রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করার অপরাধে দুই ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার উপজেলার মডেল টাউন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, উপজেলার মডেল টাউন এলাকায় মো. হারুন এবং শান্তি বিকাশ চাকমা নামের দুই ব্যক্তি গোপনে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে- এমন সংবাদ পাওয়ার পর ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর ঘটনাস্থলে হারুনকে ৫০ হাজার টাকা এবং শান্তি বিকাশ চাকমাকে এক লাখ জরিমানা করা হয়। এ সময় পাহাড় কাটার সরঞ্জমাদি জব্দ করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার।
অভিযান পরিচালনাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (ইউএনও) বলেন, দীর্ঘদিন থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে একটি চক্র পাহাড় কেটে বিভিন্ন নিচু জায়গা ভরাটের জন্য মাটি বিক্রি করছে- এমন সংবাদ পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এ সময় দুই ব্যক্তিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, বর্ধিত এক মাস সময়ের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।
বুধবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর কথা উল্লেখ করেন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে তাকে অবগত করা হবে।
সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে বলে জানান আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ৬টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ বলছেন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার অনেকেই সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
আলী রীয়াজ বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের পক্ষ থেকে একটি সুস্পষ্ট মতামত সুপারিশ হিসেবে আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনাদের পক্ষ থেকে যে সমস্ত বক্তব্য ছিল সেগুলোকে আমরা ছয় ভাগে ভাগ করেছিলাম। আপনারা বলেছিলেন বেশ কিছু বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা যায়।
তিনি বলেন, আমরাও কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করেছি, অত্যন্ত দ্রুততার সম্ভব সঙ্গে বাস্তবায়িত পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যে সমস্ত বিষয় অধ্যাদেশ এবং নির্বাহী আদেশে করা যায় সেগুলো যেন তারা দ্রুত করেন।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধান সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে আমাদের যেই বিশেষজ্ঞ প্যানেল আছে তারা দুটো কথা বলেছিলেন-একটি হচ্ছে গণভোট, আরেকটি বিশেষ সাংবিধানিক আদেশের কথা। সমস্ত কিছু বিবেচনা করে প্যানেলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে একটি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যেটি আপনাদের সামনে আমরা উপস্থাপন করেছি। আমরা সরকারকে একাধিক পরামর্শ দিতে পারি বাস্তবায়নের সেটা তুলনামূলকভাবে সরকারের জন্য সহজতর হবে, বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে এবং প্রয়োজনীয় আইনি সাংবিধানিক বিষয়গুলো ক্ষতিয়ে দেখে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন।
আলী রীয়াজ জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দু’জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে।
তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশ নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় আজকের বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত আছেন- বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে গোখরা সাপের ছোবলে আহত হয়েছেন সুমিত্রা রানী (৬০) নামের এক নারী। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ছোবল দেওয়া সেই সাপটিকে একটি প্লাস্টিকের বোয়ামে ভরে সঙ্গে করে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তিনি নিজেই।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে দেবীগঞ্জ উপজেলার দেবীডুবা ইউনিয়নের সোনাপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঘরের একটি পুরোনো প্লাস্টিকের বোয়াম পরিষ্কার করতে গিয়ে হঠাৎই গোখরা সাপটি সুমিত্রা রানীকে ছোবল দেয়।
তার ছেলে সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন, মা কাজ করছিলেন, হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘরে দৌড়ে যাই। দেখি মা কাঁপছেন আর পাশে সাপটা পড়ে আছে। কোন সাপ বুঝতে না পেরে প্লাস্টিকের বোয়ামের মধ্যেই সাপটাকে ভরে, মা'কে নিয়ে হাসপাতালে যাই।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত হন, এটি একটি বিষধর গোখরা সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে সুমিত্রা রানীকে অ্যান্টিভেনম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন ধর বলেন, রোগী বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে আসেন। সঙ্গে সাপটিও আনা হয়েছিল। নিশ্চিত হওয়ার পরপরই এন্টিভেনাম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়। বর্তমানে তিনি আমাদের পর্যবেক্ষণে আছেন।
রূপগঞ্জে প্রায় ২০ হাজার ভবন আছে। নতুন ভবন ছাড়াও বহু পুরানো ভবন রয়েছে, যার অধিকাংশই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। ভূমিকম্পবিদরা বলছেন, নতুন আবাসিক এলাকার মাটি নরম ও দুর্বল। এ ধরনের মাটিতে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা না মেনে বহুতল ভবন হলে তা মাঝারি মাত্রার কম্পনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকে।
মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রদর্শক জাকিয়া সুলতানা বলেন, রূপগঞ্জে বিল্ডিং কোড না মেনে যেভাবে অপরিকল্পিত উপায়ে ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে, তাতে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে ঘটে যেতে পারে প্রলয়ঙ্করী ধ্বংসলীলা।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
বুয়েটের বিভিন্ন সময়ে করা জরিপে দেখা যায়, রূপগঞ্জে ৪ হাজার বহুতল ভবন রয়েছে। ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হলে এই ভবনগুলো এবং এর বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পূর্বাচল এলাকার এক অথরাইজড অফিসার বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত মাত্র ৩৬টি নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাকি যেসব ভবন হয়েছে তার সবই অবৈধ। নানা বাঁধার কারণে উচ্ছেদ অভিযানে বাধাগ্রস্ত হয়। তিনি আরো বলেন, ভবনগুলোতে মোট পাঁচ ধরনের ত্রুটি পাওয়া গেছে। এগুলো হলো নকশা ছাড়া নির্মাণ, নকশায় ব্যত্যয়, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকা, জরুরি সিঁড়ির অপ্রতুলতা।
রাজউক সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে নকশা বহির্ভূত নির্মাণ কাজের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় রূপসী এলাকার ৩ ভবন মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আরো ২ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২৩ এপ্রিল গোলাকান্দাইল এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকারের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলামের নেতৃত্ব পূর্বাচল উপশহরের এক নাম্বার সেক্টরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এছাড়া ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মুড়াপাড়া এলাকায় অননুমোদিত ভবনে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তারাব পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কতো আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম জয় বলেন, বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ। এটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। ইতোমধ্যে রাজউক অভিযান চালাচ্ছে।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদন ছাড়া ভবন নির্মাণের পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে অনেকেই রাস্তার জায়গায় ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী চরপাড়া এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে চরপাড়ার ইউনুস মার্কেটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
দগ্ধরা হলেন- মাহবুবুর রহমান (৪৫), মো. সৌরভ রহমান (২৫), মোহাম্মদ কফিল (২২), মোহাম্মদ রিয়াজ (১৭), মোহাম্মদ ইউনুস (২৬), মোহাম্মদ আকিব (১৭), মো. হারুন (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩০), মোহাম্মদ লিটন (২৮) ও মোহাম্মদ ছালেহ (৩৩)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউনুস মার্কেটের একটি দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার আনলোড করা হচ্ছিল। এসময় এক শ্রমিক সিগারেটে আগুন ধরালে হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে ১০ জন শ্রমিক আগুনে দগ্ধ হন।
চমেক হাসপাতালে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ খালেদ জানান, দগ্ধ ১০ জনকে এখানে আনা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশি খারাপ। তাদের বেশিরভাগের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। পাশাপাশি দগ্ধদের কারো শরীরের ৪০ শতাংশ, কারও আবার ৭০ শতাংশের মতো পুড়ে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা গুরুতর।
তিনি বলেন, আহত শ্রমিকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এক শ্রমিকের জ্বালানো সিগারেট থেকে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় গুদামে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাবের আহমেদ জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি জালাল চৌধুরী (মাসুম) ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ৬টার দিকে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের ভাই রোমান চৌধুরী জানান, দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগলেও হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার ছোট ভাই জালালের মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৫২ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী (২২তম বিসিএসের সচিব), দুই ছেলে, অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুলাউড়ার কাদিপুর ইউনিয়নের মনসুর গ্রামে নেওয়া হবে। বাদ এশা মনসুর আশরাফিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হবে।
জানা গেছে, পেশাজীবনে জালাল চৌধুরী ছিলেন দক্ষ, সৎ ও মানবিক একজন পুলিশ কর্মকর্তা। দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন লেখক, চিন্তাশীল মেধাবী ও সত্যিকারের মানবিক মানুষ। সম্প্রতি তিনি পুলিশ সংস্কার কমিশনের সচিবালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। নিজ এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডেও তার অবদান ছিলো স্মরণীয়।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও রেখেছেন অবদান। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে প্ল্যানিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতিসংঘ পুলিশ তার ওপর একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে যা প্রকাশিত হয় জাতিসংঘ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে।
পেশাগত জীবনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সাহিত্যপ্রেমী। বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন তিনি। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে কোথায় পাবো তাকে, নির্বাসিত হৃদয়ে এসো, ইরোটা ম্যানিয়া এবং ছোটগল্প সংকলন।
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্যমুল্যে দেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
বুধবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা শহরের মেইন বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ব্যবসায়ী, স্থানীয়সহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।
সেসময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক আলহাজ শহিদুল ইসলাম, বদরুজ্জামান, ডা: জহুরুল ইসলাম, কমিশনার আনোয়ারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধন থেকে বক্তারা অভিযোগ করেন, জমির মালিকদের ২০২২ সালের মৌজা মুল্য দেওয়া হচ্ছে। যেসব জমির দাম ১০ লাখ টাকা সেই জমির দাম দেওয়া হচ্ছে ২ লাখ টাকা করে। এছাড়াও একটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পুর্ণ ক্ষতিপুরণ না দিয়ে আংশিক দিচ্ছে কর্র্তৃপক্ষ। তাই মালিক ও ব্যবসায়ীদের ন্যায্য মুল্যে নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
পরে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় ঝিনাইদহ থেকে যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাগামী সকল রুটের যানচলাচল। প্রায় ১ ঘন্টাপর আবারো কর্মসূচীর হুশিয়ারি দিয়ে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবী দুর্গার আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এবছর উপজেলায় ১২৭টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুর্গাপূজা, যা চলবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী পর্যন্ত। ২৯ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাঅষ্টমী, ১ অক্টোবর মহানবমী এবং ২ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে—খড়, বাঁশ ও কাদা-মাটি দিয়ে শিল্পীরা শৈল্পিক ছোঁয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিমা কারিগর মনেন্দ্র পাল (৫৭) বলেন, “প্রতি বছর প্রায় ৫০-৫৫টি মণ্ডপে কাজ করি। কিন্তু এবার মাত্র ৩২টি মণ্ডপের প্রতিমা বানানোর কাজ করছি। প্রতিটি প্রতিমার দাম প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ধরা হচ্ছে।” একই কথা জানিয়েছেন কারিগর বিজয় পালসহ অন্যান্য শিল্পীরাও।
নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা বলেন, “এবার উপজেলায় ১২৭টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ও সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, “আসন্ন দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী মিটিং করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ বস্তা ভর্তি করে বসতভিটার পাশে মাটি চাপা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাইয় অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তা্ার করেছে পুলিশ।
জানা যায়, ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অন্তত ৩৬ ঘন্টার পর প্রকাশ পায়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেইলপাড়া কুরিমারিয়ারছড়া এলাকায় পৌঁছায়। পরে রাত ৯ টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি খুড়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দ (৫০) একই এলাকার বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃৎ মোহাম্মদ রফিক নিহত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি সম্পর্কে বাবা-ছেলে। মোহাম্মদ ছৈয়দের সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। তিনি কয়েক বছর আগে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খুরুশকুলের কুমারিয়ারছড়া এলাকায় এসে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। পুরো পরিবারটি রোহিঙ্গা নাগরিক।
নিহতের প্রতিবেশিসহ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে মোহাম্মদ সৈয়দের বাড়ির আশেপাশের উৎকট দুর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসীর সন্দেহ জাগে। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে তার বাড়ির ধানক্ষেতের পাশে সদ্য মাটি চাপা দেওয়া একটি শার্ট দেখতে পান। সেখান থেকে গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পৌঁছার পর মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকের স্ত্রী শারমিন আক্তার বলেন, ‘সোমবার ভোরে তার শ্বশুর মোহাম্মদ ছৈয়দ স্থানীয় মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান। সকালে বাড়ী ফিরলে শ্বাশুরির সঙ্গে তর্কাতর্কিতে লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে তার স্বামীও কলহে জড়িয়ে পড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্বামী রফিক বাবাকে লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করেন। আঘাতে তার শ্বশুর মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহত হন। পরে তার মৃত্যু হলে লাশটি বস্তাবন্দী করে ঘরে ফেলে রাখা হয়।
ঘটনার ব্যাপারে কারও কাছে প্রকাশ করলে বাবার মত পরিণতি ভোগ করারও হুমকি দেন তার স্বামী, জানান অভিযুক্তের স্ত্রী।
এদিকে সোমবার মধ্যরাতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে সৈয়দের স্ত্রী, দুই সন্তান রফিক ও সাহাবউদ্দিন জিয়া মিলে গত সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে ধানক্ষেতে মাটি চাপা দিয়ে লাশ পুঁতে রাখেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছৈয়দের স্ত্রী ও সন্তানরা পালিয়ে আত্মগোপন করেন।
পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক ধারণার কথা বলেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় মাটি সরিয়ে বস্তাবন্দী লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে নিহতের ছেলে মোহাম্মদ রফিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর জড়িত অন্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে ৭ দফা দাবিতে গেট মিটিং (ফটক সভা) করেছে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবার মিলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পে-কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো ওয়েজ কমিশনের শ্রমিকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনার বকেয়া ও ১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধার টাকা প্রদান, দক্ষ জনবল তৈরির স্বার্থে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ী পদে অভ্যন্তরীণভাবে সমন্বয় বা পদায়ন, মৌসুমি ও স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে কর্মরত দৈনিক মজুরি ভিত্তিক শ্রমিকদের অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ী হাজিরা প্রদানসহ অন্য আরও ৪টি দাবি জানানো হয়।
সভায় শ্রমিক-কর্মচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা। বকেয়া প্রণোদনার টাকা না পাওয়া এবং মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ী পদে সমন্বয় না হওয়ায় কর্মপরিবেশ দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সাত দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন। একই সঙ্গে চিনিশিল্পকে দুর্নীতি মুক্ত করারও দাবি জানান শ্রমিক-কর্মচারীরা।
গেট মিটিংয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের সিবিএ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম অমলের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন পিন্টু ও সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন প্রমুখ।
ময়মনসিংহের ত্রিশালের মোক্ষপুর ইউনিয়নের কৈতরবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলাম ননী ফল চাষ করে বেশ সফল হয়েছেন। তিনি প্রবাস থেকে ফিরে এসে প্রথমে কমলা ও খেজুর বাগান করেছিলেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি। এরপর তিনি ঔষধি বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি তার দুই একর জমিতে ননী ফলের বাগান গড়ে তুলেছেন। বাগানে ৩০০টি ননী ফলের গাছ রয়েছে। বর্তমানে গাছগুলোতে ফল ধরেছে। ননী ফল সাধারণত ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং আরও অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় বলে পরিচিত। দেশ-বিদেশে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যায়।
রফিকুল ইসলামের এই উদ্যোগ স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তার বাগান থেকে ননী ফল ও এর গাছের পাতা সংগ্রহ করতে আসেন। ঢাকার বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি তার কাছ থেকে ফল সংগ্রহ করেন। এই ফল চাষে তিনি অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে এবং অন্যদেরও উৎসাহিত করছেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, ননী ফলের অনেক গুণাগুণ, তাই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা তার বাগান থেকে এটি সংগ্রহ করছেন। এতে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান। তিনি সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে বড় পরিসরে ননী ফলের চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান জানান, আমি শোনেছি তিনি একজন ভালো উদ্যোক্তা। তার বাগানে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ রয়েছে। আমি সরেজমিনে গিয়ে বাগানটি পরিদর্শন করব এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করব।
দিনাজপুর জেলায় এবার আধুনিক প্রদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষকরা আউশ ধানের বাম্পার ফলন অর্জিত করতে সক্ষম হয়েছে। এতে খুশি কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিগত সময়ে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আউশ ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ সৃষ্টি করতে হয়েছে।
কৃষি বিভাগের গবেষণায় উদ্ভাবন করা উপশী জাতের ব্রি-৯৮ আউশ ধান চাষে জেলায় বাম্পার ফলন অর্জিত হয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার ১৩টি উপজেলায় ৫ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। মৌসুমের শুরুতেই গত মে মাসে জেলার ১৩টি উপজেলাতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষকের মাঝে বিনা মূল্যে আউশ ধানের নতুন উদ্ভাবন করা ব্রি-৯৮ জাতের বীজ ও রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বিতারণ করা হয়েছিল।
আউশ ধান চাষ সফলভাবে অর্জিত করতে, কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে আউশ ধান চাষে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জেলা সদর উপজেলার চেহেলগাজী ইউনিয়নের কর্ণাই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেজাউল করিম জানান, কর্ণাই গ্রামে সমবায় ভিত্তিতে কৃষকরা এবার আউশ ধানের ব্রি ধান-৯৮ জাত চাষ করেছেন। আউশ ধান চাষের সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে অর্জিত ফসল ঘরে তুলতে পেয়ে কৃষকরা খুব খুশি। এক একর জমিতে ৭৫ থেকে ৮০ মণ ধানের ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের বিনা মূল্যে দেওয়া বীজ, সার ও কীটনাশক ধান চাষে ব্যবহার করে অনাবাদি জমি অধিক উৎপাদনশীল হয়ে উঠেছে। বর্তমান বাজারে কাঁচা ধান সাড়ে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ধানের খড় বিক্রি করে বাড়তি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ধান বিক্রির পাশাপাশি খড় বিক্রিতেই কৃষকরা তাদের খরচের একটা অংশ ওঠাতে পারছেন।
জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার মহনপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক মো. শরিফুল ইসলাম (৪২) জানান, চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে জমিতে বীজতলা তৈরি করে ব্রি-৯৮ জাতের আউশ ধান চারা রোপণ করা হয়। কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত পরামর্শে সেচ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে বেশ ভালো ফলন হয়েছে। ভাদ্র-আশ্বিনের এই সময় মাঠজুড়ে অর্জিত আউশ ধানের সোনালি শোভা কৃষকদের মন ভরে তোলেছে। কৃষকরা তাদের অর্জিত ধান কাটতে শুরু করেছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই ধানকাটা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধান কাটার পর আবার ওই জমিতে আগাম জাতের আলু চাষের প্রস্তুতি শুরু করবেন কৃষকরা। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকরা আউশ ধান ঘরে তোলে, আবার ওই একই জমিতে আলু চাষ করার পরিকল্পনা করেছে।
সদর উপজেলার, কর্ণাই গ্রামের কৃষকরা বলছেন, নতুন জাতের আউশ ধান চাষে সাফলতা তাদের এনে দিয়েছে। ওই গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রাজ্জাক (৪৭) জানান, এ বছর তিনি ৭৫ শতক জমিতে আউশ ধান চাষ করেছে। তার অর্জিত জমি থেকে ৬৫ মণ আউশ ধান পেয়েছে। ওই ধান বিক্রি করে আগাম জাতের আলুর চাষ করবেন।
ওই গ্রামের আদিবাসী কৃষক লুকাস মার্ডী বলেন, গত বছর থেকে সমবায় ভিত্তিতে আউশ ধান চাষ শুরু করেছি। এবার উন্নত জাতের ব্রি ধান-৯৮ আউশ ধানের আবাদ করেছি এবং বেশ ভালো ফলন পেয়েছি।
সমবায়ের মাধ্যমে আউশ ধান চাষ করায় পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম এবং ভালো ফলন অর্জিত হয়েছে।
আগামী বছর এই জাতের আউশ ধান বেশি করে আবাদ করার আশা রয়েছে তার।
অপর কৃষক মৃণাল কান্তি জানান, তিনি দেড় একর জমিতে আউশ ধানের চাষ করেছে। এখন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে গেছে। এই সময়টা কৃষকদের কিছুটা অভাব থাকে। এখন ধান ঘরে তোলা কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ। ধান বিক্রি করে আলু চাষের খরচ পুষিয়ে যাবে।
সদর কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এই অঞ্চলের জমি একটু উচুঁ এবং লালমাটি হওয়ায় শুধু রবি শস্যে চাষে ব্যবহার করা হতো। আমন বা ইরি-বোরো ধান এখানে চাষ করা হতো না। সরকারি উদ্যোগে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে আউশ চাষ শুরু করা হয়েছে। এখন সেই জমিতেই ৩টি করে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। সরকারি উদ্যোগে বিনা মূল্যে বীজ, সার ও কীটনাশক সরবরাহ দিয়ে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায়, কৃষকরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুম জানান, চলতি মৌসুমে সদর উপজেলা ৬৭০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষে বাম্পার ফলন উৎপাদন হয়েছে। প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আউশ ধান চাষে কৃষকরা স্বল্প সময়ে ফলন পেয়েছেন। নতুন উদ্যোগ গ্রহণে আউশ ধান চাষে কৃষকরা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। আগামীতে আরও অধিক কৃষক আউশ ধান চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন, সে বিষয় কৃষি বিভাগ কাজ করছেন বলে তিনি ব্যক্ত করেন।
‘হাওর ভরাট ও পরিবেশের ক্ষতি করে নয়’- এই স্লোগানের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে
সুনামগঞ্জের পাঁচটি পরিবেশবাদী সংগঠন মঙ্গলবার দুপুরে যৌথভাবে
মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছিলেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেছেন,
‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নে বিভোর, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হোক, সে জন্য স্বেচ্ছাশ্রম দিতে চাই আমরাও। তবে এর প্রস্তাবিত স্থান পরিবর্তন করতে হবে।
মানববন্ধনে ‘আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদ’ এবং হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতারাও সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেন।
সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আন্তঃউপজেলা অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি। পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ
পরিবেশ আন্দোলন (বাপার) সভাপতি জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাড. তৈয়বুর রহমান বাবুল, পরিবেশবাদী সংগঠন হাউসের নির্বাহী পরিচালক সালেহীন চৌধুরী শুভ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ উন্নয়ন ফোরাম-সিলেটের সভাপতি আবুল হোসেন, হাওর-নদী ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মিজানুর রহমান রাসেল প্রমুখ। মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে জেলা হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক জেলা আহ্বায়ক, যুবশক্তির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইমনুদ্দোজা আহমদ, জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইজাজুল হক চৌধুরী নাছিম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, শান্তিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে হাওরের জেলা সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় ফসলি হাওর ‘দেখার হাওর’। এই হাওরে এসে সংযুক্ত হওয়া মহাসিং নদী এবং এর শাখা উপশাখা, অসংখ্য জলমহাল, খাল- বিল, নদী মিলিয়ে অর্ধ শতাধিকেরও বেশি জলাশয় রয়েছে। হাওরে কেবল জমির পরিমাণ ৪৫ হাজার ৮৫৯ হেক্টর। এর মধ্যে কৃষি ২৪ হাজার ২১৪ এবং অকৃষি ২১ হাজার ৬৪৫ হেক্টর। হাওরের একাংশে (শান্তিগঞ্জের জয়কলস মৌজায়) ১২৫ একর বোর জমি (আংশিক আমন, পতিত ও গুরস্থান) অধিগ্রহণ করতে চায় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস করতে চান তারা, এর দুইপাশে থাকা দুটি ব্রিজের নিচ দিয়ে হাওরের পানি প্রবাহিত হয়ে কালনী নদীতে গিয়ে মিশেছে।
পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা বলেন, ‘কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় হবে, এই প্রস্তাব আমরা দিচ্ছি না। তবে হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হতে হবে। হাওর ভরাট করে বিশাল ক্যাম্পাস হলে বৃহৎ এই হাওরের জলজ বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। দুটি ব্রিজের (আহসান মারা ও জয়কলস) নিচ দিয়ে যাওয়া খালে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে বোর জমি ও জলাশয়ের ক্ষতি হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব সুনামগঞ্জ জেলা সদরসহ পূর্ব এলাকার জনবসতির ওপর পড়বে।
প্রসঙ্গত সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের আইন পাস হয় ২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর অস্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু হয়। প্রথম ব্যাচে (২০২৩-২৪) শিক্ষাবর্ষে রসায়ন, গণিত, পদার্থ ও কম্পিউটার বিষয়ে ১২৮, দ্বিতীয় ব্যাচে (২০২৪-২৫) শিক্ষাবর্ষে ১৪৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। এখানে ১৭ জন শিক্ষক এবং ২৭ জন স্টাফ রয়েছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত জেলা সদর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের কিছু ভবন, একটি মাদ্রাসা, একটি কলেজসহ কিছু ঘরবাড়ি ভাড়া নিয়ে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে।
জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১৩ জুন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জিএম শহিদুল আলম সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসককে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির সুত্র (স্মারক নম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৭৬.৯৯.০০২-১৪১) উল্লেখ করে লেখেন- গেল চার জুন ২০২৩ তারিখে স্মারক নম্বর সুবিপ্রবি/১৪৭ মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয় বরাবর সুনামগঞ্জ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি অধিগ্রহণের ও প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। ওই পত্রের আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১২৫ (একশ’ পঁচিশ একর) জমির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করেছেন। এরপর জেলাবাসী ও পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলন এবং একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় জমি অধিগ্রহণের অগ্রগতি স্থগিত রয়েছে।
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূয়ালী গ্রামের মো. আমির ঘরামীর ছেলে দিনমজুর রুবেল ঘরামী। বসবাস করেন একটি ঝুপড়ি ঘরে। অভাব-অনটন ও নিদারুণ দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করে কোনোদিন এক-আধ বেলা খেয়ে না খেয়ে সংসারের ঘানি টেনে জীবনযাপন করছেন। যেদিন দিনমজুরের কাজ না জোটে সেদিন মানুষের কাছে হাত পেতে, সাহায্য-সহযোগিতা চেয়ে যা জোটে তাই নিয়ে কখনো খেয়ে, কখনো আধাপেটা খেয়ে-না-খেয়ে থেকেও তার ও পরিবারের সদস্যদের কষ্ট করতে হয়।
কৃষিকাজ, দিনমজুরী করে কোনোরকমে স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে বেঁচে আছেন তিনি। নিরিহ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় এলাকার মানুষেরা তাকে ভালোবেসে অনেক সময় সাহায্য সহযোগিতাও করেন। তবে আজও তাদের পরিবারটি কোনো ধরনের সরকারি-বেসরকারি গৃহ কিংবা আর্থিক অনুদান পায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুবেল মানুষের জমিতে কাজ করে সামান্য যা আয় করেন, তা দিয়ে ঠিকমতো খাবার জোটানোও সম্ভব হয় না। অনেক সময় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাতে হয় তাদের। অত্যন্ত গরীব ও সরলসোজা প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের চোখেও তিনি তেমন পড়েন না। অপেক্ষাকৃত সুবিধাবঞ্চিত সহজ-সরল এ গরীব মানুষ ও পরিবারটি সরকারিভাবে আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় পড়ার যোগ্য। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর অনেকেই সরকারি ঘর ও অন্যান্য অনুদান পেলেও প্রকৃত হতদরিদ্র্য ও অসহায় পরিবার রুবেল ঘরামী চোখের আড়ালে পড়ে সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইফ-উল-আরেফিন বলেন, পরিবারটির বিষয়ে আমরা জেনেছি। অতি দ্রুত তাদের একটি সরকারি ঘর এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের আওতায় আরো যে সব কর্মসূচী চলমান রয়েছে- পর্যাক্রমে সেগুলোরও আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে এ অসহায় পরিবারটির জন্য।