সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৪ ভাদ্র ১৪৩২

কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জন কারাগারে

কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায়ে আটককৃতরা। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১৮:৩৬

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যৌথ অভিযানে এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে তাদের আদালতে তোলা হলে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএসএম এমরান কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম বম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান বম (৩২), ভান মুন নোয়াম বম (৩৩), লাল মিন বম (৫০) ও বান্দরবান সদর লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক লিয়ান বম (২৩)।

তাদের মধ্যে ভান মুন নোয়াম বম রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। সংগঠনবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৩ এপ্রিল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে ভান মুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং ছাইং উ পুলুয়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এর আগে গতকাল সোমবার রুমা সদর ইউনিয়নের মুনলাইপাড়া থেকে ছয়জন এবং বান্দরবানের মিলনছড়ি পুলিশ চেকপোস্ট থেকে ভান বিয়াক লিয়ান বমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুটের ঘটনায় পাঁচটি মামলা হয়। এরপর ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তাতে চারটি মামলা দায়ের হয়। এ পর্যন্ত নয় মামলায় সর্বমোট ৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৫৬ জনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

রাজশাহীতে ১৩ মাদক কারবারি আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাব-৫।

রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানাধীন দাসপুকুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, সেলিম রেজা (৫৫), বুলেট অরফে রুবেল (৩০), রিদয় (২৫), শিহাব আহমেদ শিশির (২২), আনোয়ার হোসেন (৪৭), জয়নাল আবেদীন জনি (২৫), জীবন বিশ্বাস (২৩), সাজিদ আলী (২২), জাফর সাদিক অভি (২২), সৌরভ হোসেন (২৪), আরিফুল ইসলাম (৩৬), আলমগীর হোসেন (৫০) ও ইউনূস আলী (৪২)।

আটককৃতদের মধ্যে অধিকাংশ রাজপাড়া থানার বাসিন্দা। এছাড়া একজন পুঠিয়া উপজেলা ও একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট এলাকার বাসিন্দা। এ সময় তাদের কাছ থেকে গাঁজা, মোবাইল ও টাকা জব্দ করা হয়।

আজ সোমবার সকালে র‌্যাব-৫ এর মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫, সিপিএসসি এর একটি দল জানতে পারে দাসপুকুর এলাকায় ব্যাপকহারে মাদকের কেনাবেচা চলছে। পরবর্তীতে র‌্যাবের গোয়েন্দা দল ওই স্থানে নজরদারি বাড়ায় ও রাত সোয়া ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১৩ মাদক কারবারিকে আটক করে। এ সময় তাদের কাছ মাদক জব্দ করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, আটককৃতরা এলাকার সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা, ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের মাদক সংগ্রহ করে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।


ধুঁকে ধুঁকে চলছে জয়পুরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাব্বিউল হাসান, জয়পুরহাট 

নানা সমস্যা নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে জয়পুরহাটের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে নেই ওষুধ সরবারাহ। নেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। একই সঙ্গে অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ ও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এ প্রতিষ্ঠানটির চিকিৎসাসেবায় একেবারেই ধস নেমেছে।

অন্যদিকে দীর্ঘদিনের পুরনো ভবন জরাজীর্ণ হওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই চলছে স্বাস্থ্যসেবা। তাই দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করে কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করার দাবি রোগী ও স্বজনদের। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, নানা সংকট থাকায় কাঙ্খিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সমস্যাগুলো সমাধান করলে রোগীদের কাঙ্খিত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৯৭৯ সালে মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জয়পুরহাট শহরের ধানম-ি এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয় সরকারি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। এটি জয়পুরহাট মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল নামেও বেশ পরিচিত। চিকিৎসাসেবায় হাসপাতালটি এক সময় ব্যাপক সুনাম কুড়ালেও বর্তমানে নানা সমস্যায় চিকিৎসাসেবায় ধস নেমেছে। এ হাসপাতালটিতে গত ৮ মাস ধরে নেই কোনো ওষুধ সরবরাহ। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকায় বন্ধ রয়েছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা। আর প্রয়োজনীয় জনবল সংকটসহ অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় প্রায় দুই বছর ধরে সব ধরনের অপারেশনও বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র নরমাল ডেলিভারি করানো হচ্ছে এখানে। এছাড়া পুরনো ভবনটি জরাজীর্ণ হওয়ায় তৈরি হয়েছে ঝুঁকি। ভবনের অনেক জায়গায় ফাটল ধরেছে। কিছু জায়গায় খুলে পড়েছে পলেস্তেরা। এতে রোগীদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফদের। দ্রুত সমস্যাগুলো সমাধান করার দাবি রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের।

জয়পুরহাট শহরের সবুজ নগরের বাসিন্দা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমার স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। এ পর্যন্ত চারবার চেকআপ করালাম, কিন্তু একবারও ওষুধ পাইনি। মেশিন না থাকায় আলট্রাসনোগ্রাম করাতে পারিনি। রক্ত পরীক্ষাও করাতে পারিনি। এক কথায় এখানে ল্যাবই নেই। নামে শুধু হাসপাতাল।

জয়পুরহাট শহরের আমতলী এলাকার রিমা আক্তার বলেন, এ হাসপাতালে আগে যে সেবা পাওয়া যেত, এখন তার কিছুই পাওয়া যায় না। আগে ওষুধ পাওয়া যেত, সিজার হতো, এখন কিছুই হয় না। এখানে ওষুধ লিখে দেয়, আর বাইরে থেকে কিনে নিয়ে আসতে হয়।

পাঁচবিবির রতনপুর গ্রামের লাভলী খাতুন বলেন, আমার মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এখানে ভালো কোনো চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমরা গরিব মানুষ, বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। এছাড়া ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ, কখন যে ভেঙে পড়বে তা বলা যায় না। তাই ভবনটি নতুন করে তৈরিসহ সব সমস্যা সমাধান করা হলে হাসপাতালটি আবার আগের অবস্থানে ফিরে আসবে।

ক্ষেতলালের বানিয়াপাড়ার মিনহাজুল ইসলাম বলেন, মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল মানে জয়পুরহাটে বিখ্যাত একটি হাসপাতাল বলে সবাই চিনত। এখন হাসপাতালের নাম থাকলেও সেবার মান একেবারেই ধ্বংস। এখানে এলেই শুনি কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হবে, কিন্তু কিছুই হয় না। গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটিকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। এটি ভালো করে চালু করা হোক, না হলে বন্ধ করে দেওয়া হোক।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স চম্পা পারভিন বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা বেতনভাতা পাই না। হাসপাতালে ওষুধ নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। অ্যনেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। এজন্য সিজারিয়ান সেকশন থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আগে রোগীরা অনেক ভিড় করলেও এখন আর রোগী তেমন আসে না। জনবল কম হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফদের অনেক সময় ডাবল ডিউটি করতে হয়। এতে রোগীদের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাসপাতালের স্টাফদের।

প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শাহানা পারভীন বলেন, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এখানে দেড় বছর ধরে কোনো অপারেশন করতে পারছি না। জনবল সংকটের কারণে রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছি না। ওষুধের সরবারহ এখনো পাইনি। এখন শুধু আমরা রোগীদের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র লিখে দিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেয় তাহলে আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব।


ক্যান্সারে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্র নাজমুল বাঁচতে চায়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এস,কে পাল সমীর, পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার চর হরিনাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র নাজমুল হোসেন দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এখন শয্যাশায়ী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাকে দ্রুত রাজধানীর একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। সে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মুছিদাহ গ্রামের মো. ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
দরিদ্র পরিবারের পক্ষে নাজমুলের চিকিৎসার বিপুল ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয়। তার পিতা মো. ইসলাম মন্ডল একজন সাধারণ ভ্যানচালক সংসারের দৈনন্দিন খরচ চালাতেই যেখানে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে সন্তানের ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তাদের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই নাজমুলের লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ। স্বপ্ন ছিল একদিন ডাক্তার হয়ে সমাজের সেবা করবে। কিন্তু আজ সেই স্বপ্ন থেমে যেতে বসেছে শুধুমাত্র অর্থের অভাবে।
তাই সমাজের সকল সহৃদয় ও বিত্তবান ব্যক্তিদের প্রতি পরিবারটি সহানুভূতি এবং সহযোগিতা কামনা করেছেন।আপনারা যদি যার যার সাধ্য অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তাহলে হয়তো নাজমুল আবারও নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে।
নাজমুলের চিকিৎসার জন্য যারা সাহায্য করতে ইচ্ছুক, তারা বিকাশ নাম্বারে অর্থ পাঠাতে পারেন: বিকাশ নম্বর: 01874802351 (নাজমুল হোসেনের পিতা – মো. ইসলাম মন্ডল)। আপনাদের সামান্য সহযোগিতা একটি জীবন বাঁচাতে পারে। সাহায্য পাঠানোর আগে যাচাই করে নিতে পারেন।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও তার মায়ের মরদেহ উদ্ধার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা

কুমিল্লা নগরীতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ও তার মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে নগরীর কালিয়াজুড়ি খেলার মাঠের পাশের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের মৃত্যুর সময় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

নিহতরা হলেন গৃহিনী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫২) ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার রিন্তি (২৩)। সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ ব্যাচের তৃতীয় বষের শিক্ষার্থী ছিলো।

বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, চার বছর আগে কুমিল্লার আদালতের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বাড়িটি ভাড়া নেন। গত বছর তার মৃত্যুর পর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ফাতেমা (৫০), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ে সুমাইয়া আফরিন রিন্তি (২৪) তার আরও দুই ছেলে বাড়িটিতে থাকছেন।

বাড়ির মালিক আনিছুল ইসলাম রানা জানিয়েছেন, বাড়িতে তারা থাকতেন। তারা অন্য কারো সাথে তেমন কথা বলতেন না। গতকাল রাতে তার দুই ছেলে ঢাকা থেকে বাসায় আসলে তারা ঘরের দরজা খোলা দেখে। এই সময় তারা ভাবে তাদের মা ও বোন ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু বাসায় ঢুকার পর দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও তাদের কোন সারা শব্দ না পেলে জাগাতে গিয়ে দেখেন তারা নড়ছে না। পরে ৯৯৯ এ কল পেয়ে সোমবার ভোরবেলা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে এবং কুমিল্লা মেডিকেল এর মর্গে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, টিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে একজন ব্যক্তি রবিবার দিনের বেলায় তাদের বাসায় আসা-যাওয়া করেছিল। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

নিহত তাহমিনার বড় ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম ফয়সাল (৩৪) জানান, তারা দুই ভাই এক বোন। ছোট ভাই কুমিল্লা ইপিজেড

চাকুরী করে। সে ঢাকায় আইন পেশায় নিযুক্ত। গতকাল ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে যান। তার ভাইও বাসায় ফিরে নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম নেন৷ তখন তার মাকে বার বার ডেকেও সাড়া না পেয়ে মায়ের রুমে যান। সেখানে তার মায়ের নিথর দেহ দেখতে পান। পরে বোনের কক্ষে গিয়েও বোনের মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তাজুল ইসলাম আরো জানান, দূর্বৃত্তরা তার মা ও বোনকে হত্যা করে মোবাইল ল্যাপটম, কানের দুল নিয়ে যায়।

কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তবে কিভাবে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।


সারাদেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বাংলাদেশসহ মুসলিমবিশ্বে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। দিবসটি পালনে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিল মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মহফিল। ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের এই দিনে মানবজাতির রহমত স্বরূপ প্রেরিত মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোলে জন্ম নেন।তাঁর পিতার নাম আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব। রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ঠিক একই তারিখে ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন তিনি।
পবিত্র দিনটি উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানসহ সারা দেশে ব্যাপক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। গত শুক্রবার বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ (আ.) আউয়াল হাওলাদার প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন।
বিশ্বনবীর জন্মদিন উপলক্ষে গত শুক্রবার বাদ মাগরিব থেকে শুরু হওয়া ওয়াজ মহফিল আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ১৫ দিনব্যাপী বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ পূর্ব সাহানে এতে বয়ান করবেন দেশবরেণ্য আলেম-ওলামারা।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে জাতীয় মসজিদের পূর্ব ও দক্ষিণ সাহানে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে এ মেলা। চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। মেলায় মিসর, তুরস্ক, পাকিস্তান ও লেবাননের পুস্তক প্রকাশনা সংস্থাসহ দেশ-বিদেশের প্রায় ২০০ স্টল স্থান পাবে মেলায়।
এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৬টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত ওয়াজ-মাহফিল এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন।
একই সঙ্গে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সব বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। দৈনিক বাংলার জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত;নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষ্যে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জশনে জুলুস অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ‘ইয়া নবী সালাম আলাইকা, ইয়া রাসুল সালাম আলাইকা’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো নগরী। গত শনিবার সকাল সোয়া ১০টায় নগরীর ষোলশহর আলমগীর খানকাহ থেকে এই জুলুস শুরু হয়।

জুলুসের নেতৃত্বে ছিলেন সিরিকোট দরবারে আলীয়া কাদেরিয়ার সাজ্জাদনশীন পীর সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ। তাঁর সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন- শাহজাদা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ্ ও সৈয়্যদ মুহাম্মদ মেহমুদ আহমদ শাহ্।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বেস্টনির মধ্য দিয়ে সাবির শাহকে বহনকারী গাড়ি অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে থাকে নবীপ্রেমীদের মহামিছিল। নগরীর বিবিরহাট, মুরাদপুর, ষোলশহর, দুই নম্বর গেট, জিইসি মোড় হয়ে পুনরায় একই রুটে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া ময়দানে গিয়ে মিলিত হন মুসল্লিরা। এ সময় মাইক ও সাউন্ডবক্সে হামদ, না’ত, গজলসহ নানা ধরনের ইসলামী গানে বন্দরনগরী জুড়ে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। ‘ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এল রে দুনিয়ায়, এয়া নবী সালাম আলাইকা, তুমি সৃষ্টির সেরা নবী কামলিওয়ালাসহ নানা গানে মাতোয়ারা হন অংশগ্রহণকারীরা। জুলুসে অন্যান্যবারের মতো এবারও শরিয়ত সম্মত পরিবেশ বজায় রাখতে ড্রাম সেট বাজানো, নারীর অংশগ্রহণ ও খাবার নিক্ষেপ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিল। এর আগে, গত শনিবার ভোর থেকে নগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা মুরাদপুর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে আসতে থাকেন। জুলুস শুরুর আগেই লাখ, লাখ মানুষের জমায়েতে লোকারণ্য হয়ে ওঠে মাদরাসার আশপাশের এলাকা।
মহানবী হযরত মুহাম্মদের (সা.) জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামে প্রতি বছর এদিনে আয়োজিত হয় জশনে জুলুস, যার আয়োজন করে আঞ্জুমানে আহমদিয়া রহমানিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট। এবারের ৫৪তম আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ’।
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে নৌকা যোগে জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ৯টায় আলা হযরত সুন্নি সংঘের সার্বিক সহযোগিতায় ও তাহিরপুর ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ জশনে জুলুছের আয়োজন করা হয়। প্রায় ১৫টি নৌকা নিয়ে একতা বাজার থেকে জুলুছ শুরু হয়ে হলহলিয়া, মাটিকাটা, হাফানিয়া, লেদারবন্দ, বিন্দাবন্দ, নতুন বাজার ব্রিজ, কাউকান্দি বাজার, বোরকারা ও চরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে হলহলিয়া পশ্চিমপাড়া হাফেজ শামসুল হক বোগদাদি সুন্নিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে সমাবেশে মিলিত হয়।
আলা হযরত সুন্নি সংঘের কো-অর্ডিনেটর রমজান আলী রবিনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তারা হযরত মুহাম্মদ এর আগমনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ৩নং বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাছির মিয়া, আবু বকর সিদ্দিক আল ক্বাদেরী, হাফেজ মোশাররফ হোসেন, ক্বারী মাওলানা রাহুল আমিন, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, আলা হযরত সুন্নি সংঘের সভাপতি জলিল আহমেদ তামিম, অর্থ সম্পাদক নূরুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
জামালপুর প্রতিনিধি: ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক বলেছেন, মহানবী (সা.) জীবনাদর্শ মানুষের মুক্তির দিশারি। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য অনুপম শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন। তার জীবনাদর্শ আলোকবর্তিকা হিসেবে প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষকে মুক্তির পথ দেখাবে। গত শনিবার সকালে জামালপুরে জেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) ১৪৪৭ হিজরি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামালপুর জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন নৈতিকতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নয়নে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এস এম তরিকুল ইসলাম। মূখ্য আলোচক হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন কামালখান হাট কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আখতারুজ্জামান সিদ্দিকী।
অন্যান্যের মধ্যে সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুল হক, জামালপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমূখ বক্তৃতা করেন। এ অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিবের একান্ত সচিব মো. কামরুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীক, জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিনসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও আলেম-ওলামারা উপস্থিত ছিলেন।
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে র‍্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ দোয়া মাহফিল, র্যালী ও অসহায় ও দুস্তদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। শাহবাজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ হোসাইন শাহবাজী'র নির্দেশনায় ও শাহবাজ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ র‍্যালিটিতে উপস্থিত ছিলেন, শাহবাজ ফাউন্ডেশনের রিয়াদ হোসেন , হাসান মীর,ইয়ামিন মিয়া , মো. ফেরদৌস,মারফত আলী, মকবুল হোসেন, মো. কিরনসহ সর্বস্তরের মুসলিম জনতা। নগর পাড়া মাদ্রাসায এ উপলক্ষ্যে বিএনপি নেতা মামুন মিয়ার নেতৃত্বে মুসল্লিদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মার শুভকামনায় মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান দোয়া করেন। গত শনিবার ভোর থেকেই এলাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা জমায়েত হতে শুরু করেন। পরে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশগ্রহণে এক বিশাল র‍্যালি বের হয়, যা ভূলতার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালিতে ইসলামিক পতাকা, ব্যানার, স্লোগান এবং মিলাদুন্নবী (সা.)-এর মাহাত্ম্য তুলে ধরা হয়।
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী: জশনে জুলুস পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার আঞ্জমানে-ই-কাদেরীয়া দৌলতদিয়া খানকা শরীফ ও কেন্দ্রীয় ইমাম বাড়া শরীফের আয়োজনে পৃথক মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে দৌলতদিয়া খানকা শরীফ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে সকাল ১০টা ১১ মিনিটে কেন্দ্রীয় ইমাম বাড়া শরীফ থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে গোয়ালন্দ বাজার প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
দৌলতদিয়া খানকা শরীফের মিছিলে এসময় উপস্থিত ছিলেন, আঞ্জুমান-ই কাদেরীয়া দৌলতদিয়া খানকা শরীফের সভাপতি মুক্তার হোসেন বেপারী, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক ও কেন্দ্রীয় ইমাম বাড়া শরীফে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহাবুব, কোষাধ্যক্ষ সুমন মোল্লা সহ বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও মুরিদান মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর: ফরিদপুরে যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী(সা:) পালিত হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্মদিন উপলক্ষে শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) উদযাপন কমিটির উদ্যোগ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জশনে জুলুশে ঈদে মিলাদুন্নবীর শোভাযাত্রা টি জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে আলিপুর গোরস্থান জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয় ।
এর মাঝে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় বক্তব্য রাখেন তুলাগ্রাম দরবার শরীফের পীর সাহেব শাহ সূফী আলহাজ্ব হযরত কোরবান আলী আল- চিশতী নিজামী, ডোমরাকান্দি সাবেরিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব সাজ্জাদ হোসেন রনী আল-চিশতী সাবেরী ও ফরিদপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আমির হোসেন মাসুদ।
এসময় ভাটি লক্ষিপুর খানকায়ে চিশতীয়া রশীদিয়া দরবার শরীফের গদীনশীন পীর হযরত খাজা শাহ্ সুফী মো. আব্দুস সামাদ আল চিশতী নিজামী, পীরজাদা মো: সাহিদ মোল্লা আল চিশতী নিজামী, পীরজাদা মো: নুরুল ইসলাম আল চিশতী নিজামীসহ ধর্র্মপ্রাণ মুসলমারা শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
মাগুরা প্রতিনিধি: সারা দেশের ন্যায় মাগুরাতেও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ঈদে মিলাদুন্নবী। এ উপলক্ষে বিশাল এক আনন্দ রেলি বের করা হয়। বাংলাদেশের মুসলিমরা প্রতিবছর এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন । গত শনিবার মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর গ্রামে স্থানীয় গ্রামবাসী এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বিশাল এক আনন্দ রেলি বের করা হয়। রেলিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে । পরে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় ছোট বড় হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। নবীজির উদ্দেশ্যে বিশেষ মোনাজাত শেষে গ্রামবাসীদের মধ্যে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়।


সীমাবদ্ধতার মধ্যেই সেবা দিয়ে রোগীদের মন জয় করতে হবে: বিএমইউ উপাচার্য

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেছেন, রোগীদের অসন্তুষ্টি দূর করা ও রোগীদের কষ্ট অনুধাবন করার প্রথম দায়িত্ব নার্সদের। অনেক ঝুঁকি ও সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে নার্সদের সেবা দিয়ে রোগীদের সন্তুষ্ট করতে হবে।

রোববার গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগের ১৪ম ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের ক্যাপিং সেরিমনির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, সিঙ্গাপুর সার্ভিস দিয়ে উন্নত দেশ হয়েছে। বাংলাদেশ নার্সিং সার্ভিস দিয়ে বিশ্বে পরিচিত হওয়া সুযোগ রয়েছে। নার্সিং এমন একটি মহান পেশা যার গুরুত্ব শুধু সমাজে নয়, ধর্মেও রয়েছে। উন্নত নার্সিং সেবার মাধ্যমেই চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে। তাই চিকিৎসাসেবার উন্নয়নে ও রোগীদের মন জয় করার লক্ষ্যে নার্সদের সেবার মহান পেশা নার্সিং এ সম্পূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ইসলাম ধর্ম ও ইসলামের ইতিহাসে নার্সিং সেবার গুরুত্ব বিশেষভাবে স্বীকৃত। মানবসেবায় আত্মনিয়োগের মাধ্যমে নার্সিং পেশার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে হবে।

উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন নার্সিং পেশার গুরুত্ব অনুধাবন করেই নার্সদের গবেষণার জন্য অনুদান দেওয়া শুরু করেছে। চিকিৎসাসেবায় নার্সিং সেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নার্সিংসেবা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি যখন অসুস্থ হয়েছি, যখন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলাম তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি। বিএমইউ নার্স, নার্সিং শিক্ষার্থীরা মানবসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপণ করবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।

বিএমইউর নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. মনির হোসেন খানের সভাপতিত্বে ক্যাপিং সেরিমনি অনুষ্ঠানে শপথ পরিচালনা করেন গ্র্যাজুয়েট নার্সিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুপুর ডি কস্তা।


ইবিতে নতুন আরো চারটি ডাবল ডেকার বাস চালু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্ত হয়েছে নতুন চারটি ভাড়াকৃত ডাবল ডেকার বাস। পাবনা বাস ডিপো থেকে ভাড়া করা হয়েছে এসব বাস। তবে এসব বাস ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে ১ মাসের মধ্যে নতুন সংযোজন হবে বলে আশ্বাস দেন পরিবহন প্রশাসক ও বিআরটিসি পাবনা ডিপোর ডিজিএম মনিরুজ্জামান বাবু। রবিবার এসব বাস উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মনজুরুল হক, পরিবহণ প্রশাসন অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, পাবনা বাস ডিপোর ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার (ডিজিএম) মনিরুজ্জামান বাবু সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে সবাই বাসে চড়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন। তবে জানা গেছে, এই বাসগুলো ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলেছিলেন। যার ফলে দুর্ঘটনা-সহ বিভিন্ন কারণে বাসগুলোতে ত্রুটি রয়েছে।

জানা গেছে, পরিবহন পুলে মোট বাস রয়েছে ৫৬টি। নতুন ডাবল ডেকার চারটি ভাড়া বাস যুক্ত হয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০টি। তার মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৮টি এসি বাসসহ নিজস্ব বাস ২৪টি এবং ভাড়াকৃত ৩৬টি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ৬টি বাস। বাকি নিজস্ব বাসগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নিজস্ব ডাবল ডেকার বাস আছে একটি এবং সর্বশেষ সংযোজনসহ ভাড়াকৃত ডাবল ডেকারের সংখ্যা ১৩টি। বাকিসবই ভাড়া বাসে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকেশনগত সমস্যার কারণে যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হয়। আজকের এই চারটি দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণমাত্রায় আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা উত্তরোত্তর যানবাহন ব্যবস্থা উন্নত করে যাবো। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা হয়েছে। তারা নতুন সংযোজন আসলে আমাদের বাসগুলো পরিবর্তন করে দিবে।


ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ৫ হাজার ৭১৯ মামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গত তিন দিনে ৫ হাজার ৭১৯ টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।

এছাড়াও অভিযানকালে ৮৬৬টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৩২০টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।

রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।

ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিকশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।


সকল বাধা অতিক্রম করে সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করবে: আদিলুর রহমান খান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

শিল্প ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, সকল বাধা অতিক্রম করে, বিচার ও সংস্কারের ধারাবাহিকতায় এ সরকার আগামী নির্বাচন সম্পন্ন করবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেসব কাজ শুরু করেছে, জনগণের নির্বাচিত সরকার সেসব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাট এলাকায় অবস্থিত আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেড তুরস্কের মালিকানাধীন নির্মিত কার্গো জাহাজ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। দেশের মানুষ উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন উদযাপন করার অপেক্ষায় আছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ শিল্পের ঐতিহ্য রয়েছে। গার্মেন্টস শিল্পের পর গুরুত্বপূণ শিল্প জাহাঝ শিল্প। আমরা স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের তৈরি জাহাজ বাংলাদেশের প্রতিক্ষায় ব্যবহৃত হবে। বর্তমানে দেশে জাহাজ শিল্প আরো উপরের দিকে উঠছে। আনন্দ শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ গুলো বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে জাহাজ শিল্পকে আরো এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, তুরস্কের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর বেলাল বেলিয়েট, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নুরুজ্জামান এনডিসি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা, আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড.আব্দুল্লাহ হেল বারি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সৈয়দ মিজানুর রহমান, আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ নাজমা নওরজ প্রমুখ।

পরে জাহাজ রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড শ্লিপওয়েজ লিমিটেডের তৈরিকৃত ওয়েজ ওয়্যার নামে ৫৫০০ ডেড ওয়েট ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন মাল্টিপারপাস কার্গো জাহাজটি তুরস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান নওপ্যাক শিপিং এন্ড ট্রেডিং লিমিটেডের কাছে হস্তান্তর করা হয়।


ধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা মানবজাতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে: মেয়র শাহাদাত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ধর্ম নিয়ে প্রতিযোগিতা মানবজাতির ধ্বংস ডেকে আনতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। গত শনিবার দিনব্যাপী ‘রিলিজিয়নস ফর পিস বাংলাদেশের (আরএফপি)’ আয়োজনে ‘চট্টগ্রাম পিস সামিটে’ মেয়র এ মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যই পৃথিবীতে সকল ধর্মের আবির্ভাব হয়েছে। তাই প্রতিটি বড় বড় জনগোষ্ঠির চর্চিত ধর্মে শান্তির বাণীই প্রচার করা হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্ত:ধর্মীয় সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিকল্প কোনো পন্থা নেই। তাই ধর্ম নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতা হতে পারে না, এতে মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ তৈরি হয়। এই প্রতিযোগিতা মানবজাতির শুধুই ধ্বংসই ডেকে আনতে পারে।

‘এশিয়ান কনফারেন্স অব রিলিজিয়নস ফর পিস’র সহযোগিতায় চিটাগং ক্লাবের তেরেস হলে অনুষ্ঠিত এই পিস সামিট। আরএফপি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পিস সামিটে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও আরএফপির নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, আরএফপি এশিয়ার সেক্রেটারি জেনারেল রেভারেন্ট প্রফেসর ড. ইয়োশিনরি সিনোহরা, বিশেষ উপদেষ্টা রেভারেন্ট ড. নবোহিরো নেমতো, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের ডিন প্রফেসর ড. জন ম্যাথিও, আরএফপি চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ড. মাছুম আহমেদ, ঢাকার প্রেসিডেন্ট সুকোমল বড়ুয়া এবং সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম। সামিটের দ্বিতীয় অধিবেশনে মতামত তুলে ধরেন আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনেরা


জামায়াত আমীরের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান।

রোববার জামায়াত আমীরের বসুন্ধরার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতে শুরুতে জামায়াত আমীরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং তার পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।

মতবিনিময় সভায় জামায়াত আমীর ফিলিস্তিন প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মত ফিলিস্তিনের সঙ্গে আমাদের আন্তরিক সম্পর্ক বিদ্যমান এবং এ সম্পর্ক চিরদিন অটুট থাকবে, ইনশাআল্লাহ। অতীতে বহুবার ফিলিস্তিনের মজলুম মুসলমানদের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হয়েছে। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি বোমা বর্ষণে নারী-শিশুসহ প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার ফিলিস্তিনি গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, মানবতার দুশমন ইসরায়েল গাজায় খাবার প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। ফলে সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। শিশুসহ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ইসরায়েল প্রকাশ্যে গাজা দখলের ঘোষণা দিয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে গাজা থেকে জোরপূর্বক প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে উচ্ছেদ করার ভয়াবহ পরিকল্পনা করেছে। গাজা দখলের এ নীলনকশা ইসরায়েলি আগ্রাসনের নগ্ন বহিঃপ্রকাশ, যা আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও ন্যায়নীতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। ইসরাইলের এ হিংস্র দখলদারিত্ব শুধু ফিলিস্তিনের জন্য নয়, বরং গোটা বিশ্বশান্তি, স্থিতিশীলতা ও মানবতার জন্য গুরুতর হুমকি। গাজা সিটি দখল ও ফিলিস্তিনি জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার এ ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা অবিলম্বে বন্ধ করতে দখলদার ইসরাইলকে বাধ্য করার জন্য জাতিসংঘ, ওআইসি-সহ শান্তিকামী বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, গাজা উপত্যকার প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অর্থবহ ভালবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য আমি ফিলিস্তিনের জনগণের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সেইসঙ্গে আশা প্রকাশ করছি, ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অর্থবহ সমর্থন, সাহায্য, সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।


শ্রীমঙ্গলে ১৫৭ মণ্ডপে হবে দুর্গাপূজা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পূজার ঘণ্টাধ্বনি। উৎসবকে সামনে রেখে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রীমঙ্গলের মৃৎশিল্পীরা। কল্পনায় দেবী দুর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রূপ ফুটিয়ে তুলতে দিন-রাত সমান তালে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এবছর উপজেলার ১৫৭ টি মণ্ডপে পূজিত হবেন দেবী দুর্গা।

নিখুঁত কারুকার্যে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিমা তৈরি করছেন শিল্পীরা। রঙ-তুলির আঁচড়ে প্রতিমার সাজসজ্জা ও সৌন্দর্য বাড়াতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে, শিল্পীদের ততই ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে।

শিল্পীরা বলছেন, প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভের মুখ তারা খুব একটা দেখছেন না। অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পূজা আয়োজকদের ব্যয়ও বেড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, শহর থেকে পাড়া-মহল্লার প্রতিটি মন্দিরে শোভা পাচ্ছে ছোট-বড় প্রতিমা। বাঁশ, কাঠ, সুতলি, খড় আর কাদামাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। ইতোমধ্যে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, ময়ূর, প্যাঁচা ও দেবী দুর্গার মূর্তি গড়ার কাজ শেষ হলেও সৌন্দর্য বাড়াতে চলছে শেষ মুহূর্তের রঙতুলি। কেউ প্রতিমার হাত-পা তৈরি করছেন, কেউ মাটি লাগাচ্ছেন, কেউ আবার রঙ করছেন— সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কাজ।

প্রতিমা শিল্পী হনু পাল বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিমার চাহিদা অনেক বেশি। তাই দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। বর্তমানে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাদামাটির কাজ চলছে। এরপর রঙের কাজ হবে। সব কাজ শেষ হলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়া হবে। শুধু শ্রীমঙ্গল নয়, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও আমাদের প্রতিমা পাঠানো হয়। আশা করছি এবার লাভও ভালো হবে।’

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সুজিত রায় বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসব জাঁকজমকভাবে উদ্যাপন করা হবে। শ্রীমঙ্গলে প্রায় ১৫৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শ্রেণি বা উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে মিলনমেলার রূপ নেয় বলেই এ পূজাকে সার্বজনীন পূজা বলা হয়।;

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে শহরের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ ও প্রতিমা তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছি এবং আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছি। আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব পালনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মন্দিরের নিরাপত্তার বিষয়েও ব্যবস্থা থাকবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।’

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও প্রতিটি পূজা মণ্ডপে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হবে। পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও টহল দেবে। ঝুঁকিপূর্ণ পূজা মণ্ডপগুলোতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হবে।;

শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রশাসনিকভাবে প্রতিটি পূজা মণ্ডপের তালিকা সংগ্রহ, পরিদর্শন এবং রোডম্যাপ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদ্যাপনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করবে।


গভীর সমুদ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়া ফিশিং বোট এফবি ইভা এর ১১ জন জেলেকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৩০ আগস্ট ২০২৫ তারিখ শনিবার মাতারবাড়ি এলাকা হতে ''এফবি ইভা'' নামক ফিশিং বোট ১১ জন জেলেসহ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে গমন করে। অতঃপর গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে বোটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে ১১ ঘণ্টা যাবৎ সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ফিশিং বোটটি মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় আসার পর, আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার মধ্যরাত ১ টা ২৫ মিনিটে উক্ত বোটের একজন জেলে কোস্ট গার্ডের জরুরি সেবা নাম্বার ১৬১১১ এ কল করে সাহায্যের জন্য আবেদন করলে বিষয়টি কোস্ট গার্ড অবগত হয়।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আজ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ রবিবার সকাল ৯ টায় কোস্ট গার্ড জাহাজ কুতুবদিয়া কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১১ জন জেলেসহ বিকল হওয়া বোটটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হয়।

পরবর্তীতে, উদ্ধারকৃত ১১ জন জেলেসহ ফিশিং বোটটি মালিকপক্ষের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আর্ত মানবতার সেবায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রাখবে।


banner close