নরসিংদীর চিনিশপুরে হাড়িধোয়া নদীর পাশে কালীমন্দির (জামতলা) এলাকায় একটি রাসেল ভাইপার সাপ মারা হয়েছে। এঘটনার পর থেকে নদীপাড়ে বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে। বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নিশ্চিত করেছেন চিনিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান তুহিন।
তিনি বলেন, ‘দুই-তিন আগে স্থানীয় লোকজন নদের পাশে জামতলা এলাকায় একটি রাসেল ভাইপার সাপ মেরে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে অবগত করেন। পরবর্তীতে আমি খোঁজখবর নেই। স্থানীয়দের কাছ থেকে বিস্তারিত জেনেছি। তারা জানান, একটি রাসেল ভাইপার সাপ মেরেছে। এই এলাকায় নাকি আরেকটি সাপ চোখে পড়েছে। ধারনা করা হচ্ছে একাধিক রাসেল ভাইপার সাপ রয়েছে। রাতে ও দিনে চলাচলে চিনিশপুরবাসী সাবধানতা অবলম্বন করতে সচেতন করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, হাড়িধোয়া নদীটি মেঘনার মোহনা থেকে শুরু হয়ে নরসিংদী সরকারি গুদাম হয়ে পৌর শহর ও হাজিপুর গ্রামের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শিবপুর উপজেলার পুটিয়া বাজার হয়ে ভেলানগর দিয়ে চিনিশপুর গ্রামে প্রবাহিত হয়ে পলাশের শিতলক্ষায় যোগ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় নদী বেষ্টনী এলাকায় রাসেল ভাইপার সাপ আতঙ্কের পর এবার নরসিংদীর চিনিশপুরে এই প্রথম চোখে পরে সাপটি। এ বিষয়ে আতঙ্কে রয়েছে তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আছমা সুলতানা নাসরিন বলেন, এই প্রথম আপনার কাছে জানতে পেড়েছি, চিনিশপুরে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ মারা হয়েছে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে সবাইকে সচেতন করে দিবো।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. ফারহানা আহমেদ বলেন, প্রতি সপ্তাহে আমাদের সভা হয়, এসব সভায় আলোচনা হয় বিষাক্ত প্রাণীর কামড় আক্রমণ ও ক্ষতি থেকে প্রতিকার হওয়ার ভেকসিন সম্পর্কে। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সাপে কাটা, কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে রাসেল ভাইপার সাপ নিয়ে বিশেষ কোনো ভ্যাকসিন নেই আমাদের কাছে। এটি একটি বিষাক্ত সাপ আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা অতি জরুরি।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায় রয়েছে ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়গুলোতে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। উপবৃত্তি, মিড-ডে মিল, শিক্ষা উপকরণসহ নানা সুবিধা দিয়েও বিদ্যালয়ে উপস্থিত করা যাচ্ছে না।
তথ্য বলছে, সোনাইমুড়ীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২২টি। ৩১টি স্কুলে প্রধান শিক্ষক রয়েছে। চলতি দায়িত্বে রয়েছে ২৬টি স্কুলে। ৬৫টি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রয়েছে। এসব স্কুলে ৬৭২টি সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে। কর্মরত সহকারী শিক্ষক আছেন ৬২৪ জন। ৪৮টি পদ শূন্য রয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। ২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১২, ১ম শ্রেণিতে ৭, ২য় শ্রেণিতে ১০, ৩য় শ্রেণিতে ১০, ৪র্থ শ্রেণিতে ১২ ও ৫ম শ্রেণিতে ১১ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে।
৭নং বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১ম শ্রেণিতে ৬, ২য় শ্রেণিতে ৫, ৩য় শ্রেণিতে ৯, ৪র্থ শ্রেণিতে ১০ ও ৫ম শ্রেণিতে ১০ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকে ১ম শ্রেণিতে ৬, ২য় শ্রেণিতে ৩য় শ্রেণিতে ১০, ৪র্থ শ্রেণিতে ১৭ ও ৫ম শ্রেণিতে ৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নের হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৯ জন ছাত্র এবং ৩৮ জন ছাত্রী। সোনাপুর-১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩২ জন ছাত্র এবং ৩০ জন ছাত্রী। ৯নং দেওটি ইউনিয়নের ঘাসেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩৫ জন ছাত্র এবং ৩২ জন ছাত্রী। দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৪০ জন ছাত্র এবং ২৮ জন ছাত্রী। ১০নং আমিশাপাড়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩০ জন ছাত্র এবং ২৫ জন ছাত্রী। পুর্ব কৃঞ্চপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৬ জন ছাত্র এবং ৩০ জন ছাত্রী। ৭নং বজরা ইউনিয়নের শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ২৫ জন ছাত্র এবং ৩৬ জন ছাত্রী। ২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি রয়েছে ৩৭ জন ছাত্র এবং ২৫ জন ছাত্রী। এভাবেই অন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনামূলক কম রয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়াতে ইউএনও নাসরিন ডাক্তারের উদ্যোগে গান্ধী আশ্রমের অর্থায়নে সোনাইমুড়ী উপজেলা ৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল কার্যক্রম চালু করা হয়। উপজেলার শিলমুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দেওটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল চালু করেন। গত ১৯ আগস্ট সোনাইমুড়ী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অসহায় দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেন তিনি। উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ স্কুল ব্যাগ, টিফিন বক্স ও জ্যামিতির বক্স বিতরণ করা হয়।
সোনাইমুড়ী প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মিড-ডে মিল চালু হওয়ায় শিক্ষকরা আনন্দিত। এতে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলমুখী হবে। না খেয়ে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থী স্কুলে চলে আসে। নতুন শিক্ষা উপকরণ পেয়েও তারা আনন্দিত। এ উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার। এ কারণে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষক অফিসার মহিউদ্দিন বলেন, করোনাকালে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমতে শুরু হয়। এছাড়া যত্রতত্র নূরানী মাদ্রাসা থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বিদ্যালয় ছেড়ে মাদ্রাসামুখী হচ্ছে। এ উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
২নং নদনা ইউনিয়নের বোরপিট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মেছবাহুর রহমান বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা মাদ্রাসা এবং কিন্ডারগার্টেনমখী। তাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম তা সত্য। তবে তিনি যোগদান করার পর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাত নাসিমা হাবিব বলেন, শিক্ষক সংকট রয়েছে। পাশাপাশি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে কম। উপস্থিতি বাড়াতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষকরা উঠান বৈঠক করছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে মিটারের চেয়ে বেশি বিল দাবির অভিযোগ উঠেছে। মিটার ইন্সপেক্টর মিটার না দেখেই অতিরিক্ত রিডিং দেখিয়েছে বিলে এমন অভিযোগ গ্রাহকের। কিন্তু অতিরিক্ত বিলের অর্থ পরিশোধে অনিহা গ্রাহকের। প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে অভিযোগ করার পর বিল সংশোধনের নির্দেশ রাজস্ব কর্মকর্তাকে।
জানা গেছে, মিসেস রওশন আরা বেগম হিসাব নং-২৯৩৭৮৪, মিটার নং- ০৯০৭০০২৪৬৭ পাহাড়তলী এলাকায় আবাসিক সংযোগ নিয়েছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার। বাস্তবে নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখে মিটারে পানির ব্যবহৃত ইউনিটের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৭ ইউনিট। বিলের কপি অনুযায়ী চলতি বছরের ৩১ আগস্ট মিটারে রিডিং দেখানো হয়েছে ৩ হাজার ৯০ ইউনিট। ৩০ দিন পর তথা ৩০ সেপ্টেম্বর মিটারের রিডিং দেখানো হয়েছে ৩,৪৯০ ইউনিট। অর্থাৎ এক মাসে গ্রাহক মোট ৪০০ ইউনিট পানি ব্যবহার করেছেন। প্রতি ইউনিটের বিল ১৮ টাকা হিসেবে ৪০০ ইউনিটের বিল ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। এর সঙ্গে ১৫% ভ্যাট ১ হাজার ৮০ টাকা যুক্ত করে গ্রাহকের মোট প্রদেয় বিলের পরিমাণ ৮ হাজার ২৮০ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, গ্রাহক বয়োবৃদ্ধ হওয়ার কারণে চট্টগ্রাম ওয়াসার মিটার রিডারে লাফিয়ে লাফিয়ে ভুল রিডিং দিয়ে বিলের টাকা বাড়ানোর বিষয়টি বুঝতে পারেননি। প্রশ্ন উঠেছে, মিটার রিডার বা ইন্সপেক্টর কী কারণে এমন বিল তৈরি করেছেন তা রহস্যজনক। প্রত্যক্ষভাবে গত ১৫ নভেম্বর ওয়াসার মিটারটিতে দেখা গেছে অন্যতথ্য। মিটারে মাত্র ৩,২৮৭ ইউনিট রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে মিটার ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান মিটার না দেখেই বিল করেছেন গত দুই মাস।
এ ব্যাপারে গ্রাহক রওশন আরা বেগম বলেন, আমি ঠিক সময়ে বিল পরিশোধ করে দেই। কিন্তু দুই মাস পরের রিডিং দুই মাস আগে দেখানো হয়েছে। এতে আমি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি। তাই এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার চিফ রেভিনিউ অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি সংশোধন করে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার রাজস্ব কর্মকর্তা বলেছেন, গত মাসে যদি ৪০০ ইউনিট দেখানো হয় পরবর্তী মাসে সর্বোচ্চ শতকরা ২০ ভাগ ব্যবহৃত ইউনিট কম দেখানো যাবে। এর চেয়ে বেশি কম দেখাতে হলে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার অনুমতি লাগবে। কিন্তু এ বিষয়ে গ্রাহকের জানার কথা নয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা রুমেন দে বলেন, একটি ভবনে প্রতিটি পরিবার গড়ে ৩০ ইউনিট পানি ব্যবহার করতে পারে। সে অনুযায়ী বিলে ১০০ ইউনিট বেশি দেখানো হয়েছে। তিনি মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন, মিটারটি পরিদর্শন করে দেখতে হবে। আর রাজস্ব কর্মকর্তাকে বলেন, যেহেতু মিটারের ছবি তোলা হয়েছে সেখানে রিডিং ৩,২৮৭ ইউনিট দেখা যাচ্ছে সেহেতু বিলে ভুল হয়েছে।
সোমবার ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ বিকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলে জনগণের সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। পাশাপাশি কোস্ট গার্ড বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ঢাকা জোনের উদ্যোগে ঢাকার মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজে ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উক্ত কর্মশালায় আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের সার্বিক প্রস্তুতি, দাঙ্গা দমন কৌশলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অংশগ্রহণকারীদের ভোট ও নির্বাচনি প্রক্রিয়া সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দিয়ে দায়িত্বশীল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। কর্মশালায় তরুণ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নির্বাচনি সচেতনতা, নাগরিক দায়িত্ববোধ, দায়িত্বশীলভাবে ভোট প্রদান, গুজব ও বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলা এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি অংশগ্রহণের ওপর বিশেষভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয়। কর্মশালায় উক্ত কলেজের প্রায় ৩০০ জন শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সচেতন ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ অব্যাহত রাখবে।
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় নাফাখুম ঝরনায় পা পিছলে পড়ে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর পর্যটকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. ইকবাল হোসেন (২৫) বাড়ি ঢাকা ডেমরা থানার, সারুলিয়া রসুলনগর গোপ দক্ষিণ গ্রামে।
থানচি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার অহিদুর রহমান পর্যটকের লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রোববার বেলা ৩টা ৫৫মিনিটের দিকে পর্যটকের লাশ উদ্ধারের পর উপজেলা সদরে রাত আটটার দিকে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে থানচি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: উপজেলার দুর্গম নাফাখুম ঝরনায় ভ্রমণে যান ঢাকা ডেমরা এলাকা থেকে আসা ১৭ জনের একটি দল। শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে সফরসঙ্গীদের সঙ্গে নাফাখুমে যান। সেখানে পা পিছলে পড়ে গেলে পানিতে ডুবে যায়। তখন থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয় যুবক লুমেন খুমী জানিয়েছেন।
তিনি আরো জানান, পর্যটকদের সাথে উপজেলার স্থানীয় গাইড নিয়ে যায়নি।
নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বিজিবি, পুলিশ ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
জানা যায়, পর্যটক ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে নাফাখুম। স্থানীয় গাইড ছাড়াই পর্যটকদের ১৭ সদস্যদের টিমটি নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাছির উদ্দীন মজুমদার। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে পর্যটকের লাশ আত্মীয়-স্বজনের নিকট তুলে দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও জোবরা গ্রামবাসী সংঘর্ষের মামলা, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অস্ত্রধারণ, চাঁদাবাজিসহ ১৬ মামলার আসামি যুবলীগ নেতা মো. হানিফ (৪০) কে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকালে ফতেপুর ইউনিয়নের তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ। হানিফ ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা যুবলীগের সদস্য। সে ৩নং ওয়ার্ডের সাহায্যাপাড়ার লাতু শিকদার বাড়ির নূর মোহাম্মদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী মো. তারেক আজিজের নেতৃত্বে ওসির নেতৃত্বাধীন একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে হানিফকে গ্রেফতার করে। অভিযানে এসআই রূপন নাথ, এসআই ফখরুল ইসলাম, এসআই আলী আকবর, এএসআই সজিবসহ সঙ্গীয় ফোর্স অংশ নেয়। ২০১৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত হাটহাজারী ও রাউজান থানায় হানিফের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদক ব্যবসা, অবৈধ দখল, চবি শিক্ষার্থী–গ্রামবাসী সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলা, সরকারি গাছ বিক্রিসহ মোট ১৬টি মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, “তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৬টি মামলা পাওয়া গেছে। আরও মামলা আছে কি না তা যাচাই করা হচ্ছে।”
পঞ্চগড় পৌরসভার ট্রাক টার্মিনালের দুই পাশে জমে থাকা বালি ও ধুলা সরাতে অভিযান চালিয়েছে সড়ক জনপথ (RHD) বিভাগ। রোববার সকাল থেকে সড়ক জনপথের পরিছন্নতাকর্মীরা ট্রাক টার্মিনালের সামনের রাস্তার দুই পাশের বালু অপসারণে কাজ করেন।
সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক–ট্রাক্টর পার্কিং, পাথর-বালুবাহী গাড়ির চলাচল এবং ভারী মাল পরিবহনের কারণে রাস্তায় বালির স্তর পড়ে থাকে।
এতে মোটরসাইকেলসহ দুই চাকার যানবাহনগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া ধুলো-বালির কারণে পথচারী ও যাত্রীদের অসুবিধার পাশাপাশি দৃষ্টিসীমা কমে গিয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেওয়া কর্মীরা জানান, নিয়মিতই এখানে বালি জমে থাকে। টার্মিনালের সামনে দিনরাত মালবাহী ট্রাকের ভিড় থাকায় সড়কের ওপর প্রচুর ধুলো ও পাথরের গুড়া ছড়িয়ে পড়ে। এসব অপসারণে সড়ক জনপথ বিভাগ সময়েমতো উদ্যোগ না নিলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়বে।
স্থানীয়রা বলেন, ট্রাক টার্মিনালে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় সড়কের ওপরই ট্রাক দাঁড়িয়ে থাকে। এতে জ্যাম–দুর্ঘটনার পাশাপাশি রাস্তায় বালির স্তর দ্রুত জমে যায়। পরিষ্কার না করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। সড়ক জনপথ বিভাগের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তারা।
সড়ক জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা তন্ময় চক্রবর্তী উপসহকারী প্রকৌশলী সওজ সড়ক উপবিভাগ পঞ্চগড় তিনি জানান, রাস্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত বালি ও ধুলাবালি জমে থাকা একটি বড় সমস্যা- এটি সমাধানে তারা আরও নিয়মিত নজরদারি বাড়াবেন। মো. মোতাহার আলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জানান, গত শুক্রবার হতে রাস্তার পাশে জমে থাকা বালি অপসারণ কার্যক্রম চলমান আছে
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে লাগানো অর্ধশত বকুলগাছ কেটে ফেলার ঘটনায় আজমির হোসেন (৩৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থানায় মামলা করেছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, গত শনিবার রাতে বেলতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তারের পর রোববার কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হয়েছে। আজমিরের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে থাকেন। সেখানে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন।
গাছকাটার বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত শনিবার রাতেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার পুলিশ এ ঘটনায় মামলা নিয়ে আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কেটে ফেলা বকুলগাছগুলো মহাসড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল সওজের উদ্যোগে। প্রতিটি গাছের বয়স ছিল ৯ বছরের বেশি।
কুমিল্লা সওজের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় মামলাটি করেন। তিনি বলেন, বেলতলীতে হাসপাতালের সামনেই একসঙ্গে ১৭টি বকুলগাছ কাটা হয়েছে। অন্য গাছগুলোও আশপাশে কাটা হয়েছে।
মহাসড়কটি ২০১৬ সালে চার লেনে রূপান্তর করার পর সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি এক লেনের গাড়ির হেডলাইটের আলো যাতে অন্য লেনের গাড়ির ওপর না পড়ে, সে জন্য বিভাজকের ওপর রোপণ করা হয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম সিটি গেট পর্যন্ত প্রায় ১৯২ কিলোমিটার এলাকায় মধ্যে মহাসড়কের প্রায় ১৪৩ কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হয়েছে। কুমিল্লার বেলতলী এলাকাটি বকুলগাছে সাজানো ছিল।
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১ ঘণ্টার অগ্নিকাণ্ডে ৬ পাদুকা কারখানার ২০ লাখ টাকার পাদুকা ও সরঞ্জাম পুড়ে ছাঁই হয়েছে। রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ভৈরব শহরের কমলপুর মধ্যপাড়া এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, ভৈরব শহরের কমলপুর মধ্যপাড়ার শেরআলীর বাড়ি এলাকায় একটি টিনসেট হাফ বিল্ডিংয়ে পাদুকা তৈরির কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ সময় সিরাজুল ইসলামের মালিকানাধীন হাতে তৈরি ৪টি পাদুকা কারখানা, বিপ্লব মিয়ার পাদুকা কারখানা, মমুনুজ মিয়ার পাদুকা কারখানায় তৈরিকৃত জুতাসহ, সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে ৬টি কারখানায় আনুমানিক প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান, পাদুকা কারখানার মালিকরা।
ভুক্তভোগী পাদুকা কারখানা মালিক শরীফ মিয়া বলেন, দুপুরের দিকে কারখানায় ভেতরে বসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ একটা শব্দ হয়ে কারখানায় মুহূর্তের মধ্য আগুন পুগো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আমরা দ্রুত কারখানা থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে বের হয়ে আসি। বাড়িটির ভেতরে আমাদের ৪টি কারখানাসহ অন্য ২টি মিলে মোট ৬টি পাদুকা ছিল। অগ্নিকাণ্ডে ৬টি কারখানায় তৈরি করা পাদুকা, সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ২০-২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমার ৪টি কারখানার সব মালামাল পুড়ে ছাই। আগুন আমার সব শেষ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে ভৈরব বাজার নদী ফায়ার স্টেশনের ফায়ার অফিসার মো.আল আমিন জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার স্টেশনের ৩টি ইউনিট ১ ঘণ্টা চেষ্টার পর পাদুকা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে ৬টি কারখানায় কী পরিমাণ মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্তসাপেক্ষে জানাযাবে বলে তিনি জানান।
কুমিল্লা সদরের কালিরবাজার ইউনিয়নের রায়চোসহ আশপাশের এলাকায় ধানি জমিতে ধান চাষ বাদ দিয়ে এবার শিম চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। কৃষি অফিসার ও কৃষিবিদদের পরামর্শে স্বল্প খরচে ধানের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি লাভ পাওয়া যাচ্ছে বলে কৃষকের মধ্যে নতুন আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার দিগলগাঁও, হাতিগড়া, রায়চো ও কালিরবাজার কলেজ রোড এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়- ধানি জমিতে কাঠি–কেওড়া পদ্ধতিতে রূপবাণ জাতের শিম চাষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফলন আসতে শুরু করেছে।
স্থানীয় কৃষক মাসুম বিল্লাহ ও কামাল হোসেন জানান, ধান চাষে ব্যয় বেশি হলেও লাভ কম। ৩০ শতকের জমিতে ধান চাষে খরচ হয় ২৭–২৮ হাজার টাকা, উৎপাদনের মূল্য দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩০–৩৩ হাজার টাকা। এ কারণে তারা এবার ধানের বদলে শিম চাষে ঝুঁকেছেন।
তাদের দাবি, পরিবেশ অনুকূল থাকলে খরচ বাদে তিনগুণ লাভ সম্ভব। ইতোমধ্যে আগাম শিম তোলা শুরু হয়েছে। জমিতেই প্রতি কেজি ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, আর শহরে বিক্রি হচ্ছে ১৫০–২০০ টাকা কেজি দরে।
মহানগরীর কোটবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে থোকা থোকা রূপবান শিমের ফুল। কোথাও ঝুলছে বেগুনি রঙের শিম, কোথাও আবার বাজারজাতের প্রস্তুতি চলছে। পাইকারি বাজারে কেজি ১২০–১৮০ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১৫০–২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষকের কেউ কেউ জানান, টানা বৃষ্টিতে কিছু ফুল ঝরে না গেলে, লাভ আরও বেশি হতো।
জেলায় বাড়ছে শীতকালীন সবজি রুপবান শিমের চাষ কুমিল্লার সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়ন, বুড়িচংয়ের মোকাম, ময়নামতি, ভারেল্লা দক্ষিণ; বরুড়ার আগানগর; চান্দিনার বরকইট এবং দেবিদ্বারের কয়েকটি চর ও অনাবাদি জমিতে এবার রূপবান শিমের চাষ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র অনুযায়ী জেলায় দুই বছর আগে মাত্র ৬ হেক্টর জমিতে রূপবান শিম চাষ হতো। ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে গত বছর তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৯ হেক্টরে এ বছরও একই পরিমাণ জমিতে চাষ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জানান, কোটবাড়ি পাহাড়ি এলাকায় শিম চাষে অনেক কৃষকই সফলতা পেয়েছেন। ভবিষ্যতে এর চাষ আরও বাড়বে।
কৃষিবিদ হোসেন বলেন, ধান চাষের তুলনায় সবজি উৎপাদনে সরকারের মনোযোগ বেশি এবং সুবিধাও বেশি। রূপবান জাতের শিম শীতকালীন অন্যান্য জাতের চেয়ে তিনগুণ বেশি লাভজনক। কৃষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, ৭০–৮০ হাজার টাকা খরচ করলে অনুকূল পরিবেশে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় সম্ভব।
পাবনার শুঁটকির ব্যাপক চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে চলনবিল ও গাজনার বিলের পানি শোকানোর পূর্বেই শুঁটকির উৎপাদন শুরু করেছে সুজানগরের মসজিদপাড়া বালুর চর শুঁটকি পল্লীর খামারিরা।
প্রতিদিন এখানে কয়েক টন মাছ রোদে শুকিয়ে তৈরি হয় শুঁটকি। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেড়া-সাঁথিয়া-সুজানগর ও চাটমোহর উপজেলার চলনবিল এলাকার প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। কেউ মাছ পরিষ্কার করেন, কেউ শুকানোর জায়গা সাজান, আবার কেউ প্যাকেট জাত করেন। এই শুঁটকি শুধু স্থানীয়দের জীবিকার ভরসা নয়, বৈদেশিক মুদ্রা আয়েরও সম্ভাবনাময় খাত। সুস্বাদু হওয়ায় পাবনার শুঁটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ যুক্তরাষ্ট্র, বাহরাইন, কুয়েত, ভারত, কাতার, মালয়েশিয়া, ওমান, দুবাই, ইরাক, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত ২০ দেশে রপ্তানি হচ্ছে এখানকার শুঁটকি। বিভিন্ন নদী-নালা, খাল-বিল থেকে খলশে, পুঁটি, টেংরা, কই, মাগুর, শিং, নলা, টাঁকি, শোল , চাঁন্দা মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি মাছ কিনে এনে ওই সকল চাতালে শুকানো হয়। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা, শুঁটকি খামারিদের প্রণোদনার মাধ্যমে রপ্তানিমুখী এই শিল্প খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন অনেকেই। অন্যদিকে জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যানুযায়ী এ বছর জেলায় শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে ১৫০ টন। তবে চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জালের মাধ্যমে খাল-বিল থেকে দেশীয় মাছ শিকারের কারণে মাছের অভাবে শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চাটমোহর উপজেলার চলনবিল এলাকার বোয়াইলমারী ব্রিজ-সংলগ্ন চাতাল, সুজানগরের মসজিদপাড়া বালুরচর শুঁটকি খামার, গাজনাবিল পাড়ে চরদুলাই, সাঁথিয়ার সাতানীর চর, আরাজী গোপিনাথপুর, হুইখালী, কলাগাছী ও রঘুনাথপুর, বেড়া উপজেলার কৈটলার শুঁটকি ব্যবসায়ীরা অস্থায়ী চাতাল নির্মাণ করে শুঁটকি উৎপাদন করে থাকে। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলনবিল ও গাজনাবিল পাড়ে গড়ে উঠেছে দুই শতাধিক অস্থায়ী শুঁটকির চাতাল।
জানা যায়, সুস্বাদু হওয়ায় পাবনার শুঁটকির বেশ চাহিদা রয়েছে দেশ-বিদেশে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাবনার শুঁটকি দেশের সবচেয়ে বড় শুঁটকি বাজার নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গাসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, দেশের বৃহত্তম দুটি বিল এই অঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এখানে ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়। তারা সারা বছর এলাকার খাল-বিল ও পুকুর থেকে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। যে কারণে এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে শুঁটকি তৈরির চাতাল।
জানা যায়, বিলের পানি কমতে থাকলে চলনবিল ও গাজনাবিলের বিভিন্ন স্থানে জেলেদের জালে ধরা পড়ে পুঁটি, খলসে, চেলা, ট্যাংরা, কৈ, মাগুর, শিং, বাতাসি, চিংড়ি, নলা, টাঁকি, গুচিবাইম, বোয়াল, ফলি, কাতলা, নওলা, শোল, গজারসহ নানা জাতের মাছ। এসব মাছ কিনে চাতালে শুকিয়ে উৎপাদন করা হয় শুঁটকি। পরে এ শুঁটকি পাঠানো হয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ও দেশের অভ্যান্তরে বিভিন্ন স্থানে। দেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা সরাসরি চাতাল থেকে পছন্দের শুঁটকি কিনে নেন। এসব শুঁটকি মানভেদে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডে বাছাই করা হয়। ‘এ’ গ্রেডের (ভালোমানের) শুঁটকি যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ওমান, বাহরাইন, দুবাই, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি হয়।
এসব দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিদের কাছে চলনবিল ও গাজনার বিলের শুঁটকির কদর রয়েছে। এছাড়া ‘বি’ ও ‘সি’ গ্রেডের শুঁটকি দেশের ভেতরে দিনাজপুর, সৈয়দপুর, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া এসব শুঁটকির চাতালে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে জেলার প্রায় ৩ হাজার শ্রমিক। একেকটি চাতালে গড়ে ১০ জন নারী-পুরুষ কাজ করেন। পুরুষ শ্রমিকরা শুঁটকির চাতালে ও নারী শ্রমিকরা মাছ বাছাইয়ের করেন দিন হাজিরায়।
সুজানগর মসজিদপাড়ার শুঁটকি ব্যবসায়ী আজাদ কমিশনার বলেন, গাজনার বিলের প্রচুর প্রকৃতিক মাছ পাওয়া যায়, স্বল্প মুল্যে সেই মাছ প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে শুঁটকি তৈরি করে সৈয়দপুর, ভাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রণোদনা না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন এ শুঁটকি উদ্যোক্তারা।
সুজানগর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো সাইফুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্ব), জানান সুজানগরের পাশ দিয়েই বৃহত্তর পদ্মা নদী বয়ে চলছে, সুজানগরেই গাজনার বিল নামক একটি অনেক বড় বিল রয়েছে, ছোট-বড় ১৬টি বিলের সমন্বয়ে এই গাজনার বিলে প্রচুর প্রকৃতিক মাছ পাওয়া যায়, এখন থেকে উৎপাদিত মাছ পাবনার চাহিদা মিটিয়েও দেশের বাইরে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
পাবনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল বলেন, ইতোমধ্যেই ৩০ জন শুঁটকি ব্যবসায়ীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, এ বছর জেলায় শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১৫০ টন।
কৃষকের সার কালোবাজারে বিক্রি ও পাচারের প্রতিবাদে এবং জড়িত ডিলারের বিএডিসি লাইসেন্স বাতিল ও বিচারের দাবিতে হাতে কোদাল ও বাউকা হাতে নিয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কৃষকরা। রোববার সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সামনে সদর উপজেলার ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের কৃষকরা এই কর্মসূচী পালন করেন। পরে তারা দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টার নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ৪নং শেখপুরা ইউনিয়নের অর্ন্তগত মাস্তান বাজার এলাকার বিএডিসি সার ডিলার মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী আবেদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরেই কৃষকদের সার না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে আসছেন। তিনি এই এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত সার বিভিন্ন স্থানে পাচার করেন এবং বিক্রি করেন। তার কাছে যাওয়া হলে সার দিতে গরিমসি করেন এবং সার নাই বলে জানিয়ে দেন। ডিলারের এমন কার্যকলাপের কারণে প্রকৃত কৃষকরা সার পাচ্ছেন না এবং তাদের সমস্যা হচ্ছে ও উৎপাদন খরচ বাড়ছে।
গত ১০ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে আবেদুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের জন্য বরাদ্দকৃত সার ট্রাক্টরযোগে বীরগঞ্জে পাঠানো হচ্ছিল। এ সময় মহারাজা মোড়ে সারভর্তি ট্রাক্টর আটক করে। পরে পুলিশ সার, ট্রাক্টর ও চালকসহ ৪ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে চালক সারগুলো আবেদুল ইসলামের বলে স্বীকার করে। ওই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জড়িত বিএডিসি সার ডিলার কিংবা তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
কৃষকদের সাথে প্রতারণা, বরাদ্দকৃত সার কালোবাজারী ও পাচার করার জন্য বিএডিসির সার ডিলার মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের নামে লাইসেন্স বাতিল এবং জড়িত সত্বাধিকারী আবেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে বিচার করার দাবি জানান তারা।
কর্মসূচীতে কৃষক সামিদুল ইসলাম, হুসেন আলী, ফজলু রহমান, আবুল হামিদ, শহিদুল ইসলাম, সাঈদ ইসলাম, ওমর ফারুক তালুকদার, আজগার আলী, গোলাব রব্বানীসহ শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে জানতে বারবার মেসার্স আমেনা ট্রেডার্সের সত্বাধিকারী আবেদুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যোগ্য সব প্রভাষকের সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির দাবিতে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ চত্বরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন কলেজ শিক্ষকরা। রোববার সকাল থেকে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ চত্বরে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ইউনিট, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ, ফরিদপুর সরকারি ইয়াসিন কলেজ ইউনিটের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ ফরিদপুর জেলা ইউনিটের আহ্বায়ক হাসিব মৃধার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মো. ওসমান মোল্লার সঞ্চালনায় বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ইউনিটের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ইউনিটের সদস্য সচিব মো. এরশাদ শেখ, ফরিদপুর জেলা ইউনিটের প্রচার সম্পাদক বাবুল তালুকদার, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ইউনিটের সদস্য শফিকুল ইসলাম সহ ফরিদপুর জেলার সকল সরকারি কলেজের প্রভাষকরা বক্তব্য রাখেন।
এ সময় শিক্ষকরা বলেন, সারাদেশে ৩২ থেকে ৩৭তম ব্যাচের প্রায় আড়াই হাজার প্রভাষক দীর্ঘদিন ধরে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন। প্রাপ্য পদোন্নতি না পাওয়ায় তাদের মধ্যে গভীর হতাশা দেখা দিয়েছে। প্রশাসনিক জটিলতা ও ফাইলে বিলম্বের কারণে তাদের পদোন্নতির গেজেট ঝুলে আছে। ন্যায্য পদোন্নতির আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে বলেও জানান তারা।
তারা বলেন, আমরা দেখে আসছি বিভিন্ন ক্যাডারে পদোন্নতির যোগ্য না হলেও তাদের যোগ্য বানিয়ে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। অনেক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ডেকে এনে তাদের পদোন্নতি করানো হচ্ছে। আমাদের শিক্ষা ক্যাডারের আমাদের যৌক্তিক পদোন্নতি সেটা আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা শ্রেণি শিক্ষক, আমরা পাঠদানে ফিরে দিতে চাই। আমরা কর্ম বিরতিতে থাকতে চাই না। তাই আমাদের দাবি একটাই আমরা যেদিন থেকে পদোন্নতি যোগ্য হয়েছি আমাদের ভূতাপেক্ষী পদোন্নতি দিতে হবে।
কক্সবাজারে অবস্থান করছে ১৩ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরনার্থী। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভারে ভারাক্রান্ত বাংলাদেশে। রোহিঙ্গাদের টেকসই এবং মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাশনের বিকল্প নেই। রোহিঙ্গা সংকট এখন বৈশ্বিক সমস্যা।
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে শরনার্থী কমিশন ও ব্র্যাকের সহায়তায় রোববার কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজিএ) আয়োজিত কনফারেন্সে এসব অভিমত প্রকাশ করেন বক্তারা।
কনফারেন্সে বক্তারা বলেন রোহিঙ্গা সংকট কেবল মানবিক নয়- এটি ন্যায়বিচার ও বৈশ্বিক জবাবদিহিতার প্রশ্ন। মিয়ানমারের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত ও রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জোর আহ্বান জানানো হয় এতে।
সিজিএ বাংলাদেশ চাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ফরিদা পারভীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রোহিঙ্গা সেলের প্রধান মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ প্রমুখ।
তিন পর্বে আয়োজিত দিনব্যাপী এই কনফারেন্সে রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয়ের আলোচনা করেন সিনিয়র সাংবাদিক ও অ্যাসোসিয়েট প্রেসের প্রতিনিধি জুলহাস আলম, প্রফেসর ড. রহমান নাসির উদ্দীন, ড. জাকিয়া সুলতানা, ড. আমেনা মহসিন, আসিফ মুনির সিজিএ বাংলাদেশ চাপ্টারের সেক্রেটারি ওসমান গনি মনসুর, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা জামায়াত ইসলামের আমীর নুর আহমেদ আনোয়ারী, এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব সুজা উদ্দীন সুজা প্রমুখ।
রোহিঙ্গা সংকটে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান ও সমন্বিত উদ্যোগ গড়ে তোলাসহ রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন, সংকট মোকাবেলার বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং টেকসই ভবিষ্যতের কৌশল প্রনয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয় এই সম্মেলনে।
সম্মেলনে অংশনেন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতারা, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, রোহিঙ্গা কমিউনিটি লিডার, আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার কর্মকর্তা এবং রোহিঙ্গা ইস্যুর সাথে জড়িত বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা।