শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস: ঝুঁকিতে ৪০ হাজার মানুষের জীবন

ছবি: দৈনিক বাংলা
রহমত উল্লাহ (টেকনাফ) কক্সবাজার
প্রকাশিত
রহমত উল্লাহ (টেকনাফ) কক্সবাজার
প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:১৯

বর্ষা মানেই পাহাড় ধসের শঙ্কা। শুধু আশঙ্কাই নয়- প্রতি বছরই পাহাড় ধসে বহু প্রাণহানিও ঘটে। তারপরও বন্ধ করা যায়নি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে মানুষের বসবাস। যদিও বর্ষা এলেই এখানে বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যায়, তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিপুলসংখ্যক দরিদ্র মানুষ এখানে বসবাস করছেন। ২০১৭ সাল থেকে কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফে ভয়াবহ পাহাড় ধসের পরও বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসতি বেড়েছে কয়েকগুণ।

টেকনাফে উপজেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি আরও বেড়েছে। জেলায় সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ৩২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৩৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণভাবে ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাতটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪টি।

২০১০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেকনাফে পাহাড়ধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যান ২০২০ সালে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক জানান, টেকনাফে বিভিন্ন পাহাড়ে প্রশস্ত সড়কের পাশাপাশি লোকালয়ে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। এতে স্থানীয়দের মাঝে বসতি স্থাপনে আগ্রহ বাড়ছে। সব মিলিয়ে অবৈধ বসতিতে যেন বৈধ সুবিধা মিলছে! এসব কাজে বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। প্রশাসনের নজরদারির অভাবে প্রতিনিয়ত সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি বাড়ছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ বসতিতে রয়েছে ৪০ হাজার মানুষ। ঝুঁকি সত্ত্বেও জায়গা ছাড়তে রাজি হচ্ছেন না বাসিন্দারা।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, একশ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা ও বনবিভাগের কর্মকর্তার সহায়তায় কিছু প্রভাবশালী লোক পাহাড়ে কিংবা পাহাড়ের নিচে খুপরি ঘর তৈরি করে রোহিঙ্গাদের ও কিছু স্থানীয় হতদরিদ্রের মানুষকে ভাড়া দেয়। প্রশাসন দীর্ঘদিনেও এই অবৈধ প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে পারেনি। বিভিন্ন কমিটির অনুসন্ধানেও উঠে এসেছে, পাহাড়ধসে করুণ মৃত্যুর জন্য মূলত দায়ী এই অবৈধ বসতি স্থাপন। আমরা চাই, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপন স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হোক।

টেকনাফ কেরুনতলির বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, ‘এসব এলাকায় থাকতে তো ভয় লাগেই। আমরা জানি, ভারী বৃষ্টি হলে পাহাড়ধস হতে পারে। কিন্তু আমরা নিরুপায়। আমাদের থাকার কোনো জায়গা নেই। তাই ঝুঁকি জেনেও বাধ্য হয়ে থাকতে হয়।’

স্থানীয় একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘একজনকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে কেরুনতলি এলাকার পাহাড়ে বসবাস শুরু করি। প্রশাসন একবার উচ্ছেদও করে। পরে আবার এখানে ঘর তৈরি করে থাকা শুরু করি। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই, তাই বাধ্য হয়ে এখানে থাকতে হচ্ছে। সরকার যদি আমাদের পুনর্বাসন করে, তাহলে সেখানে চলে যাব।’

অভিযোগ আছে, দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন করলেও প্রশাসনের এ বিষয়ে তেমন নজর নেই। বিশেষ করে কেরুনতলি এলাকায় পাহাড় কেটে স্থাপনা তৈরি করে বসবাস করছেন বহু মানুষ। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী তৈয়বা খাতুন বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এখানে বসবাস করছি। আমাদের এখানে কোনো পাহাড়ধসের ঘটনা নেই। স্বল্প বেতনে চাকরি করি। এখানে বাসা ভাড়া কম, তাই থাকি।’

টেকনাফ শীলখালির বাসিন্দা রশিদ উল্লাহ বলেন, ‘দুই দিন ধরে হয়েছে বেশি বৃষ্টি, তাই ভয়ে থাকি। যাওয়ার জায়গা নেই। কেউ পুনর্বাসনেরও ব্যবস্থা করে না। এ কারণে এখানে থাকা। নুরুল আমিন নামের একজন পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে থাকেন আলীখালী পাহাড়ের ঢালে। তিনি বলেন, মাসে যা আয় করি, এখানে থাকা ছাড়া তো উপায় নেই। ধস হলে বিপদ হবে জেনেও এখানে থাকতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করলে চলে যাব।’

যেসব পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস

টানা বর্ষণে ভূমিধসের আশঙ্কায় উপজেলার হ্নীলা, বাহারছড়া, হোয়াইক্যং ও টেকনাফ পৌরসভার ৩২ পাহাড়ি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি এলাকায় প্রায় সাত হাজার পরিবারের অর্ধলাখের কাছাকাছি মানুষ বসবাস করে আসছেন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো হলো ফকিরামুড়া, বৈদ্যের ঘোনা, কুয়েত মসজিদ, পুরান পল্লানপাড়া, নাইট্যংপাড়া, বরইতলী, ঘুমতলী (বিজিবি ক্যাম্পের পেছনে), মরিচ্যগুনা, পশ্চিম সিকদারপাড়া, মুরাপাড়া, লেচুয়াপ্রাং, ভিলেজারপাড়া, পশ্চিম রঙ্গিখালী, গাজীপাড়া, আলীখালী, লম্বাবিল, করাচিপাড়া, আমতলী, হাতিয়ার গোনা, হাবিরছড়া, কেরুনতি, মহেশখালীপাড়া, শিয়াইল্যামুরা, সাতঘরিয়াপাড়া, হাছইন্নাটেক, শামলাপুর পুরানপাড়া, বড় ডেইল, মাথাভাঙ্গা জাহাজপুরা, মারিষবুনিয়া ও বাইন্যাপাড়া।

৫ আশ্রয়শিবিরের ৫৫০০ ঘর ঝুঁকিতে

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এসব ক্যাম্পের মধ্যে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ৭ থেকে ১১ নম্বর ক্যাম্পে ৫ হাজার ৫০০টি বসতঘর পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

কক্সবাজারে পাহাড় কাটা ও দখল বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। সংগঠনটির কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন পাহাড় নিধনের ভয়ানক পরিস্থিতি সবাই অবগত। কিন্তু কোনো সংস্থা কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না।

কক্সবাজারের পরিবেশবিষয়ক সংস্থা ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী এম ইব্রাহিম খলিল মামুন বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো নিজেদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলে এ পাহাড়ে বসবাসকারীর সংখ্যা বাড়ছেই। প্রশাসন কখনো পাহাড়ে বসতি স্থাপনের মূলহোতাদের চিহ্নিত করেনি। যারা বসতি স্থাপন করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়নি। বর্ষা এলে প্রশাসনের দৌড়ঝাঁপ বেড়ে যায়। সারা বছর নিষ্ক্রিয় থাকে উপজেলা প্রশাসন।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সরোয়ার আলম দৈনিক বাংলাকে বলেন, পাহাড়ে অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে বন বিভাগের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত আছে। বেদখল হওয়া বনভূমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছে, তাদের সরানোর জন্য বন বিভাগের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে নিরাপদ জায়গা চলে যাওয়ার জন্য।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ দৈনিক বাংলাকে বলেন, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সতর্ক করতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে নিয়মিত প্রচারণা চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতির তালিকা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে গতকাল শুক্রবার ৪টা পর্যন্ত এ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং, সদর ও পৌরসভা ও কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই হাজার ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। আমরা তাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে ত্রাণ বুঝিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি অতি ভারী বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সকাল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে।’ খুব দ্রুত পাহাড়ে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।


জামালপুরে ট্রাক চাপায় নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরে ট্রাকের চাপায় ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে শহরের টিউবওয়েলপাড় মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাশহাটিয়া গ্রামের জয়নাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইক চালক রোকন মাহমুদ (৪৫), ইজিবাইকের যাত্রী একই ইউনিয়নের শেখসাদী গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে আব্দুল মালেক (৫৩) এবং জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সোবাহানের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৫৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া কালিবাড়ী এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে করে তিন যাত্রী জামালপুর শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি শহেরর টিউবয়েলপাড় মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক রোকন মাহমুদ নিহত হন।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আহত তিন যাত্রীকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে আব্দুল মালেক নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ দিকে আহত মোস্তাফিজুর রহমান ও নাদের মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপর যাত্রী নাদের মিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জাানান।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সাল মো. আতিক বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বাকি দুজন হাসপাতালে মারা গেছে, তাদের মরদেহ আনার জন্য কাজ চলছে। ঘাতক ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারা বাংলা ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের এলেঙ্গার কালিহাতী লিংক রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হতাহতদের প‌রিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ দিকে এই দুর্ঘটনার পর যমুনা সেতুর সংযোগ সড়কে আজ সকাল পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মহাসড়কের কালিহাতী লিংক রোডে একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চার যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


নোয়াখালীতে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বজ্রপাতে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত পাকলু মাঝি (৩৬) উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমতলী গ্রামের এনায়েত হোসেনের ছেলে। তিনি ২ সন্তানের জনক ছিলেন।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে বাড়ি থেকে পাকলুসহ তিন জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। যাত্রাপথে তারা উপজেলার আমতলী গ্রামে পৌঁছলে বজ্রপাতের শিকার হন। এতে পাকলু ঘটনাস্থলেই মারা যান। ওই সময় তার সাথে থাকা অপর দুই জেলে সামান্য আহত হন।

হাতিয়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি কেউ থানাকে অবহিত করেনি। তবে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।


চাঁদপুরে ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড

গত ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারাবাংলা ডেস্ক

মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় থাকার কারণে চাঁদপুরে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। অতি বৃষ্টিতে এখানকার জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চাঁদপুরে ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বেশি। বৃষ্টিতে ভিজেই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় গেছে শিক্ষার্থীরা।

এ দিকে, বৃষ্টির কারনে সড়কে যানবাহন ও লোকজনের চলাফেরা ছিল কম। এ ছাড়া জেলার আগাম সবজি চাষে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বৈরী আবহাওয়া থাকলেও ঢাকা-চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ রুটে ছোট-বড় সব ধরনের লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়েবুল ইসলাম জানান, বুধবার সকাল ৯টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত জেলায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা (২-৪) ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে।


খাগড়াছড়ি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, সহিংসতা তদন্তে কমিটি গঠন

আপডেটেড ২ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:৫৬
সারাবাংলা ডেস্ক

ধর্ষণের অভিযোগে এনে খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা এবং পরবর্তীতে তৈরি হওয়া সহিংসতার তদন্ত করেতে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দেবেন।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগে সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিন সকালে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও খাগড়াছড়ি বাজার পরিদর্শন করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খাগড়াছড়ি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বিকেল ৩টার দিকে এ ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুজ্জামান।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিকেল ৩টা থেকে এ আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।

এর আগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।


সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি হেনরী ও তার স্বামী লাবু সাত দিনের রিমান্ডে

জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

হত্যা মামলায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল তালুকদার আজ বুধবার বিকেলে এ আদেশ দেন।

সিরাজগঞ্জে থানায় হওয়া যুবদল নেতা সোহানুর রহমান রঞ্জু হত্যা মামলায় জান্নাত আরা হেনরী ও শামীম তালুকদার লাবুকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজার জেলার বর্ষিজোড়া এলাকা থেকে সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী শামীম তালুকদার লাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তিনটি হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলা।

জানা যায়, সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ শহরে বিএনপি ও যুবদলের তিন নেতা-কর্মী নিহত হন। এ ঘটনায় এমপি জান্নাত আরা হেনরী ও তার স্বামী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবুসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৯ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করে তিনটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় নিহত জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সোহানুর রহমান রঞ্জু শেখের স্ত্রী মৌসুমি খাতুন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার গয়লা বিএনপি কর্মী নিহত আব্দুল লতিফের বোন সালেহা বেগম ও একই মহল্লার নিহত সুমন শেখের বাবা গঞ্জের আলী শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে লাইসেন্স করা অস্ত্র ও গুলি সরকারি নির্দেশ মোতাবেক নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা না দিয়ে নিজ দখলে রেখে লুকানোর চেষ্টা করায় ৮ সেপ্টেম্বর জান্নাত আরা হেনরী ও স্বামী শামীম তালুকদারের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই (নিরস্ত্র) কমল চন্দ্র বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মোট চারটি মামলায় জান্নাত আরা হেনরী ও স্বামী শামীম তালুকদার এজাহারভুক্ত আসামি।

এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জান্নাত আরা হেনরী, তার স্বামী শামীম তালুকদার ও মেয়ে মুনতাহা রিদায়ী লামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশ দেন আদালত।


নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা

ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীতে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করার পর গলাকেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সন্ত্রাসীরা। নিহতের নাম হানিফ মিয়া। আজ দুপুর আড়াইটার দিকে নরসিংদী পৌর শহরের কাউরিয়াপাড়া ঈদগাহ মাঠের পাশে প্রকাশ্যে এ লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, হানিফকে ধাওয়া করে সেখানে নিয়ে গিয়ে হত্যাকারীরা এ ঘটনা ঘটায়। হত্যাকারীরা হানিফের পূর্ব পরিচিত ও নিকটাত্মীয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হানিফকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর সময় হত্যাকারীরা ‘তাদের বাবাকে হত্যার প্রতিশোধ’ নেওয়ার কথা বলছিল।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট নরসিংদী শহরের চৌয়ালা এলাকার বাসিন্দা মো. হাবিবুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন আজ নিহত হানিফ মিয়া। নানার বাড়ি থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া মায়ের সম্পত্তির বণ্টন নিয়ে দ্বন্দ্বে হাবিবুল্লাহকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছিল হানিফের বিরুদ্ধে। সম্পর্কে হাবিবুল্লাহ ছিলেন তার আপন মামা।

স্থানীয়রা জানান, হাবিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনায় ভীষণ ক্ষুব্ধ হন তার দুই ছেলে নাইম ও নইম। তারাও খালাতো ভাই হানিফকে হত্যা করার ঘোষণা দেন। হাবিবুল্লাহকে হত্যার ৪৩ দিনের মাথায় অভিযুক্ত ‘ভাগ্নে’ হানিফকে আজ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঈদগাহ এলাকায় ধারাল অস্ত্র হাতে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিশোধ নেয় হাবিবুল্লাহর ছেলেরা।

জনসম্মুখে অভিযোগ উঠেছে, মামাকে হত্যা করার প্রতিশোধে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে ‘হত্যার বদলে হত্যা’। অর্থাৎ হাবিবুল্লাহর ছেলে নাইম-নইম ধারাল অস্ত্র দিয়ে জনসম্মুখে প্রথমে কুপিয়ে আহত করে এবং পরে গলা কেটে হানিফের মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

এই ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. এমদাদুল হক আজ সন্ধ্যায় জানান, স্থানীয়দের কাছে জানতে পেরেছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে এ বিষয়ে মামলা নেওয়া হবে।


নারায়ণগঞ্জে নেওয়া ৯ লাখ টাকা ফেরত দিল চাঁদাবাজরা

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নারায়ণগঞ্জের দুটি ব্যবসায়ী সংগঠনের কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নেওয়া ৯ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে চাঁদাবাজরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বিকেএমইএর প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুজ্জামান ও বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানান।

চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাসুদুজ্জামান জানান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে তিন লাখ টাকা এবং রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকাসহ মোট ৯ লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছিল রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা দুর্বৃত্তরা। পরে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ার পর বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আনা হয়। এরপর ব্যবসায়ীদের ঐক্যের কারণে চাঁদাবাজরা সে টাকা ফেরত দিয়ে গেছে।

তবে চাঁদাবাজদের নাম জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন ব্যবসায়ী নেতারা। তারা জানান, চাঁদা ফেরত দিয়েছে- এটাই যথেষ্ট। এর মাধ্যমে আর কেউ সাহস পাবে না। কারণ চাঁদার টাকা ফেরত দেওয়াটা সামান্য কোনো বিষয় না।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা এক থাকাতে এখানে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি। আগামীতেও হবে না আশা করছি। গার্মেন্টস সেক্টর এখানে শান্ত রয়েছে। আশুলিয়ার সমস্যা সমাধানে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা চলছে।


খাগড়াছড়িতে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা নামের ওই শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

নিহত সোহেল রানা ওই প্রতিষ্ঠানের সিভিল কন্সট্রাকশন অ্যান্ড সেফটি বিভাগের ইন্সট্রাকটর ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুপুরে স্কুলের মধ্যেই একটি কক্ষে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা জানান, ‘হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন। ময়না তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’

এ ঘটনার পর জেলা শহরে পাহাড়ি ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের চেঙ্গী স্কয়ার, মহাজনপাড়ায় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।

পরিস্থিতি আরও অবনতির আশঙ্কায় জেলা প্রশাসন খাগড়াছড়ি জেলা সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। বেলা ৩টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই ঘোষণা বলবৎ থাকবে।

পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, ঘটনায় যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে মো. মামুন নামে এক যুবককে মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে মামুনের স্ত্রী হত্যা মামলা করেন পলাতক তিন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে মামুনের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি-বাঙালি সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। ১৯ সেপ্টেম্বর দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে আগুন দেওয়া হয় দোকানপাটে। সংঘাতে দীঘিনালায় ধনঞ্জয় চাকমা নামের এক ব্যক্তি মারা যান। ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে খাগড়াছড়ি সদরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে রুবেল ত্রিপুরা ও জুনান চাকমা নামের দুজন মারা যান। ২০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনার জের ধরে রাঙামাটিতে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দোকানপাট ও বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়। অনিক কুমার চাকমা নামের একজন মারা যান। ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। পরে তা তুলে নেওয়া হয়। এসব ঘটনায় দুই জেলায় পাঁচটি মামলা হয়েছে।


নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা

সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। ফাইল ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজমিস্ত্রি রাকিব হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শামীম ওসমান ও সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীসহ ১০১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিহত রাকিবের চাচাতো ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে প্রথমে আদালতে মামলাটির আবেদন করেন। পরে আদালতের নির্দেশে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

তিনি জানান, গত ৫ আগস্ট আন্দোলন চলাকালীন পেশায় রাজমিস্ত্রি রাকিব কাজে যাওয়ার উদ্দেশে বের হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


সুনামগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে আগুন: একই পরিবারের ৬ জন নিহত

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় সোমবার দিবাগত রাতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুন লেগে ছয়জন নিহত হন। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারাবাংলা ডেস্ক

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সীমেরখাল গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে চার শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জয়শ্রী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রাসেল মিয়া। নিহতরা হলেন, এমারুল (৫০), তার স্ত্রী পলি আক্তার (৪৫) ও তাদের চার সন্তান পলাশ (৯), ফরহাদ (৭), ফাতেমা বেগম (৫) ও ওমর ফারুক (৪)।

জয়শ্রী ইউপি চেয়ারম্যান সঞ্জয় চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পরে হঠাৎ করে একটি ঘরে আগুন লাগার খবর পেয়েছি। আগুন লাগার পর আশপাশের মানুষ এসে যে যেভাবে পেরেছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছে। আগুন লাগার সময় ঘরের ভেতর থেকে দরজা আটকানো থাকায় কেউ বের হতে পারেননি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে পুরো পরিবারের ৬ জন সদস্যই মারা যান। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক জানান, আগুন লেগে এক পরিবারের ৬ জন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তবে বসতঘরে কোনো গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে কেউ ঘরটিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও পুলিশ প্রশাসন মিলে তাদের দাফন সম্পন্ন করাসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি।

বিষয়:

পাওনাদারদের চাপে ফাঁস নিলেন বৃদ্ধ!

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারাবাংলা ডেস্ক

চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়া থেকে শামসুর রহমান (৭০) নামে এক বৃদ্ধের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে শহরের কোর্টপাড়ার নিহতের ভাতিজার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মৃত শামসুর রহমান আলমডাঙ্গা তিয়রবিলা গ্রামের বাসিন্দা। নিহতের স্বজনরা জানান, রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ায় ভাতিজা কামাল হোসেনের বাড়িতে আসেন শামসুর রহমান। রাতে যেকোনো সময় তিনি ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সকালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

স্বজনরা আরও জানায়, শামসুর রহমান ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সমিতি থেকে টাকা তুলেছিলেন। তার ট্রাক্টরের ব্যবসা ছিল। চাষের পর ট্রাক্টর মালিকের অজান্তেই টাকা তুলে খরচ করে ফেলতেন তিনি। সব মিলিয়ে মোটা অংকের টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এতে পাওনাদাররা চাপ দিতে থাকেন। রোববারও একজন টাকা নিতে এসেছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে চাপের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, এক বৃদ্ধ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।


কুষ্টিয়ায় পরিষদে ঢুকে ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

নইম উদ্দীন সেন্টু। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নইম উদ্দীন সেন্টুকে (৬০) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের নিজ অফিস কক্ষে গুলি করে হত্যা করা হয়।

নিহত নইম উদ্দীন সেন্টু ফিলিপনগর বাজারপাড়ার মৃত মুতালিব সরকারের ছেলে। জানা গেছ, তিনি আগে বিএনপির রাজনীতি করলেও পরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হন।

দৌলতপুর থানার পুলিশের এসআই খসরু আলম গণমাধ্যমকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এসআই খসরু আলম বলেন, সোমবার বেলা ১১টার দিকে ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ওই ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রাশিদুল ইসলাম বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের অফিস কক্ষে বসে কাজ করছিলেন। আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে জানালা দিয়ে চেয়ারম্যানকে পেছন থেকে গুলি করা হয়। এরপর কক্ষে ঢুকে আবারও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

ওই ইউনিয়নের এক সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ের নিজ কক্ষে বসে পরিষদের কাজ করছিলেন চেয়ারম্যান নঈম উদ্দীন সেন্টু চেয়ারের পেছনে থাকা জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কয়েক রাউন্ড গুলি করে। গুলির শব্দে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তাদের লক্ষ্য করেও গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা দিয়ে রাখে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে চেয়ারম্যানের লোকজন ইউনিয়ন পরিষদে এলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে ঘটনাস্থলে যেতে বেগ পেতে হয়। সাংবাদিকরা ছবি নিতে গেলে তাদের ওপর চড়াও হয় একটি পক্ষ।


banner close