সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

আ.লীগ সরকার দুর্যোগে মানুষের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

মনির আহাম্মদ শুভ্র, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি  
প্রকাশিত
মনির আহাম্মদ শুভ্র, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি  
প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৪ ১৬:৫৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাহায্য নিয়ে দ্রুত আপনাদের পাশে এসেছি এবং আওয়ামী লীগ সরকার যে কোন দুর্যোগে আপনাদের পাশে আছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।

আজ বুধবার দুপুর ১টায় চরফ্যাশন সরকারি টিবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে

৫ শত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ শেষে উপস্থিত জনতার সামনে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ঘুর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে চরফ্যাশনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে আমরা দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে আমার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার সবধরনের ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবো। উপকূলীয় এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ দ্রুত মেরামতের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের জন্য কাজ করছেন, তিনি সর্বদা আপনাদের খোঁজ খবর রাখছেন। আপনার প্রধানমন্ত্রী উপর আস্থা রাখুন। ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের উদ্দেশ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের অবস্থার কথা এখান থেকে ফিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে জানাবো ৷ আপনাদের এলাকার সমস্যা গুলো সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহন করবো ।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি'র বক্তব্য রাখেন ভোলা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মো: মাহিদুজ্জামান।

উপজেলা প্রশাসন চরফ্যাশন এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভোলা জেলা প্রশাসক মো: আরিফুজ্জামান।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ভিপি, পৌর মেয়র মো: মোরশেদ, সাবেক মেয়র শ্রী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, চরফ্যাসন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী হেলিকপ্টারে চরফ্যাশনের ঢালচর, চরপাতিলা ও কুকরীমুকরী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।


উচ্চকক্ষে আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা গেলে সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যাবে: নুরুল হক নুর

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী ব্যুরো

পিআর পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, উচ্চকক্ষে যদি আনুপাতিক হারে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়, প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব উচ্চকক্ষে থাকবে। একটি কার্যকর পারলামেন্ট হবে। সেজন্য আমরা বলেছি, নিম্ন কক্ষে না হলেও উচ্চকক্ষে আগামী নির্বাচন এবং আগামীর সংসদেই যেন পিআর পদ্ধতিতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। সোমবার বিকেলে রাজশাহীতে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিধির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ছাত্র, যুব গণঅধিকার পরিষদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর এই সমাবেশের আয়োজন করে।

এসময় তিনি রাষ্ট্রসংস্কারের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই দেশের মেহনতি মানুষ ভ্যাট দেয় ট্যাক্স দেয় আর সেই ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা উন্নয়নের নামে লুটপাট করে রাজনীতিবিদ, এমপি, মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরা বাইরে পাচার করে। বাইরে চিকিৎসা নেয়, ছেলে মেয়েদেরকে উন্নত শিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠায়। আর এই দেশের মানুষের ভাগ্যে জোটে দুর্ভাগ্য।

৪৮ শতাংশ ভোটার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নাই উল্লেখ করে নূর বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, বায়তুলমোকাররমের মসজিদের খতিব সব একযোগে পালাইছে। এই উদাহরণ থাকার পরও যদি কারও শিক্ষা না হয় তাহলে তাদের জন্যও ভবিষ্যতে নির্মম পরিণতি অপেক্ষা করছে। তাই আমরা সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে বলতে চাই, এই দেশের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে। ৪৮ শতাংশ মানুষ সিদ্ধান নেয়নাই তারা কাকে ভোট দিবে। কাজেই ১০ টা হুন্ডা ২০ টা গুন্ডার ভয় দেখিয়ে, প্রশাসন দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে কেউ এমপি হবেন, মন্ত্রী হবেন, সরকার গঠন করবেন; সেই ইতিহাস ভুলে যান। আগের দিন নাই।


বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের দাবিতে লাগাতার মহাসড়ক ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম, রোগীদের হয়রানি ও সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে বরিশালের ছাত্র-জনতা দুই সপ্তাহ ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (শেবাচিম) পরিদর্শনে না আসায় তারা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সংলগ্ন ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনের প্রধান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি। তিনি বলেন,দুই সপ্তাহ ধরে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালে অব্যবস্থাপনা ও রোগীদের ওপর হয়রানির বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি পালন করছি। রোববার ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েও স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরিশালে আসেননি। তাই আজ থেকে বরিশালে মহাসড়ক অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি শুরু করছি।

মহিউদ্দিন আরো বলেন, বরিশালবাসীর কষ্ট এখনো মন্ত্রণালয় পর্যন্ত পৌঁছায়নি। যদি শেবাচিম হাসপাতালে দুর্নীতি ও অবহেলা অব্যাহত থাকে, আন্দোলন কঠোর হবে।

অপরদিকে, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন,আমরা হাসপাতালের সেবা মান উন্নয়নে কাজ করছি। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটানো হবে। আগামী মাসে নতুন ৩২শ নার্স ও ৩ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া এমআরআই মেশিন, ক্যাথল্যাব ও সি-আম মেশিন সরবরাহ করা হবে।

বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন সিকদার জানান, আজও শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছিল। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।


বিজিবি’র অভিযানে জুলাই-২০২৫ মাসে ১৭৪ কোটি ২৮ লক্ষাধিক টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত জুলাই-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৭৪ কোটি ২৮ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।

জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯ কেজি ২৬৭ গ্রাম স্বর্ণ, ১৯ কেজি ৮৩৮ গ্রাম রূপা, ১৫,০৪১টি শাড়ী, ৮,৮১১টি থ্রিপিসশার্টপিসচাদরকম্বল, ২,২৯৬টি তৈরী পোশাক, ২,৯৪১ মিটার থান কাপড়, ২,৮৯,০৬১টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ১০,৯১,২৭২টি আতশবাজি, ৩,৯২১ ঘনফুট কাঠ, ৩,৩৪৫ কেজি চা পাতা, ৬৮,১২৯ কেজি সুপারি, ১৬,১৩৪ কেজি সার, ১০,৮৭৫ কেজি কয়লা, ৪০,৩৭৩ কেজি সুতাকারেন্ট জাল, ৩৪৩টি মোবাইল, ৪৬৮টি মোবাইল ব্যাটারি, ৭,৮৬১টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪৬,৬৪৪টি চশমা, ৬,০২৪ কেজি বিভিন্ন প্রকার ফল, ৬০৭ লিটার ভোজ্য তেল, ৯৫১ লিটার ডিজেল, ৭,৮৩৫ কেজি জিরা, ৫৯১ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ১৯১ ব্যাগ চিংড়ি মাছের পোনা, ১,৯৬৩ কেজি কফি, ২,২২,৮৯৯ পিস চকোলেট, ৯৪৩টি গরুমহিষ, ২টি কষ্টি পাথরের মূর্তি, ৫টি ট্রাককাভার্ড ভ্যান, ৭টি পিকআপমাহেন্দ্র, ৭টি প্রাইভেটকারমাইক্রোবাস, ২০৬টি নৌকা, ৫৭টি সিএনজিইজিবাইকরিক্সা, ৫৩টি মোটরসাইকেল এবং ৪২টি বাইসাইকেলভ্যান।

উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ১০টি দেশীয়বিদেশী পিস্তল, ১টি রিভলবার, ১টি এসএমজি, ২টি রাইফেল, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৫টি ম্যাগাজিন, ৭৫টি গোলাবারুদ, ৫০০ গ্রাম গান পাউডার এবং ১১টি অন্যান্য অস্ত্র গুলি।

এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৯,৮৯,৫৮৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৮১৬ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ৩ কেজি ৪৫০ গ্রাম হেরোইন, ১৪০ গ্রাম কোকেন, ১০,৬৮৭ বোতল ফেনসিডিল, ৭,৮৭০ বোতল বিদেশী মদ, ৩৩৪ লিটার বাংলা মদ, ৯৪১ বোতল ক্যান বিয়ার, ২,০২১ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৪,০৬,৬৩৭ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৪৫৫ কেজি তামাক পাতা, ৮০,৬৯৯টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেটইনজেকশন, ৪,৯৫৯ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৯,২৯৮টি এ্যানেগ্রাসেনেগ্রা ট্যাবলেট এবং ৩৭,৭৩,২১২ টি বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।

সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২১৩ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ২০৪ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৫৪০ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।


রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো ‘সোশ্যাল একাউন্ট্যাবিলিটি টুলস’ বিষয়ক কর্মশালা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আমিনুল ইসলাম বনি, রাজশাহী প্রতিনিধি

সোমবার রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘সোশ্যাল একাউন্ট্যাবিলিটি টুলস’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকরেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক পারভেজ রায়হান।

একাউন্ট্যাবিলিটি বা জবাবদিহিতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে পারভেজ রায়হান বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক অনেক দেশ উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিতকরণে যে অগ্রগতি দেখিয়েছে সে অনুযায়ী আমাদের দেশ এখনও পিছিয়ে আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তিনি দেশের কর্মক্ষমতা সূচক বৃদ্ধির উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় মূল প্রবন্ধে তিনি জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, তথ্য অধিকার আইন, নাগরিক সনদ ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

কর্মশালায় আলোচকবৃন্দ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে আমরা নিজে যদি শুদ্ধাচারী না হই কোনো প্রক্রিয়াই আমাদের শুদ্ধাচারী বানাতে পারবে না। সেজন্য ব্যক্তিগতভাবে নিজেদের উন্নতি করতে হবে। জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আলোচকবৃন্দ স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের ইমেইল আপডেট ও তথ্য হালনাগাদকরণের জন্য আহ্বান জানান।

আরপিএটিসি’র উপপরিচালক তামান্না নাসরীন ঊর্মি এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, রাজশাহী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক মো. তারেক মাহমুদ। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।


৪৩টি আসন ফাঁকা রেখেই প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাকিব আসলাম, ইবি কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্রতিটি বিভাগ বরণ করেছে। সোমবার (১১ আগস্ট) প্রতিটি বিভাগ নিজ শ্রেণীকক্ষে নবীনদের বরণ করে নেয়। এদিকে নবীনদের ক্লাস শুরু হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো ৪৩ আসন ফাঁকা রয়েছে। সংশ্লিষ্টদের মতে, বিগত বছরের তুলনায় এবার সর্বোচ্চ আসন পূরণ করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৪৩টি আসন ফাঁকা আছে। ‘২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ৮টি অনুষদের অধীনে ৩৬টি বিভাগে মোট আসনসংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭টি। তন্মধ্যে ২ হাজার ৪০৪ শিক্ষার্থী চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করেছেন।

একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার শহীদুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় টেকনিক্যাল কমিটি ও জিএসটি কমিটি ফাঁকা আসনের বিষয়ে মিটিং করে জানাবে। পরবর্তীতে সেখানে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে জানাতে পারবো।’

নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনে বিশ্ববিদ্যালয়কে র‌্যাগিংমুক্ত রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাইকিং করে র‌্যাগিং-বিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, র‌্যাগিং বিরোধী প্রচারে আমরা বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং জিরো-টলারেন্স। র‌্যাগিং এর সাথে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।


সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুরের মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
এস এম আবু জাফর, পিরোজপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পিরোজপুরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট) সকাল ১০.৩০ মিনিটে সিও অফিস জেলা প্রেস ক্লাব পিরোজপুর এর অস্থায়ী কার্যালয়ে জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুর এর উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

জেলা প্রেসক্লাব পিরোজপুরের সভাপতি এম এ জলিল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু জাফর এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন-সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, হাসনেয়ারা হক,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাইনুল ইসলাম মামুন,কোষাধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন পলাশ প্রমুখ।

এছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম সোহেল বিল্লাহ কাজল , সহ-সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহিদ রাসেল,সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহিন ফকির,দপ্তর সম্পাদক এম এ নকিব নাসরুল্লাহসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, প্রকাশ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা দেশের সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ। শুধু গাজীপুর নয়, সারা দেশেই সাংবাদিকেরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।

বক্তারা আরও বলেন, “সাংবাদিকরা সত্য ও ন্যায়বিচারের কণ্ঠস্বর। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত না হলে তথ্যপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে, যা গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতি বয়ে আনবে।”

তারা তুহিন হত্যার দ্রুত বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

এ সময় বক্তারা দেশে সাংবাদিকদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা ও সহিংসতা ঠেকাতে কার্যকর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানান এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তব্যে বক্তারা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য প্রসাশনকে ধন্যবাদ জানান।


সরিষাবাড়ীতে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ মাদক ব্যবসায়ী আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোস্তাক আহমেদ মনির, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। ভোর রাত (সোমবার) ৩টার দিকে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়াবাড়ী এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন ২৬ বীর সরিষাবাড়ী অস্থায়ী ক্যাম্প এর ক্যাপ্টেন অর্ণব কবির প্রাপন।

জানা যায়, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সরিষাবাড়ী উপজেলায় কাবারিয়াবাড়ী এলাকায় মাদক বেচাকেনা হচ্ছে এমন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। যৌথ বাহিনী কাবারিয়াবাড়ী এলাকার মাদক ব্যবসায়ী মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে সাদ্দাম মিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার বাড়ীপোটল গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন (২৪), রুবেল মিয়া (৩৪), ও সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কাবারিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে সাদ্দাম মিয়া (৩৬)। আটককালে তাদের কাছ থেকে ১৮ পিস ইয়াবা, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ৫টি বার্টন মোবাইল ফোন, নগদ ৭ হাজার ৮শ ৯০ টাকা এবং একটি কুড়াল জব্দ করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৫ টার দিকে আটককৃতদের তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জসিম উদ্দিনের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

এ বিষয়ে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ জমিন উদ্দিন বলেন, মাদকসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মনিরুজ্জামান পলাশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, ড্রেস কোড ও গ্লাভস ছাড়াই খাবার তৈরীর দায়ে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে একই অবস্থা পাওয়া গেলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরের শহরের পাইকপাড়া এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় পরিচালিত এই তদারকি কার্যক্রমে স্টোর রুমসহ রান্নাঘরের অবস্থা দেখে বিস্মিত হন তারা। খাদ্যসামগ্রী এলোমেলোভাবে রাখা, অপরিচ্ছন্ন উপকরণ ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যসম্মত পদ্ধতির চরম অভাব সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ছিল ভোক্তা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে গ্রাহকদের জন্য খাবার প্রস্তুতের দৃশ্য ছিল হতাশাজনক।

অভিযানে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহীন এবং সদর উপজেলার নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকও উপস্থিত ছিলেন।


মাদারীপুরে জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. ফায়েজুল কবীর, মাদারীপুর প্রতিনিধি

সোমবার (১১ আগষ্ট) সকালে মাদারীপুর পৌর শহরের চরমুগরিয়া বন্দরে এই কর্মসূচী পালন করে বেসরকারি সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক)।

কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চরমুগুরিয়া বন্দরের গরুর হাট-বাজার এলাকায় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুর জেলায় কর্মরত কর্মকর্তারা সড়কের পাশে বিভিন্ন প্রকারের ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপন করেন।

এসময় রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান বলেন, জুলাই পুনর্জাগরণ ও তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠান রিক সারাদেশে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় মাদারীপুর যোনাল অফিসের অধীনস্থ সকল শাখা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বৃক্ষ রোপনের এ কর্মসূচী পালন করছি। আশা করছি, এ কর্মসূচীর আওতায় আমরা যে সকল বৃক্ষ রোপন করেছি, এসব বৃক্ষ থেকে ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুপাখিরা ফল খেতে পারবে, গাছগুলো একসময় বড় হয়ে কাঠের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ছায়া ও অক্সিজেন দিবে, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে এই বৃক্ষ বড় ভূমিকা পালন করবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) এর মাদারীপুরের মনিটরিং কর্মকর্তা ওয়াদুদ খান, যোনাল ম্যানেজার এ,বি,এম জাহিদুল কবির, এরিয়া ম্যানেজার শেখ নাহিদ হাসান, শাখা ব্যবস্থাপক মো.বাবুর আলী, মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক রিপনচন্দ্র মল্লিক, দৈনিক বাংলার সাংবাদিক মোঃ ফায়েজুল কবীর সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যম কর্মীরা।


সখীপুরে আগুনে পুড়ে মারা গেলো ৪ গরু, ঋণ পরিশোধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মোস্তফা কামাল, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে আগুনে পুড়ে এক কৃষকের ৪ টি গরু মারা গেছে। সোমবার(১১ আগস্ট) ভোররাতে উপজেলার আড়াইপাড়া বেগবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী কৃষক শাহ আলম বেগ জানান, মশার উপদ্রব থেকে গরুকে রক্ষা করতে তিনি নিয়মিত মশার কয়েল ব্যবহার করে থাকেন। আজ ভোর সাড়ে ৩টার দিকে তার ঘুম ভাঙলে তিনি গোয়ালঘরের চারপাশে আগুন দেখতে পান। দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার করতে থাকলে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে তার সব শেষ হয়ে যায়। এর মধ্যেই চারটি গরু পুড়ে মারা গেছে। একটি গাভি দগ্ধ হয়ে গোয়ালঘর থেকে বাইরে চলে যায়। গুরুতর দগ্ধ আরেকটি গরুকে স্থানীয় লোকজন জবাই করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে শাহ আলমও আহত হন। তাঁর দুহাত পুড়ে যায়।

কৃষক শাহ আলম আরও জানান, আমি সম্প্রতি দুটি ব্যাংক থেকে প্রায় দুই লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে গরু কিনে লালন পালন শুরু করেছিলাম। গোয়ালঘরসহ ৪টি গরু পুড়ে যাওয়ায় তার অন্তত ৭/৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মশার কয়েল থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক শাহ আলমের পাশে দাঁড়িয়ে যতটুকু সহযোগিতা করা দরকার, আমরা তা করব।’


দেশব্যাপী নিষিদ্ধ পলিথিন এর উৎপাদন, পরিবহন ও বিপনন রোধকল্পে র‌্যাব ফোর্সেস এর মহাপরিচালকের বাজার পরিদর্শন এবং জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে হত্যাকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র গোলাবারুদ, মাদক দ্রব্য উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণ, প্রতারক ও বিভিন্ন সময়ে সংগঠিত চাঞ্চল্যকর এবং আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধে র‌্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে।

১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে র‌্যাব ফোর্সেস কর্তৃক রাজধানীর কাওরান বাজারে জনসাধারণ, দোকানদার এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে অবৈধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন, মহাপরিচালক, র‌্যাব ফোর্সেস মহোদয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব ফোর্সেস এর অতিরিক্ত মহপরিচালক (অপারেশন্্স), অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন), র‌্যাব ফোর্সেস এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এছাড়াও জনাব সৈয়দ ফরহাদ হোসেন (যুগ্ম সচিব) পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট), পরিবেশ অধিদপ্তর, জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন (সিনিয়র সহকারী সচিব) এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন ছাড়াও দেশের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ক্ষতিকর দিকগুলোর বিরুদ্ধেও র‌্যাবের কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক পলিথিনের ব্যাবহারের উপর বিভিন্ন নির্দেশনা থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ পলিথিন গোপনে তৈরী করে বাজারজাত করে যাচ্ছে। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে পড়ছে। পলিথিনের ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বিপর্যয় ডেকে আনছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে। এ প্রেক্ষিতে র‌্যাব ফোর্সেস এবং পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথভাবে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ গ্রহণ করেছেঃ

-পরিবেশের ক্ষতি রোধ এবং জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে র‌্যাব জনসচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

-এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সারাদেশে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

-ইতিমধ্যে র‌্যাব ফোর্সেস ঢাকার গুলশান, মিরপুর, কেরাণীগঞ্জ, উত্তরা এবং টঙ্গীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ এবং র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অপরাধীদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে এসেছে।

-নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে কী কী পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করা যায় এবং আইন লঙ্ঘনের শাস্তির বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হচ্ছে।

-র‌্যাব ফোর্সেস স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভিন্ন পরিবেশ বাদী সংগঠনের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

-গণমাধ্যমের সহযোগিতায় আমাদের দেশের প্রত্যেকটি জনগণকে এই সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। অবৈধ পলিথিন রোধে র‌্যাবের এই সম্মিলিত উদ্যোগ শুধু একটি সরকারি কার্যক্রম নয় বরং একটি জাতীয় আন্দোলনের রূপ নিবে বলে মহাপরিচালক মহোদয় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

-একটি দীর্ঘমেয়াদী ও পরিবেশবান্ধব সমাজ গঠনে অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, বাজারজাতকরণ এবং ব্যবহার রোধকল্পে জনগণকে আরোও বেশী সচেতন হতে হবে।

এছাড়াও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যেকোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম দমনে র‌্যাব তার নিয়মিত টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।


ভেলায় ভেসে বানভাসী মানুষের সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মো. আসলাম সিকদার. কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবিতে কলাগাছের ভেলায় ভেসে সংবাদ সম্মেলন করেছে বানভাসী মানুষরা। সোমবার বেলা এগারোটায় উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ওই গ্রামের শতাধিক ভূক্তভোগী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বানভাসী মানুষের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই এলাকার বাসিন্দা হালিমা আয়শা।তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে পশ্চিম লোন্দা গ্রামের টিয়াখালী নদী তীর সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে ২৫০টি পরিবার। এ নদীর তীরে বেড়িবাঁধ না থাকায় বহু বছর ধরে প্রতিনিয়ত দু'দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় ওই এলাকায়। তলিয়ে যায় ২০০ একর কৃষি জমি, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতভিটা। বর্ষাকালীন সময়ে অনেকের চুলোয় জলেনা উনুন। নষ্ট হয়ে যায় জমির ফসল। তখন চলাচলের একমাত্র বাহন হয় ভেলা কিংবা নৌকা। ওই গ্রামের ৩ কিলোমিটার এলাকায় টেকসই রিং বেড়িবাঁধ নির্মান করলে এ অসহনীয় দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পাবে বানভাসী মানুষ। তাই এলাকা বাসীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি জানান তিনি।

এলজিইডির কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী সাদেকুর রহমান সাদিক বলেন, ভূক্তভোগীরা আবেদন করলে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।


সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জে মানববন্ধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সিরাজগঞ্জের কর্মরত সাংবাদিকরা একই সঙ্গে সাগর-রুনি হত্যাসহ দেশের সকল সাংবাদিক হত্যার বিচারের দাবিও জানানো হয়।

সোমবার (১১ আগষ্ট) বেলা ১১টায় মুজিব সড়কে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।

বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়ন হলেও কোন সরকারই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে পুরো সাংবাদিক সমাজ নিরাপত্তা ও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। প্রকাশ্যে একজন পেশাদার সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি পুরো সাংবাদিক সমাজের ওপর সরাসরি আঘাত। তাই দ্রুত সাংবাদিক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাংলাভিশনের স্টার রিপোর্টার হারুন-অর-রশিদ খান হাসানের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সঞ্চালনায় জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ইন্না, সহ-সভাপতি হিরক গুণ, কার্য্যকারী সদস্য নুরুল ইসলাম বাবু, সাবেক আহবায়ক সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম তফিজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রবিন, সলঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম দুলাল উদ্দিন আহম্মেদ, কামারখন্দ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জেলা বাসদের আহবায়ক নব কুমার কর্মকার, কালবেলার জেলা প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র দাস প্রমুখ।

এসময় সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হেলাল আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রইছি, আপ্যান বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম খান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মাহমুদুল কবির, আজকালের জেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম, শ্যামল বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দিলীপ গৌড়, এখন টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি রিফাত রহমান, মানবজমিনের জেলা প্রতিনিধি সুজন সরকার, রাইজিংবিডি.কম এর জেলা প্রতিনিধি অদিত্য রাসেল, খোলা কাগজের জেলা প্রতিনিধি এইচ এম আলমগীর কবির, যুগের কথার বার্তা সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমন, আমাদের নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি সোহাগ হাসান জয়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।


banner close