শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

শসার মণ ৮০ টাকা, খেতেই ফেলে দিচ্ছেন কৃষক

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২০ এপ্রিল, ২০২৪ ২০:০০

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দামে। শসার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন আবার অনেক কৃষকই লোকসানের ভয়ে খেতের শসা খেতেই রেখে দিচ্ছেন।

শনিবার দুপুরে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, খেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকরা। কেউ পাইকারি দামে প্রতি কেজি শসা দুই টাকা আড়াই টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে খেতেই ফেলে দিচ্ছেন, কেউবা খেত থেকে শসা তুলছেনই না।

উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের শসাচাষি আমিনুল হক শাহীন বলেন, ‘এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম দিকে ৮০-৯০ টাকা মণ বিক্রি করলেও এখন খেতেই যাই না। বর্তমানে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে শসা উত্তোলন করে কোনো লাভ নেই। খেতের মধ্যেই শসা লাউয়ের মতো বড় হচ্ছে, পচতেছে।’

মোবারকপুর গ্রামের চাষি আলী বলেন, ‘৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছি। ফলন দেখে খুশি হয়েছিলাম কিন্তু বর্তমানে শসা তুলে বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। পরে ২ টাকা দরে এক পরিচিত পাইকারের কাছে ৯০-১০০ মণ বিক্রি করেছি। বাজারদরে হতাশ হয়ে পড়েছি। লাভ তো দূরের কথা খরচ তোলাই দায় হয়ে পড়েছে।’

ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে শসা ১০০ টাকা মণ কিনে সিলেটে বিক্রি করি ২০০ টাকা মণ। বর্তমানে এক ট্রাক শসা পাঠাতে মণপ্রতি আড়তদারকে দিতে হয় ২০ টাকা, লেবার খরচ হয় ১৫ টাকা, বস্তা ক্রয় করতে হয় ২০ টাকায় এবং পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ করে সিলেটে শসা পাঠালে এখন আর আমাদের লাভ হয় না, লোকসান গুণতে হচ্ছে।’

ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, ‘এখন শসার ব্যবসা করে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। আমাদের ২-৩ লাখ করে লস হচ্ছে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে গৌরীপুরে কৃষকরা অধিক পরিমাণে শসা উৎপাদন করেছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানিও বেশি। তাই দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। এতে দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হচ্ছে।


নওগাঁয় শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর বদলগাছীতে শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২টায় উপজেলার লাবণ্য প্রভা পাইলট ও কমিউনিটি গার্লস হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এই শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বদলগাছী উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং বিএনপির মনোনীত নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনে এমপি পদপ্রার্থী ফজলে হুদা বাবুল। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হারুন অর রশীদ।

বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বদলগাছী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী চৌধুরী টিপু, নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক আবুল হাসনাত চৌধুরী, বদলগাছী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাসুদ রানা, সহসভাপতি শাম্মী আকতার, মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, উপদেষ্টা ও ফতেজঙ্গেপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার আবুল গাফফার, বেসরকারি কলেজ ও শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত প্রায় দুই হাজার শিক্ষক ও শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তব্যে শিক্ষকরা বলেন, বরাবরই আমরা শিক্ষকরা অবহেলিত। আমরা শিক্ষক সমাজে আর অবহেলিত থাকতে চাই না। আমরা জানি আপনি একজন শিক্ষিত ও সুযোগ্য ব্যক্তি এবং টকশো লিডার। আপনি চান না আমাদের শিক্ষক সমাবেশ অবহেলায় থাকুক। আপনি সর্বদা চান শিক্ষক সমাবেশ যথাযথ মর্যাদা পেয়ে থাকুক। তাই আপনি যেহেতু শিক্ষকদের নিয়ে ভাবেন, তাহলে আমাদেরও আপনাকে নিয়ে ভাবতে সমস্যা নেই। এই জন্য শিক্ষক সমাজের অধিকার ফিরিয়ে নিতে ভেদাভেদ ভুলে ফজলে হুদা বাবুলকে আমরা নির্বাচিত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা। পরিশেষে প্রধান অতিথির কাছে মাদকমুক্ত ও মডেল উপজেলা হিসেবে এই বদলগাছী যেন গড়ে উঠে সেই দাবি জানান উপস্থিত সকল শিক্ষকরা।

এছাড়া উপস্থিত শিক্ষকরা বিভিন্ন প্রশ্ন করেন প্রধান অতিথির কাছে।

এর আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এবং অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। পাশাপাশি তারেক রহমানের জন্যও চাওয়া হয় দোয়া।


ওস্তাদ হাসান আলী খান স্মরণে নবীনগরে আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক ওস্তাদ হাসান আলী খানের স্মরণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় নবীনগর মহিলা ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠান হয়।

ওস্তাদের ছেলে খুরশিদ হাসান খানের সভাপতিত্বে এবং আব্বাস উদ্দিন হেলাল ও রিপা আক্তারের সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নজরুল সংগীতশিল্পী খাইরুল আলম শাকিল। মুখ্য আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সুরকার ও সংগীত পরিচালক শেখ সাদী খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নজরুল সংগীতশিল্পী মাসুদা আনাম কল্পনা, লোকসংগীতশিল্পী আব্দুল আলীমের সন্তান আজগর আলীম, চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা ইকবাল আহমেদ, নবীনগর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অঞ্জন কুমার নাগ, উপাধ্যক্ষ গোলাম মাওলা খান দিপু ও করিম হাসান খান।

আলোচনায় শেখ সাদী খান বলেন, ‘সঙ্গীত হলো এক ধরনের জাদু। ভালোবেসে করলে সংগীত মানুষকে মোহিত করতে পারে।’

খাইরুল আলম শাকিল বলেন, ‘যে জাতি সংস্কৃতিতে অগ্রসর হয় না, সে জাতি মানবিকতাও হারায়।’

অনুষ্ঠানে দুজন একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য শিল্পীর উপস্থিতি এবং আব্দুল আলীমের সন্তান আজগর আলীমের অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ মাত্রা যোগ করে।

বুলবুল ললিতকলা একাডেমির লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী এই সংগীতজ্ঞ ১৯৪৪ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে নিজের সংগীতজীবন শুরু করেন।

সমসাময়িক শিল্পীদের মধ্যে তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম- একাধারে লোকসংগীত, উচ্চাঙ্গসংগীত, আধুনিক গান ও নজরুলসংগীত পরিবেশন করতেন সমান দক্ষতায়।

তিনি তালিম নিয়েছিলেন পণ্ডিত মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ওস্তাদ ছোটে খাঁ এবং ওস্তাদ আয়েত আলী খানের কাছে। তার গুণী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আছেন- ড. সনজিদা খাতুন, ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, নীনা হামিদ, মুজিব পরদেশি প্রমুখ। ১৯৯৩ সালের ১২ জানুয়ারি এই কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী মৃত্যুবরণ করেন।


সবজির চারা উৎপাদন করে মাসে আয় ৭০ হাজার টাকা

৩০ শতক জমিতে শুরু করে বুড়িচংয়ের কৃষক কামাল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. তরিকুল ইসলাম তরুন, কুমিল্লা

বৃহত্তর কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা উত্তরপাড়ার রমজান আলীর ছেলে মো. কামাল অভাব-অনটনের কারণে বেশি দূর পড়াশোনা করতে পারেননি। তবে ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম ও সাহসকে পুঁজি করে তিনি আজ বৃহত্তর কুমিল্লার সবচেয়ে বড় সবজির চারা উৎপাদনকারী হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে প্রতি মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করে তিনি গ্রামবাসীকে চমকে দিয়েছেন।

ভারেল্লা গ্রামের এই কামাল প্রথমে মাত্র ৩০ শতক জমিতে চারা উৎপাদন শুরু করেন। প্রথম বছরেই খরচের দ্বিগুণ লাভ পেয়ে অনুপ্রাণিত হয়ে জমির পরিমাণ বাড়িয়ে ৬০ শতক করেন। জমিটি নিজের না হলেও বংশের তাজু মিয়ার কাছ থেকে বছরে ১ লাখ টাকা ভাড়ায় নিয়ে তিনি ২০২০ সালে বড় আকারে চারা উৎপাদন শুরু করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুশৃঙ্খল সারিতে সাজানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজির চারা, পরিচর্যার আধুনিক ব্যবস্থা এবং শ্রমঘন সমন্বিত কাজের এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ।

কামাল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠিত হতে হলে মেধা, শ্রম আর অর্থ- এই তিনটাই দরকার। করোনাকালে ৬০ শতক জমি ভাড়া নিয়ে পাঁচ লাখ টাকা মূলধনে চারা উৎপাদন শুরু করি। চার ধাপে চারা উৎপাদন করে বছরে দ্বিগুণ লাভ করেছি। বৃহত্তর কুমিল্লায় এত বড় চারা উৎপাদন কেন্দ্র আর নেই।’

তার উৎপাদিত চারার মধ্যে রয়েছে; লম্বা বেগুন, তাল বেগুন, টমেটো, বাহুবলী টমোটো, ফুলকপি, ফেস কপি, সাতাত্তর কপি, চুন হোয়াইট কপি, হোয়াইট এক্সেল কপি, ১,৭০১ মরিচ, জুমকা মরিচ, কালো মরিচসহ আরও বহু প্রজাতির সবজির চারা। শ্রাবণ মাসে বীজ রোপণ করে বছরজুড়ে চার ধাপে চারা উৎপাদন ও সরবরাহ করেন তিনি। কামালের উৎপাদিত চারা শুধু কুমিল্লা জেলাতেই নয়, বরং চট্টগ্রাম, সিলেট, খাগড়াছড়ি ও কুমিল্লা শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল চাহিদা পাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন আক্তার বলেন, ‘চারা উৎপাদন কৃষি খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সরকারি বরাদ্দ পেলে আমরা অবশ্যই কামালের চারা উৎপাদন কেন্দ্রসহ সমেশপুরের অন্যান্য কেন্দ্রগুলোকে সহায়তা করব। জেলা পর্যায়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।’


টঙ্গীতে পলিথিন মোড়ানো মানুষের খণ্ডিত পা উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে মানুষের খন্ডিত পা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে টঙ্গী রেলওয়ে ব্রিজসংলগ্ন এলাকা থেকে পরিত্যক্ত কার্টুনে পলিথিন মোড়ানো অবস্থায় খন্ডিত পা টি উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, তুরাগ নদের পাড়ে রেলওয়ে ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় পরিত্যক্ত একটি কার্টুনের ভিতর পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি মানব দেহের খন্ডিত অংশ (পা) দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খন্ডিত পা টি উদ্ধার করে টঙ্গী রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশকে বুঝিয়ে দেয়।

টঙ্গী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায়, খন্ডিত পা টি কিভাবে এই এলাকায় আসলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে খন্ডিত পা টি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে হবে। এঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।


গ্রামবাংলার নারীদের নতুন স্বপ্নের ঘর ‘সজ্জাঘর’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি

বাংলাদেশের গ্রামে নারীরা গ্রামীণ কার্যক্রমের সাথে সংযুক্ত থাকত। সময়ের পরিক্রমা ও কাজের ধরনের পরিবর্তনে ভিন্নতা লক্ষ্যণীয়। কারণ তাদের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সহযোগিতার অভাবে বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। সমাজে দেখা যেত গ্রাম বাংলার নারীরা বিকেলে অলস সময় কাটাচ্ছেন অথচ হাতের কাজের প্রতি আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও পরিবেশ বা সুযোগের অভাবে সেই দক্ষতা কাজে লাগাতে পারছেন না। আজ সেই ছবি বদলেছে যুক্ত হয়ে নতুন মাত্রা এবং এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। নারীদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অসামান্য অবদান রাখছে ‘সজ্জাঘর’। এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রভাষক সাব্বির আহমেদের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘সজ্জাঘর’ এখন গ্রামীণ নারীদের জন্য নতুন আশার আলো।

বাংলার গ্রামীণ নারীরা দক্ষ তবে তাদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে তাদের জীবনমান উন্নয়ন, পরিবার ও সমাজে তারা অনবদ্য অবদান রাখতে পারবে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত পিআরএ মিটিংয়ে নারীদের সমস্যাগুলো উঠে আসে। অধিকাংশ নারীর প্রধান সমস্যার মধ্যে ছিল কর্মসংস্থানের অভাব। অনেকেই কাজ শিখতে আগ্রহী হলেও সুযোগ নেই। সেই চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে সাব্বির আহমেদ নারীদের জন্য এই সজ্জাঘর চালু করেন।

‘সজ্জাঘর’ এর মাধ্যমে নারীরা নিয়মিত কুশিকাটা, ম্যাক্রিম, সেলাইসহ বিভিন্ন হাতে কাজ শিখছেন। তবে শেখার পাশাপাশি কাজের মাধ্যমে তারা উপার্জনও করছেন। বর্তমানে একজন প্রশিক্ষকের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০ জন নারী কর্মরত আছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীরা আনন্দের সাথে তাদের নিজস্ব প্রতিভা স্বতঃস্ফূর্তভাবে তুলে ধরতে পারছে।

এক কর্মরত নারী বললেন, ‘আগে বিকেল মানেই সময়ের অপচয়, এখন আমরা প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি। উপার্জন কম হলেও আমরা আশা দেখছি, এবং আমাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যও ফিরছে। ভালোবেসে এবং আনন্দের সাথে কাজগুলো উপভোগ করছি।

সাব্বির আহমেদ জানান, ‘নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর আহমেদ আখতারুজ্জামান স্যারের অনুপ্রেরণায় এই কাজের সূত্রপাত। পিআরএ মিটিংয়ে একশো জনের মধ্যে ৩০ জন নারীর একই সমস্যা ছিল কর্মসংস্থান। তাদের জন্য কাজ করার অভিপ্রায় থেকেই এই যাত্রা শুরু। ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম নারীদের জন্য কিছু করার, এখন সে সুযোগ এসেছে।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘জানিনা কতদূর সফল হবে এই উদ্যোগ, কিন্তু চেষ্টা করে যেতে কোনো সমস্যা নেই। সকলের সহযোগিতায় একদিন এটি আশার আলো দেখাবে।’

সাজানো, শিখানো এবং উপার্জন—এই তিনটি অঙ্গনে এই সজ্জাঘর এখন শোভা ছড়াচ্ছে সেই অঞ্চলজুড়ে।


নীলফামারীতেই হবে চীনের উপহারের হাসপাতাল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চীনের উপহারের হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে।

এবিষয়ে তিনি বলেন, নীলফামারীতে চীনের উপহার হিসেবে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সংস্কার করার চেষ্টা করছি। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে বলে আশা করছি।

সভায় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা এখন অনেক বেতন পান, কিন্তু তারা সেইভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন না। আমার পরিবার একটি স্কুল চালায়। সেই স্কুলটি সরকারি হয়েছে, কিন্তু সেখানে শিক্ষার মানের কোনও উন্নয়ন হয়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিকের দিক থেকে রংপুর অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে সরকার উদ্যোগ নেবে। দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে।

মত বিনিময় সভায় রংপুর জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি প্রাণিসম্পদসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।


গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ

গ্রেপ্তার ১
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


তেলের দাম নিয়ে বাজারে হইচই, পেঁয়াজে আবার অস্থিরতা

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক 

তিনদিন ধরে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চলছে হইচই। সরকারের অনুমতি ছাড়াই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশি পেঁয়াজের দামে। দুই-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পেঁয়াজের দাম চড়েছে। এদিকে শীত এলেও কমেনি দাম, বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, ফার্মগেটসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। এই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে চড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এখন এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে অন্তত ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেই পেঁয়াজের দাম ছিল বাজার ও মানভেদে ১১০-১২০ টাকার মধ্যে। সেটা এখন কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাস আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত বছরের এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা, যা এবারে ছাড়িয়ে গেল।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের মামা-ভাগিনা মুদি দোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ জানান, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। দেশি পেঁয়াজ যেটা আসছে সেটার মানও খুব বেশি ভালো না। কারণ সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। ফলে পাইকারি পর্যায়ে গত দু-তিন দিন ধরেই দাম বাড়ছে। এই দাম নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত কমবে না।

জানা গেছে, পেঁয়াজের দামের এই সাময়িক উলম্ফন ঠেকানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় তার বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি ছিল নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই নতুন উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণের প্রায় মাসখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজ নেই। এ কারণে বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

এদিকে, স্বাভাবিকভাবে শীতের মৌসুমে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে এবার শীতেও যেন সবজির বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন বাড়তি যাচ্ছে। মূলা আর পেঁপে ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে রয়েছে। এমনকি কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধা কপিও (মাঝারি) প্রতি পিস ৪০ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আলতাফ হোসেন সবজির দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শীত মৌসুম আসলে সব ধরনের সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখছি উল্টোটা, শীত এসেছে ঠিকই কিন্তু সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। এমন বাড়তি দাম আগে কখনো দেখিনি। তবুও বাধ্য হয়ে বাসায় খাবার জন্য সবজি কিনতে হচ্ছে, তবে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম, এখন সেটা আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে।’

সবজি দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে আমাদের কেনা দাম বেশি পড়ছে, ফলে বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’

তবে কাওরানবাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম দাম বাড়ার পেছনে অন্য একটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ক্ষেতে থাকা সবজির গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। এতে সবজির ফলন ঘাটতি হয়েছে এবং ক্ষেতের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফলন ঘাটতির প্রভাব এখন বাজারে পড়েছে, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। এ ছাড়া কাওরানবাজারে সবজি বোঝাই ট্রাক আসার পর তা কয়েক হাত বদল হয়, যার ফলেও সবজির দাম বেড়ে যায় এবং সেই প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ে।

বাড্ডার সবজি বিক্রেতা শফিকুল জানান, গত এক সপ্তাহে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এই সরবরাহের কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে।

তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল। গত তিন-চার দিন ধরেই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। যদিও শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ডিমের দাম আবারও খানিকটা বেড়েছে। পাইকারিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন আবারও ১৩০ টাকায় উঠবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে। তবে দুদিন ধরেই সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছেন ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলের দাম ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত বুধবার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয়। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


পরিচর্যা পেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে : আনসার মহাপরিচালক

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দীন এভিনিউয়ের ‘প্যালেট গ্যালারী’-তে ঢাকা সেনানিবাসস্থ প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এ নবীন শিল্পীর সৃজনশীল প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

প্রদর্শনীতে স্থান পায় বৈচিত্র্যময় শিল্পকর্ম। এতে উঠে আসে মানবিকতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। সাহসী রঙের ব্যবহার ও দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদেরকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনসার মহাপরিচালক বলেন—“বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে এবং জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করতে।”

তিনি আরও বলেন, আনসার বাহিনীর বহুল প্রত্যাশিত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’—গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিভা বিকাশের একটি সুগঠিত প্ল্যাটফর্ম—আলভির মতো উদীয়মান শিল্পীদের দক্ষতা বিকাশে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

“সঞ্জীবন কার্যক্রম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের সমাজে সমানভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করছে,” বলে—তিনি জানান।

চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের এই আয়োজনে শিল্পপ্রেমী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাসরুর আরেফীন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, দ্য সিটি ব্যাংক; কর্নেল মোঃ আলতাফ আলী, পিএসসি, নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ, প্রয়াস স্কুল, এবং মোঃ গোলাম রব্বানী, সভাপতি, বেক্সা।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫’ উদযাপন

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানান আয়োজনের মধ্যদিয়ে ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দেশের ৮ বিভাগ থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবকদের নিবন্ধনের মাধ্যমে সকাল ৮ টায় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়ে ৯টায় স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের বাস্তব মহড়া উপভোগ শেষে প্রধান অতিথির ভাষণে সমবেত স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস হলো স্বেচ্ছাসেবকদের সুসংগঠিত করার, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার, স্বেচ্ছাসেবার কাজকে প্রচার করার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও উৎসাহিত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এই দিবস প্রতিপালন অনুষ্ঠানে প্রথমেই আমাদের দেশসহ বিশ্বের সকল দেশের ভলান্টিয়ারদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ’দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যতে সকলকে আরও দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে তাদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন ও বিভিন্ন দিবস উদযাপন, মহড়া এবং গণসংযোগ কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবায় উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রশিক্ষণ-লব্ধ জ্ঞানকে শাণিত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’

অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ২২ জন ভলান্টিয়ারকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।

মহাপরিচালক তাঁর প্রদত্ত ভাষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস ও সাহসী অবদানের প্রশংসা করে দেশের সকল দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও নির্ভীক অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, পিএসসি।

উক্ত অনুষ্ঠানে দু্ই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক, উপপরিচালক, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫ উদযাপন কার্যক্রম শেষ হয়।


অবৈধ পণ্য আটকানোয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য খালাসে বাধা দেওয়া ও রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে নেওয়া উদ্যোগে রুষ্ট ‘একটি পক্ষ’ চট্টগ্রামে দুই কাস্টমস কর্মকর্তার ওপর হামলা করে থাকতে পারে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রাজস্ব ফাঁকি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করায় নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পরে চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের দুই কর্মকর্তাকে বহনকারী প্রাইভেট কারে হামলা চালায় মোটরসাইকেলে করে আসা তিনজন। তারা চাপাতি দিয়ে গাড়ির জানালা ভাঙচুর করে এবং গুলি করার হুমকি দেয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূইয়া সেই গাড়িতে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, তারা আমাদের উদ্দেশ্য করেই গাড়িতে হামলা করেছে বলে মনে করছি। বিভিন্ন সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আটক করায় একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকিও দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি গত ৫ অক্টোবর বন্দর থানায় জিডিও করেছি।

সম্প্রতি প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি, পপি বীজ আর বিপুল বিদেশি সিগারেট জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসে ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেটের পণ্য চালান আটক করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ একটি পক্ষ বিভিন্ন সময়ে কাস্টমস কর্মকর্তারকে মোবাইল ফোনে ‘হুমকি দেয়’ বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডকেন্দ্রিক এক পণ্যের আড়ালে অন্য খালাস নেওয়ার জালিয়াতচক্র মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনা বিভিন্ন কসমেটিক পণ্যের চালান আটক করায় গত ৫ অক্টোবর রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ৬ অক্টোবর তিনি বন্দর থানায় জিডি করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, বন্দরে শেডকেন্দ্রিক কিছু সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা মিথ্যা ঘোষণায় অথবা অবৈধভাবে অন্য পণ্য আমদানি করে খালাসের সঙ্গে যুক্ত। গত দুই মাসে এ ধরনের বেশকিছু চালান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটকে দিয়েছে।

আক্রমণের শিকার দুই কাস্টমস কর্মকর্তা এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে সুবিধা করতে পারছিল না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

তারেক মাহমুদ নিজেও বিভিন্ন সময়ে ফোনে হুমকি পেয়েছেন দাবি করে বলেন, কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মীরা চালান আটকের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারাও বিভিন্ন সময়ে হুমকি পেয়েছেন। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা হয়েছে।


জুলাই হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য : প্রেস সচিব

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩০
মাগুরা প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী জনতাকে হত্যা করেছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে সরকারের গণহত্যার চিত্র। তাই জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাগুরায় আন্ত:কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ, এই নির্বাচন কে বানচাল করতে কোন কনোসপ্রেসি কাজ করবে না।

এ সময় তিনি আরোও বলেন, খালেদা জিয়া এখন শুধু বিএনপি নেত্রী নয় তিনি এখন ন্যাশনাল লিডার হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। তারেক রহমানের দেশে আসতে সরকারের কোন বাধা নেই, এটি তার এবং তাদের দলের ব্যাপার।

শফিকুল আলম আরো বলেন, আর ৭০ দিনের মতো আমরা আছি এর মধ্যে যদি ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয় তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা ফিরিয়ে আনার কাজ টি অব্যাহত রাখবেন আশা করি।

এ সময় তিনি জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যা দেন। বাউল শিল্পীদের উপর হামলাসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মাগুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে জেলা ক্রিড়া কর্মকর্তা বিএম এ সাজিন ইসরাত সভাপতিত্ব করেন।

এ খেলায় ৯ টি দল অংশ গ্রহণ করেছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হবে।


বরিশালে সুতা কারখানায় আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো শতাধিক শ্রমিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর খানসন্স টেক্সটাইল মিলের সুতা তৈরির একটি কারখানায় হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন কারখানার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দেড় শতাধিক শ্রমিক বাইরে বের হয়ে আসেন।

শ্রমিক আসমা জানান, কারখানার ভেতরে এসি মেরামতের সময় একটি তারে শর্ট সার্কিট হয়। এরপর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একই অভিযোগ করেন আরেক শ্রমিক নাদিম। তিনি বলেন, দুপুরের বিরতির আগে আগুন লাগে, কিন্তু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অচল থাকায় আগুন নেভাতে প্রথমদিকে চরম বেগ পেতে হয়।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সময় লাগবে।

কারখানার ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।


banner close