বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
৯ পৌষ ১৪৩২

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে রিট

ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৪৯

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প স্থাপনে ‘অনিয়ম’ ও ‘দুর্নীতির’ অনুসন্ধান চেয়ে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী।জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ববি হাজ্জাজ আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।

মামলায় বলা হয়, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচার করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগ সরকার সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে দুদককে অনুসন্ধানের জন্য আবেদন জানালেও সংস্থাটি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, সরকার পতনের পর সম্প্রতি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের খবর প্রকাশিত হয়। এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতে সহায়তাকারী হিসেবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের নাম এসেছে।

ববি হাজ্জাজ বলেন, রিটে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুদককে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে তিনি জানান।


সবুজ কারখানায় নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ

* ২০২৫ সালে ৩৮টি ফ্যাক্টরি সবুজ কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৫ সাল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উৎপাদনের পথে অগ্রযাত্রায় এ বছর শিল্পটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক স্পর্শ করেছে—একই বছরে রেকর্ডসংখ্যক ৩৮টি নতুন LEED-প্রত্যয়িত (Leadership in Energy and Environmental Design) সবুজ কারখানা যুক্ত হয়ে। এর আগে কখনোই বাংলাদেশের কোনো শিল্পখাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প, এক বছরে এত বিপুল সংখ্যক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সবুজ স্বীকৃতি অর্জন করতে পারেনি।

শিল্প সংশ্লিষ্টদের মতে, এই সাফল্য কেবল একটি পরিসংখ্যানগত অর্জন নয়; বরং এটি বৈশ্বিক পোশাক সরবরাহ শৃঙ্খলে পরিবেশগত দায়িত্ব, জ্বালানি দক্ষতা এবং টেকসই উৎপাদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের প্রতিফলন। ধারাবাহিক এই অগ্রগতির ফলে ২০২৫ সালের শেষে এসে বাংলাদেশে মোট সবুজ কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭০-এ—যা বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় সর্বোচ্চ।

এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে সবুজ রূপান্তরের এই ব্যতিক্রমী যাত্রা, এর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে তুলে ধরছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ডিজাইন (লিড) গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানার সার্টিফিকেশন দিয়ে থাকে। ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) তথ্যমতে, দেশে এখন সবুজ কারখানা ২৭০টি। এর মধ্যে গোল্ড ক্যাটাগরির ১৩৭, প্লাটিনাম ১১৪, সিলভার ১৫ ও সার্টিফাইড ক্যাটাগরির ৪ টি। এছাড়া, ৫৫০টির বেশি কারখানা গ্রিন ফ্যাক্টরি হতে রেজিস্ট্রেশন বা পাইপলাইনে রয়েছে।

তথ্যে বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২৫ সালে সবুজ কারখানার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৮টি কারখানা। এর আগে ২০২৪ সালে ২৬টি, ২০২৩ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ৩০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২০ সালে ২৩টি ও ২০১৯ সালে ২৮টি ফ্যাক্টরি সবুজ কারখানার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

এদিকে, শীর্ষ ১০০টি পোশাক কারখানার মধ্যে বাংলাদেশেই রয়েছে ৬৮টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাকিস্তানে রয়েছে ৭টি ও তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় রয়েছে ৬টি।

জানা গেছে, গত বছর ২০০ সবুজ কারখানার মাইলফলক অর্জন করে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দেশের পোশাক খাতও নতুন মাইলফলক স্পর্শ করে। ফের বাংলাদেশ এ খাতে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলো। এর মধ্যে দিয়ে পরিবেশবান্ধব পোশাক উৎপাদনে বিশ্ব নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় করেছে বাংলাদেশ।

বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, সবুজ কারখানায় বাংলাদেশ বরাবরই ওপরে রয়েছে। পোশাক মালিকদের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ, বিজিএমইএ’র কৌশলগত নেতৃত্ব ও শিল্পখাতের সম্মিলিত উদ্যোগেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের চাহিদা বাড়ছে। ক্রেতা ও ভোক্তারা কম কার্বন নিঃসরণ, পানি সাশ্রয় ও জ্বালানি দক্ষতার ওপর জোর দিচ্ছেন। বিষয়টি মাথায় রেখে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো কার্বন দক্ষতা, পানি ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামোতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। লিড সার্টিফিকেশন এখন শুধু পরিবেশ সুরক্ষার বিষয় নয়, বরং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল।

তিনি আরও বলেন,এই অর্জন প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের পোশাক খাত ভবিষ্যতে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের পরিবেশ আইন, কার্বন মূল্য নির্ধারণ ও ডিজিটাল স্বচ্ছতা ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ২০২৫ সালের এই রেকর্ড বিশ্বকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষে নয়, বরং সবুজ ও ভবিষ্যৎমুখী শিল্পায়নেও নেতৃত্ব দিচ্ছে।


লালমনিরহাটে পুরোনো আলুর প্রভাবে কমেছে নতুন আলুর দাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

শীতে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার মতো লালমনিরহাটেও কৃষিকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষিপ্রধান জেলার পাঁচটি উপজেলায় শীতকালীন সবজি ও আগাম আলুর মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়ায় ইতোমধ্যে হাট-বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু করলেও তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হওয়ায় কৃষকরা প্রত্যাশিত লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন কাঁচা শাক-সবজির আড়ত ঘুরে দেখা গেছে, আগাম নতুন ক্যারেজ জাতের আলু পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজির পালা ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা কেজিপ্রতি ১৭ টাকা। হাগড়াই (বগুড়াই) জাতের আলু পাঁচ কেজির পালা ১৩০ টাকায়, অর্থাৎ কেজিপ্রতি ২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, গত মৌসুমের পুরোনো লাল আলু আড়তে বস্তাপ্রতি ২৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি বস্তায় প্রায় ৬০ কেজি থাকায় কেজিপ্রতি দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৫ টাকা।

খুচরা বাজারে শহরের গোশালা বাজার, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা, হাড়িভাঙ্গা, সদর উপজেলার বড়বাড়ী, মহেন্দ্রনগর ও বুড়ির বাজারে আগাম ক্যারেজ জাতের আলু কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২২ টাকা এবং হাগড়াই (বগুড়াই) জাতের আলু ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি, গত মৌসুমের পুরোনো লাল আলু কেজিপ্রতি ৮ থেকে ১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম নতুন আলুর দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আদিতমারীর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষক ইব্রাহিম হোসেন বাসসকে জানান, গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে নতুন আলুর পাইকারি দাম কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা থেকে নেমে ১৭ থেকে ২৬ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ন্যায্য দাম না পেলে কৃষকদের জীবনযাপন মারাত্মকভাবে সংকটে পড়বে।’

আলুর দাম কমে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জেলা সদরের বড়বাড়ী কাঁচামাল আড়তের পাইকার মজিদুল মিয়া বাসসকে বলেন, ‘বাজারে পুরোনো আলুর সরবরাহ বেশি থাকায় নতুন আলুর চাহিদা কমে গেছে।’

একই আড়তের আরেক পাইকার হক সাহেব জানান, কৃষক ও পাইকারদের মধ্যে কার্যকর বাজার সংযোগ ও তথ্যের ঘাটতিও দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে আগাম নতুন আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৬৫ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি এবং উৎপাদন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ১৫০ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগাম আলু বাদে ৬ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ সম্পন্ন হয়েছে, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩১০ হেক্টর বেশি। আগামী কয়েকদিনে আরও কিছু জমিতে আলুর চাষ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলাভিত্তিক হিসাবে জেলা সদর উপজেলায় ৪ হাজার ১০ হেক্টর, আদিতমারীতে ৮৮০ হেক্টর, কালীগঞ্জে ৯৯০ হেক্টর, হাতীবান্ধায় ৬৮০ হেক্টর এবং পাটগ্রামে ২৫০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ সম্পন্ন হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বাসসকে বলেন, ‘অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি মৌসুমে আলুর উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হতে পারে।’

জেলা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খন্দকার সোহায়েল আহমেদ জানান, হিমাগারে সংরক্ষিত পুরোনো আলু বাজারে থাকায় নতুন আলুর দাম চাপের মুখে রয়েছে।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. সাইখুল আরিফিন আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আবহাওয়া সহায়ক থাকলে ভালো ফলনের পাশাপাশি কৃষকরা ন্যায্য দামে আলু বিক্রি করতে পারবেন।’

সূত্র : বাসস


উদ্যোক্তা তৈরিতে আনসার-ভিডিপির ‘সঞ্জীবন’ বিষয়ক কর্মশালা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কল্যাণমূলক উদ্যোগ ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’ বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির বীর বিক্রম শহীদ এলাহী অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ কর্মশালাটি বাংলাদেশ আনসার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের আওতায় পরিচালিত হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আনসার ও ভিডিপি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। তিনি ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর উদ্দেশ্য, বাস্তবায়ন কাঠামো এবং এর মাধ্যমে সদস্যদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরেন।

মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘সঞ্জীবন প্রকল্প আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মধ্য থেকে দক্ষ, কর্মঠ ও উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নির্বাচন করে টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সময়োপযোগী প্রয়াস। সুবিধাবঞ্চিত সদস্যদের স্বাবলম্বী করে তুলতেই এই প্রকল্পের পাইলটিং কার্যক্রম দেশের ১২টি জেলার ১২টি উপজেলায় বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’ তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজের পরিধি, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও অর্জনের সূচক সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’-এর অগ্রযাত্রায় পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে শুরু করে উপকারভোগী নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি বিষয় সুসংগঠিত ও সুনির্দিষ্ট। সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করে তা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কৌশল ও সমাধান কাঠামো ইতোমধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রকল্পটির দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নিশ্চিত করবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

কর্মশালায় প্রকল্পভিত্তিক পৃথক সেশন পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সঞ্জীবন প্রকল্পের প্রস্তাবনা দাখিল প্রক্রিয়া, সদস্য নির্বাচন কৌশল বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেশন পরিচালনা করেন উপমহাপরিচালক ( প্রশিক্ষণ) জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম। প্রকল্পের নন-এগ্রোবেজড কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন ২৭ আনসার ব্যাটালিয়নের পরিচালক রুবেল উকিল। তিনি নন-এগ্রোবেজড উদ্যোগের সম্ভাবনা, বাস্তবায়ন পদ্ধতি এবং সদস্যদের দক্ষতা অনুযায়ী প্রকল্প নির্বাচন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

কর্মশালার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোটিভেশনাল সেশন পরিচালনা করেন বাংলাদেশের অন্যতম উদ্যোক্তা এবং ‘নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন’-এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ। তাঁর অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য অংশগ্রহণকারীদের উদ্যোক্তা মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা রাখে এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে সফল উদ্যোগ পরিচালনার পথনির্দেশনা প্রদান করে।


তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে দৌলতপুরে আবেগের জোয়ার, ঢাকার পথে দুই হাজার নেতাকর্মী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

প্রায় ১৭ বছরের দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বইছে আবেগের জোয়ার। এ ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে উপজেলা থেকে অন্তত দুই হাজার নেতাকর্মী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে অর্ধশত বাস, মাইক্রোবাস, হাইস ও প্রাইভেট কারে নেতাকর্মীরা রাজধানীর পথে যাত্রা করেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু হয়। আজ বুধবার সকালেও একাধিক বহর রওনা হয়েছে, আবার কেউ কেউ সন্ধ্যায় যাত্রা করবেন। অনেকে ট্রেন ও নিজস্ব ব্যবস্থায় ঢাকায় যাচ্ছেন। দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রিয় নেতার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের চোখেমুখে উচ্ছ্বাস ও আবেগ স্পষ্ট। অনেকেই একে আন্দোলন-সংগ্রামের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন।

উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদুজ্জামান রুবেল বলেন,

“১৭ বছর পর আমাদের নেতা দেশে ফিরছেন—এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। দৌলতপুর থেকে পাঁচটি বাস ও অন্তত ৩০টি যানবাহনে নেতাকর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন। সবার ভেতরেই এক অন্যরকম আবেগ কাজ করছে।”

দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রেজা আহমেদ বাচ্চু বলেন,

“তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য শুধু রাজনৈতিক নয়, আবেগেরও একটি বিষয়। এটি গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য আশার বার্তা।”


সীমান্ত এলাকায় বিজিবির বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই বাজার এলাকায় শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি)-এর উদ্যোগে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সীমান্ত অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আয়োজিত এ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ৪৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম জাকারিয়া।

মেডিকেল ক্যাম্পে মোট ৫১০ জন রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এ সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা বিভিন্ন জটিল রোগ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সুস্থ জীবনধারা বজায় রাখার বিষয়ে পরামর্শ দেন।

শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি) কর্তৃপক্ষ জানায়, সীমান্ত এলাকার মানুষের কল্যাণে এ ধরনের মানবিক ও জনসেবামূলক কার্যক্রম নিয়মিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।


ঠাকুরগাঁওয়ে সচেতন নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে শরীফ ওসমান হাদী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার এবং সংবাদমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উপর সন্ত্রাসী হামলা ভাঙচুর ও অগ্নীসংযোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল তিনটার দিকে শহর চৌরাস্তায় ঠাকুরগাঁও নাগরিক বৃন্দের ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে, রাজনীতিক ছাত্র-শ্রমিক, জনতা, কৃষক মজুর, শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কর্মী সহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, তেল গ্যাস খণিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ঠাকুরগাঁও শাখার সদস্য সচিব মাহাবুব আলম রুবেল, সংবাদকর্মী, মজিবর রহমান খাঁন, শিক্ষক ফজলে ইমাম বুলবুল, সাংস্কৃতিক কর্মী এস এম জসিমউদ্দীন, সাংবাদিক তানভীর হাসান তানু, মানবাধিকার কর্মী নূর আফতাব রুপম, তরুণ সাংবাদিক সোহেল রানা, জয় মোহন্ত অলক, ছাত্র ফারহান সাদাত জাহেদি প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা ওসমান হাদী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন এবং সারা দেশে যারা নৈরাজ্য ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর চেষ্টা করছে, যারা দিপু দাসদের আগুনে পুড়িয়ে মারছে, পিটিয়ে মারছে তাদের প্রতি নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি করেন। সেই সাথে উগ্রবাদ যেন বাংলাদেশে কায়েম না হয় সে জন্য বাংলাদেশী সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান আসে মানববন্ধন থেকে। বক্তারা আরও বলেন, যারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবিদের টার্গেট করে হত্যা করতে চাইবে এবং বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে মব সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।


৬৫ কোটি টাকার সেতু এখন ১৩৬ কোটি টাকা

নড়াইলের নবগঙ্গা সেতু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইলের নবগঙ্গা নদীর ওপর সেতুর নির্মাণ ব্যয় ছিল মাত্র ৬৫ কোটি টাকা। নকশা জটিলতার কারণে নির্দ্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয় বেড়ে দাড়িয়েছে ১৩৬ কোটি টাকায়। দেড় বছরে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা। সেই কাজ ৮ বছরেও শেষ হয়নি। এতে জন দুর্ভোগের কারণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন পথচারীসহ নদী পাড়ের মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নড়াইল জেলা শহরের সঙ্গে কালিয়া উপজেলাসহ পাশের ৩ টি জেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে কালিয়া উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপর বারইপাড়া সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ৬৫১ দশমিক ৮৩ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থ্যের সেতু নির্মাণে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ৬৫ কোটি টাকা। মেসার্স জামিল ইকবাল অ্যান্ড মঈনুদ্দীনবাসি কনস্ট্রাকশন ফার্ম সেতু নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়।

নির্মাণ কাজ ধীর গতির পাশাপাশি বাল্কহেডের ধাক্কায় সেতুর ৯ নাম্বার পিলারটি ২ বার ভেঙে নদীতে বিলীণ হয়। এক পর্যায়ে সেতুর মুল অংশের ৪টি পায়ার ও তিনটি স্প্যান বসানোর কাজ অসম্পূর্ণ রেখে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্মাণ কাজের ব্যয় হিসেবে ৬১ কোটি টাকা প্রদান করে চুক্তি শেষ করে। দফায় দফায় কাজের মেয়াদ বৃদ্ধি আর সেতুর নকশা জটিলতার কোপানলে পড়ে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাড়ায় ১৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৪৬ হাজার টাকায়।

দ্বিতীয় মেয়াদে কংক্রিট অ্যান্ড ‍স্টিল টেকনোলজিস্ট লিমিটেড ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতুর বাকি অংশ নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়।

নদী পাড়ের বাসিন্দা হেনরী বলেন, বছরের পর বছর চলছে সেতুর নির্মাণ কাজ। শেষ কবে হবে জানা নেই। তিনি বলেন, আগে এক ঠিকাদার কাজ করে গেছে। এখন দেখছি আরেক ঠিকাদারকে। কাজের কাজ কিছু না, এখানে চলছে শুধু ঠিকাদার বদলের কাজ। তিনি বলেন, শুনছি এখন এই সেতু নির্মাণ করতে প্রায় ৩ গুন টাকা বেশি লাগছে। মনে হয় অফিসের লোকজন আর ঠিকদারের কারসাজিতে এমনটি হচ্ছে।

কালিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শমসের আলী বলেন, জেলা শহর থেকে মালামাল এনে ব্যবসা করতাম। এখন সেই কায়দা নেই। দূর পথে এখন যেতে হচ্ছে খুলনা শহরে। এতে টাকা খরচ হচ্ছে বেশি। জানিনা কবে শেষ হবে নির্মাণ কাজ।

বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ খান লিটন বলেন, নদীর দুপাড়ের সংযোগ সড়কসহ ১১টি পায়ার, ১১টি স্প্যান এবং নদীর মধ্যবর্তী অংশে তিনটি পিলার ও ৩টি স্টিল স্প্যান বসানোর কাজ বাকি। তিনি বলেন, চলতি মাসে দুইটি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে। নির্দ্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নদীর মধ্যবর্তী আর্চ্চস্প্যানটি বসাতে পারবো বলে আশা করছি।

জানতে চাইলে নড়াইল সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.নজরুল ইসলাম বলেন, নকশার ত্রুটি সংশোধনের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। তিনি দাবি করেন আগামী বছর জুনের মধ্যেই সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করে সেতু ব্যবহারকারীদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।


ঘন কুয়াশায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ অংশে তিনটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি কাভার্ডভ্যানের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া কলেজ গেট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হলেও হাইওয়ে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে কারও আঘাতই গুরুতর নয়। দুর্ঘটনার পরপরই এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হয় এবং প্রায় আধঘণ্টা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক জানান, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ায় বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে, কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে এলেও চালকদের বেপরোয়া গতি এবং কাঙ্ক্ষিত সতর্কতার অভাবেই এই চারমুখী সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে। শীতকালীন এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সকল চালককে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন এবং নিরাপদ গতিতে গাড়ি চালানোর বিশেষ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


গাড়ি ভর্তি মদ ফেলে পালাল মাদক পাচারকারী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে র‍্যাবের তাড়া খেয়ে গাড়িভর্তি বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদ ফেলে পালিয়ে যায় মাদক পাচারকারীর দল ।

এসময় একটি গাড়ি থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৬৪৮ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত মদের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে ভৈরব উপজেলার ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এঘটনা ঘটে।
র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় একটি বড় মদের চালান ঢাকার দিকে পাচার করা হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের নাটাল মোড়ে একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করে। এসময় সন্দেহভাজন একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে চেকপোস্টে আসে। গাড়িটিকে থামার সংকেত দেওয়া হলেও চালক তা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। র‍্যাব সদস্যরা গাড়িটিকে ধাওয়া করলে একপর্যায়ে চালকসহ দুজন ব্যক্তি গাড়িটি একটি গ্রামের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এবিষয়ে ভৈরব র‍্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার সিনিয়র সহকারী এএসপি তপন সরকার জানান, অভিযানে পরিত্যক্ত গাড়িটি র‍্যাব ক্যাম্পে এনে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৬৪৮ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।


নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে গোলাগুলি, নিহত ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী উত্তর প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮-১০জন। তাৎক্ষণিক পুলিশ নিহত একজনের নাম ঠিকানা জানাতে পারলেও অপর ৪ জনের নাম ঠিকানা জানাতে পারেনি। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চর গ্রামে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে, আলাউদ্দিন (৪০) উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমান উল্যাহ গ্রামের ছেরাং বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাগলার চরের জমি সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে বন্দোবস্ত দেয়নি। এ সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের কোপা সামছু বাহিনী জাগলার চরের বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী জাগলার চরের জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। একপর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরও বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর দুটি গ্রুপ আলাদা আলাদাভাবে চরের জমি বিক্রির চেষ্টা চালায়। অভিযোগ রয়েছে, চর দখলে যুক্ত ডাকাত আলাউদ্দিন সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা নিজাম মেম্বার, বিএনপি নেতা নবীর ঘনিষ্ঠ।

তারা কোপা সামছু বাহিনীকে চর থেকে বিতাড়িত করে চরের জমি দখলে নিতে ডাকাত আলাউদ্দিনের বাহিনীর সঙ্গে আঁতাত করে। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ একাধিকবার বিরোধে জড়ায়। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কোপা সামছু ও আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বন্দুক যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে অপর পক্ষের ছোড়া গুলিতে আলাউদ্দিনসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ৪ জনের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়ে ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তেও পারে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুখচর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বেলায়েত হোসেন সেলিমের মুঠোফোনে একাধিক কল করা হলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হাতিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, একটি মরদেহ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। ময়না তদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।


নাশকতার উদ্দেশে সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র  

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে বিজিবি। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো একটি পক্ষ দেশে নাশকতার উদ্দেশে এসব অস্ত্র নিয়ে আসছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা বিওপির রাঘববাটি এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল, অতিরিক্ত চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হয়। সীমান্ত থেকে প্রায় ৯০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাঘববাটি এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বিদেশি অস্ত্র প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে সকালে রাঘববাটি এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবির একটি টহল দল।

অভিযানকালে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে ধাওয়া করলে তার সঙ্গে থাকা একটি ব্যাগ ফেলে দ্রুত সীমান্তের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ব্যাগটি উদ্ধার করা হয়। ব্যাগের ভেতর কালো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তিনি আরও জানান, এর আগেও গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে পৃথক একটি বিশেষ অভিযানে ৫৩ বিজিবি ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৯টি ম্যাগাজিন এবং ২৪ রাউন্ড গুলি জব্দ করেছিল।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো একটি পক্ষ দেশে নাশকতার উদ্দেশে অস্ত্র নিয়ে আসছে।


ঈশ্বরদীতে ৮ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজটে ভোগান্তি

* পুলিশ-সেনাবাহিনীর ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদীতে ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য স্বতন্ত্র পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাসহ ৮ দফা দাবিতে দফায় দফায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে পুরো শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়েছিল শহরবাসী। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত পৌর শহরের আলহাজ মোড়ের প্রধান ফটক ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। এতে যানজটে পুরো শহর অচলাবস্থা হলে তাৎক্ষণিক পুলিশ-সেনাবাহিনী এসে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন ও দাবি পূরনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হচ্ছে বলে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় পুলিশ-সেনাবাহিনীর ধাওয়াতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ ছেড়ে দিতে বললে শিক্ষার্থীরা পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যে পুরো এলাকা উত্তেজিত হয়ে পড়লে পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। এতে শিক্ষার্থীরা সেখানে উপস্থিতি ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমারকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে দৌড়ে পালানোর সময় সড়কে পড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশবাহিনী লাঠিচার্জ করে প্রায় ১০-১৫ জন শিক্ষার্থীকে আহত করেছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও সেই সঙ্গে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এবং ঈশ্বরদী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি করছি।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা শহরের মূল পয়েন্ট অবরোধ করে তীব্র যানজট সৃষ্টি করে। তাৎক্ষণিক আমরা গিয়ে তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী স্লোগান দিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। এ সময় উপস্থিত পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে যানজট নিরসন করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও শিক্ষার্থীরা নিজ প্রতিষ্ঠানে ফিরে গেছে।


তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে কুমিল্লায় স্বাগত মিছিল

আপডেটেড ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০০:১৩
কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

দেশনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে কুমিল্লা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর মো. বিল্লাল মিয়া তার নিজ এলাকা কুমিল্লা নগরীর ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছোটরা এলাকায় এই স্বাগত মিছিলের আয়োজন করেন।

মিছিলটি ফৌজদারি আমগাছের মোড় থেকে শুরু হয়ে ছোটরা পশ্চিম পাড়া, উত্তর পাড়া ও পূর্ব পাড়া প্রদক্ষিণ করে আদালত চত্বর অতিক্রম করে পুনরায় ফৌজদারি মোড়ে এসে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাহিদা আক্তার মুন্নী এবং কুমিল্লা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বিল্লাল মিয়া।

এ সময় মিছিলে শতশত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। তারা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগানে নগরীর পরিবেশ মুখরিত করে তোলেন।

স্বাগত মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং এতে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।


banner close