শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

টাঙ্গাইলে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

ছবি: সংগৃহীত
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
সারা বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:৩৬

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (০৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ১টার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের এলেঙ্গার কালিহাতী লিংক রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হতাহতদের প‌রিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। এ দিকে এই দুর্ঘটনার পর যমুনা সেতুর সংযোগ সড়কে আজ সকাল পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নান্নু খান জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মহাসড়কের কালিহাতী লিংক রোডে একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসের চার যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর।

তিনি আরও বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।


নীলফামারীতেই হবে চীনের উপহারের হাসপাতাল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, চীনের উপহারের হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে।

এবিষয়ে তিনি বলেন, নীলফামারীতে চীনের উপহার হিসেবে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে কোনো সংশয় নেই।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে রংপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সংস্কারের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা সংস্কার করার চেষ্টা করছি। বাকিটা নির্বাচিত সরকার এসে সম্পন্ন করবে বলে আশা করছি।

সভায় শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকরা এখন অনেক বেতন পান, কিন্তু তারা সেইভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করেন না। আমার পরিবার একটি স্কুল চালায়। সেই স্কুলটি সরকারি হয়েছে, কিন্তু সেখানে শিক্ষার মানের কোনও উন্নয়ন হয়নি।

তিনি বলেন, প্রবাসী শ্রমিকের দিক থেকে রংপুর অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে দক্ষ জনবল তৈরি করতে সরকার উদ্যোগ নেবে। দক্ষ শ্রমিক তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে হবে।

মত বিনিময় সভায় রংপুর জেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি প্রাণিসম্পদসহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।


গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ

গ্রেপ্তার ১
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। তার কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


তেলের দাম নিয়ে বাজারে হইচই, পেঁয়াজে আবার অস্থিরতা

আপডেটেড ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৫২
নিজস্ব প্রতিবেদক 

তিনদিন ধরে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চলছে হইচই। সরকারের অনুমতি ছাড়াই প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে দেশি পেঁয়াজের দামে। দুই-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পেঁয়াজের দাম চড়েছে। এদিকে শীত এলেও কমেনি দাম, বেশির ভাগ সবজিই ৬০-৮০ টাকার ওপরে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকার কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, রামপুরা, সেগুনবাগিচা, ফার্মগেটসহ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। এই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। তবে চড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। এখন এক কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে অন্তত ১৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেই পেঁয়াজের দাম ছিল বাজার ও মানভেদে ১১০-১২০ টাকার মধ্যে। সেটা এখন কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষণের তথ্য বলছে, এক মাস আগের তুলনায় দেশি পেঁয়াজের দাম এখন ১৯ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া গত বছরের এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা, যা এবারে ছাড়িয়ে গেল।

সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারের মামা-ভাগিনা মুদি দোকানের বিক্রেতা হারুনুর রশিদ জানান, নতুন পেঁয়াজ এখনো বাজারে আসেনি। দেশি পেঁয়াজ যেটা আসছে সেটার মানও খুব বেশি ভালো না। কারণ সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। ফলে পাইকারি পর্যায়ে গত দু-তিন দিন ধরেই দাম বাড়ছে। এই দাম নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত কমবে না।

জানা গেছে, পেঁয়াজের দামের এই সাময়িক উলম্ফন ঠেকানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চেয়েছিল। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় তার বিরোধিতা করে। তাদের যুক্তি ছিল নভেম্বরের মাঝামাঝিতেই নতুন উৎপাদিত দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসবে। কিন্তু সেটা হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রক্ষেপণের প্রায় মাসখানেক সময় পেরিয়ে গেলেও বাজারে দেশি পেঁয়াজ নেই। এ কারণে বাজারে আবার অস্থিরতা শুরু হয়েছে।

এদিকে, স্বাভাবিকভাবে শীতের মৌসুমে বাজারে সবজির দাম তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তবে এবার শীতেও যেন সবজির বাজারে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন বাড়তি যাচ্ছে। মূলা আর পেঁপে ছাড়া অধিকাংশ সবজির দাম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার ঘরে রয়েছে। এমনকি কিছু কিছু সবজি ১০০ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে প্রতিপিস ফুলকপি (মাঝারি) বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, বাঁধা কপিও (মাঝারি) প্রতি পিস ৪০ টাকা, এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকা, ঝিঙা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ১০০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আলতাফ হোসেন সবজির দাম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘শীত মৌসুম আসলে সব ধরনের সবজির দাম কমে যায়। কিন্তু এবার দেখছি উল্টোটা, শীত এসেছে ঠিকই কিন্তু সব সবজির দাম বেড়ে গেছে। এমন বাড়তি দাম আগে কখনো দেখিনি। তবুও বাধ্য হয়ে বাসায় খাবার জন্য সবজি কিনতে হচ্ছে, তবে আগে যেখানে এক কেজি কিনতাম, এখন সেটা আধা কেজি করে কিনতে হচ্ছে।’

সবজি দাম বাড়তি হওয়ার কারণ হিসেবে মালিবাগ বাজারের বিক্রেতা এরশাদ আলী বলেন, ‘পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ তুলনামূলক কম। সে কারণে আমাদের কেনা দাম বেশি পড়ছে, ফলে বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’

তবে কাওরানবাজারের সবজি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম দাম বাড়ার পেছনে অন্য একটি কারণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে ক্ষেতে থাকা সবজির গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। এতে সবজির ফলন ঘাটতি হয়েছে এবং ক্ষেতের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ফলন ঘাটতির প্রভাব এখন বাজারে পড়েছে, সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। এ ছাড়া কাওরানবাজারে সবজি বোঝাই ট্রাক আসার পর তা কয়েক হাত বদল হয়, যার ফলেও সবজির দাম বেড়ে যায় এবং সেই প্রভাব খুচরা বাজারে পড়ে।

বাড্ডার সবজি বিক্রেতা শফিকুল জানান, গত এক সপ্তাহে শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এই সরবরাহের কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে।

তবে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কমে গিয়েছিল। গত তিন-চার দিন ধরেই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে। যদিও শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ডিমের দাম আবারও খানিকটা বেড়েছে। পাইকারিতে বেড়ে যাওয়ার কারণে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন আবারও ১৩০ টাকায় উঠবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তারা। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে। তবে দুদিন ধরেই সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে বেশ হইচই হচ্ছে। কারণ ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ছাড়াই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছেন ৯ টাকা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলের দাম ৪৩ টাকা এবং ২ লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত বুধবার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয়। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।


পরিচর্যা পেলে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে : আনসার মহাপরিচালক

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:৩৯
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দীন এভিনিউয়ের ‘প্যালেট গ্যালারী’-তে ঢাকা সেনানিবাসস্থ প্রয়াস স্কুলের আর্ট প্রশিক্ষক আফিফ আলভির একক চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা এ নবীন শিল্পীর সৃজনশীল প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।

প্রদর্শনীতে স্থান পায় বৈচিত্র্যময় শিল্পকর্ম। এতে উঠে আসে মানবিকতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং সমকালীন জীবনের বহুরূপী অভিব্যক্তি। সাহসী রঙের ব্যবহার ও দৃঢ় ব্রাশস্ট্রোক এবং আবেগঘন উপস্থাপনা দর্শকদেরকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনসার মহাপরিচালক বলেন—“বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার অন্যতম ভিত্তি। সঠিক পরিচর্যা, মানসম্মত শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে পারলে তারাই দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে এবং জাতির অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সমাজের প্রতিটি মানুষের সম্মিলিত সহযোগিতাই পারে তাদের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করতে।”

তিনি আরও বলেন, আনসার বাহিনীর বহুল প্রত্যাশিত ‘সঞ্জীবন প্রকল্প’—গ্রামীণ ও প্রান্তিক পর্যায়ের প্রতিভা বিকাশের একটি সুগঠিত প্ল্যাটফর্ম—আলভির মতো উদীয়মান শিল্পীদের দক্ষতা বিকাশে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

“সঞ্জীবন কার্যক্রম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের সমাজে সমানভাবে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করছে,” বলে—তিনি জানান।

চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের এই আয়োজনে শিল্পপ্রেমী এবং বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মাসরুর আরেফীন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও, দ্য সিটি ব্যাংক; কর্নেল মোঃ আলতাফ আলী, পিএসসি, নির্বাহী পরিচালক ও অধ্যক্ষ, প্রয়াস স্কুল, এবং মোঃ গোলাম রব্বানী, সভাপতি, বেক্সা।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫’ উদযাপন

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২৩:১০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানান আয়োজনের মধ্যদিয়ে ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫’ উদযাপন করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং গ্রাউন্ডে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মোঃ খোদা বখস চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

দেশের ৮ বিভাগ থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবকদের নিবন্ধনের মাধ্যমে সকাল ৮ টায় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়ে ৯টায় স্বেচ্ছাসেবক ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল ১০টায় পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, ভলান্টিয়ারদের অংশগ্রহণে ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রমের বাস্তব মহড়া উপভোগ শেষে প্রধান অতিথির ভাষণে সমবেত স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস হলো স্বেচ্ছাসেবকদের সুসংগঠিত করার, তাদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার, স্বেচ্ছাসেবার কাজকে প্রচার করার এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও উৎসাহিত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি এই দিবস প্রতিপালন অনুষ্ঠানে প্রথমেই আমাদের দেশসহ বিশ্বের সকল দেশের ভলান্টিয়ারদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। ’দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যতে সকলকে আরও দক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, স্বেচ্ছাসেবক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে তাদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন ও বিভিন্ন দিবস উদযাপন, মহড়া এবং গণসংযোগ কার্যক্রমে তাদের অংশগ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবায় উদ্বুদ্ধ করা এবং প্রশিক্ষণ-লব্ধ জ্ঞানকে শাণিত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।’

অনুষ্ঠানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসিসহ সারা দেশ থেকে বাছাইকৃত ২২ জন ভলান্টিয়ারকে কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন।

মহাপরিচালক তাঁর প্রদত্ত ভাষণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরলস ও সাহসী অবদানের প্রশংসা করে দেশের সকল দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবকদের দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও নির্ভীক অংশগ্রহণ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার, পিএসসি।

উক্ত অনুষ্ঠানে দু্ই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক ছাড়াও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক, উপপরিচালক, ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৫ উদযাপন কার্যক্রম শেষ হয়।


অবৈধ পণ্য আটকানোয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

মিথ্যা ঘোষণায় আনা পণ্য খালাসে বাধা দেওয়া ও রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে নেওয়া উদ্যোগে রুষ্ট ‘একটি পক্ষ’ চট্টগ্রামে দুই কাস্টমস কর্মকর্তার ওপর হামলা করে থাকতে পারে বলে মনে করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রাজস্ব ফাঁকি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করায় নিষ্ঠাবান কর্মকর্তারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার পরে চট্টগ্রামের সিডিএ আবাসিক এলাকায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের দুই কর্মকর্তাকে বহনকারী প্রাইভেট কারে হামলা চালায় মোটরসাইকেলে করে আসা তিনজন। তারা চাপাতি দিয়ে গাড়ির জানালা ভাঙচুর করে এবং গুলি করার হুমকি দেয়।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) আসাদুজ্জামান খান এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূইয়া সেই গাড়িতে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, তারা আমাদের উদ্দেশ্য করেই গাড়িতে হামলা করেছে বলে মনে করছি। বিভিন্ন সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য আটক করায় একটি পক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে মোবাইল ফোনে আমাকে হুমকিও দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি গত ৫ অক্টোবর বন্দর থানায় জিডিও করেছি।

সম্প্রতি প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের আমদানি নিষিদ্ধ ঘনচিনি, পপি বীজ আর বিপুল বিদেশি সিগারেট জব্দ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। গত মে মাসে ৩০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ সিগারেটের পণ্য চালান আটক করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ একটি পক্ষ বিভিন্ন সময়ে কাস্টমস কর্মকর্তারকে মোবাইল ফোনে ‘হুমকি দেয়’ বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেডকেন্দ্রিক এক পণ্যের আড়ালে অন্য খালাস নেওয়ার জালিয়াতচক্র মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে আনা বিভিন্ন কসমেটিক পণ্যের চালান আটক করায় গত ৫ অক্টোবর রাজস্ব কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানকে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে ভয়ভীতি দেখানোসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঘটনার পরদিন ৬ অক্টোবর তিনি বন্দর থানায় জিডি করেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার তারেক মাহমুদ বলেন, বন্দরে শেডকেন্দ্রিক কিছু সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, যারা মিথ্যা ঘোষণায় অথবা অবৈধভাবে অন্য পণ্য আমদানি করে খালাসের সঙ্গে যুক্ত। গত দুই মাসে এ ধরনের বেশকিছু চালান কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আটকে দিয়েছে।

আক্রমণের শিকার দুই কাস্টমস কর্মকর্তা এসব প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত সিন্ডিকেট সদস্যরা এতে সুবিধা করতে পারছিল না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমাদের ধারণা।

তারেক মাহমুদ নিজেও বিভিন্ন সময়ে ফোনে হুমকি পেয়েছেন দাবি করে বলেন, কাস্টমসের এআইআর শাখার কর্মীরা চালান আটকের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারাও বিভিন্ন সময়ে হুমকি পেয়েছেন। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই মামলা হয়েছে।


জুলাই হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে আনাই মূল লক্ষ্য : প্রেস সচিব

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩০
মাগুরা প্রতিনিধি

জুলাই আন্দোলনে দেশের অসংখ্য শিক্ষার্থী জনতাকে হত্যা করেছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে প্রমাণিত হয়েছে সরকারের গণহত্যার চিত্র। তাই জুলাই হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের মূল লক্ষ্য।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) মাগুরায় আন্ত:কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, ১৫ ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ, এই নির্বাচন কে বানচাল করতে কোন কনোসপ্রেসি কাজ করবে না।

এ সময় তিনি আরোও বলেন, খালেদা জিয়া এখন শুধু বিএনপি নেত্রী নয় তিনি এখন ন্যাশনাল লিডার হিসেবে সর্বজন স্বীকৃত। তারেক রহমানের দেশে আসতে সরকারের কোন বাধা নেই, এটি তার এবং তাদের দলের ব্যাপার।

শফিকুল আলম আরো বলেন, আর ৭০ দিনের মতো আমরা আছি এর মধ্যে যদি ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয় তাহলে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা ফিরিয়ে আনার কাজ টি অব্যাহত রাখবেন আশা করি।

এ সময় তিনি জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যা দেন। বাউল শিল্পীদের উপর হামলাসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।

যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মাগুরা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনীতে জেলা ক্রিড়া কর্মকর্তা বিএম এ সাজিন ইসরাত সভাপতিত্ব করেন।

এ খেলায় ৯ টি দল অংশ গ্রহণ করেছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হবে।


বরিশালে সুতা কারখানায় আগুন, প্রাণে রক্ষা পেলো শতাধিক শ্রমিক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরিশাল প্রতিনিধি

বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীর খানসন্স টেক্সটাইল মিলের সুতা তৈরির একটি কারখানায় হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। মুহূর্তেই আগুন কারখানার বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে দেড় শতাধিক শ্রমিক বাইরে বের হয়ে আসেন।

শ্রমিক আসমা জানান, কারখানার ভেতরে এসি মেরামতের সময় একটি তারে শর্ট সার্কিট হয়। এরপর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একই অভিযোগ করেন আরেক শ্রমিক নাদিম। তিনি বলেন, দুপুরের বিরতির আগে আগুন লাগে, কিন্তু অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অচল থাকায় আগুন নেভাতে প্রথমদিকে চরম বেগ পেতে হয়।

খবর পেয়ে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে সময় লাগবে।

কারখানার ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।


মাগুরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত ৩৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা সদর উপজেলার কুল্লিয়া গ্রামে সামাজিক দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষের লোকজন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. সোহেল রানা জানান, কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আজহার আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সামাজিক আধিপত্যকে কেন্দ্র করেই দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষের বিরোধ চলছিল। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার জের ধরে সকালে বড় ধরনের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক ডা. মো. মামুন উর রশীদ বলেন, “গ্রাম্য সামাজিক দলাদলিকে কেন্দ্র করে সকালে প্রায় ৩৫ জন আহত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। তবে কারো শরীরে গুরুতর জখমের চিহ্ন নেই। সবাই চিকিৎসা নিচ্ছেন ও আশঙ্কামুক্ত।”

সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আয়ুব আলী জানান, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের না হলেও তদন্ত চলছে।


গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ থানার ওসি রদবদল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) আট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) রদবদল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বদলিকৃত পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে জিএমপি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসানকে টঙ্গী পূর্ব থানায়, টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন-অর-রশিদকে বাসন থানায়, কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানকে গাছা থানায়, পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খালিদ হাসানকে কাশিমপুর থানায়, বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন খানকে টঙ্গী পশ্চিম থানায়, গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলামকে সদর থানায়, ডিবি (উত্তর) বিভাগ মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন মাহমুদকে কোনাবাড়ী থানায়, টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানকে পূবাইল থানায়, টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওহিদুজ্জামানকে ডিবি উত্তর এবং কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দিনকে ডিবি দক্ষিণে বদলি করা হয়েছে।


আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ৩ কনভেনশন অনুসমর্থন ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:৪৮
নিজস্ব প্রতিনিধি

শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা জোরদার করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত বলে অভিহিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশন একসঙ্গে অনুসমর্থন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্‌যাপন করলো শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও বাংলাদেশ।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমি স্টেট গেস্ট হাউস ‘সুগন্ধা’ তে এই উদ্‌যাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এ অর্জন কেবল একটি আইনি মাইলফলক নয়-এটি বিশ্বের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যে আমাদের শ্রমিকদের মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতির সময়ে এই সিদ্ধান্তটি কৌশলগত ও দূরদর্শী, যা বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের নৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

উপদেষ্টা জানান, তিনটি কনভেনশনের মধ্যে কনভেনশন নং ১৫৫ (পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য) ও কনভেনশন নং ১৮৭ (পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রচারমূলক কাঠামো) আইএলও’র মৌলিক কনভেনশন। এর সঙ্গে কনভেনশন নং ১৯০ (কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি প্রতিরোধ) অনুসমর্থনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলও’র ১০টি মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী দেশে পরিণত হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া কনভেনশন বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে, যাতে শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার বলেন, বাংলাদেশের তিনটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসমর্থন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বৃহৎ বাজার তৈরির উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরবর্তী সময়েও বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজারে তার সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার করতে উভয় পক্ষের সম্মিলিত উদ্যোগ অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. ম্যাক্স টুনোন এই অনুসমর্থনকে ‘একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ আখ্যায়িত করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর যমুনা স্টেট গেস্ট হাউসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে শ্রম উপদেষ্টা তিনটি কনভেনশনের অনুসমর্থনপত্রে স্বাক্ষর করেন।

পরবর্তীতে ২১ নভেম্বর আইএলও’র জেনেভাস্থ সদর দপ্তরে ৩৫৫তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে আইএলও মহাপরিচালকের কাছে অনুস্বাক্ষরের এ দলিল হস্তান্তর করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিষয়ক অ্যাটাসে লিনা খান, টিসিসির সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তরুণরাই নেতৃত্ব দিয়েছে

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
আপডেটেড ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৫
নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে যখনই ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখনই তরুণরা সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এমন মন্তব্য করেছেন।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।

এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা সেরা সেথলিকাই, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভ ডাওল্যান্ড, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল-এর সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসেন, আন্তর্জাতিক আইন ছাত্র সমিতির (আইএলএসএ) জাতীয় সমন্বয়কারী নূরান চৌধুরী, হার্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক পরব নাসের সিদ্দিক এবং জেসাপ বাংলাদেশের জাতীয় প্রশাসক মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ।

আইন উপদেষ্টা বলেন, মহান জুলাই অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে তা গর্বের সঙ্গে স্মরণ করছি। তবে এটি নতুন নয়; আমাদের তরুণরা সবসময় দেশে ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল।

তিনি আরও বলেন, এখানে সমবেত হয়ে তারা প্রমাণ করেছে যে কেবল অধিকার রক্ষায় নয়, বরং আদালত কক্ষে এবং বিশ্ব মঞ্চে ন্যায়বিচারের পক্ষে ওকালতি করতেও সক্ষম।

ড. আসিফ বলেন, এ বছর ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে। আন্তর্জাতিক আইন শেখা এবং বিতর্কের জন্য জাতীয় যে আবেগের প্রতিফলন এটি। জেসাপ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জেসাপ যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতা। এই অর্জন আমাদের শিক্ষার্থী, কোচ, আয়োজক এবং প্রাণবন্ত মুট কোর্ট সমাজের নিষ্ঠার প্রতিফলন।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, জেসাপ কেবল একটি প্রতিযোগিতা নয়। এটি কঠোর গবেষণা দক্ষতা, স্পষ্ট লেখা, প্ররোচনামূলক অ্যাডভোকেসি এবং কার্যকর দলবদ্ধতা তৈরি করে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কর্মশালা তরুণদের দক্ষতা আরও তীক্ষ্ণ করবে এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে আরও শক্তিশালী করবে।

জেসাপ বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএসএ), মার্কিন বিচার বিভাগ, বিদেশি প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল এবং হার্থ বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘মে ইট প্লিজ দ্য কোর্ট: দ্য কেস কনসার্নিং দ্য ক্রাফট অফ জেসাপ অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক দুদিনব্যাপী ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালা আয়োজন করেছে।

কর্মশালাটি অ্যাডভোকেসি দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ফিলিপ সি জেসাপ আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার (জেসাপ) ১০ম বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জনের রাউন্ডে সফলভাবে অংশগ্রহণের জন্যশিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জেসাপ মুটিংকে আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্টের ‘বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত।


কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে রফিক ইসলাম নামে একজন নিহত, আহত ২

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পচাভিটা এলাকার একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় রফিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুটি মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন অস্ত্রধারী রফিককে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি করার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় চায়ের দোকানে থাকা লোকজন তাদের ধাওয়া করলে দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই রফিক ইসলামের মৃত্যু হয়।

নিহত রফিক ইসলাম ওই গ্রামের মতআলী মন্ডলের ছেলে। আহতরা হলেন—একই গ্রামের রবজেল ফরাজি (৫২) ও ইউসুফ হোসেন (৫৫)।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলাইমান শেখ বলেন, “দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে রফিক নামের একজন নিহত হয়েছেন এবং দুইজন আহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত শেষে জানানো হবে।”


banner close