রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা

ফাইল ছবি
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৪ ০০:২৭

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সারা দেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়-

ফরিদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামান বাবুল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।

অন্যদিকে সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।

বিজয়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজালাল মিয়া আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাাচিত হয়েছেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কসবা উপজেলায় ছায়েদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাউসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।

অন্যদিকে আখাউড়া উপজেলায় মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।

রাঙামাটি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রিয়াজ উদ্দীন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট।

অন্যদিকে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীকে ৭ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট।

অপরদিকে বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ফলাফল ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকের বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই উপজেলায় মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস ও কালীগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর কবির তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৮টি ভোট

কালীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৫০ ভোট।

পিরোজপুর

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুর জেলার দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও কাউখালী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মোট ১২২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুল হক বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।

নেছারাবাদ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হক আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মুইদুল ইসলাম মোটরসাইল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫২০ ভোট।

অন্যদিকে কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ঘোড়া প্রতীকে ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৪ ভোট।

ঝালকাঠি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান খান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট।

অন্যদিকে নলছিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

বাগেরহাট

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বাগেরহাটে ফকিরহাট, মোল্লাহাট,ও চিতলমারী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ওহিদুজ্জামান বাবু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনরস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাস পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৩৭ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

চিতলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়াল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৬৩ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৫.৭৫ শতাংশ।

অন্যদিকে মোল্লাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিনুর আলম ছানা। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা শেখ নাসির উদ্দীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৩.৭৭ শতাংশ। জেলায় গড় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৪ শতাংশ।

যশোর

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছা উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

অন্যদিকে শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট।

রাজশাহী

দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগমারা উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম সান্টু। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৩২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক সরকার ওরফে আর্ট বাবু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২১ ভোট।

পুঠিয়া উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সামাদ মোল্লা। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৯ ভোট।

অন্যদিকে দুর্গাপুর উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ সরদার পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৩২ ভোট।

সাতক্ষীরা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সাতক্ষীরার আশাশুনি, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৭০৭ ভোট।

অপরদিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাচনে মো. আল ফেরদাউস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৫২ ভোট।

এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাচনে ঘোষ সনৎ কুমার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ৪৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার মশিয়ার চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৩ ভোট।

বিষয়:

গজারিয়ায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে দেহ ব্যবসা

৩ নারী যৌনকর্মীসহ আটক ৫
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকায় একটি আবাসিক হোটেল থেকে অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ৩ নারী যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন ভাটেরচর নতুন রাস্তা এলাকার 'ফ্রেশ ভাটেরচর গেস্ট হাউস এন্ড রেস্টুরেন্টে' অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার তমা আক্তার (২৮), জামালপুরের সাথী আক্তার (২০), পটুয়াখালীর শামীমা আক্তার (২২), গজারিয়ার বর্ষা (১৮) ও সুমন মিয়া (২৫)।

স্থানীয়রা জানায়, এই বাড়িটির মালিক স্থানীয় রাসেল মিয়া। তবে বেশ কয়েক মাস আগে নারায়ণগঞ্জের দেলোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বাড়িটি ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা শুরু করেন। হোটেলটিতে নিয়মিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের যাতায়াত করতে দেখা যেত। বিশেষ করে রাতের বেলায় ছেলে-মেয়েদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যেত এই হোটেলে। আবাসিক হোটেলের আড়ালে এখানে দেহ ব্যবসা হয় এটা নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী এবং পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে রোববার দুপুরে কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী সেখানে প্রবেশ করলে হাতেনাতে ৩ নারী যৌনকর্মী ও এক প্রেমিক-প্রেমিকা যুগলকে ধরে ফেলেন। এদিকে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে হোটেল পরিচালনাকারীরা ভবনটির প্রধান ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে। পরে ৩ নারী যৌনকর্মীসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, ‘দিনের বেলা এই হোটেলটিতে তেমন কারো আনাগোনা আমরা দেখতাম না। আমরা ভাবতাম লোকজন না আসলে হোটেল কিভাবে চলে? কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম এখানে যৌনকর্মী এনে দেহ ব্যবসা করা হয়। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত আমরা তাদের বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা আল আমিন বলেন, ‘গজারিয়ার মাটিতে এই অপকর্মের বীজ যারা রোপন করেছে তাদের বিরুদ্ধে আলেম-ওলামা একজোট হয়ে ব্যবস্থা নিবে। এই ধরনের অপকর্ম গজারিয়ার মাটিতে আমরা মেনে নিব না।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাড়ি মালিক রাসেল মিয়ার বক্তব্য জানতে তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ওই হোটেলটিতে অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনকে আটক করা করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন পেশাদার যৌনকর্মী আর বাকি দুজন প্রেমিক-প্রেমিকা। দণ্ডবিধির ২৯০ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে’।


তৌহিদী জনতা ও বাউল ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় গ্রেপ্তারকৃত- বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তি ও ফাঁসির দাবিকে কেন্দ্র করে তৌহিদী জনতা ও বাউল ভক্তদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। রোববার বেলা মানিকগঞ্জ শহরের মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার পর মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় থমথমে ও জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে পালাগানে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ও বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভের কর্মসূচি ডাকেন। অপর দিকে বেলা ১১টার দিকে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশের ডাক দেন বাউল শিল্পী ও ভক্তরা। এরপর সকাল ৯টার দিকে ইসলাম ধর্ম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে ও বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ শেষে মানববন্ধন নিয়ে মানিকগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আসলে, পাশের দক্ষিণ পাশে মানববন্ধন ও সমাবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন বাউল শিল্পী ও ভক্তরা। এ সময় বাউল শিল্পী ও ভক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে তৌহিদী জনতার উপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একপর্যায়ে মাঠের পাশে পড়ে থাকা বাঁশ-লাঠি দিয়ে বেশ কয়েকজন তৌহিদী জনতাকে আঘাত করে। এরপর তৌহিদী জনতা ও বাউল শিল্পীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা হয় এবং তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ফিরোজ বলেন, বাউল শিল্পী ও ভক্তরা ইচ্ছা করে তৌহিদী জনতার উপর আক্রমণ করে। তাদের হামলায় আমাদের ৫ জন আহত হয়েছে। আহতরা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডের কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকা সনিক বাংলাদেশ লিমিটেড কারখানা দ্রুত চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিকরা। রোববার বেলা ১১টার দিকে ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা উত্তরা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালকের বরাবর স্মারকলিপি জমা দেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শ্রমিক নাজমুল হোসেন, শরিফুল মণ্ডল, রাবেয়া বেগম, আসমা বেগম, ইয়াসমিন, রুবেল রানা, আব্দুর রহমান ও সুজন ইসলামসহ অনেকে। ‘আন্দোলন হটাও, ইপিজেড বাঁচা’- এ স্লোগানে কর্মসূচিতে অংশ নেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকরা জানায়, ‘কারখানাটি শুধু কর্মস্থল নয়- এটি আমাদের জীবিকা, আমাদের পরিবারের ভবিষ্যতের ভরসা। শান্ত ও স্থিতিশীল কর্মপরিবেশ বজায় রাখা সবার দায়িত্ব। কিন্তু কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। নিজেদের ও পরিবারের স্বার্থে উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।’

তারা আরও বলেন, ‘আমরা আর কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না, কোনো আন্দোলন চাই না। আমরা শুধু আমাদের কর্মস্থল ফেরত চাই। ইপিজেড চললে শ্রমিক বাঁচবে, শ্রমিক বাঁচলে পরিবার বাঁচবে।’

প্রসঙ্গত, ২৬ দফা দাবি নিয়ে গত ১৬ নভেম্বর সনিক ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। ১৭ নভেম্বর মালিকপক্ষ দাবি মেনে নিলেও কিছু শ্রমিক এতে অসন্তুষ্ট হন। এরপর ১৮ নভেম্বর শতাধিক শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে কর্মবিরতি পালন করেন। কাজে ফিরতে অস্বীকৃতি ও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় একই দিন কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে।


মাগুরা প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী পরিষদের বর্ষপূর্তি উদযাপন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

গণতান্ত্রিক ধারায়, উন্নয়নের অগ্রযাত্রার স্লোগানে মাগুরা প্রেসক্লাবের ত্রি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী পরিষদের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভা, কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন অত্র ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ড. মুসাফির নজরুল, শালিখা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আব্দুর রব, মহম্মদপুর প্রেক্লাবের সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল, মাগুরা প্রেসক্লাবের শরিফ তেহরান আলম টুটুল, শাহিন আলম তুহিন, শরিফ স্বাধীন, শরিফ আনোয়ারুল হাসান রবিন, খায়রুজ্জামান সবুজ, নাঈমুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী মাগুরা প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি এক বছরে ক্লাবের সার্বিক উন্নয়ন এবং সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছেন যা প্রশংসার দাবি রাখে।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মাগুরা প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মাসুম বিল্লাহ কলিন্স।

আলোচনা শেষে বর্ষপূর্তির কেক কেটে সকলে মিষ্টি মুখ করেন। পরে সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের শতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।


বিসিএসের সময় পরিবর্তনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাকৃবি প্রতিনিধি

৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সময় পেছানোর দাবিতে আন্দোলনরত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় দিনের মতো রেলপথ অবরোধ করেছেন। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাকৃবির জব্বার মোড়ে অবস্থিত রেলপথ অবরোধ করলে এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সকালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড় এলাকায় দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়ে রেলপথ অবরোধ করে, পাশপাশি মহুয়া কমিউটার ও বলাকা কমিউটার ট্রেনও আটকে পড়ে।

এ সময় ৪৭ তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচিকে ‘অবাস্তব ও বৈষম্যমূলক’ উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সম্মতি জানিয়ে এই রেল অবরোধ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পিএসসি যদি দাবি না মানে, তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে অগ্রসর হবো।’

এর আগে গত শনিবার রাত আটটার দিকে রেল অবরোধ করে ৪৭ তম বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়ে প্রতিবাদ জানান অবরোধে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীরা। তার আগে বিকেল ৫টায় একই দাবিতে একই এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রাত ৮টার দিকে বিসিএস পরীক্ষার প্রবেশপত্র পুড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানিয়ে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এরপর রাত ১১টার দিকে আবারও জব্বারের মোড়ে রেললাইনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের তারাকান্দিগামী যাত্রীবাহী যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকে দেওয়া হয়। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বোঝানোর একপর্যায়ে এক ঘণ্টা পর রাত ১২টার দিকে বাকৃবির জব্বার মোড়ে অবস্থিত রেললাইন থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরে যায়। পরে ওই রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।


নরসিংদী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেছেন, ৩ দিন পরও ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। আনুমানিক শতাধিক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি, ৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। আগামী বুধবার ঢাকা থেকে বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল নরসিংদীতে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো পরিদর্শন করার পর ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যাবে বলে জানান তিনি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল দপ্তর প্রধানকে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করার নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

ভূমিকম্প ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর বিষয়ে নরসিংদী জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা শেষে রোববার দুপুরে এসব তথ্য জানান- জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন।

জেলা প্রশাসক বলেন, নরসিংদীতে ক্ষতিগ্রস্ত বহুতল ভবনগুলো বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ হয়েছে কি না- সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যতে সবাই যেন বিল্ডিং নিয়ম কানুন মেনে ভবন তৈরি করেন সে বিষয়ে সবাই সচেতন থাকার অনুরোধ করেন। ভূমিকম্পের যেহেতু কোন পূর্বাভাস হয় না, সেহেতু কাউকে আতংঙ্কিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় জেলা সিভিল সার্জন, জেলার ৬ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসকরাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

গত শুক্রবার সকালে প্রথম দফার পর শনিবার সকাল ও সন্ধ্যায় আরও দুদফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসব ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদী।

প্রথম দফার ভূ-কম্পনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় (পুরাতন), পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৪টি আবাসিক ভবন, সার্কিট হাউজ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ভবন ও প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় শতাধিক মানুষ আহত ও ৫ জন নিহত হয়েছেন।


নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট কারখানায় বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বসুন্ধরা সিমেন্ট কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করা হয়েছে। গত শনিবার রাতের দিকে বন্দর থানা এলাকার মদনগঞ্জে ওই কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- ফেনীর নাহিদ হাসান (২২), পাবনার কামাল হোসেন (৪৫), নোয়াখালীর তাইজুল ইসলাম (৩৫), জামালপুরের ফেরদৌস (৩৫), কুষ্টিয়ার তোরাব আলী (৫৫) ও নারায়ণগঞ্জের আতিকুর রহমান (৪২)।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. রহিম জানান, রাত ৭ টার দিকে কারখানায় বয়লার থেকে বিস্ফোরণ হলে তারা ৬ জন দগ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে নেওয়া ৬ জনের শরীররই মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়েছে। তাদের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে নাহিদ হাসান ৪০ শতাংশ, কামাল হোসেন ২৬ শতাংশ, তাইজুল ১২ শতাংশ, ফেরদৌস ১০ শতাংশ, তোরাব ১৬ শতাংশ এবং আতিকুর ২৭ শতাংশ শরীর দগ্ধ হয়েছেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, সিমেন্ট কারখানার বয়লার রুমে চুল্লিতে কয়লা দেওয়ার সময় উত্তপ্ত কয়লা ছিটকে কয়েকজন শ্রমিকের গায়ে পড়ে। এতে ছয়জন শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, কয়লার আগুনে ছয় জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।


বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
‎‎হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

‎মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিতর্কিত বাউল শিল্পী আবুল সরকারের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা চত্বরের সামনে তাওহিদী জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

‎‎অনুষ্ঠানে উপজেলার দরিকান্দি সারওয়ার হোসেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মুফতি রমজান আলী রাফিকীর সভাপতিত্বে ‎বক্তব্য রাখেন, লেছড়াগঞ্জ বাজার জামে মসজিদের পেশ ইমাম মসজ আলহাজ হাফেজ মাওলানা আলী আজম, উপজেলা তাবলিগ জামায়াতের আমীর মাওলানা নিজাম উদ্দিন, সাটি নওদা তালিমূল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি নাসির উদ্দীন, পাটগ্রাম মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

তাওহিদী জনতার সমন্বয়ক শামীম হোসেন টিটু সঞ্চালনায় বক্তৃতারা বলেন, মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহপাক রব্বুল আলামীনের নামে অশিক্ষিত গানের বয়াতি যে কটূক্তি করে কথা বলেছে এ জন্য তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা এই আবুল সরকসরের ফাঁসির দাবি করছি। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে বরাবরই গানের মঞ্চে হাদিস কোরআনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুলভাল বুঝিয়ে আসছে এবং ইসলামের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। দেশের তাওহিদী জনগণ আর এসবকে প্রশ্রয় দেবে না। ইসলামকে অক্ষুণ্ণ রাখতে এদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।

‎বক্তরা আরও বলেন, ‎আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাবি করছি, এই ভণ্ড আবুল সরকার যেন আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হতে না পরে। আমরা তার ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি।

‎‎মানববন্ধন শেষে উপজেলা চত্বরে একটি মিছিল বের করা হয়। তাওহিদী জনতাসহ অন্যান্য শ্রেণি-পেশার জনগণও উপস্থিত ছিলেন।


সীমান্তে চোরাচালান রোধে বিজিবির নতুন উদ্যোগে

জালিয়ার দ্বীপ ‘নাফ ট্যুরিজম পার্কে’ নতুন পোস্ট
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মাদক, মানব পাচার ও বিভিন্ন ধরণের চোরাচালান প্রতিরোধে নতুন করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নাফ ট্যুরিজম পার্কে একটি ‘অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ পোস্ট’ স্থাপন করেছে। স্থাপিত (Temporary Observation Post) এই নতুন পোস্ট সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর অংশ হিসেবে গত শনিবার ভোরে টেকনাফের কেরুনতরী সংলগ্ন নাফ নদীর মাঝসীমা ও জালিয়ারদ্বীপ ঘিরে টানা ১৬ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস বিশেষ অভিযানে ৯৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৩ জন মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। পরে বিকেলে টেকনাফ ব্যাটালিয়নে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিজিবি-২ ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান। এ সময় মেজর মো. শাহাদাত হোসেন শুভ, অপারেশন লে. কমান্ডার মো. সাদিক রাফি উপস্থিত ছিলেন।

অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘গত ২১ নভেম্বর ভোরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর নজরদারিতে মিয়ানমার দিক থেকে নদী পেরিয়ে আসা দুই পাচারকারীকে শনাক্ত করা হয়। নৌপেট্রোল টিম দ্রুত অভিযানে গিয়ে জালিয়ারদ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদী থেকে ৪৪ হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমারের নাগরিক মো. ইব্রাহিমকে আটক করে। তবে আরেকজন কেওড়া জঙ্গলে পালিয়ে গেলে দ্বীপজুড়ে ফের চিরুনি অভিযান শুরু হয়। দীর্ঘ তল্লাশির পর একই দিন বেলা ও সন্ধ্যায় আরও দুই পাচারকারী (মিয়ানমারের নাগরিক) মো. জুনায়েদ এবং টেকনাফের আব্দুর রাজ্জাককে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেওড়া বাগানের গর্ত থেকে লুকিয়ে রাখা আরও ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি। এছাড়া মেরিন ড্রাইভের হাবিরছড়ায় মোটরসাইকেলে লুকানো ১২০ পিস ইয়াবাসহ মো. আরিফ নামে আরও একজনকে আটক করে বিজিবি।

বিজিবির এক কর্মকর্তা জানান, ‘টেকনাফের নাফ নদীসংলগ্ন এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা পাচার, মানব পাচার, স্বর্ণ চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে পরিচিত। ফলে আপততে বিজিবি নাফে বুকে ‘নাফ ট্যুরিজম পার্ক’ নামে এলাকায় একটি অহস্থায়ী পর্যবেক্ষণ স্থপনা করেছে। এর মাধ্যমে সীমান্তজুড়ে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি, নিয়মিত টহল, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং অনুপ্রবেশ রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্য আমরা সফলতাও পেয়েছি। নতুন পোস্ট স্থাপনের ফলে সীমান্তে নজরদারি আরও বাড়বে, টহল কার্যক্রম জোরদার হবে এবং অপরাধী চক্রের গতিবিধি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসবে। স্থানীয় বাসিন্দারা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই স্থাপনের ফলে এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে।

বিজিবি জানিয়েছে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ১২৩ জন আসামি। এছাড়া রোহিঙ্গাসহ ২৮৫ জন মানব পাচারের শিকার ভুক্তভোগীকে উদ্ধার, ১৫ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬৯টি হাক বোমা, ২.৯৪৬ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস, ১৭৪ কোটি টাকার মাদক ও মালামাল জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্য সাড়ে ৫১ লাখ পিস ইয়াবা ছিল।

এদিকে ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ‘নাফ ট্যুরিজম পার্কের’ মহাপরিকল্পনা অনুমোদন দেয় সরকার। সেখানে পর্যটকদের থাকার জন্য হোটেল ও ইকো কটেজ, যাওয়ার জন্য কেব্ল কার, ঝুলন্ত সেতু ও ভাসমান জেটি নির্মাণের কথা। দ্বীপটিতে শিশুপার্ক, পানির নিচের রেস্তোরাঁ, ভাসমান রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন পর্যটন স্থাপনা করার পরিকল্পনাও ছিল বেজার। কিন্তু ২০২৩ সালে জুনের দিকে এসে এটি নিয়ে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে আপত্তি জানানোয় ভাটি ভরাট কাজ বন্ধ হয়। তখন সেটি পরিত্যক্ত ছিল। এ সুযোগে অস্ত্রধারীদের সেখানে আনাগোনা শুরু করে। এরপর বিজিবি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেখানে বর্তমানে একটি ‘অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ পোস্ট’ নির্মাণ করে।


একজন শিক্ষার্থীকে পাঠদানে কর্মরত ১ জন শিক্ষক!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

গহিরা মহাকবি নবীন সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয় এ বিদ্যালয়ে। কিন্তু শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩৮ জন। বিদ্যালয়টি পরিদর্শনে দেখা যায়, তৃতীয় শ্রেণির ক্লাসে একজন মাত্র শিক্ষার্থী উপস্থিত। তাকে একজন শিক্ষিকা টেবিলের সামনে দাঁড় করিয়ে পাঠ্যপাঠ করছেন। অন্য শ্রেণিকক্ষগুলো নিস্তব্ধ- শিক্ষার্থী নেই, তাই পাঠদানও বন্ধ। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে আরও দুজন শিক্ষককে দেখা যায়। তারা জানান, পঞ্চম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী মাত্র দুজন, আজকে দুজনই অনুপস্থিত। শিশু শ্রেণিতে ১০ জনের মধ্যে উপস্থিত ৬ জন, প্রথম শ্রেণিতে ১১ জনের মধ্যে ৫ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৭ জনের মধ্যে উপস্থিত ১ জন এবং চতুর্থ শ্রেণিতে ৮ জনের মধ্যে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। ৬ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন মাত্র ৩ জন সহকারী শিক্ষক।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিবি জয়নাম বলেন, ‘শিক্ষার্থী সংকটে বিদ্যালয়টি বন্ধের প্রস্তাব উপজেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।’ শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও প্রশাসনিক জনবল সংকটে বিপর্যস্ত রাউজান উপজেলার সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা। ১৮১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য অর্ধশতাধিক। ফলে প্রায় অর্ধেক বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ওপর নির্ভর করে চলছে। এসব কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এখানে শিক্ষকের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকটও মারাত্মক। ৮টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) পদে রয়েছেন মাত্র ৩জন। ৫জন অফিস সহকারীর মধ্যে কর্মরত আছেন ২জন।

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় রাজনৈতিক কারণে আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এদের মধ্যে সাতটি বিদ্যালয় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী ও তার মা-বাবার নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বাকি একটি বিদ্যালয়ের নাম স্থানীয় জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে পরিবর্তনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নরুন্নবী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেলে নাম পরিবর্তন কার্যকর হবে।’

বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শনে শিক্ষার্থীরা বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে পাঠ নিচ্ছে এমন অন্তত ৩০টি বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকটের তীব্রতা পেয়েছে। অনেক বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বছরের পর বছর পড়ে আছে। এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। ৯০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র চারজন।’ হলদিয়া সাজেদা করিব চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানে আলম শরীফ জানান, বিদ্যালয়ে ৮০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন তিনজন। দুটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। শিক্ষক সংকট: রাউজানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অধিকাংশই নারী। তাদের প্রায় ৮০ শতাংশ বসবাস করেন চট্টগ্রাম নগরীতে। সকালে সংসারের কাজ গুছিয়ে বের হতে বিলম্ব হয়, আবার যানজটে পড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে সময় লাগে। ফলে অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি হয় সকাল ১০টার পর।


রসুন আবাদে ঝুঁকেছে চাটমোহরের কৃষকরা

*দুই দশক ধরে বিনাহালে রসুন রোপণ করছেন নারীরা *গত বছরে উৎপাদন হয়েছিল ৩৭,১৫০ মে. টন *এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪৭,৯১৫ মে. টন
চাটমোহরের ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের রসুন রোপণ করছেন নারী শ্রমিকরা।
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাটমোহর (পাবনা) সংবাদদাতা

বিনাহালে সাদা সোনা খ্যাত রসুন আবাদে ঝুঁকেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন এর কৃষকেরা। গত বছর আবাদকৃত রসুনের দাম তুলনামূলক কম পাওয়ার পরও কৃষকরা রসুন আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়নি। কৃষকের কথা দাম কম হলেও চাষাবাদ খরচ ও ঝামেলা কম হওয়ায়, অন্যান্য ফসলের চেয়ে লাভ অনেক বেশি বিনাহালে রসুন আবাদে। উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন বিনাহালে রসুন আবাদ হয়।

চলনবিলের রসুনের আবাদ এ অঞ্চলের কৃষকের অন্যতম অর্থকরী ফসলে পরিণত হয়েছে। প্রায় দুই দশকের অধিক সময় ধরে বিনাহালে রসুনের আবাদ হচ্ছে এ উপজেলাতে। রসুন রোপনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন নারীরা। বীজ বাছাই ও রোপণে কাজ করেন তারা। একজন মহিলা কৃষিশ্রমিক প্রতিদিন ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা মজুরী পান আর পুরুষ কৃষিশ্রমিকেরা ৫ শত টাকা থেকে ৬ শত টাকা মজুরি পান।

কয়েকজন কৃষি শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা বলেন আমনের আবাদ ঘরে তোলার পর আমাদের তেমন কোনো কাজ থাকে না এসময় আমাদের একটু অভাবের মাঝেই দিন অতিবাহিত হলেও, বিনাহালে রসুন চাষ পদ্ধতি চালু হওয়ায় গত কয়েক বছর আমাদের বসে থাকতে হয়না সেজন্য পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাতে পারি। আবার এ রসুন ঘরে তোলার সময়ও আমরা কাজ করি সব মিলিয়ে আমাদের এখন সবসময় কাজ থাকে।

নারী কৃষি শ্রমিকরা বলেন, আমরা গ্রামে থাকার কারনে এখানে তেমন কোন কর্মসংস্থান নেই যে আমরা বাড়ির কাজ করে কিছু টাকা উপার্জন করব, অনেক সময় পরিবারের সমস্যা বা কারো চিকিৎসা করাতেও হিমশম খেতে হত। কারন পরিবারের একজন এর আয় দিয়ে প্রয়োজন মেটানো কঠিন হয়। এখন আমরা এই সময়ের অপেক্ষায় থাকি কারণ বিনাহালে রসুন বপন করে আমরা প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পাই তাতে করে বেশ কিছুদিন কাজ করলে বাড়তি আয় হয়। আবার রসুন জমি থেকে তোলার পর আমাদেরই বাছাই এর জন্য কাজ দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে এমন চাষ পদ্ধতি আমাদের ভালো একটা আয়ের উৎস।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩,৮৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করে ৩৭,১৫০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছিল, গড় ফলন ছিল ৯.৬৫ মেট্রিক টন। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪,৫৫০ হেক্টর আবাদ ও ৪৭,৯১৫ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাবনা জেলার মধ্যে চাটমোহর উপজেলাতেই কেবল এই পদ্ধতিতে (বিনাহালে) রসুনের আবাদ হয়। পাশের জেলা নাটোরের

গুরুদাসপুর, সিংড়া, তাড়াশ উপজেলাতে এই পদ্ধতি চাষ হয় রসুনের।

উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের কৃষক আশরাফ শেখ জানান, ৫ বিঘা জমিতে তিনি বিনাহালে রসুন আবাদ করেছেন। আমন ধান কাটার পর জমি থেকে আগাছা পরিস্কার করে জমি ভেজা বা কাঁদা মাটি থাকতেই প্রতি এক বিঘা জমিতে ৩০ কেজি টিএসপি,২৫ কেটি পটাশ এবং ১৫ কেচি জীপসাম সার ছিটিয়ে পরের দিনই সারিবদ্ধভাবে বীজ রোপন রসুন করতে হয়। এক বিঘা জমিতে ২ মণ বীজ লাগে। বীজ রোপন করার পরই খড় বা বিচালি দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দিতে হয়। এক মাস পর পানি সেচ দিয়ে ১০ কেজি ইউরিয়া সার দিতে হয় বিঘাপ্রতি। এক পদ্ধতিতে রোগ বালাই নেই বললেই চলে। একশত দিনের মধ্যে ফসল ঘরে ওঠে।বিঘাপ্রতি উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ মণ পর্যন্ত হয়।

উপজেলার বিলচলন ইউনিয়ন বোঁথর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর ৭ বিঘা জমিতে তিনি বিনাহালে রসুন আবাদ করেছেন। এক বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে কৃষি শ্রমিকের মজুরি বেড়ে যাওয়ায় খরচও বেড়েছে। তারপরও দাম কম হলেও ৬০ হাজার টাকার রসুন বিক্রি করা হয়। দাম বেশি হলে লক্ষাধিক টাকার বেশি পাওয়া যায়।

পক্ষান্তরে আমনের আবাদ শেষে বেশ কিছুদিন মাটি কর্দমাক্ত থাকার কারনে কাঙ্ক্ষিত রবিশস্য চাষ করা সম্ভব হয়না। যার ফলে জমি পতিত পরে থাকে সেই সময়টাকেই কাজে লাগিয়ে আবাদ করা হচ্ছে তাতে করে এ চাষে বাড়তি আয়ের সম্ভাবনাও দেখছে কৃষক। এবং দেশের অর্থনীতিতে ব্যপক ভূমিকা রাখতে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অংশীদার হচ্ছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোষ জানান, বিনাহালে রসুন আবাদ সঠিক ব্যবস্থাপনা ও কৃষকদের সহযোগিতা পেলে এ লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।


সেন্ট মার্টিনে ১ ডিসেম্বর থেকে যাবে জাহাজ

থাকছে রাতে থাকার সুযোগও
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। থাকছে রাতে থাকার সুযোগও। তবে দৈনিক দুই হাজারের বেশি পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে পারবেন না।

কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া জেটিঘাট থেকে সকাল সাতটায় জাহাজ ছেড়ে যাবে। পরের দিন বিকাল তিনটায় সেন্ট মার্টিন থেকে সেই জাহাজ কক্সবাজারে ফিরে আসবে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা দুই মাস পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সাতটি জাহাজ প্রস্তুত করা হয়েছে।

এদিকে সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সেন্ট মার্টিন উন্মুক্ত করা হয়। তবে রাতে থাকার ব্যবস্থা না থাকায় এখন পর্যন্ত একজন পর্যটকও দ্বীপ ভ্রমণে যাননি। জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় আগামী আট দিনেও কোনো পর্যটকের দ্বীপ ভ্রমণের সুযোগ নেই।

পর্যটকবাহী জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বলেন, রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় নভেম্বর মাসে কোনো পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাননি। এ কারণে জাহাজ চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ১ ডিসেম্বর থেকে টানা দুই মাস রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে। পর্যটকেরাও দ্বীপ ভ্রমণে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

কক্সবাজার শহর থেকে সেন্ট মার্টিনের দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। জাহাজগুলো হলো—এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বারো আউলিয়া, এমভি বে ক্রুজ, এমভি কাজল, কেয়ারী সিন্দাবাদ, কেয়ারী ক্রুজ অ্যান্ড ডাইন ও আটলান্টিক ক্রুজ।

সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সরকারি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া সেন্ট মার্টিনে কোনো নৌযান চলাচল করতে পারবে না। পর্যটকদের অবশ্যই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে টিকিট কিনতে হবে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড সংযুক্ত থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।

পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক খন্দকার মাহবুব পাশা গণমাধ্যমকে বলেন, পর্যটক পারাপারের সময় জাহাজগুলোকে কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। দুই হাজারের বেশি পর্যটক যেতে দেওয়া হবে না। এ জন্য নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ জেটিঘাট ও সেন্ট মার্টিন জেটিঘাটে পৃথক তল্লাশির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।


ভূমিকম্পের সময় কী করবেন, কী করবেন না

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।

শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়েও পড়েন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

ভূমিকম্পের সময় কিছু করণীয় আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক পরামর্শগুলো কি কি।

কী করবেন, কী করবেন না

ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন।

রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।

গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।

ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।

একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।

ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।

কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।

গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।


banner close