রোববার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
২৪ কার্তিক ১৪৩২

বদলে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর নাম

জানুয়ারিতে উদ্বোধন ও বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু
ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড
৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২১
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত
ফরমান শেখ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল)
প্রকাশিত : ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ ১২:২০

যমুনা নদীর ওপর নবনির্মিত উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে নতুন নাম কী হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্বোধনের প্রথম বছর ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে ক্রসিংয়ের সমস্যা হবে না, ফলে সময় সাশ্রয় হবে ২০ থেকে ৩০ মিনিট। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান এসব তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। সেতুটি আগামী ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধনের আগেই নাম পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, এখনও নাম পরিবর্তনের চূড়ান্ত করা হয়নি। মাসুদুর রহমান আরও বলেন, ‘মূল রেল সেতুর কাজ শতভাগ সম্পন্ন। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৬ শতাংশ। চলতি বছরের আগামী ডিসেম্বর নাগাদ আমরা ট্রেন চলাচলে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করব। সে লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি। ২০২৫ সালের জানুয়ারির প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহে উদ্বোধনের সম্ভবনা রয়েছে। এই রেল সেতুটি উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে উন্মুক্ত করতে চাই।’

এদিকে গত মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেন চলাচল করছে। ট্রায়াল ট্রেনের শুরুতে ঘণ্টায় গতি ছিল ১০ কিলোমিটার, পরের বার ঘণ্টায় ট্রেনের গতি ছিল ২০ এবং ৪০ কিলোমিটার। এর আগে গত সোমবার ২৫ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে সকাল থেকে ট্রায়াল ট্রেন শুরু হয়। উদ্বোধনী ট্রায়াল ট্রেনটি ২০ মিনিটে পশ্চিম পাড়ে পৌঁছায় এবং ১০ মিনিটে ফিরে আসে ও মাঝ পথে পশ্চিম পাড় থেকে ছেড়ে আসা অপর ট্রায়াল ট্রেনটি ক্রসিং করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু রেলওয়ে প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দেশের এই দীর্ঘতম স্বতন্ত্র রেল সেতু দিয়ে বিরতিহীনভাবে কমপক্ষে ৮৮টি ট্রেন দ্রুতগতিতে সেতু পারাপার হতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় বাঁচবে। নির্মাণাধীন এই রেল সেতুতে সাধারণ ট্রেন ছাড়াও দ্রুতগতির (হাইস্পিড) ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে সেতুতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানো হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে। বর্তমানে রেল জাদুঘর নির্মাণে সিদ্ধান্ত না হওয়ায় হাজার কোটি টাকার অর্থ সাশ্রয়ে হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে এবং ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়।


সামান্থাকে নিয়ে নতুন গুঞ্জন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বিনোদন ডেস্ক

পরিচালক রাজ নিদিমরু, অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এ দিক-সে দিক প্রায়ই তাদের দেখা যায়। কিন্তু কোমর জড়িয়ে চিত্র সাংবাদিকদের সামনে বিশেষ ভঙ্গিতে দাঁড়াতেই যে নতুন গুঞ্জন শুরু! খবর, সমান্থা নাকি ইতিমধ্যে সমাজমাধ্যমে বার্তাও দিয়েছেন। খবর আনন্দবাজার।

কী সেই বার্তা? অভিনেত্রী নাকি জানিয়েছেন, তিনি কিছু সাহসী পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। তার মধ্যে অন্যতম তার অভিনয় জীবন। বাকি সাহসী পদক্ষেপ কী? সামান্থা খোলসা করেননি। কিন্তু তার অনুরাগীরা যে দু’য়ে দু’য়ে চার করে ফেলেছেন। তাদের ভাবনায়, ‘ফ্যামিলি ম্যান’ পরিচালকের সঙ্গে তাদের প্রিয় অভিনেত্রী ‘ফ্যামিলি’ গড়ার সিদ্ধান্তও নাকি নিয়ে ফেলেছেন! তারই ইঙ্গিত তার বার্তায় এবং ঘনিষ্ঠ ‘পোজ’-এ।

এ দিকে রাজ-সামান্থার মুখোমুখি হওয়ার কারণও প্রকাশ্যে। খবর, পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে, প্রিয়জন, পরিজন, বন্ধু— সবাই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তারাও এক হয়েছিলেন। এ রকম ঘরোয়া অনুষ্ঠানে চর্চিত যুগলের উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই নতুন গুঞ্জনের কারণ। পারিবারিক অনুষ্ঠানে জোটে যোগদান মানেই যেন পারিবারিক স্বীকৃতি— এমনও মনে করছেন অনেকে!

সমান্থা-রাজকে নিয়ে গুঞ্জন যদিও আজকের নয়। ২০২৩ থেকে তারা চর্চায়। দু’জনে ইতিমধ্যেই ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ এবং ‘সিটাডেল: হানি বানি’-তে একসঙ্গে কাজ করেছেন। সেটে তাদের ঘন ঘন একসঙ্গে উপস্থিতিও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভক্তদের।


বর্ণাঢ্য আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ দিনাজপুরে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দিনাজপুর প্রতিনিধি

বর্ণাঢ্য আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটির সংবর্ধনা হয়েছে।

শনিবার দুপুর দু'টায় দিনাজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, পতাকা উত্তোলন এবং আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দিনাজপুর জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোকসেদ আলী মঙ্গলীয়ার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নঈম জাহাঙ্গীর।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহমেদ।

এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুদ আলী সরকার, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোফাজ্জল হোসেন দুলাল প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির গর্ব। তাদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নঈম জাহাঙ্গীর বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চাই— যাতে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ চিরজীবী থাকে। বিগত সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেই বিভেদ ভুলে গিয়ে, এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

এর আগে, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দদের অংশগ্রহণে এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এসে শেষ করা হয়।


ফাঁদ পেতে সেই কুমিরটি ধরল এলাকাবাসী

অবমুক্ত করা হবে গাজীপুর সাফারি পার্কে
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ইছামতি নদী থেকে একটি কুমির উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী। ওই নদীতে প্রায় এক মাস ধরে আতঙ্কের নাম ছিল কুমিরটি। সেই কুমিরই অবশেষে ধরা পড়েছে স্থানীয়দের তৈরি ফাঁদে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন যুবক সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে ১০ ফুট লম্বা কুমিরটিকে আটক করতে সক্ষম হন। শনিবার বন বিভাগের পক্ষ থেকে ওই কুমিরটিকে উদ্ধার করে গাজীপুর সাফারি পার্কে অবমুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

হরিরামপুর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, হরিরামপুর উপজেলার ধুলসুরা ও হারুকান্দি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের ইছামতি নদীতে কুমিরটি কয়েকবার দেখা গিয়েছিল। গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় যুবকরা মানিকগঞ্জ সেটি চৌকিঘাটা এলাকা থেকে আটক করে। শনিবার ঢাকার বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ দলের সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে ওই ‍কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় এক মাস ধরে কুমিরটি নদীপাড়ের মানুষের মনে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমে হরিরামপুর উপজেলার বোয়ালী, আইলকুন্ডি, খামারহাটি ও হারুকান্দি ইউনিয়নের তন্ত্রখোলা এলাকায় কুমিরটির দেখা মেলে। পরে সেটি পদ্মার স্রোতে ভেসে সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চরবংখুড়ি ও চৌকিঘাটা এলাকায় চলে আসে। গত কয়েক সপ্তাহে তারা একাধিকবার কুমিরটিকে পানির ওপর ভেসে উঠতে দেখেছেন। এতে আশপাশের গ্রামগুলোর মানুষ নদীতে গোসল, মাছ ধরা ও নৌকা চালানো বন্ধ করে দেন। মানুষের কোনো ক্ষতি করতে না পারলেও ওই কুমিরটির পেটে গেছে স্থানীয়দের অনেক হাঁস।

সদর উপজেলার চরবংখুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘আমরা নদীতে নামতে ভয় পেতাম।

সকালে বা বিকেলে কেউ মাছ ধরতে যেত না। শুনেছি, বড় একটা কুমির ঘুরে বেড়ায় তাই সবাই আতঙ্কে ছিলাম। এখন কুমিরটি ধরা পড়েছে তার পরও ভয় লাগছে নদীতে নামতে।

হরিরামপুরে আইলকন্ডি গ্রামের বাসিন্দা রহিমা খাতুন জানান, ওই কুমিরটি তাদের ৬টি হাঁস খেয়ে ফেলেছে। এছাড়া তাদের এলাকায় অনেকের হাঁস খেয়েছে।

কুমিরটি ধরা পড়ার পর এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস ফেরে। এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের কয়েকটি গ্রামের শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। কেউ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন, কেউ আবার সেলফি তোলার চেষ্টা করেন।

কুমির ধরার কাজে অংশ নেওয়া স্থানীয় যুবক রাহাত, অন্তর, রাকিব, আল আমিন, সুরুজ ও শাহিন জানান, তারা দীর্ঘদিন কুমিরটির গতিবিধি লক্ষ্য রাখছিলেন। কুমিরটা কোথায় থাকে, ‘কখন ভেসে ওঠে এসব পর্যবেক্ষণ করা হয়। গত শুক্রবার সকালে আবার দেখতে পাই। তারপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌকিঘাটা এলাকায় পানির ওপর ভেসে উঠলে আমরা দড়ির ফাঁদ পেতে দুই দফা চেষ্টা করে সেটিকে ধরতে সক্ষম হই।’ এর পর কুমিরটি মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। সারারাত কুমিরটিকে ঘিরে লোকজনের উপস্থিতি ছিল। শনিবার দুপুরে বন বিভাগের লোকজন কুমিরটিকে নিয়ে গেছেন।

ঢাকা বন বিভাগের বন্যপ্রানী ও জীববৈচিত্র্য কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, মানিকগঞ্জে মিঠাপানিতে কুমির আটকের খবর পাওয়ার পর বন বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল থেকে শনিবার দুপুরে কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। কুমিরটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে গাজীপুর সাফারি পার্কে কুমিরকে অমুক্ত করা হবে।


কুমিল্লায় আওয়ামী লীগের ৪৫ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার 

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লায় জননিরাপত্তা বিঘ্ন, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সদস্য। শনিবার কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সুপার জানান, বিদেশে পলাতক ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা তাদের নিজ এলাকায় অর্থ পাঠিয়ে সরকার পতনের জন্য ঝটিকা মিছিলসহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করাচ্ছে। এই নিষিদ্ধ সংগঠনের অর্থায়নে গত শুক্রবার ১ মিনিটের এই মিছিলে কুমিল্লার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে লোক সংগ্রহ এবং গাড়ি ভাড়া করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় ঝটিকা মিছিল বের করে। সংক্ষিপ্ত সময়ের এই মিছিলের অধিকাংশ সদস্য নিজেকে গোপন করতে রুমাল ও মাস্ক দিয়ে মুখ ঢাকেন। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানি দিয়ে আত্মগোপনে থাকা কেউ কেউ মিছিল করতে ইন্ধন দিচ্ছে।

গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজন হলেন- দাউদকান্দি উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া (৪০), আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুকবিল হোসেন (৫৮), কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কোতোয়ালি থানা উপদেষ্টা পাপন লাল (৫৫), বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর নুর তুষার (২৮), কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শের এ আলম।

কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আবদুল্লাহ জানান, তাদের বিরুদ্ধে পুরোনো মামলা রয়েছে। নতুন মামলা হবে। মামলা শেষে আদালতে তোলা হবে।


সৈয়দপুরে আইডিইবির ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যালি, আলোচনা সভা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি)’র গৌরবোজ্জ্বল ৫৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১১ টার দিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সৈয়দপুর শহরের গেট বাজারস্হ আইডিইবির সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভা হয়।

আইডিইবির সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোনায়মুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলামের এর সঞ্চালনায়, এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহদি ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি ও নীলফামারীর-০৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আলহাজ অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সৈয়দপুর পৌর জামায়াতে ইসলামীর আমীর মো. শরিফুদ্দিন খান, জেলা আইডিইবির উপদেষ্টা প্রকৌশলী মো. আজিজুল ইসলাম, সহ সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা বলেন, এই সংগঠন আরও বেশি শক্তিশালী করতে হবে। সেজন্য সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আলোচনা সভার পরে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইডিইবির সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা শাখার দপ্তর ও গ্রন্থাগার সম্পাদক প্রকৌশলী হোসাইন মোহাম্মদ আরমান, আইসিটি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য প্রকৌশলী মো. আরিফুল, প্রকৌশলী মো. রুবেল।


কেশবপুরে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি, ব্যস্ত গাছিরা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর)

শীতের আগমনের বার্তা নিয়ে কেশবপুর উপজেলার গ্রামাঞ্চলে শুরু হয়েছে খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি। উপজেলার প্রতাপপুর, মোমিনপুর, মঙ্গলকোট হাসানপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা এখন খেজুর গাছ ছাঁটাই ও চাচ দেওয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেশবপুরের মানুষ বছরের এই সময়টির অপেক্ষায় থাকে সারাবছর। কারণ শীত মানেই খেজুরের রস, গুড়-পাটালি আর পিঠা-পায়েসের উৎসব। স্থানীয়দের মুখে শোনা যায়- ‘যশোরের যশ, খেজুরের রস’-এই প্রবাদটি এখনো জীবন্ত হয়ে ওঠে শীতের সকালে। স্থানীয় গাছি আব্দুল গফুর জানান, প্রথমে ধারালো দা দিয়ে গাছের মাথা ছাঁটাই করা হয়, যাকে তারা ‘ডেগো ছাটাই’ বলে। এক সপ্তাহ পর গাছের সোনালি অংশ বের করে দেওয়া হয়, যেটিকে ‘চাচ দেওয়া’ বলা হয়। এরপর বাঁশের তৈরি নলি বসিয়ে মাটির ভাড় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রস সংগ্রহের জন্য। তিনি বলেন, ‘ভোরের কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়া জানিয়ে দেয় রসের সময় এসে গেছে। এখন প্রতিদিন সকালেই আমরা গাছের নিচে ভাড় নামাতে যাই রসের মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। রস সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নতুন ধানের চাউল দিয়ে গুড়া তৈরি ও রসের পিঠা বানানোর আয়োজন। খেজুরের রস থেকে তৈরি হয় দানা গুড়, পাটালি গুড় ও তরল গুড়- যার সুনাম কেশবপুর ছাড়িয়ে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. রমজান আলী জানান, প্রতিবছর শীতের শুরুতেই কেশবপুরের গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। এখন অনেকে অনলাইনে অর্ডার দিচ্ছেন বিদেশেও পাঠানোর জন্য ‘

কেশবপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে উপজেলায় প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। প্রতি বছর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে নতুন খেজুর গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে এবং চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন খেজুর গাছ অন্যান্য গাছের মতো সার বা কীটনাশক ছাড়াই বড় হয়। এটি কৃষকদের অতিরিক্ত আয় দেয় এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে স্থানীয়রা জানান, ইটভাটায় খেজুর গাছ পোড়ানো এবং অপরিকল্পিত কাটা বন্ধ না করলে এই ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

প্রবীণ গাছি আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের দাদা-পরদাদারা খেজুর রসের গুড় বিক্রি করে সংসার চালাতেন। এখন রসের চাহিদা বেড়েছে, কিন্তু গাছ কমে যাচ্ছে। গাছ না বাঁচালে ঐতিহ্যও বাঁচবে না।

কেশবপুরের খেজুর রস শুধু খাদ্য নয়, এটি একটি ঐতিহ্য, যা এই অঞ্চলের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্রাম বাংলার প্রতিটি প্রভাতে যখন ভাড় থেকে রস ঝরবে, তখন আবারও জীবন্ত হয়ে উঠবে সেই পুরনো চিত্র খেজুর গাছের নিচে রস বিক্রির ভিড়, গুড়ের গন্ধে ভরে থাকে কেশবপুরের গ্রামগুলো।


আটলান্টিক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে সোহেলের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

আমেরিকার নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক সিটি কাউন্সিল নির্বাচনে কাউন্সিল অ্যাট-লার্জ পদে জয়ী হয়েছেন কুলাউড়ার সোহেল আহমদ। গত ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হিসেবে ‘টিম স্মল’ প্যানেল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ইতিহাস গড়েছেন তিনিই। তিনি প্রথম বাংলাদেশি-আমেরিকান হিসেবে নির্বাচনে জয়ী হলেন।

সোহেল আহমদ কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের সন্তান। তিনি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মরহুম এম এ গণির ছেলে। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় কমিউনিটির বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে তিনি সিটি হলে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রাস্তা-ঘাট, কর হ্রাস, নাগরিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন।

জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় সোহেল আহমদ বলেন, এই জয় শুধু আমার নয়- এটি বাংলাদেশি কমিউনিটির জয়। আপনাদের আস্থা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

এদিকে তার এই ঐতিহাসিক বিজয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জারসি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব আটলান্টিক কাউন্টি, বেংগল ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

সরাইলে বাড়ির পাশে খেলা করার সময় পুকুরের পানিতে ডুবে মো. তাকরিম (৩) ও মো. আদনান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর কুট্টাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত মো. তাকরিম (৩) সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া উত্তর এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে ও একই উপজেলার উচালিয়াপাড়া এলাকার মো. আরাফাত মিয়ার ছেলে মো. আদনান (৫)।

জানা যায়, আদনান কিছুদিন আগে উত্তর কুট্টপাড়া এলাকায় তার নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। সকালে তার মামাতো ভাই তাকরিমের সাথে বাড়ির পুকুরের পাশে খেলা করছিল। খেলার একপর্যায়ে দুই শিশু পুকুরের পানিতে ডুবে যায়।

পরে স্বজনরা শিশুদের বাড়ির পাশে না দেখে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাদের সন্ধান পায়নি।

দুপুরে স্থানীয়রা বাড়ির পাশে পুকুরে দুই শিশুটিকে ভাসতে দেখেন। পরে তাদের পুকুর থেকে উদ্ধার করে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল থানার ওসি মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।


বিয়ে আর করা হলো না ফিরে যাচ্ছেন দেশেই

প্রেমের টানে চীন থেকে এসেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে সুরমার ভালোবাসার টানে সুদূর চীন থেকে এসেছিলেন চীনা নাগরিক তাওজেন। মাত্র দেড় মাসের প্রেমের সম্পর্ককে বিয়েতে পরিণতি দিতেই এসেছিলেন তিনি। মিয়া-বিবি রাজি থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিয়ে করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিয়ে না করেই নিজ দেশে ফিরতে হচ্ছে তাওজেনকে।
যাওয়ার সময় তাওজেন তার ভালোবাসার মানুষ সুরমাকে বলে গেছেন, সব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবার বাংলাদেশে এসে তাকে বিয়ে করবেন।
তবে বাংলাদেশি নারীদের বিয়ে করার বিষয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। চীনে নারী-পুরুষ অনুপাতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হওয়ায় অনেক পুরুষ অন্য দেশ থেকে স্ত্রী আনার পরিকল্পনা করে থাকে। এটিকে কেন্দ্র করে একটি চক্র মানবপাচারে জড়িয়ে পড়েছে বলে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের এ বার্তায় ঝুলে গেছে বাংলাদেশি নাগরিক সুরমা বিয়ে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা গ্রামের কোনাপাড়ার সুরমা আক্তারকে বিয়ে না করেই ফিরে যাচ্ছেন চীনা নাগরিক ওয়াং তাওজেন।
গত বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর তিনি জেলার নাসিরনগর ছাড়েন। আপাতত ঢাকায় অবস্থান করে তিনি চীনে ফিরে যাবেন।
প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন চীনের নাগরিক ওয়াং তাওজেন। সব ঠিক থাকলে গত রোববার সুরমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটি হয়ে ওঠেনি। গত সোমবারও সম্ভব হয়নি। আইনি জটিলতায় তাদের বিয়ে আটকে যায়। এরই মধ্যে তাওজেন ইসলামধর্ম গ্রহণ করেন। আদালতে বিয়ে পড়াতে এসে আইনজীবীরা চীনা দূতাবাসের পরামর্শ নিতে বলেন। চীনা দূতাবাসে যাওয়ার পর সেখান থেকে পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। তবে সেখান থেকেও বিয়ের আইন বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রায় দেড় মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুরমা ও তাওজেনের মধ্যে পরিচয়। ধীরে ধীরে প্রেম। ৩১ অক্টোবর চীনা যুবক বাংলাদেশে আসেন। তাওজেনের দাবি, সুরমাকে বিয়ে করতেই তার ছুটে আসা। প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে চলে আসার ঘটনায় এলাকাতেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। চীনা যুবককে দেখতে অনেকেই সুরমাদের বাড়িতে আসা শুরু করেন। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের নিয়ে খবর ছড়িয়ে পড়ে। তাওজেন যে কদিন সুরামদের বাড়িতে ছিলেন, একটু পরপর লোকজন আসতেন তাকে দেখতে। লোকজন সামলাতে হিমশিম খেতে হয় সুরমার পরিবারের সদস্যদের।
সুরমা জানান, তিনি ঢাকায় চাকরি করেন। দেড় মাস আগে ‘ওয়ার্ল্ড টক’ নামে একটি অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এর পর ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই পরিবারের সম্মতির মাধ্যমে তাদের বিয়ের বিষয়ে একমত হলে তাওজেন বাংলাদেশে আসেন। এয়ারপোর্ট থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। দুদিন ধরে তাদের বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করে পরিবার।
সুরমার মা নুরেনা বেগম জানান, মেয়েকে বিয়ে করতে সে (তাওজেন) ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি সমাধান করা যায়নি।
দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশে বিয়ে করার আগে ভালোভাবে চিন্তা-ভাবনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
দূতাবাস জানায়, চীন সরকার কোনো সংস্থাকে আন্তঃসীমান্ত বিয়ের ম্যাচমেকিং পরিষেবা চালানোর অনুমতি দেয় না। এ কারণে এসব এজেন্টদের এড়িয়ে চলতে এবং অনলাইন রোমান্স স্ক্যাম থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে আর্থিক ও ব্যক্তিগত ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
সুরমার চাচা বলেন, চীন থেকে সে আসার পরই বেশ কয়েকদিন ধরে স্থানীয়ভাবে ও আদালতে গিয়ে বিয়ে পরাতে ব্যর্থ হই। আইনি জটিলতা থাকায় চীনা দূতাবাসে যাই। সেখান থেকে জানানো হয়, সে দেশের সরকার এ বিষয়ে বার্তা দিয়ে রেখেছে। তারা আইন মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের কিছু করার নেই। আমরা তাওজেনকে বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছি। তাকে বলেছি, তাদের দেশ থেকে অনুমতি নিয়ে আসতে। তিনিও আশ্বস্ত করেছেন, আইনি প্রক্রিয়া ঠিকঠাক মতো হলেই সুরমাকে বিয়ে করবেন। আপাতত তিনি চীনে চলে যাচ্ছেন।


রং মিশিয়ে লাল তিলকে কালো অভিযানে জব্দ ৫ মণ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে লাল তিলে কেমিক্যাল মিশিয়ে রোদে শুকিয়ে কালো তিল বলে সরবরাহ করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন। গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নছর উদ্দিন সরদারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মো. ছাত্তার মোল্লা এই অনৈতিক কাজ করে আসছিলেন। অবশেষে পড়লেন ধরা। গতকাল শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে মাঠে শুকানো অবস্থায় জব্দ করা হয় প্রায় ৫ মণ তিল। অভিযানে নেতৃত্ব দেন গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাথী দাস।
তিনি ব্যবসায়ী মো. ছাত্তার মোল্লা কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং প্রায় ৫ মণ ভেজাল বিনষ্ট করেন।
জানা যায়, অভিযুক্ত ছাত্তার মোল্লা বিভিন্ন ধরনের খাদ্য-শস্য হাট-বাজার থেকে লাল তিল কিনে কালো রং মেশানো পর রোদে শুকিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। এসব কালো তিলে বেশি লাভ পাওয়ার লোভে তিনি এটি করে আসছিলেন।
ইউএনও সাথী দাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি লাল তিলকে রং মিশিয়ে কালো করে বিক্রি করা হচ্ছে। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থলে গিয়ে রোদে শুকানো অবস্থায় প্রায় ৫ মণ তিল জব্দ করে তা বিনষ্ট করা হয় এবং অভিযুক্ত ছাত্তার মোল্লাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ইউএনও আরও বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকার করেছেন তিনি আর এগুলো ভবিষ্যতে করবেন না, এরপর যদি আমরা আবার জানতে পারি তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ সময় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন ইউএনওর সঙ্গে ছিলেন।


হঠাৎ কেন বাড়ল পেঁয়াজের দাম? কী বলছেন ব্যবসায়ীরা?

*২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম *আমদানি না থাকা ও দেশি য়াজের মৌসুম শেষ হওয়ার অজুহাত *শীতের সবজি উঠলেও দাম নাগালে নেই *নিত্যপণ্যের বাজারও চড়া
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাজারে হঠাৎ বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। অক্টোবরে খুচরা পর্যায়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে চলতি মাসের শুরুতেই প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে আমদানি না থাকা ও দেশি পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। তবে শুধু পেঁয়াজই নয়; নিত্যপণ্যের বাজারেও বইছে উত্তাপ। রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসায় কিছুটা দাম কমলেও তা নাগালে আসছে না মধ্য ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজের দাম দিনের ব্যবধানে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আগের দিন গত বৃহস্পতিবার ৯০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ গতকাল শুক্রবার ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর কাপ্তান বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও ডেমরার সারুলিয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। মুদি দোকানগুলোতে ১০৫ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ। তবে এসব বাজারে ভ্যান-গাড়িতে ১০০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে।
কী বলছেন ব্যবসায়ীরা: এ বছর পেঁয়াজের আমদানি খুব বেশি হয়নি। দেশি পেঁয়াজের ওপর বাজার নির্ভর ছিল। অক্টোবর পর্যন্ত বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ থাকলেও এখন তা কমে গেছে। ফলে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে বাজারে আগাম পেঁয়াজ আসা শুরু হতে পারে। তখন দাম কমবে। নভেম্বরে দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকতে পারে।
কাপ্তান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘বাজারে পেঁয়াজের একটা কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। ভারতের পেঁয়াজ আমদানিও বন্ধ রয়েছে। দেশি পেঁয়াজ চাহিদা অনুযায়ী পাইকারি বাজারে না পাওয়ায় প্রতিদিন দাম বাড়ছে। তিন-চারদিন আগেও ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা দরে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। গত বৃহস্পতিবারও ৯০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ (শুক্রবার) সেটি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।’
এদিকে পাইকারি বাজারে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে, যা গত শুক্র-শনিবারও বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৮৫ টাকায়।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আড়তদার মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে আড়তে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি প্রায় ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। মূলত দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ সংকটের কারণে দাম বাড়ছে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মাজেদ বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সংকট চলছে। দেশে এখন আর পেঁয়াজের তেমন মজুত নেই। যার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। ভারতে এখন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে। তাই দেশে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দ্রুত আমদানির বিকল্প নেই।’
অন্যদিকে, পেঁয়াজ চাষিরা বলছেন, এ বছর বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজ রোপণ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। এর ফলে রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতেও কিছুটা দেরি হচ্ছে। অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকেই রবি মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। এ বছর অনেক জেলায় এখনো পেঁয়াজ জমি থেকে উত্তোলন সম্ভব হয়নি।
নিত্যপণ্যের বাজারেও উত্তাপ: রাজধানীর বাজারগুলোতে শীতের সবজি আসায় কিছুটা দাম কমলেও তা ক্রেতাদের নাগালে আসছে না। বিভিন্ন বাজার ঘুরে প্রায় প্রতিটি সবজি ৮০ টাকার ওপরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন, সবজির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা বলছেন, এখনো সবজির দাম বেশি।
গতকাল বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় টমেটো ১২০ টাকা, দেশি টমেটো ১২০-১৪০ টাকা, দেশি গাজর ৮০ টাকা, চায়না গাজর ১৫০-১৬০ টাকা, লম্বা বেগুন ৮০ টাকা, সাদা গোল বেগুন ৮০-১০০ টাকা, কালো গোল বেগুন ১২০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা, দেশি শসা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৮০-১০০ টাকা, পটোল (হাইব্রিড) ৮০ টাকা, দেশি পটোল ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, ঝিঙা ৮০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০-১০০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০-৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০-১৬০ টাকা, ধনেপাতা (মানভেদে) ২০০-৩০০ টাকা, শসা (হাইব্রিড) ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর মানভেদে প্রতিটি লাউ ৬০-১২০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা। এছাড়া প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা করে।
সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমের দিকেই আছে এখন। শীত প্রায় চলে আসছে; এখন দাম আরও কমে যাবে হয়তো।’
বাজার করতে আসা সাইফুল হক বলেন, ‘দোকানদাররা বলছেন দাম নাকি কমেছে। কিন্তু এখনো তো সবজির দাম বেশি। ছোট একটা ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর অন্য সবজিগুলোর দামও বেশিরভাগ ৮০ টাকার ওপরে। শুধু পেঁপে আর মিষ্টি কুমড়ার দামই কম। তো সব কিছু যদি এত দামে বিক্রি হয় সেগুলো কি কম দাম বলা যায়? আমাদের মতো সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে?’
মুরগির মাংসের বাজারও চড়া: বিক্রেতাদের ভাষ্যমতে, শীত আসছে বা শীতকালে মুরগির দাম কম থাকে। তবে এখন দাম কিছুটা বাড়তি। তবে কক মুরগির দাম কমেছে।
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১,২০০ টাকা কেজি দরে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা, কক মুরগি ২৬৩-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯৩-৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি ডজন মুরগির লাল ডিম ১২০ টাকা এবং সাদা ডিম ১১০-১১৫ টাকা, হাঁসের ডিম ১৮০-১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেখা যায়, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দাম প্রায় একই রকম রয়েছে। কক মুরগির দাম কমেছে ১০ টাকার মতো। এছাড়া সব ধরনের ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১০ টাকা করে কমেছে। আর অন্য মাংসের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত।


মুন্সীগঞ্জ চিকেন হাউসের বিক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহের থেকে কক মুরগির দাম কমেছে। লেয়ার আর ব্রয়লার মুরগির দাম প্রায় একই রকম আছে, কমেনি। শীতে সাধারণত দাম কমে, এবার কী হবে এখনো বলা যাচ্ছে না।’
এছাড়া বাজারে আকার ও ওজন অনুযায়ী ইলিশ ৯০০-২,৯০০ টাকা, রুই মাছ ৪০০-৬৫০ টাকা, কাতল মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, কালিবাউশ ৪০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৮০০-১৪০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা, কৈ মাছ ২৫০-১২০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০-১,২০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০-১০০০ টাকা, বেলে মাছ ১,০০০-১,২০০ টাকা, মেনি মাছ ৭০০-৮০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০-৯০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ১,২০০-১,৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।


শ্যামনগরে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ দুই জলদস্যু আটক

আপডেটেড ৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:৫২
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে স্থানীয়দের সহায়তায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ সুন্দরবনের দুই জলদস্যুকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ২নং খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন,খুলনার কয়রা উপজেলার ইমানপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম গাজীর ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩৩) এবং দাকোপ উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর ছেলে আযহারুল ওরফে খানজাহান (৩৬)। তাদের কাছ থেকে একটি ট্রিগার, পাইপ, ছোট-বড় ২২টি স্প্রিং, বন্দুকের কার্তুজসহ দেশীয় অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও সোনাডাঙ্গাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বিল্লাল পূর্বে সুন্দরবনের কুখ্যাত ‘দাদাভাই বাহিনী’র সক্রিয় সদস্য ছিল। দশ মাস আগে কোস্টগার্ডের অভিযানে অস্ত্রসহ আটক হয়ে কারাগারে যায় এবং সম্প্রতি জামিনে বের হয়ে পুনরায় দস্যু কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে।

শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, শুক্রবার রাতে কয়রা থানার কাশির খেয়াঘাট দিয়ে কপোতাক্ষ নদ পেরিয়ে শ্যামনগরের গাবুরা খেয়াঘাটে পৌঁছালে সন্দেহভাজন হিসেবে স্থানীয়দের সহায়তায় দু’জনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার আদালতে পাঠানো হবে।

বনজীবীদের দাবি, গত এক বছরে সুন্দরবনে আলিম, দুলাভাইসহ অন্তত তিনটি দস্যুবাহিনী ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আটক বিল্লাল ও আযহারুল পুরানো ‘দাদাভাই বাহিনী’ নাম ব্যবহার করে নতুন করে দস্যুতা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

তবে আটক আযহারুলের দাবি, বিল্লাল তাকে কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে এনেছিল। অন্যদিকে বিল্লাল জানায়, সে কাজের খোঁজে যশোরে যাচ্ছিল। তবে তাদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও ২০ প্যাকেট সিগারেট কেন ছিল,সে বিষয়ে কেউই স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারেনি।


টঙ্গীতে তুলার গুদামে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি তুলার গুদামে আগুন লেগেছে। টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জেলার টঙ্গী স্টেশন রোডের মিলগেটে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুপুর ১টা ১৫ মিনিটের দিকেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গীর স্টেশন রোডের মিলগেট এলাকায় একটি তুলার গুদামে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় কালো ধোঁয়া দেখে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে আগুন নেভাতে। ততক্ষণে আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করেন। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীর এখনো কাজ করছে।


banner close