মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২৫ ভাদ্র ১৪৩২

আবাসিক হোটেলে সাবেক বন কর্মকর্তার রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি: দৈনিক বাংলা
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০২৪ ১৫:৩৫

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার মৎস্য বন্দর আলীপুরে ভাই-ভাই আবাসিক নামের একটি হোটেল থেকে মো. শফিকুর রহমান (৭০) নামের সাবেক বন কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার সকাল ১১টার দিকে হোটেলের দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে মহিপুর থানা পুলিশ।

নিহত শফিকুর রহমান চাঁদপুরের চান্দরা পাটোয়ারী বাড়ি এলাকার বাখরপুর গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।

পুলিশ ও হোটেল সূত্রে জানা যায়, তিনি গত ২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে এ হোটেলে ব্যাচেলর ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে হোটেল কর্তৃপক্ষ নাস্তা খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে খবর দেন। এ সময়ে হোটেলের জানালার ফাঁক দিয়ে তার মরদেহ খাটের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেল তালুকদার বলেন, আমরা এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করি। পটুয়াখালী থেকে ক্রাইমসিনের সদস্যরা আসছেন। তাদের কাজ শেষ হলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তার আত্মীয়-স্বজনরা আসছেন। তারা আসলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ ও কুইজ প্রতিযোগিতা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহর গফরগাঁওয়ে পূবালী ব্যাংক (পিএল সি) এর স্কুল ব্যাংকিং কর্মশালার আওতায় ঐতিহ্যবাহি বিদ্যাপীঠ গফরগাঁও মহিলা কলেজে বৃক্ষরোপণ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার ( ৯সেপ্টন্বর) ১১টায় মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে পূবালী ব্যাংকের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।
বৃক্ষরোপণ শেষে মহিলা কলেজ হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন গফরগাঁও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ মো. আব্দুল খালেক,পূবালী ব্যাংক (পিএলসি) গফরগাঁও উপশাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামানসহ কলেজের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ। কলেজ অধ্যক্ষ আবদুল খালেক ব্যাংক কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গাছ আমাদের জীবনের অংশ,গাছ ছাড়া আমাদের জীবন ও পরিবেশের কথা চিন্তাও করতে পারিনা,অধিক পরিমানে গাছ লাগান প্রাকৃতিক বিপর্যয় হতে দেশকে বাচাঁন।
আলোচনা শেষে কলেজ শিক্ষার্থীদে মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।


চাঁদপুরে কোস্ট গার্ডের অভিযানে ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার চাঁদপুর উত্তর মতলব থানাধীন মোহনপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় একটি ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন চাঁদপুর কর্তৃক উক্ত এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি রাম দা ও ২টি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়। এসময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

জব্দকৃত অস্ত্রের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।


বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল অ্যাডুকেশন নিডস অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ডর) কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডা. তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আতিকুল ইসলামসহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


নড়াইলে নতুন পুলিশ সুপারের যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নতুন কর্মস্থল নড়াইলে যোগদান করেছেন পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম। মঙ্গলবার তিনি যোগদান করেন। তার ব্যক্তিগত প্রোফাইল সূত্রে জানা গেছে মো. রবিউল ইসলাম ২০০৬ সালে ২৫তম বিসিএস হিসেবে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হন। তিনি ৩ বছর র‌্যাব বিভাগে দায়িত্ব পালন করার পর বরিশাল সদরে এএসপি (সার্কেল) হিসেবে ২ বছর ছিলেন। দুবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে কাজ করেন। এছাড়া ২০১৩-১৪ এবং ২০১৭-১৮ এই দুবার আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদানে শান্তি মিশনে যাওয়ার সুযোগ পান। নড়াইলে জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে প্রথম দায়িত্ব পেলেন এই মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। শিক্ষাগত জীবনে তিনি ২০০২ সালে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অনুষদ থেকে স্নাতক ও ২০০৪ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।

পুলিশ ক্যাডার হিসেবে প্রথম বারের মতো একটি জেলার পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার ওপর অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, পুলিশ সুপারের মতো গুরু দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। এ পেশাটি একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা বলে তিনি মনে করেন। নড়াইল জেলার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রাণপন চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ জন্য তিনি নড়াইলবাসীর সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেছেন।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুনেছি নড়াইল একটি শিল্প, সাংস্কৃতিক, রাজনীতি, মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়াঙ্গনে মোড়ানো একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত জেলা। বিশ্বখ্যাত মানবদের বাস এখানে । প্রতিটি সেক্টরে তাদের সরব বিচরণ থাকায় এই জেলা বিশ্বায়নে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছে। এ জন্য তিনি ওই সকল গুণী মানুষদের শ্রদ্ধা ও সালাম জানান। তিনি আশা করেন, নড়াইলের মানুষ তার কর্মকাণ্ডে সার্বিক সহযোগিতা করলে নতুন মাত্রায় এই জেলাকে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।


জামালপুরে মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শোভাযাত্রা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার এ উপলক্ষে র্যালি ও সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল জামালপুর জেলা শাখা। শহরের স্টেশন রোডস্থ জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে তমালতলা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে জেলা মহিলা দলের সভাপতি মোছা. সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোছা. ছাঈদা বেগম শ্যামাসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ১৫ বছর সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছিল। এখন বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অধীর অপেক্ষায় বসে আছে। তাই আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান বক্তারা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। ৩১ দফার মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তের পরিবর্তনের কথা বলা আছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি ক্ষমতায় যেতে পারে তাহলে ‘পরিবার কার্ড’ করা হবে, সরকার প্রতিটি পরিবার কার্ডে যত সুযোগ-সুবিধা দেবে তা পরিবারের মহিলা সদস্যদের মাধ্যমে প্রদান করা হবে।


কল্পনাও করিনি, এইদিন দেখতে হবে: জমিদারের নাতনি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

‘সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছি বলে কভু অভাব জিনিসটা চোখে পড়েনি। আমার ঠাকুর দা, রামধন ছিলেন জমিদার। বাবা কেশব চন্দ্র ধর- ছিলেন জমিদার পুত্র। ঠাকুর দা মারা যাওয়ার পর জমিদারির হাল ধরেন বাবা। যদিওবা ঠাকুরদার হাতে গড়া আমাদের জমিদার বাড়িতে আমার জন্ম। জন্মের পর থেকে দেখেছি আমার পরিবারের জমিদারির প্রভাব। প্রথমে ঠাকুরদা। পরে বাবার! বাবা কেশব চন্দ্র ধর ১৯৫৫ সালের ৬ জুন মারা যান। বাবা যতদিন ছিলেন ততদিন জমিদারি ছিল। কিন্তু এখন আর সে জমিদারি নেই। এইদিন দেখতে হবে তা কখনো কল্পনাও করিনি! কি দিন ছিল আর কি হয়ে গেল! যে জমিদার বাড়ীতে শতাধিক কর্মচারি বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকত, সে বাড়িতে আমরা কয়েকজন বসবাস করি। ‘কান্না জড়িত কন্ঠে এভাবে এদিন আর সেদিনের কথা বলছিলেন রামধন জমিদারের নাতনি একাশি বছরের বৃদ্ধা ছবি ধর।

এক সময়ের প্রভাবশালী জমিদার বাড়ির পরিদর্শনকালে জানা যায়, সেদিনের ইতিহাস আর আজকের বাস্তবতা! জমিদার বাড়ি মানেই্ অপূর্ব কারু কাজ করা বিশাল ভবন। গেইট থেকে শুরু করে বিশাল ভবনের দেওয়ালগুলোর পরতে পরতে সৌন্দর্যের ছোঁয়া। ইতিহাস ও ঐতিহের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এক নাম। অন্য বাড়ীর চেয়ে একটু হলেও বেশি সৌন্দর্য খুঁজে পাওয়া যায় রাউজানের ডাবুয়া এলাকার রামধন জমিদার বাড়ি।

রাউজান উপজেলার প্রভাবশালী জমিদারদের মধ্যে একজন ছিলেন রামধন জমিদার। অগাদ বিত্তের জমিদার রুপার থালা, বালতি, কেঁতলি ব্যবহারসহ অভিজাত শ্রেণির ভোগবিলাসীতা জীবন যাপনের তাদের কথা সর্বজন স্বীকৃত। তার শাসন আমলে জমির খাজনা আদায় করে ব্রিটিশ সরকারের নিকট প্রদান করা হতো। যদিওবা প্রজাদের কাছ থেকে আদায়কৃত অর্থের একটি বড় অংশ জমিদাররা ব্যয় করত নিজেদের প্রমোদ ও বিলাসীতায়। তৎকালীন রুপার টাকা দ্বারা খাজনা আদায় করা হতো। খাজনা প্রদানকারী প্রজাদের উৎসাহিত করতে এক জোড়া নারকেল, একবিড়া পান আর বাতাশা প্রদান করা হতো। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া এলাকার শাসনভার ছিল রামধন জমিদারের নিকট। এলাকার লোকজন জমির খাজনা প্রদানে ব্যর্থ হলেই জমির মালিক হতেন জমিদার নিজেই। আর সেই সুযোগকে কাজে লগিয়ে জমিদার গড়ে তুলেছিল দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য কৌশলে বহুব্যয়ে নির্মিত রামধন ভবন। এছাড়াও আশপাশে পুকুর, রমধর দিঘী, বাড়ির সামনে তোরণ, চুন সুরকি দিয়ে তৈরি কাচারিঘর, জমিদারের আনন্দ মহল, নাচখানা ও মন্দির। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া জমিদার বাড়িটি ধ্বংসস্তূপের মাঝে টিকে আছে। জমিদার বাড়ির কিছু অংশ সংস্কার করে রামধরের নাতি-নাতনিসহ কয়েকজন বংশধর বসবাস করেন। জমিদার রামধর ও রামগতি ধরের বংশ ধরের মধ্যে অনেকে পরিবার পরিজন নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে ও রাজধানীতে বসবাস করছেন। পূজার সময় কিংবা পরিবারিক অনুষ্ঠানে তারা এখানে আসেন। জমিদার বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত ভবন, মন্দির দিঘী এখনো জমিদারের স্মৃতি বহন করছে।

জানা গেছে, ডাবুয়া জগন্নাত হাট, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চিকদাইর পুলিশ ফাড়ি সহ রাউজান আর আর এসি মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রয়েছে এ জমিদার বংশের।

তথ্য সূত্র মতে, ১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধের পর ১৭৬০ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন নবাব মীর কাসেমের মোহরাঙ্কিত সনদের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমর্পন করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর হাতে। এর পর থেকে রাউজান ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। মধ্যযুগে চট্টগ্রামে বহু ছোট-খাঁটো জমিদারের উদ্ভব হয়েছিল।

ফলে এখানে দুর্গরক্ষী যে সকল সৈন্যদের রাখা হতো বেতনের পরিবর্তে তাদের জন্য কিছু কিছু জমি বরাদ্ধ করা হতো। সামরিক জায়গার প্রথা উঠে যাওয়ার পর সকল জমির খাজনা সৃষ্টি করা হয়েছিল। আসলে জমিদারি কিংবা ক্ষমতা সব সময় ক্ষণস্থায়ী। জমিদারির জৌলুস যে কতটা আরামদায়ক তার অবসান ঘটলেই বোঝা যায় আসলে কতটা বেদনাদায়ক। এমন কথাই মুখে মুখে ফিরছিলো জমিদার বাড়িতে আসা অনেকের।


চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও দামের প্রভাব নেই বাজারে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আসছে ভারতীয় চাল। গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭১ টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে ও বাজারে দামের কোনো প্রভাব নেই। আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, চাল আমদানিতে সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে চাল দেশে ঢুকছে। তবে দামের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।

জানা গেছে, প্রায় দুমাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ধানের আবাদ হলেও দেশের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়তে থাকে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে চাল আমদানি করার জন্য অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।

বেনাপোল বন্দর দিয়ে মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম এন্ড সন্স, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকরা সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন।

প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক গণী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নামে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন।

নাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দরে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। আশা করা যাচ্ছে এবার চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত দুই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং গত সোমবার রাত ১১ টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল আমদানি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল।


সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। আজ ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ গুলশান-২ এ শান্তা হোল্ডিংস কর্তৃক ১৬ তলা নির্মাণাধীন একটি ভবনে নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য এ সংক্রান্ত একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে ৭৫ জন নির্মাণ শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন, বিএফএম (এস), সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান, পিএফএম; নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ ও অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সকাল ১১:০০ ঘটিকায় ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন উপস্থিত হলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফায়ার সার্ভিস, ঢাকার সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামান। শান্তা হোল্ডিংসের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন নির্মাণাধীন ভবনের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অফিসার মেজর (অবঃ) হাফিজ আল আসাদ। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জনাব মোঃ ছালেহ উদ্দিন। এর পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ শুরু করেন।

বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় তত্ত্বীয় আলোচনা শেষে স্মোক ইজেক্টর ও এয়ার ভেন্টিলেটর ব্যবহার করে কিভাবে সেপটিক ট্যাংকে বাতাস দেয়া যায় বা কিভাবে সেপটিক ট্যাংক হতে ভেতরে থাকা দূষিত বাতাস বা গ্যাস অপসারণ করা যায় তা প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে কিভাবে আগুন নেভানো যায় এবং গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন কিভাবে নেভানো যায় তার কৌশল প্রদর্শন ও চর্চা করানো হয়। দুপুর ১৩:০০ ঘটিকায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শেষ হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট মুন্সীগঞ্জে একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় ৩ জন শ্রমিক নিহত হন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাব অনুযায়ী গত ৫ বছরে সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনায় ২২৮ জন নিহত হয়েছেন।


কাপাসিয়ায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষার্থীদের অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি 

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে স্পেশাল এডুকেশন নিডস্ অ্যান্ড ডিজাবিলিটিস (সেন্ড) এর কার্যক্রম বাস্তবায়নের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মাঝে অ্যাসিসটিভ ডিভাইস বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ডাঃ তামান্না তাসনীম।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার রমিতা ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিশুদের মাঝে ৪ জনকে হুইল চেয়ার, ২ জনকে শ্রবণ যন্ত্র, ১০ জনকে চশমা ও একজনকে জুতা জোড়া প্রদান করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার রমজান আলী, লুৎফুন্নেছা, মনিরা খাতুন, আরিফুল ইসলাম, কাপাসিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাহেলী নাসরিন, একডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ভূঁইয়া, ধরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আতিকুল ইসলাম সহ শিশুদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।


ভারত থেকে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলেও বাজারে দাম অপরিবর্তিত 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আসছে ভারতীয় চাল। গত ২১ আগস্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭১ টি ভারতীয় ট্রাকে মোট ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছে। সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে দেশে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে আমদানি স্বাভাবিক থাকলে ও বাজারে দামের কোন প্রভাব নেই। আগের সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বন্দরের চাল আমদানিকারকরা জানান, চাল আমদানিতে সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে তারা আমদানি অব্যাহত রেখেছেন। যার কারণে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমানে চাল দেশে ঢুকছে। তবে দামের কোন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছেনা।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই মাস আগে ইরি-বোরো মৌসুম শেষ হয়েছে। কিন্তু দেশে পর্যাপ্ত ধানের আবাদ হলেও দেশের বাজারে হঠাৎ করেই দাম বাড়তে থাকে। তাই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নাগালের মধ্যে রাখতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই অবস্থায় গত ১২ আগস্ট আমদানিকারকদের নামে বরাদ্দ ইস্যু করে চাল আমদানি করার জন্য অনুমতি দেয়। এরপর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।বেনাপোল বন্দর দিয়ে মেসার্স উষা ট্রেডিং, মেসার্স মৌসুমী ট্রেডার্স, মেসার্স হাজী মুছা করিম এন্ড সন্স, মেসার্স গণী এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স প্রিয়ম এন্টারপ্রাইজ নামের আমদানিকারকরা সাধারণত ভারত থেকে চাল আমদানি করছেন।

প্রসিদ্ধ চাল আমদানিকারক গনি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুস সামাদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানের নামে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে চাল আসা শুরু হওয়ায় পাইকারী ও খুচরা বাজারে কিছুটা দাম কমেছে। এই ভাবে আমদানি অব্যাহত থাকলে আরও দাম কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সরকারের কাছে চাল আমদানি অব্যাহত রাখার দাবী জানিয়েছেন।

আরেক আমদানিকারক শামীম আহমেদ জানান, বন্দরের মোকামে আমদানি করা চালের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণা, সম্পা কাটারি, রত্নাসহ মিনিকেট জাতের চাল। সম্পা কাটারী জাতের চাল কেজি ৭০-৭১ টাকা, স্বর্ণা জাতের চাল কেজি ৫২-৫৩ টাকা টাকা এবং আঠাশ জাতের চাল কেজি ৫৫-৫৬ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। চাল আমদানি করে লাভ হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, দেশে চাল আমদানি শুরু হওয়ার আগেই ভারতের ব্যবসায়ীরা কেজিতে ৩/৪ টাকা করে দাম বাড়িয়েছে। দাম না বাড়ালে দেশে চালের দাম কমে আসতো।

বেনাপোল বাজারের খুচরা বিক্রেতা হাজি স্টোরের হাফিজুর রহমান জানান, বর্তমানে চালের দাম নিয়ে কিছুটা হলেও ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। গত ১০/১২ দিন আগে সম্পা কাটারি ৭২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন কেজি ৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য চাল কিছুটা কমেছে।

ক্রেতা হারুনুর রশীদ ও আসাদুর রহমান জানান, আগের চেয়ে দাম কেজিতে এক থেকে দেড় টাকা করে কমেছে। আমরা দিন মজুরী করি। যত কমবে আমাদের জন্য তত ভালো। ভারত থেকে চাল আসার কারণে মনে হচ্ছে কমেছে। আগে দাম বেশি ছিল। হিসাবে আরও কমার কথা। দুই মাস আগে ইরি-বোরা মৌসুম গেল। সেই চাল তো বাজারে থাকার কথা। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মজুদ করার কারণে সরকারকে আমদানি করতে হচ্ছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, চার মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় বেনাপোল বন্দরে চাল আমদানি শুরু হওয়ায় বন্দরটিতে আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।আশা করা যাচ্ছে এবার চালের দাম কমে আসবে।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, গত দূই সপ্তাহে ৭১ ট্রাকে ২ হাজার ৪৮৫ টন চাল ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্ট ৯ টি ট্রাকে ৩১৫ টন, ২৪ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ২৭ আগস্ট দুটি চালানে ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২৮ আগস্ট ৩ ট্রাকে ১০৫ টন, ৩০ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ৩১ আগস্ট ৬ ট্রাকে ২১০ টন, ১ সেপ্টেম্বর ১২ ট্রাকে ৪২০ টন, ২ সেপ্টেম্বর ১৪ ট্রাকে ৪৯০ টন, ৩ সেপ্টেম্বর ৩ ট্রাকে ১০৫ টন এবং গতকাল সোমবার রাত ১১ টার দিকে ৬ ট্রাকে ২১০ টন চাল আমদানি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমদানিকৃত চাল দ্রুত ছাড়করণের জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল এই বন্দর দিয়ে সর্বশেষ চাল আমদানি হয়েছিল।


অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে ‎তিস্তার স্পার বাঁধ‎‎‎‎

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

অবৈধ বালু উত্তোলনে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে তিস্তা নদীর তীরে নির্মিত ৫ কোটি টাকার সলেডি স্পার বাঁধ। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে গোবর্দ্ধন গ্রামের বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই বাঁধ বিনাশী কার্যক্রম।

জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বিগত বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০২ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীরে সলেডি স্পার বাঁধ-২ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। সেই বাঁধের একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে একটি বালু খেকো চক্র।

আর এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএস মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী শওকত হোসেন ওরফে বালু শওকত। গত ১১ বছর এপিএস মিজানের তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি।

মিজান পলাতক হলেও খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত আলী। তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামে। বিগত দিনে এপিএস মিজান ও আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে শূন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।‎‎

স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু শওকত। বর্তমানে সরকারি কাজের অজুহাতে বালু তুলছেন শওকত। বোমা মেশিনটি সলেডি স্প্যার বাঁধের প্রায় একশত গজ ভাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বড় গর্ত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে স্প্যার বাঁধটি। এটি ধসে গেলে শত শত বসতভিটা স্থাপনা ও আবাদি জমি তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিধ্বস্ত হবে।‎‎

সরেজমিনে দেখা যায়, সলেডি স্প্যার বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দক্ষিণে প্রায় পাঁচশত গজ দূরে মজুর বাড়ির পাশে স্তূপ করা হচ্ছে তিস্তা নদীর বালু। কয়েক দিন আগে স্তূপ করা হয় ওই এলাকার রফিজের ছেলে মন্টু মিয়া, মোসলেমের ছেলে মন্টু, নবিয়ারের ছেলে তাজাম্মেল, বজলুর ছেলে রবিউলের বাড়ির পাশেসহ অনেক স্থানে স্তূপ করছে। বালু তোলা শেষ হলে সুযোগ মতো সড়িয়ে নেওয়া হবে ট্রাকে। এমনটাই জানান স্থানীয়রা।

তবে সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, শওকতের নির্দেশে বালু তোলা হচ্ছে। তার মেশিন তার তেল আমরা তার হয়ে কাজটা করছি মাত্র। বালু প্রসঙ্গে কিছু জানতে হলে শওকতের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এ শ্রমিক।‎‎ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে এপিএস মিজানের হয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে বালু শওকত। এখন মিজান নেই, ভোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আগের ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত।

একই স্থান থেকে প্রতি বছর বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বন্যার সময় বাঁধটি কেঁপে উঠে। বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হয়রানি করে। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।‎‎

এসব বিষয়ে শওকত আলী ওরফে বালু শওকত বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধের ভাটিতে প্রায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগে বালু ভরাট করার কাজ পেয়েছেন দিনাজপুরের একজন ঠিকাদার। তার হয়ে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ শেষ করেছি। এখন কে বালু উত্তোলন করছে তা আমার জানা নেই।

স্প্যার বাঁধের কাছে বালু মেশিন বসানোর কারণে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মূল ঠিকাদারের নাম নম্বর চাইলেও দেননি তিনি।

‎‎লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, জিও ব্যাগে বালু ভরাট ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান। বালু স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করার কথা হয়েছে। তবে বাঁধের কাছে মেশিন বসানো ঠিক নয়। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।‎‎


যন্ত্রনির্ভর তাঁতের দাপটে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় তাঁতশিল্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

একসময় মাকুর (তাঁত বোনার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রবিশেষ) ঠকঠক শব্দে মুখর থাকতো নরসিংদী জেলার গ্রামীণ জনপদ। এই দৃশ্য এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। হাতে টানা তাঁতের জায়গা দখলে নিয়েছে পাওয়ার লুম এবং বিদ্যুৎ-চালিত তাঁত। হাতে বোনা তাঁতের কথা বর্তমান প্রজন্ম শুধু বই-পুস্তকেই পড়েছে বা ছবিতে দেখেছে। বাস্তবে আর দেখার সুযোগ মিলছেনা বললেই চলে।

নরসিংদী জেলায় বর্তমানে হাতে বোনা তাঁত নেই বললেই চলে। গ্রামগুলোতে এখন আর মাকুর ঠকঠক শব্দ শোনা যায় না। শোনা যায় না দিনরাত তাঁত শ্রমিকদের গানের শব্দ। পূর্বে এখানকার তাঁতীদেরকে তাদের হাতে বুনা কাপড় নিয়ে বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে দেখা যেতো। কিন্তু তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত তাঁতীদেরকে এখন আর তাঁতের কাপড় মাথায় করে বাজারে যেতে দেখা যায় না। নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদী ও শেখেরচর বাবুরহাট, রায়পুরা উপজেলার রাধাগঞ্জ, মনিপুরা ও হাসনাবাদ তাঁতী বাজারগুলোতে এখন আর তাঁতীদের সমাগম ঘটে না। তাঁত পল্লী ও বাজারগুলো এখন এক পরিত্যক্ত বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে।

প্রয়োজনীয় মূলধন, সরকারী ঋণ, রং, সূতা ও প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং বাজারজাত করণের অভাবে সর্বোপরি শক্তিচালিত তাঁত এবং পাওয়ারলুমের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় হস্তচালিত তাঁত শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে।

এক সময় হস্তচালিত তাঁতের সাহায্যে তৈরী করা হতো বাংলার বিখ্যাত কাপড় মসলিন। এরপর ক্রমান্বয়ে এই হস্তচালিত তাঁতে তৈরী হতে থাকে মোটা শাড়ী, লুঙ্গী, বিছানার চাদর, দরজা জানালার পর্দা, মোটা খদ্দর ও গামছাসহ বিভিন্ন সূতী কাপড়।

এসব তাঁতের তৈরী সূতী কাপড়কে ঘিরে নরসিংদীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহাসিক শেখেরচর বাবুরহাট। নরসিংদী জেলার নরসিংদী, রায়পুরা, পলাশ, মনোহরদী, শিবপুর ও বেলাব উপজেলার হাজার হাজার তাঁতী তাদের তৈরী তাঁতের সূতী কাপড় এই বাবুরহাটে নিয়ে বিক্রি করতো। ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, দিনাজপুর, খুলনা ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকারী ক্রেতারা বাবুরহাটে গিয়ে নরসিংদীর সূতী তাঁত বস্ত্র নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো।

আগে যে তাঁতের কাপড় না হলে মেয়েদের বিয়েই হতো না, আজ সে তাঁতই নেই। জানা গেছে, এ জেলায় নব্বইয়ের দশকের দিকে প্রায় লক্ষাধিক হস্তচালিত তাঁত ছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশী তাঁত ছিল রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ, আদিয়াবাদ, চরসুবুদ্ধি, হাইরমারা, মির্জানগর, মরজাল ইউনিয়নে। এছাড়া সদর উপজেলার মাধবদী, আনন্দী, আলগী, গদাইরচর, নুরালাপুর, হাসেমেরকান্দি, করিমপুর, রসূলপুর, অনন্তরামপুর, জিতরামপুর এলাকায় হস্তচালিত তাঁতের প্রচলন ছিল। বর্তমানে শতাধিক হস্তচালিত তাঁত আছে কিনা সন্দেহ।

নরসিংদী সদর উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের রসূলপুর গ্রামের রূপ মিয়া বলেন, একসময় এ গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে তাঁত ছিল। তাঁতের এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল করিমপুর ইউনিয়ন। বর্তমানে এ গ্রামের মাত্র ১০/১৫টি পরিবারের মধ্যে হাতেগোনা কিছু তাঁত রয়েছে। এসব তাঁতে শুধু গামছা তৈরী করা হয়। সে গামছা কেলমাত্র চট্টগ্রামের মুনিপুরী কিংবা আদিবাসীরা ব্যবহার করে। এ গামছারও তেমন কোনো চাহিদা নেই। এখন অবসর সময় কাটাতে এবং অন্য কোনো কাজ না থাকায় তারা এখনো পর্যন্ত এ শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এক সময় নিলিক্ষার তাঁতের শাড়ি না হলে মেয়েদের বিয়েই হতো না। এখন আর এ কাপড়ের কদর নেই বললেই চলে। তাই দিনের পরদিন এ হস্তচালিত তাঁত শিল্পটি বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে।

তাঁত শ্রমিক আবু কালাম জানান, প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি এই তাঁতের মাধ্যমে কাপড় বুনতেন। তবে এখন আর শাড়ী, লুঙ্গী, বিছানার চাদর, দরজার পর্দা, মোটা খদ্দর তৈরী করেন না। তিনি এখন তৈরী করেন গামছা। আর এসব গামছা বিক্রি করেন শেখেরচর বাবুরহাট বাজারে।

তিনি আরো জানান, বাজার থেকে সূতা এনে প্রসেস করে এই গামছা তৈরী করেন। একটি গামছা তৈরী করতে খরচ হয় ১২৫ টাকা, বিক্রি করেন ১৫০ টাকায়। সারা দিনে ৮ থেকে ১০টা গামছা তৈরী করতে পারেন।

বিষয়টি নিয়ে বিসিক নরসিংদী জেলা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম খান এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নে বিসিকের একটি টিম পরিদর্শন করেছে। সেখানে তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ১০টি পরিবারকে এ বিসিকের আওতায় আনার জন্য এবং তাদেরকে বিসিকে নিবন্ধন করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে বলা হচ্ছে যে, “আপনারা যে সকল দ্রব্যগুলো তৈরী করছেন এগুলো এখনো প্রাচীন দেনধারণার আমলের দ্রব্য। এ দ্রব্যগুলো কিভাবে আধুনিকায়ন করা যায় এবং বাজারে কিভাবে প্রসারিত হয় এসব বিষয়ে তাদেরকে বিসিক পরামর্শ দিচ্ছে।

এছাড়া তাদের উৎপাদিত দ্রব্যগুলো কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এবং বিসিকের আয়োজনে যে মেলা অনুষ্ঠিত হয় সে মেলায় তাদের দ্রব্যগুলো প্রচার এবং প্রসারের ব্যাপারে আমরা কাজ করছি। প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের বিশেষ করে কুটিরশিল্পের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে অল্প সুদে ২ থেকে ৫ বছর মেয়াদী ঋণ দিয়ে থাকি। তবে বর্তমানে নরসিংদী জেলায় কয়টি তাঁতশিল্প রয়েছে তা বলা মুশকিল।


চবিতে প্রথমবারের মতো ‘বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস’ পালিত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথমবারের মতো পালিত হয়েছে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। সোমবার সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ মিলনায়তনে চবি চিকিৎসা কেন্দ্রের 'ফিজিওথেরাপি এন্ড স্পোর্টস ইঞ্জুরি রিহ্যাব ইউনিটের উদ্যোগে ফিজিওথেরাপি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়৷

‘সুস্থ বার্ধক্যে ফিজিওথেরাপি—পড়ে যাওয়া ও দুর্বলতা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব’ প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হয় এ আলোচনা সভা।

চবি মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়বের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। আলোচনা সভার প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ও ফিজিওথেরাপিস্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ফিজিওথেরাপিস্ট মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘শিশুকাল থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত সুস্থ থাকার জন্য কিভাবে চলাফেরা করবে সেজন্য মায়েদেরকে ট্রেনিং দিতে হবে। যৌবন বয়সের কার্যকলাপ করার জন্য এরগোনোমিক গাইডলাইন সম্পর্কে ধারনা নিতে হবে, যে কিভাবে চলাচল করবে, কিভাবে বসবে, কিভাবে হাঁটবে, কিভাবে কাজকর্ম করবে। বৃদ্ধ বয়সেও সুস্থ থাকার জন্য তাদেরকে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃদ্ধ বয়সে অনেক ধরনের রোগ হয় যেমন ডায়াবেটিস, হার্ট ডিজিস,স্ট্রোক জনিত সমস্যা। এছাড়াও ব্যথাজনিত রোগের জন্য অনেকে ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে খেয়ে ব্যথা দমিয়ে রাখে, তা থেকেও নতুন নতুন সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই বৃদ্ধ বয়সে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে, মাংশ পেশির সক্ষমতা ধরে রাখতে, জয়েন্টের রেঞ্জ অব মোশন ধরে রাখার জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি নিলে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন৷’

উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা ফিজিওথেরাপিস্টদের কাছে যাই না এটা একটা অসচেতনতা। আমরা রোগ লালন করি। প্রাথমিকভাবে রোগের নিরাময়ের চেষ্টা না করে রোগ নিয়ে বসে থাকি। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি দরকার। আমাদের ফিজিওথেরাপিস্ট দের কাছে যাওয়ার সচেতনতা তৈরি করা উচিত।’

উপউপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এটি একটি ভালো উদ্যোগ।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, দিবসটি পালনে উদ্যোগ খুবই প্রশংসাযোগ্য। এর ফলে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।


banner close