রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

স্বামী ছিল জুমার নামাজে, বাড়িতে স্ত্রী-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ২৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:৪৭

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবরডেইল ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকার নুর আকতার সওদাগরের স্ত্রী রুনা আক্তার (৩৫) ও মেয়ে জারিয়া আক্তার (৬)।

কুতুবদিয়া থানার ওসি মো. আরমান হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুই মরদেহ দেখার পর গৃহকর্তা নুর আকতার মুর্ছা যান। পরে স্থানীয়রা তাকে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নিহতদের স্বজনের বরাতে ওসি বলেন, দুপুরে গৃহকর্তা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যান। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে কারও কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে রান্নাঘরে খোঁজ নিতে যান। এ সময় রান্না ঘরের মেঝেতে স্ত্রী ও মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তাদের শরীর নড়চড়া করে দেখেন তারা মারা গেছেন। ওসি বলেন, স্থানীয়রা ঘটনাটি জানালে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। নিহতদের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা, জুমার নামাজের সময় দুর্বৃত্তরা মা ও মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, কারা, কী কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা নিশ্চিত নয়। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


ঘিওরে সারবোঝাই ট্রাক উল্টে নদীতে, ক্ষতি ৬ লাখ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৌলতপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতি নদীতে পড়ে গেছে। এতে প্রায় ছয় লক্ষাধিক টাকার সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ঘিওর বাজার সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় ইছামতি নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রাকটিতে প্রায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক বস্তা বিভিন্ন প্রকারের (টিএসপি, ডিএপি) সার বোঝাই ছিল।

দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হলেও বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী অভিযোগ করে জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সরাসরি নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট সংলগ্ন রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এ পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। সকালে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

ঘিওর থানার ওসি মীর মাহাবুব ঘটনাস্থল পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুর্ঘটনায় কোন প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


হারিয়ে যেতে বসেছে কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বাটিকশিল্প

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা (দক্ষিণ) প্রতিনিধি

নরম রসমালাই আর সূক্ষ্ম খাদির মতোই কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে লুকিয়ে আছে আরেকটি সোনালি ঐতিহ্য-বাটিকশিল্প। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে হাতে হাতে গড়ে ওঠা এই শিল্প কুমিল্লার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নীরব গর্ব। পর্যাপ্ত সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এর জৌলুস কিছুটা ম্লান হলেও আজও টিকে আছে বাটিক ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখার স্বপ্ন। ছোট ছোট উদ্যোক্তা ও শ্রমজীবী মানুষের নিরলস প্রচেষ্টায় বেঁচে আছে কুমিল্লার বিখ্যাত বাটিকশিল্প।

প্রতিদিন ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই বাটিকপল্লীর কর্মশালাগুলো জেগে ওঠে। রঙের ঘ্রাণ, গরম পানির বাষ্প আর কারিগরের যত্নমাখা স্পর্শে মুখর হয়ে ওঠে চারপাশ।

প্রায় ৫০ বছর আগে কুমিল্লার সদর উপজেলার কমলপুর গ্রামে লাল মিয়া ও মোহন মিয়া নামে দুই ভাইয়ের হাত ধরে বাটিকশিল্পের যাত্রা শুরু হয়। ভারত থেকে বাটিকের কৌশল শিখে এসে তারা এই শিল্পের ভিত্তি গড়ে তোলেন। সময়ের পরিক্রমায় তাদের হাতে তৈরি বাটিক ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। কমলপুর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রামে বর্তমানে গড়ে উঠেছে প্রায় ২৫টি কারখানা। এসব কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে নান্দনিক ডিজাইনের বাটিক শাড়ি, থ্রি-পিস, শার্ট, লুঙ্গি ও বেডশিট তৈরি হচ্ছে।

স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব বাটিকপণ্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে। এমনকি বিদেশেও রপ্তানি হয়ে সুনাম অর্জন করেছে কুমিল্লার বাটিক। ঐতিহ্যবাহী খাদির পর জনপ্রিয়তার দিক থেকে বাটিক এখন কুমিল্লার অন্যতম পরিচয়। কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর, কান্দিরপাড় ও রামঘাট এলাকার প্রায় দুই শতাধিক দোকানে কমলপুরের বিখ্যাত বাটিকপণ্য বিক্রি হচ্ছে।

কারখানার ভেতরে প্রতিদিন চলছে রং আর নকশার নিরবচ্ছিন্ন শ্রম। কেউ গরম পানিতে কাপড়ের অপ্রয়োজনীয় ‘মার’ তুলে ফেলছেন, কেউ রঙের কড়াইয়ে তৈরি করছেন নীল, হলুদ, লাল আর মাটির রঙের মায়াজাল। সেই রঙিন কাপড়ে মোমের নকশা, ফুলের ছাপ আর ঢেউয়ের রেখায় ফুটে ওঠে শিল্পীর কল্পনা।

দীর্ঘ এক যুগ ধরে বাটিক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিক হামিদ চৌধুরী। তিনি কাপড়ের বিহারি, ওয়াশ ও ডাইনের কাজ করেন। একাই সামলাচ্ছেন তিনটি দায়িত্ব। তিনি বলেন, ‘বিহারি শেষ করে মোম তুলে কাপড় ওয়াশ করা হয়, এতে কাপড় পরিষ্কার ও উজ্জ্বল হয়।’

আরেক শ্রমিক মুশফিকুর রহমান মোন্না জানান, তিনি থ্রি-পিসের কাজ করেন। সাদা কাপড়ে মোম দিয়ে ব্লক করার পর নারীরা তুলি দিয়ে রং করেন। প্রতিদিন তিনি ২০ থেকে ৩০টি থ্রি-পিসের মোম ব্লক সম্পন্ন করতে পারেন।

রং করা কাপড় মাঠে সারি সারি করে রোদে শুকানো হয়। কয়েকজন কর্মী সারাক্ষণ কাপড় উল্টে-পাল্টে ঠিক করে দিচ্ছেন। রোদের আলোয় প্রতিটি নকশা হয়ে উঠছে আরও প্রাণবন্ত।

রং শুকানোর পর শুরু হয় আরেক ধাপ। নারীদের কোমল হাতে তুলি ছোঁয়ায় কাপড়ে ফুটে ওঠে নতুন রঙের গল্প। সারিবেঁধে দাঁড়িয়ে তারা ধৈর্য ও মমতায় রং ঢেলে দেন কাপড়ে। কারখানার ভেতরে নারীদের এই ব্যস্ততা যেন শুধু কাজ নয়, এ যেন শিল্প আর জীবনের মিলনমেলা।

নারী কর্মীরা জানান, দলগতভাবে কাজ করায় নতুনরা সহজেই শিখে নিতে পারেন। প্রতিদিন একজন কর্মী ৩০ থেকে ৪০টি কাপড়ে তুলি দিতে পারেন।

কাপড় ভাঁজ করার কাজ করেন রিতু আক্তার। তিন মাস আগে তিনি এখানে যোগ দেন। তিনি বলেন, ‘যার কাজ যত বেশি দক্ষ, তার মজুরি তত বেশি। মালিকের ব্যবহার ও বেতন-ভাতায় আমরা সন্তুষ্ট।’

মহাজনদের নির্দেশনায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক বাটিক তৈরি হয়। এর মধ্যে কখনো শাড়ি, কখনো থ্রি-পিস, কখনো লুঙ্গি।

কুমিল্লা নিউ বাটিক ঘরের স্বত্বাধিকারী আবু সাইদ জানান, তার কারখানায় প্রতিদিন ১৫-২০ জন শ্রমিক কাজ করেন। এখানে সুতি কাপড়, থ্রি-পিস, সিল্ক শাড়ি ও লুঙ্গি তৈরি হয়। কাজের হিসাব সপ্তাহভিত্তিক করা হয়।

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাটিকের চাহিদাও ওঠানামা করে। গরমকালে চাহিদা বাড়লেও শীতকালে কমে যায় কাজ। পুঁজি সংকটে অনেক সময় উৎপাদন ব্যাহত হয়।

কুমিল্লা বাটিক সেন্টারের মহাজন রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বাবা ৩৫ বছর আগে এই কারখানা শুরু করেন। আমাদের ব্যবসা প্রকৃতিনির্ভর। রোদ না থাকলে কাজ বন্ধ থাকে। শীতকালে চাহিদা কমে গেলে কর্মীদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সরকার যদি স্বল্প সুদে বা সুদহীন ঋণের ব্যবস্থা করত, তাহলে এই শিল্প হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকত না।’

সব প্রতিকূলতার মধ্যেও থেমে নেই কমলপুরের বাটিক শিল্পীরা। সরকারি প্রণোদনা ও সহায়তা পেলে কুমিল্লার বাটিক আবারও বিশ্ববাজারে নতুন করে জায়গা করে নিতে পারবে- এমনটাই তাদের বিশ্বাস।

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক বলেন, ‘সরকার বাটিক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আগ্রহী এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’

পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার সম্মিলিত পরিশ্রমে আজও বেঁচে আছে কুমিল্লার বাটিক শিল্প- রঙে রঙে, নকশায় নকশায় তুলে ধরছে বাঙালির সৃজনশীলতার চিরন্তন মহিমা।


মেরিন একাডেমি চট্টগ্রামের ৫৯তম ব্যাচের গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড সম্পন্ন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুন্নাহার চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মেরিটাইম খাত এখন বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মেরিন অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার তৈরিতে সরকার প্রশিক্ষণের গুণগত মান উন্নয়ন, আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন এবং অবকাঠামো সম্প্রসারণে নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ‘১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে বর্তমানে ১১৫ কোটি টাকার সরকারি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে এই একাডেমি দেশের মেরিটাইম খাতের দক্ষ জনশক্তি তৈরির আঁতুড়ঘর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রেও একাডেমির অবদান উল্লেখযোগ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে নারী ক্যাডেটদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালু হওয়ার পর আজ (রোববার) তারা আন্তর্জাতিক সমুদ্রে সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা বহন করছেন।’ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুই বছরের কঠোর শৃঙ্খলা, একাডেমিক পাঠ ও রেজিমেন্টাল প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি ঘটে এই বর্ণাঢ্য গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডের মধ্য দিয়ে। এ বছর প্রি-সি সনদ অর্জন করেন মোট ১৬০ জন ক্যাডেট। এর মধ্যে ১১ জন নারী ক্যাডেটসহ নটিক্যাল শাখায় ৮২ জন এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় ৭৮ জন রয়েছেন।

সাদা ইউনিফর্মে দৃঢ় পদচারণায় ক্যাডেটরা জানান দিলেন বিশ্বের যে কোনো সমুদ্র তাদের জন্য প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল শ্রেষ্ঠ ক্যাডেটদের পদক প্রদান। সকল ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কৃতিত্বের জন্য ৫৯তম ব্যাচের ক্যাডেট নম্বর-৫৭৮৯ মিফতাহুল ইসলাম রাজ্য অর্জন করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বর্ণপদক। এ মুহূর্তটি পুরো প্যারেড মাঠজুড়ে গর্বের আবহ তৈরি করে।

একাডেমি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি থেকে মোট ৫ হাজার ৮৬০ জন নটিক্যাল ও মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছেন। তারা বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন সমুদ্রগামী জাহাজে দায়িত্ব পালন করে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

বর্ণাঢ্য এই গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তা, সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা এবং ক্যাডেটদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে একাডেমি প্রাঙ্গণ পরিণত হয় গর্ব, আনন্দ ও প্রত্যাশার মিলনমেলায়।


আ. লীগের আস্থাভাজন ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহের পিবিআইতে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা, মাদক দিয়ে ফাঁসানো, মিথ্যা নাশকতা মামলা দিয়ে শত শত নেতা-কর্মীদের জেল খাটানো পুলিশ কর্মকর্তা জীবননগর থানার সাবেক ওসি এস এম জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে কর্মরত। রাজনৈতিক কর্মীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মামলার অভিযোগে আলোচিত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) পদায়ন করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে জীবননগন থানায় বদলি করা হয় এস এম জাবীদ হাসানকে। এরপর থেকে বিএনপি ও জামায়াত নেতা-কর্মীদের ধর-পাকড় শুরু করেন তিনি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আস্থাভাজন থেকে নিরীহ বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুরু করেন।

সূত্র জানায়, জীবননগরে দায়িত্বকালীন সময়ে ওই কর্মকর্তা একাধিক রাজনৈতিক মামলার দায়িত্বে ছিলেন। সে সময়ে মামলার ভয় দেখিয়ে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, নিরীহ ও সাধারণ কর্মীদের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক প্রভাবে মামলা দেওয়া হয়, যা ছিল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক স্বার্থ বাস্তবায়নের অংশ। তাদের ভাষায়, ‘আইন নয়, নির্দেশই ছিল সবকিছুর ভিত্তি।’

২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর বিশেষ অভিযানের নামে বাড়ি থেকে ধরে এনে নাশকতা মামলায় চালান দেওয়া হয় জীবননগর থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালামকে। ৪ নভেম্বর বাড়ি থেকে ধরে এনে নাশকতা মামলায় চালান দেওয়া হয় জীবননগর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডাবলুকে। নাশকতার পরিকল্পনা করছিলেন এমন অভিযোগে মামলা দেয় ওসি এস এম জাবীদ হাসান। বিএনপি-জামায়াতের এমন শত শত নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলায় দেওয়ায় ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে তাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের পর জাবীদ হাসানকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে বদলি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি ঝিনাইদহ পিবিআইতে কর্মরত আছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জীবননগর থানার সাবেক ওসি ও ঝিনাইদহ পিটিআইয়ের পরিদর্শক এস এম জাবীদ এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গাজী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ডুবল বাল্কহেড

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘বোগদাদীয়া-১৩’ নামের লঞ্চের ধাক্কায় একটি বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ফতুল্লার লঞ্চঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটির সামনের অংশ বালুবাহী বাল্কহেডটির উপরে উঠে যায়। বাল্কহেডটি ডুবে যেতে দেখে শ্রমিকরা তখন প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। পরে তারা সাঁতরে তীরে উঠে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা ভোলামুখী ‘বোগদাদীয়া-১৩’ লঞ্চটির সঙ্গে মুন্সীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা জান্নাতি নামের সদরঘাটমুখী বাল্কহেডের সংঘর্ষ হয়। এতে বাল্কহেডটি মুহূর্তের মধ্যে ডুবে যায়। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে বাল্কহেডের শ্রমিকরা নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

ডুবে যাওয়া জান্নাতি বাল্কহেডের মালিক আলি আহেম্মদ বলেন, চাদপুর দশআনি থেকে সিলেকশন বালু নিয়ে ঢাকায় আসার পথে ফতুল্লা লঞ্চঘাট অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে আসা বোগদাদিয়া-১৩ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ বাল্কহেড বরাবর আসতে দেখে তারা গতি পরিবর্তন করতে চাইলেও ব্যর্থ হয়। এতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

পাগলা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনার পর পর পাঁচজন শ্রমিক সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।’


কাপাসিয়ায় মেডিকেল ক্যাম্পেইনে সহস্রাধিক রোগির স্বাস্থ্যসেবা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কাপাসিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার লক্ষ্যে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে চিকিৎসাপত্র এবং ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বারিষাব ইউনিয়নের চরদুর্লভ খান আ. হাই সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের পদপ্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নান।

কাপাসিয়ার কৃতিসন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত নেতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ্ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পের আনুষ্ঠানিকতার সভাপতিত্ব করেন কাপাসিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা। স্থানীয় বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেনের পরিচালনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র নেতা ফ ম মমতাজ উদ্দীন রেনু। এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদস্য ও কাপাসিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এফ এম কামাল হোসেন, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব ফকির ইস্কান্দার আলম জানু, বারিষাব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাওলানা কফিল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম মাস্টার, বিএনপির প্রার্থী শাহ রিয়াজুল হান্নানের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি নেতা ইকবাল হোসেন, কোষাধ্যক্ষ ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবুল বাসার মাস্টার, সাইফুল ইসলাম জামাল, নজরুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন ডাক, ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন বুলবুল, সদস্য মনির পালোয়ান, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া ফরাজি প্রমুখ। ঢাকা থেকে আগত মেডিকেল টিমে ছিলেন, কার্ডিয়াক সার্জন ডা. মো. সাজেদুল বারী, মেডিসিন বিভাগের ডা. নিশাত তাসনিম, ডা. ওয়ালিসা ইব্রাহিম, ডা. হুমাইরা বিনতে আহমেদ, ডা. আয়েশা সিদ্দিকা এশা, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. মো. মাসুদুর রহমান, গাইনোকোলজিস্ট ডা. মেজর (অব.) শিরিন আক্তার।


টঙ্গীতে গুলি করে বিকাশকর্মীর সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ছিনতাই

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে আরিফ (২৭) নামে এক বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আজাদ নামের আরও এক বিকাশকর্মী। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন আনারকলি রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ ও র‍্যাব।

আহত আজাদ জানান , টঙ্গী বিসিক ফকির মার্কেট এলাকার এজেন্টদের কাছ থেকে ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা সংগ্রহ করে টঙ্গী বাজার সেনা কল্যাণ ভবনের অফিসে ফিরছিলেন তারা। পথিমধ্যে আনারকলি রোডের ডা. নাজিম উদ্দীন মার্কেটের পাশের গলিতে পৌঁছালে কয়েকজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। এ সময় ছিনতাইকারী তাদের সাথে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে অস্ত্র দিয়ে দুই রাউন্ড গুলি করে ছিনতাইকারীরা। এতে আরিফের বুকে ও পেটে গুলি লাগে। আজাদ বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে আহত করে ছিনতাইকারীরা।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অপর আহত আজাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে সহকারী সার্জন ডা. নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘আহত আরিফের ডান পাশে একটি গুলির ক্ষত রয়েছে। বামপাশার আরেকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গুলিবিদ্ধ আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’

এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে একটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।’


অ্যাটকোর ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত, নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো)-এর ৯ম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাটকো সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।

সভায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমকে নিরপেক্ষভাবে তাদের আবেগ নয়, বরং বিবেককে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে হবে। স্বাধীন চিন্তাভাবনা ও মত প্রকাশের অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি সকলকে সম্মিলিতভাবে দেশ গড়ার কাজে ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন।

এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন এনটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী, ইটিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, বাংলা ভিশন টিভির চেয়ারম্যান আব্দুল হক, আরটিভির ভাইস চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী, দীপ্ত টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহেদুল হাসান এবং বৈশাখী টিভির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক টিপু আলম মিলনসহ সংগঠনের অন্যান্য সম্মানিত সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সভায় উপস্থিত সকল সদস্য সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম পরিচালনায় নিরপেক্ষতা বজায় রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেন। একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজেদের অবস্থান থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।


সাজিদের শেষ বিদায়ে হাজারো মানুষের ঢল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

সকাল থেকেই গ্রামের বাতাস ভারী। মসজিদের মাইকে বারবার ভেসে আসছে সেই ঘোষণা- ‘কোয়েলহাট পূর্বপাড়া নিবাসি রাকিব উদ্দীনের দুই বছরের শিশু সন্তান সাজিদ মারা গেছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার নেককিড়ি কবরস্থানের সামনের ফাঁকা মাঠে জানাজা শেষে নেককিড়ি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’

সবাই গ্রামের রাস্তা ধরে গায়ে পাঞ্জাবি জড়িয়ে মাথায় টুপি দিয়ে আসছেন সাজিদের বাড়ির দিকে। তারা একবার দেখতে চান সেই নিষ্পাপ মুখটা, যে মুখে প্রতিদিন হাসি ছিল, আজ সেখানে নিস্তব্ধতা।

জানাজার মাঠে মানুষের ঢল নামে সকালেই। গ্রামের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া ছেলেরা সবার চোখ ভেজা। কারও কণ্ঠে ফিসফিস, ‘আল্লাহ, এমন মৃত্যু যেন কেউ না পায়।’ সাজিদের ছোট্ট দেহটি যখন সাদা কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় আনা হলো, তখন কান্নার রোল পড়ে গেলো চারপাশে। তার মা-বারবার ছুটে আসতে চাইছিলেন; করছেন আহাজারি। লোকজন ধরে রেখেছিল তাকে, কিন্তু কান্না থামাতে পারেনি কেউ।

জানাজার নামাজের ইমাতি করেন কাজী মাওলানা মিজানুর রহমান। ইমাম সাহেব জানাজা শেষে যখন তাকবির দিলেন, মানুষ হাত তুললো দোয়ার ভঙ্গিতে। হাজারো কণ্ঠে দোয়া অনুষ্ঠিত হলো। সবাই মাগফিরাতের জন্য দোয়া করেন সাজিদের জন্য। একই সঙ্গে তার পরিবারকে আল্লাহ যেন ধৈর্য ধরার তৌফিক দান করেন– এমন দোয়াও সবাই করেছেন।

জানাজা শেষে সাজিদের ছোট্ট কফিনটা যখন কবরের দিকে নেওয়া হলো, তখন বাতাস যেন থেমে গেলো, শুধু শোনা যাচ্ছিল কান্নার শব্দ। কান্না করছেন স্বজনরা। একটি শিশুর জানাজায় অংশ নিয়েছে পুরো গ্রাম– এমন দৃশ্য কখনও দেখেননি গ্রামবাসী।

এর আগে গত বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে নিখোঁজ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ৪০ ফুট মাটি খনন করে ৩২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


টাঙ্গাইলে মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী পালন

আপডেটেড ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২২:১১
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ১৮৮০ সালের এইদিনে সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতার জীবনের বড় অংশই কেটেছে টাঙ্গাইলের সন্তোষে। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছিলেন কিংবদন্তী। কাগমারী সম্মেলন থেকে ফারাক্কা লং মার্চ- সবকিছুতেই তিনি রেখে গেছেন সুদূরপ্রসারী ছাপ। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ভাসানী ১৪৫তম জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

এদিন সকাল ৯ টার দিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় পক্ষ থেকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আবু জুবাইর, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. ইমাম হোসেন, রেজিস্ট্রার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. সাজ্জাদ ওয়াহিদসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।


ওসমান হাদীর ওপর দুর্বৃত্তদের গুলির ঘটনায় ডাকসুর বিক্ষোভ মিছিল

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদীর ওপর দুর্বৃত্তদের গুলির ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিলটি ডাকসু ভবনের সামনে থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় শিক্ষার্থীরা- ‘আমরা সবাই হাদী হব, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘হাদীর বুকে গুলি চলে, প্রশাসন কি করে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

সমাবেশে হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল সংসদের ভিপি সাদিক শিকদার বলেন, সহস্র শহিদের বিনিময়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি সেই বাংলাদেশ যাদের কাছে দিয়েছি সেই ইন্টেরিম সরকার জুলাই বিপ্লবীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা হাদীর ওপর গুলি করা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার চাই। তিনি বলেন, এক ওসমান হাদীর মৃত্যু হবে, লক্ষ হাদী জন্ম নেবে। আমরা শহীদ তিতুমীরের বংশধর।

ডাকসুর স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল মিনহাজ বলেন, ওসমান হাদী ভাইয়ের ঠিক কানের নিচে টার্গেট করে পেশাদার শ্যূটার দিয়ে গুলি করা হয়েছে। হাদীর চিকিৎসা নিয়ে কোনও ধরণের ষড়যন্ত্র যেন না হয় তা নিয়ে আমাদের সজাগ থাকতে হবে।

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দিন খান বলেন, ওসমান হাদীর সংগ্রাম মূলত আমাদের সংগ্রাম। ওসমান হাদীর সংগ্রাম জুলাইয়ের সংগ্রাম। তিনি শরীফ ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন‌।


কুড়িগ্রামে গ্রাম আদালতে ১ বছরে ২৮০০টি মামলা নিষ্পত্তি

সু‌বিধাভোগীদের ৪০ ভাগ নারী
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

সাধারণ গ্রামীণ জনগণকে ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ‘ভিলেজ কোর্ট’ তথা ‘গ্রাম আদালত’ ব্যবস্থা যথেষ্ট কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বিরোধ নিষ্পত্তিতে কুড়িগ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই আদালত। গত এক বছরে জেলায় এই আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৫২টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যার ৪০ ভাগ বিচারপ্রার্থী নারী। বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বি এম কুদরত-এ-খুদার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ-তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক দৌলতুন্নেছার সঞ্চালনায় সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

স্থানীয় অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় জানানো হয়, গত এক বছরে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গ্রাম আদালতে ৩ হাজার ৮৫ জন আবেদনকারী মামলা করেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৮৫২টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে সরাসরি ইউপিতে দায়েরকৃত মামলার সংখ্যা ২ হাজার ৭৫৮। আর জেলা আদালত থেকে ৩২৭টি মামলা গ্রাম আদালতে পাঠানো হয়। বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে ৬৫৩ জন নারী গ্রাম আদালতের মাধ্যমে বিচার পেয়েছেন যা মোট বিচারপ্রার্থীর প্রায় ৪০ ভাগ। এ ছাড়াও গত এক বছরে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ ৩৪ হাজার ৬২০ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা সম্ভব হয়েছে।

তবে প্রচারণার ঘাটতি এবং ইউনিয়ন পরিষদের অসহযোগিতার কারণে এই ব্যবস্থা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সভায় মত প্রকাশ করেন অংশীজনরা। বর্তমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মামলার আসামি হয়ে পলাতক থাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর একটি বৃহৎ অংশ এখনও এই আদালতের কার্যক্রম, পরিধি এবং সুফল সম্পর্কে অবগত নয়। ফলে গ্রাম আদালতের লক্ষ্য অর্জন বিলম্বিত হচ্ছে। আদালতের কার্যক্রম আরও বেগবান ও ফলপ্রসূ করতে সভায় মতামত তুলে ধরা হয়।

অংশীজনরা মতামত তুলে ধরে বলেন, ‘প্রচলিত আদালতে মামলা জট কমিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালত অসাধারণ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই আদালতের কার্যক্রম বেগবান করতে আদালতের সদস্যদের জন্য সম্মানীর ব্যবস্থা রাখা, গ্রাম আদালত যেসব অভিযোগের বিরোধ নিষ্পতি করতে পারে সেসব অভিযোগ থানায় এবং আদালতে না নিয়ে গ্রাম আদালতে পাঠানো, বিরোধ নিষ্পত্তির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত তাগাদা দেওয়াসহ আদালতের কার্যপরিধি ও সুবিধা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।’

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন কাঠামো ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ছোটখাটো বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ‘গ্রাম আদালত অর্ডিনেন্স ১৯৭৬’-এর বিধানের আলোকে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে কতিপয় ফৌজদারি ও দেওয়ানী বিরোধের সহজ ও দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত অনধিক তিন লাখ টাকা মূল্যমানের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারে। এই আদালতে আইনজীবী নিয়োগের বিধান নেই।

এই সমস্যার সমাধানকল্পেই স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ইউএনডিপি মিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগীতায় গ্রামের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারী, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুবিচার প্রাপ্তিতে কাজ করছে অ্যাক্টিভেটিং ভিলেজ কোর্টস অব বাংলাদেশ তথা গ্রাম আদালত প্রকল্প। ২০০৯ সালে ইউএনডিপির সহায়তায় সরকার বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির এই ব্যবস্থাটি সারা দেশে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। স্থানীয় সরকার বিভাগের নেতৃত্বে পরিচালিত প্রকল্পটি বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।


আদালত থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার, বগুড়ার ৭ পুলিশ প্রত্যাহার

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় আদালত হাজতখানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে আদালতে কর্মরত সাত পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় হাতকড়া খুলে পালিয়ে যায় পকেটমার শাহীন ওরফে মিরপুর (১৯)। শাহীন শহরতলীর সাবগ্রাম (চানপুর) এলাকার নুর আলমের ছেলে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার রাত ৮টার দিকে শহরের থানারোড এলাকায় পকেটমারার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে মারধর করে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়। ভুক্তভোগীরা কেউ লিখিত অভিযোগ না করায় বৃহস্পতিবার তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। জামিন না হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং তাকে আদালত হাজতখানায় রাখা হয়। সন্ধ্যায় প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় কৌশলে হাতকড়া খুলে পুলিশের সামনেই দৌড়ে পালিয়ে যায় শাহীন।

এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে হাজতখানার ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম হোসেন, সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই) মাসুদ রানা, জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কনস্টেবল আব্দুল জলিল, শহীন মিয়া ও গোলাম মোস্তফাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে শহরতলীর সাবগ্রাম এলাকা থেকে শাহীন ওরফে মিরপুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।


banner close