সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে তেয়াশিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভূমি কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
আল জাদিদ হোসেন বাঁধন নামের ওই ভুক্তভোগীর অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া এনায়েতপুর গোপালপুর মৌজার একটি জায়গা নামজারি করার জন্য তিনি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে যান। ভূমি কর্মকর্তা তার কাছে ওই জায়গার নামজারির জন্য ১৬ হাজার টাকা দাবি করেন। যেখানে সরকারিভাবে নামজারি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১১শ টাকা। তিনি বলেন, এই টাকা না দিলে জায়গার নামজারি হবে না। পরে বাধ্য হয়ে তাকে ভেঙে ভেঙে ১৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা নেওয়ার দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও তিনি এখনো জায়গাটি নামজারি করে দেননি। উল্টো বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে মারধর করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।
বাঁধন বলেন, ‘পরে আমি বাধ্য হয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক মণ্ডল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়েরের প্রায় এক মাস হলেও উপসহকারী রেজাউলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি।’
দৌলতপুর ইউনিয়নের তেয়াশিয়া গ্রামের আরেক ভুক্তভোগী আল আমিন জানান ‘জমির নামজারিসহ ভূমি সংক্রান্ত কোনো কাজ করতে গেলেই রেজাউল করিম রেজাকে ঘুষ দিতে হয়। ২০২২ সালে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ২৪ শতক জায়গার বাবদ (৩৭,৫০০/-) সাঁইত্রিশ হাজার পাঁচশ টাকা নিয়ে ১০ টাকার রশিদ কেটে দিলেন, বাকি টাকার রশিদ চাইলে তিনি বলেন ওটা দেওয়া হয় না। এখন ২০২৪ সালে ওই জায়গার খাজনা দিতে গেলে ভূমি উপসহকারী রেজাউল বলেন ওই জায়গা আপনার নেই। পরে জানতে পারি ২৪ শতক জায়গা আমার চাচাতো ভাইদের নামে নায়েব রেজাউল নামজারি করে দিয়েছেন। এমনকি দেখা যায়, আট বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামেও নামজারি করে দিয়েছেন।’ এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক মণ্ডল বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে আমার অভিযোগ পত্রটি তিনি গ্রহণ না করে আমাকে নামজারির ওপর মিস কেস করতে বলেন।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বেলকুচি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতীক মণ্ডল জানান, ‘আমরা তেয়াশিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্তাধীন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর বাজারে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক শাখায় ডাকাতির চেষ্টার সময় সহিদুল হক (২৮) নামে এক যুবককে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে ব্যাংকের ভেতর থেকে ডাকাতির সরঞ্জামসহ তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকের নাইটগার্ড রাতের খাবারের জন্য নিচে নামেন। কিছুক্ষণ পর তিনি ব্যাংকের ভেতরে হঠাৎ লাইটের আলো দেখতে ও শব্দ পান। সন্দেহ হলে তিনি ব্যাংক ম্যানেজার ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন।
পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে ওই যুবককে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। একই সাথে ব্যাংকের টাকা রাখার ভল্টে ডাকাতির চেষ্টার চিহ্ন দেখতে পান।
খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক যুবককে থানায় নিয়ে যায়। আটক সহিদুল ভজনপুর ইউনিয়নের সারাপিগছ এলাকার শুক্রু মোহাম্মদের ছেলে।
ব্যাংকের গার্ড আনিস বলেন, রাতে বাইরে থেকে হঠাৎ ব্যাংকের ভেতর লাইট জ্বলে থাকতে দেখতে পাই। একই সাথে কিছু একটা শব্দ আসতে থাকে। একা প্রবেশের সাহস পাচ্ছিলাম না। সাথে সাথে ব্যাংক ম্যানেজারকে ও কর্মকর্তাদের জানিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় ভেতরে যাই। এরপর ওই ডাকাতকে দেখতে পাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে আটক ঐ যুবক বিকেলে ব্যাংকে এসে লুকিয়ে ছিল। এর মাঝে রাতে সবাই বের হলে ডাকাতির চেষ্টা করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হামিদুল হাসান লাবু বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজারের উপর ব্যাংকটির অবস্থান। অনেক রাত পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকে। তারপরও এখানে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে। গার্ড আনিস বুঝতে পেরে সবাইকে অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ব্যাংকের গার্ডের তৎপরতা ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি বড় ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদ ডাকাতির চেষ্টায় আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্তসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় বাঁকখালী নদীতে ‘ফুটবল খুঁজতে গিয়ে’ নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মৃতদেহ ৪০ ঘন্টা পর উদ্ধার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার স্টেশন সংলগ্ন বাঁকখাল নদীর ব্রিজ এলাকা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে বলে জানান, স্থানীয় ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিন।
মৃত উদ্ধার মিজবাহ উদ্দিন (১৪) কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের চাঁদের পাড়ার বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে। সে বাংলাবাজারস্থ আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
স্থানীয়দের বরাতে নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাবাজার স্টেশন সংলগ্ন বাঁকখালী নদীর ব্রিজের পাশে নিখোঁজ শিশু মিজবাহ উদ্দিনের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। খবরটি শোনার পর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রওনা হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে মিজবাহ উদ্দিন স্কুলে সাময়িকী পরীক্ষা শেষে বাড়ী ফিরে। পরে সে প্রতিবেশী বন্ধুদের সঙ্গে বাঁকখালী নদীর তীরে ফুটবল খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে ফুটবলটি বাঁকখালী নদীতে গিয়ে পড়ে। এতে ফুটবলটি নিয়ে আসতে গিয়ে সে নিখোঁজ হয়।
বরিশালের মুলাদী উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জের ধরে আপন দুই ভাই মিলে আরেক ভাইয়ের চোখ তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ মর্মান্তিক ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম রিপন ব্যাপারী। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি রাজধানীর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রিপনের স্ত্রী নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে স্বপন ব্যাপারী, রোকন ব্যাপারী, আর্শেদ ব্যাপারীসহ ৮ জনকে আসামি করে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
মামলাটি গ্রহণ করে মুলাদী থানাকে প্রাথমিক তথ্য প্রতিবেদন (এফআইআর) দেওয়ার জমা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি নাজিম উদ্দিন পান্না।
এর আগে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাতে রিপনের মেজো ভাই রোকন ব্যাপারী ও ছোটভাই স্বপন ব্যাপারী লোকজন নিয়ে তার দুই চোখ তুলে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন আঙুল দিয়ে রিপন ব্যাপারীর বাম চোখ তোলার চেষ্টা করছে। এ সময় আরও দুজন রিপনের পা ও শরীর চেপে ধরে আছে। ঘটনার সময় এক নারীর হাতে একটি উৎপাটিত চোখ দেখা যায়। একই সময় আরেক নারীকে রিপনের মুখমণ্ডলে মারধর করতে দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে রিপনের বাবা উপস্থিত ছিলেন, এবং উৎপাটিত চোখ তার হাতে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত রিপন ব্যাপারীর ছেলে শাহিন ব্যাপারী বলেন, তার মেজো চাচা রোকন ব্যাপারীর কাছে টাকা ও স্বর্ণালংকার গচ্ছিত রেখেছিলেন তার বাবা (রিপন)। এ ছাড়া জায়গা-জমি নিয়েও কিছু বিরোধ ছিল। ওই বিরোধ মেটাতে চাচারা তার বাবাকে সংবাদ দিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে ডেকে নেন।
তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার বিকেলে তার বাবা ভাইদের সঙ্গে কথা বলতে বাড়িতে পৌঁছলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিরোধ মেটাতে শনিবার সকালে এলাকায় সালিশ বৈঠকের কথা ছিল। কিন্তু রাতে তার দুই চাচা লোকজন নিয়ে রিপন ব্যাপারীর চোখ তুলে নিয়েছেন।
শাহিন আরও বলেন, ভিডিওতে রিপনের বুকে চেপে যাকে আঙুল দিয়ে বাম চোখ উৎপাটন করতে দেখা গেছে, তিনি রোকন ব্যাপারী। রিপনের পা চেপে ধরা ব্যক্তি স্বপন ব্যাপারী। যার হাতে উৎপাটিত একটি চোখ ছিল তিনি রোকন ব্যাপারীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম এবং তার মেয়ে সুবর্ণা আক্তার মারধর করেছেন।
শাহিন জানান, চোখ তুলে নেওয়ার পরে স্থানীয় লোকজন তার বাবাকে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তাকে ঢাকায় জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, বরিশাল আদালত থেকে বাদীর লিখিত আবেদনের অনুলিপি ও বিচারকের আদেশ থানায় পৌঁছানোর পরে বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে মামলা করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল নাজিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ২৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে সিমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধারকৃত গাঁজার আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর রামকৃষ্ণপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সীমান্ত পিলার ১৫৭ এর মেইন পিলার থেকে প্রায় ৩০০ গজ ভেতরে মদনের ঘাট নামক স্থানে হাবিলদার মো. আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় ভারত থেকে পাঁচার হয়ে বাংলাদেশে আসা ২৫ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি সদস্যরা।
উদ্ধারকৃত গাঁজার সিজার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯ হাজার ২৫০ টাকা। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
বিজিবি জানায়, মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে তাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর নজরুল পরিষদের আয়োজনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর মুসলিম মিশন কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সমাজসেবক অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সামাদ।
ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সভাপতি প্রফেসর মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে
আলোচনা সভায় দৈনিক ফতেহাবাদ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম সাত্তার, বিশিষ্ট নজরুল গবেষক অধ্যাপক সিরাজুল হক, ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সম্পাদক সাংবাদিক মফিজ ইমাম মিলন, অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক খালিদুজ্জামান মিঠু সহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফরিদপুর নজরুল পরিষদের সম্পাদক এ্যাডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ ও নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী লিয়াকত হোসেন, কবি নীলুফার ইয়াসমিন রুবী, শরীফ মাহমুদ সোহান ও বেলায়েত হোসেন।
অনুষ্টানে বক্তরা বলেন, জাতীয় কবির সৃষ্টিকর্ম থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে তা জীবন ব্যবস্থায় প্রতিফলিত করতে হবে। নজরুলকে নিয়ে যতটা গবেষণা হওয়া উচিত ছিল, তা এখনো হয়নি। ‘গবেষণা ও সম্প্রসারণ কেন্দ্রের মাধ্যমেও কবি নজরুলের বিভিন্ন বিষয়- বিশেষ করে যেগুলো নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি, সেগুলো নিয়ে গবেষণা করে আমাদের জ্ঞানভাণ্ডরে যোগ করতে হবে।’
অনুষ্ঠান শেষে কবির আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় উর্মী ইসলাম (১৫) নামের এক কিশোরীকে। হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা, মা ও ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নিহত কিশোরীর মা আমেনা বেগম, বাবা নজরুল বয়াতি ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন ।
বাউফল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আরিফ মুহাম্মদ শাকুর বাউফল থানায় প্রেস ব্রিফ করে জানান, নিহত উর্মী ইসলামের (১৫) সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার মা আমেনা বেগম (৪০), বাবা নজরুল বয়াতি (৪৫) ও ভগ্নিপতি কামাল হোসেন (৩২) মিলে গত ২২ আগস্ট রাত দেড়টার দিকে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ গোপন করতে তারা উর্মীর লাশ কুম্ভখালী খালে ফেলে দেয়।
পরে ২৩ আগস্ট সকালে কুম্ভখালী খাল থেকে উর্মীর ম’রদে’হ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে বাউফল থানা পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে নামে। তদন্তে পরিবারের তিন সদস্যের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসলে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা বুধবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
প্রেস ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার, বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা।
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ (ইকসু) গঠন এবং নির্বাচনের গঠনতন্ত্র বা সংবিধি প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান ও সদস্য-সচিব হিসেবে আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. কামরুল হাসান দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ হলেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আলীনূর রহমান, দা'ওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের
অধ্যাপক ড. শহীদ মুহাম্মদ রেজওয়ান, আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহা. তোজাম্মেল হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজিবুল হক, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তফা আরীফ।
এছাড়া, বহিরাগত সদস্যবৃন্দ হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. একরামুল হক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জাফর উল্লাহ তালুকদার, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার ইমাম হোসেন সিডনী।
গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি তবে এখনও চিঠি হাতে পাইনি। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি হয়ে গেছে, আগামী শনিবারে বসে সবাইকে নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
যানজট ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে অবশেষে নওগাঁ শহরের প্রধান সড়ক চার লেনে উন্নীত করার প্রস্তাবিত প্রকল্প আবারও গতি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন নানা জটিলতায় আটকে থাকা এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক স্টেকহোল্ডার সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউওালের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
সভায় জানানো হয়, নওগাঁ শহরের সান্তাহার মোড় থেকে চৌমাসিয়া চত্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নওগাঁ শহর যানজটমুক্ত হয়ে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্মসচিব নাজনীন ওয়ারেস, উপসচিব জাহিদুল ইসলাম, নওগাঁ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশেদুল হক রাসেল ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নূরে আলম সিদ্দিক। তাঁরা প্রকল্পের বিভিন্ন ধাপ, করণীয় ও সম্ভাব্য সুফল নিয়ে আলোচনা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘নওগাঁ শহরের প্রধান সড়কটি দ্রুত চার লেনে উন্নীত করা হলে যানজট কমবে, শহর হবে আধুনিক। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সকল শ্রেণিপেশার মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
প্রধান অতিথি ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘চার লেন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নওগাঁ হবে আধুনিক ও যানজটমুক্ত শহর। তিনি জানান, প্রকল্পটি অনুমোদন হয়ে খুব দ্রুত বাস্তবায়ন হবে। এজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতাও কামনা করেন।’
সভায় রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ছাত্রসমাজ, গণমাধ্যমকর্মীসহ সুধীজন উপস্থিত থেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
সভা শেষে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন কমিটির সদস্যরা। এ সময় নওগাঁ সড়ক বিভাগাধীন আঞ্চলিক ও জেলা মহাসড়কের অন্যান্য উন্নয়ন কার্যক্রমও দেখা হয়।
নওগাঁর বদলগাছীতে ওড়না পেচানো ফাঁস লাগানো অবস্থায় এক গৃহবধূকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর।
তরকারির স্বাদ কম হওয়ায় স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করায় অভিমানে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়।
বুধবার ২৭ আগষ্ট সকালে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের জগদ্বীশপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম ঝর্ণা খাতুন (২৫)। তিনি জগদ্বীশপুর গ্রামের আকাশ হোসেনের স্ত্রী। এঘটনায় স্বামী আকাশ পলাতক রয়েছে। তাদের ঘরে ৪-৫ বছরের দুটি জমজ ছেলে রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ২৬ শে আগস্ট রাত আনুমানিক ৯টার দিকে পরিবারের সবাই একসাথে রাতের খাবার খেতে বসে। কিন্তু তরকারির স্বাদ না হওয়ার কারণে স্বামী আকাশ হোসেন রেগে গিয়ে স্ত্রী ঝর্ণাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে মারধর করে। মারধর সহ্য না করতে পেরে বুধবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে আকাশের স্ত্রী ঝর্ণা বাবার বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে আকাশ তার স্ত্রীকে বাবার বাড়ি যেতে না দিলে এক পর্যায়ে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। আবারো স্ত্রীকে গালিগালাজ ও মারধর করে স্বামী আকাশ। এদিকে মারধর এবং গালাগালাজ সহ্য করতে না পেরে আকাশের স্ত্রী ঝর্ণা খাতুন এদিন সকাল সাড় ৬টার দিকে রাগ করে নিজ ঘরের ভিতর গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। এবং ওড়না পেচিয়ে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগায়।
ফাঁস লাগানোর বিষয়টি স্বামী আকাশ এবং ঝর্ণার শাশুড়ি পেয়ারা বেগম দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে থাকা সাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ওড়না কেটে নিচে নামায়। এ সময় ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন চলে আসে। সাথে সাথে ঝর্ণাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ৯ টার দিকে জরুরি বিভাগের ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই কথা শুনে ঝর্ণার স্বামী আকাশ এবং শাশুড়ি পিয়ারা বেগম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। বর্তমানে লাশ জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে মর্গে আছে বলে জানা যায়। খবর পেয়ে বদলগাছী থানার ওসি আনিসুর রহমান, তদন্ত ওসি সাইফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিন বিকেল ৪ টার দিকে জানতে চাইলে বদলগাছী থানার ওসি আনিসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে আছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, "৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক হয়েছি, আর ২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা আরও সুদৃঢ় হবে। কিন্তু দীর্ঘ ১৫ বছরের দুঃশাসন এক-দুই বছরে দূর করা সম্ভব নয়। আগামী নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা একটি নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি, তাই সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে—নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে। সহিংসতা হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে, গণতন্ত্র বিপন্ন হবে। একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনই আমাদের মূল লক্ষ্য।"
আজ (২৭.০৮.২৬) বুধবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নাসিরাবাদ গ্রামে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নদীভাঙন প্রসঙ্গে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, "মেঘনা নদীর ভাঙনে শত শত পরিবার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও জীবিকার সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। মসজিদ, মাদ্রাসা ও বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।"
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি মব জাস্টিস ও সাইবার অপরাধ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, "মব জাস্টিসের পেছনে অন্যতম বড় কারণ হলো ভুল তথ্য ছড়ানো—আর এর জন্য মোবাইল এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের অপব্যবহার দায়ী। সাইবার অপরাধ একটি নতুন চ্যালেঞ্জ, এটি সরকার একা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তরুণ সমাজকে আইটি সেক্টরে দক্ষ হতে হবে এবং এই অপরাধ রোধে এগিয়ে আসতে হবে।"
অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "প্রশাসনের একার পক্ষে এটি বন্ধ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় জনগণকে বালুখেকোদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।"
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টার একান্ত সচিব তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া, বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি (পূর্ব বিভাগ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খাঁন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু মোছা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান, নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুর, নবীনগর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম এবং নবীনগর প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি।
ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অপরাধে তিন বছর কারাভোগ শেষে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরি।
বুধবার (২৭ আগষ্ট) সন্ধ্যার দিকে বেনাপোল সীমান্তের চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন তারা। কলকাতায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ও বিএসএফের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশের শার্শা উপজেলার এসিল্যান্ড, চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন, বিজিবি কর্মকর্তারা এবং তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
যারা দেশে ফিরেছেন তারা হলেন- মঈন খান, অবন্তি দাস, নূর আলম, হৃদয় মন্ডল, ইমরান শেখ, মেহেদী হাসান, নাহিদ মোড়ল ফয়সাল শেখ, রানা হাওলাদার, শামীমা আক্তার, শান্তা আক্তার, ইমু খাতুন মিথিলা রহমান, সাইম জমাদ্দার, কমল সর্দার ও নূরজাহান খাতুন। এরা দেশের পাবনা, গাজিপুর, গোপালগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নরসিংদী, লক্ষিপুর, খুলনা, নড়াইল, লালমাটিয়া, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইলিয়াস হোসেন মুন্সি জানান, দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে ১৭ জন বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরিকে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ফেরত আসাদের গত তিন বছর আগে ভারতীয় পুলিশ কলকাতা থেকে গ্রেফতার করে এবং পরে আদালতের নির্দেশে তাদের দেড় থেকে ৩ বছরের সাজা দেয়। সাজা শেষে তারা আজ দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরত আসা সবাই পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন শেল্টারহোমের হেফাজতে ছিল।
“তারুণ্যের উৎসব-২০২৫” উদযাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং-এর উদ্যোগে বুধবার সকালে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বারি উদ্ভাবিত প্রযুক্তি প্রদর্শনী ও মতবিনিময় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ, নবীন কৃষি উদ্যোক্তা এবং কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অংশীজন অংশগ্রহণ করেন।
বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ আতাউর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। এসময় বারি’র উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলে পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন উইং) ড. মো. আব্দুর রশীদ; পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মতিয়ার রহমান। এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র/বিভাগ/শাখার বিভাগীয় প্রধানগন ও সিনিয়র বিজ্ঞানীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীর উদ্ভোধন পরবর্তী একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. সৈয়দা তাসনীম জান্নাত। তারুণ্যের উৎসব” অনুষ্ঠান কো-অর্ডিনেট করেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিজানুর রহমান।
প্রদর্শনী অনুষ্ঠানটি ফিতা কেটে উদ্ভোধন করেন পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএআরআই উদ্ভাবিত বিভিন্ন উন্নত জাত, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি, পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি এবং রপ্তানিযোগ্য কৃষিপণ্যের প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা এসব প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হন এবং বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন। এই কর্মসূচি তরুণদের মধ্যে কৃষি বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি এবং কৃষিভিত্তিক উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে সহায়ক হবে বলে আয়োজক কর্তৃপক্ষ প্রত্যাশা জ্ঞাপন করেন।
মৎস্য সম্পদের টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব মাছ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর গাজীপুর এর আয়োজনে এবং গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার নির্ধারিত পুকুরে মৎস্য পোনা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুর্শিদা খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে গাকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মনিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গাজীপুর জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকর্মচারীবৃন্দসহ গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধা, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। পরে ধারাবাহিকভাবে মৎস্যসম্পদের গুরুত্বেও উপর বক্তব্য প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। বক্তব্যে তাঁরা দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা অনুযায়ী মাছ উৎপাদনে গবেষণাভিত্তিক পরিকল্পনা, দক্ষ মানবসম্পদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি সংস্থার
সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এ সময় মৎস্য অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গবেষণা ও শিক্ষাকেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার মাধ্যমে মাছের উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে। অন্যদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্যবলেন, এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের দেশের মৎস্যখাতের অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং মৎস্য অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আমরা একটি টেকসই ও আধুনিক মৎস্য ব্যবস্থাপনার দিকে এগিয়ে যেতে পারি। এ সময় উপাচার্য মৎস্য অধিদপ্তরকে গাকৃবির ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।