রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত হলেন যারা

ফাইল ছবি
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২৪ ০০:২৭

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। সারা দেশের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর থেকে জানা যায়-

ফরিদপুর

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ফরিদপুরের নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরকান্দা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহসম্পাদক কাজী শাহ জামান বাবুল। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৭ হাজার ২০৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরদার পেয়েছেন ২৫ হাজার ২৩৭ ভোট।

অন্যদিকে সালথা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বর বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫৪৫ ভোট তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মো. ওহিদুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৪২ ভোট।

নারায়ণগঞ্জ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ঘোড়া প্রতীকে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ২৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহজালাল মিয়া পেয়েছেন ১৩ হাজার ১৩২ ভোট।

বিজয়ী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। তিনি কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. শাহজালাল মিয়া আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়ায় উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা উপজেলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান ও আখাউড়ায় মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক চেয়ারম্যান মনির হোসেন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাাচিত হয়েছেন।

ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, কসবা উপজেলায় ছায়েদুর রহমান স্বপন কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৬ হাজার ৬৯৮ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কুটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাউসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৯ ভোট।

অন্যদিকে আখাউড়া উপজেলায় মনির হোসেন ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৬৩ ভোট।

রাঙামাটি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে রাঙামাটির রাজস্থলী, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজস্থলী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উবাচ মারমা আনারস প্রতীকে ৭ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. রিয়াজ উদ্দীন রানা দোয়াত কলম প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ১৮ ভোট।

অন্যদিকে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. নাছির উদ্দিন দোয়াত কলম প্রতীকে ৭ হাজার ৩৬২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৩ ভোট।

অপরদিকে বিলাইছড়ি উপজেলায় মোট ১৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি হেলিসর্টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ফলাফল না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো ফলাফল ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত দোয়াত কলম প্রতীকের বিরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

লালমনিরহাট

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুই উপজেলায় মধ্যে আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস ও কালীগঞ্জ উপজেলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বিজয়ী হয়েছেন।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফর কবির তাদেরকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

আদিতমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ফারুক ইমরুল কায়েস মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩ হাজার ১৩৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ১৮টি ভোট

কালীগঞ্জ উপজেলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৩০৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তার চাচা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৩৫০ ভোট।

পিরোজপুর

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে পিরোজপুর জেলার দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার পিরোজপুরের নেছারাবাদ ও কাউখালী উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মোট ১২২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ও নেছারাবাদ উপজেলায় আব্দুল হক নির্বাচিত হয়েছেন। রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুল হক বেসরকারিভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।

নেছারাবাদ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুল হক আনারস প্রতীকে ৩৮ হাজার ৬১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম মুইদুল ইসলাম মোটরসাইল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৫২০ ভোট।

অন্যদিকে কাউখালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. আবু সাঈদ মিঞা ঘোড়া প্রতীকে ১১ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৬ হাজার ২৯৪ ভোট।

ঝালকাঠি

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী মো. সুলতান খান পেয়েছেন ২৫ হাজার ৯৭১ ভোট।

অন্যদিকে নলছিটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিন খান সেলিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৩৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র তছলিম উদ্দিন চৌধুরী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৭৮৪ ভোট।

বাগেরহাট

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বাগেরহাটে ফকিরহাট, মোল্লাহাট,ও চিতলমারী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফকিরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ওহিদুজ্জামান বাবু। মোটরসাইকেল প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৬৫৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনরস প্রতীকের প্রার্থী বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান স্বপন দাস পেয়েছেন ২৯ হাজার ৪৩৭ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৬২.৫০ শতাংশ।

চিতলমারী উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন মো. আলমগীর হোসেন সিদ্দিকী। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৮৮৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অশোক কুমার বড়াল মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৬৩ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৪৫.৭৫ শতাংশ।

অন্যদিকে মোল্লাহাট উপজেলার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহিনুর আলম ছানা। দোয়াত কলম প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯০২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা শেখ নাসির উদ্দীন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৯৫৪ ভোট। এ উপজেলায় ভোট কাস্ট হয়েছে ৫৩.৭৭ শতাংশ। জেলায় গড় ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৪ শতাংশ।

যশোর

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছা উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়েছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে ৯টায় এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতীকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

অন্যদিকে শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো. সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট।

রাজশাহী

দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহীর বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগমারা উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম সান্টু। তিনি ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৩২২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রাজ্জাক সরকার ওরফে আর্ট বাবু পেয়েছেন ৪ হাজার ৩২১ ভোট।

পুঠিয়া উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবদুস সামাদ মোল্লা। তিনি আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৭৯ ভোট।

অন্যদিকে দুর্গাপুর উপজেলায় বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শরীফুজ্জামান শরীফ। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১১৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মজিদ সরদার পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৩২ ভোট।

সাতক্ষীরা

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সাতক্ষীরার আশাশুনি, তালা ও দেবহাটা উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আশাশুনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৫১ হাজার ৬৬২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহনেওয়াজ ডালিম ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৫০ হাজার ৭০৭ ভোট।

অপরদিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা নির্বাচনে মো. আল ফেরদাউস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীকে ২৬ হাজার ৩৭৭ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মজিবুর রহমান মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৫২ ভোট।

এ ছাড়া সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাচনে ঘোষ সনৎ কুমার বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি কাপ পিরিচ প্রতীকে ৪৬ হাজার ৪৫৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সরদার মশিয়ার চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৪১৩ ভোট।

বিষয়:

রূপগঞ্জে চায়না খলশে মাছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা

অ্যাকুয়ারিয়াম থেকে মাছটি ছড়িয়েছে সারাদেশে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

খলিশা মাছের মতো। কিন্তু আকারে এর চেয়ে খানিকটা বড়। রূপগঞ্জের বিভিন্ন মাছের আড়ত আর হাট-বাজারে প্রায়ই দেখা মেলে এ মাছের। স্থানীয়ভাবে মাছটি হাইব্রিড খলশে বা চায়না খলশে নামে পরিচিত। দামে সস্তা হওয়ায় মাছটি নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগ্রাসী মাছটির বংশবিস্তার বাড়াচ্ছে শঙ্কা। কারণ, এ মাছ অন্য মাছের বংশবিস্তারের জন্য হুমকি।

বিষেজ্ঞরা বলছেন, সাকার মাছের মতো অ্যাকুয়ারিয়াম থেকেই এটি দেশে ছড়িয়েছে।’ দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, এই মাছের নাম ‘স্নেকস্কিন গুরামি’। স্থানীয় মাছের বংশবিস্তারের জন্য এ মাছ হুমকির। দ্রুত বংশবিস্তার করায় অন্য মাছের জায়গা এটি দখল করে ফেলে। দামে কম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে মাছটির চাহিদা বাড়ছে।

রোববার সকালে সরেজমিনে গাউছিয়া বাজার মাছের আড়তে দেখা যায়, অন্যান্য মাছের সঙ্গে নিলামে এই মাছ বিক্রি করছেন আড়তদারেরা। পাইকারিতে এক মণ মাছের দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২০০ টাকা। সে হিসাবে কেজিতে দাম পড়ে মাত্র ৮০ টাকা।

বিসমিল্লাহ মাছের আড়তের মালিক রিয়াজ মিয়া বলেন, বিভিন্ন এলাকার জলাশয়ে পাওয়া যাচ্ছে এ মাছ। পাইকারিতে প্রতি কেজি ৭৫ থেকে ৯০ টাকায় এ মাছ বিক্রি হয়।

দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত। পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরেরও সতর্ক হওয়া উচিত।

অ্যাকুয়ারিয়ামের জন্য মাছ আমদানির অনুমতি দেয়ার আগে সেসব মাছের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। তা না হলে এভাবেই ধীরে ধীরে দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হবে বলে জানান স্থানীয় জেলেরা।

উপজেলার কাঞ্চন বাজারের মাছ বিক্রেতা রতন সরকার বলেন, পুকুর, খাল-বিল ও ডোবা-জলাশয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় বলে এ মাছের জোগান বেশি। আবার কাটা কম থাকায় অনেকে শিশুদের জন্য এ মাছ কিনে নিচ্ছেন। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ এ মাছের ক্রেতা। কারণ, এটিই বাজারের সবচেয়ে সস্তা মাছ।

উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ গোপাল বলেন, ২০২৪ সালের পর থেকেই জলাশয়, ধানের মাঠসহ সব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে মাছটি।

জানতে চাইলে মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এ মাছ খাদ্য হিসেবে বিষাক্ত নয়। খেতে অনেকটা তেলাপিয়া মাছের মতো।

সাকার মাছের মতো অ্যাকুয়ারিয়াম থেকেই এটি দেশে ছড়িয়েছে।’ দেশের অন্য মাছ রক্ষায় এটির চাষ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করা উচিত।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হঠাৎ এ মাছ উপজেলায় বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এ মাছ অন্য প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি।’


ফেনীতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর ট্রাংক রোডের মুক্ত বাজার এলাকায় নির্মিত জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। রোববার ভোরে স্মৃতিস্তম্ভে আগুনের বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয়রা। তবে এতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয়রা জানান, জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের ফ্লোরের কিছু অংশ ও কয়েকটি অক্ষর আগুনে পুড়ে গেছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফেনী জেলা সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন সাবেক সমন্বয়ক মুহায়মিন তাজিম বলেন, আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের লোকজন জনমনে ভীতি তৈরির জন্য এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমি মনে করি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনগুলোতে হামলা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে।

ফেনী সদর মডেল থানার ওসি শামসুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

ফেনী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের বলেন, সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, হেলমেট পরিহিত যুবক আগুন দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।


গ্যাস সংকটে যমুনা সার কারখানায় দিনে লোকসান সাড়ে ৩ কোটি টাকা

*২৩ মাস ধরে বন্ধ সরিষাবাড়ীর যমুনা সার কারখানা *পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন হাজারও শ্রমিক *শিল্পকারখানাটি বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

গ্যাস সংকটে ২৩ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা (জেএফসিএল)। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে এই শিল্পকারখানাটি বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। ফলে আসন্ন বোরো মওসুমে ইউরিয়া সারের সংকট হতে পারে বলে মনে করছে কৃষকরা।

দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটি বন্ধ থাকার কারণে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত ও বিভিন্ন পরিবহনের হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার। অতি দ্রুত পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারখানাটি চালু করে এ উপজেলার হাজার হাজার শ্রমিক পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। এ কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কারখানার সঠিক উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন গড়ে ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কারখানাটি প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ টন সার উৎপাদন করছিল। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে গ্যাসের প্রেসার স্বল্পতা ও নানা ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে গিয়ে ১ হাজার ২০০ টনে নেমে আসে।

এ কারখানা থেকে জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরাঞ্চলের রাজবাড়ী ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলায় প্রায় আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে সার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিতাস কোম্পানি গ্যাসের প্রেসার কমিয়ে দেওয়ার কারণে উৎপাদন ও কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বেকার হয়ে পড়ে কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের চালক, হেলপার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল মালিকরা।

এদিকে বন্ধ থাকার দীর্ঘ ১৩ মাস পর ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সংযোগ পেয়ে আবার উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি। উৎপাদন শুরুর ৪ দিনের মাথায় কারখানার অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাত ৭টার পর ফের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে বন্ধ রয়েছে বৃহৎ এ কারখানাটি। দীর্ঘ ২৩ মাস ধরে কারখানাটি বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে বলে জানান সিবিএ নেতারা। অতি দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে দেশের বৃহৎ এ শিল্পকারখানাটি সচল করতে না পারলে এক সময়কার চিনি ও পাট শিল্পের মতো এ কারখানাটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান স্থানীয়রা।

এদিকে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান যমুনা সার কারখানা পরিদর্শন করতে এসে দ্রুতই পুনরায় গ্যাস সংযোগ দিয়ে কারখানা চালু করার আশ্বাস দেন। তবে আশ্বাস দেওয়ার ৩ মাস হলেও চালু হয়নি এ কারখানাটি।

যমুনা সার কারখানা এলাকার একাধিক শ্রমিক জানান, এ কারখানার সাথে জড়িত শত শত ট্রাক, ট্যাংক ও লড়ি পরিবহন আছে। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকার কারণে আমরা শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছি। কারখানা বন্ধ থাকলেও প্রতিদিন সকালে কারখানার সামনে এসে বসে থাকি চালুর আশায় ও কাজের আশায়। অধিকাংশ দিনই খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। কারখানা এভাবে বন্ধ থাকলে আমরা না খেতে পেরে মারা যাব।

যমুনা সার কারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরর্শেদ আলম তালুকদার বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে কারখানাটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। এতে করে কারখানার ডিলারদের আমদানিকৃত সার সরবরাহ করা হচ্ছে। কারখানাটি চালুর বিষয়ে আমরা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, যমুনা সার কারখানার সারের গুণগত মান ভালো। আমাদের কৃষকরা যমুনার সার জমিতে ব্যবহার করে। এতে ফসলের ফলন ভালো হয় ও গুণগত মান বৃদ্ধি পায়। আমদানিকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে কারখানায় মজুত রাখার কারণে এটির গুণগত মান অনেকটাই কমে যায়। ফলে কৃষক আমদানি করা সার শষ্যখেতে ব্যবহার করতে চায় না। কৃষি ও কৃষকের কথা চিন্তা করে হলেও সার কারখানাটি চালুর প্রয়োজন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ব্যবস্থাপক (বাণিজ্যিক) এস.এম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ মুঠোফোনে বলেন, গ্যাস সংযোগ দেওয়ার বিষয়ে তিতাস কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে। খুব তারাতাড়ি যমুনা সার কারখানায় পুনরায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। যাতে আবার আগের মতো যমুনা সার কারখানা পুরোদমে উৎপাদনে ফিরতে পারে। আশা করি অতি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।


নতুন পোশাকে পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন পোশাক বাহিনীর সদস্যদের গায়ে উঠেছে। ঢাকা মহানগর পুলিশসহ (ডিএমপি) দেশের সব মহানগর পুলিশ ও বিশেষায়িত ইউনিটে নতুন পোশাক পরেছে পুলিশ। তবে জেলা পুলিশ এখনো তা পায়নি। পর্যায়ক্রমে তারাও নতুন পোশাক পাবে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গতকাল শনিবার থেকে বাংলাদেশ পুলিশের পরিবর্তিত নতুন পোশাক চালু হয়েছে।
তবে এখনই সর্বস্তরে বা সবার কাছে নয়, সদস্যদের মধ্যে সীমিত পরিসরে এ পোশাক সরবরাহ করা হচ্ছে। নীল ও সবুজ রঙের পরিবর্তে নতুন একটি রঙের পোশাক পরবেন রেঞ্জ ও মহানগর পুলিশ সদস্যরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, গতকাল শনিবার থেকে চালু হলো পুলিশের নতুন পোশাক। এটা ধাপে ধাপে সব সদস্যকে দেওয়া হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন বলেন, জেলা ও রেঞ্জ পুলিশ পর্যায়ক্রমে নতুন এই পোশাক পরবেন। তবে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও স্পেশাল প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের (এসপিবিএন) আগের পোশাক থাকবে।
এর আগে, মঙ্গলবার পোশাকের সঙ্গে সঙ্গে সবারই মন-মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশের জন্য, র‌্যাবের জন্য এবং আনসারের জন্য। তিনটা সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা ইমপ্লিমেন্ট হবে আস্তে আস্তে।
জানা যায়, তিন বাহিনীর সদস্যদের নতুন পোশাকের জন্য ব্যয় হবে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দমন-পীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকে সমালোচনার মুখে থাকা পুলিশ বাহিনীর সংস্কার ও পোশাক পরিবর্তনের দাবি উঠলে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন পোশাক অনুমোদন করে। এরই অংশ হিসেবে মহানগর পুলিশে লৌহ রঙের নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, নৌ এই পোশাক পরবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় পুলিশ বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ ছিল গোটা দেশের মানুষ। পুলিশ সদস্যদের পোশাকও অনেকের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়ায় সেসময়। আবার পুলিশ সদস্যরা পোশাক পরে বের হতেও সংকোচবোধ করতেন। অনেক পুলিশ সদস্য ট্রমায় ভুগেছেন দীর্ঘদিন। সরকার পতনের পর থেকে আলোচনায় থাকলেও অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে পুলিশ বাহিনীর নতুন পোশাক।
তবে ২০২০ সাল থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলছিল। ২০২১ সালের শুরুর দিকে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের জন্য বেশ কয়েকটি পোশাকের ট্রায়ালও হয়। তারপরও নানা কারণে নতুন পোশাক পাননি বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।
পুলিশ, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশের নতুন পোশাক হচ্ছে ‘আয়রন’ রঙের, র‌্যাবের ‘অলিভ’ আর আনসার বাহিনীর জন্য ‘গোল্ডেন হুইট’।


রামগতিতে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন কয়েক হাজার শ্রমিক। আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন চলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত। এসময় লক্ষ্মীপুর-রামগতি আঞ্চলিক সড়কের রামগতি উপজেলা পরিষদের সামনে তিনঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। দীর্ঘ তিনঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধনে শ্রমিকরা জানান, রামগতিতে ৪৪টি ইটভাটা থাকলেও ইতোমধ্যে বিভিন্ন কারণে ৭ টি ইটভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। এসব ভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে প্রায় ৫০ হাজার লোক। আর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এ শিল্পে জড়িত রয়েছে আরও ৪০ হাজার লোক। সব মিলিয়ে প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষের আয় রোজগারের একমাত্র মাধ্যম ইটভাটাগুলো। ইটভাটার যেমন ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তেমনি উপকারের দিক বিবেচনায় করে এ শিল্পকে সরকারের নীতিমালার আওতায় এনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার দাবি জানান তারা।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, এ অঞ্চলে বর্তমানে কোন কাজকর্ম নেই। ভাটাগুলো বন্ধ হলে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বে। এঅবস্থায় সরকার ও প্রশাসনের মানবিক দৃষ্টি কামনা করেন তারা। অন্যথায় তাদের জীবিকা নির্বাহের এই মাধ্যমটি কোন ভাবেই বন্ধ করতে দিবেনা শ্রমিকরা। এসময় কাফনের কাপড় পরিধান করে রাস্তায় বসে পড়েন তারা।

ভাটার মালিকরা বলেন, হঠাৎ করে দেশীয় ইটভাটা বন্ধের সিদ্ধান্তে চরম বেকারত্বের ঝুঁকিতে পড়বে ইটভাটার সাথে জড়িত এ অঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক। তারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে ফেলেছেন। ভাটাগুলো বন্ধ হলে তাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। সে দিক বিবেচনা করে ইটকে শিল্প হিসেবে নিয়ে নীতিমালার আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করছেন তারাও।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-ইটভাটা মালিক, হাজী খলিল, রাসেল, আল আমিন ও বাবুল সহ ইটভাটার ১০ জন মালিক।


যাত্রী বেশে অটোরিকশা ছিনতাই চেষ্টা, দুজনকে ধরে পুলিশে দিল জনতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি  

ময়মনসিংহে কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের চামটা এলাকায় যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার সময় দুই ছিনতাইকারীকে হাতেনাতে ধরেছে জনতা। আজ রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

ছিনতাইকারী দুজন হচ্ছেন তরিকুল ও ইমন। তাদের বাড়ি নান্দাইল উপজেলার চন্ডীপাশা এলাকায়।

খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই দুজনকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অটোরিকশাচালক ফাইজুল জানান, নান্দাইল চৌরাস্তা এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে কানারামপুর আসছিলেন চালক ফাইজুল ইসলাম। নান্দাইল ফেরার পথে দুই যাত্রী তরিকুল ও ইমন অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় ২০০ টাকা ভাড়া ধার্য করেন।

কিছুদূর আসতেই ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইলের চামটা এলাকায় পৌঁছতেই এক যাত্রী সিগারেট কেনার কথা বলে চালককে থামতে বলেন।

এ সময় তরিকুল ও ইমন চালককে জোর জবরদস্তি করে চাবি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় চালকের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তরিকুল ও ইমনকে ধরে ফেলে পরে উত্তম মধ্যম দিয়ে বেঁধে রাখে।

নান্দাইল থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুজন অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।

এই দুজন অটোরিকশা ছিনতাই চক্রের সদস্য।


ঝিনাইদহে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

খুচরা সার বিক্রেতাদের বহাল রাখা ও টিও লাইসেন্সের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
রোববার সকালে হরিণাকুন্ডু উপজেলা মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে খুচরা সার বিক্রেতা এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খুচরা সার বিক্রেতারা অংশ নেয়। কর্মসূচীতে সংগঠনটির সদস্য শামীম আহম্মেদ চাঁদ, নয়ন হোসেন, মনির হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
সেসময় বক্তারা বলেন, খুচরা সার বিক্রেতাদের বাতিল করতে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের ৪৪ হাজার ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারসহ ৫ কোটি কৃষক সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই এ সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন না করার আহ্বান জানানো হয় কর্মসূচী থেকে। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা কৃষি অফিসের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে কৃষি সচিব বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন ব্যবসায়ীরা।


মেহেরপুরে স্কুল শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার ও ছাত্রীর সাথে বিয়ের দাবিতে মানব বন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি  

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর ভিডিও কলে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়াই ওই শিক্ষকের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

বিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে থাকা একজন শিক্ষা কর্মকর্তার এ ধরনের আচরণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই জেলাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া,নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড়।

গত শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল থেকে অশ্লীল কথাবার্তার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ‍্যমে। আজ সোমবার ১৬ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ‍্যালয়টির সামনে মানব বন্ধন করে।

ভিডিওটি কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড হওয়ার পর দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বলা হয়ে থাকে শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড আর সেখানে শিক্ষকের চরিত্র যদি এমণ হয়। তাহলে জাতির মেরুদণ্ড কেমন হবে আপনারই বলুন?

একজন প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন অনৈতিক আচরণ শুধু নিন্দনীয়ই নয়, তা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য লজ্জাজনক।

অভিভাবকরা বলছেন,আমাদের সন্তানদের শিক্ষাদানের জন‍্য স্কুলে পাঠাই,আর শিক্ষকরা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পিতার মত। আর সেই শিক্ষককের এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। তাই তাকে আজীবনের জন‍্য বহিষ্কার চাই।

দশম শ্রেনী পড়ুয়া শিক্ষার্থী জীবন বলেন,রাজু স‍্যার আমাদের বন্ধুর বাবা। আর আমাদের বান্ধবীর সাথে প্রেম করা,আবার তার সাথে অনৈতিক কাজ করা মানে নিজের মেয়ের সাথে এমনটি করার সমান।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, রাজু স‍্যারের সাথে আমাদের বান্ধবির বিয়ে দিতে হবে,আর কাবিন করে দিতে হবে এক কোটি টাকা। যাতে করে দুদিন বাদে মেয়েটিকে তালাক দিতে না পারে।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক স্থানীয় বাসিন্দা মজিবুল বলেন,আমাদের এইচ বি স্কুলের রাজু স‍্যার বেশ কয়েক বছর আগে এক এনজিও কর্মির স্ত্রীর সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাকালীন স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। আবার এলাকায় আদম ব‍্যাবসা করে অনেককেই নিঃশ্ব করেছে। এবার শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নষ্ট করতে। এই শিক্ষককের আজীবন নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি।

রাজু আহমেদের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো বার্তা ও কলও গ্রহণ হয়নি।

কাজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলম হুসাইন বলেন, শিক্ষক রাজু আহমেদের অনেক অভিযোগ শুনছি। এমন শিক্ষক যে প্রতিষ্ঠানে থাকবে সেখানে শিক্ষার্থীরা নিরাপদ নই। তাই আমরা এই বিষয়ে সব্বোর্চ দপ্তর পযর্ন্ত জানাবো। এবং তার স্থায়ী বহিষ্কারের জন‍্য আবেদন জানাচ্ছি। শিক্ষক রাজু স্কুলের অফিসে বসে মোবাইল এই ধরনের কর্মকান্ড চালিয়ে যেতো।

গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান,বিষয়টি আমরা শুনেছি ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা চাইলে আদালতেও যেতে পারবেন।


সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার, আটক ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধ

বাগেরহাটের মোংলা সুন্দরবনের মরা পশুর এলাকায় বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় পাঁচ দুষ্কৃতকারীকে আটক করেছে বন বিভাগ।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে চাঁদপাই স্মার্ট প্যাট্রল টিমের সদস্যরা নিয়মিত টহল দেয়ার সময় বনের ভিতরে ঠাকুর খালে কীটনাশক দিয়ে মাছ ধরার সময় ওই পাঁচ দুষ্কৃতকারীকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি কীটনাশকের বোতল ও সাত কেজি চিংড়ি মাছ এবং একটি ডিঙ্গি নৌকা জব্দ করা হয়। আটক ব্যক্তিরা হলেন মো. জামাল শেখ (৪৫), মো. ইমদাদুল সরদার শেখ (৪০), মো. রাসেল শেখ (২৮), মো. রমজান সরদার (২৭), মো. রাজু সরদার (২২)। আটককৃত সকলে বাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার বাসিন্দা।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) দীপন চন্দ্র দাস এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আটক আসামিদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের শেষে বাগেরহাট আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


রাজধানীতে তিন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ

গাজীপুর, না’গঞ্জে দুই বাসে আগুন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুরে এবং হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়। গতকাল শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে মিরপুরের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এলাকায়, মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশনের নিচে এবং হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে পৃথক ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া গতকাল শনিবার সাত সকালে গাজীপুরের হারিকেন এলাকায় যাত্রীবাহী একটি বাস এবং রাত আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মিনিবাসে আগুনে পুড়ে গেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিআরটিএ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তা জানা যায়নি।

এদিকে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে হাতিরঝিলের মধুবাগ ব্রিজের নিচে আরেকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়।

হাতিরঝিল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফুয়াদ আহমেদ বলেন বলেন, বিস্ফোরণে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।

এদিকে পল্লবী থানা পুলিশ বলছে, সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে মিরপুর-১২ মেট্রো স্টেশনের নিচে আচমকা ২টি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পল্লবী থানা পুলিশ উপস্থিত রয়েছে।

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে একটি মিনিবাসে আগুন দেওয়া হয়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি শাহীনূর আলম ওসি বলেন, আগের দিন (শুক্রবার রাত ১০টার দিকে মহাসড়কের ওপর নাফ পরিবহনের মিনিবাসটি থামিয়ে রেখে চালক চলে যান। রাতে বাসটি সেখানেই ছিল। শনিবার সকাল ছয়টার দিকে বাসটিতে আগুন জ্বলতে দেখতে পান স্থানীয়রা।

পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভান। ততক্ষণে বাসের সিটগুলো পুড়ে যায়। তবে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, গাজীপুরের হারিকেন এলাকায় গতকাল রাত ৮টার দিকে যাত্রীবাহী একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

জয়দেবপুর চৌরাস্তা ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, বাসটির পেছন দিকে হঠাৎ আগুন লেগে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটি ঢাকার দিকে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ আগুন লেগে গেলে যাত্রীরা লাফিয়ে বাস থেকে নেমে প্রাণ বাঁচান।

গাছা থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শরীয়ত উল্লাহ বলেন, হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তদন্ত শেষে অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।


ময়মনসিংহে ১৯ ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ময়মনসিংহ ব্যুরো

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের সদ্য বহিষ্কৃত হওয়া ১৯ জন ছাত্রদল নেতার বহিষ্করাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ক্রিকেটারের ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে রিভিউ আবেদন করেছেন। শনিবার দুপুরে গৌরীপুর উপজেলা সদরের পাট বাজারে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের এমন আবেদন জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে এ দাবি জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কৃত হওয়া ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

গৌরীপুর পৌর ছাত্রদলে সদ্য বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম পিয়াস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মনোনয়ন বঞ্চিত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণের নিদের্শনায় গত ৯ নভেম্বর গৌরীপুর উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে নারী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। একই দিন ওই নারী সমাবেশ থেকে ১ কিলোমিটার দূরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনের সমর্থনে সভার আয়োজন করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইন সভাস্থলে যাওয়ার পথে তাদের গাড়িবহর থেকে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে নারী সমাবেশে মঞ্চ, চেয়ার, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে সভাস্থলে উপস্থিত মা ও শিশুসহ ৫০ জনের বেশি আহত হয়। এরপর ছাত্রদলের কর্মী তানজিন আহমেদ আবিদের স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার ঘটনাকে হত্যার গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়।

পিয়াস আরো বলেন, ১০ নভেম্বর ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন তালুকদার সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আমাদের ১৯ জনকে কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই বহিষ্কার করা হয়। বিগত ৩ দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায় ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেলের নেতৃত্বে স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা সভাস্থলে হামলা করে। সোহেল নিজের কৃতকর্ম আড়াল করার জন্য আমাদের বহিষ্কার করে ঘটনার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে দাবি জানাচ্ছি ঘটনাটি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করা হোক।

ময়মনসিংহ উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুজ্জামান সোহেল জানান, যারা বহিষ্কৃত হয়েছেন তারা যদি দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলের পক্ষে কাজ করে এবং বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য লিখিত আবেদন করে। তাহলে আমরা বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দকে জানাবো।


গাইবান্ধায় মানত পূরণে আয়োজন ‘সত্য পীরের গান’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

সন্তান জন্মের দীর্ঘ নয় বছর পর মানত পূরণ করতে আয়োজন করা হয়েছে সত্য পীরের গান। স্থানীয়ভাবে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তিন রাত তিনদিন ব্যাপী এই গানের আয়োজন করে গাইবান্ধার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের একটি মুসলিম পরিবার।

সরেজমিনে শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আয়োজক পরিবারের বাড়ির উঠানে ছামিয়ানা টাঙিয়ে সাজানো হয়েছে গানের আসর। ছামিয়ানার নিচে রোপন করা হয়েছে কম বয়সী চারটি কলাগাছ। তার নিচে জালানো হয়েছে প্রদীপ।

ছামিয়ানার নিচে সত্য পীরের গান, কিচ্চা, খনার বচনসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক ও লোকজ পরিবেশনায় অংশ নিচ্ছেন তিন নারী ও দুই পুরুষ। বাদ্যযন্ত্রে তাল দিচ্ছেন আরও চারজন শিল্পী। গানের আসরকে ঘিরে চারপাশে ভিড় করেছেন আশপাশ এলাকার নারী-পুরুষ, শিশু-বৃদ্ধ, তরুণ-যুবকসহ নানা বয়সি দর্শক।

আয়োজক পরিবার জানায়, মোস্তাফিজুর রহমান ও এজমা দম্পতির বিয়ের এক যুগ পরও সন্তান না হওয়ায় মানত করা হয়—সন্তান হলে সত্য পীরের গান আয়োজন করা হবে। পরবর্তীতে তাদের ঘরে সন্তান জন্ম নেয়। নয় বছর পর সেই মানত পূরণে আয়োজন করছেন এই গানের অনুষ্ঠান।

আয়োজক এজমা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর ১২ বছর সন্তান হয়নি। তখন বাবা মানত করেছিলেন সত্য পীরের গান করার। পরে আমার সন্তান হয়, এখন তার বয়স ৯ বছর। মানত পূরণে তিন রাত তিনদিনের আয়োজন করেছি।

গানের দলনেতা ফতু বলেন, ‘এটা আধ্যাত্মিক বিষয়। যুগ যুগ ধরে মানুষের বিশ্বাস-আস্থায় চলে আসছে। মানুষ যে কোনো আকাঙ্ক্ষা পূরণের আশায় মানত করে। চাওয়া পূরণ হলে আমরা গান করতে যাই।

তিনি আরও জানান, ‘আমরা কাউকে জোর করি না। কেউ পরামর্শ চাইলে দিই। এই গ্রামে প্রায় ২০–২১ বছর পর এক দম্পতির সন্তান হওয়ায় তাদের বাড়িতেও গান করতে এসেছি।’


ফেনীর পানি শোধনাগারটি চালু হয়নি দুই বছরেও

*বিকল হয়ে যাচ্ছে প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্চামাদি *সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি পান থেকে বঞ্চিত শহরের মানুষ *ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটিতে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ৮ কোটি টাকা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আবু তাহের ভূঁইয়া, ফেনী

ফেনী পৌরসভায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি (পানি শোধনাগার) নির্মাণের দুই বছর পার হলেও এখনো চালু করা হচ্ছেনা। এতে করে এক দিকে শহরের মানুষ সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি পান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, অন্যদিকে প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্চামাদি নষ্ট হয়ে বিকল হয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে ফেনী পৌরসভায় চলমান পানি সরবরাহ প্রকল্পের পানির গুণাগুণ ভালো না থাকায় এখানে বসবাসরত দুই সহস্রাধিক সেবাগ্রহিতার মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন প্রকল্পটি দ্রুত চালুর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জানা যায়, ৩৬ জেলা শহরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ফেনী পৌরসভার জেলা সদর হাসপাতাল মোড়সংলগ্ন বিরিঞ্চি এলাকায় স্থাপন করা হয় বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প। দরপত্র আহবানের পর ২০১৯ সালে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের এ কাজটি দুই বছর মেয়াদে বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় শামীম ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই লাখ ঘনমিটার পানি ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ প্রকল্পে ৯টি গভীর নলকূপ ও ৪০ কিলোমিটার সরবরাহ লাইন স্থাপন করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। করোনাকালীন সময়ে কাজের গতি কমে যাওয়ায় ঠিকাদার এমন অজুহাত দেখিয়ে কালক্ষেপণ করে ২০২৩ সালে প্রকল্পটি নির্মাণ কাজ শেষ করে। পরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর তা ফেনী পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত অযত্মে অবহেলায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রকল্পটি পড়ে আছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সীমানা প্রাচীর ঘেরা প্রকল্প এলাকার প্রধান ফটকে তালা ঝুলানো রয়েছে। প্রকল্পটি নির্মাণকাজ ২০২৩ সালে শেষ হলেও ২০২০ সালে এটি উদ্বোধন হয়েছে মর্মে স্থাপন করা একটি ফলক দেখা গেছে। ভেতরের বিভিন্ন লোহার সরঞ্জামাদী জং ধরে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। নষ্ট হয়ে গেছে ইলেক্ট্রিকের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। অথচ এ প্রকল্পটি কেন বা কি কারণে স্থাপন করা হয়েছে; বিষয়টি জানেন না স্থানীয়রা।

ফেনী পৌরসভার একাধিক সূত্র জানায়, প্রকল্পটিতে ৪০ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। পরে ফেনী পৌরসভার উদ্যোগে আরও ৪০ কিলোমিটার পানি সরবরাহ লাইন স্থাপনের কাজ শেষ হলে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়। পরিকল্পনা মোতাবেক অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপন করতে ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফেনী পৌরসভা থেকে আরিফ নামের এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কিন্তুু গণঅভ্যুত্থানের পর ওই ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

পরে ফেনী পৌরসভার কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় প্রকল্পটি থমকে দাড়ায়। পানি শোধনাগারের প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় নিয়োগপ্রাপ্ত পাম্প অপারেটর সৌরভকে পৌরসভার অন্য বিভাগে নিয়োজিত রাখা হয়েছে।

ফেনী পৌরসভার বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে ফেনী পৌর এলাকায় তিনটি পানির ট্যাংকের মাধ্যমে নাগরিকদের পানি সরবরাহ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পুরাতন ওই প্রকল্পের আওতায় দুই হাজার ৬শ গ্রাহক প্রতি গ্যালন পানি (১০০০ লিটার) আবাসিকে ৯ টাকা ও বাণিজ্যিকে ২২ টাকা হারে বিল পরিশোধ করে থাকেন। কিন্তুু এ প্রকল্পের পানির মাঝে ময়লা- আবর্জনা থাকায় দিন দিন গ্রাহকরা পৌরসভা থেকে পানির সুবিধা নেয়া বন্ধ করতে শুরু করেছে। পৌরসভা থেকে চাহিদামত সুপেয় ও বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে আইনভঙ্গ করে বাড়ির মালিকরা বাধ্য হয়ে পৌর এলাকায় গভীর নলকুপ বসিয়ে পানির সংকট পূরণ করছেন।

ফেনী পৌর এলাকার ট্রাঙ্ক রোডসংলগ্ন মো. রহিম উল্লাহ নামের এক বাসিন্দা জানান, ফেনী পৌরসভায় পুরাতন পানির ট্রাংকিগুলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে পড়েছে। এসব ট্রাংকি থেকে সরবরাহকৃত পানির গুণগত মান ভালো না থাকায় বাধ্য হয়ে মানুষ শহরে গভীর নলকূপ বসিয়ে পানি তুলছে। নতুনভাবে স্থাপিত প্রকল্পটি চালু করা গেলে এ শহরের অন্তত দুই লাখ মানুষ বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানি ব্যবহারের সুযোগ পেতো। এতে করে একদিকে মানুষের উপকার হতো অন্যদিকে পৌরসভার রাজস্ব আয় বাড়তো।

ফেনী পৌরসভার প্রশাসক (উপসচিব) গোলাম মো. বাতেন বলেন, ২০২৪ এর বন্যার সময়ে পানি শোধনাগারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা এটি দ্রঙত চালু করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করি প্রয়োজনীয় মেরামত ও লাইন স্থাপন কাজ শেষে আমরা শিগগিরই ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি চালু করতে পারব।


banner close