বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

১৯ উপজেলায় ভোট চলছে

ফাইল ছবি
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৯ জুন, ২০২৪ ১১:২০

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের স্থগিত হওয়া ১৯ উপজেলার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। উপজেলাগুলোর বিভিন্ন কেন্দ্রে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ১৯টি উপজেলায় ভোটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

ভোটের এলাকায় টহলে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন প্রতি তিন ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। আর নির্বাচনি অপরাধ আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচার পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন ১৯ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানান, বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা; খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; ভোলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঠালিয়া; বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ী উপজেলায় নির্বাচন হচ্ছে ব্যালট পেপারে।

আর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১১৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৩২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৮ জন ভোটার এক হাজার ১৮১ কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।

৮ মে থেকে ধাপে ধাপে দেশের উপজেলাগুলোয় ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ৯ জুন তা শেষ হবে, তবে কয়েকটি উপজেলায় মেয়াদপূর্তি না হওয়ায় নির্বাচন হবে আগামী বছর।


প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটালো জেলা প্রশাসকের হুইল চেয়ার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় চলাচলে অক্ষম অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলেছেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত ও অন্যের সাহায্যে চলাফেরা করা এমন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি।

জেলা প্রশাসকের হাত থেকে বিশেষ এ সহায়তা পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী ও তাদের পরিবারের লোকজন।পরে তিনি প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ খবর নেন।

এদিন জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান উপজেলার বিভিন্ন সরকারি দফতর ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে উপজেলার ২৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মধ্য হুইল চেয়ার, ২১ জন হতদরিদ্র নারীর মধ্যে সেলাই মেশিন ও ১৩ টি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সদস্যদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন বলে জানাগেছে।

এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইদুল হক,উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, সমাজ সেবা অফিসার মোজাম্মেল হক, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ও পুটিজানা ইউনিয়নের প্রশাসক রওশন জাহান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


নওগাঁয় টোলমুক্ত ফুলকপির হাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নওগাঁ প্রতিনিধি

জেলার মাঠে মাঠে রবি মৌসুমে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, শিম, পটল, বেগুন, মুলা, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। ভালো ফলনের আশায় খেতে নানা পরিচর্যায় ব্যস্ত তারা। প্রায় ১ মাস থেকে শীতকালীন সবজি হাট-বাজারে উঠেছে। তবে ফুলকপির উৎপাদন বেশি হওয়ায় সরবরাহ বেড়েছে। আর সরবরাহ বাড়ায় দামও কিছুটা কমেছে। তবে কৃষকরা ফুলকপি এখন আর হাট-বাজারে না নিয়ে অস্থায়ী বাজারে বিক্রি করছেন। নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ডাক্তার মোড় নামক স্থানে অস্থায়ী বসেছে ফুলকপির হাট। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১,২০০ টাকা। দেড় ঘণ্টার টোলমুক্ত এ হাটে বেচাকেনা চলে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে- জেলায় বরি মৌসুমে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শাক-সবজির চাষাবাদ হয়ে থাকে। এর মধ্যে ফুলকপি ১২০ হেক্টর। যা থেকে উৎপাদন হবে প্রায় ২ হাজার ১০০ টন।

সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ডাক্তার মোড় নামক স্থানে অস্থায়ী পাইকারি ফুলকপির হাট বসেছে। গত ১০ দিন থেকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এ হাটে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে ৭টা পর্যন্ত। ভ্যান, সাইকেল কেউ বা কাঁধে করে ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। তবে আগের দিন বিকেলে কৃষকরা খেত থেকে সংগ্রহ করে রাখেন। প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১,২০০ টাকা। এ হাট থেকে শহরের দূরুত্ব ৪ কিলোমিটার।

সদর উপজেলার চক-বালুভরা গ্রামের কৃষক মোতালেব হোসেন বলেন- ১৫ কাঠা জমিতে প্রায় ২,২০০ ফুলকপি চারা রোপণ করেছি। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি ২৫ টাকা হিসেবে ৫৫ হাজার টাকা বিক্রির আশা। খরচ বাদে লাভ থাকবে অন্তত ৪০ হাজার টাকা।

হাঁপানিয়া গ্রামের কৃষক আমিনুর রহমান বলেন- ১০ কাঠা জমিতে ফুলকপির আবাদ করেছি। ৫০ কেজি ফুলকপি এ হাটে নিয়ে এসে ১ হাজার টাকা মণ বিক্রি করা হয়। ১৫ দিন আগে ১,৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছিল। হাটে বিক্রি করতে গেলে প্রতি পিসে ২ টাকা খাজনা (টোল) ও ১ টাকা ভাড়া গুণতে হয়। সে হিসেবে এ হাটে খাজনা ও ভাড়া ছাড়াই বিক্রি করা কৃষকদের জন্য সুবিধা হয়েছে।

বর্ষাইল গ্রামের পাইকারি ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকার ফুলকপি কেনা হয়। যা ট্রাকযোগে ঢাকায় পাঠানো হয়। প্রতিদিন দেড় থেকে ২ ঘণ্টার এ হাটে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ফুলকপি বেচাকেনা হয়। তবে দিন যত যাবে ফুলকপির উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়বে। এতে দাম কিছুটা কমে আসবে। আগামী ১ মাস এ হাটে বেচাকেনা চলবে।

নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপরিচালক মোছা. হোমায়রা মণ্ডল বলেন, ভালো দাম পাওয়ার অনেক কৃষক আগাম ফুলকপির আবাদ করেন। শুরুতে উৎপাদন কম থাকায় দাম ভালো পেয়ে লাভবান হয়েছেন। তবে উৎপাদন বাড়লে দাম কিছুটা কমে আসে। তারপরও বাজারে দাম ভালো আছে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

এদিকে, জেলায় রঙিন ফুলকপি চাষ নিয়ে তিনি আরও বলেন, অন্যান্য কপির চেয়ে রঙিন ফুল কপির স্বাদ অনেক বেশি। আর নতুন হওয়ায় ভোক্তার কাছে চাহিদা রয়েছে প্রচুর। আর তাই বাজারজাতের ঝামেলা কম। নওগাঁ জেলার অনেক কৃষক এবার রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশা করেন তিনি।

তিনি আরও জানান, শুধু নওগাঁতেই নয়। আশপাশের জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া ও নাটোরসহ বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলেই রঙিন ফুলকপিতে আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন।

এক প্রশ্নের জবাবে রঙিন ফুলকপি নিয়ে সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের কৃষক জালাল হোসেন বলেন, প্রথমবারের মতো চাষ করেছিলাম রঙিন ফুল কপি। প্রায় ১২ শতক জমিতে হলুদ ও বেগুনি রঙের কয়েকশ গাছ লাগিয়ে ছিলেন তিনি। প্রথমবার হলেও ফলনও বেশ ভালোই পেয়েছিলেন বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান।

রঙিন ফুলকপি চাষ করা নিয়ে কৃষক জালাল অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সাংবাদিকদের কাছে। একপর্যায়ে তিনি অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করে বলেন, এসব কপির সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে সার, সেচ ও কীটনাশক তুলনামূলক অনেক কম প্রয়োজন হয়। সাদা ফুলকপিতে যা অনেক বেশি প্রয়োজন হয়। কৃষক যদি এই রঙিন কপি চাষ করতে চায় তাহলে বড় অঙ্কে লাভবান হওয়ার সম্ভব রয়েছে। এই মৌসুমে শুরুতেই একেকটি কপি বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকা পর্যন্ত। আর পরে বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৪০ টাকায়। যদিও খুচরা বাজারে এসব কপির দাম আরও বেশি।


বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ দুপুরে ইসলামপুর উপজেলার ধর্মকুড়া বাজার এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ছোট ভাই ও জামালপুর-২ আসনের বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদ ও ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, জামালপুর-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শরিফুল ইসলাম খান ফরহাদকে গতকাল (বুধবার) উপজেলার কুলকান্দী এলাকায় বাড়িতে রেখে ফিরছিলো নেতা-কর্মীরা। এসময় মলমগঞ্জ পৌছালে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সুলতান মাহমুদ বাবুর সমর্থকরা তাদের গাড়ি বহরে লাঠিসোটা দিয়ে হামলা চালায়। এতে ৪ জন গুরুতর আহত হয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন হাসাপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

দূর্বৃত্তদের গ্রেফতারের বিষয়ে তারা আরও বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে মামলা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাই মামলা অন্তর্ভুক্ত করে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করার আহবান জানান তারা।


বর্ণিল আয়োজনে মেহেরপুর সরকারি কলেজে নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক উৎসব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি 

রঙিন সাজ, আনন্দ উল্লাস আর মধুর আবহে অনুষ্ঠিত হলো ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুর সরকারি কলেজের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নবীণবরন উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসজুড়ে সকাল থেকেই ছিল উৎসবের আমেজ—রঙিন ব্যানার, ফুলের মালা, আর নবীন-প্রবীণের হাসিমুখে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সহকারী (ঐকমত্য) ও সাংবাদিক মনির হায়দার। তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন “নতুন পথচলা শুধু বইয়ের জ্ঞান নয়, মানুষের মতো মানুষ হয়ে ওঠারও পথ দেখায় কলেজ জীবন। স্বপ্ন বড় হবে, পথ চলা হোক আলোকিত।”

কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম নজরুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন—অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক খেজমত আলী মালিথ্যা।

অতিথিরা বলেন, তাঁরা নতুন শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শৃঙ্খলা ও মানবিক মূল্যবোধে বড় হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। এছাড়া কো কারিকোলাম এ্যাক্টিভিটিস, সামাজিক কার্যক্রমসহ মানবিক মূল্যবোধ সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কলেজকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরার পাশাপাশি একটি মানবিক সমাজ গঠণ করার আহবান জানান।

নবীনদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র মো. বিধান শেখ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী উলফাতুন নেছা পূর্ণিমা।

নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তারা বলেন “এ কলেজে ভর্তি হওয়া আমাদের গর্ব। প্রবীণদের ভালোবাসা আর শিক্ষকদের দিকনির্দেশনা আমাদের পথচলা আরও সুন্দর করবে।”

অনুষ্ঠানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুহূর্ত ছিল ফুল ছিটিয়ে নবীনদের বরণ করে নেওয়া। প্রবীণ শিক্ষার্থীরা হাতে রঙিন পাপড়ি ছিটিয়ে নবীনদের স্বাগত জানালে ক্যাম্পাসজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর এক আবহ।

পরে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান, নৃত্য, কবিতা আর নাট্য পরিবেশনায় মাতিয়ে রাখেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। পুরো অনুষ্ঠানে ছিল শৃঙ্খলা, সৌন্দর্য আর এক সজীবতার পরশ।


চাটখিলে সক্রিয় মানব পাচারকারী খপ্পরে পড়ে ২ যুবক দিশেহারা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খোরশেদ আলম, নোয়াখালী উত্তর 

মধ্যপ্রাচ্যে মানব পাচার করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে রুবিনা আক্তার শিল্পী ও তার ২ ছেলে মো: ছিদ্দিক আকবর সানি এবং সোলেমান হোসেন রণি। চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পরানপুর গ্রামে সক্রিয় রয়েছে এ চক্রটি। তারা তমিজ উদ্দিন মিজি বাড়ীর মোশারফ হোসেনের স্ত্রী ও পুত্র।

এই মানব পাচারকারী চক্রটির বিরুদ্ধে কোটে একাধিক মামলা ও বিভিন্ন থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।

জানা যায়, মো: ছিদ্দিক আকবর সানি এবং সোলেমান হোসেন রণি সৌদি আরব রয়েছে। সৌদি আরব নিয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে তাদের মা রুবিনা আক্তার শিল্পীর মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা লেনদেন করে মানব পাচার করছে সেখানে। প্রথমে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা চুক্তি করে মানব পাচার করে। পরবর্তীতে আটকে রেখে বিভিন্ন অযুহাতে আরো বেশি টাকা দাবি করে এ চক্রটি। টাকা দিতে রাজি না হলে প্রাণ নাশের সহ বিভিন্ন রকম হুমকি দিতে থাকে।

চাটখিল উপজেলার পরানপুর গ্রামের আবু মো: নুর হোসেনের ছেলে নাইমুল ইসলাম সজলকে সৌদি আরব নিয়ে ফাস্ট ফুড দোকানে ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে আবু মো: নুর হোসেন তার ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের দাবিকৃত টাকা প্রদান করে। এর কিছু দিন পর চক্রটি নাইমুল ইসলাম সজলকে সৌদি আরব নিয়ে যায়। কিন্তু, শর্ত অনুযায়ী চাকুরী না দিয়ে তাকে আটক করে রাখে। বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরো সাড়ে ৩ লাখ সহ মোট ৯ লাখ টাকা আদায় করে। এ বিষয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর বাবা আবু মো: নুর হোসেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালী গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) কে তদন্তভার প্রদান করেন।

অপরদিকে একই উপজেলার পরানপুর গ্রামের শাহজান মাষ্টার বাড়ীর মো: দুলালের ছেলে রহমান হোসেন রায়হানকে সৌদী আরব নিয়ে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৬ লাখ টাকা নেয় একই চক্র। চুক্তি অনুযায়ী চাকরি না দিয়ে রায়হানকে আটক করে আরো টাকা দাবি করে বিভিন্ন হুমকি দেয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর মা রুমকি আক্তার বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

আবু মো: নুর হোসেন বলেন, তার ছেলে নাইমুল ইসলাম সজলকে সৌদি আরব নিয়ে ফাস্ট ফুড দোকানে ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাবি করে রুবিনা আক্তার শিল্পী সহ মো: সিদ্দিক আকবর সানি ও সোলেমান হোসেন রণি। পরবর্তীতে আবু মো: নুর হোসেন তার ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের দাবিকৃত টাকা প্রদান করে। এর কিছু দিন পর চক্রটি নাইমুল ইসলাম সজলকে সৌদি আরব নিয়ে যায়। কিন্তু, শর্ত অনুযায়ী চাকুরী না দিয়ে তাকে আটক করে রাখে। বিভিন্ন হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আরো সাড়ে ৩ লাখ সহ মোট ৯ লাখ টাকা আদায় করে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে রুবিনা আক্তার শিল্পীর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি জানান, বিদেশে তারা লোক নেন এটা সত্য। তবে তারা বিদেশে গিয়ে কাজও করছেন।

চাটখিল থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র), অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এই চক্রটির বিরুদ্ধে থানায় ও কোর্টে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।


তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারণা সভা ও উঠান বৈঠক করেন, আতাউর রহমান আতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধ 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রচারণা সভা ও উঠান বৈঠক করেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য,মানিকগঞ্জ-৩ সদর ও সাটুরিয়া আসনের বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি পদপ্রার্থী আতাউর রহমান আতা।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৮ টায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জয়রা গ্রামে স্থানীয় বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারণা ও উঠান বৈঠকে বক্তব্যে এ কথাগুলো বলেছেন তিনি ।

এ সময়ে তিনি বলেন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প কিছুই নেই, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ধানের শেষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবেন এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন জনাব তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হয়ে একটি সুশৃংখল সুখী সমৃদ্ধি উন্নয়নশীল সোনার বাংলা গড়ে তুলবেন।

তিনি আরো বলেন আমি বিশ্বাস করি জনাব তারেক রহমান চূড়ান্ত মনোনয়ন আমাকে দেবেন এবং মানিকগঞ্জ ৩ আসনের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন, তারেক রহমানের সাথে আমার কিছুদিন আগেও কথা হয়েছে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন এবং মাঠে থেকে কাজ করতে বলেছেন,সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এমপি নির্বাচিত হয়ে আপনাদের সেবক হয়ে থাকতে পারি,আমি আপনাদের কাছে দোয়া প্রত্যাশী।

সময়ে তিনি উপস্থিত নেতা কর্মী ও জনসাধারণের মাঝে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করেন।

বিএনপি নেতা মোঃ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার জহিরুল ইসলাম, সাবেক যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান, জাগীর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান নয়ন মিয়া,সদর উপজেলা কৃষকদলের সাবেক আহবায় আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, ও সদর উপজেলা কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব মো:পল্টু মিয়া, জেলা বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, জেলা বিএনপি নেতা ফরিদুজ্জামান ফরিদ, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব আলী,বালিয়াটি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মোঃ হাবিবুর রহমান, সদর থানা শহীদ জিয়া প্রজন্ম দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিঠু, সাবেক জেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সাটুরিয়া উপজেলা কৃষকদের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ রেজাউল করিম, বালিয়াটি ইউনিয়ন বিএনপি'র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান হাবিব,সাবেক সাটুরিয়া উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায় মোহাম্মদ আলী, জেলা শ্রমিক দল নেতা মোঃ টিপু মিয়া,তরুন যুবদল নেতা বাবু মিয়া, সাবেক মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রদল নেতা মাহফুজুর রহমান রবিন, ও সাটুড়িয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোহাম্মদ ইমরান হোসাইন, এবং ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও সাকিব, প্রমুখ ছাত্রদল যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল শ্রমিক দল কৃষক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


ডিসেম্বরে ঢাকা-করাচি ফ্লাইট চালু, সপ্তাহে চলবে তিনটি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আগামী ডিসেম্বরে ঢাকা ও করাচির মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে। পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান এমন ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাহান এয়ার নামের এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।

পাকিস্তানের গণমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বুধবার জানিয়েছে, লাহোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এলসিসিআই) অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় হাইকমিশনার এমন ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হয়েছে। এলসিসিআই ও লাহোরে অবস্থিত বাংলাদেশের অনারারি কনস্যুলেটের যৌথ সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। সদস্যদের তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই ভিসা দেওয়া হবে।

হাইকমিশনার ইকবাল হুসাইন খান বলেন, এমন উদ্যোগ বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। শিগগিরই সরাসরি কার্গো শিপিং সেবাও চালু হবে।

বক্তব্যে করাচি থেকে ঢাকায় চাল রপ্তানি এবং ঢাকা থেকে করাচিতে তাজা আনারস আমদানির সম্ভাবনার কথাও বলেন হাইকমিশনার। টেক্সটাইল ও রেডিমেড গার্মেন্ট খাতের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন। এছাড়া শিক্ষা খাতে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

ইকবাল হুসাইন খান জানান, পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা কমিশন শিগগিরই বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। এতে ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি থাকবেন। এর লক্ষ্য আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে আকৃষ্ট করা।

সভায় এলসিসিআইর প্রেসিডেন্ট ফাহিমুর রহমান সাইগল বলেন, পাকিস্তান-বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক। পোশাক খাতে বাংলাদেশের কাছে থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আইটি, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতেও দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাবনা আছে।


বরিশালে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষেধাজ্ঞার দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল অফিস

বরিশাল নগরীর নির্দিষ্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন প্যাডেল রিকশা চালকরা। বুধবার দুপুরে দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে রিকশা নিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্যাডেল রিকশা বরিশাল নগরীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার অনিয়ন্ত্রিত গতি ও দৌরাত্ম্যের কারণে সদর রোডসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্যাডেল রিকশা চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দ্রুতগতির এসব রিকশার কারণে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

চালকরা জানান, বরিশাল নগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে এবং নিয়মিত দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। নগরীর সদর রোডসহ আটটি সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা বাস্তবে মানা হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিকশা শ্রমিকরা।

তারা আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত না হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় চালকরা সদর রোড, জিলা স্কুল মোড়, লাইন রোড, গির্জা মহল্লা ও কাটপট্টি রোডে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার দাবি জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. চান মিয়া, দুলাল, আলমগীর হোসেন, শাজাহান মিয়া প্রমুখ।


৫ ডিসেম্বর সারাদেশে মশাল মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশ মুখে অবরোধ থেকে আগামী ৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয়ভাবে সারাদেশে মশাল মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। চট্টগ্রাম নগরীর পুরাতন রেলস্টেশন চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হবে। বুধবার দুপুরে নগরীর বড়পোল এলাকায় অবরোধ কর্মসূচির সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির বিষয়টি জানান স্কপ নেতারা।

এর আগে, বুধবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর বড়পোল ও ইছহাক ডিপো সংলগ্ন বন্দরের টোলপ্লাজার সামনে বন্দরমুখী সড়কে অবস্থান নেন স্কপভুক্ত শ্রমিক সংগঠন, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। সেখানে অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করা হয়েছে। এছাড়া নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং এলাকায় সীম্যান্স হোস্টেলের সামনে পরিবহণ শ্রমিকরা মিছিল করেন।

টোল প্লাজা পয়েন্টে অবরোধ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন স্কপ নেতা তপন দত্ত, কাজী শেখ নরুল্লাহ বাহার, তসলিম হোসেন সেলম ও ইব্রাহীম খোকন। আর বড়পোল পয়েন্টে নেতৃত্ব দেন এস কে খোদা তোতন, খোরশেদুল আলম, মছিউদ দৌলা, কাজী আনোয়ারুল হক হুনি, রিজওয়ানুর রহমান খান, ফজলুল কবির মিন্টু, নুরুল আবসার তৌহিদ, জাহিদ উদ্দিন শাহিন, আব্দুল বাতেন, শফি উদ্দিন কবির আবিদ, আবু বক্কর সিদ্দিকী, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মো. সোহাগ।

বড়পোলের সমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে স্কপ নেতা তপন দত্ত বলেন, ‘বন্দরকে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন হবে এবং শ্রমিকদের জীবিকার ওপর সরাসরি আঘাত আসবে। তাই দেশ বাঁচাতে এবং শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার জন্য এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। দেশ রক্ষা এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার রক্ষায় স্কপ সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।

কাজী নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘বন্দর ইজারা মানে দেশের অর্থনীতিকে বিদেশি স্বার্থের হাতে তুলে দেওয়া। আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই এই সিদ্ধান্ত জনগণ মেনে নেবে না। শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ জনগণের স্বার্থে রাস্তায় নেমেছে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি দেবে।

বড়পোলের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মী অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানান। সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহআলম, সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অশোক সাহা প্রমুখ।


বাউল আবুল সরকারের বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাউল সম্রাট মহারাজ আবুল সরকারকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, ঘিওর ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তওহীদি জনতা ও আলেম সমাজ যেখানে তার ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করছে, অন্যদিকে বাউল শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থান উদ্বেগ বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ প্রশাসন আবুল সরকারের সাটুরিয়ার চরতিল্লি গ্রামের বাড়ির নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে। এপিবিএন ও স্থানীয় পুলিশ টহল জোরদার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।

৪ অক্টোবর ঘিওর উপজেলার জাবরা এলাকায় খালা পাগলীর ওরস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক গানের আসরে আবুল সরকার পালা গানের অংশ হিসেবে আল্লাহকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ছড়িয়ে দিলে বিষয়টি ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করে। তওহীদি জনতা অভিযোগ করে তিনি ধর্ম অবমাননা করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে মানববন্ধন, পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে তারা ফাঁসির দাবি তোলে। এরপর মুফতি মো. আব্দুল্লাহ বাদী হয়ে ঘিওর থানায় মামলা করলে ১৯ অক্টোবর গভীর রাতে মাদারীপুরের এক গান অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে ২৩ অক্টোবর মানিকগঞ্জ শহরে আবুল সরকারের মুক্তির দাবিতে বাউলদের কর্মসূচিতে তওহীদি জনতা ও বাউলদের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় তওহীদি জনতার পক্ষের মামলা নিলেও বাউল শিল্পীদের মামলা প্রথমে গ্রহণ না করায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে। পরে সমালোচনার মুখে পুলিশ মামলা নেয়। আবুল সরকারের ভক্ত আব্দুল আলীম অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এদিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মেয়ে ইনিমা রোশনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছে। তিনি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে লিখেছেন, আমি ও আমার পরিবার এখন কঠিন সময় পার করছি। যারা এই দুঃসমকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছেন তাদের কাছে কিছুই বলার নেই। শুধু চাই কারও জীবনে যেন এরকম দুঃসময় না আসে।

চরতিল্লি গ্রামে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয়দের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ এটিকে পালা গানের স্বাভাবিক যুক্তিতর্ক হিসেবে দেখছেন, কেউ আবার পুরো ঘটনাকে চক্রান্ত বলে দাবি করছেন।

বাড়ির নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা এসআই সুব্রত কুমার বিশ্বাস জানান, গত সোমবার রাত থেকে এপিবিএনের ১৬ জন সদস্য বাড়ির নিরাপত্তা দিচ্ছেন। পাশাপাশি সাটুরিয়া থানা পুলিশও সর্তক অবস্থায় টহল দিচ্ছে।


রাঙামাটিতে ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়াবিষয়ক প্রশিক্ষণ শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

সাংবাদিকদের সংবাদ তৈরির প্রচলিত কর্মকৌশলে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী প্লাটফর্মের জন্য সংবাদ তৈরিতে পারদর্শী করার লক্ষ্যে রাঙামাটিতে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল মিডিয়াবিষয়ক প্রশিক্ষণ। বুধবার সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের আয়োজনে রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের প্রশিক্ষক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন, রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার আল হক, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস, সিনিয়র সহসভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেলসহ প্রেসক্লাবের বিভিন্ন সদস্য এবং জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মোবাইল সেটিংস, ক্যামেরা সেটিংস এবং ভিডিও ধারণের নিয়মাবলী, মোবাইল শুটিং, মোবাইল সাংবাদিকতা, ডিজিটাল সাংবাদিকতা ও এআইয়ের ব্যাবহার, ফ্যাক্ট চেকিংসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে প্রশিক্ষকেরা। আর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মাল্টিটাস্কার দক্ষ পেশাশক্তিতে রুপান্তর করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ।

প্রথম দিনে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন, বাংলা নিউজ ২৪ ডট কমের চিফ মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মো. মিনহাজুল আবেদীন। তিনি ডিজিটাল মিডিয়াবিষয়ক বিভিন্ন কলাকৌশল উপস্থাপন করেন এবং সাংবাদিকদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাথে আপডেট থাকার আহ্বান জানান। কাল শুক্রবার বিকালে প্রশিক্ষণের মূল্যায়ন শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র দেওয়া হবে।


বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের কুতুবপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা জানান, কুকুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম বাঁধের প্রায় ৫০টির বেশি গাছ বিক্রি করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাঁধা দিলেও তারা তা উপেক্ষা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৫ সালে কুকুয়া গ্রামের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে। বাঁধের রিভার ও কান্ট্রি সাইটে বোর্ডের প্রায় ২০০ ফুট জমি রয়েছে। ২০০০ সালে ওই জমিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড মেহগনি, চাম্বল ও শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে।

সম্প্রতি সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওই গাছগুলো ৮৫ হাজার টাকায় স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়ার কাছে বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৩ দিন ধরে বেল্লাল মিয়া বাঁধের গাছ কেটে নিচ্ছেন। বুধবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাটা গাছ স্তুপ আকারে রাখা হয়েছে এবং বেল্লাল মিয়া সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছেন।

গাছ ব্যবসায়ী বেল্লাল মিয়া বলেন, জসিম মাস্টার ও তার ভাই আমার কাছে ৮৫ হাজার টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের কি না, তা আমি জানি না।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমার রেকর্ডীয় জমিতে রোপণকৃত গাছ আমি বিক্রি করেছি। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন গাছ নেই।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যসহকারী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, বোর্ডের জমির গাছ দুই ভাই বিক্রি করেছেন। আমরা বাঁধা দিলেও তারা শোনেননি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান সুজন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে রোপিত গাছ কাটা হয়েছে।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হান্নান প্রধান বলেন, বাঁধের গাছ কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


রাঙামাটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিজয় ধর, রাঙামাটি

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকায় কাভারভ্যান-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত ও অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কাউখালীর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. ইসহাক এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

নিহত সিএনজি ড্রাইভার নাম হাসান মিয়া (২২), বাবার নাম মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল লালমোহন। সে রাঙামাটি থেকে কাঁচামাল নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। আহত সিএনজি যাত্রীর নাম গিয়াস উদ্দিন। বাবার নাম আব্দুল কাদের। তার গ্রামের বাড়ি কৃষ্ণপুর, চকরিয়া, কক্সবাজার।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এসিআই গ্রুপের মালিকানাধীন ওষুধ বহনকারী কাভারভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ম)- ১৪- ১৩৭০ দ্রুতগতিতে বেতবুনিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা অতিক্রম করছিলে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চট্টগ্রাম-থ- ১২-৮৩৬৭ সিএনজির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

মুহূর্তেই সিএনজি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় সিএনজিতে থাকা চালক হাসান (২২) ও যাত্রী গিয়াস উদ্দিন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আশংঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে রাউজান হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত গিয়াস উদ্দিন বর্তমানে রাউজান জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দুর্ঘটনা কবলিত কাভার ভ্যানটি আটক করেছে পুলিশ। তবে কাভার্টভ্যানের ড্রাইভার চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর। তার নাম শিব বড়ুয়া। দুর্ঘটনার পর ড্রাইবার পালিয়ে গেছে। বেতবুনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এস আই মো. ইসহাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এ ব্যাপারে থানায় মামলার পক্রিয়া চলছে।


banner close