বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা বাংলাদেশি ট্রলার ওপর গুলি চালিয়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা। এতে একজন জেলে নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামক বঙ্গোপসাগরের মোহনায় গতকাল বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনী ৬০ জন মাঝি-মাল্লাসহ ৬টি মাছ ধরার ট্রলার অপহরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
জানা গেছে, নিহত হওয়া জেলের নাম মো. ওসমান। শাহপরীরদ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচু মিয়ার ছেলে তিনি।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুস সালাম বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, ৬টি ট্রলার সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যায়, এ সময় মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলি চালায়। এতে একজন মারা যায়। এ ছাড়া আরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়।
গুলির মুখে পড়া ট্রলার মালিক সাইফুল জানিয়েছেন, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলি বর্ষণ করে। এরপর ৬টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে নিয়ে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তার মালিকাধিন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়। বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীরদ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছেনি।
আহত জেলে মোহাম্মদ রফিক বলেন, অলি আহমেদ ট্রলার নিয়ে গত চার দিন আগে ১০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাই। আজ (বৃহস্পতিবার) ফেরার পথে সাগরে মিয়ানমারের অংশ অবস্থান নেওয়া মিয়ানমারের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ সংকেত দিয়ে তাদের দিকে যেতে বলে। ওটা মিয়ানমারের জলসীমা হওয়ায় তারা সেন্টমার্টিন দ্বীপের দিকে চলে আসতে থাকে। এ সময় পরপর গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হন। আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন অন্যরা অক্ষত আছে।
এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, সেন্টমার্টিনের অদূরে বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমারের সীমান্তে নৌবাহিনীর গুলিতে একজন নিহত এবং আরও তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় বিস্তারিত খেঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ২৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) ২০২৫ তারিখে জনাব নেপাল কান্তি দেব, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নরসিংদী -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -নরসিংদী, জোবিঅ -নরসিংদী আওতাধীন হাজীপুর বউ বাজার ও হাজীপুর পশ্চিমপাড়া, দত্তপাড়া (পূর্ব ও পশ্চিম), নরসিংদী এলাকার ৫টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, ৩টি বেকারীর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ৩/৪" জি আই পাইপ ৬০ ফুট, ৩/৪'' এম এস পাইপ ৫০ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এ সময়, সর্বমোট ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা অর্থ দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ লাইন সম্পূর্ণ উচ্ছেদ / অপসারণকরতঃ বিতরণ লাইনের উৎস পয়েন্ট হতে কিল করা হয়েছে।
একই দিনে, জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ, জোবিঅ -মুন্সীগঞ্জ আওতাধীন মুক্তারপুর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ সদর, মুন্সীগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, মেসার্স তন্মম ফিশিং নেট ইন্ডা. লি.(গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৫১) ঠিকানা: মুক্তারপুর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ, আলমদিনা বোর্ড মিলস লি., (গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৩৭) মেসার্স বিসমিল্লাহ বোর্ড মিলস লি.(গ্রাহক সংকেত: ৩৭০-০০৫১) ঠিকানা: মিরেশ্বর, পঞ্চসার, মুন্সীগঞ্জ, মেঘনা ফেব্রিক্স লি.(গ্রাহক সংকেত ৩৮০/৮৭০-০০৩৫) ঠিকানা: সরকারপাড়া, মুন্সীগঞ্জ -এর সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ ০১ টি আবাসিক রেগুলেটর, প্লাস্টিক হোজ পাইপ ২৫০ ফুট এবং ৩/৪" এমএস পাইপ ৩ ফুট অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। এতে মাসিক ৪,৪০,০০০/- টাকার গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ লাইন সম্পূর্ণ উচ্ছেদ / অপসারণকরতঃ বিতরণ লাইনের উৎস পয়েন্ট হতে কিল করা হয়েছে। এছাড়া, স্থায়ী বিচ্ছিন্নকৃত শিল্প গ্রাহক মেসার্স তন্ময় ফিশিং নেট ইন্ডা. লি.; এর গ্রাহক আঙিনা পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে, পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবাসিক রাইজার হতে হোজ পাইপের মাধ্যমে ০১ টি বয়লারে গ্যাস ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়। ততপ্রেক্ষিতে, প্রায় ২৫০ ফুট হোজ পাইপ জব্দ করা হয়েছে এবং আবাসিক রাইজারটি কিলিং/ক্যাপিং করা হয়েছে। গ্রাহকের পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত ভাল্পপিট এর চাবিতে ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে ট্যাগিং করে স্থায়ীভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এছাড়া, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এণ্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ -নারায়ণগঞ্জ -এর বিশেষ অভিযানে, জোবিঅ-ভৈরব ও জোবিঅ -নরসিংদী আওতাধীন এলাকার ৮টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে, বেলাবো ফিলিং স্টেশন, এমডি জব্বার জুট মিলস গ্রাহকের হাউজ লাইন ভূমির নিচে পরিলক্ষিত হয় যা দৃশ্যমান করার জন্য গ্রাহককে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়। রাজা ফুড প্রোডাক্টস, রাজা সোপ, বাবুল কেমিক্যাল ওয়ার্কস, খাজা বেকারি, ফাইন মুড়ি ফ্যাক্টরি, মেসার্স বাবুল কেমিক্যালস, শিল্পী টেক্সটাইল, সোবহান টেক্সটাইল এন্ড প্রিন্টিং প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শনকালে কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়নি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়ি উন্নয়নের জন্য জেলার এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ বুধবার রেল মন্ত্রণালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরের সিঁড়িটি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। এখানে সনাতন ধর্মের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। এজন্য সিঁড়িটির উন্নয়নের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
শফিকুল আলম বলেন, আজ রেল ভবনে তিন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের আগে মন্দিরের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল সড়ক উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেছে।
তিন উপদেষ্টার সভা থেকেই এলজিআরডি সচিবকে চন্দ্রনাথ মন্দির উন্নয়নের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, চন্দ্রনাথ মন্দিরকে ঘিরে যেন কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি না হয় সেজন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সতর্কতার সাথে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যে কোনো পক্ষই কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর হাতে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ বিষয়ে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
রেল ভবনে আজকের বৈঠকে যে তিন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন তারা হলেন সড়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং ধর্ম উপদেষ্টা আ. ফ. ম খালিদ হোসেন।
প্রেস সচিব বলেন, রেল ভবনে আজ তিন উপদেষ্টার উপস্থিতিতে খিলক্ষেতে একটি শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও দুটি মসজিদ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে স্থায়ী জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
বরাদ্দের দলিল পত্র মন্দির ও মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-তে আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়েছে।
দিনটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে। ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানসহ অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হন। সেখান থেকে কবির সমাধির উদ্দেশে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়, এরপর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়।
পরে কবির সমাধির পাশের খোলা মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান সভাপতিত্ব করেন।
এছাড়া ফজরের নামাজের পর কবির আত্মার মাগফেরাত কামনায় ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদ ‘মসজিদুল জামিয়া’-তে কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জয়পুরহাটের কালাইয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ, অনুমোদনহীন, অনিরাপদ খাদ্য ও পণ্য সংরক্ষণ এবং বিক্রির দায়ে ৬ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পাঁচশিরা ও উপজেলার নুনুজ বাজারে এ জরিমানা করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)মো. ইফতেকার রহমান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, কালাই পাঁচশিরায় একটি বেকারির প্রতিষ্ঠানে ও নুনুজ বাজারে তিনটি দোকানে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার আইনে মোট ৪টি দোকানে ৯৫০০ টাকা, পেট্রোলিয়াম আইন ২০১৬ অনুযায়ী ১টি দোকানে ১৫০০ ও ধূমপান এবং তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি দোকানে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিমা আক্তার জাহান বলেন, বিভিন্ন দোকানে অনেক খাবার আছে যা মানুষের বা শিশুদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এজন্য আমরা এ অভিযান পরিচালনা করেছি। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নওগাঁর পোরশায় আমন ধানের জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে বিনষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। রোববার (২৪ আগষ্ট) রাতের কোন এক সময় উপজেলার খরপা গ্রামের মাঠে স্বর্না-৫ জাতের ধানে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। এতে ৭ জন কৃষকের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন আবু সাঈদ নামে এক ভুক্তভোগী কৃষক।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা যায়, গত ৩ বছর থেকে উপজেলার খরপা গ্রামের জামাল, সায়েম, কালাম, সালাম ও আবু সাঈদ সহ ৭ জন তাদের আত্মীয়স্বজন মিলে মাঠে ১০ বিঘা জমি চাষাবাদ করছেন। এ বছরও ওইসব জমিতে আমন মৌসুমে স্বর্না-৫ জাতের ধান রোপন করেছেন। আর দেড়-দুই মাস পর ওইসব ধান কৃষকদের ঘরে উঠার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই রোববার রাতের আধারে প্রতিপক্ষরা পুরো জমিতে ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করেছে। এতে জমির সব ধানের গাছ শুকিয়ে গেছে। ধানের গাছ মরে যাওয়া হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষীরা। অর্থনৈতিক ভাবেও তারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
তবে ঘটনায় স্থানীয় আব্দুল মান্নান চৌধূরী, আব্দুল লতিফ ও ইসমাঈল হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
ভুক্তভোগী কৃষক সেকেন্দার বলেন- সোমবার সকালে জমিতে ফসল দেখতে গিয়েছিলাম। দেখা যায় জমিতে ধানের গাছ কোথাও সবুজ আবার কোথাও পাতা শুকিয়ে আছে। বেলা যত বাড়ছে ধানের গাছ ততই শুকিয়ে যাচ্ছে। দিনের মধ্যে প্রায় সব জমির ধান শুকিয়ে মরে গেছে। এখন সবগুলো ধানের গাছ মরা হয়ে আছে।
আরেক কৃষক কালাম বলেন- প্রতি বিঘা জমিতে আবাদ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭-৮ হাজার টাকা। আর দেড় মাস পরই এসব ধান ঘরে উঠার কথা ছিল। বিঘাতে ফলন পাওয়া যেতো অন্তত ২০-২২ মন। বর্তমানে ধানের দামও ভাল আছেন ১৪শ থেকে ১৬শ টাকা মন। ধান আর ঘরে উঠবে না।
অভিযোগকারী কৃষক আবু সাঈদ বলেন- আমরা ৩ বছর থেকে ওইসব জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। রাতের আধারে প্রতিপক্ষসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৭ জন শ্রমিক দিয়ে ধানে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে। আমরা অর্থনৈতিক ভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। এতে আমাদের প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছি। বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অপরাধিদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের দাবী করছি।
এ ব্যাপারে আব্দুল মান্নান বলেন, ওই জমি চাচাতো ভাইদের। তারা নওগাঁ শহরে বসবাস করে এবং ওই জমি দেখভাল করে। যারা অভিযোগ করছে তারাই জমি দখল করে ধান রোপন করেছে। বর্গাদারদের তারা মারধর করে আহত করেছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে। জমি দখল বা ফসল নষ্টের সাথে আমার কোন সম্পৃক্তা নাই।
উপজেলার মর্শিদপুর ইউনিয়নের উপসহকারি কৃষি অফিসার সেলিম রেজা বলেন, জমিতে আগাছা নাশক কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে। এতে জমির প্রায় ৭০ শতাংশ ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের গাছে বেশি পরিমান পানি দিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিঘায় যেখানে ২০-২২ মন ফলন হওয়ার কথা ছিল সেখানে ৫-৭ মন ফলন হতে পারে। মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। কিন্তু ফলস নষ্ট করা মোটেও ঠিক হয়নি।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু রহমান বলেন- বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য পুলিশ পাঠানো হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপিসহ দুই বাংলাদেশিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর সীমান্তের খোসালপুর এলাকা থেকে তাদের দু’জনকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওলিয়ার শেখ (৩৭) ও তার শিশু পুত্র আমান শেখ (০৫) কে মহেশপুর থানায় সোপর্দ করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ওলিয়ার শেখকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমান শেখ শিশু হওয়ায় তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ওলিয়ার শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার বেশরগাতী গ্রামের শামসুল হকের পুত্র।
আজ বেলা ১১টায় মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক মুন্সি ইমদাদুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খোসালপুর বিওপির নায়েক দীনবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে সীমান্ত পিলার-৬০/১০৫ এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এসময় ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপিসহ ওলিয়ার শেখ নামে এক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়। ওলিয়ার শেখের ৫ বছর বয়সী শিশু সন্তান আমান শেখ এসময় তার সঙ্গে ছিল। পরে দুজনকেই মহেশপুর থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
বিজিবি আরও জানায়, ২০১৪ সাল থেকে ওলিয়ার শেখ ভারতের বিহারে বসবাস শুরু করেন। সেখানে তিনি দর্জির কাজ করতেন। ২০১৭ সালে বিহারের আরাবিয়া থানার এক নারীকে বিয়ে করেন ওলিয়ার। বিয়ে করার পর ২০২২ সাল থেকে বাগেরহাট সদর উপজেলার মারুফ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়মিত ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করতেন ওলিয়ার। ওই জাল রুপি তিনি ভারতে বসবাসকালে নিয়মিত ব্যবহার করতেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করে ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে মারুফের কাছ থেকে ৫ লাখ ৪ হাজার ভারতীয় জাল রুপি সংগ্রহ করেন ওলিয়ার শেখ। ওই রুপি নিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টাকালে তিনি বিজিবির হাতে আটক হন।
মহেশপুর থানার ওসি সাজ্জাদুর রহমান বাসসকে বলেন, ভারতীয় জাল রুপিসহ আটক ওলিয়ার শেখের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আটক ওলিয়ার শেখের শিশু পুত্র আমানকে মানবিক দিক বিবেচনায় পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে।
গরু চোর চক্রের দুই সদস্য সোহান শেখ (২৩) ও সাগর শেখ (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে কোটালীপাড়া থানা পুলিশ।
সোমবার (২৫ আগস্ট) রাতে কোটালীপাড়া থানার এসআই সাদ্দাম হোসেন খান দিপ্তরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোটালীপাড়া ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গরুচোর চক্রের এই দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত গরুচোর মোঃ সোহান শেখ গোপালগঞ্জ জেলা সদরের মানিদাহ গ্রামের মৃত হানিফ শেখের ছেলে, এবং সাগর শেখ কোটালীপাড়া উপজেলার ধোরাল গ্রামের কাজল শেখের ছেলে। মঙ্গলবার তাদেরকে কোটালীপাড়া থানায় দায়েরকৃত গরু চুরির মামলায় আটক দেখিয়ে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন খান দিপ্ত জানান, গত ২৮ জুলাই গভীর রাতে উপজেলার আমতলী ইউনিয়নের পুর্বপাড়া গ্রামের সঞ্জয় মুখার্জীর একটি কালো রঙের গাভী ও কুশলা ইউনিয়নের লাখিরপাড় গ্রামের সুভাষ বিশ্বাসের একটি লাল রঙের বকনা গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় পুর্বপাড়া গ্রামের লোকদের ধাওয়া খেয়ে চোরেরা গরুসহ গাড়ী রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই পুর্বপাড়া গ্রামের সঞ্জয় মুখার্জি বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
তিনি আরো জানান, এই মামলার পর গরু চোর চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে গরু চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মোঃ সোহান শেখকে গোপালগঞ্জ ও সাগর শেখকে কোটালীপাড়া থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই গরু চুরির সিন্ডিকেট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত সোহান গরু চুরির ঘটনায় চোর চক্রদের গাড়ি সরবরাহ করতেন অন্যদিকে সাগর শেখ সরাসরি গরু চুরিতে অংশ নিতো। পুরো গরু চোর চক্রদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অবস্থিত পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথরে পাথর লুটপাটের পর একযোগে পুলিশের ২২ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার আলোচিত ১১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
সোমবার (২৫ আগস্ট) জেলার বিভিন্ন থানায় কর্মরত ২২ সদস্যকে রদবদল করা হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানানো গেছে। বদলি হওয়া ২২ জনের মধ্যে ১৩ জন এসআই, ৭ জন এএসআই এবং ২ জন কনস্টেবল।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলার ২২ পুলিশ সদস্যকে নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবেই বদলি করা হয়েছে। বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানার তিনজন এসআই ও একজন এএসআই এবং গোয়াইনঘাট থানার চারজন এসআই ও তিনজন এএসআইকে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বদলি হওয়া অন্যরা বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার থানা এবং গোলাপগঞ্জের কুশিয়ারা পুলিশ তদন্তকেন্দ্র ও সিলেটের মোটরযান শাখার কর্মরত পুলিশ সদস্য।
কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানা থেকে ১১ জনকে অন্যত্র বদলি করার পাশাপাশি জেলার অন্য থানা থেকে এ দুটি থানায় নয়জনকে বদলি করা হয়েছে । এর মধ্যে তিনজনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এবং ছয়জনকে গোয়াইনঘাট থানায় যোগদানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১৩ আগস্ট কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথরে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানের পর প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাদাপাথর এলাকায় পাথর লুটপাটে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি ও আওয়ামী লীগের ৪২ জন রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত। এ ছাড়া প্রতিবেদনে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে জড়িত বলেও উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে বিশেষভাবে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানায় কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্যের অবৈধ পাথর উত্তোলনের সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ততার কথা উঠে আসে।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, বদলি নিয়মিত প্রক্রিয়ার অংশ হলেও সাম্প্রতিক পাথর লুটকাণ্ডে ব্যাপক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট থানার ১১ পুলিশ সদস্যকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে ওই দুটি থানার আরও কিছু কর্মকর্তার বদলি হতে পারে বলেও জানা গেছে।
বরগুনার আমতলী উপজেলার চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দুই পাশের মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির লাখ টাকা গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মো. রুবেল আহমেদের বিরুদ্ধে।
প্রভাবখাটিয়ে তিনি এ গাছ বিক্রি করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ রক্ষা করতে হলে দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জানাগেছে, ১৯৬৮ সালে বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড আমতলী উপজেলার চুনাখালী এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করেছেন। ওই বাঁধের দুই পাশে তারা মেহগনি, রেইন্ট্রি ও চাম্বলসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপন করেন । পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ তার গ্রামের বাড়ী চুনাখালী বাজার স্লুইজগেট সংলগ্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকশত গাছ জলিল বেপারীর কাছে এক লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন। শনিবার জলিল বেপারী গাছ কাটা শুরু করেন। সোমবার রাতে তিনি ট্রাকে করে ওই গাছ নিয়ে গেছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ গাছ কাটা ও বিক্রির বিষয়টি বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। গাছ কাটা ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, গত দুইদিন ধরে রুবেল আহমেদ ও জলিল বেপারী তারা ৫-৬ জন লোক দিয়ে বাঁধের দুই পাশের অনেক গাছ কেটে স্তুপ করছে। সোমবার রাতে বড় ট্রাকে করে ওই গাছ তিনি (জলিল) নিয়ে গেছেন। তারা আরো বলেন, বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
গাছ কেটে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত রুবেল আহমেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী তাদের।
জলিল বেপারী বলেন, রুবেল আহমেদ আমার কাছে এক লাখ টাকায় গাছ বিক্রি করেছেন। ওই গাছের কিছু কলাপাড়া বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, রুবেল আমার কাছ থেকে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা গাছ বিক্রি করে দেয়া হবে।
পটুয়াখালী গৃহায়ণ ও গণপুর্ত অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী মোঃ রুবেল আহমেদ বলেন, সরকারী জমির গাছ কেটে বিক্রি করা আমার ভুল হয়েছে। ১৬ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করেছি। আর গাছ কাটা হবে না।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান খাঁন বলেন, খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। তারাই ব্যবস্থা নিবেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হান্নান প্রধান বলেন, লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সফিউল আলম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের মেধা ও সৃজনশীলতা বিকাশে ইউনাইটেড নেশনস ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউনিস্যাব), রাজশাহী ডিভিশনের উদ্যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলো “ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট ২০২৫”।
ইতোপূর্বে রাজশাহী ডিভিশনের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের, UNYSAB MUN এবং ন্যাশনাল ইয়ুথ লিডারশীপ সামিটের আয়োজন করা ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশন আরো একবার অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করতে চলেছে এই ন্যাশনাল ট্যালেন্ট ফেস্ট এর মাধ্যমে।
দুই মাসব্যাপী এ প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ নভেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এবারের আয়োজনে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার পুরস্কার থাকছে।
উৎসবে শিক্ষার্থীরা তিনটি ভিন্নধর্মী সেগমেন্টে অংশ নিতে পারবেন। এর মধ্যে বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিজয়ীদের জন্য থাকছে ১,১৫,০০০ টাকার পুরস্কার, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বাস্তব ব্যবসায়িক সমস্যার সমাধান উপস্থাপন করবেন।
লেখালেখিতে দক্ষ তরুণদের জন্য থাকছে “ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট রাইটিং” প্রতিযোগিতা, যার পুরস্কার ৫০,০০০ টাকা। এছাড়া বিজ্ঞাপন নির্মাণে আগ্রহীদের জন্য “প্রোমো অ্যাড মেকিং” সেগমেন্টে থাকছে আরও ৫০,০০০ টাকার পুরস্কার। প্রতিটি প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি রয়েছে এবং ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর, ক্লাব পার্টনার ও কলেজ শিক্ষার্থীরা বিজনেস কেস কম্পিটিশনে বিশেষ ছাড় পাবেন।
অনলাইন রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এবং অফলাইন রেজিস্ট্রেশন ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিটি সেগমেন্টে অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেল মূল্যায়ন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী পাবেন অনলাইন সার্টিফিকেট, আর ফাইনালিস্টদের জন্য থাকছে বিশেষ সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট ও অন্যান্য সুবিধা।
টাইটেল পার্টনার হিসেবে রয়েছে বায়ো-জিন (Bio-xin), সাসটেইনেবিলিটি পার্টনার চন্দ্রকলি ফাউন্ডেশন। এছাড়া Berlo Communication, SME Foundation, NIT Global Academy ও Bombay Sweets পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ইউনিস্যাব রাজশাহী ডিভিশনের রিজিওনাল সেক্রেটারি মোঃ শিহাব মিয়া বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য দেশের প্রতিটি তরুণকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়া, যেখানে তারা জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের দক্ষতা ও মেধা প্রদর্শন করতে পারবে।”
এছাড়াও এই প্রেস ব্রিফিং এ আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির ডেপুটি রিজিওনাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ বাঁধন এবং জারিন তাসনিম কেয়া।
বায়ো-জিন এর বিজনেস ডেভেলপমেন্ট এর এক্সিকিউটিভ প্যানেল থেকে উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন সাগর এবং আবদুল্লাহ আল-মামুন
সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুনামগঞ্জে যেন কেউ বালু ও পাথর উত্তোলনের চেষ্টা না করে সে জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের ফেসবুক থেকে এই সতর্ক বার্তা দেয়া হয়।
সতর্ক বার্তায় বলা হয়, সম্প্রতি সিলেটের সাদা পাথর লুটের ঘটনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুনামগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহনের চেষ্টা করছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী, অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহন শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
দেশপ্রেমিক সাহসী জনতাকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনের কোন ঘটনা ঘটলে তার বিরুদ্ধে সর্তক থাকতে এবং এ ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনকে দ্রুততম সময়ে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনায় কয়েক দিনের মধ্যেই যৌথ বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা খাল পুনঃখনন কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার এই বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ' মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকাল চারটার দিকে র্যাব-১১ ও পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি মেঘনা নদীর চৌদ্দকাউনিয়া ঘাটে এসে থামে। তারপর তাদের ট্রলার ও স্পিডবোটে করে গুয়াগাছিয়ার দিকে রওনা হতে দেখলাম'
ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ' আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। সাড়ে তিনটার দিকে অভিযান শুরু করি আমরা। পুলিশ, র্যাব, নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড মিলিয়ে মোট দুই শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নিয়েছে। অভিযান শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আপনাদের জানানো হবে'।
বিষয়টি সম্পর্কে মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন,' ওই এলাকায় পুলিশের তদারকি কম থাকার সুযোগে কয়েকটি নৌ ডাকাত বাহিনী মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় তারা খুশি নয়। গতকালের ঘটনায় সাথে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর লোকজন জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছি আমরা। তাদের আইনের আওতায় আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ'।
স্থানীয়দের বক্তব্যঃ স্থানীয় বাসিন্দা সিয়াম হোসেন বলেন, ' সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন নদী থেকে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শুনতে পাই আমরা। এসময় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে যে যার ঘরে আশ্রয় নেয়। ঘটনার একদিন পরেও ভয়ে স্থানীয়রা ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছে না'।
থানা থেকে লুট করা অস্ত্রের ব্যবহারঃ এদিকে গতকাল গোলাগুলির সময় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর সদস্যরা গত বছরের পাঁচ আগস্ট থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে ধারণা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। সম্প্রতি এই নৌ ডাকাত বাহিনীর হাতে খুন হয় প্রতিপক্ষ দলের তিন সদস্য। তারা হলোঃ ডাকাত সর্দার বাবলা, স্যুটার মান্নান ও হৃদয় বাঘ। এসব হত্যাকাণ্ডে থানা থেকে লুট করা চাইনিজ রাইফেল ব্যবহার করার প্রমাণ পায় পুলিশ। এছাড়াও চলতি বছরের ১৩মে ভোরে গুয়াগাছিয়ায় অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। অভিযানে নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস বাহিনীর এক সদস্যের বাড়ি থেকে ৫১ রাউন্ড তাঁজা গুলি উদ্ধার করা হয় যার অধিকাংশ ছিল চাইনিজ রাইফেলের গুলি।
মামলা দায়েরঃ পুলিশ ক্যাম্প লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গজারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ' গতকালের ঘটনায় একটি মামলা হবে, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন'।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার (২৫ আগস্ট) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে সদ্য চালু হওয়া পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলিবর্ষণ ও ৪/৫ ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় নৌ ডাকাত নয়ন-পিয়াস গ্রুপের সদস্যরা। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। পরে পুলিশের প্রতিরোধের মুখে টিকতে না পেরে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। এই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ৪ শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ শে আগষ্ট) সকাল ১১ থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা ও আধুরিয়া এলাকার প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাছিবুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের মাহনা ও আধুরিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ শতাধিক আবাসিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। এ সময় অবৈধভাবে সংযোগ দেওয়া বিভিন্ন পাইপ জব্দ করা হয়।
এলাকায় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন থেকে এসব অবৈধ সংযোগ দেয় স্থানীয় লোকজন। সরকার এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছিল। এ সময় তিনি আরো বলেন আমাদের এ ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।