শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
১ চৈত্র ১৪৩১

চা বাগান থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি: দৈনিক বাংলা
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১৪:৩৫

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের একটি চা বাগানে গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগা অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার ফুলবাড়ি চা বাগান এলাকার ৮ নম্বর সেকশনে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ। প্রাণ হারানো যুবক ১৯ বছর বয়সী সজল বাউরি, যিনি ওই বাগানের চা শ্রমিক চুন্নু বাউরির ছেলে।

স্থানীয় একজন জানান, ‘রাতে মা-বাবার সঙ্গে ভাত নিয়ে সজল বাউরির ঝগড়া হয়। আমরা তাদের ঝগড়া শুনতে পাই। সকালে বাগানে গাছের সঙ্গে তার মরদেহ দেখে তার মা-বাবাকে জানাই। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সে বাগানে শ্রমিকের কাজ করত।

সজল বাউরির বাবা চুন্নু বাউরী বলেন, ‘আমার সঙ্গে ও ছেলের মায়ের সঙ্গে গরম ভাত করে দেয়ার জন্য সন্ধ্যায় ঝগড়া হয়। সে ঠাণ্ডা ভাত খাবে না। পরে রাত ৮টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। আমরা ভাবছি হয়তো প্রতিবেশী কারও ঘরে রাতে থাকতে পারে। তাই আর খোঁজখবর নিইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে হঠাৎ শ্রমিকরা কাজে গেলে চা বাগানের ৮ নম্বর সেকশনে এলাকায় গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগা অবস্থায় সজলের মরদেহ দেখতে পেয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা পুলিশকে বিষয়টা জানাই। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’

কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিয়াউল বলেন, ‘বাগানের ৮ নম্বর সেকশন এলাকায় একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয়া সজল বাউরির মরদেহ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’


রূপগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে ইব্রাহিম (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার তারাব পৌরসভার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতে ধর্ষিত শিশুর বাবা-মাকে হুমকি দিয়ে ৫ হাজার টাকায় রফাদফা করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়।

এদিকে রাত ১১টার দিকে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত ইব্রাহিমের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন। ইব্রাহিম সুনামগঞ্জ জেলার বিঞ্চামপুর এলাকার আব্দুল মিয়ার ছেলে। বর্তমানে সে তারাবতে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটির পরিবার রূপসী বাঘবাড়ি এলাকায় তানসেন নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকে। ইব্রাহিম রূপসী বাঘবাড়ি ব্রিজ এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করে। ইব্রাহিম শিশুটিকে চকোলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তার দোকানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় জনৈক জালালের স্ত্রী ইব্রাহিমের দোকানে শুঁটকি কিনতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি দেখে স্থানীয়দের খবর দেন এবং বিকেলে শিশুটি তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়।

শিশুটির পরিবার যে বাসায় ভাড়া থাকে সেই বাড়িওয়ালা তানসেন ও তারাব পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবেলের বড় ভাই রুবেল ও স্থানীয় প্রভাবশালী পলিনসহ কয়েকজন মিলে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ হাজার টাকা শিশুর পরিবারকে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। রাত ৯টার দিকে এলাকাবাসী ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে রুবেলের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করে বাড়িটি ঘিরে ফেলেন। এ সময় উত্তেজনা বাড়তে দেখে রুবেল ও তানসেন মিলে ইব্রাহিমকে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালাতে সহযোগিতা করেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীসহ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান। পরে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। অভিযুক্ত ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও পুলিশ জানায়।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের বয়স ৭ বছর। আমি দিনমজুরের কাজ করি। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কাজ থেকে ফিরে এসে শুনতে পাই আমার মেয়েকে ইব্রাহিম ধর্ষণ করেছে। আমি এখানে ভাড়া থাকি। বাড়িওয়ালা তানসেন ও রুবেলসহ কয়েকজন মিলে আমাকে চাপ দিয়ে ৫ হাজার টাকা দেবে বলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলেন। আমি মেয়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিচার চাই। ইব্রাহিম আমার মেয়েকে এর আগেও বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছে। বলেছে যদি কাউকে একথা বলি তাহলে তাকে হত্যা করবে।’ এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলা হচ্ছে। বাকি ঘটনা পরে বলা যাবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, ৩ আসামি কারাগারে

ইউএনবি জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ৮ বছরের বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই কিশোরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা হলে শুক্রবার সকালে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের কাগমারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তাররা হলেন— কাগমারী গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন (১৯) এবং একই গ্রামের ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোর।

শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কাগমারী জামে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যায় বাকপ্রতিবন্ধী ওই শিশুটি। নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে কৌশলে তাকে পাশের আমবাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসামিরা। পরে বাড়িতে এসে শিশুটি বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। সকালে এলাকাবাসী তাদের আটক করে থানায় সোর্পদ করে।

তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর বাবা মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে শিবগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। দুপুরে তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’


গাজীপুরে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

ঈদ বোনাস, ২৫ ভাগ উৎপাদন বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে ইসমক্স সোয়েটার নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ঈদ বোনাস, ২৫ ভাগ উৎপাদন বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরের তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার নামে একটি কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এ সময় শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের‌ সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৮ টায় কাজে যোগ না দিয়ে ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন। এক পর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করেন।
সকাল ১০টা থেকে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তিতে পড়েছেন শত শত যাত্রী। অনেকেই পায়ে হেঁটে বা বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষ, মহাসড়ক অবরোধ
আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, তেলিপাড়া এলাকায় ইসমক্স সোয়েটার কারখানায় প্রায় এক হাজার ২০০ শ্রমিক কাজ করছেন। দীর্ঘ দিন কাজ করলেও তাদের ওভার টাইম বিল, নাইট বিল, মাতৃকালীন ছুটি, বাৎসরিক টাকা দেওয়া হয় না। এছাড়া তাদের প্রোডাকশন রেট সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। এ অবস্থায় ঈদ বোনাস, ওভারটাইম বিল, জিএমের পদত্যাগসহ ১৪ দফা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন তারা।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশ ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছেন।


কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত যুক্তরাষ্ট্রের এক নারীকে অতর্কিত আক্রমণ করে শ্লীলতাহানির দায়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন।

তিনি জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণীস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার তথ্য জানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে বিকালে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত যুবকের নাম তারেকুর রহমান ওরফে সোইল্যা তারেক (৩০)। তিনি কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়া মোহাম্মদ ফরিদের ছেলে।

তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারী মার্কিন নাগরিক। তিনি স্বামীর সঙ্গে কক্সবাজার থাকেন। তার স্বামী আন্তর্জাতিক সংস্থা- ইউএন উইমেন এর কর্মকর্তা হিসেবে কক্সবাজারে কর্মরত। পুলিশ সুপার সাইফউদ্দীন শাহীন বলেন, মার্কিন ওই নারী তার এক সহকর্মীসহ গতকাল সোমবার সকাল দশটার দিকে কক্সবাজার শহরের ফুটপাত দিয়ে হাঁছিলেন। এ সময় অতর্কিতে ওই যুবক তাদের পথ আটকে নারীকে জাপটে ধরেন ও তার শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগী ওই নারী বিষয়টি জানিয়ে কক্সবাজার থানায় অভিযোগ করেন।

পুলিশ সুপার জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। পরে বিকেল চারটার দিকে শহরের ঝাউতলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত তারেককে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়। ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানতে পুলিশ গ্রেপ্তার যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বলে জানান, জেলা পুলিশ সুপার।

সাইফউদ্দীন শাহীন জানান, অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে মামলা দায়েরের সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তার তারেক একজন বিকৃত মস্তিষ্কের ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর কক্সবাজার শহরের মোহাজের পাড়ায় পাঁচ বছরের এক শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। সে সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও পরে ওই মামলায় জামিনে বের হয় তারেক।


চাঁদপুরে গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৬

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া এলাকার একটি ভবনের চতুর্থ তলায় চুলার গ্যাস লিকেজে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে চারজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে সেহেরির খাবার গরম করার সময় গ্যাসের চুলা লিকেজ হয়ে এই দুর্ঘটনার শিকার হন পরিবারটি।
দগ্ধরা হচ্ছেন—বড় স্টেশন মাছ ঘাটের ব্যবসায়ী আবদুর রহমান (৫০), তার মা খাদিজা (৬০), স্ত্রী শানু (৪০), ছোট ছেলে মাহিন (১৬), ইমাম হোসেন (৩০) এবং ছেলের বউ নুসরাত নিবা (১৬) ।
পাশের ফ্ল্যাটের কলেজ শিক্ষার্থী জিহান ও তার মা কুলসুমা বেগম জানান, ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সেহরির জন্য খাবার গরম করার জন্য চুলা জ্বালানোর সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে থাকেন। বাড়ির মালিক জাকির হোসেন জানান, ‘বিস্ফোরণে শোয়ার দুটি খাট পুড়ে যায়, রুমগুলো অন্ধকার হয়ে যায়। দ্রুত ঘরের ভিতরের সবাই দরজা ভেঙে বের হয়ে আসেন। আশপাশের লোকজন দ্রুত গ্যাস লাইন বন্ধ করে দেন ও দগ্ধদের উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরুতর দগ্ধ চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসান ফয়সল হোসেন ও হাসপাতালের সুপার ডা. মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় পাঠানো চারজনের শরীর প্রায় ৬০ ভাগ পুড়ে গেছে। তবে এরা শঙ্কামুক্ত নন।’


মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ৩

মসজিদে ঢুকে দুজনকে কুপিয়ে হত্যার পর তাদের বাড়িতে আগুন দেয় হামলাকারীরা
ছবি: সংগৃহীত  
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাইফুল সরদার (৪০) ও আতাউর সরদার (৩৫) নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ওই ঘটনায় আহত তিন জনের মধ্যে পলাশ সরদার নামে একজনকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। নিহত আতাউর ও তার স্বজনদের বেশ কয়েকটি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ।

শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সরদার। বিগত সরকারের সময় এলাকায় সাইফুলের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। সেই প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন তিনি। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যানকেও পাত্তা দিতেন না। বৈধ-অবৈধ সব ধরনের ব্যবসা ও কারবার ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন সাইফুলের ওপর।

সরকার পতনের পরও সব কারবার নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন সাইফুল। এতে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ান একই এলাকার শাজাহান ও ইউপি চেয়ারম্যান জয়নাল মোল্লা। সাইফুলের লোকজনের সঙ্গে প্রতিপক্ষ শাজাহান এবং চেয়ারম্যান জয়নাল মোল্লা গ্রুপের মধ্যে গত ৬ মাস ধরে রেষারেষি ও সংঘর্ষ চলেই আসছিল। এতে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো।

এছাড়া কিছুদিন আগে ড্রেজারের পাইপ বসানো ও এর চাঁদা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জেরে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খোয়াজপুর সরদারবাড়ি জামে মসজিদের সামনে একা পেয়ে সাইফুলের ওপর হামলা চালায় শাজাহানের লোকজন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাইফুলের বড় ভাই আতাউর ও চাচাতো ভাই অলিল এবং প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে হঠাৎ প্রতিপক্ষের ধাওয়া খেয়ে পিছিয়ে যায় সাইফুলের লোকেরা। এ সময় হামলা থেকে বাঁচতে সাইফুল ও আতাউর পাশের মসজিদে ঢুকে পড়ে। তবে সেখানেও শেষরক্ষা হয়নি। প্রতিপক্ষের লোকজন মসজিদে ঢুকে সাইফুল ও আতাউরকে আটকে ফেলে। তারা আল্লাহর ঘরের উছিলায় প্রাণভিক্ষা চাইলেও প্রতিপক্ষ তাদের দয়া দেখায়নি। সেখানেই দুভাইকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে প্রতিপক্ষ। এ সময় ওই দুজনকে বাঁচাতে গিয়ে চাচাতো ভাই অলিল সরদার, প্রতিবেশী মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার, আজিজুল হকের ছেলে তাজেল সরদারও প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে গুরুতর আহত হয়।

এরপর হামলাকারীরা আতাউর ও সাইফুলের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠান। পরে তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। ঢাকা যাওয়ার পথে পলাশের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আতাউল ও সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠিয়েছে। সদর মডেল থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নাহিদা আক্তার বলেন, হাসপাতালে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও তিনজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা (সদর সার্কেল) বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করছে।


চুয়াডাঙ্গার তিতুদহে সংঘর্ষে সাবেক বিএনপি নেতা নিহত, আহত ২

নিহত রফিকুল ইসলাম রফিক। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৮ মার্চ, ২০২৫ ১৪:৪৫
ইউএনবি

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নে টিসিবির কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) নামের সাবেক এক বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদে সামনের বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।
নিহত রফিক চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশ না করে জানান, পূর্ব বিরোধ ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারিভাবে ১০ কেজি পরিমাণ ভিজিএফের চাল বিতরণ করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়েছে। তিতুদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মিলন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম টোটনের লোকজনের সাথে নিহত রফিকের বাকবিতণ্ডা বাধে। একপর্যায়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের লোকজন রফিককে মারধর করতে থাকে।
‘দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজন রফিকের মুখ ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়,’ বলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার গোলাম মওলা (বিপিএম-সেবা) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। বিস্তারিত জানতে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু জানান, আওয়ামী লীগের লোকজন দলে অনুপ্রবেশ করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আমরা প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।


যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে নৌ-বাহিনীর যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এসময় অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ শনিবার দুপুরে নৌ-বাহিনীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে টেকনাফ উপজেলাস্থ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বালুখালী নামক স্থানে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী ও পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন,আলতাস ও মুজিব।তারা তিনজন একই ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
অভিযানকালে অপহরণ চক্রের মূল হোতা এবং কুখ্যাত মাদক ও অস্ত্র কারবারী হেলাল উদ্দিনকে তার ২ সহযোগীসহ আটক করা হয়। এসময় তার বাসা হতে অপহরণের শিকার নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার বাসিন্দা আরেফুল ইসলাম শুভ নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের শিকার ব্যক্তি গত ৩ মার্চ নরসিংদী হতে কাজের সন্ধানে টেকনাফ বাসিন্দা মজিবের নিকট আসলে মজিব তাকে কাজ না দিয়ে হেলাল উদ্দিনের আস্তানায় একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। চক্রটি অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের নিকট ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
আটককৃত হেলাল উদ্দিনের বাড়ি ও তৎসংলগ্ন এলাকা তল্লাশি করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা অবস্থায় ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ৭ রাউন্ড তাজা গোলা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে হত্যা, অপহরণ, মাদক, চোরাচালানসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। তাদেরকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


জামালপুরে মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩

জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটেছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

জামালপুরে দুটি ট্রাক ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জামালপুর পৌর এলাকার ছনকান্দা গোরস্থানের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সোয়া ৫টার দিকে জামালপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জামালপুর পৌর এলাকার ছনকান্দা গোরস্থানের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
তারা জানায়, দুর্ঘটনার সময় জামালপুর থেকে আসা একটি ট্রাক ময়মনসিংহের দিকে যাওয়ার সময় রাস্তা পাশে দাঁড় করানো একটি ট্রাককে ধাক্কায় দেয়।
এ সময় ট্রাকটি পরিষ্কার করতে থাকা ট্রাকশ্রমিক জুয়েল আকন্দ (৪৫) ট্রাকের ধাক্কায় দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত এবং ২ জন আহত হন।
একই সময় জামালপুর থেকে নান্দিনাগামী একটি মোটরসাইকেল একজন আরোহী নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়ানো অপর একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক শাওন (৩০) নিহত হন। আর মোটরসাইকেলের অপর আরোহী আহত হয়।
খবর পেয়ে জামালপুর ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।


‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বাড়িতে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ব্যানার। পুলিশের দাবি, উত্তেজিত জনতা তথা মবের ভাঙচুর থেকে ভবনটি বাঁচাতে এ কৌশল নেওয়া হয়।

ব্যানার টাঙানোর একটি ছবি বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, অন্ধকারে দুই যুবক সিংড়া পৌরসভার গোড়াউনপাড়ায় পলকের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে একটি ব্যানারের দড়ি বাঁধছেন। ওই ব্যানারে লেখা ‘অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, সিংড়া থানা, নাটোর’।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পলকের এই বাড়ি থেকে হেঁটে সিংড়া থানা ৫ মিনিটের ও সহকারী পুলিশ সুপারের (সিংড়া সার্কেল) কার্যালয় ১০ মিনিটের পথ। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর সিংড়া থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্যের উপস্থিতিতে দুই যুবক বাড়িটিতে ব্যানার লাগিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক লোকজন জড়ো হন। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে ব্যানারটি দেখা যায়নি।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ওই দিনই পলকের এই বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পলক প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় বাড়িটির নিচতলার একটি কক্ষ তার প্রটোকলে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিশ্রামের জন্য বরাদ্দ ছিল। এই কক্ষকে অনেকেই পুলিশ ক্যাম্প হিসেবে জানতেন তখন থেকে। কক্ষের বারান্দায় পতাকা স্ট্যান্ডও ছিল।

এখন পলকের বাড়িতে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্পের ব্যানার লাগানো ও খুলে ফেলার ব্যাপারে জানতে চাইলে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর ছিল মবের মাধ্যমে একদল জনতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী পলকের বাড়িটি ভাঙচুর করবে। যেহেতু ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে, তা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিংড়ার এই বাড়ি ভাঙচুর করা হতে পারে। তবে পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লেখার কারণে কেউ বাড়িটি ভাঙচুর করতে আসেনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ব্যানারটি খুলে ফেলা হয়েছে। এখন এসে দেখতে পারেন, ব্যানারটি আর নেই।’


৫৬ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিল মিয়ানমার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কক্সবাজার টেকনাফ বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার সময় ছয়টি ট্রলারসহ ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশি ৫৬ জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাদের ছেড়ে দেন। এসময় জেলেদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দেন মিয়ানমার নৌ বাহিনী।

ধরে নিয়ে নিয়ে যাওয়া ছয়টি ট্রলারের মালিকরা হলো- টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ এলাকার মো. বশির আহমদ, মো. আমিন, নুরুল আমিন, আব্দুর রহিম, মো. শফিক। এদের মধ্যে মো. শফিকের মালিকাধীন দুটি ট্রলার রয়েছে।

এর আগে বুধবার (৫মার্চ) দুপুরে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারের সময় অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন, টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।

তিনি জানান, মাছ শিকারে গিয়ে মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তারা ইতোমধ্যে টেকনাফের উদ্দেশ্য রওনা করেছে।

টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে। তবে তাদের কাছে থাকা মাছ ও জাল রেখে দিয়েছে।


যৌথবাহিনীর অভিযানে নরসিংদীর দুর্গম চর থেকে গ্রেপ্তার ২০

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার মির্জারচর ইউনিয়নে একটি দুর্গম চরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সোমবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, সুনির্দিষ্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড, আর্মি এভিয়েশন, র‍্যাব, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্স রায়পুরার একটি দুর্গম চর এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আটক এবং অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। যৌথ বাহিনীর এই অভিযানে প্রায় দেড় শতাধিক ধারালো অস্ত্র, তিনটি মোবাইল ফোন এবং ২০ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী/সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।


সাভারে আবারও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সাভারের একই স্থানে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দিনে দুপুরে যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আবারও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পরিবহনের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার দুপুর ২টার দিকে মহাসড়কের সাভারের পুলিশ টাউন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুভযাত্রা পরিবহনের বাসে একই ঘটনা ঘটে। এ সময় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে তিন যাত্রী আহত হয়েছিলেন।

ভুক্তভোগী বাসের যাত্রী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘দুপুরে আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে রাজধানী পরিবহনের একটি বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেই। বাসটি ২০-২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় যাত্রী নেওয়ার জন্য থামলে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। এ সময় ৫-৬ জন ছিনতাইকারী দেশীয় অস্ত্রের মুখে বাসের যাত্রীদের মানিব্যাগ ও মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয়।’

ভুক্তভোগী আরেক যাত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগেও একই স্থানে চলন্ত বাসে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছিলেন। আজ আমরাও দিনে দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। আল্লাহর রহমতে যাত্রীদের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এভাবে প্রতিনিয়ত দিনের বেলাতেই যেভাবে ছিনতাইকারীরা বাসে উঠে ছিনতাই করছে, এতে আমরা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত।’

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘বাসে ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


না.গঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৮

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী ২ নম্বর এলাকায় গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন।

রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, দিবাগত রাত ৩টার দিকে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত ৮ জন দগ্ধ হলে তাদের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসা হয়।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঢাকেশ্বরী থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৮ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। তবে অধিকাংশের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’


banner close