অসহায় ও দরিদ্র মহিলাকে বসত ঘর নির্মাণ করে দেয়ার মধ্য দিয়ে ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করলেন ব্যারিস্টার সুমন এমপি। নিজ এলাকায় এক অসহায় মহিলার জরাজীর্ণ বসত ঘরের ভিডিও ফেসবুকে দেখেন। এরপর এমপি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজের দায়িত্ববোধ ও মানবিক কারণে ছুটে যার অসহায় মহিলার বাড়িতে।
জানা যায়, ঈদের দিন বৃহস্পতিবার স্থানীয় ঈদগাহে ঈদ নামাজ পড়ে নিজ বাসায় এলাকাবাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে রেস্ট করছিলেন। এসময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও দেখে একজন অসহায় মহিলার। তা দেখে তাৎক্ষনিক সেই মহিলার বাড়িতে চুনারুঘাট উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামে ছুটে যান এবং ব্যারিস্টার সুমন সংশ্লিষ্টদের ওই মহিলার বসত ঘর নির্মাণ করতে নির্দেশ দেন।
স্বামীহারা ওই মহিলা দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করে আসছেন। বর্ষাকালে ঘরে পতিত বৃষ্টির পানি সেঁচ দিতে দিতে ক্লান্ত তিনি। অসহায় মহিলার এমন দুর্দশা লাঘব করতে গিয়ে ব্যারিস্টার সুমন এমপি বলেন, মানুষকে কষ্টে রেখে আমি কোনোভাবেই ঈদ করতে পারি না। মানুষের আর্তনাদ কমানো আমার রাজনীতির ধর্ম। তাই আমি ওই নিঃস্ব মহিলার বসত ঘর করে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ১৮ নভেম্বর (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব মিল্টন রায়, সিনিয়র সহকারী সচিব ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-সোনারগাঁও আওতাধীন ইছাপাড়া ও সোনারগাঁও থানা সংলগ্ন এলাকা, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, অবৈধ ১টি চুনা কারখানা, ১টি ঢালাই কারখানা ও ১টি খানাঢুলি কারখানা এবং ১টি আবাসিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের এমএস পাইপ -৩৫ফুট, ৩টি বার্নার, ১টি ডিজেল ইঞ্জিনসহ জেনারেটর (১০কি.ও.) ও ২টি পাথর ওজন করার যন্ত্র অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে চুন কারখানার মালিককে ৫০,০০০/- জরিমানা করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্পটের অবৈধ বিতরণ লাইন উৎস পয়েন্টে কিলিং/ক্যাপিং করা হয়েছে। চুন এবং ঢালাই কারখানাগুলোর স্থাপনা এক্সক্যাভেটর মেশিনের সাহায্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে এবং পানি স্প্রে করে চুন বিনষ্ট করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব মো: তারিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ- এনায়েতনগর-কাশীপুর আওতাধীন মর্ডাণ হাউজিং, পঞ্চবটি, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মডার্ণ হাউজিং এলাকায় অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনায় গ্যাস ব্যবহারের কারণে ০৩টি আবাসিক গ্রাহকের গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে এবং অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ১৬টি আবাসিক সংযোগের প্রায় ৩০০ টি ডাবল চুলা সংযোগ বিচ্ছিন্নপূর্বক কিলিং করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে ৩/৪" ব্যাস প্রায় ৩৫০ ফুট বিতরণ পাইপ জব্দ করা হয়েছে। অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ২,২০,০০০/- জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -৬, মিরপুর বিক্রয় শাখা আওতাধীন এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ন্যাশনাল ওয়াশিং প্লান্ট, ঠিকানা: ২৩/৮/১, শাহ আলিবাগ, মিরপুর-১, ঢাকা -নামক প্রতিষ্ঠানে গ্যাসবিহীন পরিত্যক্ত একটি সার্ভিস লাইনের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের আলামতের প্রেক্ষিতে ড্রেনের আরসিসি ব্লক অপসারণ করে অবৈধ সার্ভিস লাইন গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আরসিসি ঢালাই ও বিটুমিনাস রড ভেঙে মাটি খনন করে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতঃ সোর্স লাইন হতে সার্ভিস লাইন কিল করা হয়েছে। এ সময় ৭৫ ফুট এমএস পাইপ ও ০১টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ -চন্দ্রা আওতাধীন সফিপুর পূর্ব পাড়া, এবং মন্ডলপাড়া, চন্দ্রা, গাজীপুর এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মো আহসান, সফিকুল সোহাগ, নাজমুল হোসেন মৃধা, মো কবির, মো আকবর, মো রমজান আলী ও মো: শামিম নামক অবৈধ আবাসিক গ্যাস ব্যবহারকারীর মোট ৯৪টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ০৪টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।
এছাড়াও, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর রাজস্ব উপশাখা টাঙ্গাইল ও বিক্রয় শাখার যৌথ উদ্যোগে অনুমোদন অতিরিক্ত চুলার কারনে বিচ্ছিন্ন ০৯টি ও অতিরিক্ত চুলার সংখ্যা ১৭টি ডাবল ও ০৩ সিঙ্গেল আবাসিক সংযোগ হতে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহারের কারণে ০১(এক) টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
অধিকন্তু, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ- আশুলিয়া আওতাধীন ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা এলাকায় অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ বিহীন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ইউসুফ মার্কেট এলাকায় ৫ টি গলিতে প্রায় ২৫ টি বাড়িতে আনুমানিক ২০০ টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৩০০ ফুট এমএস পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ২,১৬,৪০০/- টাকার গ্যাস চুরি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য যে, উক্ত এলাকায় ইতিপূর্বেও ( গত সপ্তাহে) অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় হাউজলাইল অপসারণ করে সোর্স কিল করা হয়েছিল। এ ছাড়াও জামগড়া, আশুলিয়াতে মিজান সি এন জি তে বকেয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার সময় টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর, ২০২৪ হতে গত ১৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ৪১৯টি শিল্প, ৫৪৪টি বাণিজ্যিক ও ৭৫,৩৪৮টি আবাসিকসহ মোট ৭৬,৩১১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ১,৬৩,৬৭৫টি বার্নার বিচ্ছিন্ন সহ উক্ত অভিযানসমূহে ৩১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাজারে গোলাপজল ও কেওড়া জল নামক সুগন্ধির প্যাকেটের লেবেলে ‘খাবার উপযোগী’, ‘ফুড গ্রেড’, ‘খাদ্য আইন অনুসরণ করে প্রস্তুতকৃত’, ভেজিটেরিয়ান খাদ্য মর্মে ‘সবুজ চিহ্ন’ ইত্যাদি অভিব্যক্তি ব্যবহার করে উক্ত সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী মর্মে প্রচার করা হচ্ছে। এরূপ পণ্যের লেবেলে উক্ত সুগন্ধির উপাদান হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও গোলাপ/কেওড়া ফ্লেভার বা শুধু ফ্লেভার (Flavour) মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে উক্ত সুগন্ধি কীসের তৈরি তা নির্ণয় করা যাচ্ছে না এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। খাদ্যে অননুমোদিতভাবে কোন খাদ্য সংযোজন দ্রব্য ব্যবহার অথবা যথাযথভাবে লেবেলিং না করা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এর ২৭ ও ৩২ ধারা অনুযায়ী অপরাধ। সম্প্রতি গোলাপজল ও কেওড়া জল উৎপাদনকারী কয়েকটি কারখানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায় অননুমোদিত রাসায়নিক (এমনকি কিডনি ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক) ব্যবহার করে এরূপ সুগন্ধি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় খাদ্যে ব্যবহার উপযোগী হিসেবে ঘোষিত যে সকল সুগন্ধির লেবেলে মোড়কাবদ্ধ খাদ্য লেবেলিং প্রবিধানমালা, ২০১৭ অনুযায়ী ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক’, ‘অনুমোদিত কৃত্রিম’ অথবা ‘অনুমোদিত প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম’ সুগন্ধি অভিব্যক্তি ব্যবহার করা হয়নি এবং কৃত্রিম সুগন্ধির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সুগন্ধি দ্রব্যের সাধারণ নাম ও, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ইনডেক্স (আইএনএস) নম্বর উল্লেখ করা হয়নি এ রূপ সুগন্ধি দ্রব্যের উৎপাদন ও বিপণন থেকে বিরত থাকার এবং বাজার থেকে প্রত্যাহারের জন্য সকল খাদ্য ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সকল খাদ্য প্রস্তুতকারী/সরবরাহকারীদের (যেমন- রেস্টুরেন্ট, বেকারি, কমিউনিটি সেন্টার, ক্যাটারিং সার্ভিস ইত্যাদি) উপরের বিবরণ অনুযায়ী অভিব্যক্তি উল্লেখ করা হয়নি এ রূপ কোন সুগন্ধি খাদ্যে ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো।
সর্বসাধারণকে এ ধরনের যথাযথ লেবেলিং ব্যতীত সুগন্ধি দ্রব্য খাদ্যে ব্যবহার বা ক্রয় থেকে বিরত থাকার জন্য পরামর্শ দেয়া হলো।
তেতুলিয়া সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে বাংলাবান্দা এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সহযোগীতায় এ ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে উদ্ধার করে। পরে অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা সকলে বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে আমদানি, রপ্তানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক চালক।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বগুড়া জেলার মানিকচর মিন্টু মিয়া ছেলে হাসান আলী(২০), বগুড়া জেলার থানা বগুড়া ডাকঘর নামুজা পলাশ ছেলে মো. রাজিব (২৮), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার হরিপুরের মানিকের ছেলে হানিফ (২০), বগুড়া জেলা শিবগঞ্জ থানার সাং চাদিনা দক্ষিণ পাড়া মালেক ছেলে সোহেল (৩৫) বাংলাবান্দা স্থলবন্দর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিকটিম তরুণী বর্তমান তেতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
জানা যায়, তেতুলিয়া উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী (১৯)রাতে পাগলিডাঙ্গি বাজার থেকে ধরে নিয়ে যান। এরপর বাংলাবান্দা স্থলবন্দর এলাকা নিয়ে আসেন ৪ জন। ওই তরুণীকে একটি দোকানের পাশে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর ওই চার যুবক ওই তরুণীকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর সকালে অভিযুক্ত চার যুবককে আটক করা হয়।
তেতুলিয়া থানার ওসি মুসা মিয়া জানান, ওই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে আসামি বাংলাবান্দা স্থলবন্দরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় জড়িত চার জনকে আটক করা হয়েছে। মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
‘গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন’ এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ‘গ্রিন ভয়েস’ একটি মানববন্ধন করে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, গ্রিন ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কাণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশবিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবি জানান।
কর্মসূচিতে গ্রিন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।
নাশকতার উদ্দেশে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের ওয়াশপিটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে। তবে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই দ্রুততার সাথে তা নিয়ন্ত্রণে আনেন রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
এ ঘটনার পর দুর্বৃত্তদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে য়ায়। রেলওয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের ধারণা, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আগুন পার্শ্ববর্তী কোচ, ট্রেনের ইঞ্জিন এবং স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের অন্যান্য অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ত।
আগুন নেভানোর পর দেখা যায়, একটি বগির কয়েকটি সিটের বেশকিছু অংশ পুড়ে গেছে এবং অন্যান্য আরও কয়েকটি সিটে গান পাউডার জাতীয় দ্রব্য ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। এগুলোতে পেট্রলজাতীয় তরল পদার্থ ঢালা হয়েছিল, যেন দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) তাৎক্ষণিক সাহসি ভূমিকার কারণে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
এ ঘটনার পর ময়মনসিংহ জংশন রেলস্টেশনের ট্রেন চলাচল এবং সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলে জানান স্টেশন সুপার আব্দুল্লাহ আল হারুন।
আগুনের বিষয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম জানান, স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের বাইরের অংশে জারিয়া লোকাল ট্রেনের কোচগুলো ধোয়া-মোছা করার জন্য ওয়াশপিটে দাঁড় করানো ছিল। সেখানে এমনিতেই রাতে অনেক অন্ধকার থাকে। এই সুযোগে নাশকতার উদ্দেশে ভোররাতে একদল দুর্বৃত্ত অপকৌশলে গানপাউডার এবং পেট্রল দিয়ে ট্রেনে আগুন দেয়।
আগুন জ্বলতে শুরু করলে আরএনবির তিন সদস্য দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা এক দুর্বৃত্তকে ধাওয়া দেয়। তবে অন্ধকার থাকায় দৌড়ে তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। পরে আরএনবি সদস্যরা দ্রুত পানি ছিটিয়ে আগুন নেভায়। যার ফলে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রেলওয়ের জানমাল রক্ষা পায়। এ ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে রাউজানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ হলে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। রাউজান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবিরের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সীকু কুমার বড়ুয়া, মিল্টন দাশ, মো. জিয়া উদ্দীন মামুন, অসিম বিকাশ সেন, বলরাম দে, আহমদ শাহ, মোজাম্মেল হক, জুয়েল দাশ প্রমুখ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৬৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে দেওয়া হয়েছে গম ৪ শত কেজি, সরিষা ৩ শত ৩০ কেজি, চিনা বাদাম ৫ শত কেজি, সূর্যমুখী হাইব্রীট শস্য ১০ কেজি, মুগ ডাল ৪ শত কেজি, ফেলন ৭ শত কেজি, অড়হর ২০ কেজি। এছাড়াও ডিএসপি সার ৭৫ বস্তা, এমওপি সার ৬০ বস্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য প্রণোদনা প্রদান একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা যেহেতু কৃষি নির্ভরশীল দেশ। সেহেতু কৃষকের অধিক ফলন বৃদ্ধি করতে হবে। সার, বীজ ও কৃষি কাজের আধুনিক সরঞ্জাম বিতরণ করে সরকার কৃষকদের উৎসাহিত করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবির বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের সহায়ক শক্তি। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে শস্য ফলাতে পারলে একদিকে কৃষক উপকৃত হবে অন্যদিকে দেশ হবে কৃষিবান্ধব।
গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৪ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩ এস এর সামনে টেইপুর এলাকায় এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
তারা হলেন শরিফুল ইসলাম (৪৭), নিলিমা বেগম (৪১), আব্দুর রহিম (১৪), আদুরী খাতুন (৮), আশিক বিশ্বাস (১৬), রাতুল হোসেন (২১), কুলছুম খাতুন (১৮), উজ্জ্বল হোসেন (২), রেজাউল (৪০), জনি আহম্মেদ (১৮), রকিব হোসেন (২১), জিহাদ (২০), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৪), হাসান আলী (২৬), জিন্নাত আলী (৩৪), জাফর চাপরাশি (৩৯), রাছেল হাওলাদার (২৭), আকতার হোসেন (৩২), রাজু (৩১), সিমা বেগম (৩১), শান্তা আক্তার (২৭), কাজী জসিম উদ্দিন (৪৭), লিলি খাতুন (৪৩) ও আছিয়া আক্তার (৮)।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের টেইপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায়, এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয়।
কাথুলী বিজিবির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার কামরুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, হস্তান্তর হওয়া ২৪ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অন্ধকার হলেই ফসলি জমিতে নেমে আসে বনের একঝাঁক বুনো শূকর । নষ্ট করে ফেলে কৃষি জমির ধান ও সবজির খেত। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক মাস ধরে প্রায় চার-পাঁচটি এলাকায় চলছে এই তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শূকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ‘বন্যপ্রাণীর দল রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে পাকা ধান বা সবজির ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এতে তাদের বছরের পরিশ্রম মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়। এই ক্ষতি এড়াতে, অনেক কৃষক দলবদ্ধভাবে বাঁশ, টিনের শব্দ এবং লাঠিসোঁটা হাতে সারারাত জমিতে পাহারা দিচ্ছেন।’
কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনের বুনো শূকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শূকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।
এদিকে শূকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারাদিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শূকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না। শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শূকর চলে যায়। কৃষক মফিজ মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শূকর তাড়ানোর জন্য।
মফিজ মিয়া বলেন, ‘শূকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৬ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শূকর আক্রমণ করতে না পারে।’
মফিজ মিয়ার মতো এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক কনাই মিয়া, আবুল মিয়া ও আশিক মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শূকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
এদিকে তীব্র শীতের রাতে ফসল পাহারা দেওয়া রাতজাগা মাধবপুর এলাকার এই কৃষকের নাম সুফি মিয়া। বন্যশূকরের ক্ষতির হাত থেকে ফলসকে রক্ষা করতেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ধানের সাথেই শীতের রাত্রীযাপন কৃষক সুফি মিয়া। তিনি থাকেন কমলগঞ্জ উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায়। সম্রতি কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে।
সুফি জানান, ‘বনোরতা’ আমার সব ফসল নষ্ট করে দেয়। তাই নিজেই ধানগুলো রক্ষার জন্য পাহারা দেই। একটি-দুটি নয়, একসাথে ১০ থেকে ১৫টির দল নামে। দেখে ভয় লাগে তখন। টর্চ মেরে জোরে জোরে শব্দ করলে তারা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা/৮টার দিকে তারা নামে। আবার আসে মাঝরাতে। পুরো রাত জেগে ধান পাহারা না দিলে জমির সব ধান নষ্ট করে দিতে চায় তারা।’
পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সহসভাপতি অজানা আহমেদ কামরান বলেন, ‘বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।’
এ নিয়ে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, ‘বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দুঃখজনক। তবে বন্যপ্রাণী হত্যা একটা দণ্ডনীয় অপরাদ। কেউ যেন প্রাণী মারার জন্য মরণ ফাঁদ ব্যবহার না করে। যদি সেটা করে তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক শাখার জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দ্রুত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে কোন দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের জানালা দিয়ে পেট্রোল ফেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
মহম্মদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের সেকেন্ড ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালার লক ভেঙে ভেতর দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। কিছু কাগজপত্র চেয়ার টেবিল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন” এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস একটি মানববন্ধন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশ বিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবী জানান।
কর্মসূচিতে গ্রীন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।
সাভারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের তুরাগ এলাকায় ‘ভাকুর্তা ভাঙ্গা ব্রিজ’ সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাজ করছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঢালিপাড়া ধর্মগঞ্জ এলাকায় পলিথিনের দানা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পলির দানা, দুইটি মেশিন ও ওয়েস্ট পলি পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহত বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে। দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।