চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবি ঘিরে সংঘর্ষে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের দু’দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে নগরীতে।
জানাজায় অংশ নিতে কোর্ট বিল্ডিং চত্বর ও জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় কোর্ট বিল্ডিং চত্বরে। সাড়ে ১১টার দিকে নগরের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বিকেল ৪টায় লোহাগাড়ার চুনতি ফারেঙ্গা গ্রামের বাড়িতে সবশেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
সকাল ৯টার পর থেকে নগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জড়ো হতে থাকে কোর্ট বিল্ডিং চত্বর ও ওয়াসা মোড়ের জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে। অনেককে ট্রাক-বাসে করে জেলা-উপজেলা থেকে আসতেও দেখা গেছে। ১১টা বাজতেই জমিয়তুল ফালাহ মাঠে জনস্রোত নামে জানাজার নামাজ ঘিরে।
জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ অংশ নেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, নগর জামাতের আমীর শাহজাহান চৌধুরীসহ আরও অনেক রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা থেকে এসে জানাজায় শরিক হন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
জমিয়তুল ফালাহ মাঠের দ্বিতীয় জানাজায় ইমামতি করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগর আমির শাহজাহান চৌধুরী।
এ সময় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘কোনো বক্তব্য নাই আর, সবাই কাতারবন্দি হয়ে যান। শুধু প্রশাসনের ভাইদেরকে বলতে চাই, গত ১৫ দিন ধরেই আমি বলে আসছিলাম এই চিন্ময় দাস উস্কানিমূলক সমাবেশ প্রেসক্লাবের সামনে করেছে, চেরাগির পাহাড়ে করেছে, লালদীঘির ময়দানে করেছে। আমি বলেছি এরা বেড়ে যাচ্ছে তাদের কোনো কর্মসূচি করতে দেবেন না। কিন্তু কেউ পাত্তা দেননি।'
সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের প্রথম জানাজার নামাজ শেষে উপস্থিত আইনজীবীরা অবিলম্বে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনিদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবি জানান। এছাড়া ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তারা। কেউ কেউ এ সময় সহকর্মী আলিফের স্মৃতিচারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের প্রিয় ভাই আলিফ মঙ্গলবার ইসকন সন্ত্রাসীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। তাই আইনজীবী সমিতির পক্ষ হতে আজকে কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। জানাজা শেষে আমরা আজকে বারে বসব। এরপর আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
তিনি বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে আসামির প্রিজন ভ্যান ঘেরাও করে রেখে গতকাল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হয়েছে। এটিও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড বলে আমরা মনে করি। এই হত্যার বিচারের দাবিতে আইনজীবী সমিতি জিরো টলারেন্স নীতিতে অবস্থান নেবে।'
আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা লড়বে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আসামিদের পক্ষে আইনজীবী লড়লে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাব আমাদের ভূমিকা কী হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম (৩৫)কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম জালাল উদ্দিন। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।
খুলনার এনসিপি বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর সম্ভাব্য পলাতক আসামিরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে পালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে বেনাপোল সীমান্তে কড়া নজরদারি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি) সূত্র জানায়, ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০.২৭৪ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি ও নজরদারি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল, গোয়েন্দা নজরদারি এবং অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব এলাকা কার্যত সিলগালা করা হয়েছে।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মোতালেব শিকদারের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ১নং সদস্য মানিকগঞ্জ-১ ( দৌলতপুর-ঘিওর-শিবালয়) আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবির বলেছেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে ধানের শীষের ভোট চাইতে হবে। আমরা সবাই ধানের শীষের লোক। বেদাভেদ ভুলে ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হবে। ধানের শীষ বিজয়ী হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার খলসী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির উদোগে বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্বাস্থ্য ও রোগমুক্তি কামনায় দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এস.এ জিন্নাহ কবির এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।
খলসী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইউপি সদস্য আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির সহসভাপতি মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষকদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. মাসুদুর রহমান মাসুদ, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান আনিস, ওলামা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী, ব্যারিস্টার জয়দুল করিম নয়ন, বাঘুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, খলসী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া, ঘিওর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান কুদরত, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইউসুফ আলী প্রমুখ।
দেশব্যাপী মব সন্ত্রাসে উদীচী-ছায়ানট, প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাট, সাংবাদিক নিপীড়ন, পিটিয়ে মানুষ হত্যা, জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে পাবনায় প্রতিবাদী অবস্থান করেছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় শহরের আব্দুল হামিদ সড়ক প্রেসক্লাবের সামনে সাংস্কৃতিক কর্মী মির্জা রানার আয়োজনে আহ্বান ঘণ্টাব্যাপী এ প্রতিবাদী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় দেশের চলমান সহিংসতা মাধ্যমে গুম, খুন, লুটপাট, জ্বালাও-পোড়াও এবং মব সৃষ্টির মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার প্রতিবাদে হুশিয়ারি দেওয়া হয়। এবং সেইসাথে এসব অরাজকতার বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক কর্মী ভাস্কর চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম হীরা, ফিরোজ খন্দকার, দিবাকর চক্রবর্তী, তিমির হায়দার, আবদুল হাফিজ রতন, বিপ্লব ভৌমিক, সামুন সাব্বির সহ পাবনার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুশীল সমাজের নেতাকর্মীরা।
দৈনিক প্রথম আলো-দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার অফিসে হামলার প্রতিবাদে গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রীপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন হয়েছে। দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে অংশ নেন শ্রীপুর কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি বশির আহমেদ কাজলের সভাপতিত্বে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি রাতুল মন্ডলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্রীপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ.সালাম রানা, আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মো. আ.লতিফ, কালের কণ্ঠের শাহীন আকন্দ, গাজী টিভির মোতাহার খান, প্রথম আলোর সাদিক মৃধা, দ্য ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম, দৈনিক গনমুখের শফিকুল ইসলাম, দৈনিক চিত্র প্রতিনিধি কবির সরকার, চ্যানেল নাইনের আরিফ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুবুর রহমান, দেশ রুপান্তরের রেজাউল করিম সোহাগ, এনটিভির আ.রউফ রুবেল, গ্লোবাল টিভির সোলাইমান মাহমুদ, এশিয়ান টেলিভিশনের সুমন গাজী, তৃতীয় মাত্রার আরিফ মন্ডল, চ্যানেল এস এর কাওসারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা।
বক্তারা অভিলম্বে হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের অধিকার ও সারাদেশে সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কসংলগ্ন সৈকত এলাকায় আবারও একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। গত রোববার (২১ ডিসেম্বর) উখিয়া উপজেলার মনখালী সৈকত অংশে ডলফিনটির মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
স্থানীয় জেলে ছৈয়দ মিয়া জানান, ডলফিনটির দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তীব্র দুর্গন্ধ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি দুই থেকে তিন দিন আগেই মারা গেছে।
এর আগেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৮ ডিসেম্বর মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন টেকনাফ উপজেলার শিলখালী সৈকত এলাকা থেকে আরেকটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ডলফিনকে সংরক্ষিত স্তন্যপায়ী প্রাণী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ আইনে ডলফিন শিকার, ভক্ষণ, দেহাংশ পরিবহন কিংবা বেচাকেনা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কক্সবাজার উপকূলে ভেসে আসা ডলফিনগুলোর অধিকাংশই বিপন্ন ইরাবতী প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত, যার বৈজ্ঞানিক নাম Orcaella। এই প্রজাতির ডলফিন পরিবেশগত ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এএসএম শরীফ বলেন, ‘ডলফিন বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে। অনেক ক্ষেত্রে মাছ ধরার জালে আটকা পড়ে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধান প্রয়োজন।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত কয়েক দিনের মধ্যেই অন্তত চারটি মৃত ডলফিন তারা সৈকত এলাকায় দেখতে পেয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এমন ধারাবাহিক মৃত্যুর ঘটনা সামুদ্রিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য গভীর উদ্বেগের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি ইরফান উল হাসান বলেন, ‘একসময় কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ডলফিনের অবাধ বিচরণ চোখে পড়ত। বর্তমানে সেই চিত্র অনেকটাই বদলে গেছে।’ ডলফিন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয় এবং সামুদ্রিক প্রাণী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতাকে মাথায় গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে খুলনা বিভাগীয় প্রধান এবং এনসিপি শ্রমিক শক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক মোতালেব শিকদার এই হামলার শিকার হন। দুর্বৃত্তরা তাঁর মাথা লক্ষ্য করে সরাসরি গুলি চালিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গুরুতর আহত অবস্থায় মোতালেব শিকদারকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকদের পরামর্শে জরুরি সিটি স্ক্যানের জন্য তাঁকে শেখপাড়া সিটি ইমেজিং সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথার আঘাত অত্যন্ত গুরুতর এবং বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনিমেষ মণ্ডল জানিয়েছেন, গুলির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হামলার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য আলামত বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা মিতু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ন্যাক্কারজনক হামলার খবর নিশ্চিত করে মোতালেব শিকদারের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর একই কায়দায় ঢাকায় শরিফ ওসমান হাদিকে মাথায় গুলি করা হয়েছিল, যিনি দীর্ঘ ছয় দিন লড়াই করার পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে মৃত্যুবরণ করেন। হাদি হত্যাকাণ্ডের পর এনসিপি এবং সমমনা দলগুলোর নেতাদের ওপর এমন সিরিজ হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আতঙ্ক ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরকার যখন জুলাই যোদ্ধাদের জন্য গানম্যান ও বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে, ঠিক সেই মুহূর্তেই নতুন করে এই হামলার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারী ফয়সাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ফয়সালের শেষ অবস্থান নিয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা পেতে আমাদের বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তবে সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাইনি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এখনো স্পেসিফিক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে আমরা সঠিক তথ্য পেতে চেষ্টা করছি।
এ সময় ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়নি। ঘটনার শুরু থেকে আমরা মাঠে ছিলাম। সব এজেন্সি সমন্বিতভাবে কাজ করেছি। এটাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সবগুলো দিক দেখছি।
এসময় ডেভিলহান্ট-২ অভিযান নিয়ে অতিরিক্ত আইজিপি জানান, এই অভিযানে ১৩ ডিসেম্বর থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত ছয় হাজার ৫৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিজিবি ময়মনসিংহ রিজিওনের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সীমান্তের অনেক কাছে যারা থাকেন তারা চোরাচালানো জড়িত। সুস্পষ্ট তথ্য না পেলে ধরা কঠিন হয়ে যায়। তবে আমাদের কার্যক্রম চলছে। ফয়সাল সীমান্ত পার হয়ে ভারতে গেছে কিনা সেই তথ্য নেই।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, চব্বিশের জুলাইয়ের পরও আমরা কঠিন সহিংসতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। শুধু বর্বর মৃত্যুগুলো নয়, আমাদের সন্তানরাও বিশেষ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কাউন্সিলিংয়ের জন্য সাইকোলজিস্ট ও সাইক্রিয়াটিকের ব্যবস্থা করতে হবে। কাউন্সিলিং ও থেরাপি দুই ধরনের সেবার ব্যবস্থা রাখতে হবে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর বেসরকারি বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এবছর ঢাকা মেডিকেল কলেজে বেশি মেয়ে ভর্তি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০ ভাগ মেয়ে পড়ালেখা করছে। শিক্ষার সব ক্ষেত্রে মেয়েদের উপস্থিতি বাড়ছে। এটা যেমন আনন্দের তেমনই শঙ্কারও। কারণ ছেলেদের ক্ষেত্রে কী হচ্ছে, তারা কেন ঝরে পড়ছে, শিক্ষাবিমুখ হচ্ছে, অন্য কোন আকর্ষণে লেখাপড়া থেকে দূরে থাকছে তা জানতে হবে। এটা চলতে থাকলে ভবিষ্যৎ এ নতুন সংকট তৈরি করবে।’ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য প্রফেসর ড. খাদেমুল ইসলাম মোল্যার নেতৃত্বে শুরু হয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। উপদেষ্টা শারমিন এস মুর্শিদ সমাবর্তনের চেয়ার হিসেবে গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সামার ২০২০ থেকে ২০২৫ এর স্প্রিং সেমিস্টার পর্যন্ত স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫ হাজার ৩৭৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক একরাম হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. এম. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান সমাবর্তনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
পরিবেশের দূষণের মতোই মনের দূষণও ব্যক্তি ও সমাজকে কষ্ট দেয়, এমন বার্তা নিয়ে রাজধানীতে পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। আয়োজকেরা বলছেন, ব্যক্তির মন ভালো থাকলে পরিবার, সমাজ ও বিশ্বও ভালো থাকে। যুগ যুগ ধরে মানুষের মন ভালো রাখার চর্চাই করে আসছে মেডিটেশন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৭ টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার পথিকৃৎ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়। এ আয়োজনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নানা শ্রেণি–পেশার হাজারো শান্তিপ্রিয় মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
সম্মিলিত কণ্ঠে ভালো থাকার প্রত্যয় উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে এক অডিও বার্তায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা জানান কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মাদাম নাহার আল বোখারী।
বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন পদ্ধতি ‘কোয়ান্টাম মেথড’–এর উদ্ভাবক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক এক অডিও বার্তায় বলেন, কোয়ান্টাম তিন দশক ধরে বলে আসছে- মন ভালো তো সব ভালো। ২০২৪ সালে জাতিসংঘ ২১ ডিসেম্বরকে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় সারাবিশ্বের মেডিটেশন চর্চাকারীদের মতো বাংলাদেশের মানুষও আনন্দিত হয়েছে।
শহীদ আল বোখারী বলেন, কোয়ান্টাম ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘দ্য ইয়ার অব মেডিটেশন’ হিসেবে, যা সমাজের সর্বস্তরে মেডিটেশন চর্চাকে নতুন গুরুত্ব দিয়েছে।
আলোচনায় বর্তমান ডিজিটাল জীবনে বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ট্রমা, ভয় ও অনিশ্চয়তা এবং সেখান থেকে সৃষ্ট মনোদৈহিক রোগের বিষয়টি উঠে আসে। বক্তারা বলেন, এসব থেকে মুক্তির পথ দেখায় মেডিটেশন। তাই মেডিটেশনের বাণী বিশ্বের প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে মেডিটেশন চর্চার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এসডিএফ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রওনাক হোসেন, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের (বিজেসি) সভাপতি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের হেড অব নিউজ রেজওয়ানুল হক রাজা, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন ও স্কলাস্টিকা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শাহিদা রহমান।
ঘণ্টাব্যাপী আয়োজনে মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, সিলেটসহ দেশব্যাপী শতাধিক স্থানে একযোগে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালিত হয়। এ ছাড়া বিদেশের বিভিন্ন স্থানেও দিবসটি পালিত হয়। শিশু–কিশোরসহ অসংখ্য মানুষ মেডিটেশনে অংশ নিয়ে জানিয়ে দেন তাদের বিশ্বাস- মন ভালো থাকলেই সব ভালো।
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ থামছেই না। প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে শত শত ডেঙ্গুরোগী। সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা গেছেন। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৯৪ জন ডেঙ্গুরোগী। রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ এক হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
নীলফামারী পৌরসভার উদ্যোগে নবনির্মিত কসাইখানা’র উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জেলা শহরের কলেজপাড়া এলাকায় ১৮শতাংশ জমির উপর এই কসাইখানার উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান প্রধান অতিথি থেকে নবনির্মিত কসাইখানার ফলোক উন্মোচন করেন।
নীলফামারী পৌরসভার প্রশাসক সাইদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী তারিক রেজা, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিয়ার রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আধুনিক মানসম্মত এই কসাইখানার দুটি সেডে একযোগে ২০টি গরু ও ২০টি ছাগল জবাই করা যাবে। ভেটেরিনারি চিকিৎসকের উপস্থিতিতে শহরের কসাইরা এখানে পশু এনে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জবাই করতে পারবেন। পৌর নির্ধারিত ইমাম দিয়ে পশুগুলো জবাই করা হবে।
পৌর প্রশাসক সাইদুল ইসলাম জানান, এই শহরের মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবী ছিলো একটি কসাইখানা স্থাপন। বিচ্ছিন্ন ভাবে পশু জবাই করে মাংস বিক্রি করা হতো এতদিন। এনিয়ে প্রশ্ন ছিলো। যা আজ থেকে দুর হলো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান বলেন, আমরা নির্দিষ্ট এলাকায় জবাই করা পশুর মাংস পাচ্ছি এটি হওয়ার ফলে। এটি আমরা নিশ্চিত করতে পারলাম। নিয়ম অনুসারে এটি পরিচালিত হবে এবং স্বাস্থ্য সম্মত ভাবে এটি পরিচালিত হবে।
বলেন, পৌরসভা থেকে কসাইদের পরিচয় পত্র প্রদান করা হবে। পরিচয় পত্র ছাড়া কোন কসাইয়ের পশু জবাই করা হবে না।
পরে নীলফামারী বড় মাঠ পরিদর্শণ করেন জেলা প্রশাসক। বড় মাঠে মোটর সাইকেল প্রবেশ বন্ধে ব্যারিকেট স্থাপন কাজের উদ্বোধন করা হয়।
২১ ডিসেম্বর বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। ‘মন ভালো তো সব ভালো’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে রবিবার কুমিল্লায় পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ উপলক্ষে রোববার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন কুমিল্লা শাখার উদ্যোগে নগরীর পৌর উদ্যানের জামতলায় মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করা হয়। এই মেডিটেশন চর্চায় তিন শতাধিক সদস্য ও সহযোগী সদস্যরা অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী এই আয়োজনে মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, মূলত মানসিক প্রশান্তির জন্যই নিয়মিত মেডিটেশন প্রয়োজন। এর মাধ্যমে ধৈর্য ও সহ্য ক্ষমতা বাড়ে। ঠাণ্ডা মাথায় যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা যায়।’
এসময় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহীদ আল বোখারী মহাজাতক এক অডিওবার্তায় বলেন, কোয়ান্টাম তিন দশক ধরে বলে আসছে ‘মন ভালো তো সব ভালো।’ তিনি বলেন, পরিবেশের দূষণ যেমন সবাইকে কষ্ট দেয়, তেমনি যে কোন মানুষের মনের দূষণ চারপাশের মানুষের কষ্টের কারণ হয়। তাই মন ভালো রাখার গুরুত্ব সর্বাধিক। ব্যক্তি মন ভালো থাকলে, মনে প্রশান্তি থাকলে পরিবারে, সমাজে ও বিশ্বে শান্তি আসবে। এক্ষেত্রে মেডিটেশন সবচেয়ে সহায়ক শক্তি।
তিনি বলেন, এখনকার ডিজিটাল জীবনে বিলাস ও গতি বেড়েছে। কিন্তু ব্যক্তির মন আক্রান্ত হয়েছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা,অস্থিরতা, ক্ষুব্ধতা, ট্রমা, ভয়, রাগ, অনিশ্চয়তা, বিষণ্নতা ও একাকিত্বে। মনের এই অসুখ মানবদেহের শতকরা ৭৫ শতাংশ রোগ সৃষ্টি করে।
মেডিটেশন চর্চায় সচেতনতা বাড়াতে জাতিসংঘ ২০২৪ সাল থেকে ২১ ডিসেম্বরকে ‘বিশ্ব মেডিটেশন দিবস’হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্যের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়েছে।
অপরদিকে অডিওবার্তায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মাদাম নাহার আল বোখারী বলেন, মেডিটেশন ব্যক্তি ও সমাজকে ইতিবাচক পরিবর্তনের পথে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কুমিল্লা শাখার আর্ডেন্টিয়ার মুহাম্মদ রাসেল বলেন, মেডিটেশন করে লাখো মানুষ প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছেন। এই বৈজ্ঞানিক উপায় অনুসরণ করে আপনিও ভালো থাকতে পারেন।
দেশের শীর্ষ গণমাধ্যম প্রথম আলো, ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নি সংযোগ এবং খুলনার ডুমুরিয়ার সাংবাদিককে হত্যার প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাশেম।
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কামেশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক কল্যাণ ব্যানার্জি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান, অর্থ সম্পাদক শেখ ফরিদ আহমেদ, দৈনিক বাংলা পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মোঃ আবু সাঈদ,
এস এম জিন্নাহ, গাজী ফরহাদ, এস এম বিপ্লব হোসেন, জি এম সোহরাব হোসাইন, জামাল উদ্দিন, বরুন ব্যানার্জি, হোসেন আলীসহ অন্যারা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন।
বক্তারা আরো বলেন, মহান বিপ্লবী শরিফ ওসমান হাদি নিজেও অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুরের পক্ষে ছিলেন না। তিনি তার অগ্নি ঝরা বক্তব্য দিয়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে ছিলেন। তার জানাজ নামাজের কোটি মানুষের উপস্থিতিই প্রমান করে সন্ত্রাসী, লুটপাট এবং অগ্নি সংযোগ করে কখনো ভালোবাসা পাওয়া যাবে না। অথচ বিপ্লবী হাদির মৃত্যু খবর শুনেই একটি উপগ্রবাদী গোষ্ঠী প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের মত গণমাধ্যমের কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগ করে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার যেমন গণমাধ্যমে কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল একটি গোষ্ঠী দেশকে অশান্ত করতে একই প্রচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে বক্তারা অবিলম্বে এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তি এবং খুলনায় ডুমুরিয়া শলুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমদাদুল হককে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানান বক্তারা।