শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রোববার ঝিনাইদহ, নাটোর, নওগাঁ, নড়াইলসহ সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ঝিনাইদহে ৩০, নড়াইলে ২০, ঢাকার কেরানীগঞ্জ ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় থানায় হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, পোস্ট অফিস, পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়েছে।
বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন
নাটোর: নাটোরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টায় শহরের মাদ্রাসা মোড় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় তারা। সকাল থেকে অল্প অল্প করে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে শুরু করে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রায় দুই শতাধিক আন্দোলনকারী জমায়েত হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করতে ধাওয়া দেয়। এ সময় আন্দোলনকারীরাও তাদের ধাওয়া দিলে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীকে মারধর করে সরকারদলীয় নেতা-কর্মীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
অন্যদিকে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে দয়ারামপুর বাজার এলাকায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ জনতা সড়কে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ করে সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
নওগাঁ: নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারীরা। রোববার সকাল ১০টা থেকে শহরের কাজীর মোড়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অংশ নেন আরও অনেকে। পরে আন্দোলনকারীরা প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় এক দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের। এতে বন্ধ হয়ে যায় প্রধান সড়ক দিয়ে যানচলাচল।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শহরের সরিষাহাটির মোড়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান নেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় পথচারীদের। বিশেষ করে অটোরিকশা চালকদের। অনেক পথচারীকে হেঁটে বিকল্প রাস্তা দিয়ে যেতে দেখা যায়। মোটকথা পুরো শহরে আতঙ্কের পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে যাত্রীদের চলাচলের জন্য ভারী যানবাহন।
এদিকে সাধারণ পথচারীদের সতর্ক করতে দোকান বন্ধ করে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছিল দোকানদার আকাশসহ অনেক ব্যবসায়ী। তারা জানান, পথচারীরা যেন কোনো বিপদের সম্মুখীন না হয়, তাই তাদের সতর্ক করে বিকল্প পথে যেতে বলছি।
দুপুরের দিকে পার্টি অফিস থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে আসতে চাইলে কিছু সময়ের জন্য উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) গাজিউর রহমান বলেন, আন্দোলন ও বিক্ষোভের শুরু থেকেই পুলিশ তাদের সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করার জন্য বলেছে। তাদের প্রতি পুলিশ সহনশীল আচরণ করছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য তাদের নিরাপত্তা দিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। মোটকথা শহরে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার সময় পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীরা রোববার বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সারা শহরে তাণ্ডব চালায়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা যোগ দেয়।
শিক্ষার্থীরা সকালে শহরের মুজিব চত্বর থেকে এবং বিএনপি হাটের রাস্তা থেকে মিছিল বের করেন। তারা পায়রা চত্বরে এসে একসঙ্গে মিলিত হয়। মিছিল থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর, থানায় হামলা, পুলিশ বক্স ভাঙচুর, পৌরসভা, ছবি তোলার সময় সাংবাদিক কাজী আলী আহমেদ লিকুর ওপর হামলা চালায়। এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম অপুর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। পুলিশ বাঁধা দিলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। সে সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানি গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একপর্যায়ে সারা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ইটের আঘাতে পুলিশের এসআই শরিফুজ্জামানের মাথা ফেটে গেছে। আহতদের মধ্যে ২৪ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। সকাল থেকে যানবাহন চলাচল করেনি। দোকানপাট খোলেনি। পুলিশি নিরাপত্তায় অফিস-আদালত চলেছে এবং উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
নড়াইল: বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনের ডাকে রোববার বেলা ১১টায় নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিলে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেয়। মিছিলটি শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে চিত্রা নদীর শেখ রাসেল সেতুর ওপর উঠলে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এতে ২০ জনের মতো আহত হন। এ সময় ঢাকা-বেনাপোল ভায়া নড়াইল মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সংঘর্ষে পুলিশের টিয়ারসেল নিক্ষেপের পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এত আল নাহিয়ান প্রিন্স নামে এক যুবলীগ কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রিন্স নড়াইল পৌরসভার আলাদাতপুর গ্রামের শেখ আবু বক্করের ছেলে।
সীমাখালী গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী মিজান মোল্লা, মিলি খানম, শিমুল হাসান জানান, সেতুর দক্ষিণ পাশেই আমার বাড়ি। অনেক বিএনপি, জামায়াত-শিবিরের ছেলেরা রাস্তার ওপর ইট ভেঙে পুলিশের দিকে ছুড়ে মারছিল। এদের হাতে হ্যান্ড মাইকও ছিল। পানি খেতে চাইলে আমরা তাদের পানি পানের ব্যবস্থা করেছি। ওরা পানি পানের সময় বসে পান করছিল। ওদের কাউকে চিনি না।
প্রিন্স জানান, ‘চিত্রা নদীর উত্তর প্রান্তে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেয়। আর সেতুর দক্ষিণ প্রান্তে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী অবস্থান নেয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় অন্য প্রান্ত থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি করা হয়। একটি বুলেট আমার পেটে লেগে বের হয়ে যায়। সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আকাশ ঘোষ রাহুলসহ উভয়পক্ষের ২০ জন আহত হন।
এদিকে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন এমন খবর ভেসে বেড়ালেও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): ঢাকার কেরানীগঞ্জে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে মডেল থানার ঘাটারচর এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়ি, ব্যক্তিগত অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নেতাদের অবরুদ্ধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় আওয়ামী লীগের ডজনখানেক নেতা-কর্মী গুরুতর এবং বেশ কিছু আন্দোলনকারী সামান্য আহত হয়। এর আগে (রোববার) সকালে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ঘাটারচর এলাকায় গত ২১ জুলাই কোটা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ইস্পাহানি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রিয়াজ নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ও অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা আটি ভাওয়াল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাতে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা মিছিল নিয়ে সামনে অগ্রসর হলে বড় মনোহরিয়া চৌরাস্তা এলাকায় ছাত্রদের মিছিলের ওপর পেছন থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করে। এতে মুহূর্তেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পরে তারা সংগঠিত হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে নেতা-কর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে বিভিন্ন দোকানপাটের ভেতরে আশ্রয় নেয়। এ সময় মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু সিদ্দিক ও তারানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ফারুক অবরুদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছয়টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ ছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ফারুক এবং আওয়ামী লীগ নেতা আবু সিদ্দিকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাদের ব্যবহৃত গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।
এর কিছুক্ষণ পরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে আবারও ছাত্রদের ধাওয়া দিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিলে তারা ঘাটারচর এলাকায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের ভেতরে আশ্রয় নেয়। পরে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং প্রধান ফটকে আগুন লাগিয়ে দেয়। অবস্থা বেগতিক দেখে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদের ওপর গিয়ে আশ্রয় নিলে উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ছাদের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের গণধোলাই দেয়। এ সময় হুড়োহুড়ি করে ভবনের ভেতর ঢুকতে গিয়ে ও ভবনের ওপর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে ভবনে আটকে থাকা অন্তত ১০-১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী আন্দোলনকারীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
খুলনা: খুলনায় আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ১২টার দিকে খুলনার শঙ্খ মার্কেটের জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও জাতীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নানা রকম স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দলে দলে শিক্ষার্থীরা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হতে থাকেন। বর্তমানে ওই মোড়ে প্রায় ৫/৭ হাজারের কাছাকাছি শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একদল শিক্ষার্থী শিব বাড়ি থেকে মিছিল সহকারে খুলনার আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে রওনা হয়ে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটায়।
সিলেট: সিলেটের বন্দরবাজারের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে। বেলা ১২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেণেড ছুঁড়ছে। জানা যায়, অসহযোগ চলাকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বেলা ১১টার দিকে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। এতে শিক্ষার্থীদের সাথে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দেন। এই এলাকায়ই জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার কার্যালয়, সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস রয়েছে। আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেওয়ার আগে থেকেই এ এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নেয়। বেলা ১২টার দিকে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের থামাতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেণেড ছুঁড়ছে। এক পর্যায়ে পুলিশের বাধা পেয়ে মূল সড়ক ছেড়ে আশপাশের গলিতে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
মোংলা (বাগেরহাট): মোংলা-খুলনা মহাসড়কের ফয়লা এলাকায় (বাগেরহাটের রামপাল) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। চলমান ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে একটি পুলিশ ভ্যানে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে আহত হয়েছেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার সাংবাদিক সবুর রানা ও সুজন মজুমদার।
এদিকে অসহযোগ আন্দোলনের অংশ নিয়ে মোংলা-খুলনা মহাসড়কের ভাগা এলাকায় সকালে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বের হওয়া মিছিল শেষে মহাসড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন। পরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীরা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া জড়িয়ে পড়েন।
দিনাজপুর: জাতীয় সংসদের হুইপ ও দিনাজপুর সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম এমপি ও বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বাসা ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এ সময় পুলিশের দুটি পিকআপ ভ্যানে আগুন জ্বালিয়ে দেয় তারা। রাবার বুলেট ও কাঁদলে গ্যাস ছুটছে পুলিশ। সদর হাসপাতাল, জোড়া ব্রীজ, ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ড, লিলির মোড়, বাহাদুর বাজার, স্টেশন রোড, কাচারী রোড, মডার্ণ মোড়, বুটিবাবুর মোড়, মুন্সীপাড়াসহ সারা শহরে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে। শত শত রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ। এসব ঘটনায় ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে অর্ধশত ব্যক্তি।
সকাল ১০টায় দিনাজপুর ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে আন্দোলনকারী জমায়েত হতে শুরু করে। তারা মিছিল নিয়ে শহরের হাসপাতাল মোড়স্থ হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি ও বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। দীর্ঘসময় পুলিশের সাথে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা হুইপ ও বিচারপতির বাড়ীতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। তারা বাড়ীতে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল বের করে বাসার গেটে এনে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। জানা গেছে, ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার সময় এবং রাবার বুলেট ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। ১০ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সারা শহরজুড়ে থেমে থেমে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। শহরের মোড়ে মোড়ে এখন আগুন জ্বলছে। এসব ঘটনা চলাকালে শহরের কোথাও সেনা সদস্য বা বিজিবির উপস্থিতি দেখা যায়নি। এর আগে শহরের পলিটেকনিক মোড়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও গ্রাফিতি অঙ্কন করে শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে শহরের দিকে অগ্রসর হলে এ সংঘর্ষে সুত্রপাত হয়।
নেত্রকোনা: নেত্রকোনায় রোববার সকাল ১০টা থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলনকারী ও সরকারের পক্ষের সমর্থক সহ নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। শহরের সাতপাই, নাগড়া সহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জেলার শ্যামগঞ্জ বাজারের একাধিক বাসিন্দা জানান, নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা। এসময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে আন্দোলনকারীরা।
নোয়াখালী: নোয়াখালীতে রোববার সকাল থেকেই জেলা শহর মাইজদীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে রাস্তায় আগুন দিতে দেখা যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এখন কোথাও পুলিশি তৎপরতা দেখা যায়নি। সকাল ১০ টার দিকে নোয়াখালী-৪(সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী তার অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে পুড়ে যাওয়া জেলা আওয়ামী লীগ অফিস দেখতে আসেন। এসময় বিক্ষোভকারীদের সাথে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনা যায়। একপর্যায়ে এমপি একরাম সহ তার অনুসারীরা ব্যর্থ হয়ে জেলা শহর থেকে চলে যান। শহরেরর সব কটি সড়কে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান করে বিক্ষোভকারীরা।
বেলা সাড়ে ১১টার সময় সেনাবাহিনীর গাড়ী টহল দেওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা ‘এ মুহূর্তে দরকার সেনাবাহিনীর সরকার’- স্লোগান দেয়।
কালিয়াকৈর (গাজীপুর): গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গতকাল রোববার দিনব্যাপী সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনকারীরা ৩টি পুলিশ বক্স, আওয়ামী লীগের অফিস, থানার সামনে রাখা গাড়িসহ বেশকিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায় পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীদের হামলায় ওসিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও পুলিশের গুলিতে শিশুসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। থমথমে বিরাজ করছে কালিয়াকৈর।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা জেলাজুড়ে কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। কোথাও কোথাও বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন তারা। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ তোলেন। রোববার সকাল থেকে জেলাজুড়ে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের ভালাইপুর বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা একদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যান চলাচল বন্ধ করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সড়কের দু’পাশে সৃষ্টি হয় যানজট।
একই সাথে শহরের কোর্টমোড় এলাকাতেও বিক্ষোভ করতে গেলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এসময় তাদের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়। শহরের হাসপাতাল সড়কে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। দর্শনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হলে তাদের ওপরেও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া জেলার বদরগঞ্জ, জীবননগর ও আলমডাঙ্গাতেও সড়কে নামে আন্দোলনকারীরা। এমন পরিস্থিতিতে জেলাজুড়ে আতঙ্ক ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আন্দোলনকারীদের সাথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ প্রায় শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় কমপক্ষে অর্ধশত আহত হয়। রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও স্থানীয় বাসস্ট্যান্ড, জগনাথপুর এবং কালিকাপ্রসাদ এলাকায় এ সংঘর্ষ চলে। এসময় আন্দোলনকারীরা কয়েকটি বাড়ীঘর দোকানপাট ভাংচুর করে। তবে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দেখা যায়নি। স্থানীয় বিএনপির কিশোর যুবকদের আন্দোলনে অংশ নিতে দেখা যায়। তারা দুপুর দেড়টার দিকে ভৈরব থানা আক্রমণ করতে চেষ্টা করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিলে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের দূরবর্তী টেপ্রীগঞ্জ এলাকায় কমলা চাষ করে নজর কেড়েছেন সুতপাড়া গ্রামের পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের ও আশপাশের এলাকার পৈতৃক ১০০ শতাংশ জমিতে তিনি প্রায় চার শতাধিক গাছ নিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি পরিপাটি কমলা বাগান।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের তেরপুপাড়া গ্রামের ‘আবরার অরেঞ্জ গার্ডেন’-এ গিয়ে দেখা যায়, জেলার নানা প্রান্ত থেকে ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন।
দর্শনার্থীরা জানান, কম দামের টাটকা কমলা, নিজ হাতে গাছ থেকে ফল ছিঁড়ে নেওয়ার সুযোগ এবং ছবি তোলার আনন্দই তাদের আগমনের প্রধান কারণ। প্রতিদিনই এখানে মানুষ এসে কমলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
বাগানে ঘুরতে আসা দর্শনার্থী ও ক্রেতা রাকিবুল ইসলাম রকি জানান, এই কমলাগুলো দেশের বাইরে থেকে আসা কমলার মতোই লাগছে। আমরা এখানে এসে দেখলাম দামও তুলনামূলক কম, এজন্য ভালোই লাগছে।
অপর এক দর্শনার্থী লালচান বাদশা জানান, দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে, আমরা বাগান ঘুরে দেখে ফল ছিঁড়ে খেলাম, মোটামুটি সুস্বাদু আছে।
বাগান পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা দ্বিজেন্দ্রনাথ রায় জানান, আমি বাগান দেখাশোনা ও পরিচর্যা করি। নভেম্বরের শেষের দিকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি, এখন ২০০/২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে কিনে নিয়ে যায়, আমার বেশ ভালো লাগে।
কমলা চাষে আগ্রহের কারণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাগান মালিক রংপুর বিভাগে কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আমার বেশ আগ্রহ ছিল। শৈশবে প্রিয় বইও ছিল কৃষি শিক্ষা, সেখান থেকেই আগ্রহের জন্ম। এরই ধারাবাহিকতায় পরীক্ষামূলকভাবে ২০ শতক জমিতে প্রথম কমলা গাছ লাগাই।
পরে আশানুরূপ সাফল্য পেলে ধীরে ধীরে সহোদরদের নিয়ে প্রায় ১০০ শতক জমিতে কমলার চাষ শুরু করি। এই জাতটি সম্ভবত চায়না ও দেশির মিশ্রণ। আর এই অঞ্চলের মাটি বেলে-দোআঁশ। এখানে পার্শ্ববর্তী দার্জিলিং ও হিমালয়ের আবহাওয়ার সাথে মিল রয়েছে, তাই এখানেও কমলা চাষ হবে বলে মনে হয়েছে।
নতুন কৃষি উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কমলা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, সাথে ভিটামিন সি-এর চাহিদাও পূরণ করছে। আর এখন অনেকেই কমলা চাষে আগ্রহী। কেউ চাইলে আমি গাছের চারা ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
দেবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাঈম মোর্শেদ বলেন, এই অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া কমলা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সঠিক পরিচর্যা করলে এখানকার চাষিরা ভালো ফলন পাবেন। আমরা নতুন কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিতে সবসময় প্রস্তুত।
চীনে নির্মিত ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ নামে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) দ্বিতীয় নতুন জাহাজ প্রস্তুত রয়েছে। বিএসসির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা চীনের নানইয়াং শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজটি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিএসসির কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ১৩ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের এমভি বাংলার নবযাত্রার বহন ক্ষমতা ৬৩ হাজার ৫০০ টন। প্রথম জাহাজের মতো দ্বিতীয়টিরও ধারণ ক্ষমতা দৈর্ঘ্য ১৯৯ দশমিক ৯৯ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। জাহাজটি যুক্ত হলে বিএসসির বহরে মোট জাহাজের সংখ্যা পৌঁছাবে সাতটিতে। ২০১৯ সালের পর দীর্ঘ ছয় বছর নতুন জাহাজ কেনায় স্থবিরতা কাটিয়ে এ বছরে দুটি জাহাজ সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রায়ত্ত এ সংস্থা। এর মধ্যে এমভি বাংলার প্রগতি গত মাসেই বহরে যুক্ত হয়ে সেবা দেওয়া শুরু করেছে। দুটি নতুন জাহাজ বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি আয় বাড়াতে পারে। পাশাপাশি পালাক্রমে বছরে অন্তত ১৫০ নাবিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিএসসি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা।
বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এবার প্রথমবারের মতো পুরোপুরি নিজস্ব অর্থায়নে জাহাজ কেনা হয়েছে। বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দেখেছি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত রাখার চেয়ে জাহাজে বিনিয়োগই লাভজনক। বোর্ড সভায় অনুমোদনের ছয় মাসের মধ্যে দুটি নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। এরই মধ্যে একটি জাহাজ হস্তান্তর করা হয়েছে। আরেকটি শিগগিরই বহরে যুক্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দরপত্রে শর্ত দিয়েছিলাম, যারা কার্যাদেশ পাবেন তাদের চুক্তি স্বাক্ষরের ছয় মাসের মধ্যে বিএসসির কাছে জাহাজ হস্তান্তর করতে হবে। আমাদের শর্তের সুফল পাওয়া গেছে। আমরা ছয় মাসের মধ্যে দুটি বৃহদাকারের নতুন জাহাজ বহরে যুক্ত করতে সক্ষম হচ্ছি।’
বিএসসির মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন জামাল হোসাইন তালুকদার দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘এমভি বাংলার নবযাত্রা’ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে সমুদ্রে ট্রায়াল রান শুরু করবে। এতে বিএসসির বিশেষজ্ঞ টিম ও শিপইয়ার্ডের প্রকৌশলীরা অংশ নেবেন। বুঝে নেওয়ার পর যখন জাহাজটি বাণিজ্যিক চার্টারে যুক্ত হওয়ার একসপ্তাহ আগে আমাদের পরবর্তী টিম জাহাজটিতে জয়েন্ট করবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে পণ্য পরিবহন শুরু করবে বলে আশা করছি।’
বিএসসি সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতামূলক দর যাচাই করে গত ৩ জুন আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কারিগরি মূল্যায়নে দুটি প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। পরে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসির কাছ থেকে ৯৩৬ কোটি টাকায় দুটি জাহাজ কেনার অনুমোদন দেয়। চীনের শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে আমেরিকান কোম্পানি হেলেনিক ড্রাই বা ভেঞ্চারস।
এর আগে গত অক্টোবরের শেষের দিকে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে বিএসসি কেনা প্রথম নতুন জাহাজ ‘এমভি বাংলার প্রগতি‘। প্রতিদিন ২০ হাজার ডলারে (অর্থাৎ সাড়ে ২৪ লাখ টাকা) বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি তিন মাসের জন্য ভাড়ায় নেয় হংকংভিত্তিক একটি কোম্পানি। এমভি বাংলার নবযাত্রা যুক্ত হলে বিএসসির বহরে জাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে সাতটিতে। এর মধ্যে তিনটি তেল পরিবহন করা ট্যাংকার এবং ৪টি সাধারণ পণ্য পরিবহনের বাল্ক জাহাজ।
প্রসঙ্গত; ১৯৭২ সালের জুনে ‘এমভি বাংলার দূত’ জাহাজ চালুর মাধ্যমে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহনের ব্যবসা শুরু করে সরকারি সংস্থা ‘ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন-বিএসসি। ১৯৮২ সালে সংস্থাটির বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭টিতে, যা পরে ৩৮টিতে উন্নীত হয়। এরপর থেকেই সংস্থাটির বহরে জাহাজের সংখ্যা কমতে থাকে। সর্বশেষ ২০১৮ ও ২০১৯ সালে চীন সরকারের অর্থায়নে ১ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকায় ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করেছিল বিএসসি। এর মধ্যে একটি জাহাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হয়। পরে ওই জাহাজের বিমা বাবদ বিএসসি বড় অঙ্কের অর্থ পেলেও তার বহরে থাকা জাহাজের সংখ্যা কমে পাঁচটিতে নেমে আসে। নতুন জাহাজ দুটি ছাড়া বিএসসির বহরে যে পাঁচটি জাহাজ রয়েছে, সেগুলো ২০১৮ ও ২০১৯ সালে কেনা। সংস্থাটির কাছে পুরোনো কোনো জাহাজ নেই।
‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতিবিরোধী মানববন্ধন ও র্যালি করেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাইলস্টোন কলেজ।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও র্যালির আয়োজক ছিলেন, ঢাকা মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, উত্তরা অঞ্চল।
র্যালিতে অংশগ্রহণকারী মাইলস্টোন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা দুর্নীতিবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন বহন করে। মানববন্ধন ও র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মাইলস্টোন কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল হক, উপাধ্যক্ষ (প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, মহানগর দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি উত্তরা অঞ্চলের সাবেক সভাপতি লে. কর্নেল এম. আব্দুল খালেক (অব.), সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মো. নাজমুল আলম এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
জনতা ব্যাংক পিএলসির ৮৬৭তম বোর্ড সভা গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ব্যাংকের পরিচালক বদরে মুনির ফেরদৌস, ড. মো. আব্দুস সবূর, আব্দুল মজিদ শেখ, আব্দুল আউয়াল সরকার, ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, মো. আহসান কবীর, মো. কাউসার আলম, অধ্যাপক ড. এ এ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম মরতুজা, মো. ফয়েজ আলম ও মো. আশরাফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট মহাব্যবস্থাপকরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় শ্রেণিকৃত খেলাপি ঋণ আদায়সহ ব্যাংকের অন্যান্য করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে নগদে লেনদেন করে আইফোন সেভেন্টিন―প্রো জিতে নিয়েছেন বরিশালের সানি বেপারী। নগদে ফিরে আসা বা নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে তিনি এই উপহার জিতেছেন।
সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত প্রতি মিনিটের প্রথম লেনদেনকারী গ্রাহককে ক্যাশব্যাক প্রদান করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ হাজার ২০০ জনের বেশি গ্রাহক ৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেয়েছেন।
পাশাপাশি সারপ্রাইজ রিচার্জ অফারে অংশ নিয়ে বোনাস রিচার্জ পেয়েছেন এক হাজারের বেশি গ্রাহক।
জামাল ভূঁইয়ার কাছ থেকে এমন আকর্ষণীয় একটি উপহার পেয়ে সানী বেপারী বলেন, ‘আমি ভাবতেও পারিনি এরকম একটি পুরস্কার পাব, সেটিও আবার জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের কাছ থেকে। আমি অনেক বেশি আনন্দিত।’
গত ২৬ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নগদের এই ক্যাম্পেইনে নিয়মিত লেনদেন না করা গ্রাহক যদি নগদে ফিরে লেনদেন করেন এবং কেউ নতুন নগদ অ্যাকাউন্ট খুলে লেনদেন করেন, তাদের জন্য থাকছে প্রতিদিন ক্যাশব্যাকসহ রয়েল এনফিল্ড মোটরসাইকেল ও আইফোনসহ হাজারও পুরস্কার জেতার সুযোগ।
সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বীরগাঁও গ্রামে ৭ ডিসেম্বর (রোববার) রাত আনুমানিক ৯টায় সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে ইউনিয়ন সহকারী আনসার প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদের বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এই ঘটনাটি আনসার-ভিডিপি―র মহাপরিচালকের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রদান করেন। যা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি তাঁর গভীর মানবিকতা ও দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের নির্দেশনা দেন। পরে জেলা কমান্ড্যান্ট ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে কম্বল ও উইন্টার কোটসহ শীতবস্ত্র বিতরণ করেন এবং বিস্তারিত তথ্য রেঞ্জ সদর দপ্তরে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে রেঞ্জ কমান্ডার বিষয়টি অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও মহাপরিচালক কে অবহিত করলে তাঁরা সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) মহাপরিচালকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিচালক মোঃ জিয়াউল হাসান, ঘটনাস্থলে সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক সহায়তা হিসেবে গৃহনির্মাণে ব্যবহারের জন্য ০২ বান টিন এবং নগদ ৫,০০০ টাকা অনুদান প্রদান করেন। পাশাপাশি, বাহিনীর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে এমন সহানুভূতিশীল উদ্যোগ ও দ্রুত সাড়া পেয়ে প্লাটুন কমান্ডার মোঃ সেলিম আহমেদ মহাপরিচালক প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, এ সহায়তা শুধু এক সদস্যের প্রতি নয়, বরং বাহিনীর সকল সদস্যের প্রতি মহাপরিচালক অকৃত্রিম ভালবাসা ও দায়িত্বশীলতার প্রতীক।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) গত নভেম্বর-২০২৫ মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৬৮ কোটি ৩৮ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জব্দকৃত চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-২ কেজি ২৬৬.২২ গ্রাম স্বর্ণ, ১২১ গ্রাম রূপা, ১৭,২৩৪টি শাড়ী, ২১,৩৩৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ২৭,৪৫০টি তৈরী পোশাক, ৯,৭৪০ মিটার থান কাপড়, ৩,৪০,৩৮০টি কসমেটিক্স সামগ্রী, ৬,৫৬৪ পিস ইমিটেশন গহনা, ১০,০৯,৪২১টি আতশবাজি, ৬,২১৬ ঘনফুট কাঠ, ১,২৮৪ কেজি চা পাতা, ১১,৪৭৯ কেজি সুপারি, ৬৬,৫৪৬ কেজি কয়লা, ১২,৮৯০ ঘনফুট পাথর, ৫৯৭ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ১৫,১৭৮টি প্লাস্টিক/ইলেঃ সামগ্রী, ৪৪৫টি মোবাইল, ১৫,১৪৫টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৭৩,৫৬৪টি চশমা, ৩৭,৬৯০.৫০০ কেজি জিরা, ৪,৯৭০ কেজি চিনি, ১,৬৩,৪৯০ কেজি পিয়াজ, ১,৭৩১ কেজি রসুন, ৪,৬৮০ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৬,৩২০ কেজি সার, ২,৬৮৪ প্যাকেট কীটনাশক, ৪৮৫ লিটার ডিজেল, ১,৬৮,০২১ পিস চকোলেট, ৮১৯টি গরু/মহিষ, ১৬টি ট্রাক/কাভার্ড ভ্যান, ১৭টি পিকআপ/মহেন্দ্র, ৪টি ট্রাক্টর, ২টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ১৪টি ট্রলি, ১৭৯টি নৌকা, ৩৮টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৫৪টি মোটরসাইকেল এবং ৩১টি বাইসাইকেল/ভ্যান।
উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- ৪টি দেশী/দেশীয় পিস্তল, ১টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ২টি ম্যাগাজিন, ১৯ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২কেজি ৩০০ গ্রাম গান পাউডার, ৩টি মাইন, ৬টি ককটেল এবং ৯টি অন্যান্য অস্ত্র।
এছাড়াও গত মাসে বিজিবি কর্তৃক বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ২০,৫৮,৭৮৯পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ১৯৩ গ্রাম হেরোইন, ৩,৭১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৭,১৭৬ বোতল বিদেশী মদ, ২০৩.৯ লিটার বাংলা মদ, ৬০৮ ক্যান বিয়ার, ১,৫২৬ কেজি ৫০ গ্রাম গাঁজা, ১,১৭,৮৫১ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫০,৫৮৫টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৩,৪৬৩ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৮,১৫৬টি এ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ৫৬,১২০টি মদ তৈরীর বড়ি, এবং ৭,৬৭,৯২৩ পিস বিভিন্ন প্রকার ঔষধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।
সীমান্তে বিজিবি’র অভিযানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক পাচার ও অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫৯ জন চোরাচালানী এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৩৭ জন বাংলাদেশী নাগরিক ও ০২ জন ভারতীয় নাগরিককে আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ৪০৩ জন মায়ানমার নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের টেকনাফে হাইওয়ে সড়কে মিনি ট্রাক ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হ্নীলা আলীখালী রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনা নিশ্চিত করেছে হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানা পুলিশ।
নিহতরা হলেন—হ্নীলা মৌলভীবাজার পূর্বপাড়ার মো. সেলিমের ছেলে সিএনজি চালক মো. ফারুক এবং টেকনাফ নাজিরপাড়ার ছৈয়দ নুরের ছেলে ইমান হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়।
হোয়াইক্যং হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আবছার সংবাদ মাধ্যমকে জানান, হ্নীলা থেকে টেকনাফগামী সিএনজি অটোরিকশাটি হাইওয়ে সড়কে পৌঁছালে কক্সবাজারমুখী মাছবোঝাই একটি মিনি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি চালক মো. ফারুক ও যাত্রী মো. ইসমাইল (অনেকে ইমান হোসেন হিসেবে শনাক্ত করেন) ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
ওসি আরও জানান, সংঘর্ষের ধাক্কায় সিএনজিটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ এবং ট্রাকটি জব্দের প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ–কক্সবাজার হাইওয়ে সড়কে অতিরিক্ত গতি ও বেপরোয়া চালনার কারণে এ ধরনের দুর্ঘটনা বাড়ছে। তারা সড়কে নিয়মিত নজরদারি ও গতিনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ মরদেহ দুটি টেকনাফ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানা গেছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ ছাত্রদলের আয়োজনে এই বৃক্ষরোপন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি সাদিয়া আক্তার মিমের সভাপতিত্বে ও কলেজ ছাত্রদল নেত্রী সাফরিন মৌ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি'র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ছিলেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স কলেজের অধ্যাপক মনিরুজ্জামান ভুইয়া লিটন, অধ্যাপক মাহাবুর রহমানসহ অত্র কলেজের শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ছাত্রীবৃন্দ।
আলোচনা শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির আয়োজনে পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ইউএনও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।
পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি মোহাম্মদ আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, সকল অনাচার ও সমস্যার মূলে রয়েছে দুর্নীতি। তাই দেশকে পুরোপুরি বৈষম্যমুক্ত করতে চাইলে দুর্নীতি নির্মুলের কোন বিকল্প নেই । আর এজন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে আত্মসমালোচনার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাগ্রত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) মোখলেছুর রহমান আকন্দ, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া, আনসার বিডিপি কর্মকর্তা কুসুম কুমার রায়, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ সভাপতি শাহিদা পারভীন, সদস্য সাংবাদিক আব্দুল হালিম ও মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
এর আগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা গড়বে আগামীর শুদ্ধতা স্লোগানে দিবসটি উপলক্ষে পরিষদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলা প্রশাসন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
কুষ্টিয়ায় পৃথক দুটি স্থানে অভিজান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ নকল বিড়ি ও ভারতীয় মদ আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) বিজিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনির স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া বাইপাস লালন চত্বর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৪৭ বিজিবির ব্যাটালিয়ন সদরের একটি টহল দলের অভিযানে পাবনা থেকে পাথরঘাটা অভিমুখী একটি বিআরটিসি বাস তল্লাশি করা হয়। এ সময় বাসের ভেতর থেকে ৪ হাজার ২০০ প্যাকেট অবৈধ নকল বিড়ি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিড়ির আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
এর আগে রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিলমারী বিওপির একটি নিয়মিত টহল দল চোরাচালানবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। সীমান্ত পিলার ১৫৭/২-এস থেকে ৫০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মরার পাড়া এলাকায় মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় উৎপাদিত ৪৮ বোতল মদ আটক করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৭২ হাজার টাকা।
বিজিবি জানায়, দুটি অভিযানে উদ্ধারকৃত মালামালের মোট মূল্য ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা। মালিকবিহীন অবস্থায় আটককৃত মদ ধ্বংসের জন্য ব্যাটালিয়ন সিজার স্টোরে রাখা হয়েছে এবং নকল বিড়ি বিধি মোতাবেক কাস্টমস অফিসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ২০২৫ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন, জাতীয় মহিলা সংস্থা ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এই দিবস পালিত হয়।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা সভা কক্ষে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম।
এতে জাতীয় মহিলা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসমান আলীর উপস্থাপনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফারুক আহমেদ, আইসিটি কর্মকর্তা মর্জিনা খাতুন, দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা, মনোজ কুমার ইন্দ্র,উপজেলা বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলামসহ জাতীয় মহিলা সংস্থার নতুন পুরাতন ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী উপস্থিত ছিলেন।
নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। "অদম্য নারী পুরস্কার" শীর্ষক কার্যক্রমের অদম্য নারী অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জন করেছেন যে নারী, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছেন যে নারী, সফল জননী নারীনির্যাতনের দুঃস্বপ্ন মুছে জীবন সংগ্রামে জয়ী নারী, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরীতে বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য পাঁচজন নারীকে অদম্য পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন সমাজ উন্নয়নে মোছাঃ আমেনা খাতুন, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ববিতা খাতুন, সফল জননী মোছাঃ আনোয়ারা খাতুন, অর্থনৈতিকভাবে স্বামলম্বী মিমি খাতুন এবং বিভীষিকাময় দুঃশাসন ক্যাটাগরীতে শান্তা খাতুন প্রমুখ।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নারী শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি প্রথম আবাসিক হল এবং পুরাতন ভবন গুলোর মধ্যে অন্যতম খালেদা জিয়া হল।
ভবন পুরাতন এবং বৈদ্যুতিক লাইনগুলো পুরোনো হওয়ায় শর্ট সার্কিটের কারণে বারবার অগ্নিকান্ডের মত ঘটনা ঘটেছে এই হলে। প্রতিবার আগুন লাগার পর নামমাত্র সংস্কার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের। ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন স্থায়ী সমাধানের দাবি করে আসছে এই হলের ছাত্রীরা।
এবার সেই নিরাপত্তা ঝুঁকি ও আশঙ্কা মুক্ত করতে স্থায়ীভাবে বৈদ্যুতিক সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কারমূলক কাজ আরম্ভ হয়েছে বলে জানা গেছে।
হল সূত্রে জানা যায়, বর্তমান হল প্রভোস্ট দায়িত্ব নেয়ার সময় হল ফান্ডে ৭ লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন। দায়িত্বের এক বছরের মধ্যে তিনি হল ফান্ড থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার কাজ করেছেন। হলের রিডিংরুম সংস্কারে প্রায় ৬ লক্ষ টাকাসহ ওয়াইফাই, গণরুম, সিসিটিভি ক্যামেরায় ব্যয় করেছেন তিনি।
ঐ হলের আবাসিক এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের পুরাতন ব্লকে কয়েকবার আগুন লেগেছে। আমরা সবসময় আতংকে এবং অনিরাপদ থাকি। পুরাতন ব্লকের সংস্কার শুরু হয়েছে। বাইরে হট্টগোল হলেই মনে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। মনে হয় এই বুঝি আগুন লেগেছে। এখন থেকে আর আতংকে থাকতে হবে না। আশা করছি পুরাতন ব্লকের মতো নতুন ব্লকও যেন নিরাপদ করে গড়ে তোলা হয়।’
খালেদা জিয়া হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. জালাল উদ্দীন বলেন, ‘খালেদা জিয়া হলে পুরাতন এবং নতুন নামে দুইটি ব্লক আছে। পুরাতন ব্লকের পলেস্তারা এবং বৈদ্যুতিক লাইন খুবই খারাপ। আমি এসে শুনেছি এখানে কয়েকবার শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা হলের ৪র্থ ও ৫ম ফ্লোরে রিপেয়ারের কাজ শুরু করেছি। আশা করছি বাকি ফ্লোরগুলোতে অতিশীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, পুরাতন ব্লকের ওয়াশরুম এবং বাথরুম ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো সংস্কারের জন্য বড় বাজেটের দরকার। এজন্য আমি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছি। যেহেতু এবিষয়ে কোনো প্রকল্প নেই সেহেতু বিভিন্ন উৎস থেকে ফান্ড যোগাড় করে দিবেন বলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে। ফান্ড পেলে আশাকরি দ্রুতই আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারবো।’