রুচি বিদেশীদের মতো হয়ে গেছে।

ছাতার কোনো অংশ নষ্ট বা ছিঁড়ে গেলে এখন আর মেরামত করতে চান না। আগে মানুষ এতটা সৌখিন ছিল না। একটা ছাতা দিয়ে যুগ পার করে ফেলত। আর এখন মানুষ একটা ছাতা বেশী দিন ব্যবহার করে না। একটু থেকে একটু সমস্যা হলেই নতুন ছাতা কিনে নেয়।

যেখানে আগে মোরে মোরে ছাতা মেরামত করার কারিগর পাওয়া যেত, সেখানে এখন ৪ থেকে ৫ টা বাজার বা এলাকা ঘুরলে একজন ছাতা মেরামত করার কারিগর পাওয়া যায়। দিন যত যাচ্ছে ততই বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে এই পেশা।


রাণীনগরে স্ত্রীর উপর অভিমান করে ট্রেনের নিচে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. সবুজ হোসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে বাবু প্রামানিক (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকালে রাজশাহী থেকে চিলাহাটিগামী তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত বাবু প্রামানিক নওগাঁ সদর উপজেলার শিমুলিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত শমসের প্রামানিকের ছেলে।

স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে বাবু প্রামানিক স্ত্রীর ওপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। গ্রাম থেকে কিছু দুরে রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন। তাই অভিমানে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যেতে পারে। পরে পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে মরদেহ বাড়ি নিয়ে আসে।

রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আব্দুল খালেক বলেন, তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজশাহী থেকে চিলাহাটি যাচ্ছিল। এসময় সকালে বাবু প্রামানিক রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেন দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

সান্তাহার রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজ বলেন, তিতুমির এক্সপ্রেস ট্রেনটি রানীনগর রেলওয়ে স্টেশনে উত্তরপাশে আসলে বাবু প্রামানিক নামে ওই ব্যক্তি অসাবধানতাবসত রেললাইন পার হচ্ছিলেন। ট্রেন আসলেও স্থানীয়রা তাকে অনেকবার ডাকলেও তিনি কোন কর্নপাত করেননি। এতে ট্রেনের ধাক্কায় রেললাইনে কাটা পড়ে মারা যান তিনি। মরদহে উদ্ধার করা হয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে নিহতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গেছে।


মাগুরায় জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য রেলী ও সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরায় শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শহরে বর্ণাঢ্য রেলি ও ধর্মীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আয়োজনে শনিবার দুপুরে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য রেলি বের হয়। র‍্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে সাতদোয়া লেংটা বাবার আশ্রম প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় সমাবেশে শেষ হয়।

অ্যাডভোকেট কুমুদ রঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং মেহের কান্তি বিশ্বাসের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মাগুরা জেলা প্রশাসক মো: অহিদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাগুরা পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা।

রেলি ও ধর্মীয় সমাবেশে হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করে।


banner close