কেরাণীগঞ্জের রোহিতপুর বোর্ডিং মার্কেট এলাকায় রাস্তার পাশে রাখা চুলার আগুনে পুড়ে ৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোহিতপুর বোর্ডিং মার্কেটের ঘরোয়া রেস্টুরেন্ট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। পরে একে একে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দুটি বিরিয়ানির দোকান, একটি হার্ডওয়্যার ও একটি মুদি দোকানে।
এসময় ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে আটকটা পড়ে তিনজন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আলম জানান, দোকানের পাশে থাকা একটি ভ্যানগাড়িকে একটি ট্রাক ধাক্কা দিলে ভ্যানগাড়িটি পাশা থাকা গ্যাসে চুলা ও সিলিন্ডারে আঘাত করে। পরে এ আগুন দোকানের মুখ বন্ধ করে চারদিক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় কিছু লোক শরীরে আগুন নিয়ে দৌড়ে বেড় হতে পারলেও ৩ জন আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায়।
কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. কাজল ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করেছেন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার সহকারী কমিশন (ভূমি) মোহাম্মদ রইছ আল রেজুয়ান। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তাৎক্ষণিক সাহায্যের ঘোষণা দেন।
২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি মৌসুমে রাউজানে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা কৃষি বিভাগীয় প্রশিক্ষণ হলে এ সার ও বীজ বিতরণ করা হয়। রাউজান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবিরের সভাপতিত্বে ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজীব কুমার সুশীলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অংছিং মারমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সীকু কুমার বড়ুয়া, মিল্টন দাশ, মো. জিয়া উদ্দীন মামুন, অসিম বিকাশ সেন, বলরাম দে, আহমদ শাহ, মোজাম্মেল হক, জুয়েল দাশ প্রমুখ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ১৪ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৬৩০ জন কৃষক-কৃষাণীকে দেওয়া হয়েছে গম ৪ শত কেজি, সরিষা ৩ শত ৩০ কেজি, চিনা বাদাম ৫ শত কেজি, সূর্যমুখী হাইব্রীট শস্য ১০ কেজি, মুগ ডাল ৪ শত কেজি, ফেলন ৭ শত কেজি, অড়হর ২০ কেজি। এছাড়াও ডিএসপি সার ৭৫ বস্তা, এমওপি সার ৬০ বস্তা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদ বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য প্রণোদনা প্রদান একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। আমরা যেহেতু কৃষি নির্ভরশীল দেশ। সেহেতু কৃষকের অধিক ফলন বৃদ্ধি করতে হবে। সার, বীজ ও কৃষি কাজের আধুনিক সরঞ্জাম বিতরণ করে সরকার কৃষকদের উৎসাহিত করে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুম কবির বলেন, প্রান্তিক কৃষকরা আমাদের সহায়ক শক্তি। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে শস্য ফলাতে পারলে একদিকে কৃষক উপকৃত হবে অন্যদিকে দেশ হবে কৃষিবান্ধব।
গাংনী উপজেলার কাথুলী সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ২৪ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১৩২/৩ এস এর সামনে টেইপুর এলাকায় এ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, হস্তান্তর হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশু রয়েছে।
তারা হলেন শরিফুল ইসলাম (৪৭), নিলিমা বেগম (৪১), আব্দুর রহিম (১৪), আদুরী খাতুন (৮), আশিক বিশ্বাস (১৬), রাতুল হোসেন (২১), কুলছুম খাতুন (১৮), উজ্জ্বল হোসেন (২), রেজাউল (৪০), জনি আহম্মেদ (১৮), রকিব হোসেন (২১), জিহাদ (২০), আবুবক্কর সিদ্দিক (২৪), হাসান আলী (২৬), জিন্নাত আলী (৩৪), জাফর চাপরাশি (৩৯), রাছেল হাওলাদার (২৭), আকতার হোসেন (৩২), রাজু (৩১), সিমা বেগম (৩১), শান্তা আক্তার (২৭), কাজী জসিম উদ্দিন (৪৭), লিলি খাতুন (৪৩) ও আছিয়া আক্তার (৮)।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে কাথুলী কোম্পানির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. কামরুজ্জামান এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে ভারতের নদীয়া জেলার তেহট্টার ৫৬ ব্যাটালিয়নের টেইপুর কোম্পানি কমান্ডার এসি আনচ কুমার উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি জানায়, এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে শ্রমিকের কাজ করছিলেন। সেখানে ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজিবির কাছে ফেরত দেয়।
কাথুলী বিজিবির দপ্তর কমান্ডার নায়েক সুবেদার কামরুজ্জামান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে সবাইকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, হস্তান্তর হওয়া ২৪ জনকে থানায় রাখা হয়েছে। যাচাই বাছাই শেষে তাদের পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
অন্ধকার হলেই ফসলি জমিতে নেমে আসে বনের একঝাঁক বুনো শূকর । নষ্ট করে ফেলে কৃষি জমির ধান ও সবজির খেত। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় এক মাস ধরে প্রায় চার-পাঁচটি এলাকায় চলছে এই তাণ্ডব। পাকা ধান ঘরে তোলার সময় এ ভোগান্তিতে ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা। এ অবস্থায় বুনো শূকর থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, ‘বন্যপ্রাণীর দল রাতের অন্ধকারে হানা দিয়ে পাকা ধান বা সবজির ক্ষেত নষ্ট করে দেয়। এতে তাদের বছরের পরিশ্রম মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়। এই ক্ষতি এড়াতে, অনেক কৃষক দলবদ্ধভাবে বাঁশ, টিনের শব্দ এবং লাঠিসোঁটা হাতে সারারাত জমিতে পাহারা দিচ্ছেন।’
কৃষকেরা অভিযোগ করে জানান, ‘কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের লংগুরপার, দক্ষিণ বালিগাঁও, বাঘমারা, সরইবাড়ি, ভেড়াছড়া, ছাতকছড়া এলাকার ফসলি জমিতে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের বনের বুনো শূকর প্রতি রাতে হানা দেয়। আমন পাকা ধান ও শীতকালীন সবজিখেতে শূকরের দল এসে তা নষ্ট করে। ধান, আলু, মুলা এমনকি কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ উপড়ে ফেলে।
এদিকে শূকর তাড়ানোর চেষ্টা করলে উল্টো মানুষকে ধাওয়া করে। সারাদিন কাজ করে আবার রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। কৃষকেরা বুনো শূকরের হানায় ফসল মাঠে রাখতে পারছেন না। শীতের মধ্যে পাকা ধান রক্ষায় মাঠে বাঁশ দিয়ে মাচা তৈরি করে পাহারা দেন কৃষকেরা। সঙ্গে রাখেন প্লাস্টিক ও টিনের তৈরি ড্রাম। কিছুক্ষণ পর শব্দ করে চিৎকার করেন, যাতে শূকর চলে যায়। কৃষক মফিজ মিয়া ফসলি মাঠে বাঁশ দিয়ে ৬ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মাচা তৈরি করে রাতে বসে থাকেন শূকর তাড়ানোর জন্য।
মফিজ মিয়া বলেন, ‘শূকর আমাদের সব ফসল নষ্ট করে ফেলছে। এ অবস্থায় প্লাস্টিক ও টিনের ড্রামের শব্দ করে রাত জেগে ফসল পাহারা দিতে হয়। এসব শূকর মানুষকেও আক্রমণ করে। এ কারণে ৬ ফুট উঁচুতে বাঁশের মাচা তৈরি করেছি, যাতে বন্য শূকর আক্রমণ করতে না পারে।’
মফিজ মিয়ার মতো এভাবে মাচা তৈরি করে রাতভর পাহারা দিচ্ছেন কৃষক কনাই মিয়া, আবুল মিয়া ও আশিক মিয়া। ফসল কাটার আগ পর্যন্ত চলবে তাদের পাহারা দেওয়ার কাজ। তবে বুনো শূকরের আক্রমণ ঠেকাতে এখন পর্যন্ত সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি বলে দাবি করেন কৃষকেরা।
এদিকে তীব্র শীতের রাতে ফসল পাহারা দেওয়া রাতজাগা মাধবপুর এলাকার এই কৃষকের নাম সুফি মিয়া। বন্যশূকরের ক্ষতির হাত থেকে ফলসকে রক্ষা করতেই তার এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। ধানের সাথেই শীতের রাত্রীযাপন কৃষক সুফি মিয়া। তিনি থাকেন কমলগঞ্জ উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায়। সম্রতি কথা হয় এই প্রতিবেদকের সাথে।
সুফি জানান, ‘বনোরতা’ আমার সব ফসল নষ্ট করে দেয়। তাই নিজেই ধানগুলো রক্ষার জন্য পাহারা দেই। একটি-দুটি নয়, একসাথে ১০ থেকে ১৫টির দল নামে। দেখে ভয় লাগে তখন। টর্চ মেরে জোরে জোরে শব্দ করলে তারা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টা/৮টার দিকে তারা নামে। আবার আসে মাঝরাতে। পুরো রাত জেগে ধান পাহারা না দিলে জমির সব ধান নষ্ট করে দিতে চায় তারা।’
পরিবেশবাদী সংগঠন জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি কমলগঞ্জের সহসভাপতি অজানা আহমেদ কামরান বলেন, ‘বন উজাড় ও বনভূমি বেদখল হওয়ার কারণে এখন বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। আগে বন্যপ্রাণীরা লোকালয়ে হানা দেয়নি, মানুষের কোনো ক্ষতি করেনি। লাউয়াছড়ার বেদখল বনভূমি উদ্ধার করে বন্যপ্রাণীদের জন্য বনজ গাছ লাগানোর দাবি জানান তিনি।’
এ নিয়ে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান জানান, ‘বন্যপ্রাণীর নির্দিষ্ট কোনো এলাকা নেই। বন্যপ্রাণীরা খাবারের জন্য লোকালয়ে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বুনো শূকরের বংশবিস্তার আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। শূকরের দলের বনের পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে বিচরণ করা স্বাভাবিক বিষয় হলেও ফসল নষ্ট হওয়ায় ঘটনা দুঃখজনক। তবে বন্যপ্রাণী হত্যা একটা দণ্ডনীয় অপরাদ। কেউ যেন প্রাণী মারার জন্য মরণ ফাঁদ ব্যবহার না করে। যদি সেটা করে তাহলে আইনের আওতায় আনা হবে।
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা সদরের গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় দুর্বৃত্তরা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত তিনটার দিকে মহম্মদপুর সদরের আমিনুর রহমান ডিগ্রি কলেজের পাশে অবস্থিত গ্রামীণ ব্যাংক শাখার জানালা দিয়ে পেট্রোল দিয়ে কে বা কাহারা আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত দেখে প্রতিবেশীরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে দ্রুত তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। বেশ কিছু কাগজপত্র চেয়ার-টেবিল পুড়ে গেছে।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাতের অন্ধকারে কোন দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংকের জানালা দিয়ে পেট্রোল ফেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
মহম্মদপুর গ্রামীণ ব্যাংকের সেকেন্ড ম্যানেজার সিরাজুল ইসলাম জানান, রাত তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা জানালার লক ভেঙে ভেতর দিয়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়েছে। কিছু কাগজপত্র চেয়ার টেবিল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গাছেরও জীবন আছে, পেরেক ঠুকে আঘাত বন্ধ করুন” এই স্লোগান তুলে মানববন্ধনে বক্তারা পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক, কোচিং ও স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গাছে সাইনবোর্ড, ফেস্টুন ঝুলানো বন্ধকরণ এবং অবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ১৯ নভেম্বর সকালে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস একটি মানববন্ধন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন, গ্রীণ ভয়েসের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক রাইসুল ইসলাম নোমান, কুড়িগ্রাম সরকারি শাখার সভাপতি তহ্নি বণিক, সাধারণ সম্পাদক সাদমান হাফিজ স্বপ্ন, অর্থ সম্পাদক আবু রায়হান জাকারিয়া, উলিপুর উপজেলা শাখার সভাপতি সারফরাজ সৌরভ, রোমিও রায়হান প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পেরেকের আঘাতে গাছের কান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, রসক্ষরণ বন্ধ হয় এবং গাছ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। এটি শুধু পরিবেশ নয়, শহরের সামগ্রিক সৌন্দর্য নষ্ট করে।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ড ও বিভিন্ন বিজ্ঞাপন সামগ্রী ঝুলানোর প্রতিবাদে জানানো হয়।
গাছের গায়ে পেরেক ঠুকার মতো পরিবেশ বিরোধী আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ দাবী জানান।
কর্মসূচিতে গ্রীন ভয়েসের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষজন অংশ নেন।
সাভারে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা-উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের চলমান অভিযানের প্রতিবাদে এবং ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে স্থানীয় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সাভারের তুরাগ এলাকায় ‘ভাকুর্তা ভাঙ্গা ব্রিজ’ সংলগ্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের কারণে মহাসড়কের উভয় লেনে যানচলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মূলত ইটভাটা সচল রাখার দাবিতে মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। মহাসড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ কাজ করছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে মালিক-শ্রমিকরা ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ, স্থানীয় প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ঢালিপাড়া ধর্মগঞ্জ এলাকায় পলিথিনের দানা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার পর তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে কারখানার পলির দানা, দুইটি মেশিন ও ওয়েস্ট পলি পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়। তবে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতার কারণে প্রায় ৩০ লাখ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহত বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠা চুনা ও ঢালাই কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার সোনারগাঁ পৌরসভা এলাকায় দিঘিরপাড় ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে দুটি কারখানার মালিকরা পালিয়ে যায়। অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মিল্টন রায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল, সোনারগাঁ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার জাহেদুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে স্থানীয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্যাস সংযোগ নিয়ে পৌরসভার দিঘিরপাড় এলাকায় চুনা কারখানা ও পৌর ভবনাথপুর এলাকায় ঢালাই কারখানা গড়ে তোলা হয়। এসব কারখানায় প্রতি মাসে প্রায় ২০লাখ টাকার গ্যাস চুরি করে এ কারখানায় ব্যবহার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এসময় এক্সকিউভেটার দিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গ্যাস সংযোগে ব্যবহৃত পাইপ সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ড্রিস্টিবিউশন কোম্পানি সোনারগাঁ জোনের ম্যানেজার প্রকৌশলী শবিউল আওয়াল জানান, ৫ আগষ্টের পর রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় একটি গ্রুপ সরকারী সম্পদ গ্যাস অবৈধভাবে সংযোগ নিয়ে চুনা ও ঢালাই কারখানা গড়ো তোলে। দুটি কারখানায় প্রতিমাসে সরকারের প্রায় ২০লাখ টাকার সম্পদ চুরি করে ব্যবহার করছে। আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৫ বছরের সাজা নি:সন্দেহে ন্যায়বিচারের পরিপূর্ণতা অর্জন করেনি, উনারও সর্বোচ্চ সাজার প্রত্যাশা করেছিলাম বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন এটা নিয়ে আপিল হবে রিভিউ হবে, আশা করছি তাকেও সর্বোচ্চ সাজার আওতায় নিয়ে আসা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা জেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে,জেলা পরিষদ হলরুমে ভোলা সরকারি কলেজ ছাত্রশিবির শাখার আয়োজনে ভোলা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন তিনি।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, সকলের একটা আকাঙ্ক্ষা ছিল যেন শেখ হাসিনার মামলার রায় দ্রুত দেওয়া হয়। ৫ আগস্টের পর থেকে আমরা সারাদেশে গণমিছিল থেকে শুরু করে বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সরকারের কাছে বিচারের দাবি উত্থাপন করা এবং চাপ প্রয়োগের কাজটা আমরা করেছি। ধীরগতিতে হলে রায় হয়েছে, এ রায়টা যথেষ্ট না, আমরা মনে করি দ্রুত সময়ে রায় কার্যকর করা জরুরী।
এর আগে আগে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির ভোলা সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ইমরান হোসেন নাবিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মো.সোহেল,স্পোর্টস বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ রাফি এবং ভোলা শহর শাখার সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
এসময় অনুষ্ঠানে আগত শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
ব্রি’ ধান আধুনিকজাত ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে কৃষকদের সম্পৃক্ততায়, দ্বাড়িয়াপাড়া সুরিভিটা অফিস চত্বরে মঙ্গবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় এবং ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড়-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার দ্বাড়িয়াপাড়া ও সুরিভিটা গ্রামে আয়োজিত হলো ব্রিধান-৯৩ ও ব্রিধান-১০৩ এর মাঠ দিবস এবং কৃষক মতবিনিময় সভা।এই আয়োজনের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ও পরিবেশ উপযোগী ধানের জাত সম্পর্কে সচেতনতা এবং চাষে আগ্রহ তৈরি করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মো: আবু বকর সিদ্দিক সরকার, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, দিনাজপুর, বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও ব্রির আধুনিক জাত সমূহ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: আব্দুল মতিন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পঞ্চগড় এর উপপরিচালক মো: আব্দুল মতিন ব্রিধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ এর উপকারিতা, যেমন উচ্চফলনশীলতা, রোগ ও পোকামাকড় প্রতিরোধ ক্ষমতা, স্বল্প জীবনকাল এবং বাজারযোগ্যতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ব্রি ধান৯৩ ও ব্রিধান১০৩ জাত দুটি উত্তরাঞ্চলের জলবায়ু উপযোগী এবং কৃষকদের জন্য অর্থনৈতিকভাবে লাভ জনক হিসেবে উঠে আসে আলোচনায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন মো: মাসুদ রানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান, ব্রি স্যাটেলাইট স্টেশন, পঞ্চগড় ও মো: আসাদুন্নবী, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পঞ্চগড় সদর।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষক মো: ওয়াহেদুল এর জমিতে স্থাপিত ট্রায়াল প্লটে ব্রিধান৯৩ এর ফসল কর্তন কার্যক্রম (ক্রপকাটিং) পরিচালনা করা হয়, যেখানে প্রতি বিঘাতে ২২.৬ মন ফলনের তথ্য উঠে আসে এছাড়াও কৃষক মোঃ মামুন এর জমিতে ব্রি ধান১০৩ এর ফসল কর্তন করা হয় যেখানে প্রতি বিঘাতে ২৩.৫ মন ফলন পাওয়া গেছে যা প্রচলিত স্বর্ণা জাতের চেয়ে বেশী।
পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরা পর্যায়ে এর প্রভাব পড়েনি। চলতি সপ্তাহের গত রোববার থেকে পাইকারিতে মানভেদে পেঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আগের দামে, অর্থাৎ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ভোক্তারা অভিযোগ করে বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে ব্যবসায়ীদের কারসাজি নতুন কিছু নয়। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দেন। দেশে পেঁয়াজের উচ্চ ফলনের দাম সেভাবে কমেনি। এখন সরকার আমদানির ঘোষণায় তড়িঘড়ি করে দাম কমিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলোতে গত সপ্তাহে আকার ও মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। সব মিলিয়ে এক মাসের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছিল। তবে গত রোববার থেকে সেই দাম ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকায়। পাইকারি বাজারে প্রায় পাঁচ ধরনের পেঁয়াজ মিলছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোটটা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এরপর আকারভেদে ৯৫, ৯৭, ৯৮ ও ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এখনো তার প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। খুচরা দোকানগুলোতে এখনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানির অনুমতির খবরে সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। দু-দিন আগেও যেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ এখন কমে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেটির প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রামেও
খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মেসাস কাজী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. জাবেদ ইকবাল বলেন, ‘পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করছি আগামী কয়েকদিনে আরও কমবে
তবে খাতুনগঞ্জের পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়েছে, তাই আমদানির অনুমতি না দিলেও সমস্যা হবে না। তা পেঁয়াজের দাম বাড়ার আশঙ্কা নেই। এছাড়া চাহিদা কিছুটা কমে যাওয়া এবং আমদানির ঘোষণায় পাইকারি পর্যায়ে দাম সামান্য কমেছে।
এদিকে হামিদুল্লাহ মিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস বলেন, চাহিদা কম এবং আমদানির ঘোষণার কারণে পাইকারিতে বাজার একটু কমেছে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে এলে দাম ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।
একই কথা বলেছেন চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. আবুল কাশেম। তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দেশীয় পেঁয়াজের উৎপাদনও ভালো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। তাই পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই!
নগরের চকবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মো. এরফান দৈনিক বাংলাকে জানান, আমরা এখন ১২০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম কমেছে শুনেছি, কিন্তু আমাদের আগের কেনা মাল আগের দামে করতে হচ্ছে।
জানা গেছে, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি-১ (তাহেরপুরী), বারি-২ (রবি মৌসুম), বারি৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত ৪ লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
দেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় সরকার সীমিত পরিসরে আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানির ঘোষণায় পাইকারি বাজারে সামান্য প্রভাব পড়লেও খুচরায় কোনো পরিবর্তন হয়নি। চাহিদার তুলনায় দেশীয় উৎপাদন কম থাকায় কয়েক বছর আগেও দেশে প্রতি বছর ৫৬ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হতো। একসময় আমদানি হতো ১০ লাখ টনেরও বেশি। তবে সাম্প্রতিক সময় আমদানি নির্ভরতা কমেছে।
রাঙামাটিতে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকী দলিল রেজিস্ট্রি চালুর দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির উদ্যোগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু না হলে, আগামী ৩০ নভেম্বর রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচী পালন করা হবে। এর পরও যদি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হয়, তবে বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটি পুরো রাঙামাটি জেলায় শাটডাউন, হরতাল ও অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিটি।
বাজার ফান্ড ভূমি অধিকার সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম পনিরের সভাপতিত্বে ও সদস্য কামাল হোসাইনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম শাকিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুল হক, রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আব্দুল মান্নান, রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় কল্যাণ সমিতির সহসভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, বৃহত্তর বনরুপা ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, রাঙামাটি করাতকল সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন, রাঙামাটি রিজার্ভ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সহ বিভিন্ন স্তরের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, সরকারি কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও রহস্যজনক কারণে গত ৬ বছর ধরে পার্বত্যাঞ্চলের বাজার ফান্ড এলাকায় ঋণ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে না, পাশাপাশি বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর ও বন্ধকি দলিল রেজিস্ট্রি কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে অত্র অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। তাই পাহাড়ের বাজার ফান্ড অধিভুক্ত নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার জন্য দ্রুত বাজার ফান্ডের ভূমি হস্তান্তর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম চালু করার আহ্বান জানান বক্তারা।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় জান্নাতুল ফেরদৌস জিম (১৭) নামে একজন কলেজ শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহত জিম উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান সৌদি আরব প্রবাসী জসিমের মেয়ে।
জানা যায়, মৃত জিম চলতি বছরে রাজবাড়ী মহিলা কলেজ হতে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়। পরবর্তীতে সে পরীক্ষায় পাস করার নিশ্চয়তা নিয়ে বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ নভেম্বর পরীক্ষার ফলাফল অকৃতকার্য আসে। এ ব্যাপারে তার মন খুবই খারাপ থাকায় বাড়ির কারোর সাথে তেমন কথা বলতেন না। এমতাবস্থায় গত ১৭ নভেম্বর রাতের খাবার খেয়ে তার ছোট বোন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া জিতুর সাথে তাদের মায়ের পাশের রুমে ঘুমাতে যান। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে মৃতের ছোট বোনের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিলে পাশে বিছানায় হাত দিয়ে তাকে দেখতে না পেয়ে পাশের রুমে তার মা শামীমা আক্তারকে ডাক দিলে তার মা বোন জীমকে ডাকতে বললে প্রতি উত্তরে জিতু বলে জিমকে ঘরে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাৎক্ষণিক তার মা তাদের ঘরে এসে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন জিম গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
মৃতের মা মোছাম্মদ শামীমা আক্তার জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ওসি আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ঘটনার থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।