বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় সাংবাদিক নিহত

ওমর ফারুক বিশাল।
আপডেটেড
৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:১১
প্রতিনিধি, নরসিংদী
প্রকাশিত
প্রতিনিধি, নরসিংদী
প্রকাশিত : ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৬:১০

নরসিংদী রায়পুরায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ওমর ফারুক বিশাল (৩২) নামে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মরজাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও একজন আহত হয়েছেন।

নিহত ওমর ফারুক বেলাব উপজেলার ধুকুন্দি গ্রামের মৃত নূরুল ইসলামের ছেলে। তিনি জি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম নামে একটি অনলাইন পোর্টালের যুগ্ম বার্তা সম্পাদক পদে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে গ্রামের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য মরজাল বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ওমর ফরুকের মৃত্যু হয়। এ সময় ইমাম হোসেন সজল নামে আরেকজন গুরুতর আহত হন।

পরে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতাল পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল জানান, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, কাভার্ডভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে।


নদীতে ভাসছিল মা ও দুই ছেলের মরদেহ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মা ও তার দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।

বুধবার ভোর সকালে উপজেলার তীরনই নদীর কাশিপুর এলাকার মিনি কক্সবাজার পশ্চিম পাশের ঘাট থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলো- নাছিমা আক্তার ও তার ছেলে শাওন ইসলাম (৭) ও সিফাত ইসলাম (৪)। তারা কাশিপুর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গুলফামুল ইসলাম মণ্ডল। তিনি জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে নদীতে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন মা ও দুই ছেলে। গতকাল সকালে তাদের মৃত অবস্থায় নদীর পানিতে ভাসতে দেখে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। পরে আরও বিস্তারিত জানানো হবে।

বিষয়:

ট্রাক টেনে-হিঁচড়ে সাত হাত নিয়ে গেল এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে, ঘটনাস্থলেই ঝরল প্রাণ

টাঙ্গাইল
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

এইচএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষে বান্ধবীদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন মনিরা খাতুন (১৮)। হঠাৎ তাদের বহন করা অটোরিকশার সঙ্গে বেপরোয়া গতির ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়েন মনিরা। ঘাতক ট্রাকটি তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় প্রায় সাত হাত। ট্রাকের চাকার সঙ্গে লেগেছিল ডান পায়ের জুতা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ যায় তার।

বুধবার বিকেল ৪টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল-সাগরদীঘি সড়কের কুশারিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মনিরা রসুলপুর ইউনিয়নের সরাবাড়ি কাজলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে।

জানা যায়, উপজেলার ধলাপাড়া কলেজ থেকে মানবিক বিভাগে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন মনিরা। পরীক্ষার কেন্দ্র ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বুধবার ছিল তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষে বান্ধবীদের সঙ্গে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরীক্ষার্থীদের বহন করা অটোরিকশাটি কুশারিয়া বাসস্ট্যান্ড পার হয়ে একটু দূর গেলে সাগরদীঘি থেকে আসা ওই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশা থেকে ছিটকে পড়েন মনিরা। ট্রাকটি প্রায় সাত হাত টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় তাকে।

স্থানীয়রা এসে যতক্ষণে মনিরাকে উদ্ধার করেন, ততক্ষণে তিনি নিথর হয়ে পড়েন বলে জানান উদ্ধারকারীদের একজন আবুল কালাম। তবু কয়েকজন মিলে তাকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে যান। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকও জানান, তিনি বেঁচে নেই।

ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক আছেন। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়:

শৈলকুপায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর-লুটপাট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের গোলকনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলছে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট।

গত কয়েক দিন ওই গ্রামের মধ্য, পশ্চিম ও উত্তরপাড়ায় অন্তত ১৫টি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে গোয়ালের গরু ও ছাগল।

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১ সেপ্টেম্বর দুপক্ষের সংঘর্ষে আবু সাঈদ বিশ্বাস নামে আওয়ামী কর্মী নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী মেম্বর আসামিপক্ষের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। হামলায় ওই গ্রামের শাহীন বিশ্বাস, জজ বিশ্বাস, মোতলেব বিশ্বাস, বকু কাজীসহ অন্তত ১৫ জনের বাড়িঘর ভাঙচুর এবং ঘরের মালামাল ও গরু-ছাগল লুট করা হয়।

ওই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মুকুল কাজী বলেন, ‘আমি মারামারির সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমার বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। ঘরের মালামাল লুটপাট করা হয়েছে। আমি সামাজিকভাবে দল করি এটাই আমার দোষ।’

ক্ষতিগ্রস্ত সোহান বিশ্বাস বলেন, ‘মারামারিতে একজন নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন এখন বাড়িঘরে লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের অত্যাচারে গ্রামে অন্তত ২০ পরিবারের পুরুষ মানুষ বাড়ি ছাড়া। তারা দফায় দফায় হামলা ও ভাঙচুর করছে।’

এ ব্যাপারে শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হচ্ছে এমন কোনো খবর নেই। তারপরও এমন ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’

বিষয়:

চকরিয়ায় বাসচাপায় প্রাণ গেল ২ কলেজশিক্ষার্থীর 

বাসচাপায় নিহত ২ কলেজশিক্ষার্থী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার লক্ষ্যারচর বার আউলিয়ানগর রাস্তার মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মুহুরী পাড়ার ফরিদুল আলমের ছেলে ইনজামাম উল আলম রাফি (২০) এবং লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের হাজিপাড়ার সেলিম মিন্টুর ছেলে মেহেরাব হোসেন অভি (২০)। তারা চকরিয়া সরকারী কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।

চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ খোকন কান্তি রুদ্র জানান, রাফি এবং অভি দুই বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলযোগে হারবাং যাচ্ছিলেন। এ সময় কক্সবাজারগামী একটি যাত্রীবাহী বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যান রাফি। এ সময় সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন অভি।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে অভিও মারা যান।

এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বাসটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


এই ৩৬ দিন বিএনপিকে দাঁড়াতে দেব না: কাদের

ওবায়দুল কাদের বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

বিএনপিকে রাজনীতির ‘সঠিক পথে ফিরতে’ ৩৬ দিনের আলটিমেটাম বেঁধে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিকে এই ৩৬ দিন দাঁড়াতে দেব না। সব জায়গা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের, শেখ হাসিনার কর্মীদের দখলে থাকবে।

‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে’ বুধবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন

কাদের বলেন, ‘নানান মতের জগা-খিচুড়ি ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানো যাবে না। শেখ হাসিনা ডাক দিয়েছেন। লাল-সবুজের পতাকা হাতে ৩৬ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছি। বিএনপিকে এই ৩৬ দিন দাঁড়াতে দেব না। সব জায়গা দখলে থাকবে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকদের, শেখ হাসিনার কর্মীদের।’

এসময় তিনি বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অক্টোবরে নাকি ভাগ্য নির্ধারণ হবে। বিএনপির ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি, তারা আমাদের ভাগ্য কী নির্ধারণ করবে?’

বিএনপির এক দফাকে‌ ভুয়া উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘ওদের আন্দোলন ভুয়া, এক দফা, ২৭ দফা, ২২ দফা ও গণতন্ত্র ভুয়া, ওদের‌ ক্ষমতা ও রাজপথের আন্দোলন ভুয়া।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষা করবেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করবে। কাজেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও উন্নয়নকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখা ছাড়া কোনো‌ বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নাকি মেয়াদ শেষ, অক্টোবরে নাকি সব শেষ। বিএনপির কী হবে অক্টোবরে? ১৫টা অক্টোবর দেখলাম, এবারও দেখব, আগামী বছরও অক্টোবর আসবে, শেখ হাসিনাই ক্ষমতায় থাকবেন ইনশাআল্লাহ।’

বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনারা এখন তলে তলে যুক্তি করছেন ঢাকা দখল করবেন। আমরাও অপেক্ষা করছি ঢাকা দখল কে করে, কেমনে করে দেখাইয়া দেব। হাসিনা ম্যাজিক দেখাইয়া দেব।’

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের নেত্রী দয়া করে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। অথচ মির্জা ফখরুল ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন (খালেদার মুক্তির জন্য), খালেদা জিয়ার জন্য ৪৮ মিনিটও আন্দোলন করতে পারেননি তারা।’

মার্কিন ভিসানীতির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকাকে বলি, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আগে সামলান। তারপরে ভিসা-টিসা। আমাদের ছোট-খাট বিষয় নিয়ে কেন মাথা ঘামান? আপনার দেশের জনমত জরিপে ট্রাম্পের সমর্থন বেশি। নিজের দেশের ট্রাম্পকেই সামলাতে পারেন না। এক ট্রাম্পই আপনাদের ঘুম হারাম করে দিয়েছে।’

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল, সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি, ইকবাল হোসেন সবুজ, বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া প্রমুখ।

সমাবেশ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে যোগ দেন। এসময় সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা।


গ্রাম্য সালিশে প্রাণ গেল শিশুর

আপডেটেড ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৮:২৭
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় গ্রাম্য সালিশ চলাকালে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম ফাতেহা খাতুন (২)। সে হয়দেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের (৩৬) মেয়ে। এ সময় সাত্তারসহ চারজন আহত হন। অন্যরা হলেন, কুলসুম (২২), মুক্তার (২৭) ও ইতি (২০)।

নিহত শিশুর চাচা হোসেন বলেন, ‘জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রতিবেশী লাল মিয়ার সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে কয়েক দিন আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিচার দেয়। পরে বিরোধ মিমাংসায় ইউপি সদস্যের দায়িত্বে গ্রাম্য সালিশ বসে। সালিশ শুরুর এক পর্যায়ে জমির কাগজপত্র দেখা শুরু হলে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন দা এবং লাঠি এনে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। আব্দুস সাত্তারের ওপর হামলা করা হলে সে নিজেকে রক্ষা করতে দৌড়ে বসতঘরে আশ্রয় নিতে যায়। পরে প্রতিপক্ষের লোকজন ঘরে ঢুকেও তাকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় ছোট্ট শিশুটি বাবার উপর পড়ে তার মাথায় আঘাত লাগে।’

হোসেন আরও বলেন, ‘এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আমার ভাই-ভাবিসহ কয়েকজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।’

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, ‘সালিশে জমির কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছিল। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে আমরা থামিয়ে দিই। এর পাঁচ মিনিট পরপরই প্রতিপক্ষ লাল মিয়ার নেতৃত্বে দা এবং লাঠি নিয়ে হামলা শুরু হয়। একপর্যায়ে বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরের ভেতর গিয়ে সাত্তারকে মারধরের সময় তার মেয়ে মাথায় আঘাত পায়। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিষয়:

আরসার দুই শীর্ষনেতাসহ আটক ৪, অস্ত্র-গোলাবারুদ জব্দ

র‌্যাবের হাতে আটক আরসার চারজন। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ নেতা ও গান কমান্ডার রহিমুল্লাহ প্রকাশ মুছাসহ চারজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৫। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া উপজেলার তেলখোলা-বরইতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় কেজি ৫৩ গ্রাম বোমাসদৃশ বিস্ফোরক দ্রব্যসহ মো. শফিক (২৮) ও মো. সিরাজ (৩০) নামে দুজনকে আটক করে র‌্যাব। তাদের দেয়া তথ্যমতে, ওই এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর অন্যতম কমান্ডার ও আরসার জিম্মাদার রহিমুল্লাহ ওরফে মুছা এবং ক্যাম্প-৪ এর আরসার অন্যতম কমান্ডার শামছুল আলম ওরফে মাস্টার শামসুকে (২৯) আটক করা হয়। সেখান থেকে ৪৩ কেজি ৩১০ গ্রাম বিস্ফোরক দ্রব্য, একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটারগান, চারটি পিস্তলের বুলেট, তিনটি ওয়ান শুটারগানের বুলেট এবং দুটি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করে র‌্যাব।

আটক শফিক ও সিরাজ দুজনেই বাংলাদেশি। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা জানান, আরসার শীর্ষ নেতারা বালুখালী শরণার্থী ক্যাম্প ও তার পাশের এলাকায় খুন, অপহরণ, ডাকাতি, মাদক, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তারা এসব কাজ করার জন্য পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে দুর্গম সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান করছিলেন। আটক কৃষক শফিক ও টমটমচালক সিরাজ বিস্ফোরক দ্রব্য কৌশলে সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে মিয়ানমার থেকে নিয়ে এসে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখতেন এবং সুবিধাজনক সময়ে আরসার সন্ত্রাসীদের কাছে সরবরাহ করতেন।

আটক হওয়া অপর দুজন রহিমুল্লাহ ও শামছুল আলম মিয়ানমারের নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করে তারা সংগঠনের সদস্যদের মাধ্যমে ক্যাম্প ও স্থানীয়দের খুন, অপহরণ ও গুমের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করতেন। চাঁদা না পেলে অপহরণ করে শারীরিক ও পাশবিক নির্যাতনসহ মুক্তিপণ আদায় করতেন। পরে মুক্তিপণ না মিললে খুন করে গহীন পাহাড়ে অথবা জঙ্গলে মরদেহ গুম করে ফেলতেন।

আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী রহিমুল্লাহ ২০১৭ সাল থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিলেন। মিয়ানমারে থাকা তার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন কৌশলে ইয়াবার চালান নিয়ে এসে নিজে এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিতেন। ২০১৮ সালের দিকে আরসা নেতা খালেদের মাধ্যমে তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনটিতে যোগ দেন। আরসার সন্ত্রাসী গ্রুপের বিভিন্ন কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ, অপহরণ, খুন, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারে গোলাগুলিসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতেন।

র‌্যাব জানায়, রহিমুল্লাহ মিয়ানমার ও বাংলাদেশের দুর্গম সীমান্তবর্তী এলাকায় অস্ত্র ও বোমা বিষয়ক প্রশিক্ষণ নিয়ে সেখানে পারদর্শিতা অর্জন করে আরসার গান কমান্ডার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ এর জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া আরসার অন্যান্য সদস্যদের বোমা তৈরি ও অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি।

র‌্যাবের ভাষ্যে, রহিমুল্লাহ জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন—তিনি ক্যাম্পের হেডমাঝি আজিম উদ্দিন হত্যাকাণ্ড, সাব মাঝি জাফর হত্যাকাণ্ড, এপিবিএন পুলিশের ওপর হামলা, ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলা করে ছয়জন শিক্ষক ও ছাত্রকে হত্যা, জসিম হত্যাকাণ্ড, শফিক হত্যাকাণ্ড, মৌলভী সামশুল আলম হত্যাকাণ্ড, নুর হাসিম ও নূর হাবা হত্যাকাণ্ড, সাবমাঝি আইয়ুব হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।

র‌্যাব আরও জানায়, আটক আরেক আরসা কমান্ডার শামছুল আলম ২০১২ সালে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আসেন। পরে ২০১৯ সালে মৌলভী জাবেদের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আরসায় যোগ দেন। সংগঠনটিতে যোগ দেয়ার পর তিনি অস্ত্র চালানো ও রণকৌশল প্রশিক্ষণ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর অন্যতম কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি বিভিন্ন সময়ে আরসার শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় টার্গেট কিলিং, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় এবং মুক্তিপণ না পেলে হত্যা করে মরদেহ গুম করে ফেলতেন।

এছাড়া ক্যাম্পে হেডমাঝি হোসেন ও কামাল হত্যাকাণ্ডেও তিনি জড়িত ছিল বলে জানা যায়। তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার ও উখিয়া থানায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে এবং এসব মামলায় তিনি জেল খেটেছেনও বলে জানা যায়।

আটক চারজনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন।

বিষয়:

তিনদিনের সফরে পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি

বুধবার বিকেলে হেলিকপ্টারযোগে পাবনা পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

তিনদিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পাবনায় এটি তার দ্বিতীয় সফর।

বুধবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে তিনি পাবনার শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে গিয়ে পৌঁছান। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় স্বাগত জানান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউর রহিম লাল, পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মুহাম্মদ মামুনুল হক স্বাক্ষরিত এক পত্রে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল চারটা ৩৫ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউজে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে বিশ্রাম ও রাত্রিযাপন করবেন।

পরদিন বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ৫ শ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।

এ দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রপতি পাবনা সার্কিট হাউজ থেকে সাঁথিয়া উপজেলার উদ্দেশে সড়ক পথে রওনা দিবেন। বিকেল ৪টায় সেখানে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা দেখবেন এবং বিকেল ৫টায় সেখান থেকে পাবনা সার্কিট হাউজের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং সেখানে রাত্রিযাপন করবেন।

এরপর শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার গ্রহণ শেষে পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি ঢাকার উদ্দেশে সেখান থেকে যাত্রা করবেন এবং বেলা ১২টায় তার বঙ্গভবনে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

এদিকে রাষ্ট্রপতির তিনদিনের পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পাবনার সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

পাবনা জেলা প্রশাসক মুহা. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পাবনা সফরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সকল প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।’


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ছেলের ছুরিকাঘাতে আক্তার মিয়া (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার ভোরে উপজেলার পত্তন ইউনিয়ন গ্রামের একটি পুকুর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। আক্তার মিয়া ওই এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে।

পত্তন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান জানান, আক্তার মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩৫) মানসিক বিকারগ্রস্থ। গ্রামের মানুষদের বিরক্ত করায় প্রায়সময়ই তাকে বেঁধে রাখা হতো। বুধবার ভোরে ফজরের নামাযের জন্য বের হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকার একটি পুকুরে আক্তার মিয়া অজু করতে যান। সেসময় সাইফুল পেছন দিক দিয়ে তার বাবাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা আক্তার মিয়াকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আক্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সাইফুলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।


ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপে নেই: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। ফাইল ছবি
আপডেটেড ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:৩৫
সিলেট ব্যুরো

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছেন, ‘আমেরিকার ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো রকমের চাপে নেই, সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হবে।’

বুধবার দুপরে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে সিলেট শিক্ষাবোর্ড আয়োজিত ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন শিক্ষামন্ত্রী।

এতে পাঠ্যবই নিয়ে কারও কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ গবেষণা ও সবার মতামত নিয়ে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছি। এই শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীদের মুখস্ত বিদ্যা থেকে সরিয়ে বুঝতে এবং বাস্তব ক্ষেত্রে তা প্রয়োগ করতে শেখাবে। এ ব্যাপারে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে কোনো কেনো মহল। কারও কথায় বিভ্রান্ত হবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার মানুষ প্রয়োজন। আমাদের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট নাগরিক প্রয়োজন। সততা ও যোগ্যতায় স্মার্ট হতে হবে। সোনার বাংলার জন্য, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এগিয়ে যাব।’

বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তিনি দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, ‘তোমরা স্বপ্ন দেখবে এবং সেই স্বপ্নের চেয়েও বড় হবে বলে আমার প্রত্যাশা। বঙ্গবন্ধু নিজে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। ছাত্রজীবনে তিনি ফুটবল বাস্কেটবল খেলেছেন। পরবর্তীতে তিনি খেলাধুলার ব্যাপক পৃষ্ঠপোষকতাও করেছেন। এ বিষয়গুলোও সবার জানা উচিৎ।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

আগামী ১ অক্টোবর ৫ দিনের এ প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।


কক্সবাজারে শুরু হল পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল

আপডেটেড ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১৭:১৪
কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারে জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে বিশ্ব পর্যটন মেলা ও বীচ কার্নিভাল। বুধবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লাবনী পয়েন্ট থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি লাবনী পয়েন্ট হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরানের নেতৃত্বে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম, টুরিস্ট পুলিশের এসপি জিল্লুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুল ইসলামসহ পর্যটন ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ।

জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে দ্বিতীয় বারের মতো কক্সবাজারে জেলা প্রশাসন কর্তৃক তাদের এমন আয়োজন। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিয়ে কক্সবাজারে নানা পর্যটন স্পর্টগুলোর আকর্ষণ বাড়াতে এই মেলা বিরাট ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার অপরুপ সৌন্দর্য বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে এমন আয়োজন।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রোড শো, বিকেল সাড়ে ৪টায় জেটস্কি শো ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় ঘুড়ি উৎসব, বিকেল সাড়ে ৪টায় সেমিনার, সাড়ে ৫টায় ম্যাজিক শো, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ফায়ার স্পিন, সন্ধ্যা ৭টায় লাইফ গার্ড রেসকিউ প্রদর্শনী, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৯টায় ফানুস উৎসব, রাত ১১টায় ডিজে শো।

৩০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় সার্ফিং প্রদর্শনী, বিকেল ৩টায় ঘুড়ি উৎসব, বিকেল ৪টায় বিচ ম্যারাথন, বিকেল ৫টায় সেমিনার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ডিজে শো।

১ অক্টোবর বিকেল ৫টা সেমিনার ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

২ অক্টোবর বিকেল ৪টায় বিচ ভলিবল, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রাত ৮টায় বিদেশি নাগরিকদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ১১টায় ডিজে শো।

৩ অক্টোবর বিকেল ৩টায় সেমিনার, বিকেল ৪টায় পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত গ্র্যান্ড সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কনসার্ট, রাত সাড়ে ১১টায় ডিজে শো ও রাত ১১ টা ৪৫ মিনিটে আতশবাজি প্রদর্শনী।


সেতু সংস্কার না হওয়ায় লক্ষাধিক মানুষের দুর্ভোগ 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রহিম সৈকত, আনোয়ারা ও বাঁশখালী (চট্টগ্রাম)

সেতুটির পাটাতন যেন কোথায় হারিয়ে গেছে। চোখে পড়বে কিছু বাঁশের চাটাই যার বেশির ভাগই নষ্ট হওয়ার পথে। বৃদ্ধরা একজন আরেকজনকে ধরে এবং স্কুলগামী শিশুরা আতঙ্ক নিয়ে পার হচ্ছে। এমন দৃশ্য দেখা যাবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নে দীর্ঘ দিন ধরে অকেজো হয়ে পড়া ব্রেইলি সেতু এলাকায়। উপজেলার দুই ইউনিয়ন পুঁইছড়ি ও ছনুয়া ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে এ সেতু দিয়ে। জলকদর খালের ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটি সংস্কারবিহীন থাকায় জনভোগান্তি বাড়ছে।

উপজেলা এলজিইডি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, রাজাখালী আরবশাহ্ বাজারের উত্তরে ১৩০ মিটার দীর্ঘ পুঁইছড়ি-ছনুয়া বেইলি সেতুটি ২০০৬ সালে নির্মিত হয়। চলাচলের অনুপযোগী হলে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে ২০১৭ সালে এটি সংস্কার করা হয়। তবে নিয়মিত লবণবাহী ও মাছের গাড়ি চলাচল করায় নিঃসৃত পানিতে ব্রিজটির পাটাতন নষ্ট হয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সেতু দিয়ে রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, রাজাখালী বিইউআই ফাজিল মাদ্রাসা, পুঁইছড়ি মদিনাতুল উলুম মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসা, পুঁইছড়ি কাদেরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ছনুয়া ছেলবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। নিয়মিত বিরতিতে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই আছে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয়রা চাঁদা তুলে বাঁশের চাটাই দিয়ে কোনোভাবে চলাচলের উপযোগী রাখার চেষ্টা করছেন বহুদিন ধরে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর ৯০ শতাংশের বেশি পাটাতন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিন এই সেতু দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। একটু অসতর্ক হলেই পা পিছলে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি রাজাখালী ফৈজুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নষ্ট হয়ে যাওয়া পাটাতনে পা আটকে মারাত্মক আহত হয়।

সেতু দিয়ে যাতায়াতকারী আতিকুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘সেতুটি সংস্কার খুবই জরুরি।’

এ বিষয়ে ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম হারুনুর রশীদ বলেন, ‘সেতুটি সংস্কারের জন্য উপজেলা এলজিইডির দায়িত্বে নিয়োজিতদের বহুবার বলা হয়েছে। লোক দেখানো পরিদর্শন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। আমার এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ নেই। লোকজন ভাবছে আমি কাজ করছি না। কিন্তু আমি যে নিরুপায় তা বুঝাই কি করে?’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরাফাতুল ইসলাম এমরান বলেন, সেতুটি সংস্কারের চেয়ে কংক্রিটের সেতুতে রূপান্তর করার জন্য আমরা কাজ করছি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘বেইলি সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রাক্কলন জমা দিয়েছি বেশ কয়েকবার। নির্বাচনের আগে মনে হয় না এটার কোনো গতি হবে। এরপরেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

বিষয়:

৫১৭ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল ‘বার আউলিয়া’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

দীর্ঘ ছয় মাস পর প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ নামের একটি জাহাজ। বুধবার সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে পর্যটকবাহী জাহাজটি যাত্রা করে। বেলা ১২টার পরে জাহাজটি দ্বীপে পৌঁছবে।

বুধবার সকাল থেকে জেটি ঘাটে ভিড় করেন ভ্রমণে আসা পর্যটকরা। এ সময় কোস্ট গার্ড, নৌ-পুলিশসহ বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা তদারকির দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্রগ্রামের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা নয়ন শীল জানান, কোনো জাহাজ যাতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করতে না পারে সেজন্য আমরা তদারকি করছি। প্রথম দিন ৫১৭ জন যাত্রী নিয়ে ‘বার আউলিয়া’ জাহাজ সেন্টমার্টিন রওনা করে। এ জাহাজে সাড়ে আট শ যাত্রী ধারণের ক্ষমতা আছে।

ভ্রমণে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আমির হামজা জানান, দ্বিতীয় বারের মতো প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে ঘুরতে এসেছি, খুব আনন্দ লাগছে। আমাদের দলে ২০ জন রয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের (টুয়াক) সিনিয়র সহ-সভাপতি হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর বলেন, জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র নিয়ে প্রথম দিন আমাদের জাহাজ ৫১৭ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিনে রওনা দিয়েছে। সমুদ্রের পরিবেশ শান্ত দেখা গেছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনানা চৌধুরী জানান, বুধবার সকালে ওই পর্যটকবাহী জাহাজে করে ৫০০ এর বেশি ভ্রমণকারী সেন্টমার্টিন দ্বীপে রওনা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এ জাহাজগুলো চলাচল শুরু করেছে। পর্যটকদের যাতে সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

বিষয়:

banner close