শনিবার, ৪ মে ২০২৪

খুলনায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা সংবর্ধনা পেলেন পাঁচ নারী

খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড
৯ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:২৭
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত
খুলনা ব্যুরো
প্রকাশিত : ৯ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:২৬

খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে সফল ক্যাটাগরিতে যশোরের সালমা ইসলাম, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সফল ক্যাটাগরিতে সাতক্ষীরার জামিলা খাতুন, সফল জননী ক্যাটাগরিতে নড়াইলের আলেয়া বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা খুলনার সন্ধ্যা রানী বিশ্বাস এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় খুলনার অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এ বছর খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠ জয়িতা হয়েছেন।

আজ বুধবার দুপুরে প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা পাঁচ শ্রেষ্ঠ জয়িতার হাতে সম্মাননা স্মারক, নগদ অর্থ ও সনদপত্র তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি জানান পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়ে হাঁটার শক্তি হারিয়েও শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সাতক্ষীরা জেলার জামিলা খাতুন। তিনি নিজের অদম্য ইচ্ছায় হামাগুড়ি দিয়ে স্কুলে গিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে আজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে জয়িতা কার্যক্রমের সূচনা করেন। এ কার্যক্রম বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। জয়িতাকে কেন্দ্র করে নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ও উদ্দীপনা ছড়িয়েছে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আকতার ও খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ধন্যবাদ জানান খুলনার জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার।


সুন্দরবনের গহীনে আগুন

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৪ মে, ২০২৪ ১৮:২৩
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

পূর্ব সুন্দরবনের গহীনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া ও গুলিশাখালীর মাঝামাঝি এলাকায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে পুড়ে গেছে কয়েক মিটার বনাঞ্চল।

চাঁদপাই রেঞ্জের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আনিসুর রহমান জানান, বনের ভিতর মধু সংগ্রহে মৌওয়ালের আগুনে এই আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিটসহ বনবিভাগের চারটি ফাঁড়ির বনরক্ষীরা মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছেন। এ ছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের বন কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আবু তাহের মিয়া জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই কিলোমিটার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। যেভাবে আগুন ছড়িয়েছে, সেটি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিনই হবে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে এরই মধ্যে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেছে।

আগুনের এই ঘটনায় বনের পশু ও কি পরিমাণ বনাঞ্চল পুড়ে গেছে, তা আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে বলেও জানান বন কর্মকর্তা আনিস।


মাগুরা-ফরিদপুর রেল চালু হচ্ছে আগামী বছর

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরা থেকে ফরিদপুর মধুখালী স্বপ্নের রেলপথ চালু হতে যাচ্ছে শিগগিরই। মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা পর্যন্ত ব্রডগেজ রেললাইন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর ২২ মাসে প্রকল্পের ৪৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী বছরের প্রথম দিকেই এই রুটে রেল চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। মাগুরা অংশে অধিগ্রহণ করা জমি এখনো বুঝে না পাওয়ায় কাজ কিছুটা ধীরগতিতে এগোচ্ছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে চার বছর মেয়াদি এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। তবে জমি অধিগ্রহণ ও করোনার প্রাদুর্ভাবসহ নানা জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০২১ সালের মে মাসে। ওই বছরের ২৭ মে ভার্চুয়ালি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরেজমিনে গত বুধবার মধুমতী নদীতে নির্মাণাধীন রেল সেতুর মাগুরা প্রান্তে গিয়ে দেখা যায়, পিলার নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু পিলার দৃশ্যমান হয়েছে। মধুখালী অংশে পুরনো রেললাইন সংস্কারের কাজ চলছে। ওই অংশে বেশ কিছু বক্স কার্ল্ভার্ট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। তবে মাগুরা অংশে দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক আসাদুল হক বলেন, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। এখন দ্রুত গতিতে কাজ এগুচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও খরচ বাড়েনি। মধুমতী নদীতে রেল সেতুসহ পুরো প্রকল্পের ৪৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী বছরের মধ্যে এখানে রেল চলা চল শুরু হবে।’

এখনো মাগুরা অংশে অধিগ্রহণ করা বেশির ভাগ জমি বুঝে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি। এটাকেই এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এই কর্মকর্তা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মাগুরা অংশে রেল প্রকল্পে অধিগ্রহণ করা জমির পরিমাণ ১০৭ একরের মতো। যার মূল্য প্রায় ১১৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে অধিগ্রহণ করা এসব জমির বিপরীতে ক্ষতি গ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত দু দফায় ১ দশমিক ৯৬ একর জমির ক্ষতি পূরণ হিসেবে প্রায় দেড় কোটি টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, ‘জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কয়েক ধাপে সম্পন্ন হয়। নানা জটিলতা কাটিয়ে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ শুরু করেছি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা চাইলে এখন স্টেশনের কাজ শুরু করতে পারবে। ঈদের আগে আরও কিছু জমি তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এর পর ধাপে ধাপে রেল লাইনের জমির শিগগিরই বুঝিয়ে দেওয়া হবে’।

প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশনইয়ার্ডে ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণ, দুটি নতুন স্টেশন (কামারখালী ও মাগুরা) নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে ৪৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯দশমিক ৯কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করছে কাজী নাবিল আহমেদের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ক্যাসেলকন স্ট্রাশন কোম্পানি লিমিটেড। অপর দিকে মধুমতী নদীর ওপর ২ হাজার ৪১২মিটার দৈর্ঘ্যের রেল সেতু নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে ৪৪৯ কোটি টাকায়। এ কাজের ঠিকাদারি পেয়েছে মীর আক্তার কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বাকি অর্থ ব্যয় হবে জমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য কাজে।


মনু নদীর চাতলাঘাটে অবৈধভাবে বালু উত্তলোন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাঘাটে মনু ব্রিজের একেবারে কাছ থেকে বালু তোলায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে মনু নদীর ব্রিজ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট, নদীর বাঁধ ও কৃষিখেত।

আইন অমান্য করে বালু উত্তোলনের পর ডাম্পার ট্রাকে ওভারলোড করা হয়। এরপর বেপরোয়াগতিতে ট্রাকগুলো চলে যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

একইভাবে কমলগঞ্জের ধলাইপাড় এলাকা থেকেও ধলাই নদীর বালু উত্তোলন হচ্ছে। ব্রিজের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে। তবে জরিমানার পরপর কিছুদিন বালু তোলা বন্ধ থাকলেও আবার তা শুরু হয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, মনু নদীর চাতলাঘাট থেকে বালু উত্তোলন করে কমলগঞ্জের শমশেরনগর-চাতলাপুর সড়ক ব্যবহার করে দিন-রাত বালু পরিবহন করছে ১০ চাকার ডাম্পার ট্রাক। চাতলাঘাট বালুমহাল ইজারা নিলেও বালু উত্তোলনের কথা চাতলাপুর মনু ব্রিজের এক কিলোমিটার নিচ থেকে। তবে দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে ব্রিজের কয়েকশ গজ দূর থেকেই। এতে মনু নদীর চাতলা ব্রিজ মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। তা ছাড়া বিশাল এলাকা নিয়ে বালু উত্তোলন ও ডাম্পার ট্রাকে বালু পরিবহনে নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথের রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল ও দেবে যাচ্ছে। ট্রাকগুলো উন্মুক্তভাবে বালু পরিবহনের ফলে একদিকে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে শমশেরনগর বাজার চৌমুহনায় প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। স্থানীয় কৃষকদের আবাদি জমিতে বালু গড়িয়ে পড়ছে এবং কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে আপত্তি জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে কৃষক অভিযোগ তুলেছেন। ট্রাকের কারণে সড়কের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগ লিখিতভাবে জানালেও তা কাজে আসছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. হেলাল মিয়া বলেন, ‘বালু উত্তোলনের কারণে আমি খেত করতে পারি না। আমার কলার গাছ, আকাশি গাছ নষ্ট করি ফেলছে। অনেকবার কওয়ার পরেও বেটাগিরি দেখায়। ব্রিজের নিচ থেকে এক কিলোমিটার দূরে থেকে বালু তোলার কথা। এখন তারা ব্রিজের কাছাকাছি আইছে। অফিসার বা কেউ আইলেই তারা টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করি দেয়। বালু ধুইয়া ধুইয়া আমরা জমিনে পড়ে, ফলে কোনো খেত কৃষি করতে পারি না।’

শমশেরনগর বণিককল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, ‘বালুবহনকারী ডাম্পার ট্রাক চলার সময় ধুলোবালি উড়ে রাস্তার দুই পাশের দোকানপাটে ও চোখেমুখে এসে পড়ে। এ ছাড়া নিয়মিত যানজটের সৃষ্টি করে।’

সড়ক বিভাগ, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার হামিদ বলেন, ‘বালুবাহী ট্রাকের কারণে রাস্তার ক্ষতি হওয়ায় আমরা ইতোপূর্বে তাদের লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে চাতলাপুর মনু নদীর বালুমহাল ইজারাদার মো. জুয়েল আহমদ বলেন, ‘আমার বালু উত্তোলনের কারণে কে খেত করতে পারছে না? এগুলো নিয়ে আপনাদের এত মাথাব্যথা কেন? আপনি নিউজ করেন। অনেক নিউজ হয়েছে। নিউজ করে কোনোকিছু হবে না।’

কুলাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ব্রিজের কাছাকাছি আসার কারণে সম্প্রতি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তাদের দেড় লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার পরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে।’


তীব্র গরমে মরছে মুরগি, কমেছে ডিম ও মাংসের উৎপাদন

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মইনুল হক মৃধা, রাজবাড়ী

প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। ডিম ও মাংসের উৎপাদনও কমেছে অনেক। এতে করে চরম ক্ষতির মুখে পড়ছেন খামারিরা। ঘরের চালে পানি দিয়ে, বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করেও মুরগি সুস্থ রাখতে পারছে না তারা।

দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাজবাড়ীতেও মাসব্যাপী চলছে তীব্র দাবদাহ। এই অসহনীয় গরমে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ও কর্মজীবী মানুষ। দাবদাহ থেকে রেহাই পাচ্ছে না অন্যান্য জীব-জন্তুও। হিটস্ট্রোকের কারণে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন পোল্ট্রি খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন পোল্ট্রি ফার্মের মালিক ও প্রান্তিক খামারিরা। এমন পরিস্থিতিতে ডিম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং মুরগির মাংস উৎপাদন ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আগামী দিনে মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

সরেজমিন গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি হ্যাচারি ও ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে খামারিরা মুরগি সুস্থ রাখতে ঘরের চালে মোটরের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পানি ছিটানোর পাশাপাশি বাড়তি ফ্যানের ব্যবস্থা করেছেন। এ ছাড়া তাপ সহিষ্ণু করতে মুরগিকে খাওয়ানো হচ্ছে ভিটামিন ‘স’ জাতীয় নানা ওষুধ। এতে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। তারপরও রোদের তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুরগি অসুস্থ হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে খামারির লোকসানও বেড়ে দ্বিগুণ।

দেশে পোল্ট্রি শিল্পের দ্বিতীয় বৃহত্তম জোন হিসেবে বিবেচনা করা হয় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দকে। এ উপজেলায় অন্তত অর্ধশত পোল্ট্রি হ্যাচারির পাশাপাশি অসংখ্য পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। মুরগির খাবার, ওষুধের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে পোল্ট্রির সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছেন। ক্ষতির কারণে ইতিপূর্বেই বন্ধ হয়েছে অসংখ্য খামার। এখন গরমের কারণে এভাবে মুরগি মারা যেতে থাকলে এ ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোনালী পোল্ট্রি হ্যাচারিজ লি: এর পরিচালক মো. আইয়ুব রানা বলেন, ‘তীব্র গরমের কারণে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন মারাত্মক ব্যহত হচ্ছে। যে মুরগির ১৮ সপ্তাহে উৎপাদনে যাওয়ার কথা, সেখানে ২৪ সপ্তাহেও উৎপাদনে যাচ্ছে না। প্রতি সপ্তাহে এই মুরগির পেছনে খরচ হয় ৩ লক্ষ টাকা।’

উপজেলার উজানচর নতুন পাড়া এলাকার খামারি মো. শাহনি শেখের খামারে সোনালী জাতের মুরগি আছে প্রায় আড়াই হাজারের মতো। হিটস্ট্রোকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। তিনি জানান, মুরগিদের জন্য আলাদাভাবে বাতাসের ব্যবস্থা ও সেডের চালের উপরে সারাদিন ঝর্ণা বসিয়ে পানি দেয়া হচ্ছে। তারপরও মুরগির মৃত্যু বন্ধ করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া গরমের কারণে মুরগির ওজন কমে যাচ্ছে।

ছোটভাকলা ইউনিয়নের খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার এখানে প্রায় ১ হাজার ২০০ মুরগি আছে। গত এক মাসে প্রায় ৫০টার মতো মুরগি মারা গেছে। এসব মুরগিকে বেশি শীতল জায়গায় রাখা যায় না, আবার বেশি গরমেও রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তীব্র গরমের কারণে মুরগিকে সুস্থ রাখতে এক বেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে। মুরগির খাবার কমিয়ে দিলে উৎপাদন কমে আসবে এটাই স্বাভাবিক।’

গোয়ালন্দ উপজেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ছিদ্দিক মিয়া বলেন, তীব্র দাবদাহে খামারের মুরগির ওজন ও ডিম উৎপাদন কমে যাচ্ছে। ৪০ দিনে একটি ব্রয়লার মুরগি দুই কেজি ওজন ছাড়িয়ে যায়। এখন তা ১ কেজিও হচ্ছে না। আবার একই কারণে খামারিরা নতুন করে বাচ্চা তুলছেন না, এতে করে বাচ্চার দাম কমে গেছে। কিন্তু হ্যাচারি মালিকদের ব্যায় বেড়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা একেবারে পথে বসে যাবে।

গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে পোল্ট্রি খামারিদের দাবদাহ মোকাবিলায় বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো- শেডে সঠিক বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা, ধারণ ক্ষমতার চেয়ে কম মুরগি রাখা, মুরগির শরীরে পানি স্প্রে করা, সেডের চালে ভেজা পাটের ব্যাগ রাখা, নিয়মিত পানি ঢালা ও দুপুরে মুরগিকে খাবার না খাওয়ানো ইত্যাদি।


গজারিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

ছবি: দৈনিক বাংলা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাইভেটকার খাদে পড়ে তিনজন নিহত হবার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।

নিহতরা হলেন, চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের হোসেন আলী বেপারীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৫৮), তার ছোট ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৭), তার মামী রাহেলা বেগম (৫৫)। আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেনের বড় ছেলে নজরুল ইসলাম (৩০) ও প্রাইভেট কার চালক ইব্রাহিম খলিল সুজন (৩৩)।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা জানান, ঢাকার ডেমরা এলাকার বাসিন্দা কুয়েত প্রবাসী আলমগীর হোসেন সম্প্রতি দেশে ফিরে শুক্রবার পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলায় কাদরা গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেড়ানো শেষ করে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার উদ্দেশেরওনা হন। এ সময় তার মামী রাহেলা বেগমকে ডাক্তার দেখানোর উদ্দেশে ঢাকাতে নিয়ে আসছিলেন তিনি। পথে রাত দেড়টার দিকে তাদের প্রাইভেটকারটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বাউশিয়া মানাবে ওয়াটার পার্কের সামনে আসলে পেছন থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান প্রাইভেটকারটিকে ধাক্কা দিলে দিলে তা রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময়ে আলমগীর হোসেনসহ ঘটনস্থলেই মারা যান তিনজন। চালকসহ আহত দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক বলেন, রাত ১টা ৫০ মিনিটে আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। খবর পাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। হতাহত সবাইকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাদিয়া আফরিন বলেন, রাত আড়াইটার দিকে আমাদের হাসপাতালে ৫ জন রোগী নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে আমরা ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করি। আহত নজরুল ও সুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মরদেহগুলো বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়িতে রয়েছে। কাভার্ড ভ্যানটিকে শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছি আমরা। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


প্রান্তিক মানুষকে মূলধারায় আনতে কাজ করছি: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘যে জনগোষ্ঠী কিছুটা দুর্বল, যারা নিজেরটা নিজেরা করতে পুরোপুরি সফল নয়, যারা অবস্থানগত, ভৌগোলিক কারণে প্রান্তিক- সেই প্রান্তিক মানুষকে মূলধারায় নিয়ে আসতে চেষ্টা করছি।’

আজ শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার গজারিয়ায় ‘হেনরী ভুবন বৃদ্ধাশ্রম’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রান্তিক মানুষগুলোর জীবন যাতে সুন্দর ও সহজ হয় সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। সেটি যদি সব জায়গায় করতে পারি, তাহলেই আমরা কাঙ্ক্ষিত মানবিক বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।’

বৃদ্ধাশ্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে দীপু মনি বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মাকে একা বাসায় রেখে সংসারের প্রয়োজনে কাজ-কর্মে যেতে হয়। তখন তারা নিঃসঙ্গতাবোধ করেন, বিষণ্নতায় তারা মানসিক সমস্যায় কষ্ট পান। এমন সময়ে তাদের যেকোনো সঙ্গ প্রয়োজন হয়, তারা প্রয়োজন অনুভবও করেন। যে কারণে আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃদ্ধাশ্রম গড়ে উঠছে।

ওই সময় সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জ-১ আসনের এমপি তানভীর শাকিল জয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদারসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি নারী নেত্রী জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী তার ব্যক্তি উদ্যোগে ছয় একর জায়গায় দ্বিতল আধুনিক ভবন নির্মাণ করেছেন। এই ভবনে ৫৬টি কক্ষে ১১২ জন বসবাস করতে পারবেন। ভবনটিতে আছে বিনোদনসহ আছে নানা সুবিধা। সামনে সৌন্দর্য বর্ধন, পুকুরসহ আছে পার্ক সুবিধাও।


রিমান্ড শেষে কেএনএফের ১৬ নারী সদস্য ফের কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশের অস্ত্র লুট, মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সন্দেহভাজন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ১৬ নারী সদস্যকে দুদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হলে শুনানি শেষে তাদের ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন বিচারক।

শুক্রবার দুপুরে বান্দরবানের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের (আমলি আদালত) বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

কোর্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রুমা থানার মামলায় ১৬ নারী আসামিকে দুদিনের রিমান্ড শেষে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়েছে এবং আদালত ১৬ জন ১৮ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক ডাকাতি, ম্যানেজারকে অপহরণ, মসজিদে হামলা ও পুলিশের অস্ত্র লুটের ঘটনায় রুমা থানায় পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটে, আর এই ঘটনায় আরও চারটি মামলা দায়ের হওয়ায় পর যৌথবাহিনীর সদস্যরা অভিযান শুরু করে এ পর্যন্ত মোট নয়টি মামলায় ৮১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।


গাজীপুরে দুই ট্রেন সংঘর্ষ: উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন চলাচল শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজীপুরের ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষের প্রায় দুই ঘণ্টা পর ঢাকা থেকে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে।

জয়দেবপুর রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মো. হানিফ আলী গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সংঘটিত এ দুর্ঘটনার পর উভয় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হলে ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।

স্টেশন মাস্টার জানান, জয়দেবপুর আউটার সিগন্যালের কাজীবাড়ি ছোট দেওড়া এলাকায় তেলবাহী ও যাত্রীবাহী দুই ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনার ফলে ওই ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ডাবল লাইনের ডাউন লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।

ইতোমধ্যে ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। এর কিছু সময় পর একইভাবে একতা এক্সপ্রেস ঢাকা থেকে জয়দেবপুর স্টেশন হয়ে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এখন এক লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে। বাকি লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য কাজ চলছে।

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা তেলের মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন।

বেলা ১১টার দিকে সংঘটিত এ দুর্ঘটনার পর উভয় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হলে ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, ‘সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি গাজীপুরগামী মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ

ছবি: ইউএনবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা তেলের মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে কমিউটার ট্রেনের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

বেলা ১১টার দিকে সংঘটিত এ দুর্ঘটনার পর উভয় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হলে ঢাকাসহ দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।

জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে স্টেশনের দক্ষিণ প্রান্তে সিগন্যালম্যানের ভুলের কারণে ঢাকাগামী টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনটি গাজীপুরগামী মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় কমিউটার ট্রেনের চারটি বগি এবং মালবাহী ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে কমিউটার ট্রেনের লোকোমাস্টারসহ চারজন আহত হন।

তিনি বলেন, লাইনচ্যুত বগিগুলো রেললাইন থেকে সরানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।


চাঁপাইনবাবগঞ্জ: খরায় পুড়ছে আম, ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় চাষীরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

আমের রাজধানী হিসেবে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার প্রচণ্ড দাবদাহে আম চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে বোঁটা শুকিয়ে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আম। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাষীরা আমগাছে সেচ ও বালাইনাশক স্প্রে দিলেও তেমন কাজে আসছে না। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার জেলায় আমের মারাত্মক ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।

আম উৎপাদনে এ বছর এমনিতেই অফ ইয়ার, অর্থাৎ কম ফলনের বছর। তার উপর বিরূপ আবহাওয়া যেন পিছু ছাড়ছে না আম চাষীদের। মৌসুমের শুরুতেই অতিরিক্ত শীতের কারণে আমের মুকুল এসেছে দেরিতে; মুকুল ফোটার সময় হয়েছে বৃষ্টি। তাতে অনেক মুকুল নষ্ট হয়ে আম এসেছে কম। এ নিয়ে এমনিতেই মুখে হাঁসি ছিল না চাষী ও বাগান মালিকদের। আর এখন তীব্র দাবদাহে ঝরে পড়ছে আম। ফলে আমের ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা। যাদের সেচ দেয়ার সুবিধা আছে তারা বাড়তি টাকা খরচ করে বাগানে সেচ দিয়ে ও স্প্রে করে আমের ঝরে পড়া রোধের চেষ্টা করছেন।

জেলার বেশ কয়েকটি এলাকার আম বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছের নিচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ঝরে পড়া ছোট ছোট আম। অন্যান্য বছর এ সময়ে আমের আকার অনেকটা বড় হয়ে যায়, কিন্তু বৃষ্টির অভাবে এবার আমগুলো তেমন বড় হয়নি। কোনো কোনো বাগানে ডিজেলচালিত সেচযন্ত্র বসিয়ে গাছের গোড়ায় পানি দেওয়া হচ্ছে। আবার অনেক বাগানে সে সুযোগ নেই। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আম ঝরে পাড়া অব্যাহত থাকায় চাষীদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই।

জেলা শহরের আমচাষী আব্দুল অহিদ বলেন, এবার আমের মুকুল এমনিতেই কম হওয়ায় গুটিও খুব কম ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে বৃষ্টির দরকার থাকলেও এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা নেই, চলছে খরা। বৃষ্টির অভাবে বোটা শুকিয়ে প্রতিদিন ঝরে পড়ছে আম। গাছের গোড়ায় পানি দিয়ে সেচ দিচ্ছি, স্প্রে করছি, কিন্তু তারপরও আমের ঝরে পড়া বন্ধ হচ্ছে না। এছাড়া বৃষ্টি না হওয়ায় আমের আকারও বড় হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

আজাইপুর এলাকার আম চাষী আবদুর রাকিব বলেন, ‘আম নিয়ে মন ভালো নেই। প্রচণ্ড খরায় আম ঝরে পড়ছে। গাছে সেচ দিচ্ছি, ছত্রাকনাশক স্প্রে করছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। প্রচণ্ড দাবদাহে আম ঝরছে তো ঝরছেই। এ পর্যন্ত তিনবার স্প্রে করলাম, উপাদন খরচ বাড়তেই আছে। তার উপর যদি আমের ফলনে মার খাই তাহলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ব।’

শিবগঞ্জ এলাকার আমচাষী আহসান হাবিব বলেন, ‘এবার শীতের কারণে মুকুল দেরিতে এসেছে। তারপর গত ২০ মার্চ যে বৃষ্টি হয়েছিল, তাতে মুকুলের ক্ষতি হয়েছিল। এখন যে তাপদাহ চলছে এর ফলে গাছে যে আম আছে সেগুলোও ঝরে পড়ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অনেকে গাছে সেচ দিতে পারছে না। আবার কেউ সেচ দিচ্ছে তো খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা শঙ্কায় আছি যে আমের উৎপাদন কমে যাবে এবং আমরা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে যাব।’

একই এলাকার আরেক আমচাষী শামীম বলেন, ‘সামগ্রিক দিক বিবেচনা করলে আমাদের জেলায় এবার আমের অবস্থা খুবই খারাপ। কারণ আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে বাগানের পরিচর্যা করেছি বা করে যাচ্ছি, সেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এবার আমরা পৌঁছাতেই পারব না। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে, এবার আমের উৎপাদনে বিপর্যয় ঘটবে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, ‘আমাদের চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আমের মুকুল কম হয়েছে। দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে ও মার্চ মাসে সকালের দিকে ঘন কুয়াশা পড়েছে; সেটা ক্ষতি করেছে। আবার বৃষ্টি হয়েছে, হালকা ঝড়ও হয়েছে; এতে যে আম গাছগুলোতে মুকুল ফুল পর্যায়ে ছিল বৃষ্টিতে সে ফুল নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর এখন তীব্র তাপদাহ চলছে। এতে আম ঝরে পড়ছে। সামনে শিলাবৃষ্টি, কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কাও থাকছে। ফলে আমরা যে কাঙ্ক্ষিত ফলন চাচ্ছি সেটা হয়তো নাও হতে পারে।’

কৃষি বিভাগের হিসেবে চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৭ হাজার ৬০৪ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। আর এ থেকে এবার জেলায় আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন। গত মৌসুমে জেলায় আম উৎপাদন হয়েছিল ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৫ মেট্রিকটন।


গাজীপুরে তেলবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ৩ মে, ২০২৪ ১২:০৭
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

গাজীপুরের জয়দেবপুর জংশন এলাকায় যাত্রীবাহী ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। জয়দেবপুর স্টেশনের কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা গেছে, দুর্ঘটনায় অন্তত ৫০ জনের মতো আহত হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।'

এদিকে দুর্ঘটনায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ওই রুটে কোনো ট্রেন চলছে না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার।

তিনি বলেন, ‘এখন ওই রুটে ট্রেন নেই। আর শুধু জয়দেবপুরে কোনো ট্রেন যাবে না। দুপুরের পরে ওই রুট দিয়ে ট্রেন চলাচল করবে।’


পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পাঁচ জেলায় বজ্রপাতে নারীসহ ১১ জনের মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে কুমিল্লায় চার, রাঙামাটিতে তিন, কক্সবাজারে দুই এবং খাগড়াছড়ি ও সিলেটে একজন করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাত থেকে থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা জেলার চান্দিনা, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকাল ও সন্ধ্যায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), চান্দিনার কিছমত শ্রীমন্তপুর গ্রামের দৌলতুর রহমান (৪৭), বুড়িচংয়ের পাঁচোড়া নোয়াপাড়া গ্রামে আলম হোসেন (৩৫) এবং দেবিদ্বারের ধামতী গ্রামের মোখলেসুর রহমান (৫৮)।

জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবেদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বজ্রপাতে মারা যাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দুই ইউনিয়নে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই চাষির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের কোদাইল্লাদিয়া এলাকার জমির হোসেনের ছেলে মো. দিদার হোসেন (২৫) এবং রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরাফাতুর রহমান (১৩)।

স্থানীয়দের বরাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম জয় গণমাধ্যমকে বলেন, ভোর থেকে পেকুয়ায় থেমে থেমে বজ্রপাতসহ গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এ সময় বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে মাঠে থাকা লবণ পলিথিনে ঢেকে রাখতে যান দিদার হোসেনসহ পরিবারের আরও ২-৩ জন। এক পর্যায়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দিদার।

তিনি বলেন, প্রায় একই সময়ে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বৃষ্টি থেকে লবণ রক্ষা করতে গিয়ে করতে গিয়েছিল কিশোর আরাফাতুর রহমান। তিনিও একইভাবে বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃতদের লাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে গেছে বলেও জানান পেকুয়ার ইউএনও।

অন্যদিকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বোরো ধান কাটাতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরও দুইজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন।

নিহত বাবুল আহমদ (৪৮) উপজেলার দক্ষিণ কুয়রেরমাটি গ্রামের বাসিন্দা। আহতরা হলেন- নিহত বাবুলের ভাতিজা ফাহিম আহমদ (১৭) ও মানিকপুর গ্রামের বাবু বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (২০)।

স্থানীয়দের বরাতে কানাইঘাট থানার ওসি মো. জাবেদ মাসুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে ভাতিজা ফাহিম আহমদ ও প্রদীপ বিশ্বাসকে নিয়ে বাবুল আহমদ স্হানীয় শফিক হাওয়রে বর্গা জমিতে বোরো ধান কাটতে যান। এ সময় হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে তারা গুরুত্ব আহত হন।

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বাবুল আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাঙামাটির সদর ও বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে; এ সময় আরো অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির (৫০) এবং বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লক এলাকার বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) এবং সাজেকের লংথিয়ান পাড়ার তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা বলেন, ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক এলাকার লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান ।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও।

খাগড়াছড়িক মাটিরাঙ্গা উপজেলায় বৃষ্টির মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইয়াছিন আরাফাত উপজেলার বড়নাল ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের ইব্রাহিম পাড়ার বাসিন্দা ইউসুফ মিয়ার ছেলে।

স্বজনদের বরাতে বড়নাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বৃষ্টির সময় উঠানের পাশেই আম কুড়াতে যায় দুই ভাই। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ছোট ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও বড় ভাই ইয়াছিন আরাফাত ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ডেজী চক্রবর্তী বলেন, নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।


১২ বাংলাদেশি জেলেকে ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্ত এলাকা থেকে ১২ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরণের পর ছেড়ে দিয়েছে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

জেলেরা হলেন, পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল এলাকার হোসেন আলীর ছেলে জানে আলম (৩৫), মৃত আবদুস ছালামের ছেলে আব্দুর রহিম (৪০), মৃত জালাল আহমদের ছেলে আনোয়ারুল ইসলাম (৩৭) ও সাইফুল ইসলাম (৩০), মৃত আলী আহমদের ছেলে আয়ুবুল ইসলাম (৩০), আবু তাহেরের ছেলে শাহীন (২০), গৌজঘোনা এলাকার আলী আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৫২), পুটিবনিয়া এলাকার মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে ওসমান গণী (৩০), মৃত আবুল শামার ছেলে ওসমান (৩৫), আয়ুব ইসলামের ছেলে আবুল হাশিম (৩৫), টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার রোমান আলীর ছেলে আব্দুল জলিল (৩২) ও দৈংগ্যাকাটা এলাকার হোসাইন আহমদ (৫৫)। গতকাল রাত ৮টার দিকে ১২ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অপহরণের শিকার টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকার আব্দুল জলিল নামের এক যুবক।

তিনি বলেন, ‘আরকান আর্মি আমাদেরকে নাফনদীর বাংলাদেশ অংশ থেকে ধরে নিয়ে গেছিল। জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করে বাংলাদেশি হিসেবে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুপুরের দিকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে সন্ধ্যা ৭টায় সীমান্তের নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশের বালুখালীর একটি এলাকায় ১২ জনকে ছেড়ে দিয়ে তারা চলে যায়। আমরা সবাই সুস্থ আছি।’

বুধবার সকাল ৮টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী রহমতেরবিল সীমান্তে নাফ নদী থেকে তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

অপহৃতদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলেরা নাফ নদীর বাংলাদেশ অংশে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল। কারণ রহমতেরবিল সীমান্তে মিয়ানমার অংশে এখন সে দেশের কোনো সরকারি বাহিনী নেই। যারা ছিল তারা সবাই সংঘাতের সময় পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছিল। এখন রহমতেরবিল সীমান্তের ওপারে মিয়ানমানের ওই এলাকাটি আরাকান আর্মির দখলেই আছে।’

এছাড়া বিভিন্ন সূত্রে এম গফুর উদ্দিন খবর পেয়েছেন আরাকান আর্মিই জেলেদের নিয়ে গিয়েছিল বলে জানান তিনি।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হোসেন বলেন, যেহেতু সীমান্ত এলাকা থেকেই অপহরণের শিকার হয়েছে তারা, তাই বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে এবং তাদেরকে উদ্ধারের জন্য ইতোমধ্যে বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

আরাকান আর্মির নাম সরাসরি না বললেও তানভীর হোসেন বলেন, তিনিও শুনেছেন মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনই জেলেদের অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। এ বিষয়ে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


banner close