বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০ ভাদ্র ১৪৩২

চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:৩৫
বাসস
প্রকাশিত
বাসস
প্রকাশিত : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৬:৩৫

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় একটি মাইক্রোবাসের চারজন যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা-নানকরা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজন শিশুও রয়েছে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের চৌদ্দগ্রামের বাতিসা-নানকরা এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়ানো ছিল। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। মাইক্রোবাসের পেছনে ছিল ফেনী থেকে ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। ওই বাসটি ধাক্কা দেয় মাইক্রোবাসটিকে। এতে ঘটনাস্থলেই চারজনের মৃত্যু হয়।

ওসি রইস উদ্দিন আরও বলেন, নিহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। মরদেহ এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।


পাথরঘাটায় বিশুদ্ধ পানির সংকট সমাধানের দাবি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার পাথরঘাটা পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকটে ভুগছেন। এ সংকট নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা পৌরসভা চত্বরে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। সুবিধাবঞ্চিত পৌরবাসীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন, পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বদিউজ্জামান সাহেদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান ফাহিম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বরগুনা জেলা শাখার সহসভাপতি মহিউদ্দিন এসমে, পৌর জামায়াত নেতা মাহাবুব খান, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম, সমাজকর্মী মেহেদী শিকদারসহ ভুক্তভোগী পৌরবাসী।

বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর ধরে পাথরঘাটা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির মারাত্মক সংকট বিরাজ করছে। অনেক জায়গায় টিউবওয়েল ও পৌরসভার সরবরাহকৃত পানির লাইন অচল হয়ে আছে। যে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে তা অনেক সময়ই দূষিত ও ব্যবহার অনুপযোগী। ফলে সাধারণ মানুষ পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছে। এ অবস্থায় শহরের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, পানির সংকট শুধু গ্রীষ্মকালে নয়, সারা বছর ধরেই চলছে। এতে শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুদের সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেক পরিবারকে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে খরচ করে পানি কিনে আনতে হচ্ছে। তবুও পৌর কর্তৃপক্ষ কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে দাবি করেন তারা।

মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত সমস্যার সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অচিরেই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে পৌরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আরও কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।


রূপায়ণ সিটি উত্তরায় ৩ দিনব্যাপী স্কিন কেয়ার ও ওয়েলনেস প্রোগ্রাম

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সবচেয়ে আকাক্ষিত মেগা গেইটেড কমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরা দিনে দিনে হয়ে উঠছে এক লাইফস্টাইল হাব, তারই ধারাবাহিকতায় রূপায়ণ সিটি উত্তরা ও বায়োজিন কসমেসিউটিক্যালস্ এর যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী স্কিন কেয়ার ও ওয়েলনেস প্রোগ্রাম। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন, যা শেষ হবে আগামী শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর)।

এতে রূপায়ণ সিটি উত্তরার বাসিন্দা ও ক্রেতারা বিনামূল্যে স্কিন টেস্ট, ডাক্তার কনসালটেশন, বডি কম্পোজিশন অ্যানালাইসিস টেস্ট ও নিউট্রিশনিস্ট কাউন্সেলিং সেবা পাচ্ছেন। পাশাপাশি থাকছে বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রূপায়ণ গ্রুপের ডিরেক্টর (মার্কেটিং অ্যান্ড মিডিয়া) অমিত চরবর্ত্তী বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম মেগা গেইটেড কিমিউনিটি রূপায়ণ সিটি উত্তরা শুধু একটি আবাসন নয়, বরং আমাদের কমিউনিটির জন্য একটি পরিপূর্ণ জীবনধারা। বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এ ধরনের আয়োজন করে থাকি। আশা করি, এই উদ্যোগ বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের জীবনধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”


যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা তারেক রহমানের ৩১ দফার মধ্যেই রয়েছে: কনকচাঁপা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গোলাম মোস্তফা রুবেল, সিরাজগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জে-১ (কাজিপুর ও সদর আংশিক) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শত-শত দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিরাজগঞ্জের পিপুল বাড়িয়া বাজার এলাকায় বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট আকারে তারেক রহমানের এই ৩১ দফা বার্তা পৌঁছে দেন তিনি।

এসময় কনকচাঁপা বলেন, বর্তমানে যে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার ৩১দফায় আগেই বলেছেন। এই ৩১ দফা ভালো করে পড়লেই সেটা আপনারা বুঝতে পারবেন। এছাড়াও সামাজিক জায়গা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার জন্য একটা প্লাটফর্ম দরকার হয় জানিয়ে এ কারণেই এই আসন থেকে তিনি ফের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানান।

এসময় কাজিপুর উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান বাবলু, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল মালেক তরফদার স্বপন, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শেখ জাহিদসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


বোরকা পরে পালানোর চেষ্টা করেও ধরা পড়লেন ভুয়া চিকিৎসক

অপারেশন চলাকালে হাতেনাতে ধরা পড়েন অষ্টম শ্রেণি পাস করা ওই যুবক (সর্ব বাঁয়ে)
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রংপুরে দিন দিন ভুয়া চিকিৎসকের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। সিভিল সার্জনের অভিযানে বেরিয়ে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুর মহানগরীর ধাপ এলাকায় ইউনাইটেড নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ঘটেছে এমনই এক চ্যাঞ্চল্যকর ঘটনা।

সরেজমিনে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, অপারেশন থিয়েটারে এক প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন চলছে। ঠিক সেই সময়ে হাসপাতালে হাজির হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে দেখা মিলল এক যুবকের। রোগীকে সেলাই দিতে ব্যস্ত ওই যুবক প্রথমে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দেন। পরে জানা গেল, তিনি ডাক্তার তো দূরে থাক, অষ্টম শ্রেণির গণ্ডি পেরিয়েছেন মাত্র।

অভিযানে যাওয়া সিভিল সার্জনের উপস্থিতি টের পেয়ে বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা পাননি প্রশান্ত নামের ওই ভুয়া চিকিৎসক।

অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতালটির পাঁচ বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন নেই। পরিবেশ ছাড়পত্রসহ নেই বৈধ কোনো কাগজপত্র। তবুও ওই হাসপাতালে জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা চলছে সমান তালে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল (বুধবার) রাতে সেখানে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানের সময় অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে অষ্টম শ্রেণি পাস প্রশান্তকে হাতেনাতে ধরেন রংপুর সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে বাইরে বেরিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পরে দুই ঘণ্টা টয়লেটে বোরকা পরে লুকিয়ে থাকার পর পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তারপরও শেষ রক্ষা পাননি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।

এ ঘটনায় হাসপাতালের মালিক সামসুদ তিবরীজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহান মিশু। তাৎক্ষণিক হাসপাতাল মালিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করে জেল খাটার হাত থেকে রক্ষা পান।

জানা গেছে, গাইবান্ধা পলাশবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামের ময়না বেগমের (২৬) সন্তান প্রসব বেদনা উঠলে বুধবার বিকেলে ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রাতে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে তার সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়।

এদিকে, অভিযান প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা বলেন, ‘অভিযানে ওই বেসরকারি হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে এক প্রসূতি নারীকে পাওয়া যায়। তখন সিজার করে তার সন্তান বের করা হয়েছিল; সেলাই দিচ্ছিলেন এক যুবক।’

‘তিনি প্রথমে নিজেকে ডাক্তার দাবি করেন। পরে বলেন, আমি ডাক্তার নই, এইট পাস করেছি মাত্র। এরপর তিনি বোরকা পরে হাসপাতাল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন।’

তিনি বলেন, ‘হাসপাতালটির মালিক দাবি করছিলেন, ওই নারীর সিজার করিয়েছেন রংপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির চিকিৎসক রিফাত আরা। তবে রিফাতকে ওই সময়ে পাওয়া যায়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন বলেন, ‘ওই বেসরকারি হাসপাতালের বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। লাইসেন্সের মেয়াদও পাঁচ বছর আগে শেষ হয়েছে। নবায়নের জন্য আর আবেদনও করেনি। এ ধরনের হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাজ করা হচ্ছে।’

সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রংপুরে প্রায় ৫০টিরও বেশি ক্লিনিকের লাইসেন্স নেই। থাকলেও তা নবায়ন করা হয়নি। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এসব ক্লিনিকে চালানো হচ্ছে অপারেশন। আর এজন্যই সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে , যা অব্যাহত থাকবে।


 নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

জেলার সোনারগাঁ উপজেলায় একটি বসতবাড়িতে গ্যাসের বিস্ফোরণে একই পরিবারের শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।

তারা রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কাঁচপুর বিসিক শিল্পাঞ্চলের একটি তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন, গৃহকর্তা মানব চৌধুরী (৪০), তার স্ত্রী বাচা চৌধুরী (৩৮), তাদের তিন কন্যা তিন্নি (১২), মুন্নি (১৪) ও মৌরি (৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জারি চিকিৎসক শাওন বিন রহমান।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কাঁচপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলেন, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ ছিল এবং রান্নাঘরের সিলিন্ডারের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরে গ্যাস জমে চেম্বারের সৃষ্টি হয়। সকালে আগুনের কোনো উৎস পেয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।


বাগেরহাটে ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানা সিলগালা 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাগেরহাট প্রতিনিধ

বাগেরহাটে জেলার বিসিক শিল্প এলাকায় ভেজাল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা সিলগালা ও ব্যবসায়ীকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক শরিফা সুলতানা এই আদেশ দেন।

শরিফা সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দলকে সাথে নিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভেজাল ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী, অর্গানিক হেয়ার রিমুভাল ক্রিম, ফ্লোরিয়াস লিহান রং ফর্সাকারী ক্রিম, অর্গানিক হারবাল হেয়ার টনিক, গুলাবাড়ি, মিস অ্যান্ড মিসেস বুস্টার, লাভ ইন বিউটি ক্রিম, স্পট আউট স্কিন ক্রিম, হিড কুল অয়েল, হানি অ্যান্ড আমন্ড স্ক্রিন ময়েশ্চারাইজিং, গ্লিসারিন, রোজ ওয়াটার এবং মোড়ক ছাড়া সাবান তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মোড়ক পাওয়া যায়।

তিনি জানান, মাত্র তিনটি পণ্যের অনুমতি নিয়ে মিজানুর রহমান নামের ওই ব্যবসায়ী এসব ভেজাল পণ্য তৈরি করছিলেন। বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া পণ্য মোড়কজাতকরণ ও ভেজাল পণ্য তৈরির অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে আইন অনুযায়ী শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। ভেজাল পণ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত ও ভেজাল রোধে ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বিসিক সূত্রে জানা যায়, অলিফ কুমার নামের এক ব্যবসায়ী টিনের ফ্যাক্টরি হিসেবে বিসিকের ওই প্লটটি ইজারা নিয়েছিলেন। পরে তিনি প্রসাধনী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে ভাড়া দেন। তবে অভিযানের সময় ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানকে পায়নি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেখানে দুইজন মাত্র কর্মচারী ছিল। অন্য শ্রমিক এবং কর্মচারীরা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়।
‎বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা মো. শরীফ সরদার বলেন, বিএসটিআই এর অনুমোদিত পণ্য ছাড়াও বেশ কিছু অননুমোদিত পণ্য তৈরি করছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রশাসন ও আমাদের কাছে তথ্য ছিল। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। আমি আশা করছি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের এমন অভিযান চলমান থাকবে এবং দেশের মানুষকে তারা সুস্থ থাকার নিশ্চয়তা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযান থেকে আশেপাশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভবিষ্যতে বিসিকে কেউ যাতে ভেজাল ও মানহীন পণ্য উৎপাদন না করতে পারে সেজন্য নজরদারি জোরদার করা করা হবে বলেও জানান তিনি।


হাওর অঞ্চলের দেশীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় টাঙ্গুয়ায় অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তাহিরপুর (সুনামগঞ্জ) 

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ৭ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ও বয়স কম থাকায় একজনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে জালসহ ৮ জেলেকে আটক করেন টাঙ্গুয়ার হাওর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির নেতা ও আনসার সদস্যরা।

আটককৃতরা হলেন, আব্দুল গনির ছেলে খোকন মিয়া (৪৫), মানিক মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩৪), সাধির মিয়ার ছেলে পিয়াস (২১), নুরু মিয়ার ছেলে রিফাত(১৮), শুক্কুর আলীর ছেলে তরিক মিয়া (৩৫), জয়নাল উদ্দিনের ছেলে হোসেন খা (৩৪) শাহনুর মিয়ার ছেলে সারোয়ার (১৯) ও টিটন মিয়া (১৪)।

জালসহ আটক ব্যক্তিদের তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসলে রাত ১০টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলনা করে আটকদের জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান মানিক। এ সময় জব্দকৃত ৩ হাজার মিটার নিষিদ্ধ জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

ইউএনও মেহেদী হাসান মানিক জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ ধরার অভিযোগে আটক ৭ জনের প্রত্যেককে ৫ হাজার করে জরিমানা করা হয়। একজনের বয়স কম থাকায় মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংসা করা হয়

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সভাপতি মুস্তফা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল কালামসহ আনসা সদস্য ।


সিংগাইরে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত-২ আহত-২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিংগাইর(মানিকগঞ্জ)প্রতিনিধি

হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে মালবাহী ট্রাক- সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত হয়েছে। অপর আরো ২ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিম পাশে প্রশিকা সড়কের মাথায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার নিলুয়া গ্রামের পরশ আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (২৩) ও হরিরামপুর উপজেলার কৌরি ঝিটকা গ্রামের মৃত. শেরজন আলী মোল্লার ছেলে মনির হোসেন(৬০)। এ ঘটনায় সিএনজিতে থাকা আহত অপর যাত্রীরা হলেন, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিন সেওতা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মহসিন (৩২) ও পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পাটগাড়ি গ্রামের মৃত. আফাজউদ্দিনের ছেলে শাহজাহান (৬০),
স্থানীয়রা জানান, হেমায়েতপুর-সিংগাইর আঞ্চলিক মহাসড়কে মানিকগঞ্জগামী মালবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো উ-১১-২৩২২) বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা সিএনজি (গাজীপুর থ-১১-২৬৬৬) সিংগাইর বাস স্ট্যান্ড ও গোবিন্ধল বাজারের মাঝামাঝি সড়কে পৌছলে মানিকগঞ্জগামী মালবাহী ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় সিএনজির যাত্রী ২ জন মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। অপর ২ যাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা এসে সিএনজিতে থাকা ৪ জনকে উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর ২ জন গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সিংগাইর থানার পুলিশ উপপরিদর্শক মো.আমিনুল ইসলাম ২ জন মৃত্যু ও ২ জন আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,এ ঘটনায় ট্রাক ও সিএনজি জব্দ করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।


সিলেটে সাদা পাথর লুটপাট জড়িতদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট ও আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, অভিযানে প্রাথমিক সত্যতা মেলায় অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অনুসন্ধান পর্যায়ে অপরাধের মাত্রা ও সংশ্লিষ্টতার ধরন বিবেচনায় পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গত মঙ্গলবার কমিশনের সভায় এই প্রস্তাব তোলা হলে প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে দুদকের সিলেট কার্যালয় থেকে পরিচালিত অভিযানে ৪২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি ও সংস্থার নাম উঠে আসে। শিগগিরই অনুসন্ধান টিম গঠন করা হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে গত ১৩ আগস্ট দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সা’দাৎ-এর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে। তারা পাথর লুটের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। অভিযানে দুদকের দল দেখতে পায়, স্থানীয় প্রশাসনের পর্যটন সেবা এবং নদীর তীরেই বিজিবি ক্যাম্পের টহল চালু থাকা সত্ত্বেও বিগত কয়েক মাসে কয়েকশ কোটি টাকা মূল্যের পাথর উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দুদকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে পাথরলুট কাণ্ডে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য হাজি কামাল (পাথর ব্যবসায়ী), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লাল মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ওরফে দুদু, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাহার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মুসতাকিন আহমদ ফরহাদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মো. দুলাল মিয়া ওরফে দুলা, যুগ্ম আহ্বায়ক রজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন, সাজন মিয়া, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী জাকির হোসেন, সদস্য মোজাফর আলী, মানিক মিয়া, সিলেট জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মকসুদ আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ওরফে শাহপরান, কোষাধ্যক্ষ (বহিষ্কৃত) শাহ আলম ওরফে স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম এবং পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ বক্স।

তালিকায় আরও রয়েছে আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মীর নাম। তারা হলেন- কার্যক্রম নিষিদ্ধ সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কর্মী বিলাল মিয়া, শাহাবুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল ওদুদ আলফু, কর্মী মনির মিয়া, হাবিল মিয়া ও সাইদুর রহমান।

প্রতিবেদনে জামায়াতের দুজনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- সিলেট মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফকরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন। প্রতিবেদনে এনসিপির দুই নেতার নাম এসেছে। এরা হলেন- সিলেট জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিন ও মহানগরের প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাদেক মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া অনুসন্ধানে সাদা পাথর লুটের সঙ্গে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ ভোলাগঞ্জের আনর আলী, উসমান খাঁ, ইকবাল হোসেন আরিফ, দেলোয়ার হোসেন জীবন, আরজান মিয়া, মো. জাকির, আলী আকবর, আলী আব্বাস, মো. জুয়েল, আলমগীর আলম ও মুকাররিম আহমেদ।

অন্যদিকে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে দায়ী করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুন্নাহার, কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাছনাত, ঊর্মি রায়, আবিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। এছাড়া বর্ডার গার্ডকেও দায়ী করা হয়েছে দুদকের প্রতিবেদনে।


তালাবদ্ধ ঘর থেকে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার, দেওয়ালে লেখা ছিল ‘হত্যার কারণ’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে তালাবদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যবসায়ী অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘরের দেওয়ালে লেখা ছিল তাকে হত্যা করার কারণ।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রাম থেকে তোয়াজ উদ্দিন শেখ নামের ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল (বুধবার) বিকেলে তোয়াজ উদ্দিনের ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা তার স্বজনদের খবর দেন। পরে স্বজনরা জানালা দিয়ে তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের তালা ভেঙে হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে।

মরদেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড বলেও ধারণা করছে তারা। তবে এতে কে বা কারা জড়িত তা জানাতে পারেনি।

যে ঘর থেকে তোয়াজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, তার দেওয়ালে মহানবী সম্পর্কে খারাপ কথা বলার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে লিখিত ইঙ্গিত থাকলেও পুলিশ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

স্থানীয়দের তথ্য অনুযায়ী, নিহত তোয়াজ উদ্দিন শেখ গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে যান। স্ত্রী-সন্তান না থাকায় বাড়িতে তিনি একাই বসবাস করতেন। গেল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) গ্রামের অনেকের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন তিনি। তবে তারপর থেকে তাকে আর জনসম্মুখে দেখা যায়নি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমরা ধারণা করছি। সুরতহাল শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের পরে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’


পঞ্চগড় বাজারে ভাদ্র মাসের তালের বিক্রি বেড়েছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মিজানুর রহমান, পঞ্চগড়

পঞ্চগড় জেলায় গ্রাম ও শহরে সব জায়গায় তাল ফলের দোকান দেখা যায়। তাল ক্রেতাদের দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। ভাদ্র মাসে তাল ফল গাছে পাকে। দোকানে প্রতি পিছ তাল ফল বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

চারিদিকে তালের সুমিষ্ট ঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘরে ঘরে তালের পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যায় পঞ্চগড় জেলায়। প্রতিটি বাড়ীতে কমবেশি সবাই এ সময়ে তাল পিঠা তৈরি করে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে খেয়ে থাকে এবং আত্মীয়-স্বজনের বাসায় পাঠিয়ে দেন।

তালের সরু চাকলি পিঠা, কলাপাতা পোড়া পিঠা, তালের বড়া, বিবিখানা পিঠা এবং তালের চুষি পিঠার মতো সুস্বাদু পিঠার সহজ রেসিপি তৈরি করা হয়।

চায়ের দোকানে এবং হোটেলে পাওয়া যায় তালের পিঠা, প্রতি পিছ তালের পিঠার দাম ১০ টাকা। সন্ধ্যার পরে বিভন্ন জায়গা থেকে তালে পিঠা খেতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় হোটেল গুলোতে।

রাজমহল পূর্ব বাগান আলিম মাদ্রাসা প্রভাষক মোছা: জারজিস আরা বেগম তিনি জানান, প্রতি বছরেরই পরিবারের জন্য তাল পিঠা তৈরি করে থাকি। তারই ধারাবাহিক হিসেবে এ বছরও তাল পিঠা তৈরি করি। তাল পিঠার তৈরি করার জন্য প্রথমে তাল সংগ্রহ করা হয়, তার পর ফল থেকে রস বের করে সাথে চালের আটা, চিনি অথবা গুড়, নারিকেল মিক্সার করে তেলে ভেজে তালের বিভিন্ন পিঠা তৈরি করা হয়। হালকা ঠান্ডা করে পিঠা খেতে সুস্বাদু। তিনি আরো জানান, ছেলে-মেয়েরা তাল পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে নানা-নানীর বাড়ীতে ছুটে যান।


ফরিদপুরে ২২০ টাকা ফিতেই পুলিশে চাকরি পেলো ২২ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাহবুব পিয়াল, ফরিদপুর

অভাবের সংসারের মাহিন্দ্রা চালক বাবার মেয়ে তন্দ্রা আক্তারী (১৮)। একটি সরকারি চাকরি ছিল তার জন্য দুঃসাধ্য। মাহিন্দ্রা চালক বাবার স্বপ্ন পূরণে আর পরিবারের অস্বচ্ছলতার মাঝে তার যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি কনস্টেবল পদে নিয়োগে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তার মতো এ বছরে ফরিদপুরে আরও ২২ জন মাত্র ২২০ টাকায় সরকারি ফির মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। অস্বচ্ছল পরিবারের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের সারথি যেন প্রত্যেকেই।

ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে পুলিশের কনস্টেবল পদে ফরিদপুর থেকে ১২১১ জন আবেদন করেন। এরপর প্রতিটি কঠিন ধাপ অতিক্রম করে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩৪৩ জন এবং ২৮ জন উত্তীর্ণ হয়। পরে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ২৩ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল জানিয়েছেন- প্রত্যেকেই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে।

তাদের মধ্যে তন্দ্রা আক্তারী একমাত্র নারী কনস্টেবল হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সে ফরিদপুর জেলা সদরের ঘনশ্যামপুর গ্রামের তোরাব বিশ্বাসের মেয়ে। তার এমন খবরে হাসি ফুটেছে বাবা-মা সহ আত্মীয়-স্বজনদের মুখে।

আবেগাপ্লুত হয়ে তন্দ্রা আক্তারী বলেন- একজন মাহিন্দ্রা চালকের মেয়ে পুলিশে চাকরি মানে অনেক কিছু। মানুষ বলাবলি করেছিল টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে না। আমার বাবার পক্ষে ৮/১০ লাখ টাকা দিয়ে চাকরি দেয়া সম্ভব ছিল না। কিন্তু আমার যোগ্যতার মূল্যায়ন করা হয়েছে, মাত্র ২২০ টাকার বিনিময়ে চাকরিটা হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে আমার বাবার পাশে দাড়াতে পেরে আমি গর্বিত। গত মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ লাইনসে গিয়ে দেখা যায়, চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ২৩ জন একত্রে জড়ো হয়েছে। সেসময় ট্রাক চালক বাবার ছেলে তামীম মন্ডল চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। সে জেলা শহরের রঘুনন্দন এলাকার ট্রাক চালক সুমন মন্ডলের ছেলে। মাত্র ২২০ টাকায় চাকরি হওয়ার ও বাবার অক্লান্ত পরিশ্রমের গল্প তুলে ধরে সে।

২৩ জনের মধ্যে অধিকাংশের গল্পটা যেন অভাবের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের। মৌখিক পরীক্ষায় বন্ধুর পোশাক ধার করে অংশগ্রহণ করেছিল সিয়াম মোল্যা। তার বাবা লাবলু মোল্যা পেশায় একজন কৃষি শ্রমিক। অনুভূতি জানিয়ে সিয়াম বলেন, ছোট সময় থেকে স্বপ্ন ছিল পুলিশ হওয়ার। বাবার সঙ্গে কৃষি কাজ করে পড়ালেখা করেছি। তাই আজ আমার মেধাকে মূল্যায়ন করা হয়েছে, এ সাফল্য আমার বাবার হাত ধরেই পেয়েছি।

এসব বিষয়ে কথা হয় ফরিদপুরের পুলিশ ট্রেইনি কনস্টেবল পদের নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলের সঙ্গে। তিনি বলেন- পুলিশের নিয়োগে অনেক সময় নানা বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলেও ফরিদপুরে মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছে। আমরা কারও পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে নিয়োগও দেইনি। যারা নিয়োগ পেয়েছে প্রত্যেকেরই মেধা ও যোগ্যতার অনুসারে দেওয়া হয়েছে।


কাপাসিয়ায় নতুন সহকারী কমিশনারের যোগদান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নবাগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে মো. নাহিদুল হক গত মঙ্গলবার যোগদান করেছেন। তিনি ৩৮তম বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি এর আগে শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিষয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। মো. নাহিদুল হক ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত এবং এক সন্তানের জনক। যোগদানের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না তাসনীমসহ সুশীল সমাজ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদুল হক জানান, সরকারি যথাযথ নিয়মনীতি ও ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে ভূমি অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত, জবাবদিহিতামূলক ও সহজীকরণ সেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাবেন।


banner close