শুক্রবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

মহাসড়কে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পথসভা!  

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চেয়ারম্যানপ্রার্থীর পথসভা। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
১৪ মে, ২০২৪ ১১:৩৭
চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২৪ ১১:৩৬

চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যানপদপ্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদী যান চলাচল বন্ধ করে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে পথসভা করেছেন। গতকাল রোববার রাতে চকরিয়া পৌরশহরের কাজী মার্কেট চত্বরে মঞ্চ তৈরি করে এ পথসভা করা হয়। জনসমাগমে সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে প্রায় ৩ ঘণ্টা।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আচরণবিধি অনুযায়ী, জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয় এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করা যাবে না। প্রার্থীদের পক্ষে কোনো ব্যক্তিও অনুরূপ জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন না। কোনো পথসভা করতে হলে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে সভার জায়গা ও সময় সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে, যাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইনশৃঙ্খলার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। এটি উপজেলা নির্বাচন আচরণবিধির ৭ ধারায় সুস্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে; কিন্তু এ ক্ষেত্রে কোনো বিধান মানেনি উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদি।

সড়কের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে যান ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে কর্মী-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে পথসভায় জড়ো হন। এ সময় মহাসড়কের একপাশে যানবাহন ও মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাত ১০টার দিকে পথসভা শেষ হলে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বিকল্প রাস্তা না থাকায় লোকজন ধাক্কাধাক্কি করে কোনো রকমে চলাচল করে। এতে চুরি ছিনতাইয়ের মতো একাধিক ঘটনাও ঘটে।

চেয়ারম্যানপ্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদির এ পথসভায় বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আলম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহীদুল ইসলাম ও পৌর যুবলীগের সভাপতি হাসানগীর হোছাইন।

চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ে জানতে তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মহাসড়কে পথসভা হয়নি। মার্কেটের গাড়ি পার্কিং ও পাশের সড়কে হয়েছে। এর কারণে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, তা ঠিক। তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ চেয়ারম্যানপ্রার্থী সাঈদী দেখবেন।

কক্সবাজারগামী এক পর্যটক বলেন, ‘এ সড়কটি কক্সবাজারের সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। কিন্তু নির্বাচনে প্রার্থীর লোকজন পথসভা করেছেন। এ সভার কারণে যানজটের কবলে পড়ে চকরিয়া পৌরশহর পার হতে প্রায় ৪০ মিনিট সময় লেগেছে।’ এ ব্যাপারে বক্তব্য নিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফজলুল করিম সাঈদীর সঙ্গে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, ‘কাজী মার্কেট চত্বরের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থানে পথসভা করা হয়েছে। আমার জনপ্রিয়তা আছে, জনসমাগম হয়েছে। তবে মহাসড়কে পথসভা করিনি। তারপরও জনসাধারণের সুবিধার্থে আমরা সভা দীর্ঘ করিনি।

মহাসড়কে পথসভার বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মহাসড়কে পথসভা করার খবর জানা নেই। এ বিষয়ে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন। মহাসড়কে পথসভা করে যানবাহন ও মানুষের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে সত্যতা পেলে আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আগামী ২১ মে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি খাদ্য সহায়তায় ডব্লিউএফপি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।

ডব্লিউএফপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার জানানো হয়, গত ২৫ নভেম্বরের এই অগ্নিকাণ্ডের পরে পার্শ্ববর্তী বিটিসিএল গার্লস হাই স্কুলে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলোর মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর (ডিডিএম), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)-এর সহযোগিতায় ১ হাজার ৯শ’ পরিবারকে হাই এনার্জি বিস্কুট (এইচইবি) বিতরণ করেছে ডব্লিউএফপি।

প্রতিটি পরিবার একটি পাঁচ কেজি ওজনের এইচইবি কার্টন পেয়েছে। রান্না বা পানির প্রয়োজন হয় না বলে জরুরি পরিস্থিতিতে এই বিস্কুট অত্যন্ত কার্যকর।

প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটসমৃদ্ধ এইচইবি আগামি কয়েক দিনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে।

ডব্লিউএফপি বাংলাদেশে ১৯৭৪ সাল থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। জরুরি সহায়তা, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি এবং দুর্যোগ-পরবর্তী পুনরুদ্ধারসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে লাখো মানুষকে সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘের এ সংস্থাটি।

শুধু ২০২৪ সালেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল ও একাধিক বন্যার পর ২৮ লাখ মানুষের কাছে খাদ্য, নগদ অর্থ ও পুনরুদ্ধার সহায়তা পৌঁছে দেয় ডব্লিউএফপি।

ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর সিমোন পার্চমেন্ট বলেন, ‘আজকের বিতরণের পরও আমরা স্থানীয় প্রশাসন ও মানবিক অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে ডব্লিউএফপি অতিরিক্ত সহায়তা দিতেও প্রস্তুত। সূত্র: বাসস


সাগরে ধরা পড়ল ১৬৬ কেজির ভোল মাছ

১ লাখ ৮০ হাজারে বিক্রি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ১৬৬ কেজি ওজনের বিরল আকৃতির একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে; যেটি এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার শাপলাপুর বাহারছড়ার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের জালে মাছটি ধরা পড়ে বলে জানান টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।

নৌকার মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মত সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে হঠাৎ জালে বিশাল ভোল মাছটি ধরা পড়ে। নৌকা থেকে ঘাটে মাছটি নামলে উৎসুক জনতা দেখতে ভিড় করেন।

‘এত বড় মাছ তুলতে আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হয়েছে। জীবনে কখনো এত বড় মাছ দেখিনি, তুলতেই হিমশিম খেতে হয়েছে’, বলেন তিনি।

লামার বাজার আড়তে মাছটি তুলে দাম দুই লাখ টাকা চাওয়া হলেও পরে তা বাহারছড়ার ব্যবসায়ী করিম সওদাগর এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় কিনে নেন বলে জানান সাইফুল ইসলাম।

মাছটি ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মাছ ব্যবসায়ী করিম সওদাগর।

স্থানীয় জেলে নুর মোহাম্মদ বলেন, এত বড় ভোল মাছ বহু বছর ধরে তাদের জালে ধরা পড়ে না। বিরল এ মাছটি ধরা পড়ায় এলাকায় উৎসাহ ও কৌতুহল ছড়িয়ে পড়েছে।

মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, শীত মৌসুমে পাঁচ থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত ভোল মাছ জেলেদের জালে আটকা পড়ে। এই মাছ সাধারণত ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন হওয়ায় মাছ বড় হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এতে জেলেরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।


হাতিরঝিল প্রকল্প পেল আন্তর্জাতিক পুরস্কার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল ঢাকার হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ি খাল উন্নয়ন প্রকল্প। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায় হংকংয়ের সিআইসি-জিরো কার্বন পার্কে আয়োজিত এশিয়ান টাউনস্কেপ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডের নকশা করা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রকল্প ‘ইন্টিগ্রেটেড ডেভলপমেন্ট অব হাতিরঝিল এরিয়া ও বেগুনবাড়ি খাল’ পুরস্কৃত হয়েছে।

আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ার হেবিটেট সোসাইটির চেয়ারম্যান প্যাট্রিক লাউ সিংয়ের কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল ইসলাম ও স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেডের পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং স্থপতি ইসতিয়াক জহির।

হাতিরঝিল প্রকল্পটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার নগর কাঠামো, জনসেবামূলক ব্যবহার, জলাধার পুনরুদ্ধার এবং জনবিনোদনমূলক অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের স্থাপত্য ও নগর উন্নয়নক্ষেত্রে একটি তাৎপর্যপূর্ণ অর্জন।

আয়োজিত এশিয়ার টাউনশিপ অ্যাওয়ার্ড যৌথভাবে আয়োজন করেছে ইউএন-হেবিটেট রিজিওনাল অফিস ফর এশিয়া এন্ড দ্য প্যাসিফিক (এএইচএস), ফুকুওকা এশিয়ার আরবান রিসার্চ সেন্টার (ইউআরসি) এবং এশিয়া টাউনশিপ ডিজাইন সোসাইটি এ বছর বিশ্বব্যাপী শহুরে পরিবেশ, জনজীবন, নান্দনিকতা এবং প্রতিবেশগত স্থিতিশীলতায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে এমন ৭২টি প্রকল্প থেকে ১১টি প্রকল্পকে এই পুরস্কার দেয় হয়েছে।


কমলগঞ্জে দু:স্থ পরিবারের মাঝে টিউবওয়েল বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ প্রেসে ক্লাবের আয়োজনে ও ‘ইটারনেল গিভি’এর সহযোগতিায় উপজেলার ২৫টি অসহায় ও দু:স্থ পরিবারের মাঝে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আনুষ্ঠানকিভাবে এসব টিউবওয়েল বিতরণ করা হয়।

কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসহাবুজ্জামান শাওনের সভাপকিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আহমেদুজ্জামন আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমাজসবেক আহসান কবির চৌধুরী (রিপন)।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। প্রবাসীদরে এমন মানবকি সহায়তা সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এসময় প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, ইটারনেল গিভিং-এর র্অথায়নে এবং কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত ২৫টি অসহায় ও দু:স্থ পরিবারকে এই সহায়তা প্রদান করা হয়।


ফ্লাক্সের চা বিক্রি করে সংসার চলে সরিষাবাড়ীর লাভলীর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

ফ্লাস্ক হাতে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে চা বিক্রি করে সংসার চালান জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার লাভলী বেগম (৪৮)। ২০ বছর ধরে স্বামী পরিত্যক্তা হয়ে দোকানে দোকানে ফ্লাক্স হাতে নিয়ে চা বিক্রি করে দিব্যি সংসার চালাচ্ছেন তিনি। মানুষের ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল থাকলে সবাই সম্ভব তারই উদাহরণ যেন লাভলী বেগম। প্রয়োজন একটু সহযোগীতা।

জানা যায়, লাভলী আক্তারের সাথে ৩০ বছর আগে আবুল হোসেন বল্টুর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্মায়। প্রায় ১০ বছর পর স্বামী বল্টু লাভলীকে তালাক দিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে শিমলা পল্লী এলাকার সিটঘরে খলিল হোসেনের বাড়ি ভাড়া নেন। আলহাজ জুট মিলে ড্রয়িং মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে কাজ করে মেয়ে আলোকে বিয়ে দিয়েছেন উপজেলার সানাকৈর এলাকায়। হঠাৎ করে আলহাজ জুট মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেন এই নারী। পরে অন্যের টাকায় ফ্লাস্ক কিনে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ও দোকানে দোকানে চা বিক্রি করা শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত শিমলা বাজারের বিভিন্ন দোকানে দোকানে ঘুরে ৪/৫ ফ্লাস্ক চা বিক্রি করেন তিনি। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৭শ টাকার চা বিক্রি হয়। এতে করে প্রতিদিন খরচ বাদ দিয়ে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা থাকে। যা দিয়ে জীবন চালাচ্ছেন লাভলী। তার এমন করুন অবস্থা দেখে প্রায় ১০ বছর ধরে বাসা ভাড়া না নিয়ে বিনা ভাড়ায় নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন খলিল হোসেন। তার এমন মহানুভবতা ও উদারতা মুগ্ধ করেছে স্থানীয়দের।

বাড়ির মালিক খলিল হোসেন বলেন, লাভলী অনেক বছর ধরে আমার বাসায় ভাড়া আছেন। আগে জুটমিলে চাকরি করত কিন্তু মিল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সংকট ও ধার-দেনায় জরিয়ে পড়েন তিনি। তার স্বামী ও ছেলে নেই। একটা মেয়ে আছে তাকে আমরা এলাকাবাসী সহযোগীতায় বিয়ে দিয়েছি। তার এমন পরিস্থিতি দেখে আমি তাকে বিনা ভাড়ায় আমার বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে দেই। বর্তমানে তিনি আমার বাসায় থেকে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করে জীবন চালাচ্ছে। সরকারি বা কোন সহযোগীতা পেলে হয়তো এই অসহায় মেয়েটির ভাগ্যের পরিবর্তন হবে।

লাভলী বেগম বলেন, স্বামী তালাক দেয়ার পর একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে ছিলাম। মেয়েকে মানুষ করতে পাট মিলে কাজ করেছি। পাটমিল হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। সংসার চালানোর জন্য অন্য কোন উপায় না দেখে অন্যের সহযোগীতায় ফ্লাস্ক কিনে বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলোতে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করি। যা রোজগার হয় তাতেই আমার একার জীবন চলে যাচ্ছে। তবে এখন শরীরে নানা অসুখ হয়েছে। এভাবে ফ্লাস্ক নিয়ে হেটে হেটে চা বিক্রি করতে খুব কষ্ট হয়। তবুও পেটের দায়ে সব কষ্ট মেনে নেই।


যৌন উত্তেজক ওষুধের নামে প্রতারণা, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সারিয়াকান্দিতে যততত্র বিক্রি হচ্ছে এসব ওষুধ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার যুবক আকন্দ (ছদ্মনাম) সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। তার এক বন্ধুর পরামর্শে সপ্তাহে ২ দিন করে বিভিন্ন ধরনের যৌন শক্তিবর্ধক সিরাপ পান করেন। স্থানীয় বাজারের মুদির দোকান থেকে ৭০ টাকা দামে ক্রয় করেন এসব সিরাপ।

এই যুবক জানান, এক বন্ধুর মাধ্যমে এ সিরাপের নাম জেনেছেন। এরপর থেকে কিনে খান। এটা না খেলে মনের দিক থেকে ভয় কাজ করে। এখন এটার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পরেছেন। এটা পান করা ছাড়া স্ত্রীর কাছে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।

এমনকি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে এসব ওষুধ সেবনের ঝুঁকি সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই বলে মন্তব্য করেন এই যুবক।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, যৌন শক্তিবর্ধকের নামে এসব সিরাপ মানবদেহে নানা মরণব্যাধি সৃষ্টির কারণ হয়ে উঠেছে। ওষুধ প্রশাসনের নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগ লাইসেন্স ও সাইনবোর্ড ছাড়া ওষুধের ব্যবসা পরিচালনা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শুধু আকন্দ নামের এই যুবকই নন। পাড়া-মহল্লার কিশোর-যুবক-বয়স্কদের অনেকেই সেবন করছেন এসব ক্ষতিকর সিরাপ। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্ট্যান্ড ও বাজার এলাকার অলিতে-গলিতে পড়ে থাকে এমন ওষুধের খালি বোতল। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি হলেও প্রশাসনের ভূমিকা যেন একেবারেই নীরব।

সরেজমিনে জানা গেছে, এই সকল ওষুধ বা সিরাপের তালিকায় রয়েছে নানা নামের জিনসিন, হ্যাপি, টার্চ, হর্স, থ্রী-হর্স, এ ওয়ান, ফাইট ওয়ান, এ্যানজয় ফ্রটুস্, ইকলিপ নামীয় তরলীকরণ সিরাপ, ওষুধ মুনইশ, পাওয়ার-৩০, এগ্রা, নিশাত, জিগরাসহ বিভিন্ন বেনামী কোম্পানির পণ্য।

অনুমোদনহীন এই সকল ওষুধ বা সিরাপের গায়ে বিএসটিআই, মেয়াদ, উৎপাদন তারিখ ও ব্যাচ নম্বর ও খুচরা মূল্য যথারীতি লেখা থাকেও তা নিয়ে বিষ্মিত অনেকেই। এই সকল ওষুধ শোভা পাচ্ছে উপজেলার পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন ওষুধের ফার্মেসি, হোমিও, ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক দাওয়াখানা, পান-বিড়ির দোকান, মুদি দোকান, হাটবাজারের অস্থায়ী হকারের দোকানগুলোতেও।

ফার্মেসিগুলোতে কথা বলে জানা যায়, যৌনরোগ নিরাময়ে ডাক্তার প্রেসক্রিপশন অনুসারে সাধারণত ভিগোরেক্স, সিলেগ্রা, ডিউমাক্স-৩০, ভায়াগ্রা-৫০, ইনন্টিমেট, বিক্রি হয়ে থাকে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সীমিত পুজি খাটিয়ে এই সকল ওষুধ চুপিসারে উঠতি বয়সি ক্রেতা, প্রাপ্ত বয়স্ক ক্রেতাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত খুচরা বিক্রিতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন সমস্যায় ভুগছেন এমন অনেকেই চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিজে থেকে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকে যৌন উত্তেজক ওষুধ কিনে সেবন করেন। এটি এক সময় অভ্যাসে পরিণত হয়। কিন্তু যারা এভাবে কিনছেন তারা হয়তো জানেনই না প্রকৃত অর্থে তার সমস্যা কী এবং কোথায়।

একইসঙ্গে যে কারণে যৌন সমস্যা হচ্ছে সেটি শনাক্ত ও চিকিৎসা না হওয়ার কারণে শেষ পর্যন্ত আরও খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাত একটু বাড়া মাত্রই উঠতি বয়সি বা প্রাপ্ত বয়স্করা এই সকল সিরাপ বা ওষুধ সরবরাহ বা ক্রয়ে অধিক আগ্রহী হয়ে ওঠে। নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসিগুলোর সামনে দাড়িয়ে থাকে দীর্ঘক্ষণ।

অন্য ক্রেতারা সরে যাওয়ার মাত্র চুপিসারে ক্রয় করেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। তবে প্রতিদিন ক্রয় করা ক্রেতা বিক্রেতার নিকট অনেকটাই পরিচিতি হওয়ায় চেহেরা দেখা মাত্র বিক্রেতা অতি সহজেই দিয়ে দেয় এই উত্তেজক ওষুধ। নগরীর বিভিন্ন ফার্মেসি সম্মুখ আর পাড়া-মহল্লা ঘুরে অনুসন্ধ্যানে এমনই চিত্র উঠে এসেছে।

হাট শেরপুরের ইনসান বলেন, সারিয়াকান্দি বিভিন্ন হাট-বাজার, পথে-ঘাটে ও ফুটপাতে এমন কী বিড়ি-পানের দোকানে দিনদিন বেড়েই চলেছে এসব অবৈধ ওষুধের ব্যবসা। এতে প্রশাসনের কোনো ভূমিকা দেখি না। প্রশাসন যদি কোনো পদক্ষেপ নিত তাহলে জীবনরক্ষাকারী নিম্নমানের ওষুধ যত্রতত্র বিক্রি বন্ধ হতো। এসব বন্ধ না করলে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়েই চলবে। বিক্রেতা জাকির জানান, গ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে দোকানগুলোতে জিনসিন জাতীয় সিরাপগুলো ভালো চলে লাভ বেশি তাই, দোকানদাররা আগ্রহ সহকারে বিক্রি করে।

চর্ম, এলার্জি, যৌন ও কুষ্ঠ রৌগ বিশেষজ্ঞ ডা. কোরবান আলী (রনি) বলেন, পুরুষের ইরেকটাল ডিসফাংশনের জন্য সাধারণত ওষুধ দেওয়া হয়, যা কিছু ব্র্যান্ডের নামে পাওয়া যায়। মূলত এই ওষুধগুলো যৌন উত্তেজক ওষুধ হিসেবে চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশনে দিয়ে থাকেন। কার জন্য কোন ওষুধ এবং কত ডোজে দেওয়া প্রয়োজন সেটি একজন চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে কথা বলে, পরীক্ষা করে নির্ধারণ করেন।

এসব ওষুধ সেবনে তাৎক্ষণিকভাবে দৈহিক মিলনে স্থায়িত্ব বাড়ালেও শরীরের রক্তচাপ অনেক বেড়ে যায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।


নড়াইলে গাঁও-গেরামের স্বভাব কবির মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলে গাঁও-গেরামের স্বভাব কবি বিপিন সরকারের ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নড়াইল পৌর সভার বাহিরডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় কবির মৃত্যুদিন পালনে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল কবির সমাধি এবং প্রতিকৃতিতে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ, এক মিনিট নীরবতা,স্মরণ সভা। স্বভাব কবি বিপিন সরকার স্মৃতিরক্ষা পরিষদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিপিন সরকার স্মৃতি রক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মায়া রানী বিশ্বাস দৈনিক বাংলাকে বলেন, ১৯২৩ সালে কবি নড়াইল পৌরসভার বাহিরডাঙ্গা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে তিনি নিজ বাড়িতে দেহ ত্যাগ করেন। কবিকে ধরে রাখতে মৃত্যুর পর থেকেই প্রতি বছর তার জন্ম এবং মৃত্যু দিবস পালিত হয়ে আসছে। তিনি বলেন, কবি প্রায় একশর মতো কবিতা, দুইশর মতো হালই গান, ৫০টির মতো অষ্টক গান রচনা করে গেছেন।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সহসভাপতি বিদ্যুৎ স্যান্নাল। স্বাগত বক্তব্য দেন, স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. মায়া রানী বিশ্বাস। বক্তব্য দেন, লেখক সুবাষ বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শঙকর কর্মকার, সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল হাজরা, হীরক গোস্বামী, মো. তরিকুল ইসলাম, কবির ছেলে বিজন বিশ্বাস অনেকে।

বক্তারা বলেন, বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন স্বভাব কবি বিপিন সরকার। শিল্পী সুলতান কবিকে খবর দিয়ে বাড়িতে এনে তার লেখা কবিতা, গান, হালই নিয়মিত শুনতেন। তার রচিত বিভিন্ন গান দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শুনতেন এবং গাইতেনও। তরি রচিত গান খুলনা বেতারে গাওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া নড়াইলের বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের কৃষক জমিতে কাজ করার সময়, নৌকার মাঝিরা নৌকা চালানোর সময় কবির গান পরিবেশন করে থাকেন। তিনি শুধু সুলতানেরই বন্ধু ছিলেন না। কবিয়াল বিজয় সরকার ও জারী সম্রাট মোসলেম উদ্দীন বয়াতিরও বন্ধৃ ছিলেন। ক্ষণজন্মা এই স্বভাব কবির মৃত্যুতে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ মর্মাহত।


খুদে লেখকের জন্মদিনে গাছের চারা বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে গাছের চারা বিতরণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রুদ্রদীপ নামে এক শিশুর জন্মদিন উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী ঘুরে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২১৭টি গাছের চারা বিতরণ করেন শিশুটির বাবা রাজীব পাল রনি ও মা পূর্ণিমা পাল।

ছেলেটির বাবা বলেন, আমাদের দেশে পরিবেশ দূষণ দিন দিন বেড়েই চলছে। পরিবেশকে সুন্দরভাবে দূষণমুক্ত রাখতে গাছের বিকল্প নেই। আসলে গাছ মানুষের পরম বন্ধু। সবুজ পৃথিবীর বার্তা দিতে তাই তাদের একমাত্র সন্তান রুদ্রদীপ পালের জন্মদিন উপলক্ষে প্রতি বছর গাছের চারা বিতরণ করেন তারা।

কয়েকটি পর্বে চারা বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তানিয়া খাতুনকে একটি নিম গাছের চারা উপহার দেন রুদ্রদীপ পাল। তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি মহান উদ্যোগ। ব্যতিক্রমধর্মী এই কর্মসূচির মাধ্যমে গাছ বিতরণের পাশাপাশি জন্মদিনে গাছ উপহার দেওয়ার সংস্কৃতি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। জানা গেছে, ছেলে রুদ্রদীপ জন্মগ্রহণ করার পর থেকে সাত বছর ধরে তার জন্মদিন উপলক্ষে চারা বিতরণের আয়োজন করে আসছেন এ দম্পতি। শুধু টঙ্গীবাড়ীতে নয়, তারা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে টঙ্গীবাড়ী থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে মুন্সীগঞ্জ জেলা সদরের বিভিন্ন প্রান্তে পথচলতি মানুষের হাতে গাছের চারা তুলে দিয়েছেন।

গাছ বিতরণের পাশাপাশি টঙ্গীবাড়ী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শিশুদের আঁকার বিষয় ছিল উন্মুক্ত। প্রতিযোগিতায় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের গাছ ও কলম উপহার দেওয়া হয়। অন্য শিক্ষার্থীদেরও একটি করে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়।

কৃষ্ণচূড়া, বকুল, কাঁঠাল, পেয়ারা, বহেরা, হরতকি, চালতা, নিম, কাগজি লেবু, জাম, কাঠবাদাম, সোনালু, বেলসহ বিভিন্ন ধরনের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা শিশুদের মাঝে তুলে দেওয়া হয়।

সার্বিক সহযোগিতা করেন বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার। জানা গেছে, রুদ্রদীপ পালের জন্ম ২৮ নভেম্বর। চলতি বছর এ দম্পতির ছেলে ৭ থেকে ৮ বছরে পা দিয়েছে। আর প্রতি বছর ছেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভালো কাজের অংশ হিসেবে গাছের চারা বিতরণ করবেন এ দম্পতি। রুদ্রদীপ পাল বিভিন্ন প্রতিভার অধিকারী। তিনি একজন খুদে লেখক। কালের কণ্ঠ, সমকাল, ইত্তেফাকসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় তার লেখা ও কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।


রূপগঞ্জে সকাল-বিকাল মাছের মেলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

গত মঙ্গলবারের কথা, তখনো ভালো করে সকালের আলো ফোটেনি, ঘুমিয়ে আছে পাড়া। হালকা ভাঙা মেঘের ভেতর থেকে অনেক দূরে সূর্য একটু একটু করে জাগছে। পথের দুই পাশের গ্রামগুলো ঘুমিয়ে আছে তখনো। শুধু বালুর সড়কের মাথায় অল্পকিছু মানুষের দেখা পাওয়া যায়। তারা সবাই মৎস্য ব্যবসায়ী। তারা জেলেদের কাছ থেকে তাজা মাছ কিনে দূরের শহরে যাবেন, কেউ যাবেন গ্রামের দিকে। এ এক অন্য রকম সময়।

এক দিকে সকাল হয়। পূর্বের আকাশে সূর্য ওঠে। আর অন্য দিকে চলে মানুষের স্রোত। কারণ নগরপাড়া বাজার-সংলগ্ন বালুর সড়কে বসেছে মাছের মেলা। এখানে পাওয়া যায় পুকুর ও নদীর মিঠা পানিতে বেড়ে ওঠা ছোট-বড় নানা তরতাজা মাছ। সুস্বাদু মাছই এই অস্থায়ী হাটের মূল আকর্ষণ। লোকজন আসছে, দরদাম করে মাছ কিনছে। গত বুধ ও বৃহস্পতিবার রূপগঞ্জ উপজেলার নগরপাড়া এলাকায় বসা মেলায় এই দৃশ্য দেখা গেছে।

সকাল বেলার কয়েক ঘণ্টার হাটে তখন চিংড়ি, পুঁটি, টেংরা, কই, শিং, মাগুর এসব মাছ উঠেছে। ডালার মধ্যে মাছগুলো তখনো তরতাজা, নড়ছে, লাফাচ্ছে। এই হাটে পাইকারি ক্রেতাই বেশি। এরা এই হাট থেকে মাছ কিনে কেউ বড় কোনো শহরে নিয়ে যান। কেউ গ্রামের দিকে ফেরি করে এই মাছ বিক্রি করেন। ক্রেতাদের কাছে এখানকার মাছের চাহিদা বেশি।

সারা বর্ষাকাল জুরেই থাকে এ মেলা। তবে এ সময়টাতেও সকাল-বিকাল পাওয়া যায় বিভিন্ন জাতে মাছ। আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে জেলেরা পুকুর-বিল সেচে মাছ নিয়ে আসে। স্থানীয় লোকজনরা কিনে। শহরের লোকেরাও গাড়ি থামিয়ে মাছ কিনে নিয়ে যায়। এই এলাকার যে মেয়েগুলো এখন দূরের কোনো গায়ের গৃহবধূ, তারা বাবার বাড়ি আসেন। সঙ্গে স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে আসেন। নিমন্ত্রণ করা হয়েছে আত্মীয়-স্বজনকে। মাছ ভাজা হয়। নানা পদের তরকারি রান্না করা হয়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মজা করে খান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দূর-দূরান্ত থেকে দলে দলে লোকজন মাছ কিনতে আসছে। সবাই সাধ্যমতো মাছ কিনে বাড়ি ফিরছে। সবার হাতেই একটি করে মাছের ব্যাগ। যাদের হাতে ব্যাগ নেই, তাদের হাতে ঝুলছে দেখার মতো বড় মাছ।

মাছ ব্যবসায়ী নজরুল মিয়া বলেন, ‘প্রত্যেক দিন সকাল ৫টার সময় আইয়া (এসে) ইছা (চিংড়ি) মাছ কিনি (ক্রয় করি)। বেশি কিনি ইছা মাছই। তবে পুঁটি, ট্যাংরা ছোট মাছ যা পাই তাই কিনি। সুন্দর সুন্দর মাছ আছে।’ আশিক মিয়া বলেন, ‘দুজন মাইনসে (মানুষে) ১০-১২ হাজার টাকার একখান নাও খাটায়, জাল খাটায়। ইছা মাছ ধরলে এক হাজার, ৮০০ টাকা পায় (পাচ্ছে)। অন্য কিছু মারলে (অন্য জাতের ছোট মাছ ধরলে) ২০০-৩০০ টাকা পায়। এর লাগি বেশি ইছা মাছ মারে (ধরে), কোনো রকম পেট বাচার।’

প্রায় ১৫ বছর ধরে সকাল-বিকেল এই হাট বসছে। সকাল ৫-৬টা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতার আসা শুরু হয়, হাট চলে সকাল প্রায় সকাল ৯টা পর্যন্ত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, শুনেছি আমাদের অনেক অফিসাররাও নাকি এখান থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান। চাষের মাছের যুগে মিঠা পানির মাছ তো পাওয়াই যায় না।


সুনামগঞ্জের মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন নারীরা

বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়, লাভ কম পেয়ে হতাশ মৃৎশিল্পীরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জের বেহেলী ইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম, হাওরের পাড়ে অবস্থান হওয়ায় সড়ক যোগাযোগে এখনো পিছিয়ে। বর্ষায় পুরো এলাকা হয়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন, আর শুষ্ক মৌসুমেও মাটির পথ পেরিয়ে পৌঁছানো কষ্টসাধ্য। তবুও এই প্রত্যন্ত গ্রামটিতে বেঁচে আছে এক অমূল্য সংস্কৃতি মৃৎশিল্প। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধরে গ্রামের নারীরা তৈরি করছেন মাটির কলস, হাঁড়ি, সরা, থালা, পেয়ালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পুতুল।

হাওরের বিশেষ এক ধরনের মাটিতেই তৈরি হয় এসব শিল্প। হাওরের চিকনা মাটি তুলে এনে শুকিয়ে তা প্রস্তুত করেন বিভিন্ন পণ্য তৈরির জন্য। মাটির কাজের ধাপ অনেক। প্রথমে মাটি সংগ্রহ ও পরিষ্কার করা হয়। তারপর তৈরি হয় গোল আকারের কাঁচামাল। এরপর নিচে রেখে ঘুরিয়ে তাতে হাতে আকার দেওয়া হয় কলস, সরা, থালা কিংবা পুতুলের। আকার ঠিক হলে রোদে শুকানো হয়। পরে আগুনে পোড়ানো হয় পণ্যগুলো। আগুনে পোড়ানোর পরই এগুলো ব্যবহারের যোগ্য হয়ে ওঠে।

গ্রামবাসী বলছেন, একসময় হাওর অঞ্চলে মাটির হাঁড়ি পাতিল, কলস, সরা ও পুতুলের ব্যাপক চাহিদা ছিল। সেই সময় মৃৎশিল্পই ছিল ঘরোয়া ব্যবহারের প্রধান উপকরণ। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামে গ্রামে সিলভার ও প্লাস্টিকের পণ্যের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এই শিল্প এখন হারিয়ে যাওয়ার মুখে। তবুও পূর্বপুরুষের পেশা আঁকড়ে ধরে নারীরা এখনো টিকিয়ে রেখেছেন শত বছরের এই ঐতিহ্য। তবে সমস্যা বেড়েছে উৎপাদন ব্যয়ে। হাওরে বিশেষ ধরনের মাটি পাওয়া গেলেও আগুনে পোড়ানোর জন্য আগের মতো জ্বালানি বন আর পাওয়া যায় না। এতে বাধ্য হয়ে বাজার থেকে লাকড়ি কিনতে হচ্ছে তাদের। প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি বেড়ে গেছে। অথচ বাজারে সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। ফলে পরিশ্রমের তুলনায় লাভ কম পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ছেন মৃৎশিল্পীরা। তবুও গ্রামের নারীরা আশা ছাড়েননি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে আবারও এই শিল্প ফিরে পাবে তার পুরোনো দিন।

স্থানীয় মৃৎশিল্পী শিখা রানী পাল বলেন, আমার দিদিমারা করতেন। পরে মা করেছে, এখন আমরা করছি। একসময় বদরপুর গ্রামে প্রায় সব বাড়িতেই মাটির হাঁড়ি-পাতিল তৈরি হতো। এখন সংখ্যায় কমে গেলেও কিছু পরিবার এখনো এই কাজে জড়িত। পুরুষরা হাওর থেকে মাটি সংগ্রহ করে দিল পণ্য তৈরি করেন নারীরাই।

তিনি বলেন, মৃৎশিল্পের পণ্যগুলো স্থানীয় বাজারে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম কমে যাওয়ায় আগের মতো লাভ নেই। বাজার দরে একটি পাতিল ১০ টাকা, সরা ৫ টাকা ও মাছ ধরার জালের কট হাজারে একশ’ টাকায় বিক্রি করতে পারি।

গ্রামের আরেক মৃৎশিল্পী মিনতি রানী পাল বলেন, আগে মানুষের ঘরে ঘরে মাটির হাঁড়ি-পাতিল ছিল। এখন সবাই স্টিল আর প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করে। এ জন্য চাহিদা কমেছে। একই সঙ্গে দামও কমেছে। তবুও উৎসব বা বিশেষ অনুষ্ঠান এলেই আমাদের পণ্য লাগে। মেলায় মাটির পুতুলের চাহিদা থাকে। অন্য সময় মাছ ধরার জালের কটির চাহিদা থাকে। সামান্য বিক্রি করতে পারি পাতিল ও সরা।

মৃৎশিল্পী শ্যামল পাল বলেন, বাচ্চাদের খেলনার চাহিদা রয়েছে। বড়-ছোট অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হয়। হাড়ি-পাতিলও একেকটির একেক দামে বিক্রি করা যায়। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করতে হয়। কোথাও মেলা হলে সেখানেও বিক্রি করা যায়।

গ্রামের বাসিন্দা যোগবন্ধু পাল বলেন, সিলভার-প্লাস্টিক বের হওয়ায় মাটির জিনিসের মান কমেছে। এখন পূজা, পার্বণে ও মেলায় এগুলো চলে। এতে হাড়ি পাতিল বানিয়ে বিক্রি করে এখন আর সংসার চলে না। আগে চলেছে। তাই অনেকে এই পেশা বাদ দিয়ে কৃষি ও মাছ ধরায় যাচ্ছেন। কেউ কেউ শহরে কাজের উদ্দেশ্যে চলে যাচ্ছেন।

সুনামগঞ্জ বিসিকের উপব্যবস্থাপক এমএনএম আসিফ বলেন, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জসহ আরও কয়েকটি উপজেলায় মৃৎশিল্পের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয়। যারা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত তারা পারিবারিকভাবে বংশপরম্পরায় এটি ধারণ করেন। এটির যেমন আর্থিক গুরুত্ব রয়েছে, তেমন ঐতিহ্যগত গুরুত্বও রয়েছে অনেক।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক পণ্যের সঙ্গে তাদের লড়াই করতে হয়েছে। এ জন্য তারা আগের মতো লাভবান হতে পারছেন না। এ জন্য তাদের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিসিক কাজ করছে। বিপণনে সযোগ বাড়াতে আমাদের অনলাইন ডাটাবেজে তাদের যোগ করার কাজ চলছে। এভাবে সারাদেশের ক্রেতারা সরাসরি মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য কিনতে পারবেন। এছাড়া কেউ যদি আর্থিকভাবে সহযোগিতা চার যাচাই-বাছাই করে তাদের সহযোগিতা করার সুযোগ রযেছে।


১০ মাসে ৭১০ কোটি টাকা চোরাচালান আটক: বিজিবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ মাস ২৫ দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭১০ কোটি ৮১ লাখ টাকা মূল্যের চোরাচালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সরাইল রিজিয়নের ইউনিটগুলো। এসব অভিযানে মোট ৩৯৪ জন চোরাকারবারির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহে অবস্থিত বিজিবির-৩৯ ব্যাটালিয়নে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সেক্টর সদর দপ্তর ময়মনসিংহের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, বিজিবির সরাইল রিজিয়নের অধীনস্থ ৪টি সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন সমূহের অদম্য অভিযানে চোরাচালন, মাদকপাচার, পুশইন, জালনোটপাচার এবং অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন প্রতিরোধ করতে নিরলসভাবে কাজ করেছে। বিজিবির উত্তর-পূর্ব এ রিজিয়নের অন্তর্ভুক্ত ময়মনসিংহ, সিলেট, শ্রীমঙ্গল ও কুমিল্লা সেক্টর। এসব সেক্টরের অধীনে থাকা ইউনিট সমূহ গত জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযানে এ সাফল্য অর্জন করেছে। এটি বাংলাদেশে একটি নতুন মাইলফলক। উল্লিখিত সময়ে বিজিবির সরাইল রিজিয়ন মোট ৭১০ কোটি ৮১ লাখ টাকার মূল্যের চোরাই পণ্য আটক করেছে। যার মধ্যে মাদক ৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা মূল্যের। এসব চোরাচালান আটকের পাশাপাশি দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত সুরক্ষায় অবৈধ অনুপ্রবেশ (পুশইন) প্রতিরোধ করেছে। অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন রোধেও অভিযান পরিচালনা করেছে সরাইল রিজিয়নের ইউনিট সমূহ। এসব অভিযানে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫৬ ঘনফুট বালু ও ৪ লাখ ৯১ হাজার ৮৪২ ঘনফুট পাথর জব্দ করেছে। এসব অভিযানে ২৭টি ট্রাক, ৭৫টি ট্রলি, ৫৫টি ট্রাক্টর, ১৮টি লরি ও ৪০টি নৌকা জব্দ করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে সুরক্ষিত থাকে সীমান্তে জালনোট পাচার রোধে গোয়েন্দা কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নেরও জবাব দেন কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সীমান্তে যেন কোনো ধরনের দুষ্কৃতিকারী তৎপর না হয় সে জন্য বিজিবি বিশেষ নজরদারি করছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজিবির কোনো সদস্য সীমান্তের চোরাচালান ও অন্য কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে পরে কি না, সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখা হয়।


রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও ৩.৬ মাত্রার ভূমিকম্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আবারও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয় বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এটা স্বল্পমাত্রার ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর ঘোড়াশালে।

গত শুক্র ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবারের ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় কয়েকশ’র বেশি মানুষ। সূত্র: বাসস


প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটালো জেলা প্রশাসকের হুইল চেয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় চলাচলে অক্ষম অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত ও অন্যের সাহায্যে চলাফেরা করা এমন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসকের হাত থেকে বিশেষ এ সহায়তা পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী ও তাদের পরিবারের লোকজন।পরে তিনি প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

এদিন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতর ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে উপজেলার ২৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্য হুইল চেয়ার, ২১ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন ও ১৩ টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বলে জানাগেছে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল হক,উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার মোজাম্মেল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও পুটিজানা ইউনিয়নের প্রশাসক রওশন জাহান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


banner close