সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

মাঠেই তৈরি হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট

সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড়সংলগ্ন হাট পোড়াবাড়ী গ্রামের মাঠে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করছেন টুক্কু মোক্তার। গতকাল রোববার তোলা। ছবি: দৈনিক বাংলা
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত
গোলাম মোস্তফা, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর, ২০২২ ১০:৫২

রিং বা চারিতে (এক ধরনের পাত্র) নয়, এবার মাঠেই তৈরি হচ্ছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার। সিরাজগঞ্জ সদরের কৃষক ও খামারি টুক্কু মুক্তারসহ বেশ কয়েকজন এই সার উৎপাদন করে সফল হয়েছেন।

জেলায় সবার আগে কড্ডার মোড়সংলগ্ন হাট পোড়াবাড়ী গ্রামের টুক্কু মুক্তার গত বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সরকারি বরাদ্দে তিনটি রিং দিয়ে প্রাথমিকভাবে শুরু করেছিলেন কেঁচো সারের খামার। পরে কিছুটা সফলতা দেখতে পেয়ে কেঁচো সারের ওপরে আবারও প্রশিক্ষণ নেন। এবার সরকারি বরাদ্দে ২০টি রিং দেয়া হয়। কিন্তু টুক্কু মুক্তারের কাছে এভাবে রিং পদ্ধতিতে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট তৈরি ব্যয়বহুল মনে হচ্ছিল। তাই অল্প খরচে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতি খুঁজতে থাকেন গুগল ও ইউটিউবে। অবশেষে ভিয়েতনাম পদ্ধতি ফলো করে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করে তিনি সাড়া ফেলে দেন এলাকাবাসীর মধ্যে।

টুক্কু মুক্তার বলেন, ‘ভিয়েতনাম পদ্ধতিতে কেঁচো সার তৈরি করে আমি খুব সহজেই লাভবান হয়েছি। সর্বোচ্চ কেঁচো সার ও কেঁচোর প্রোডাকশন পেয়েছি। এটি রিং পদ্ধতির চেয়ে অনেকটাই সাশ্রয়ী। যেখান থেকে আমি টনকে টন কেঁচো সার উৎপাদন করতে পারছি।’

টুক্কু বলেন, তার তৈরি কেঁচো সারের গুণের কথা ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জসহ বাইরের জেলাতেও সাড়া ফেলে দিয়েছে। কেঁচো সারের সবচেয়ে বড় উপকরণ গোবর। নিজের গো-খামার থেকে এবং পাশে যারা গো-খামারি রয়েছেন তাদের কাছ থেকে গরুপ্রতি ১০০ টাকা মাস হিসেবে দিয়ে এই গোবর সংগ্রহ করেন।

টুক্কু আরও জানান, ড্রাগনচাষি, ছাদবাগানি ও সবজিচাষিরা অগ্রিম টাকা দিয়ে তার কাছ থেকে কেঁচো সার কেনেন। বর্তমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা এই সারের দিকে ঝুঁকেছেন। এক কেজি কেঁচো সারের বর্তমান দাম ১৫ টাকা। আর এক কেজি কেঁচোর দাম ১ হাজার টাকা।

তেঁতুলিয়া গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর তার ড্রাগন ফলের জমিতে কেঁচো সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তিনি একই জমিতে বাঁধাকপি, ফুলকপি চাষ করেন। এই সার ব্যবহার করায় জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহার করতে হয়নি।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, সিরাজগঞ্জ ভাঙনকবলিত এলাকা। এখানকার মাটি বেলে। মাটিতে মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে জমিতে আর বেশি কেঁচো দেখা যায় না। কেঁচো সার ব্যবহারে মাটিতে পুষ্টি উপাদান যুক্ত হয়, পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

রোস্তম আলী বলেন, অন্যান্য কম্পোস্টের চেয়ে কেঁচো কম্পোস্ট প্রায় ৭ থেকে ১০ ভাগ পুষ্টিমান বেশি থাকায় মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং ফসল উৎপাদনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। উপকারিতা পাওয়ায় দিন দিন এর চাহিদা বাড়ছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, জেলায় ভিয়েতনাম পদ্ধতিতে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, একটি আদর্শ ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সারে ১.৫৭ শতাংশ নাইট্রোজেন, ২.৬০ শতাংশ পটাশ, ০.৬৬ শতাংশ ম্যাগনেশিয়াম, ১.২৬ শতাংশ ফসফরাস, ০.৭৪ শতাংশ সালফার, ০.০৬ শতাংশ বোরন রয়েছে। অর্থাৎ একটি উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও ফলন বৃদ্ধির জন্য যে কয়টি উপাদান অত্যাবশ্যক তার সবই এতে বিদ্যমান। এটা জমিতে ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় না।


একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।


চাঁদপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে শিয়ালের কামড়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শনিবার (২৮ জুন) ভোরে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের বেপারীসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, গ্রামের একটি নির্জন জঙ্গলে মাটির গর্তে ১৫ থেকে ২০টি শিয়ালের একটি বাসা রয়েছে। সেখান থেকে শনিবার ভোরের দিকে দুটি শিয়াল বেরিয়ে এসে পাশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে কামড়াতে শুরু করে। এতে ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে দুজনকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

গ্রামবাসীর ধারণা, শিয়াল দুটি ক্ষুধার্ত ছিল বলেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালাম বেপারী ও কবির হোসেন মোল্লা ইউএনবিকে জানান, ভোরে লোকজন ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসার পর, রাস্তায় থাকা দুটি শিয়াল একত্র হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই হঠাৎ করে কামড়ে দিয়েছে। অনেকে হাতে পাওয়া লাঠিসোটা দিয়ে প্রতিহত করে রক্ষা পান।

কালাম বেপারীর দেওয়া তথ্যমতে আহতদের মধ্যে আছেন— বেপারী বাড়ির মৃত গফুর বেপারীর ছেলে বারেক বেপারী (৬০), মহসিনের ছেলে রনি (২০), কালাম বেপারীর ছেলে জসিম বেপারী (৩০), মৃত শাহালমের ছেলে রেহান (২০), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে হাছান বেপারী (১৫), পণ্ডিত বাড়ির মিজির ছেলে রুবেল (৪০), মৃত লতিফ বেপারীর ছেলে আবু তাহের (৪০), আবু মিয়ার ছেলে লতিফ, রুহুল আমিনের ছেলে রুবেলসহ আরও কয়েকজন।

আরেক ইউপি সদস্য আবু তাহের বলেন, ‘শিয়ালের কামড়ে বারেক বেপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বন্যপ্রাণী আইন রক্ষা করে কীভাবে শিয়াল প্রতিহত করা যায়, তা নিয়ে আমরা গ্রামবাসী মিলে চিন্তা করছি।’

এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেওয়া আমাদের কাজ। কিন্তু জনবল না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরে দিলে আমরা বনে অবমুক্ত করে দেব।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।


কুলাউড়ায় মাদক সেবনের দায়ে তিনজনের কারাদণ্ড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে তিনজন মাদকসেবীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন। অভিযানে তাকে সহযোগিতা করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল।

রবিবার (২৯ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান। তিনি জানান, মাদক সেবনের অপরাধে লস্করপুর এলাকার মাছাদ আহম্মদ (৩০), মাগুরা এলাকার জুলহাস (৩৫) ও জয়পাশা এলাকার শিমুল হোসেন আক্তারকে (৩৫) বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়। পরে মাছাদ ও জুলহাসকে তিনদিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড এবং শিমুলকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।


কুমিল্লায় বসতঘরের দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

ফজর আলী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে বসতঘরের দরজা ভেঙে এক নারীকে (২৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২৯ জুন) ভোর ৫টার দিকে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফজর আলী (৩৮) কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের পুর্বপাড়ার বাসিন্দা।

ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামের অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু।

কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান তাদের আজ সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দিবাগত রাতে মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রামে এই ধর্ষণকাণ্ড ঘটে।

ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা আলোচনার জন্ম দেয়। নেটিজেনরা ব্যাপক সমালোচনা করে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

এরপর ঘটনার ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের দায়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশ। পরে আজ ভোরে সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার হন ফজর আলী।

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় ফজর আলীকে প্রধান আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা করেন করেন। তবে ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করে যারা সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদের মধ্য থেকে আরও চারজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে রামচন্দ্রপুর পাঁচকিত্তা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয়দের হাতে আটক হন ফজর আলী। পরে তাকে মারধরও করে বিক্ষুব্ধরা। তবে আহত অবস্থায় তিনি পালিয়ে যান।

ঘটনার পরপরই উপস্থিত কয়েকজন ধর্ষণের শিকার নারীর ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়। সেই সময়ই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর মূল আসামিকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

ভুক্তভোগী নারী ১৫ দিন আগে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।


আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন সংক্রমণে নিশ্চুপ প্রশাসন

বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ১ থেকে ৬ মাস বয়সী গরু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ছোঁয়াছুঁয়ি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে বাছুরের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কোরবানির ঈদের আগেই এর সংক্রমণ প্রকোপ ছিল বলে জানা যায়। তবে এলএসডির সংক্রমণ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।

রোগটি সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে, শরৎ বা বসন্তের শুরুতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এবার অনেকটা আগেভাগেই এর সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে খামারিসহ সাধারণ মানুষের।

উপজেলার তোড়িয়া, ধামোর আলোয়াখোয়া ও বলরামপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ রোগে গরুর মৃত্যুও হচ্ছে। যার সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক ছাড়িয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, গত দুই দিনে উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১৫টিরও বেশি বাছুরের। পার্শ্ববর্তী আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়ও মারা গেছে ১০ থেকে ১২টি বাছুরের। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং মৃত্যুও হচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তার বাছুরের প্রথম দিকে জ্বর ছিল প্রায় ১০৪°-১০৬° তাপমাত্রা। অতিরিক্ত জ্বরের জন্য মুখ ও নাক দিয়ে লালা পড়ে, পা ফুলে যায় এবং দুই পায়ের মাঝখানে পানি জমে। ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে। পরে পিণ্ডাকৃতির স্থানে লোম উঠে গিয়ে ক্ষত হওয়া শুরু করে বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাছুরটি মারা যায়।

তবে, এই রোগকে পুঁজি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন পল্লী পশু চিকিৎসকরা। তাদের এই অসাধু চিন্তার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো নজরদারি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, কারিয়াল (পল্লী পশু চিকিৎসক) আসার সঙ্গে সঙ্গে ৩-৪ টা ইনজেকশন দিয়ে দেন। তাতেই ভিজিট দিতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা। কী ওষুধ দেন না দেন আর কিছু ওষুধের নাম লিখে দিয়ে চলে যান। তারা বর্তমানে টাকার পেছনে ছুটছেন। আমাদের এলাকার অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে- তবে এর মধ্যে বাছুরের সংখ্যা ৯০ ভাগ।

এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোসা. সোয়াইবা আখতার জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ১ থেকে ৬ মাস বয়সি বাছুরের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এটি ভাইরাসংঘটিত হওয়ায় এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এরপরও যদি কোনো প্রাণী আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিপাইরেটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। আর আক্রান্ত প্রাণীর নডিউল বা গুটি ফেটে গেলে সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়েটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওই সব একাডেমিক লাইসেন্সহীন, অদক্ষ, পল্লী পশু চিকিৎসক ও ড্রাগ লাইসেন্সহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


বাংলাদেশে বজ্রপাতে বছরে প্রাণ হারান ৩৫০ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা রাইমসের (রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে শনিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩.৩৬ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে।

সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) পূর্ণাঙ্গ একটা অধিদপ্তর করার কাজ চলছে। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য না, সব দুর্যোগের জন্য যে অধিদপ্তর হবে- সেটা হবে সিপিপি। এর কাজ হবে সারাদেশে সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য স্থানীয় ভলেন্টিয়ারকে যুক্ত করা। শুধু একটা বিষয়ে জন্য না, সমস্ত বিষয়ের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।’

বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকতে অনুষ্ঠানে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়-

  • আকাশ মেঘলা হলে বা বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলে দ্রুত ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে।
  • বাইরে অবস্থান করলে আশ্রয় না পেলে নিচু হয়ে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। মাটিতে শুয়া যাবে না।
  • জলাশয়ে থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে অবস্থান করতে হবে।
  • ছই না থাকলে নৌকার পাটাতনে যতটা সম্ভব কম স্পর্শ রেখে বসতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে ও জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • গাছের নিচে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক।
  • ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে।

বজ্রপাতের সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ:

  • উন্মুক্ত স্থানে টানানো তাঁবু
  • চারপাশ খোলা চালাযুক্ত স্থান
  • খোলা ও ধাতব কাঠামোর যাত্রী ছাউনি
  • ছাতা ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ

সেমিনারে আরও বলা হয়, বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই মুহূর্ত থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় নিরাপদ থাকার জন্য।


পদ্মায় ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাঘাড়

৭৭ হাজার টাকায় বিক্রি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ৫০ কেজি ওজনের বড় আকৃতির একটি বাঘাড় মাছ।

গতকাল শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকায় জেলে সিদ্দিকুর রহমানের জালে মাছটি ধরা পড়ে। নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে তার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।

জানা গেছে, জেলে সিদ্দিকুর রহমান তার সঙ্গীদের নিয়ে দুপুরে পদ্মায় মাছ ধরতে যান। তারা নদীতে জাল ফেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে জালে একটি বড় বাঘাড় মাছ আটকা পড়ে। বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া মাছ বাজারে নিয়ে যান। সেখানে রেজাউলের আড়তে উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে নেন।

চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা বলেন, বড় বাঘাইড় মাছটি নিলামে উঠলে আমি ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। মাছটি আমার আড়ৎ ঘরে এনে ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। এটি বিক্রির জন্য এখন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কেজিপ্রতি অল্প কিছু টাকা লাভ হলেই মাছটি বিক্রি করে দেব।


কেরানীগঞ্জে টিস্যু ব্যাগ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৪০ লাখ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার বেগুনবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন একটি টিস্যু ব্যাগ ও স্কিন প্রিন্টিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা কাজল মিয়া জানান, আমরা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার মালিক মোঃ হাফিজ দাবি করেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে তার আল্লাহর দান স্কিন প্রিন্ট’ নামের কারখানার মেশিনপত্র, উৎপাদিত টিস্যু ব্যাগ, অফিস কক্ষ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পানি বাহী গাড়ি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।


ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদনের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিংকরণে অংসঙ্গতি থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন

কিশোরগঞ্জ জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রট আরিফুল ইসলাম।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো.আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা সংকর দাস প্রমুখ। এসময় ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্পের র‍্যাব সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার বুশরা ফুড এন্ড বেভারেজ মালিক

আব্দুল কাদিরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া নকল চিপস উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার চাদনী বেকারির মালিক রুমান মিয়াকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা বিস্কুট ও কেক উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, এছাড়া ঘোড়াকান্দা এলাকার মালেক এন্ড কোং ফুড প্রডাক্টসের মালিক মো.গোলাম রহমানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা, চানাচুর খাদ্য উৎপাদন ও মোড়ক তৈরিতে অংসঙ্গতি থাকার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, ভৈরব শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মালেক ফুড প্রোডাক্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা ও চেনাচুর উৎপাদনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে তিনি জানান।


চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকিদাতা আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেফতার

আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৫ ২১:৪৩
বাসস

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া মো. আলমগীর হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ জুন) ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহসিনের বাড়ির মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আলমগীর হোসেন তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেন। এছাড়াও তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। সেই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পেছনে কোনো উসকানি কিংবা ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আলমগীরের মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করা হবে।


শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু চুরি: এলাকাবাসির বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুর জেলা শহরের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তিনদিনের নবজাতক কন্যা শিশু চুরি হয়েছে। শিশু ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে হাসপাতালের সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।

চুরি হওয়া নবজাতক শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলি মহল্লার ফিরোজ মিয়া ও আবেদা বেগম দম্পত্তির কণ্যা সন্তান।

২৮ জুন সকালে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলি মহল্লার ফিরোজ মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী আবেদা বেগম সিজার করার জন্য শহরের বটতলার বেসরকারী ক্লিনিক ইউনাইটেড হাসপাতালে ২৫ জুন রাত আটটার সময় ভর্তি হয়। পরে সেখানে সিজারের মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। ২৮ জুন সকাল নয়টার সময় এক অজ্ঞাত মহিলা ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে চাপাতলি এলাকা থেকে শতাধিক নারী পুরুষ হাসপাতালে সামনে এসে বিক্ষোভ করে।

এসময় স্বজন ও এলাকাবাসি চুরি হওয়া নবজাতক ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

নবজাতকটির বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, কোথায় থেকে আমার সন্তান এনে দিবে সেটা আমি জানি না। আমি আমার সন্তান ফিরে চাই, আমি অন্য কিছু চাইনা। হাসপাতাল থেকে আমার সন্তান চুরি হয়েছে।

ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম জানান, শিশু চুরির বিষয়টি তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ শিশুটি উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। এখনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রায় ২দিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহার,পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মোটর মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে পাবনা থেকে ঢাকা রুটে ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

২৮ জুন দুপুরে পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার পর আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। মোটর মালিক গ্রুপ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতিসহ তিনটি সংগঠনকে ডাকা হয়। আজ সকাল থেকে পাবনা-ঢাকা রুটে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি সব সমস্যার সমাধান হবে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ধর্মঘট থাকায় পাবনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাস না পাওয়ায় অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে ঢাকায় ফিরেছেন। অনেকে গাড়ি না পেয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সকাল ৬টা থেকে আগের নিয়মেই দূরপাল্লার বাস ঢাকায় যাচ্ছে। পাবনার ডিসি স্যার ও সিরাজগঞ্জের ডিসি স্যার সমাধানের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা সম্মিলিতভাবে বসে গতকাল রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আপনাদের ফোনের মাধ্যমে আমি বিষযটি জানি এবং তাৎক্ষণিক সমাধান করি। মোটর মালিকরা বাস বন্ধ করে নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। না পেরে রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছেন। এরপর আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওদের সঙ্গে মিটিং করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করিয়েছি।


রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


banner close