ঈদের ছুটিতে গ্রামে ছুটছে মানুষ। কর্মজীবনের ক্লান্তি কাটিয়ে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার একটাই উদ্দেশ্য শান্তিময় আনন্দে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন। তবে ঈদের দিনটাও অনেকের জন্যই হতে পারে উদ্বেগের। কারণ দেশের উত্তরবঙ্গ ও সিলেট বিভাগের নিম্নাঞ্চলগুলোতে বাড়ছে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি। ফলে তিস্তা, সুরমা, যমুনা অববাহিকায় বন্যার আশঙ্কা করছেন এলাকার মানুষ। এ অঞ্চলের প্রতিটি নদীতে বেড়েছে পানি সমতলের উচ্চতা। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে ২৬ নদীর পানি: সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের সুরমা, যাদুকাটা, কুশিয়ারাসহ ২৬ নদনদীর পানি বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা নদীর পানি ২৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। তিনি বলেন, ‘ভারতের চেরাপুঞ্জিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামছে। আর সেই ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের সব নদনদীর পানি দ্রুত বাড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে পাহাড়ি ঢল নামা অব্যাহত থাকলে আজকেই নদ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। এতে সুনামগঞ্জে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’
এ দিকে দ্রুত নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যা আতঙ্কে দিন পার করছেন জেলার ২০ লাখ বাসিন্দা। তাদের শঙ্কা, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে তাতে ঈদের আগে বন্যা হয়ে যেতে পারে। আর বন্যা হলে তাদের ঈদ আনন্দ শেষ হয়ে যাবে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, বন্যার পূর্বাভাস: লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য সিকিমে ভারী বৃষ্টির প্রভাবে বাড়ছে তিস্তা নদীর পানি। ইতোমধ্যে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং চরাঞ্চলে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ, তলিয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য বলছে, গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ছিল বিপৎসীমার মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচে। ডালিয়া পয়েন্টেও মাত্র তিন সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও কাউনিয়া পয়েন্টে মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই দিন সকাল ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং দুপুর ১২টায় ডালিয়া পয়েন্টে ৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, গোবর্ধন, সর্দারপাড়া, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, পাটিকাপাড়া, সিংগীমারী এবং সিন্দুর্না ইউনিয়ন এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
কাউনিয়া উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নবাসী জানান, শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা হলে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এতে চিনাবাদাম ও বিভিন্ন শাকসবজিসহ ফসলেরও ক্ষতি হবে। আর কাউনিয়ার চরগনাই গ্রামের বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার ভোর থেকে পানি বাড়ছে এবং আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। আমরা আতঙ্কে আছি। ঈদের আগে যদি আমাদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়, তাহলে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়ব। বড় কষ্ট হবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার জানান, আগামী ৫ দিনে দেশের উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী এবং কিছু স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ইত্যাদি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তিস্তা নদীর কিছু পয়েন্টে স্বল্প মেয়াদে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।
উজানে ভারী বৃষ্টি, কুড়িগ্রামে বন্যার শঙ্কা: কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে বৃষ্টি ঝরতে থাকলে ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমার নদ অববাহিকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাতে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান। পাউবো নিয়ন্ত্রণকক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দেশের অভ্যন্তর ছাড়াও এসব নদ-নদীর উজানে ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলার পানি কুড়িগ্রাম শহর (ধরলা সেতু) পয়েন্টে ৮৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। একই সময়ে দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮০ সেন্টিমিটার, তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা অববাহিকায় ১০২ দশমিক ২ মিলিমিটার এবং তিস্তা অববাহিকায় ৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তা নদীর পানি কিছু সময় দ্রুত বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে পাউবো। আগামী কয়েক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থেকে বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রাম সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীতে জেগে ওঠা চরগুলো নিমজ্জিত হতে শুরু করেছে। সদরের হলোখানা ইউনিয়নের ধরলাতীরবর্তী বাসিন্দা আহমেদ বলেন, ‘গতকাল থেকে পানি খুব বাড়তি। দুই ফুটের বেশি বেড়েছে। কিছু চর ডুবতে শুরু করেছে। তবে সেগুলোতে জনবসতি নেই।’
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের বাসিন্দা মিলন বলেন, ‘শুক্রবার সারা দিন পানি খুব বেড়েছে। কিন্তু রাতে কমেছে। তবে আবার ভারী বৃষ্টি হয়েছে।’
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক দিন উজানে ভারী বৃষ্টিপাত রয়েছে। এ সময় জেলার নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাবে। পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, ‘সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলাগুলোতে ত্রাণ সহায়তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলার দায়িত্বশীলদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির ওপর আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি।’
তীব্র হচ্ছে যমুনার ভাঙন: টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর ভাঙন তীব্র হয়েছে। গত কয়েকদিনে নিঃস্ব হয়েছে ৩৫ পরিবার। বাড়িঘর হারিয়ে তাদের কেউ কেউ খোলা আকাশের নিচে আছেন। কেউ আশ্রয় নিয়েছেন অন্যের জমিতে। এসব পরিবারের দাবি, সাহায্য নয়- ভাঙন রোধে এলাকায় বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন।
টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের চরপৌলি গ্রামের মুক্তার মণ্ডল। একসময় জমিজমা বাড়িঘর থাকলেও এখন তিনি নিঃস্ব। যমুনায় হারিয়ে গেছে তার আবাদি জমি ও বাড়িঘর। শুধু মুক্তারই নন, যমুনার ভাঙনে এই এলাকায় প্রতিবছর ভিটেমাটি হারান বহু মানুষ। তবে এবারের ভাঙন শুরু হয়েছে বর্ষার আগেই।
এলাকাবাসীর দাবি, টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙনের দুর্যোগ রয়েছে ৩০ বছর ধরে। যমুনার পূর্বপাড় গোয়ালিয়াবাড়ী এলাকায় স্থায়ী বাঁধ হয়েছে। কিন্তু এ পাড়ে বাঁধ না হওয়ায় তারাই বার বার ক্ষতির মুখে পড়ছেন। কাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা সবার কাছেই বলছি। কিন্তু কেউ কিছুই করছেন না।
টাঙ্গাইলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ হোসেন জানান, সদরের চরপৌলী, কালিহাতী উপজেলার ভৈরববাড়ী ও আলীপুর এলাকার বাকি এক হাজার ৬২৫ মিটার বাঁধের কাজের জন্য নতুন প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। সাময়িকভাবে আমরা নতুন ভাঙন রোধেরও চেষ্টা করছি। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে যমুনার তীর রক্ষার চেষ্টা চলছে।
খুলনায় স্বামীর চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ময়না বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ (১৩ আগস্ট) বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার নতুন রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ময়না বেগম সাতক্ষীরা জেলার মৌতলা গ্রামের বাসিন্দা আরিফ মোল্লার স্ত্রী।
খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল করিম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সাতক্ষীরা মৌতলার বাসিন্দা আরিফ মোল্লার পিঠের টিউমার অপারেশন করার জন্য সকালে একটি অ্যাম্বুলেন্স যোগে তারা বাড়ি থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার নতুন রাস্তায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অ্যাম্বুলেন্সটি খাদে পড়ে যায়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চার জনের তিনজন সুস্থ থাকলেও আরিফ মোল্লার স্ত্রী ময়না ঘটনাস্থলেই মারা যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ডুমুরিয়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ময়না বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে চালক দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
খর্ণিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফজলুল করিম বলেন, সংবাদ শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসে তাদের সকলকে উদ্ধার করি। পরে তাদের চিকিৎসার জন্য ডুমুরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরিফ মোল্লার স্ত্রী ময়নার মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে জনসংযোগ দপ্তরের আয়োজনে এই সেমিনার হয়। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য সাংবাদিক মোহসীন উল হাকিম, যিনি সংবাদ পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা, নীতি-নৈতিকতা ও দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকতায় অনেক সময় বস্তুনিষ্ঠতা বজায় থাকে না। হলুদ সাংবাদিকতা ও ফেসবুকনির্ভর সংবাদ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রত্যেক সংবাদকর্মী যেন গঠনমূলক সংবাদ উপস্থাপন করেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ পরিবেশ গড়ে ওঠে।”
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতা রক্ষা ও সমাজের ইতিবাচক দিক তুলে ধরার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় সেমিনারে বক্তব্য দেন প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীবসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রায় অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মীর অংশগ্রহণে আয়োজকরা ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
কুমিল্লা সরকারি কলেজ। ১৯৬৮ সালে জেলার প্রাণকেন্দ্র পুলিশ লাইনে প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড এবং স্নাতক পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। এ কলেজে প্রথম নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যাপক ছিলেন আবদুল ওহাব। তিনি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি সহ কলেজের ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তবে প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পরও কলেজটি এখনো নানা দাবি পূরণ হয়নি। যার ফলে কুমিল্লার প্রাণ কেন্দ্রে থাকা কলেজটি শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক পরিসরে অবদান রাখতে পারছে না। কলেজটিতে বর্তমানে স্নাতকে কয়েকটি বিষয়ে পাঠদান চলে। কলেজটিতে স্নাতক করে অন্য কলেজে গিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। শিক্ষক নিয়োগে এখনো পদ সৃষ্টি হয়নি।
কলেজটির তথ্য উপাত্ত ঘেটে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র ৬ টি বিষয়ে স্নাতক বিষয়ে ভর্তি হতে পারে শিক্ষার্থীরা। যার মধ্যে হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইংরেজি, গণিত ও বাংলা। এখানে রয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট। বর্তমানে ৬শ জন শিক্ষার্থী স্নাতকে ভর্তি হতে পারেন। আসন সংকটের কারনে অনেক শিক্ষার্থী কলেজটিতে ভর্তি হতে পারে না।
আরো যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ভবন নেই। প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকার কারণে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে। অতিথি শিক্ষক দিয়ে ক্লাশ নেয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের তুলনায় শ্রেণিকক্ষ কম, যার ফলে ক্লাস পরিচালনায় সমস্যা হয়। বর্ষাকালে কলেজের ভেতরে জলাবদ্ধতা দেখা যায়, যা শিক্ষা কার্যক্রমকে ব্যাহত করে। শিক্ষার্থীদের কলেজে আসা-যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিবহনের ব্যবস্থা নেই। ছাত্রদের জন্য হোস্টেলের অভাব রয়েছে, যা দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের জন্য সমস্যা তৈরি করে। এই সমস্যাগুলো কলেজের সামগ্রিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে।
এসব বিষয়ে শিক্ষাবিদ জহিরুল হক দুলাল বলেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে কলেজটির অনেক সমস্যা রয়েছে। এ কলেজটির বার্ষিক বরাদ্দ বাড়ানো হউক। এখানে স্নাতকে আরো কয়েকটি বিষয় যোগ করলে পাশের ভিক্টোরিয়া কলেজ কিংবা সরকারি মহিলা কলেজের উপর চাপ কমবে। পাশাপাশি কলেজটির অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নেও কর্তপক্ষ নজর দিবে এমনটা আশা করি।
কলেজটির বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ নুরুর রহমান খান জানান, এই কলেজটিতে মাত্র ৬ টি বিষয়ে স্নাতক শেষ করতে পারে শিক্ষার্থীরা। অন্য যেসব বিষয় রয়েছে যেমন অর্থনীতি,দর্শন, ইসলামের ইতিহাস, রসায়ন, পদার্থ ও জীববিজ্ঞানে স্নাতক করার কোন সুযোগ নেই। কারন এসব বিষয়ে এখনো স্নাতকে ভর্তির অনুমতি দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়াও এখানে প্রতিটি বিষয়ে একজন অধ্যাপক, দু’জন, সহযোগী অধ্যাপক, দুজন সহকারী অধ্যপক ও দুইজন প্রভাষক প্রয়োজন। আরো বিষয়টি উল্লেখ করার মতো তা হলো কলেজটি স্নাতক শেষ করে অন্য কলেজে গিয়ে স্নাতোকোত্তর শেষ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এখানে শিক্ষার্থীদের আবাসিক থাকার ব্যবস্থা নেই। এই সমস্যাগুলো সমাধান হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা প্রসারে আরো ভূমিকা রাখতে পারবে।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেছেন, শিক্ষার্থীদের দৃঢ়তার সাথে গবেষণায় সম্পৃক্ত হতে হবে। এ গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সহযোগিতা করব।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের গগন হরকরা গ্যালারিতে ইবি গবেষণা সংসদ আয়োজিত দ্য আনভেইলিং: গবেষণা অন্তর্দৃষ্টি ও নেতৃত্বের রূপান্তর" শীর্ষক সেমিনার ও প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানের মা। উৎপাদনের জন্য দরকার গবেষণা, ভাবনা ও আবিষ্কার। গবেষণা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ পর্যায়ে থেকে যায়। রাষ্ট্রের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান খুঁজে বের করাই গবেষণার মূল কাজ।
এ অনুষ্ঠানে আলোচনার মূল বিষয় ছিল — “Navigating the Research and Higher Study Landscape: A Multi-Disciplinary Perspective”। এ অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক হাবিবুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া, চারটি ভিন্ন ডিসিপ্লিনের আলোচনায় অংশ নেন — বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মনজুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. গাজী মো. আরিফুজ্জামান খান এবং চারুকলা বিভাগের সভাপতি ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান।
এসময় ইবি গবেষণা সংসদের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বলেন, আজকের কর্মশালাটি আমাদের সংগঠনের জন্য একটি স্মরণীয় মাইলফলক হয়ে থাকবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, গবেষণার মৌলিক বিষয়গুলো আয়ত্ত করা তরুণ গবেষকদের দেশ ও জাতির বৃহত্তর উন্নয়নে সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম করবে। সদিচ্ছা ও সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণার প্রতি গভীর আগ্রহ সৃষ্টি করবে।
চারুকলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান বলেন, যখন মানুষ গবেষণাকে ভয় পায়, তখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল যুবক সেই কাজটি করে যাচ্ছে। গবেষণা ছাড়া একটি দেশ সামনে এগোতে পারে না। ধারণার দাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, আলোচনায় প্যানেলিস্টরা গবেষণার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ, কার্যকর নেতৃত্বের গুরুত্ব, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং সৃজনশীলতাকে বাস্তব প্রভাবের রূপ দেওয়ার উপায় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।প্যানেল ডিসকাশন, শ্রোতাদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, শিক্ষার্থীদের গবেষণা, নেতৃত্ব ও সৃজনশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সংগঠনপর ২০২৫-২০২৬ সেশনের কমিটি গঠন করা হয় এবং সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।
চাঁদাবাজির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দলকে জানানো কথা বলা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার এনসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানো নোটিশ ও বহিষ্কারের এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমের বরাতে আপনার বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও গুরুতর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে, যা দলের সুনাম ক্ষুন্ন করেছে। এমতাবস্থায়, আপনার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আপনাকে দলের সব ধরনের সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে এতদ্ধারা সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। এই বহিষ্কার আদেশ ১২ আগস্ট তারিখ হতে কার্যকর হবে। একই সঙ্গে, আপনাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার লিখিত ব্যাখ্যা কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান জনাব, অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল-আমিনের নিকট আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রদান করার জন্য এতদ্ধারা নির্দেশ দেওয়া হলো।
এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক আন্দোলন বন্ধ করতে পাঁচ লাখ টাকা চাঁঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠে নিজামের বিরুদ্ধে। গত রোববার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনার আরেক ব্যক্তির সঙ্গে তার কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আন্দোলন বন্ধে টাকা চাইতে শোনা যায় তাকে (নিজাম উদ্দিন)। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া দেড় মিনিটের ওই ভিডিওতে আফতাব হোসেন রিফাত নামে একজনকে নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে কলে কথা বলতে দেখা যায়, যেটি অন্য আরেকটি ফোনে ভিডিও করা হয়। শুরুতে আফতাব হোসেন বলেন, ‘যদি মীর ভাইয়েরা আন্দোলন বন্ধ না করে তখন কী করব?’ জবাবে নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলন বন্ধ করাব। তোমারে দিছে, টাকা দিছে?’ এ পাশ থেকে ‘হ্যাঁ’ জবাব দেন আফতাব।
কত লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে আফতাব বলেন, ‘পাঁচ’। এরপর নিজাম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায় ‘আরও বেশি নিতা প্রেশার দিয়ে তোমরা দেখো ওর থেকে আরও পাঁচ লাখ নিতে পারো কি না, নিতে পারলে ওদের আমি এনে, রোহান, মীরদের এসে কিছু দিয়ে দিলাম।’
ওই ঘটনার পর গত সোমবার এনসিপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী (দপ্তর) আরিফ মঈনুদ্দিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
নিজামের বিরুদ্ধে চাঁদাবজির অভিযোগ নতুন নয়। গত ৫ জুলাই নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেন এক নারী। চিঠিতে ওই নারী উল্লেখ করেন, দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় পুলিশে দিয়েছেন নিজাম উদ্দিন। নিজাম তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম নগর শাখার সদস্য সচিব ছিলেন। অভিযোগের পর তার পদও স্থগিত করা হয়। পরে তাকে পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নিষিদ্ধ মাছ ধরার সরঞ্জাম ‘আর্টিসনাল’ ট্রলিং তৈরির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সোমবার গভীর রাতে উপজেলার শেখেরখীল এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক, যিনি এ ট্রলিং তৈরির মূল কারিগর বলে জানা গেছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা পণ্ডিত বিশ্বাস (৩৮), বরগুনার অমল চন্দ্র (৪৫), মোংলার নাথন বিশ্বাস (৬০) এবং সাতক্ষীরার আকাশ বিশ্বাস (৩৮)।
কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, শেখেরখীল এলাকার একটি গুদামে অবৈধ ট্রলিং তৈরির গোপন কার্যক্রম চলছে—এমন খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চারজনকে আটক ছাড়াও গুদাম থেকে ২৫ লাখ টাকা মূল্যের সাতটি অবৈধ জাল, ৩৪টি ইয়াবা, ১০ গ্রাম গাঁজা এবং ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট রাফিদ-আস-সামি জানান, আটক ভারতীয় নাগরিক পণ্ডিত বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ট্রলিং তৈরি করে আসছিলেন এবং ভারত থেকে নিয়মিত বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় এসে এই কাজ করতেন। জব্দকৃত আলামতসহ আটক ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
উল্লেখ্য, কাঠের তৈরি ছোট ট্রলারকে অবৈধভাবে যান্ত্রিক ‘ট্রলিং ট্রলারে’ রূপান্তর করে তাতে ছোট ফাঁসের ‘বেহুন্দি জাল’ যুক্ত করা হয়, যা আর্টিসনাল ট্রলিং নামে পরিচিত। এই পদ্ধতিতে গভীর ও অগভীর সাগরের রেণু, ডিমওয়ালা মা মাছ এবং মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য ধ্বংস হয়। এজন্য বাংলাদেশে এ ধরনের ট্রলিং সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
‘প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি, বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো সুনামগঞ্জে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যুব দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন ও জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা, সনদপত্র, যুব ঋণের চেক ও ক্রেস্ট বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া। সঞ্চালনায় ছিলেন রূপান্তর আস্থা প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী লাভলী সরকার লাবণ্য এবং সদর উপজেলা যুব ফোরামের আহ্বায়ক স্বর্ণালি আক্তার রিমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহনুর আলম।
জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া বলেন, যুব সমাজই দেশের অগ্রগতির প্রধান চালিকাশক্তি। দক্ষতা, উদ্ভাবনী শক্তি ও প্রযুক্তি জ্ঞানের মাধ্যমে তারা নিজেদের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যুবদের প্রযুক্তি নির্ভর হতেই হবে। এ লক্ষ্যে সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে উদ্যোক্তা তৈরি করা যায়, সে উদ্দেশ্যে লার্নিং, আর্নিং, মোবাইল অ্যাপসসহ নানা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু প্রযুক্তি ব্যবহার করব তা নয়, বরং প্রযুক্তিতে উদ্ভাবন করতে পারি এমন দিকেও কাজ করছে সরকার।
সভা শেষে ৭ জন প্রশিক্ষিত যুবদের মাঝে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ঋণের চেক বিতরণ করা হয়। জেলায় সফল সংগঠন নির্বাচিত হয়েছে ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর উত্তর ইউনিয়নের যুব ও সমাজকল্যাণ সংগঠন, সফল উদ্যোক্তা জামালগঞ্জের আরিফ বাদশা এবং সফল সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন শহরের বড়পাড়া এলাকার এনামুল হক। উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মঞ্জুর আলী, শেষ্ঠ যুব সংগঠন স্বপ্ন সিড়ি যুব সংঘ, শ্রেষ্ঠ যুব উদ্যোক্তা শাহানা আক্তার এবং শ্রেষ্ঠ যুব আত্মকর্মী হয়েছেন রিনা আক্তার।
এছাড়া প্রশিক্ষিত ও সফল যুব উদোক্তাদের ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়। এর আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনের সামনে এসে শেষ হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সমর কুমার পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস রঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং যুব প্রশিক্ষণের সফল উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভুষন হাওলাদার। তিনি একজন গ্রাম পুলিশ। চাকুরী করেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদে।
ঠাট্টা করে তাকে অনেকে ভুষন চেয়ারম্যান বলেও ডাকেন। কারন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া, নাগরিক সনদ দেয়া এবং গুরুত্বপুর্ন কাজ তিনি করিয়ে দেন। বিনিময়ে হাতিয়ে নেয় অর্থ।
সম্প্রতী "সরকারী গভীর নলকুপ" পাইয়ে দেয়ার জন্য ১২ জনের কাছ থেকে ১ হাজার ৭৫০ টাকা করে মোট ২১ হাজার টাকা নিয়েছেন গ্রাম পুলিশ ভৃষন হাওলাদার। ভুক্তভুগিরা জানিয়েছেন, 'জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ১২ টি গভীর নলকুপ বরাদ্ধ দেয়া ভৈরবপাশা ইউনিয়েনে। এরজন্য প্রতিটি নলকুপের জন্য অফিস খরচ বাবদ ১৭৫০ টাকা করে দিতে হবে। একথা বলে ভুষন হাওলাদার ১২ জনের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা বিকাশ একাউন্টে নেয়।'
একপর্যায়ে ভুক্তভুগিরা জানতে পারে নলকুপ বরাদ্ধের বিষয়টি ভুয়া। এরপর তারা টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে টাকা আত্মসাৎ প্রসংগে গত ১১ আগষ্ট ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
টাকা ফেরত চেয়ে অভিযোগ পত্রে তারা লিখেছেন, "আমরা নিম্ন ঈশ্বরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের কাছ থেকে টিউবওয়েল দেয়ার কথা বলে ১২জনের কাছ থেকে ১৭৫০ টাকা করে নগদ অর্থ নিয়েছে গ্রাম পুলিশ ভুষন হাওলাদার।
ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক নলছিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. অহিদুল ইসলাম দৈনিক বাংলাকে বলেন, 'ঘটনাটি আমি অবগত হয়েছি। ভুষন টাকাটা নিজে গ্রহন করেছে নাকি ভুষন অন্যের প্রতারনার স্বিকার হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ঐ টাকাগুলো সবাই একটা বিকাশ নাম্বারে দিয়েছে। সেই নাম্বারটি সন্ধানের জন্য থানায় সাধারন ডায়েরী করা হবে।
নির্বাচনী লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনো হয়নি, হলে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে পিয়ার পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন চাই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন। পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সকল দলের প্রতিনিধি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। সন্ত্রাস এবং কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগুরা শহরের ঐতিহাসিক নোমানী ময়দানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমাবেশ বক্তব্যকালে সংগঠনের নায়েবে আমি মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
তিনি শেখ হাসিনা সরকারের দুর্নীতি লুটপাট এবং হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার এবং বিএনপি'র সমালোচনা করে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি করেন।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা নাজিরুল ইসলাম এবং মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল।
সমাবেশে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজের ১২দিন পর ধানক্ষেত থেকে এক বাক প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে তার স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে নয়টার দিকে ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের পশ্চিম চকের হান্দার বাড়ি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাক প্রতিবন্ধীর নাম রবিউল আউয়াল (৫৪)। সে গজারিয়া উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের সোনা মিয়া সওদাগরের ছেলে বলে জানা গেছে।
খবর নিয়ে জানা যায়, ' রবিউল আউয়াল বাক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে বিয়ে-শাদী করেনি। বড় ভাই জিলানীর বাসায় থাকতো। কৃষিকাজ, দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো সে। অন্যান্য দিনের মতো গত ১আগস্ট সকালে বাড়ি থেকে বের হয় রবিউল আউয়াল। সন্ধ্যায় সে বাসায় না ফিরলে আশেপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করে স্বজনরা। দীর্ঘ সময় পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় স্থানীয় কবিরাজ ও তান্ত্রিকের দারস্ত হয় তারা। এদিকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল পৌনে নয়টার দিকে স্থানীয় এক জেলে দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে ধান ক্ষেতে একটি লাশ দেখতে পান। লাশটির অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে ১০/১২দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে নিখোঁজ রবিউল আউয়ালের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাকাপড় থেকে লাশটি তার বলে নিশ্চিত করে।
নিহত রবিউল আউয়ালের বড়ভাই জিলানি বলেন, ' লাশটি যেখানে পাওয়া গেছে সেখানে হাটু পরিমাণ পানি এখানে ডুবে কারো মৃত্যু হওয়ার কথা নয়। আমার ভাই বাক প্রতিবন্ধী ছিল তার অন্য কোন সমস্যা ছিল না। তার সাথে সবসময় ২০/৩০ হাজার টাকা টাকা থাকতো। তাকে
কেউ হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি আমরা'।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে'।
শেরপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন স্থগিত করেছেন শেরপুরের সিনিয়র সহকারী জজ তাহমিনা আফরোজ তানি।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে আদালত এ আদেশ দেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২২ আগস্ট শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিলো।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১০ আগস্ট শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সদস্য ও জেলা বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপন ও জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসেম আহাম্মেদ ছিদ্দিকি বাবু আদালতে “অন্য প্রকার মামলা” নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার মূল আইনজীবী বিএনপি নেতা আখতারুজ্জামান আদালতে অভিযোগ করেন চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ভুয়া এবং একই নামে একাধিক ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
রায়ে চেম্বার সভাপতি আরিফ হোসেন, সচিব হারুণ অর রশিদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম রকিব ও বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এমকে মোরাদুজ্জামানকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলসহ চুড়ান্ত প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়েছিলো। তিনটি কেটাগরির প্রার্থীররা প্রচারণা শুরু করেছিলো। এরইমধ্যে আদালত থেকে নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় হতাশ প্রার্থীরা।
অবশেষে পানি ছাড়ার দিন ৭ দিন পর বন্ধ করে দেওয়া হলো রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, সোমবার (১১ আগস্ট) রাত ৯ টায় কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ১০৭. ৩৪ ফুট মীনস সি লেভেল এর নীচে নেমে আসায় অথাৎ বীপদ সীমার নীচে নেমে আসায় মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮ টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব কটি জলকপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরোও জানান আজ মঙ্গলবার সকাল ৭ টায় কাপ্তাই লেকে পানির উচ্চতা ছিল ১০৭.০৬ ফুট মীনস সি লেভেল। অথাৎ বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে লেকে পানির উচ্চতা কমে আসছে।
প্রসঙ্গত: রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বীপদ সীমার উপর অতিক্রম করায় অথাৎ ১০৯ ফুটের প্রায় কাছাকাছি চলে আসায় গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২ টা ৫ মিনিটে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের( কপাবিকে) ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এরপর কেন্দ্রের জলকপাট দেড় ফুট, পরবর্তীতে আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাই লেকের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীনস সি লেভেল।
নীলফামারী পৌরসভার চার বিভাগের দশজন কর্মীকে একটি করে বাই-সাইকেল প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২আগস্ট) দুপুরে পৌরসভা প্রাঙ্গণে কর্মীদের হাতে বাই-সাইকেল তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
এসময় নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ কবির, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক রেজা, নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।
পৌর প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধা এবং পৌরসভার কাজে গতি বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কর, পানি সরবরাহ, প্রকৌশল ও স্বাস্থ্য শাখার দশজনের মাঝে একটি করে বাই-সাইকেল প্রদান করা হয়।