মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে একটি মৃত ডলফিন পেয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। জানা গেছে, ডলফিনটির ওজন প্রায় ২৫ কেজি, লম্বায় প্রায় আড়াই ফুট ও প্রায় ৩ মাস বয়সী।
নদীতে ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে জেলেদের পেতে রাখা অবৈধ কারেন্ট জালে আটকে থাকা অবস্থায় ডলফিনটিকে আজ সোমবার উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ হাজার মিটার অবৈধ জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয় জেলা প্রশাসন।
শিবচর উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মা ও ডিমওয়ালা ইলিশ মাছ রক্ষায় প্রতিদিনের ন্যায় আজও পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য অফিস ও নৌপুলিশ দল।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ফেরদৌস ইবনে রহিম বলেন, আমরা ৬০ হাজার মিটার জাল জব্দ করে ধ্বংস করেছি। জেলেদের নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে একটি ডলফিন মারা গেছে। আমাদের টিম জব্দকৃত জালে মৃত অবস্থায় ডলফিনটিকে উদ্ধার করেছে।
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৬৩৩টি খামারের ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় রয়েছে খামারিরা। এসব গবাদিপশুর মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি নামে একটি রোগ। যাকে পক্সভাইরাস বলা হয়। এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়া অ্যানথ্রাক্স নিয়েও আতঙ্কে রয়েছে এ অঞ্চলের গরুর খামারিরা। গবাদিপশুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে নেই কোনো উদ্যোগ। এই রোগের জন্য সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে সম্পূর্ণ উদাসীন। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এসব রোগ সম্পর্কে অবহিত না করে ঘুমিয়ে আছেন। গরুর খামারিদের জনসচেতনতা নিয়ে কোনো সহায়তা করছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।
পশু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগটি গবাদিপশুর জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর মধ্যে যদি অ্যানথ্রাক্স রোগটিও ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে এ অঞ্চলে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু ও সাধারণ মানুষের অবস্থা খারাপ হতে পারে। তাই শুরুতেই কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
পক্সভাইরাস ও অ্যানথ্রাক্স মূলত গবাদিপশুর থেকে ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এই রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারিভাবে টিকা দেওয়া কথা রয়েছে। কিন্তু লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ খামারের গরু-ছাগল ও ভেড়ার মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ছড়িয়ে পড়লেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাউকে পাশে পাচ্ছে না বলে জানান, কয়েকজন খামার মালিক।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, রামগতিতে ১০২টি গরুর খামারে ৬৭ হাজার ২৫১টি গরু, ১৩৯টি ছাগলের খামারে ১৩ হাজার ৩৩৮টি ছাগল, ৫৯টি ভেড়ার খামারে ১০ হাজার ২২৮টি ভেড়া ও ৮ হাজার মহিষসহ মোট ৯৯ হাজার ১০৭টি গবাদিপশু রয়েছে।
কমলনগরে ২৫০টি গরুর খামারে ২০ হাজার ২৩০টি গরু, ৫০টি মহিষের খামারে ৬ হাজার ৫২৫টি মহিষ, ২৫টি ছাগলের খামারে ৪ হাজার ৫৯৮ ছাগল ও ৮টি ভেড়ার খামারে ৪৫৫টি ভেড়াসহ মোট ৩১ হাজার ৮০৮টি গবাদিপশু আছে। দুই উপজেলায় মোট ১ লাখ ৩০ হাজার ৯১৫টি গবাদিপশু রয়েছে।
রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মীগ্রামের খামার মালিক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘তার খামারের সব গরুর মধ্যে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ রয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে ফোন দিলে তারা ফোন ধরে না। কোনো খবরও নিচ্ছে না।’
কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ও রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রুবেল সরকার বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে গবাদিপশু বা মানুষের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ধরা পড়লেও আমাদের এ অঞ্চলে এখন পর্যন্ত এই ধরনের রোগের খবর আমরা পাইনি। তবে কয়েকটি গরু-ছাগলের খামারে লাম্বি ভাইরাস বা এলএজটি রোগ ধরা পড়েছে। আমরা কিছু কিছু খামারের গরুকে টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে সব খামারে টিকা দেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য মরহুম সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদর স্মরণে এক শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে ইউনিয়নের সভাকক্ষে এ শোক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়নের সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ব্যুরো প্রধান মজুমদান নাজিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক সারোয়ার উদ্দিন আহম্মদের স্মৃতিচারণ করেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মোস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ টাইমস্ এর ব্যুরো প্রধান সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি সানের সাবেক ব্যুরো প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম সেলিম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ও আরটিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মওলা মুরাদ, দৈনিক পূর্বদেশের স্পোর্টস এডিটর সাইফুল্লাহ চৌধুরী, এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল হাসনাত, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান নুরুল মোস্তফা কাজী, সাংবাদি ছগির আহমদ, মাহবুবুল মওলা, ইকবাল করিম, দৈনিক বাংলার ব্যুরো প্রধান জামালুদ্দিন হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোখলেছুর রহমান ফরহাদী, শহিদুল ইসলাম, এনাম হায়দার, মীম ওসমান গণি, জাহাঙ্গীর আলম ও বজলুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য: সাংবাদিক সরওয়ার উদ্দিন আহমেদ গত শনিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ইন্তেকাল করেছেন।
বহুমুখী সংকটের মধ্যে সময় পার করছে রাউজানের প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এ উপজেলার ১৮১ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৮১টিতে নেই প্রধান শিক্ষক। সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদ প্রায় অর্ধশত। চলতি অর্থবছরে আরও অনেক শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। শিক্ষক সংকটের মতো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংকট রয়েছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়েও। এখানে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার (এটিও) ৮টি পদের মধ্যে আছেন মাত্র ৩ জন। ৫ কর্মচারীর মধ্যে আছেন ৫ জন। রাউজানের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থার খবর নিতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ব্যক্তিগত নাম ব্যবহারের কারণে উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে। নানা সমস্যায় থাকা প্রাথমিক শিক্ষার হালচাল দেখতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে থাকা কয়েকটি বিদ্যালয়ে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ সংকট। শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছে বারান্দায় অথবা বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসে। প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে, বিশৃঙ্খল পরিবেশ। অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা মানছেন না বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার সময়সূচি। সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘরের মূল অভিভাবক না থাকলে যেমন হয় সেই অবস্থায় চলছে প্রধান শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়গুলো। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে এক সহকারীকে দেওয়া হলেও তার পক্ষে অন্য সহকর্মীদের শৃঙ্খলা দেখা সম্ভব হয় না। খবর নিয়ে জানা গেছে, রাউজানে যারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় আছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ নারী শিক্ষক। তাদের প্রায় আশি শতাংশ থাকেন চট্টগ্রাম শহরে। এসব শিক্ষককে সকালে সংসারের কাজ গুছিয়ে বাসা থেকে বের হতে হয়। অনেক সময় রাস্তায় যানজটে পড়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে হয় বিলম্বে। এমন সমস্যার মধ্যে কিছু কিছু বিদ্যালয়ে শিক্ষক উপস্থিতি দেখা যায় ১০টার পর। আরও দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষ সংকটে থাকা এমন অন্তত ৩০টি বিদ্যালয়ের পাশে নতুন ভবন নির্মাণকাজ অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কয়েকটির কাজ চালানো হচ্ছে ধীরগতিতে। কাজ বন্ধ হয়ে থাকা নির্মাণাধীন ভবন নিয়ে কথা বললে রাউজান উপজেলা প্রকৌশলী আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসব ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হয়েছিল। সেই সময় নির্মাণকাজ পেয়েছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত ঠিকাদাররা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তারা কাজ ফেলে এলাকা ছেড়েছেন। এখন তিনি পলাতক ঠিকাদারদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে বিকল্প ব্যবস্থায় নির্মাণাধীন ভবনসমূহের কাজ শেষ করার ব্যবস্থা নিয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করা হয়েছে। অন্যগুলো দ্রুত শেষ করতে পারবেন বলে তিনি দাবি করেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষক, শ্রেণিকক্ষ ও নিজ কার্যালয়ে জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুন্নবী বলেন, চলতি অর্থবছরে আরও কিছু শিক্ষক অবসরে যাবেন। অতিদ্রুত শূন্যপদে শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অবশ্য এ কর্মকর্তা যোগ করেন জনবল নিয়োগ বিলম্ব হলে বিদ্যমান সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষকদের আসা-যাওয়ার নিয়ম না মানার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকতায় থাকা বেশির ভাগ শিক্ষক শহরে থাকেন। বিভিন্ন সময় রাস্তায় যানজটে পড়তে হয়। তবে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে যাতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে পাঠদানে অংশ নেন। তিনি আরও বলেন, ৮টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য ও তার পিতা-মাতার নামে নামকরণ করা সাতটিসহ-আটটি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত পেলে কার্যকর হবে।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনদিন ধরে অবস্থান নেয়া এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা আপাতত লংমার্চ করবেন না। আজ বিকেল তিনটার মধ্যে যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে চারটা থেকে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু করবেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনকারী ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
আন্দোলনকারীদের তিনটি দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম তিন হাজার টাকা) বাড়িভাড়া। শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা। কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এই তিন দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে আজ বেলা ১২টায় সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরুর কথা ছিল তাদের। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর অনুরোধে তারা লংমার্চ কর্মসূচি পিছিয়ে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছেন।
পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দেওয়া রাসেল খান (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর বাতিঘর পয়েন্ট থেকে তার স্বজনরা লাশ উদ্ধার করে।
নিহত রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বড় ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় একজন দর্জি ছিলেন এবং স্থানীয় বড় ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার একটি দর্জির দোকান ছিল। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।
জানা যায় , গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ইলিশ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে রাসেল খান তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ কিনতে যান। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় নৌ-পুলিশের একটি স্পিডবোর্ড অভিযান চালালে তারা ধাওয়া খায়। ধাওয়া থেকে বাঁচতে গিয়ে রাসেল খান নদীতে ঝাঁপ দিলে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান।খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালালেও তাকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ অবস্থান করছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় যৌথ অভিযানে প্রায় ১৪ কোটি টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ অক্টোবর উপজেলার সীমান্তবর্তী আশ্রায়ন বিওপির আওতাধীন এলাকায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে, সহকারী পরিচালক এবং ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মো. জাকিরুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।
অভিযানকালে উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চল্লিশপাড়া ও মদনের ঘাট এলাকায় আনুমানিক ৩৫ হাজার কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারী ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
পরে সোমবার দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ আশ্রায়ন বিওপি এলাকায় জনসম্মুখে এসব অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়। পরিচালক (অপারেশন) যশোর সদর দপ্তর, দক্ষিণ-পশ্চিম রিজিয়ন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শিকদার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হোসেন আহমেদ এর উপস্থিতিতে জালগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়।
৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। মাদক ও সব ধরনের অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। জনসাধারণের সেবায় বিজিবি ভবিষ্যতেও সর্বদা নিয়োজিত থাকবে।
পরপর দুই দফায় সময় বাড়ানো হলেও চার বছরেও শেষ হয়নি রাঙামাটির কুতুকছড়ি সেতুর নির্মাণকাজ। কাজের ধীরগতির কারণে রাঙামাটি-মানিকছড়ি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াতকারী পাহাড়ের লাখো মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে কুতুকছড়ি এলাকায়। এর মাধ্যমে উত্তর ও দক্ষিণ পার্বত্য চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করছে গুরুত্বপূর্ণ এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি।
২০২২ সালের ১১ আগস্ট সেতুর নির্মাণকাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রথম মেয়াদ শেষে কাজ অসম্পূর্ণ থাকায় আরও এক বছর সময় বাড়ানো হয়। তবুও অগ্রগতি মাত্র ৩৫ শতাংশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, নির্মাণকাজের ধীরগতির কারণে বর্তমানে বিকল্প সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ অস্থায়ী সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। চলমান বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিকল্প পথেও চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। উপচে পড়া পানিতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে যাতায়াত, কৃষিপণ্য পরিবহন ও জরুরি চিকিৎসাসেবা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙা এই রাস্তা দিয়ে রোগী বা মেডিকেল টিম আসা-যাওয়া করা খুবই কষ্টকর। বিকল্প যে রাস্তা তৈরি হয়েছে, সেটাও এখন পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। চলাফেরায় সমস্যা হচ্ছে, দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৮১.৩১৫ মিটার। নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ২০২১ সালে কুতুকছড়ির পুরনো বেইলি ব্রিজটি একটি পাথর বোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ার পর নতুন সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ‘সরদার এন্টারপ্রাইজ’ এবং ‘রাঙামাটি ট্রেডার্স’ নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে।
রাঙামাটি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন মিশু বলেন, নদীতে পানি থাকায় কাজ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছি। পানি কমে গেলে স্বল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।
তবে রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, পর পর দুবার সময় বাড়ানো হলেও এখনো কাজের অগ্রগতি মাত্র ৩৫ শতাংশ। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ইতোমধ্যে পত্র পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে অবশিষ্ট কাজ সম্পন্ন করা হবে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। এটি পাহাড়ের কৃষিপণ্য, ফলমূল, এবং অন্যান্য পণ্য পরিবহনের গুরুত্বপূর্ণ পথ। সেতুর নির্মাণ দীর্ঘ সময় ধরে ঝুলে থাকায় স্থানীয় পর্যটন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাও ব্যাহত হচ্ছে।
রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের রূপরেখার ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে নারীদের অংশগ্রহণে একটি উঠান বৈঠক, মুক্ত আলোচনা ও ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করেছে উপজেলা মহিলা দল।
সোমবার বিকেলে উপজেলার বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের পঞ্চবটি এলাকার মতিউর রহমান হাইস্কুল প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আজহারুল ইসলাম মান্নানের নির্দেশনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার কাজল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজহারুল ইসলাম মান্নানের ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম সজিবের সহধর্মিণী সাদিয়া ইসলাম জুঁই।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোন মারিয়া ইসলাম মুন্নি। তারা সভায় এলাকার সাধারণ নারীদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন।
সাদিয়া ইসলাম জুঁই বলেন, আজকের নারী শুধু সংসার সামলায় না, দেশও সামলায়। আমরা চাই এমন বাংলাদেশ, যেখানে আমাদের সন্তানরা নিরাপদ থাকবে, যেখানে ভোট দিতে পারব নিজের ইচ্ছায়, যেখানে ন্যায়ের শাসন ফিরবে। বিএনপি সেই স্বপ্নের রাজনীতি করছে- মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার রাজনীতি।’ আপনাদের সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে রাষ্ট্র পরিচালনায় সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
মারিয়া ইসলাম মুন্নি তার আবেগঘন বক্তব্যে বলেন, এই দেশটা আমাদের; কিন্তু আজ আমরা আমাদেরই অধিকার থেকে বঞ্চিত। আমাদের মা-বোনেরা কষ্টে আছে, ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। তাই ৩১ দফা শুধু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি নয়, এটা আমাদের বাঁচার স্বপ্ন। আমরা সবাই মিলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। তারেক রহমানের সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমার বাবা তার পুরো জীবন আপসহীনভাবে জনগণের স্বার্থে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ে গেছেন। আশা করি আপনারা বিএনপির পাশে থাকবেন। একই সাথে সোনারগাঁও আসনটি তারেক রহমানকে উপহার দেবেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবারও গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পথে ফিরবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া দেশের মুক্তি নেই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বৈদ্দ্যেরবাজার ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মোস্তাক হোসেন, রাকিব হাসান, কাউসার আহমেদ, সোহেল প্রধান, সেলিম হোসেন দিপু, আলিনুর বেপারী, মাহফুজ ইসলামসহ কয়েকশ নেতারা।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত নারীদের হাতে হাতে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল উত্তরাঞ্চলের ঠাকুরগাঁওসহ আশেপাশে দুই জেলার প্রায় ৪০ লাখ মানুষের চিকিৎসার প্রধান ভরসাস্থল। কিন্তু যে স্থানে মানুষ আসে সুস্থতার আশায়, সেই স্থানই এখন যেন রোগ উৎপত্তির কেন্দ্রস্থল। নোংরা পরিবেশ, অস্বাস্থ্যকর অবস্থা আর অব্যবস্থাপনায় ভরে গেছে হাসপাতালটি।
রোগীরা বলছেন, এখন এই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে মানুষ সুস্থ নয়, বরং আরও অসুস্থ হয়ে পরে। অন্যদিকে ধারণক্ষমতার দুই থেকে তিন গুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তারা বলছেন, জনবল সংকট ও অব্যবস্থাপনার কারণে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সেবাগ্রহীতারা মনে করছেন ঠাকুরগাঁওয়ে দ্রুত একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন ছাড়া স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের বিকল্প নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২৫০ শয্যা হলেও প্রতিদিন ভর্তি থাকে প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ রোগী। রোগীর চাপে বেড তো পাওয়া যায় না, অনেক সময় ফ্লোরেও জায়গা মেলে না। চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় ডাক্তার ও নার্সদের।
অন্যদিকে হাসপাতালের করিডোর, বাথরুম এমনকি রোগী ওয়ার্ড সব খানেই নোংরা পরিবেশ। নোংরা অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সুস্থ মানুষও সেখানে প্রবেশ করলে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে দুটি লিফটের মধ্যে একটি নষ্ট হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে চাপের ভীরে গুরুতর রোগী বা বয়স্কদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় তীব্র কষ্টের মধ্যে। দীর্ঘদিন ঘরে বালতি ও পাত্রে জমে থাকা নোংরা পানি । যেখান থেকে জন্ম নিতে পারে এডিস মশাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ। এছাড়া হাসপাতালের। ভেতরে কুকুরের বিচরণ তো আছেই। যার মাধ্যমে ছড়াতে পারে জলাতঙ্ক রোগ। এমনকি আইসিইউ, ডায়ালাইসিস ইউনিট এবং পিসিআর ল্যাবের জন্য নির্ধারিত ভবন ও স্থান থাকলেও, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জনবল না থাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সেগুলো চালু হয়নি।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, এই হাসপাতালে অধিকাংশ পরীক্ষার রিপোর্ট বাইরে থেকে করাতে হয়। যেসব ওষুধ হাসপাতল থেকে দেওয়ার কথা সেসব ওষুধ নিতে রোগীদের ছুটতে হয় বাইরের ফার্মেসিতে। আর অনেক রোগীকে দিনাজপুর, রংপুর বা ঢাকায় রেফার করেন। রোগীকে নিয়ে যাওয়ার সময় অনেকেই মৃত্যুর মুখে পতিত হন। এছাড়া এখানে ডাক্তার পাওয়া যায় না ঠিকমতো। বাথরুমগুলোতে ঢোকা যায় না। বেসিনগুলোতে হাত ধোয়ার অবস্থা নেই। এখানে রোগী নিয়ে আসলে সুস্থ মানুষই আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি এমন অবস্থা এখানকার বলে জানান তারা।
মো. মুজাহিদ বলেন, এখানকার পরিবেশ এতটাই নোংরা যে বলার মতো না। যেখানে-সেখানে পানি ও ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকে। আর হাসপাতালে অনেক টেস্ট হয় না। রোগী নিয়ে টেস্ট করাতে বাইরে যেতে হয়। এভাবে আমরা চরম ভোগান্তিতে পরি। এছাড়া এখানে রোগীর সংখ্যা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার মতো জনবল দেখছি না। জনবল বৃদ্ধি করলে হয়তো কিছুটা কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যাবে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা থেকে অসুস্থতাজনিত কারণে মাকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছেন মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘যেগুলো ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়ার কথা ওই ওষুধগুলোয় আবার আমাদের বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে। তাহলে সরকার যে ওষুধ দিচ্ছে সেই ওষুধগুলো যাচ্ছে কোথায়।’
শহীদুল ইসলাম উজ্জল তার ছেলেকে নিয়ে ভর্তি আছেন হাসপাতালে তিনি বলেন, ‘ধরতে গেলে এই হাসপাতালে চিকিৎসা বলতে তেমন কিছুই হয় না। সময় মতো ডাক্তার পাওয়া যায় না। নার্সরা ঠিক মতো কথা শোনছেন না। তাদের কোনো কিছু বলতে গেলে বিরক্ত বোধ করেন। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে এখানকার লিফট নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এদিকে কেউ নজর দিচ্ছেন না। তাই আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়গুলো দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’
রিক্তা পারভীন নামে এক নারী বলেন, ‘হাসপাতালের টয়লেটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে আমরা সেগুলো ব্যবহার করতে পারছি না। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এসে বেসিনগুলোতে তাদের হাত ধুয়ে যে খাওয়াব সেটাও করতে পারি না এতটাই নোংরা। এখানে আমরা আসি সুস্থতার জন্য কিন্তু রোগীর সাথে যারা আসি তারাই মনে হয় অসুস্থ হয়ে পড়ছি এমন অবস্থা।’
বাঁধন নামে এক যুবক বলেন, ‘এখানে রোগী নিয়ে আসলেই অধিকাংশ রোগীকেই শুধু রেফার করে দেওয়া হয় দিনাজপুর, রংপুরসহ ঢাকায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, দীর্ঘ সময়ের রাস্তা হওয়ায় রোগীকে নিয়ে যেতে যেতেই অনেকের মৃত্যু হয়। এ জন্য ঠাকুরগাঁওয়ে একটি ভালোমানের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল জরুরি হয়ে পড়েছে।’
স্থানীয় নাগরিক হিমেলসহ অনেকে বলেন, ‘হাসপাতালটিতে আশেপাশের কয়েকটি জেলার মানুষ সেবা নিতে ছুটে আসেন। তাই এখানে একটি মেডিকেল কলেজ না হলে মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়া অসম্ভব। তাই ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানান তারা।’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, এই হাসপাতালে প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক ৫৯ জনের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৪০ জন। দ্বিতীয় শ্রেণির ৩টি পদেই শূন্য। দ্বিতীয় শ্রেণির নার্সের পদ সংখ্যা মাত্র ৯১ জন। তার বিপরীতে কর্মরত আছেন ৮৮ জন। তৃতীয় শ্রেণির পদ সংখ্যা ৪২ জন হলেও আছেন মাত্র ২০ জন। এখনো শূন্য পদ ২২টি। চতুর্থ শ্রেণির লোকবল ২৫ জনের বিপরীতে আছেন ১৭ জন। ২৫০ শয্যার হাসপাতালে মঞ্জুরীকৃত মোট পদের সংখ্যা মাত্র ২২১টি। এর মধ্যে আবার এখনো শূন্য হয়ে পরে আছে ৫৬ জনের পদ।
রূপগঞ্জ থানার তারাব পৌরসভার শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলস লিমিটেডে আবারও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে কারখানার তেল উৎপাদন প্লান্টে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
কারখানার কর্তৃপক্ষ থেকে ঘটনার খবর পেয়ে ডেমরা ফায়ার স্টেশন, কাঁচপুর ফায়ার স্টেশন এবং নারায়ণগঞ্জ জোন-২ থেকে মোট পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। ২ ঘন্টার সম্মিরিত চেষ্টায় সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রূপগঞ্জ থানা পুলিশ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে । ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিট থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
শবনম ভেজিটেবল অয়েল মিলসের ম্যানেজার মেজর আশিকুর রহমান বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিই। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বড় ধরনের প্রাণহানি এড়ানো গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।
কারখানাটিতে প্রায় ৩২০ জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন, এর মধ্যে ৩০০ জন শ্রমিক (পুরুষ ২৯০ ও নারী ১০ জন) এবং ২০ জন স্টাফ। অগ্নিকাণ্ডের সময় অধিকাংশ শ্রমিক উপস্থিত না থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী বলেন, ৩০০ মেট্রিক টনের ওয়েল রিফাইনারিতে আগুন লাগে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে।
সরকার ঘোষিত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুতে, বাজারজাতকরণ ও বিনিময় নিষিদ্ধ হলেও মানতে নারাজ মানিকগঞ্জের হরিরামপুর পদ্মা নদীর জেলেরা। হিংস্র আর হায়নারুপে পদ্মা নদীতে আইনের তোয়াক্কা না করেই প্রতিদিন বীরদর্পণে দিনে-রাতে চলছে পদ্মা নদীর ইলিশ লুট।
গত কয়েকদিনে সরেজমিনে, প্রতিদিন বিকেল ও সন্ধ্যারপর উপজেলার হাতিঘাটা, কাঞ্চনপুর, কালিতলা, লেছড়াগঞ্জ, হরিণাঘাট, সেলিমপুরসহ পদ্মা নদীতে জেলেদের ঐক্যবদ্ধ তাণ্ডবে মা-ইলিশের অকাল প্রয়াণে হতবাক স্থানীয়রা। এই ইলিশ হাতিঘাটা বাজারে একটা নির্দিষ্ট সময়ে ৮০০-১০০০ টাকা করে প্রতি কেজি প্রকাশ্যে বিক্রিও করছে নিয়মিত। হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক প্রতিদিন দিনে-রাতে কঠোর অভিযান পরিচালনা করে হিমশিম খাচ্ছে। জেল, জরিমানায়ও থামছে না ছোট-বড়, মা-ইলিশ নিধন। এমনকি, অভিযান চলাকালীন সময়ে গত ১১ অক্টোবর দুপুরে, উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকায় জেলেরা এক হয়ে হরিরামপুর মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। হামলার পরপরই আবারও জোরালো পাল্টা অভিযানে বেশ কয়েকজন জেলেকে জাল, মাছসহ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, গোয়ালন্দ, শিবালয়, রাজবাড়ির জেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ইলিশ নিধনে একযোগে পদ্মায় নামে।
রামকৃষ্ণপুর ইউপি বাসিন্দা মো. ইউসুব বলেন, আন্ধারমানিক ঘাট দিয়ে মৎস্য অফিসাররা দিনে-রাতে অভিযান করে দেখেছে। তাদের কঠোর চেষ্টায় থামছে না জেলেদের তাণ্ডব। নিয়মিত হাতিঘাটা বাজারে বিকেলে অথবা সন্ধ্যায় গেলে ছোট, মাঝারি সাইজের ইলিশ কিনতে পাওয়া যায় শুনেছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেলিমপুর গ্রামের এক জেলে আক্ষেপ করে জানান, ‘২২ দিন কি আমরা চুরি করে খামু.?
আমগো চাইল ও দ্যালনাই কেউ। জেল, জরিমানা স্বীকার করেই পদ্মায় নামছি। কিছু করার নাই। পেটের খিদ্যা তো আর অফিসারেরা মিটাইতে আইব না।’
হরিরামপুর উপজেলা ইলিশ প্রকল্পের ক্ষেত্র-সহকারী মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা প্রতিদিন জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনে-রাতে পদ্মায় অভিযান করছি নিয়মিত। আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হলেও আমরাও ছারতে নারাজ। ইলিশ সম্পদ রক্ষায় যা যা প্রয়োজন, তাই আমরা করব। আরও কঠোর অভিযানে জেলা, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহোদয়ের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমাদের জাতীয় সম্পদ- ইলিশ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নুরুল হক ইকরাম জানান, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমরা অন্যায়ের সাথে কখনোই আপস করিনি। জেলেরা অপরাধ করবেই, তারপরেও আমরা কোনো ছাড় দেইনি। আমাদের অভিযান নিয়মিত চলছে, চলবে।
উপজেলা মৎস্য অফিসের তথ্য বলছে- গত কয়েকদিনে ২৩টি অভিযান পরিচালনা করে ১ লাখ ৫৪ হাজার লাখ মিটার জাল ধ্বংস করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ষোল লাখ টাকা। ৭টি মোবাইল কোর্ট, ১৭টি নিয়মিত মামলা, ৫২ হাজার টাকা জরিমানা, ৪ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা আর ৫৪ মণ ছোট, মাঝারি, বড় সাইজের ইলিশ জব্দ করে বিভিন্ন এতিমখানায় দেওয়া হয়েছে।
একসময় বাংলাদেশের বিল-হাওর ভরে থাকত এমন এক খাবার যা ছিল ভাতের বিকল্প। যা শুধু খাবার নয়, ছিল গ্রামীণ জীবনের আনন্দ, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু মানুষ এখন সেই খাবারের নাম প্রায় ভুলতেই বসেছে। সেই ভুলে যাওয়া নামটি হলো- শালুক।
বাংলাদেশের নদীমাতৃক অঞ্চলের এই ঐতিহ্যবাহী খাদ্য একসময় ছিল গ্রামের মানুষের নিত্যসঙ্গী। নিচু অঞ্চলের দোআঁশ ও কাদামাটিতে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেওয়া শালুকের চারটি প্রধান জাত পাওয়া যেত। কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, মাধবপুর, বৈরব, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও নরসিংদীর হাওর ও খালচর অঞ্চলজুড়ে ছিল এই শালুকের প্রাচুর্য।
ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক মাস এলেই দেখা যেত বিলে উৎসবের আমেজ। কৃষক ও দামাল ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার ফাঁকে দলে দলে যেত শালুক তুলতে। হাসি-আড্ডায় মুখর হতো চারদিক। তখন শালুক, শাপলা, বেট, উঠা- এসব ছিল সবার খাবার। শুধু যে মানুষ মজা করে খেতো তাই নয়, অভাবেও মানুষ শালুক খেয়ে জীবন বাঁচাতো।
শালুকেরও ছিল নানা জাত- গাইয়্যা, সিন্ধু, রামউঠা সবচেয়ে জনপ্রিয়, আর কিছু প্রজাতি শালুকের মতো দেখতে হওয়ায় তাদের বলা হতো উডা, যেগুলো থেকে হতো শাপলা।
প্রতিটি শালুকের ওজন প্রায় ৪০–৭০ গ্রাম। এটি সেদ্ধ করে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ভাতের বিকল্প হিসেবে খাওয়া যেত। পুষ্টিগুণে ভরপুর শালুক হজমে সাহায্য করত- গ্রামের মানুষ ভালোবেসে বলত, ‘শালুক খেলে পেটও খুশি, মনও খুশি।’
কিন্তু এখন বর্ষার পানি কমে গেছে, বিল শুকিয়ে গেছে, আর সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে শালুকের দিনগুলোও।
তবুও একেবারে সব শেষ হয়নি। কুমিল্লার মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জে আজও কিছু মানুষ এই হারানো ঐতিহ্যটিকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। প্রায় বিশ বছর ধরে শালুকের ব্যাবসা করছেন আবুল কাসেম, নারায়ণ, দীপ্ত সাহা, আবু মুছা ও সফিকসহ অনেকে।
তারা সিলেটের সুনামগঞ্জ ও মাধবপুর হাট থেকে বারো মাস শালুক সংগ্রহ করে কুমিল্লার বিভিন্ন হাটে বিক্রি করেন। পাইকারি দরে কেজি প্রতি ৫০–৮০ টাকা, খুচরায় ১৫০–২০০ টাকা। দীপ্ত সাহা বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৮০ কেজি শালুক বিক্রি হয়। এই ব্যাবসাতেই আমাদের সংসার চলে, আর মনে হয় যেন একটা ঐতিহ্যকেও বাঁচিয়ে রাখছি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রসংস্কারের ৩১ দফা দাবিসমূহ সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
সোমবার কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বাতাকান্দি ও হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার।
লিফলেট বিতরণকালে আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘রাষ্ট্র সংস্কারের এই ৩১ দফা দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দফাগুলো বাস্তবায়িত হলে জনগণের অধিকার ও ন্যায়বিচার ফিরে আসবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত। বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’
অনুষ্ঠানে তিতাস উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।