সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২
স্বজন হারানোর বেদনায় হৃদয়ে আজও হাহাকার

বরগুনার উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি

আপডেটেড
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৪৩
নাসরিন সিপু, বরগুনা
প্রকাশিত
নাসরিন সিপু, বরগুনা
প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:৪২

নদীর কাছে এলে এখনো চোখের পানি ঝরে বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আসলাম খান এর। ১৭ বছর পরও ভুলতে পারেননি প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের তাণ্ডব। জলোচ্ছ্বাসের তীব্র স্রোতে হাত থেকে ছুটে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী কন্যা সন্তানের। শুধু আসলাম খান কেন, যেকোনো ঘূর্ণিঝড়ের নাম শুনলে এখনো আঁতকে উঠেন বরগুনার উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকার স্বজন হারানো কয়েক হাজার বাসিন্দা। এদিকে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের ১৭ বছর পার হলেও এখনো ঝুঁকিপূর্ণই রয়েছে বরগুনার অধিকাংশ বেড়িবাঁধ। এসব এলাকার বাসিন্দাদের একটাই দাবি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষায় নির্মাণ করা হোক স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ।

ঘূর্ণিঝড় সিডরের সেই ভয়াল স্মৃতির কথা স্মরণ করে আসলাম খান বলেন, সিডরে আমার যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব না। ওই সময় আমার স্ত্রী ও তিন বছরের মেয়েকে হারিয়েছি। এলাকায় সুন্দর পরিবেশে বসবাস করলেও বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় হলেই পানিতে প্লাবিত হয়ে যায় বাড়িঘর। দুর্যোগ সামাল দেওয়ার মতো এখন পর্যন্ত কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি। বর্তমানে যে বেড়িবাঁধ আছে তা স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় তিন থেকে চার ফুট পানি হলেই ভেতরে পানি প্রবেশ করে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। আমরা শুধু শুনি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হবে, কিন্তু তা এখনো হয়নি। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দেশের দক্ষিণ উপকূলে আঘাত হানে। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি, গবাদিপশুর মৃত্যু, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও ব্যাপক ফসলি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এছাড়া অসংখ্য এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। এর মধ্যে সিডরের প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডবে শুধু বরগুনায় নিহত হয় এক হাজার ৩৪৫ জন মানুষ। তীব্র বাতাসসহ ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছিল জেলার ৭৭ হাজার ৭৫৪টি পরিবার। কমবেশি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রায় ১৩ হাজার ৪৬১টি পরিবার। এছাড়া ৩০ হাজার ৪৯৯টি গবাদিপশু ও ৬ লাখ ৫৮ হাজার ২৫৯টি হাঁস-মুরগি মারা যায়। জলোচ্ছ্বাসে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে বিলীন হয়ে গিয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর ১৭ বছরে বিভিন্ন সময়ে আইলা, মহাসেন, রেমালসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়েছে বরগুনার উপকূলের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের। নিচু ও নাজুক বেড়িবাঁধের ফলে প্রতিবারই বাঁধ ভেঙে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের। বরগুনার বিভিন্ন সচেতন নাগরিকদের দাবি সরকারের বরাদ্দ বাড়িয়ে দুর্নীতিমুক্ত রেখে সঠিকভাবে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে উপকূলের মানুষ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের কবল থেকে রক্ষা পাবে।

বরগুনার সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে বিশেষ করে সিডরে বেশি ক্ষতি হয়েছে। ওই সময় ২০ থেকে ২৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে আমাদের অনেক বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আবার আইলা হয়েছে, এতেও বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছিল। এরপর থেকেই প্রায় ৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখনো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। এ ছাড়া যেসব বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তাও নামেমাত্র। পাকিস্তান আমলে যে উচ্চতায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল সে তুলনায় বর্তমান বেড়িবাঁধের উচ্চতা অনেক কম। এ কারণে জলোচ্ছ্বাস হলেই এসব বেড়িবাঁধ উপচে পানি লোকালয়ের ভেতরে চলে আসে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দাবি হচ্ছে বেড়িবাঁধগুলো উঁচু ও টেকসইভাবে নির্মাণ করতে হবে। তবে আমরা বারবারই শুনি বেড়িবাঁধ নির্মাণে সরকারের তেমন কোনো বরাদ্দ নেই। নামমাত্র বরাদ্দ আসে যা দিয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয় না। এ ছাড়া লোপাট হয়ে যাচ্ছে ওই বরাদ্দেরও বড় একটি অংশ। ফলে যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে তা নামেমাত্র। এতে ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলা করা সম্ভব না। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের বিষখালী নদী বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন বেড়িবাঁধের আশপাশের অনেকেরই বসতঘর। প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগে জলোচ্ছ্বাস হলেই বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় এখানকার বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি। বারবার একই অবস্থার সৃষ্টি হলেও নেওয়া হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কোনো উদ্যোগ। স্থানীয়দের দাবি, দুর্যোগ-পরবর্তী সময়ে প্রতিবারই নামমাত্র বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। এতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঢলুয়া এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজা বেগম বলেন, প্রত্যেকবার বন্যা হলেই আমাদের বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আমরা নদীর পাড়ের মানুষ ঘূর্ণিঝড় হলে ঘরে থাকতে পারি না। বাড়িঘর ছেড়ে আমাদের অনেক দূরে গিয়ে থাকতে হয়। আমাদের দাবি একটাই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হোক। একই এলাকার বাসিন্দা পরীবানু বলেন, আমরা তো টেকসই বেড়িবাঁধ চাই, কিন্তু সরকার তা দেয় না। ঘূর্ণিঝড় হলে অনেক সময় থাকার জায়গা পাই না। আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।

বয়স কম থাকায় সিডরের প্রলয়ঙ্করী তাণ্ডবের চিত্র খুব বেশি মনে না থাকলেও বর্তমান সময়ে বেড়িবাঁধের কারণে এলাকার দুর্ভোগের বিষয়ে মো. শুভ বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন সিডর হইছে, তখন থেকেই আমাদের যে একটা বেড়িবাঁধের আকাঙ্ক্ষা তা এখনো পূরণ হয়নি। বন্যার আগে বেড়িবাঁধ ভালো থাকলেও পরে যখন ভেঙে গেছে তা আর টেকসইভাবে করা হয়নি। সরকার থেকে কোনো বরাদ্দ আসছে কি না তাও আমরা জানি না। তবে কয়েকবার শুনেছি বেড়িবাঁধের ভাঙন রোধে দুই থেকে তিনবার টেন্ডার হয়েছে। প্রতিবারই শুনি আগামী বছর টেকসইভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ হবে, কিন্তু আজ পর্যন্ত তা হয়নি। ছোটবেলায় দেখেছি স্বাভাবিক জোয়ার হলেও বেড়িবাঁধ তলিয়ে যায়। এতে এলাকার ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাওয়া-আসা করতে পারত না। ১৭ বছর পর এখনো সেই একই অবস্থা রয়েছে। আমাদের ভোগান্তি কমাতে সরকারের কাছে বিনীতভাবে আবেদন করি যাতে অতিদ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বরগুনার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। সবশেষ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে যায় ১১০০ মিটার। তবে বর্তমানে এসব বেড়িবাঁধের অল্প কিছু অংশ ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত সম্পন্ন করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে আমতলী উপজেলার পশুর বুনিয়া ও ঘটখালি নামক স্থানে সি সি ব্লকের কাজ চলছে, কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে এ বাঁধে তাদের শেষ রক্ষা হবে না। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব বলেন, বরগুনা যে ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে এগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে মেরামতের কাজ করি। চলমান বর্ষা মৌসুমে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়। এছাড়া বর্তমানে আমতলী উপজেলার পশুরবুনিয়া ও ঘটখালি গ্রামে দুটি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর অধীনে প্রায় ৫০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। তবে বেড়িবাঁধ মেরামত একটি চলমান প্রক্রিয়া, প্রয়োজন অনুযায়ী সেখানে কাজ করা হয়।

টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ঢাল সংরক্ষণ করতে সিসি ব্লক দিয়ে বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এর আগে ইসিআরবি প্রকল্পের মাধ্যমে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান দুটি প্রকল্পসহ আরও দুটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেওয়া আছে। এগুলো গৃহীত হলে ওই প্রকল্পের অধীনে স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।


আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন সংক্রমণে নিশ্চুপ প্রশাসন

বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ১ থেকে ৬ মাস বয়সী গরু
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) ছোঁয়াছুঁয়ি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় শতাধিক গরুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে বাছুরের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কোরবানির ঈদের আগেই এর সংক্রমণ প্রকোপ ছিল বলে জানা যায়। তবে এলএসডির সংক্রমণ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই আটোয়ারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের।

রোগটি সাধারণত বর্ষা মৌসুমের শেষে, শরৎ বা বসন্তের শুরুতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তবে এবার অনেকটা আগেভাগেই এর সংক্রমণের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে খামারিসহ সাধারণ মানুষের।

উপজেলার তোড়িয়া, ধামোর আলোয়াখোয়া ও বলরামপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যাচ্ছে যে, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের সংক্রমণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি এ রোগে গরুর মৃত্যুও হচ্ছে। যার সংখ্যা ইতোমধ্যে প্রায় শতাধিক ছাড়িয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায়, গত দুই দিনে উপজেলার তোড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১৫টিরও বেশি বাছুরের। পার্শ্ববর্তী আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায়ও মারা গেছে ১০ থেকে ১২টি বাছুরের। এভাবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এবং মৃত্যুও হচ্ছে অস্বাভাবিকভাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, তার বাছুরের প্রথম দিকে জ্বর ছিল প্রায় ১০৪°-১০৬° তাপমাত্রা। অতিরিক্ত জ্বরের জন্য মুখ ও নাক দিয়ে লালা পড়ে, পা ফুলে যায় এবং দুই পায়ের মাঝখানে পানি জমে। ধীরে ধীরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিণ্ড আকৃতি ধারণ করে। পরে পিণ্ডাকৃতির স্থানে লোম উঠে গিয়ে ক্ষত হওয়া শুরু করে বিভিন্ন স্থানে তা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বাছুরটি মারা যায়।

তবে, এই রোগকে পুঁজি করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন পল্লী পশু চিকিৎসকরা। তাদের এই অসাধু চিন্তার দিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কোনো নজরদারি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, কারিয়াল (পল্লী পশু চিকিৎসক) আসার সঙ্গে সঙ্গে ৩-৪ টা ইনজেকশন দিয়ে দেন। তাতেই ভিজিট দিতে হয় ৪০০-৫০০ টাকা। কী ওষুধ দেন না দেন আর কিছু ওষুধের নাম লিখে দিয়ে চলে যান। তারা বর্তমানে টাকার পেছনে ছুটছেন। আমাদের এলাকার অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে- তবে এর মধ্যে বাছুরের সংখ্যা ৯০ ভাগ।

এ বিষয়ে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মোসা. সোয়াইবা আখতার জানান, লাম্পি স্কিন ডিজিজ ১ থেকে ৬ মাস বয়সি বাছুরের আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এটি ভাইরাসংঘটিত হওয়ায় এ রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। শুধু সচেতনতার মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা সম্ভব। তবে এরপরও যদি কোনো প্রাণী আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে প্রাথমিকভাবে অ্যান্টিপাইরেটিক বা অ্যান্টিহিস্টামিন দিয়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। আর আক্রান্ত প্রাণীর নডিউল বা গুটি ফেটে গেলে সিস্টেমিক অ্যান্টিবায়েটিক প্রয়োগ করা যেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ওই সব একাডেমিক লাইসেন্সহীন, অদক্ষ, পল্লী পশু চিকিৎসক ও ড্রাগ লাইসেন্সহীন ফার্মেসির বিরুদ্ধে আটোয়ারী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


বাংলাদেশে বজ্রপাতে বছরে প্রাণ হারান ৩৫০ জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে গড়ে প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিষয়ক আন্তঃসরকার সংস্থা রাইমসের (রিজিওনাল ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি হ্যাজার্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম) আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ খান মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী।

আন্তর্জাতিক বজ্রপাত নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে শনিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বছরে গড়ে ৩.৩৬ মিলিয়ন বজ্রপাত হয়। এর ফলে প্রায় সাড়ে তিনশ মানুষের মৃত্যু হয়। বজ্রপাতের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হলো সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও সিলেট। বাংলাদেশে সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে।

তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বজ্রপাতের হার ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বাড়তে পারে।

সেমিনারে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিকে (সিপিপি) পূর্ণাঙ্গ একটা অধিদপ্তর করার কাজ চলছে। শুধু ঘূর্ণিঝড়ের জন্য না, সব দুর্যোগের জন্য যে অধিদপ্তর হবে- সেটা হবে সিপিপি। এর কাজ হবে সারাদেশে সচেতনতা থেকে শুরু করে সবকিছুর জন্য স্থানীয় ভলেন্টিয়ারকে যুক্ত করা। শুধু একটা বিষয়ে জন্য না, সমস্ত বিষয়ের জন্য তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও থাকবে।’

বজ্রপাতের সময় নিরাপদ থাকতে অনুষ্ঠানে কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হয়-

  • আকাশ মেঘলা হলে বা বজ্রপাতের শব্দ শোনা গেলে দ্রুত ঘরের ভিতরে আশ্রয় নিতে হবে।
  • বাইরে অবস্থান করলে আশ্রয় না পেলে নিচু হয়ে, হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। মাটিতে শুয়া যাবে না।
  • জলাশয়ে থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে অবস্থান করতে হবে।
  • ছই না থাকলে নৌকার পাটাতনে যতটা সম্ভব কম স্পর্শ রেখে বসতে হবে।
  • বজ্রপাতের সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে ও জলাশয় থেকে দূরে থাকতে হবে।
  • গাছের নিচে বা উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বিপজ্জনক।
  • ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকতে হবে।

বজ্রপাতের সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ:

  • উন্মুক্ত স্থানে টানানো তাঁবু
  • চারপাশ খোলা চালাযুক্ত স্থান
  • খোলা ও ধাতব কাঠামোর যাত্রী ছাউনি
  • ছাতা ব্যবহার করাও ঝুঁকিপূর্ণ

সেমিনারে আরও বলা হয়, বজ্রপাতের একাধিক শব্দ শোনার পর সর্বশেষ যে শব্দটি শোনা যাবে, সেই মুহূর্ত থেকে অন্তত ৩০ মিনিট ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় নিরাপদ থাকার জন্য।


পদ্মায় ধরা পড়ল ৫০ কেজির বাঘাড়

৭৭ হাজার টাকায় বিক্রি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়েছে ৫০ কেজি ওজনের বড় আকৃতির একটি বাঘাড় মাছ।

গতকাল শনিবার বিকেলে পদ্মা নদীর কলাবাগান এলাকায় জেলে সিদ্দিকুর রহমানের জালে মাছটি ধরা পড়ে। নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে তার কাছ থেকে মাছটি কিনে নেন দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ী মো. চান্দু মোল্লা।

জানা গেছে, জেলে সিদ্দিকুর রহমান তার সঙ্গীদের নিয়ে দুপুরে পদ্মায় মাছ ধরতে যান। তারা নদীতে জাল ফেলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে জালে একটি বড় বাঘাড় মাছ আটকা পড়ে। বিক্রির জন্য তিনি দৌলতদিয়া মাছ বাজারে নিয়ে যান। সেখানে রেজাউলের আড়তে উন্মুক্ত নিলামে ১ হাজার ৫৫০ টাকা কেজি দরে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা মাছটি কিনে নেন।

চাঁদনী অ্যান্ড আরিফা মৎস্য আড়তের মালিক চান্দু মোল্লা বলেন, বড় বাঘাইড় মাছটি নিলামে উঠলে আমি ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করি। মাছটি আমার আড়ৎ ঘরে এনে ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বেঁধে রেখেছি। এটি বিক্রির জন্য এখন বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভিডিও দেওয়া হয়েছে। কেজিপ্রতি অল্প কিছু টাকা লাভ হলেই মাছটি বিক্রি করে দেব।


কেরানীগঞ্জে টিস্যু ব্যাগ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৪০ লাখ টাকা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া এলাকার বেগুনবাড়ি ব্রিজ সংলগ্ন একটি টিস্যু ব্যাগ ও স্কিন প্রিন্টিং কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।

খবর পেয়ে কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কেরানীগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা কাজল মিয়া জানান, আমরা সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে খবর পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

আগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার মালিক মোঃ হাফিজ দাবি করেন, সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে তার আল্লাহর দান স্কিন প্রিন্ট’ নামের কারখানার মেশিনপত্র, উৎপাদিত টিস্যু ব্যাগ, অফিস কক্ষ, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালামাল পুড়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, আগুনে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার কর্মীদের তৎপরতায় প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

ঘটনার সময় ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল। পানি বাহী গাড়ি ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাম্প ব্যবহার করে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।


ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদনের দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিংকরণে অংসঙ্গতি থাকায় ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন

কিশোরগঞ্জ জেলার বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রট আরিফুল ইসলাম।

এসময় অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মো.আশরাফুল ইসলাম তালুকদার, জেলা স্যানেটারি কর্মকর্তা সংকর দাস প্রমুখ। এসময় ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব ক্যাম্পের র‍্যাব সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে ভৈরব শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার বুশরা ফুড এন্ড বেভারেজ মালিক

আব্দুল কাদিরকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়া নকল চিপস উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, একই এলাকার চাদনী বেকারির মালিক রুমান মিয়াকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পচা বিস্কুট ও কেক উৎপাদনের দায়ে ১ লাখ টাকা, এছাড়া ঘোড়াকান্দা এলাকার মালেক এন্ড কোং ফুড প্রডাক্টসের মালিক মো.গোলাম রহমানকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা, চানাচুর খাদ্য উৎপাদন ও মোড়ক তৈরিতে অংসঙ্গতি থাকার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম জানান, ভৈরব শহরের দুটি প্রতিষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য ও নকল পণ্য উৎপাদন ও বিএসটিআই এর অনুমোদন না থাকায় প্রতিষ্ঠান দুটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মালেক ফুড প্রোডাক্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মনাক্কা ও চেনাচুর উৎপাদনের দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই ধরণের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে তিনি জানান।


চট্টগ্রামে প্রধান উপদেষ্টাকে হত্যার হুমকিদাতা আওয়ামী লীগ কর্মী গ্রেফতার

আপডেটেড ২৮ জুন, ২০২৫ ২১:৪৩
বাসস

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া মো. আলমগীর হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৮ জুন) ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমেদ গ্রেফতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মো. আলমগীর হোসেন উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহসিনের বাড়ির মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কর্মী মো. আলমগীর হোসেন তার ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে এসে রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেন। এছাড়াও তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন। সেই ভিডিওটি মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনরা বিভিন্ন মন্তব্য করতে থাকেন এবং তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে ফটিকছড়ি থানায় দায়ের হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পেছনে কোনো উসকানি কিংবা ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আলমগীরের মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিশ্লেষণ করা হবে।


শেরপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে শিশু চুরি: এলাকাবাসির বিক্ষোভ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি

শেরপুর জেলা শহরের বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে তিনদিনের নবজাতক কন্যা শিশু চুরি হয়েছে। শিশু ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে হাসপাতালের সামনে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেছে।

চুরি হওয়া নবজাতক শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলি মহল্লার ফিরোজ মিয়া ও আবেদা বেগম দম্পত্তির কণ্যা সন্তান।

২৮ জুন সকালে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, শেরপুর জেলা শহরের চাপাতলি মহল্লার ফিরোজ মিয়ার গর্ভবতী স্ত্রী আবেদা বেগম সিজার করার জন্য শহরের বটতলার বেসরকারী ক্লিনিক ইউনাইটেড হাসপাতালে ২৫ জুন রাত আটটার সময় ভর্তি হয়। পরে সেখানে সিজারের মাধ্যমে একটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়। ২৮ জুন সকাল নয়টার সময় এক অজ্ঞাত মহিলা ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে চাপাতলি এলাকা থেকে শতাধিক নারী পুরুষ হাসপাতালে সামনে এসে বিক্ষোভ করে।

এসময় স্বজন ও এলাকাবাসি চুরি হওয়া নবজাতক ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানান।

নবজাতকটির বাবা ফিরোজ মিয়া বলেন, কোথায় থেকে আমার সন্তান এনে দিবে সেটা আমি জানি না। আমি আমার সন্তান ফিরে চাই, আমি অন্য কিছু চাইনা। হাসপাতাল থেকে আমার সন্তান চুরি হয়েছে।

ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল ইসলাম জানান, শিশু চুরির বিষয়টি তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ শিশুটি উদ্ধারে সহযোগিতা কামনা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারের জন্য অভিযান শুরু করেছে। এখনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রায় ২দিন পর ধর্মঘট প্রত্যাহার,পাবনা-ঢাকা রুটে বাস চলাচল শুরু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
পাবনা প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মোটর মালিক-শ্রমিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে পাবনা থেকে ঢাকা রুটে ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য দূরপাল্লার বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

২৮ জুন দুপুরে পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের অফিস সচিব আমিনুল ইসলাম বাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, পাবনার জেলা প্রশাসক ও সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকের মধ্যস্থতায় সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল রাত ১০টার পর আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। মোটর মালিক গ্রুপ, বাস মিনিবাস মালিক সমিতিসহ তিনটি সংগঠনকে ডাকা হয়। আজ সকাল থেকে পাবনা-ঢাকা রুটে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। আমরা আশা করি সব সমস্যার সমাধান হবে।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ধর্মঘট থাকায় পাবনা থেকে ঢাকাগামী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বাস না পাওয়ায় অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বিকল্প উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন গাড়িতে ঢাকায় ফিরেছেন। অনেকে গাড়ি না পেয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

পাবনা মোটর মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খাদেমুল ইসলাম বাদশা বলেন, ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ সকাল ৬টা থেকে আগের নিয়মেই দূরপাল্লার বাস ঢাকায় যাচ্ছে। পাবনার ডিসি স্যার ও সিরাজগঞ্জের ডিসি স্যার সমাধানের দায়িত্ব নেওয়ায় আমরা সম্মিলিতভাবে বসে গতকাল রাতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছি।

পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে আপনাদের ফোনের মাধ্যমে আমি বিষযটি জানি এবং তাৎক্ষণিক সমাধান করি। মোটর মালিকরা বাস বন্ধ করে নিজেরা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। না পেরে রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করেছেন। এরপর আমি বিষয়টি জানতে পেরে ওদের সঙ্গে মিটিং করে ধর্মঘট প্রত্যাহার করিয়েছি।


রূপগঞ্জে মাতলামির প্রতিবাদ করায় গুলি: আহত ২ যুবক

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদকাসক্ত হয়ে মাতলামি করার প্রতিবাদ করায় ইয়াছিন (৩৮) ও সিপন( ৩২) নামে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অপরজনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার মুড়াপাড়া টঙ্গীরঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ইয়াছিন মুড়াপাড়ার হাউলিপাড়া এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে এবং সিপন টঙ্গীরঘাট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন তার স্ত্রীকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে খালাতো বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে স্থানীয় সোহরাব নামের এক যুবক মাদকাসক্ত অবস্থায় তাদের উদ্দেশে গালিগালাজ করলে ইয়াছিন প্রতিবাদ করেন। পরে তিনি খালাতো ভাই সিপনকে নিয়ে স্থানীয় অহিদুল্লার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানান। সেখানেই সোহরাব ক্ষিপ্ত হয়ে পিস্তল দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ইয়াছিনের মাথায় ও সিপনের পায়ে গুলি লাগে।

তাদের প্রথমে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সিপনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ইয়াছিনকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করেছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


নওগাঁয় ধান-চালের অবৈধ মজুতবিরোধী অভিযান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সবুজ হোসেন, নওগাঁ

ধান ও চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ মজুত বন্ধে নওগাঁয় যৌথ অভিযান চালিয়েছে জেলা খাদ্য বিভাগ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত ও খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মের কারণে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলার বিভিন্ন রাইস মিল ও গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার বলেন, ‘বাজারে চালের দাম বাড়ার পেছনে মজুতদারির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই পাওয়া যাচ্ছিল। এজন্য আমরা সরেজমিনে অভিযানে নেমেছি। যেসব রাইস মিলে অতিরিক্ত মজুত, নিয়ম না মেনে সংরক্ষণ কিংবা লাইসেন্স সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার আরো বলেন, সদর উপজেলার বরেন্দ্র রাইস মিল ও কে.এস অটোমেটিক রাইস মিলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দেখা যায়, অনুমোদনহীনভাবে ধান ও চাল মজুত রয়েছে। সেইসঙ্গে খাদ্য নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘন এবং গুদাম ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মও ধরা পড়ে। এ কারণে প্রতিষ্ঠান দুটি থেকে মোট ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।


রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুদকের অভিযান  

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র অফিসে অভিযান চালিয়ে বেতন বৈষম্য এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে যন্ত্রপাতি লুটপাটের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাগেরহাট দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে দলটি অভিযান চালিয়ে অনিয়মের প্রমাণ সংগ্রহ করে।

অভিযান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য, কর অব্যাহতি এবং কয়লা ক্রয়সহ অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণ তারা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা সমস্ত প্রমাণ সংগ্রহ করেছি এবং আমরা সেগুলো প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবো। নির্দেশনা পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় অবস্থিত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।

এই কেন্দ্রটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাতীয় তাপবিদ্যুৎ কর্পোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশের রাষ্টায়াত্ব প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) এর মধ্যে সমান অংশিদারিত্বের যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।


এক যুগেও শেষ হয়নি বহদ্দারহাট বারইপাড়া খাল খননের কাজ

প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
জামালুদ্দিন হাওরাদার, চট্টগ্রাম

দীর্ঘ এক যুগেও শেষ করা যায়নি ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্প। খাল খনন কার্যক্রম পুরোপুরি শেষ করতে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ওই সময়ের মধ্যেও এ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা যাবে কি না তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষায় ২০১৪ সালে এ খাল খননের প্রকল্প হাতে নেয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। গত ১২ বছরে এ খাল খনন কার্যক্রম শেষ হয়নি। অথচ এ খালের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণসহ নানা জটিলতার কারণে এ খাল খনন কার্যক্রম শেষ করতে দীর্ঘসময় লাগছে। আশা করছি ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এ খাল খনন কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তখন বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, বাকলিয়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকার কয়েক লাখ মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পাবে।’ মেয়র আরও বলেন, বর্তমানে এ খননের আওতায় ৮টি ব্রিজ, ৭ হাজার ৮০০ ফুট খাল খনন, ৮ হাজার ফুট প্রতিরোধ দেওয়াল নির্মাণ, ৫ হাজার ৫০০ ফুট ড্রেন, ৫ হাজার ফুট রাস্তা নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে।

চসিক সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) ১৯৯৫ সালে করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত দুই দশমিক ৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাবনাটি (ডিপিপি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠায় চসিক। এর প্রায় আড়াই বছর পর ২০১৪ সালের ২৪ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করতে ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। তবে ওই সময়ের মধ্যে অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এবং জমি অধিগ্রহণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় এ প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। এরপর ২০১৭ সালের নভেম্বরে একনেকে প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনা করে আবারও অনুমোদন দেওয়া হয়। সংশোধনে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। এ সময় এক লাফে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে হয় ১ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল সংশোধনে প্রকল্প ব্যয় ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের চার বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যেও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি সিটি করপোরেশন। এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়দ বাড়াতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের হয়ে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের বরাদ্দের মধ্যে ১ হাজার ১০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৫ দশমিক ২৩৫ একর জমি অধিগ্রহণে। সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, ‘২ দশমিক ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি হবে ৬৫ ফুট চওড়া। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। প্রকল্পটির ১৫ দশমিক ১৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার প্রতিরোধ দেওয়ালের মধ্যে ৫ কিলোমিটার, সাড়ে ৫ কিলোমিটার ড্রেনের মধ্যে চার কিলোমিটার, ৯টি ব্রিজের মধ্যে ছয়টি, ৫ দশমিক ৮ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩ দশমিক ৮০ কিলোমিটার ও ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার খালের মধ্যে ২ কিলোমিটার খাল খনন কাজ শেষ হয়েছে। খালটি বারইপাড়া হাইজ্জারপুল থেকে শুরু হয়ে খালটি নূর নগর হাউসিং, ওয়াইজের পাড়া, বলিরহাটের বলি মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে মিশবে। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা মো. ইউনুস বলেন, ‘মাত্র ২০ থেকে ৩০ মিনিট বৃষ্টি হলেই বহদ্দারহাটসহ নগরের বেশিরভাগ এলাকায় পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। পানি ঢুকে ঘরবাড়িসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। এ সমস্যা বছরের পর বছর ধরে। জলাবদ্ধতা নিরসনে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ চলমান আছে। এসব প্রকল্পে মেয়াদ আর টাকা বাড়ে। জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলেনা। বরং জলাবদ্ধতার সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।’


বগুড়ায় হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বগুড়া প্রতিনিধি

ক্ষোভ হতাশা ও এক নারীর কারণে আলোচিত সোশ্যাল মিডিয়া তারকা আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম বগুড়ায় এক বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হিরো আলমের বন্ধু জাহিদ হাসান সাগর জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে হিরো আলম ধনুট ভান্ডারবারি এলাকায় তার বাড়িতে আসে। এরপর তার কথাবার্তা ও চলাফেরা দেখে সন্দেহজনক হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে একাধিক ঘুমের ট্যাবলেট সেবনের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে ধনুট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘হিরো আলমকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং তার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বিস্তারিত তথ্য মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানানো হবে।


banner close