বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
২৬ আষাঢ় ১৪৩২

পরশের মরদেহ বুয়েট ক্যাম্পাসে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ বুুয়েট ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। ছবি: রায়হান হক
আপডেটেড
৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:২৮
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা
প্রকাশিত : ৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৪:৫২

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ তার ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে তার লাশ বুয়েট ক্যাম্পাসে নেয়া হয়।

নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে গতকাল সোমবার রাতে উদ্ধার করা হয় বুয়েটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মরদেহ। সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকা থেকে নৌপুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ বুুয়েট ক্যাম্পাসে আনা হয়েছে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন পরশের বাবা। ছবি : সৈয়দ মাহামুদুর রহমান

আরও পড়ুন: বুয়েটছাত্র ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে

নিহত ফারদিন নূর পরশ শান্তিবাগ এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক কাজী নুর উদ্দিন রানার ছেলে। তাদের স্থায়ী ঠিকানা ফতুল্লার নয়ামাটি এলাকায়।

পরশকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

ফারদিন নূর পরশ হত্যার বিচার দাবিতে প্ল্যাকার্ড হাতে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। ছবি : সৈয়দ মাহামুদুর রহমান

ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন ফারদিনে মাথায় ও বুকে অসংখ্য আঘাতে চিহ্ন পাওয়া গেছে।


‘‘বাইপাস লাইন সনাক্ত, অনুমোদন অতিরিক্ত গ্যাসের ব্যবহার এবং অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে তিতাস গ্যাস কর্তৃক সাঁড়াশি অভিযান, জরিমানা আদায়’’

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০

তিতাস গ্যাস কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং উচ্ছেদ অভিযান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে গত ০৯ জুলাই (বুধবার) ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সৈকত রায়হান, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগ -সাভার, জোবিঅ-আশুলিয়া -এর আওতাধীন গোরাট, চৌরাস্তা (পাকার মাথা), সরকার মার্কেট, খোঁয়াজ মার্কেট সংলগ্ন, ও উত্তর গোমাইল মডেল মসজিদ সংলগ্ন, আশুলিয়া, সাভার, ঢাকা এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। উক্ত অভিযানে কোয়ালিটি থ্রেড এন্ড এক্সেসরিজ ও মায়ের দোয়া এক্সেসরিজ নামক ২টি বাণিজ্যিক কারখানার এবং আনুমানিক ২ কি.মি. অবৈধ বিতরণ লাইনের আনুমানিক ৬০০ টি আবাসিক গ্যাস বার্নারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের আনুমানিক ৫০০ মিটার লাইন পাইপ অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে। উক্ত, অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সর্বমোট ১,০০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই দিনে, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ-চন্দ্রা কর্তৃক পরিচালিত অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের বিশেষ অভিযানে চন্দ্রা (পল্লীবিদ্যুৎ), কালিয়াকৈর, গাজীপুর এলাকার সম্পূর্ণ অবৈধ/বিল বই বিহীন ৫টি রাইজারের ৫০টি দ্বিমুখী চুলা ও অনুমোদন অতিরিক্ত চুলায় গ্যাস ব্যবহারের জন্য ১ টি সংযোগের ২৩টি অনুমোদন অতিরিক্ত চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাসের ৩৫০ ফুট লাইন পাইপ ও ৫০০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ এবং ৬টি রেগুলেটর অপসারণ/জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক-গাজীপুর নিয়ন্ত্রণাধীন আঞ্চলিক ভিজিল্যান্স বিভাগ-গাজীপুর এর ভিজিল্যান্স শাখা (সাভার -মানিকগঞ্জ- আশুলিয়া এবং ভিজিল্যান্স শাখা জয়দেবপুর ও চন্দ্রা) কর্তৃক যৌথ পরিদর্শনে টঙ্গী মিলগেট এলাকায় মেসার্স জেরিনা কম্পোজিট মিলস লি. (৮০৩০০০০০৫) এ ক্যাপটিভ পাওয়ার রানে অনুমোদিত ১০৩০ কিলোওয়াট ক্ষমতার জেনারেটরের পরিবর্তে ১৫০০ কিলোওয়াট ক্ষমতার জেনারেটর চালু পাওয়া যাওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও, ভিজিল্যান্স বিভাগ-গাজীপুর এর ভিজিল্যান্স শাখা (সাভার -মানিকগঞ্জ- আশুলিয়া এবং ভিজিল্যান্স শাখা জয়দেবপুর ও চন্দ্রা) কর্তৃক যৌথ পরিদর্শনে গাজীপুর (হারিকেন) ডেগেরচালা রোড-বউবাজার এলাকায় মেসার্স নিশা সোয়েটার, (৩৩২০০১১১৭) সা: শিল্প রানে অনুমোদন অতিরিক্ত স্থাপনাসহ প্রতিষ্ঠানটিতে বাইপাস গ্যাস লাইন সনাক্ত হওয়ায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এছাড়া, জনাব মো: নাজমুল হুদা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নারায়ণগঞ্জ -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর জোবিঅ- ফতুল্লা- কুতুবপুর -এর আওতাধীন ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ এলাকার ৩টি স্পটে অবৈধ বিতরণ লাইন উচ্ছেদ/সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নূর এন্টারপ্রাইজ ও আর আর ফ্যাশন এন্ড লন্ড্রী নামক ২টি বাণিজ্যিক কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় ৩/৪ ইঞ্চি জিআই পাইপ ৩৫০ ফুট, কমপ্রেশর ০১ টি ও মোটর ০২ টি জব্দ করা হয়েছে। উক্ত অভিযানে নূর এন্টারপ্রাইজ’ কে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ)টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অপর অভিযানে, বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সিমন সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নেতৃত্বে জোবিঅ -মেঘনাঘাটের আওতাধীন বালুয়াকান্দি (মায়ামি রেস্টুরেন্টের বিপরীতে, ও ভাটের চর (নতুন রাস্তা), গজারিয়া এলাকায় অবৈধ চুন কারখানার অবৈধ লাইন উচ্ছেদের জন্য পরিচালনা করা হয়েছে। ভাট্টির মালিক/জমির মালিকের বিরুদ্ধে এতদবিষয়ে গজারিয়া থানায় এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়েছে। স্থাপনা ভেঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স গজারিয়া এর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উক্ত অভিযানে অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদের বিপরীতে ২০,০০০ ঘনফুট/ঘন্টা গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে এবং সাশ্রয়কৃত গ্যাসের আনুমানিক মূল্য ৩,২৬,২০৯/- টাকা (দৈনিক ভিত্তিক)।

এছাড়াও, বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন (সিনিয়র সহকারী সচিব) -এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন পিএলসি -এর মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ -২ এবং মেট্রো ঢাকা রাজস্ব বিভাগ-২ -এর তত্তাবধানে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর এলাকায় একটি সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ১টি নামবিহীন অবৈধ তার তৈরির কারখানা ও ১টি নামবিহীন ওয়াশিং কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অভিযানকালে ১টি বুস্টার, ১৬০ ফুট ২ ইঞ্চি পাইপ, ২টি গ্যাস নজল এবং ২টি ২ ইঞ্চি বল ভালভ জব্দ করা হয়েছে। এই সফল অভিযানের ফলে তিতাস গ্যাস আনুমানিক ৭,৪২,১৪০/- (সাত লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার একশত চল্লিশ) টাকা মাসিক মূল্যের গ্যাস সাশ্রয় করতে সক্ষম হয়েছে।


জামালপুরের কামালপুর সীমান্তে সাতজনকে পুশইন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে ধানুয়া কামালপুর সীমান্ত দিয়ে চার নারী সহ সাত জনকে পুশইন এর ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টায় ধানুয়া কামালপুরের ১০৮৩ পিলারের কাছ দিয়ে তাদের পুশইন করে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে সকাল ৭ টায় স্থানীয় এলাকাবাসী তাদের আটক করে বকশীগঞ্জ থানায় সোপর্দ করে।

আটককৃতদের বাড়ি খুলনা, ফরিদপুর, বাগেরহাট ও বরগুনার জেলায়।
আটককৃতরা হলেন বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার কাশেম আলীর ছেলে এনায়েত খাঁ (৫৫), একই উপজেলার বেলায়েত খাঁ এর ছেলে মোহম্মদ ইসলাম (২২), ফরিদপুর জেলার মেহবুব আলীর ছেলে কোরবান আলী (২০), তার মা তাছলিমা বেগম (৫০) একই খুলনার খালিশপুর এলাকার সোহাগ মিয়ার মেয়ে সুমি আক্তার (৩০), তার বোন রেমি আক্তার (২০,) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রুস্তম আলীর মেয়ে মায়া আক্তার (৩২)।

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোতালেব মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ভোরে ভারত থেকে ৭ জনকে পুশইন করছে এমন খবর পেয়ে গ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা সীমান্তে অবস্থান নেই এবং তাদের আটক করি।
আটককৃরা বিভিন্ন সময়ে কাজের সন্ধানে দালালদের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন শহরে চলে যায়। সম্প্রতি বিভিন্ন সীমান্তে পুশইন এর ঘটনা ঘটলে বকশীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তাদেরও বাংলাদেশে পাঠায় বিএসএফ।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে পুশইন করার পর স্থানীয়রা সাতজনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


১৩০ বছর বয়সেও জোটেনি আজিমনের বয়স্ক ভাতা কার্ড

আর কত বছর বয়স হলে মিলবে এই সুবিধা?
দুই নাতি নাতনির মাঝে নিজ বসত ভিটাই বসে আছেন বয়স্ক আজিমন নেছা 
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সোহেল রানা বাবু, মেহেরপুর প্রতিনিধি

প্রতিটি মানুষ সুন্দর জীবন জাপন করে বেচে থাকতে চাই, আর সেই জীবনে দীর্ঘায়ু হোক এটা কে না চাই। তবে আনুমানিক ১"শ ত্রিশ বছর বয়স্ক আজিমন নেছা বয়সের ভারে ন্যুব্জ, জরাজীর্ণ শরীর, আর পরনে থাকা ছেড়া কাপড়,শরীরে জড়ানো ছেঁড়া কাঁথা আর নোংরা মেঝেতে শুয়ে প্রতিক্ষার প্রহর গুনছেন মৃত্যুর।

পরিবার ও প্রতিবেশিদের দাবি, তার বয়স আনুমানিক ১৩০ বছর পেরিয়েছে। আজিমন নেছার পিতা পিতল আলীকে হারিয়েছেন বিয়ের আগেই, আর বিয়ের কিছু বছর পরে হারিয়েছেন স্বামী মফেজ উদ্দিনকে, আর একমাএ সন্তান মইয়েজ উদ্দিন কে হারিয়েছেন বছর চল্লিশেক আগে, পিতা-মাতা, স্বামী,সন্তানকে হারিয়ে পরিবার বলতে ৬৯ বছর বয়সি নাতনি রত্না খাতুন ও ৬৭ বছর বয়সি আরে নাতি শাহবুদ্দিন আহমেদ।

আর অভাবের সংসারে বয়সের ভারে দুর্বল হয়ে পড়া রত্না খাতুন যখন নিজেই চলতে পারেন না অথচ তাকেই দেখাশোনা করতে হয় বৃদ্ধা আজিমন নেছাকে। অভাবের সংসারে আজিমন খাতুন এখন যেনো বোঝা ছাড়া আর কিছুই নই। এখন নাতনির একটাই চাওয়া যে কোন সময় যেনো দাদির মৃত্যু হয়। অভাবের সংসারে এ বোঝা আর বইতে পারছে না বিধবা রত্না খাতুন। তাছাড়া সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া অন‍্যের বাড়ীতে কাজ করে দাদিকে নিয়ে জীবন জাপন করতে গিয়ে হাফিয়ে উঠেছেন। এখন তিনি একটু বিশ্রাম চান।

স্থানীয়রা বলেন, আজিমনের বয়স ১৩০ বছরের বেশি হলেও তার বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ না নেওয়া এবং খেয়ালীপনার কারণেই এমনটা হয়েছে।আবার এমনও হতে পারে মেম্বারদের অনৈতিক সুবিধা দিতে না পারাই হইতো কার্ডটি হচ্ছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল বলেন, আজিমনের আমাদের এলাকায় কালো বুড়ি নামে পরিচিত। কালো বুড়িকে সেই ছোট বেলা থেকে দেখছি। ছোট বেলায় যেমন দেখেছি এখনো তেমনি দেখছি। এমনকি আমার বাবারাও তাকে এমটাই দেখছে। এই মানুষের কার্ডতো বাড়িতে বসে থেকে হয়ে যাবার কথা। অথচ আপনারা সাংবাদিকরা যদি এটা না তুলে ধরতেন হইতো সে অগচরেই থেকে সুবিধা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যু বরণ করতন। এটাই সমাজের বাস্তব চিত্র।

আজিমন নেছার নাতী (ছেলের সন্তান)শাহাবুদ্দিন জানান, আমার নিজের বয়স ৬৯ বছরের বেশি। তিনি কখনোই তার দাদিকে সরকারি কোনো সাহায্য পেতে দেখেননি। তবে মেম্বার সাহেবরা ভোটের সময় এসে কার্ড ও সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে যায়। ভোট পার হয়ে গেলে খোঁজ থাকে না।

কাজীপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফুলচাঁদ আলী জানান, শুরুতে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি এই সংবাদ শোনার পরে ওই বৃদ্ধার পরিবারের সাথে কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদের ভাতার কার্ডের তালিকা দেখি। দেখে দেখতে পাই তালিকায় উনার নাম আছে এবং বিগত সময়ে দুবার টাকাও উঠেছে। তবে যে ফোন নম্বরটি ব‍্যাবহার করে টাকা উঠেছে সেই নম্বরটি এই পরিবারের কারোর না। আমি এই সপ্তাহের মধ‍্যে আজিমনের নাতি রত্নার ফোন নম্বরে যাতে ভাতার টাকা আসে সে ব‍্যাবস্থা করে দিবো ইনশাআল্লাহ।

কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. আলম হোসেন বলেন, এত বয়স হওয়ার পরেও কেন তার বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি, তা দুঃখজনক। দ্রুত সময়ে তার কার্ড করার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাশাপাশি, সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা তাকে দেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তাকে সার্বিক সহযোগিতার জন‍্য স্থানীয় চেয়ারম্যান বলা হয়েছে। তাছাড়া আপাতত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার বসবাসের ঘর মেরামতের জন‍্য ঢেউ টিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।


কালীগঞ্জে পৃথক অভিযানে দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি 

গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার পুলিশ পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোলাইমদ ও ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে। বুধবার (৯ জুলাই ২০২৫) রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম অভিযানটি রাত ৯টা ২০ মিনিটে কালীগঞ্জ থানাধীন নাগরী ইউনিয়নের ছোট করান এলাকার নিলয় গমেজের বসত বাড়িতে পরিচালনা করা হয়। সেখান থেকে বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো অবস্থায় ৩০ লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক নিলয় গমেজ (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার পিতার নাম মৃত জজ গমেজ এবং মাতার নাম মালা গমেজ। ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় মামলা নং-১০, তারিখ-০৯/০৭/২০২৫, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ২৪(খ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলার বাদী এসআই মোঃ রফিকুল ইসলাম এবং তদন্তভার প্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ রাসেল।

পরবর্তীতে একই দিন রাত ৯টা ১০ মিনিটে তুমুলিয়া এলাকায় জনৈক দিপক রোজারিওর বসতবাড়ির সামনে আরেকটি অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৯০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামুন শেখ ওরফে ব্লাক মামুন (৪৫) কে আটক করা হয়। তার পিতা মৃত ইদ্রিস আলী শেখ। আসামীর বিরুদ্ধে মামলা নং-১১, তারিখ-০৯/০৭/২০২৫, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলার বাদী এসআই মোঃ রিগ্যান মোল্লা এবং তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অপূর্ব কুমার বাইন।

কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলাউদ্দিন জানান, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করা হবে এবং মাদক কারবারীদের কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।


আমতলীতে বিএডিসির বীজে সিন্ডিকেট, বিপাকে কৃষকরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলী উপজেলায় সরকারি বিএডিসির (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন) আমন ধানের বীজ নিয়ে ভয়াবহ অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় ডিলার মধু প্যাদা অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও বিশাল পরিমাণ বীজ সংগ্রহ করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন বলে দাবি কৃষকদের।

অভিযোগে জানা গেছে, মধু প্যাদা বরিশালের ফরিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে গত ২৫ দিনে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন বিআর-৪৯ ও বিআর-২৩ জাতের ধানের বীজ কিনে তার মহিষকাটা বাজারের তিনটি গোডাউনে মজুত করেন। এরপর তা তালতলী, রাঙ্গাবালি, কলাপাড়া ও আমতলী উপজেলার বিভিন্ন দোকানে ৬৭০ টাকার বীজ ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন। এতে কৃষকরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি সরকার নির্ধারিত সরবরাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ছে।

স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বীজ না পেয়ে বাধ্য হয়ে বেশি দামে বীজ কিনতে হচ্ছে। এর পেছনে মধু প্যাদার সিন্ডিকেটই দায়ী।’
আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আফজাল হোসেন শরীফ বলেন, ‘১০ কেজি বিআর-৪৯ জাতের বীজ কিনেছি ৭৫০ টাকায়, যা সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশি।’

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, ‘কেউ অতিরিক্ত দামে বীজ বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে একজন ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, অনুমোদন ছাড়া ডিলারদের মধ্যে বীজ লেনদেন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

অন্যদিকে, মধু প্যাদা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সরকারি দুটি লাইসেন্সে ৪ মেট্রিকটন বীজ পেয়েছি। চাহিদা থাকায় অতিরিক্ত বীজ ফরিদ মিয়ার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি।’ তবে বরিশাল জননী ট্রেডার্সের মালিক ফরিদ মিয়া বলেন, ‘আমার ব্যবসায়িক স্বার্থে সব তথ্য প্রকাশ করা সম্ভব নয়।’

এ বিষয়ে বরিশাল বিএডিসির উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে বলেন, ‘ডিলাররা বাহির থেকে বীজ কিনলে সমস্যা কোথায়?’

এদিকে আমতলী উপজেলায় এ বছর ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও, বিএডিসি সরবরাহ করেছে মাত্র ৫৫ মেট্রিক টন বীজ, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। ফলে অধিকাংশ কৃষক চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ সংগ্রহে হিমশিম খাচ্ছেন।

বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আমতলীর ইউএনও মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, ‘কোনো ডিলার কৃত্রিম সংকট তৈরি করে অধিক দামে বীজ বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষকদের অভিযোগ ও স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসের মাঝে, এখন প্রশ্ন- কৃষকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে বীজের বাজারে এই সিন্ডিকেটের লাগাম টানা যাবে তো?


ভোলায় টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ফসলি জমি, পানিবন্দী অনেকে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
প্রতিবেদক, দৈনিক বাংলা

ভোলায় গত ২দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। টানা বৃষ্টির প্রভাবে মনপুরা উপজেলার শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়াও, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং কৃষিজমিতে ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে কৃষকের ফসলি জমি, ক্ষেতের সবজিসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মো: মাইনুদ্দিন জানান, বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ৮৫ লাখ টাকা পুজি খাটিয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে তার এগারোটি ঘের তলিয়ে গেছে। তার স্বপ্ন নিমিষেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে ধার দেনা করে মাছ ছাড়লেও সব মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে।

অপর মৎস্য ব্যবসায়ী মোঃ রাজীব জানান, আমার ৫০ শতাংশ জমির মধ্যে দুটি মাছের ঘের ছিল এতে লোনের টাকা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী বিদেশী মাছের চাষাবাদ করেছিলাম বৃষ্টির পানিতে ঘের ডুবে আমার সব মাছ চলে গেছে। আমার পাঁচ লক্ষের অধিচ বেশি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় কৃষক ও মৎস্য ব্যবসায়ী মো: মিজান বলেন, মনপুরায় প্রতিটি বিল ও ঘের অঞ্চলের মৎস্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের একই অবস্থা। কয়েক দফা বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ক্ষেতের ফসল, মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন এখানকার মৎস্য ব্যবসায়ী ও কৃষকরা।

মনপুরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলী আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ব্যবসায়ীদের তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করা হবে। বরাদ্দ না পেলে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার কোনো সুযোগ নেই। মৎস্য ব্যবসায়ীরা যাতে আগামীতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেন সে জন্য মাঠ পর্যায়ে তাদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন মাঠকর্মীরা।

দীর্ঘায়িত বর্ষা মৌসুমে টানা কয়েকদিন ভারী বর্ষণে উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার মৎস্য চাষি ও প্রান্তিক কৃষকরা। ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন তারা।

মনপুরা উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আহসান তাওহিদ বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কাছে আমাদের মাঠ কর্মীরা যাচ্ছে । ক্ষতিগ্রস্ত পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবো।

সরেজমিনে পানিবন্দি কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ঈশ্বরগঞ্জ ,দাসেরহাট, উত্তর সাকুচিয়া , রহমানপুর ও জংলারখাল এলাকায় পানি বন্দি হয়ে আছেন কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা।


পানি নিষ্কাশনের অভাবে  বেনাপোল বন্দরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে খালাশ প্রক্রিয়া
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বেনাপোল প্রতিনিধি 

টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে বেনাপোল বন্দর এলাকায় জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্দর অভ্যন্তরের অনেক স্থানে হাটু পানি জমায় মারাত্বক ভাবে ব্যহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। যানবাহন ও নিরাপত্তাকর্মীদের চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বন্দরের ৯.১২.১৫.১৬ ও ১৮ নম্বর সেড থেকে লোড আনলোড বন্ধ হয়ে আছে।

ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বন্দরে হাটু পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কয়েক বছর ধরে এ দূর্ভোগ হলেও নজর নাই বন্দর কর্তৃপক্ষের। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, রেলকর্তৃপক্ষ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় পানি নিষ্কাসনে বাধা গ্রুস্থ্য হচ্ছে।

তবে এসব শেড ও ওপেন ইয়ার্ড অধিকাংশই দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী হয়নি। বন্দর সড়কের উচ্চতার চেয়ে পণ্যগারগুলো নিচু হওয়ায় একটু বৃষ্টিপাত বেশি হলে পানি নিষ্কাষনের অভাবে পণ্যগার ও ইয়াডে জলবদ্ধতা তৈরী হয়। এতে পানিতে ভিজে যেমন পণ্যের গুনগত মান নষ্ট হয় তেমনি চলাচলের বিঘ্ন ঘটছে। তবে আজ সকাল থেকে সেচ যন্ত্র চালিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, বন্দরের জলবদ্ধতা প্রতি বছরে তৈরী হয়। বিশেষ করে রেল বিভাগ কালভাট না রেখে মাটি ভরাট করায় সমস্যার সন্মুখিন হতে হচ্ছে। বন্দরের পানি নিষ্কাসন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে। তবে দ্রুত এ অবস্থা কাটিয়ে তুলতে পাশ্ববর্তী হাওড়ের সাথে বন্দরের ড্রেন তৈরীর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রেরক: রাশেদুর রহমান রাশু, বেনাপোল যশোর ।


দৌলতপুর সীমান্তে যৌথ অভিযানে ১ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার জাল জব্দ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মানিকের চর ও বাংলাবাজার খারিজাথাক এলাকায় যৌথ অভিযানে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার অবৈধ “চায়না দুয়ারি ও বেহুন্দী” জাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন ও বর্ডার গার্ড বিজিবি। সোমবার (৭ ও ৮ জুলাই) বিকাল ৫টা থেকে পরের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত এ অভিযান চালানো হয়। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি’র তরফ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজিবি সূত্র জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন ৪৭ বিজিবি ও দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন মীমান্তের মানিকের চর ও বাংলাবাজার খারিজাথাক এলাকায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ “চায়না দুয়ারি ও বেহুন্দী” জালের মজুদ থাকায় ওই এলাকায় গত ৭ জুলাই বিকাল ৫টা থেকে ৮ জুলাই সকাল ১১টা পর্যন্ত দুই দফায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৮৫০০ কেজি অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, ৩৫০০ কেজি বেহুন্দী জাল, ১৫টি বড় সাইজের ড্রাম এবং ৪,০০০ কেজি জাল তৈরীর যন্ত্রাংপাতি জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ১,৮৪,৪৫,০০০ হাজার টাকা। এসময় ৩ জন আসামীকে ১৩,০০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশ নেয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী, উপজেলা মৎস অফিসার হোসেন আহমেদ স্বপন, আনসার সদস্য এবং ৪৭ বিজিবি’র ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার সহকারী পরিচালক মোঃ জাকিরুল ইসলাম।

জব্দকৃত অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, বেহুন্দী জাল, ড্রাম এবং জাল তৈরীর যন্ত্রাংশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আব্দুল হাই সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ধ্বংস করা হয়।

অবৈধ মৎস্য আহরণ ও জালের অপব্যবহার রোধে ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) ভবিষ্যতেও উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবেন বলে বিজিবি সূত্রে জানানো হয়।


চকরিয়ার সেই পালাতক আসামি সাজ্জাদ কক্সবাজারে ডিবির জালে আটক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউসুফ বিন হোছাইন, চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গত রোববার (৬ জুলাই) মালুমঘাট বাজার থেকে পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে এক যুবক পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া সে যুবক সাজ্জাদ হোসেন (২০) কে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ কলাতলীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আটক করে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেল (ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট) অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজারের ডিবি পুলিশ। রাত প্রায় তিনটায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ওই হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তাকে আটক করা হয়।

চকরিয়া থানা পুলিশের বিশেষ নজরদারি ও কক্সবাজারের গোয়েন্দা পুলিশের শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আসামি সাজ্জাদ হোসেন কে আটক করতে সক্ষম হয় কক্সবাজার ডিবি পুলিশ।

এবিষয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, পলাতক আসামি সাজ্জাদ কে কক্সবাজার ডিবি পুলিশ আটক করেছে। প্রাথমিকভাবে সদর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর চকরিয়া থানায় নিয়ে আসা হবে। তার বিরুদ্ধে একটি পুলিশ এসল্ট মামলা করা হয়েছে।


রূপগঞ্জে জ্বরের প্রকোপ, হাসপাতালে রোগীদের ভিড়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিদিধি

রূপগঞ্জে বর্ষাকালীন বিভিন্ন ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে চাপ বেড়েছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্কুলছাত্র রাতুলের () মা প্রিয়া রানী বলেন, "জ্বর সারছিল না বলে চিন্তিত হয়ে হাসপাতালে এসেছি।"

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা নাগরিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, জ্বর তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে। এসময় বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং মশার বংশবিস্তার রোধে সতর্ক থাকতে বলেছেন তারা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে জ্বরের রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


পঞ্চগড়ে রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে  ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বালু উত্তোলনকারীকে 

আপডেটেড ৯ জুলাই, ২০২৫ ১১:৩৭
পঞ্চগড়(দেবীগঞ্জ) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে যৌথবাহিনীর অভিযানে একজনকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে শালডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলাঝাড়ি বাজারের করতোয়া নদীসংলগ্ন এলাকায় অভিযানটি চালানো হয়।

দেবীগঞ্জ সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর জুবায়ের হোসেন সিয়ামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের সমন্বয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুইটি ট্রাক্টরসহ চালক রাজু ইসলাম ও শান্ত আহমেদকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালতের রায়ে রাজু ইসলামকে বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ধারা লঙ্ঘন করায় দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। তবে রাজু ইসলাম অর্থদণ্ডের অর্থ পরিশোধ করায় ট্রাক্টর দুটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্রশাসন জানায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন রোধে যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকবে।


ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫ স্থানে ভাঙন, ৩৫ গ্রাম প্লাবিত

ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় মুহুরী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ভাঙ্গন স্থান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ৯ জুলাই, ২০২৫ ১৪:৫১
ফেনী জেলা প্রতিনিধি

ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধে অন্তত ১৫টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

ভাঙ্গনস্থান গুলোর মধ্যে পরশুরাম উপজেলায় ১০টি ও ফুলগাজী উপজেলায় ০৫টি রয়েছে। এসব ভাঙ্গন দিয়ে লোকালয়ে ঢুকেছে পানি। এতে দুই উপজেলার ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত হলে পানি আরো বৃদ্ধি পাবে সাথে সাথে ভাঙ্গনও বাড়বে।

পরশুরাম উপজেলায় ভাঙ্গনস্থান গুলো হল: জঙ্গলগোনা-২ টি, উত্তর সালদর-১টি, নোয়াপুর -১ টি, পশ্চিম অলকা-১টি, ডি এম সাহেবনগর-১টি, পশ্চিম গদানগর-১ টি, দক্ষিন বেড়াবাড়ীয়া -১ টি, পূর্ব সাতকুচিয়া-১টিসহ মোট: ১০টি ।

ফুলগাজী উপজেলায় ভাঙ্গনস্থান গুলো হল: দেড়পাড়া-২ টি, শ্রীপুর-১টি, উত্তর দৌলতপুর -১টি, কমুয়া-১ টিসহ মোট: ৫টি ।

ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, জেলায় ০৭ জুলাই সকাল নয়টা হতে ০৯ জুলাই সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৪৮ ঘন্টায় ৫৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ টায় মুহুরী কুহুয়া সিলোনিয়া নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ।

ফেনী জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় ফুলগাজী উপজেলায় ৯৯টি (মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩২টি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৭টি) এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতে ফেনী শহরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ সহ সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন। টানা বৃষ্টির কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, রামপুর, শাহীন একাডেমি এলাকা, পাঠান বাড়ি এলাকা, নাজির রোড, পেট্রো বাংলোসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে আজ পানি কমতে শুরু করেছে।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে যারা আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ব্যবস্থা আছে। সার্বক্ষণিক জেলা প্রশাসনের তদারকি রয়েছে। বন্যা পরবর্তী ভাঙ্গনস্থান সংস্কারের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সারাদেশে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

নিয়োগবিধি সংশোধন করে ১৪তম গ্রেড দেওয়াসহ ছয় দাবিতে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের ৬ দাবি হলো:

১. নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক/সমমান এবং ১৪তম গ্রেড প্রদান।

২. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদপ্রাপ্তদের ১১তম গ্রেডসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।

৩. পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।

৪. স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সবাইকে প্রশিক্ষণবিহীন স্নাতক পাস স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে।

৫. বেতন স্কেল উন্নতি/পুনর্নির্ধারণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা যতসংখ্যক টাইম স্কেল (১/২/৩টি)/ উচ্চতর স্কেল (১/২টি) পেয়েছেন তা উন্নীত পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ করতে হবে।

৬. পূর্বে ইন-সার্ভিস ডিপ্লেমা (এসআইটি) কোর্স সম্পন্নকারী স্বাস্থ্য সহকারী/সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক/স্বাস্থ্য পরিদর্শকগণ ডিপ্লেমা সম্পন্নকারী সমমান হিসেবে গণ্য করতে হবে।

সারাদেশ থেকে ব্যুরো, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠনো খবরে বিস্তারিত...

জামালুদ্দিন হাওলাদার, চট্টগ্রাম ব্যুরো জানান, নিয়োগবিধি সংশোধন ও ১৪তম গ্রেডে বেতন-ভাতাসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়ন চেয়ে চট্টগ্রামে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল আটটা থেকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করে তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগে ‘ভ্যাকসিন হিরো’সহ সকল আন্তর্জাতিক অর্জন হওয়া সত্ত্বেও বিগত সরকার আমাদের শুধু আশার বাণীই দিয়ে গেছেন। কিন্তু আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ প্রস্তাবিত ৬ দফা দাবি বাস্তবায়ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।

এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম কুদরাত ই খুদা রকির সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিলা আরা চৌধুরী রশ্মি, অর্থ সম্পাদক মঈনুল আহমদ আলী সাগর, মহিউদ্দিন চৌধুরী, লোকমান হাকিম বাদশাহ, কাজী সাইফুল ইসলাম, হাসিনা বেগম, এস এম মিজানুর রহমান, আবুল কালাম, শামসুল আলম চৌধুরী, লকিয়ত উল্লাহ, করিমুন্নেসা সাদেকা ও আবদুল মোমেন।

তারা আরও বলেন, আমরা এ কমসূচি পালনের পূর্বে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি ও আবেদন দিয়ে আমাদের দাবি ও কর্মসূচি বিষয়ে অবগত করেছি। কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যদি আমাদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন বন্ধ থাকবে। এ সময় তারা সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে নিবার্হী আদেশে নিয়োগ বিধি সংশোধন শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা সহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেডে ‘উন্নীতকরণ, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ, পূর্বের নিয়োগবিধি অনুযায়ী নিয়োগ পেলেও কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারী সব স্বাস্থ্য পরিদর্শক স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের অভিজ্ঞতার আলোকে স্নাতক পাস স্কেলে আত্মীকরণ, বেতন স্কেলে উন্নীতকরণের পূর্বে স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শক গন যত সংখ্যক টাইম স্কেল অথবা উচ্চতর গ্রেট প্রাপ্ত বা প্রাপ্য হয়েছেন তা পরবর্তী পুনর্নির্ধারিত বেতন স্কেলের সঙ্গে যোগ, পূর্বে ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা এসআইটি কোর্স সম্পূর্ণ কারী স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য পরিদর্শকদেরকে ডিপ্লোমাধারী সম্পন্ন হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১ তম গ্রেড দাবি করেন তারা।

কামাল হোসেন বাবুল, গাজীপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গাজীপুর জেলা স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় গাজীপুর সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে হেলথ এসিস্ট্যান্ট এ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তারা বলেন, বেতন বৈষম্য নিরসনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ হোসেন সিকদার, হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন গাজীপুর জেলা উপদেষ্টা মো. শামীম আল রাজি, সহ সব উপজেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, নীলফামারী থেকে জানান, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে নীলফামারীতে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসুচি হয়েছে বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার ব্যানারে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।


কর্মসুচি চলাকালে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আনজারুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান।
এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ খ ম আলমগীর সরকার ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম।
অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক জিকরুল হক সম্রাট, ডিমলা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, জলঢাকা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান মানিক, কিশোরগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন নীলফামারী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নিতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের দাবী করে আসছে।
আমরা আজকের কর্মসুচি থেকে দ্রুত ছয় দফা দাবী বাস্তবায়নে জোড় দাবী জানাচ্ছি।

নেত্রকোণা প্রতিনিধি জানান, নেত্রকোণায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে জেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা বাংলাদেশ হেল্থ এসিসট্যান্ট এস্যোসিয়েশনের ব্যানারে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এসময় বক্তব্য দেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোঃ হাবীবুর রহমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মনসুরুল হক পাবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিনূর ইসলাম প্রমুখ।

কর্মসূচীতে জেলার ১০ উপজেলায় কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।

বক্তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তাবিত মাঠ পর্যায়ে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সহকারীদের নিয়োগবিধি সংশোধন পূর্বক স্নাতক সমমান সংযুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান, ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী উচ্চতর গ্রেড প্রদানসহ ৬দাবি দ্রুত বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। দ্রুত দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোরতর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বক্তারা।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান , ৬ দফা দাবি আদায়ে ঝিনাইদহে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকালে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে ঝিনাইদহ হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন এ অবস্থান কর্মসূচীর আয়োজন করে।

ঘন্টা ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচিতে দাবি সম্বলিত ব্যানার, লিফলেট নিয়ে জেলা ও উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেয়। সেসময় হেলথ এ্যাসিস্ট্যান্ট এ্যাসোসিয়েশন জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়ক আমিনুল ইসলাম, সমন্বয়ক ফারুক হোসেন, ওলিউর রহমান, সোহেল রানা, মো. ফরহাদ, আক্তার হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

যশোর প্রতিনিধি জানান, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড ও ‘টেকনিক্যাল পদমর্যাদা’সহ ৬ দফা দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার আট উপজেলা থেকে আসা স্বাস্থ্য সহকারীরা অংশ নেন।


‘বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন’ যশোর জেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠপর্যায়ে জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছেন। অথচ তারা এখনো সরকারি স্বীকৃতি ও ন্যায্য মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। তাদের চাকরির গ্রেড ও পদোন্নতিতে রয়েছে চরম বৈষম্য।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন দাবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং মাথায় বাঁধেন মনিপতাকা। তারা দাবি আদায়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, সহসভাপতি রবিউল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, অর্থ সম্পাদক হারুন অর রশিদ, উপদেষ্টা আসাদুর রহমান, শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।

লিটন ঘোষ, মাগুরা থেকে জানান, মাগুরায় ৬ দফা দাবীতে জেলার ৪ উপজেলার ২ শতাধিক স্বাস্থ্য সহকারিরা ৩ ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে । মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করে বাংলাদেশ হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশন মাগুরা পরিষদ।

এ সময় ৬ দফা দাবী তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন মাগুরা হেলথ এ্যাসিটেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারি সঞ্চিতা চক্রবতী ও জামিরুল ইসলাম । অবস্থান কর্মসূচীতে জানানো হয়,প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগ প্রতিরোধ যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্য সহকারিরা মাঠ পর্যায়ে আন্ত:ব্যক্তি যোগাযোগের মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে । কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের পদের কোন পরিবর্তন হয়নি । তাই সরকারের প্রতি ৬ দফা দাবীতে সারাদেশে চলছে অবস্থান কর্মসূচী । স্বাস্থ্য সহকারিদের দাবীর মধ্যে রয়েছে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক সমমান এবং ১৪ তম গ্রেড প্রদান,ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণ সনদ প্রাপ্তদের ১১ তম গ্রেড প্রদানসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান ও স্বাস্থ্য সহকারি,সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক,স্বাস্থ্র পরিদর্শকগণ পূর্বের নিয়োগ বিধি দ্বারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও সকলকে প্রশিক্ষণ বিহীন স্নাতক পাশ স্কেলে আত্তীকরণ করতে হবে ।

মীর আনোয়ার আলী, রংপুর থেকে জানান, বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রংপুরে স্বাস্থ্য সহকারীরা ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি চলছে। দাবি আদায় না হলে ১ সেপ্টম্বর থেকে কমপ্লিট শাটডাউন যাবেন বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে সিভিল সার্জন এর কার্যালয় সামনে এসে জড়ো হন তারা। এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেল্থ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান, রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মারজান মিয়া। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দও বক্তব্য দেন।

হুঁশিয়ারি দিয়ে রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক মো. মাসুদার রহমান বলেন, দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হবে।

রংপুর জেলা সভাপতি শাহ মো. শামিম হোসেন বলেন, জন্মের পর থেকে শিশুদের ১০টি মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষায় যে টিকা প্রদান করা হয়, তার পুরো কাজটি তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহকারীরাই করেন। এই কাজ অত্যন্ত টেকনিক্যাল হলেও আমরা এখনো টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। দীর্ঘদিন ধরে এই দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়ন করছে না। ফলে আমরা চরম বেতন বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

সাধারণ সম্পাদক মো. আনিস রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন অর্জনের পেছনে স্বাস্থ্য সহকারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান থাকলেও বিগত সরকারগুলো কেবল আশ্বাস দিয়েছে, বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমাদের দাবি বাস্তবায়নে নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড প্রদান এবং ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমার মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।

স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, ৬ দফা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আরও কার্যকর ও টেকসই হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর ন্যায্য দাবি বাস্তবায়ন করে বৈষম্যের অবসান ঘটাবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খান রুবেল, বরিশাল ব্যুরো জানান, ছয়দফা দাবিতে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের সামনে মঙ্গলবার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ হেলথ এসিষ্ট্যান্ট এসোসিয়েশন।

বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দরা জানিয়েছেন, দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সহকারী অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক একেএম মইনুদ্দিন খোকনের সভাপতিতে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালীন অ্যাসোসিয়েশনের বরিশাল বিভাগের সভাপতি জিয়াউল হাসান কাবুলসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। সেখানে বেলা ১১টা পযর্ন্ত কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য সহকারী রবিউল ইসলাম, মোর্শেদুল আলম, সুলতানা পারভীন কচি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলা‌দেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসো‌সি‌য়েশনের মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপ‌তি মো. ফরহাদ হো‌সেন, সাধরণ সম্পাদক মো. মাহবুবার রহমান, কোষাধ্যক্ষ নুরুল আমিন বেপারী, সাংগঠ‌কি সম্পাদক মো. জা‌হিদুল ইসলাম, মো. আজিজুল হক, বাসু দেব মোল্লা, আমিনুল ইসলাম ও জয়ন্ত ভট্টাচার্যসহ অনেকে।

ঝালকাঠি প্রতিনিধি জানান, ঝালকাঠির সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বৃষ্টি উপেক্ষা করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন ঝালকাঠি শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইদা সুলতানা, সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক নাঈম প্রমুখ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি জানান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সকাল ৮টা বেলা ১১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের টাঙ্গাইল শাখার নেতাকর্মীরা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের জেলা শাখার আহ্বায়ক মো. নুরুল ইসলাম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা মো. সেলিম মিয়া, মো. আলমগীর হোসেন, মো. কামাল হোসেন প্রমুখ। কর্মসূচিতে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ৩৫০ জন নেতাকর্মী অংশ নেন।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি জানান, সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন ভূইয়া, বিভাগীয় আহ্বায়ক এ কে এম শফিউল আজম, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আফজাল হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীরসহ অনেকে।


banner close