কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে এবার পাওয়া গেছে ২৯ বস্তা টাকা। ৩ মাস ১৩ দিনে মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ ছাড়াও পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপা।
শনিবার সারা দিন গণনা শেষে এই পরিমাণ টাকা পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা বাক্স কমিটির আহ্বায়ক মিজাবে রহমত।
এর আগে চলতি বছরের ১৭ আগষ্ট মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২৮ বস্তা টাকা। তখন দিনভর টাকা গণনা শেষে পাওয়া গেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ছাড়াও প্রচুর পরিমাণ হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলও দান করেন অনেকে।
জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ৭ টায় দানবাক্সগুলো খোলা হয়। পরে দানবাক্সের টাকা বস্তায় ভরা হয়। সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বস্তা থেকে টাকাগুলো মসজিদের দ্বিতীয় তলায় মেঝেতে ঢেলে শুরু হয় গণনা। গণনা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূইয়া বলেন, টাকা গণনায় অংশ নেয় পাগলা মসজিদ মাদ্রাসার ১৩০ জন ও আল-জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ১৫৫ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৬ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ৭৫ জন কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর ১০ জন সদস্য, ১০ জন আনসার সদস্য, ২০ জন পুলিশ, ৫ জন র্যাব ও জেলা প্রশাসন থেকে ২০ জন কাজ করছেন। এবার দানবাক্স খোলার সময় পার হয়ে যাওয়ার অতিরিক্ত একটি টিনের ট্রাঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মসজিদটিতে আগে ৯ টি দানবাক্স থাকলেও এখন দুটি বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান বলেন, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অসহায় এবং জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, দানবাক্স খোলা থেকে শুরু করে বস্তায় ভরা এবং গণনা শেষে ব্যাংক পর্যন্ত সব টাকা নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তার কাজে তিনিসহ তাঁর পুলিশ সদস্যরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করেন।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রকল্প করা হবে। এতে মসজিদ, মাদ্রাসাসহ অর্ধলাখ মুসল্লি যাতে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন, এ রকম আকর্ষণীয় একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে একসঙ্গে পাঁচ হাজার নারীর আলাদাভাবে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান জানান, প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করছেন এই মসজিদে। মনের আশা পূরণের জন্য তারা এই দান করেন।
দানবাক্স খোলার পর থেকেই গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় জমান উৎসুক মানুষ। বাজিতপুর উপজেলার বাসিন্দা বোরহান বলেন, ‘মানুষের মুখে আর বিভিন্ন টেলিভিশন ও পত্রিকায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়া টাকার কথা শুনি। গতবারও দেখতে এসেছিলাম। এবার আবারও নিজ চোখে দেখতে এসেছি। সত্যিই এত পরিমাণ টাকা একসঙ্গে কখনও দেখিনি।’
কিশোরগঞ্জের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমির ওপর অবস্থিত ঐতিহাসিক এই পাগলা মসজিদ।
দেশে গত সাড়ে ৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।
শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়েও পড়েন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের সময় কিছু করণীয় আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। দেখে নেওয়া যাক পরামর্শগুলো কি কি।
কী করবেন, কী করবেন না
ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন।
রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন।
গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন।
ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে।
একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন।
ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন।
কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন।
গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন।
নতুন পে স্কেলের দাবিতে আগামী ডিসেম্বর মাসে মহাসমাবেশ করবেন কর্মচারীরা। কমিশনকে দেওয়া আলটিমেটামের আগেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্মচারী নেতারা।
নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে কর্মসূচি ঠিক করতে গতকাল শনিবার বৈঠকে বসে কর্মচারীদের কয়েক ডজন সংগঠন। সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের নেতৃত্বে এই বৈঠক থেকে আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঠিক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক কর্মচারী নেতা।
এদিকে কমিশন গঠনের পর অর্থ উপদেষ্টা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এই সরকারই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করবে। কিন্তু সম্প্রতি উপদেষ্টা জানিয়েছেন, নির্বাচিত সরকার নতুন কমিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। বিষয়টি নিয়ে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়লে একজোট হয় বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন। সময় বেঁধে দিয়ে তারা বলেন, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশন সুপারিশ জমা না দিলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।
পে কমিশন সূত্রে খবর, সুপারিশ প্রণয়নের কাজ এখনো অনেক বাকি। এই মুহূর্তে কমিশন সুপারিশের একটি খসড়া তৈরির কাজ করছে। ইতোমধ্যে সুপারিশ তৈরির ৫০ শতাংশের মতো কাজ শেষ করেছে কমিশন। এই সপ্তাহে সচিবদের মতামত গ্রহণের পর কমিশন রিপোর্ট চূড়ান্তকরণের দিকে এগোবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে সভাপতি করে ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন-২০২৫ গঠন করে সরকার। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ ছিল, কমিশনের প্রথম সভার তারিখ থেকে ছয় মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দিতে হবে।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে রবি মৌসুমের ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে । রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কক্ষে প্রান্তিক কৃষকদের উপস্থিতিতে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন উপজেলায় অনেক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক রয়েছেন যারা বীজ ও সারের অভাবে রবি মৌসুমে বোরোসহ অন্যান্য ফসলের চাষ করার সুযোগ পান না। সরকার এসব কৃষকদের রবি মৌসুমের চাষে উদ্বোদ্ধ ও উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি কৃষকরা সরকারের দেয়া এ প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণ করে নিজেদের স্বাবলম্বী করার পাশাপাশি উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নিবাস চন্দ্র পাল, বন বিভাগের কুলাউড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, উপ- সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার রঞ্জিত কুমার চন্দ প্রমুখ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রবি মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বোরো ধান (উফশী ও হাইব্রিড), গম সরিষা, সূর্যমুখী (উফশী ও হাইব্রিড), চিনা বাদাম, অড়হড় ফসল আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলার ২০৮৫ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হবে। তিনি আরো জানান এ কর্মসূচির আওতায় সরকারের সুবিধা প্রাপ্ত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা উৎপাদনের ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পিরোজপুরে ডাকাতির সময় গণপিটুনিতে এক ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে আটককৃত সবুজ হাওলাদারের (৫৫) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতরাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে সদর উপজেলার ৩ নম্বর দুর্গাপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দুর্গাপুর গ্রামের অনুকূল রায়ের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রধারী ৬ থেকে ৭ জনের এক ডাকাত দল প্রবেশ করে। ডাকাতরা ঘরের বাইরে অবস্থানরত লোকজনকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দরজা খুলে দিতে বাধ্য করে। পরে গৃহকর্তা বাধ্য হয়ে দরজা খুলে দেন। ঘরে ঢুকেই তারা অনুকূল রায়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং তার কন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিঙ্কু রায়কে মাথায় আঘাত করে আহত করে। ডাকাত দল ঘর থেকে আনুমানিক ৫ ভরি সোনা, ৮ ভরি রুপা, একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও নগদ ১৩ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডাকচিৎকারে আশপাশের গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ডাকাত দলের দুই সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। বাকিরা পালিয়ে যায়। এসময় উত্তেজিত জনতা আটক ডাকাতদের গণপিটুনি দিলে তারা গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দু’জনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন ডাকাতকে মৃত ঘোষণা করেন এবং অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোল্লা রমিজ জাহান জুম্মা বলেন, রাত আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে পিরোজপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক রাধা রমনের নেতৃত্বে থাকা পুলিশের একটি টহল টিম পশ্চিম দূর্গাপুর গ্রাম থেকে আহত অবস্থায় দুইজনকে উদ্ধার করে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকিরা পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি, সবজিখ্যাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় এ সবজির চাষ করছেন কৃষকেরা। প্রাকিতিক ভাবে মাটি উর্বর হওয়ায় বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে সফলতা পেয়েছেন এ উপজেলার চাষিরা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ সব কপি চলে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। বর্তমানে প্রতি বিঘা জমিতে কপি বিক্রি করে লাভ হচ্ছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি বিঘা কপি চাষ করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর প্রতি বিঘা জমির কপি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকায়। কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে বাঁধাকপি ও ফুলকপির চাহিদা বেশি হওয়ায় বাজারে দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি। তাই লাভও বেশি।
উপজেলার গরুড়া গ্রামের বাসিন্দা মহি উদ্দিন বলেন, শীতে আগাম জাতের ৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করেছেন তিনি। এর মধ্যে ২ বিঘা জমির কপি বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার। আরোও ৫ বিঘা কপি বিক্রির উপযোগী হয়নি। এ কৃষক বলেন, ‘প্রতি বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে লাভ হবে ৫০ হাজার টাকা।’
আমিরুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘৭ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি এবং ফুলকপি চাষ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি করেছি সাড়ে ৩ বিঘা ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায়। এখনোও সাড়ে ৩ বিঘা কপি আছে, বাজার দর ভালো,ভালো দামের আশা করেন তিনি।’ একই এলাকার কৃষক সামিরুল ইসলাম বলেন, আগে তামাক চাষ করতাম, কপি অনেক লাভজনক আবাদ ‘২ বিঘা কপি লাগিয়েছি। ১ বিঘা বিক্রি করেছিলাম ৮০ হাজার টাকায়। আড়ায় থেকে ৩ মাসের আবাদ শীতের মৌসুমে ভালো হয়।’
এদিকে উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের ওবাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ৩ বিঘা ফুলকপি লাগিয়েছি, তাতে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজারে বিক্রি করলে বিঘা প্রতি ৩৫ হাজার টাকা লাভ হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভীন বলেন, ‘এবছর দৌলতপুরে শীতকালীন কপির চাষের লক্ষ মাত্রা ৩৪২ হেক্টর জমিতে তা পুরন হয়েছে ২৬০ হেক্টর জমি। চাষিদের শীতকালীন কপি চাষে উদ্বুদ্ধকরন, পরামর্শ সহ সব ধরনের সহযোগীতার কথা জানান কৃষি বিভাগ।
প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে দৌলতপুরে সবজি চাষ তাতে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পঞ্চগড় সীমান্তে শূন্যরেখা অতিক্রমের বুলু (৩৫) নামে এক গরু চোরাকারবারীকে আটক করেছে ৫৬ বিজিবি। শনিবার রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার আবালুপাড়া এলাকায় ভেতর গড় বিওপির একটি আভিযানিক দল এ অভিযান পরিচালনা করে। আটককৃত বুলু পঞ্চগড়ের পকলাভিটা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
৫৬ বিজিবি জানায়, পঞ্চগড়ের ভিতরগড় এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে গরু চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করে। তারই অংশ হিসেবে ৮ জন চোরাকারবারী অজ্ঞাত স্থান দিয়ে ভারতে গিয়ে বিএসএফের তাড়া খেয়ে ফেরার পথে সীমান্ত পিলার ৭৪৪/৮-আর এলাকা দিয়ে শূন্যরেখা অতিক্রম করে। এ সময় বিজিবির অভিযানে একজনকে আটক করা সম্ভব হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তির ভাষ্য মতে, সে ও তার সঙ্গে থাকা পঞ্চগড় সদরের আবালুপাড়ার জসিম (৪০), মইদল (৩৫), সংগ্রাম (২৯), সাদেক (৩২), আবু খায়ের (২৮), আশরাফুল এবং সোখদেবপাড়ার বাপ্পি (১৫) গরু চোরাচালানের উদ্দেশে ভারতে প্রবেশ করেছিল।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পঞ্চগড় সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ধৃত ব্যক্তিকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে থানায় হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
‘বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি-স্ক্যান) রাইজিং উইথ রাইটস ভোটার এডুকেশন ফর পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ (ভিইপিডি)’ প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুরে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের নিয়ে দিনব্যাপী ভোটার শিক্ষা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংগঠন (ওপিডি) গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা (ভিডিও) এর সহযোগিতায় ফরিদপুরের এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর সহযোগিতায় এই ক্যাসকেড প্রশিক্ষণটি অনুষ্ঠিত হয়।
২০২৫ সালের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং তাদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করা।
প্রকল্পটি ঢাকা, ফরিদপুর ও দিনাজপুর জেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৬০০০ প্রতিবন্ধী মানুষকে বিভিন্নভাবে এই ভোটার হিসেবে করণীয় সম্পর্কে নানাভাবে সচেতন করা হবে।
ওই প্রশিক্ষণে বি-স্ক্যানর নির্বাহী পরিচালক সালমা মাহবুব, পরিচালক ইফতেখার মাহমুদ, গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা থেকে নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব কুমার মালো, আইএফইএস এর মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন অফিসার নাসিরুল ইসলাম, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার শাওনি ইমাম উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের ভোট প্রদান প্রক্রিয়া, নির্বাচনী ব্যবস্থায় প্রবেশগম্যতা, নেতৃত্ব ও জনওকালতির বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই প্রশিক্ষণে মোট ২০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেছেন।
প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বি-স্ক্যান ও আইএফইএস বিশ্বাস করে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা তাদের সংবিধান প্রদত্ত ভোটাধিকার স্বাধীনভাবে, আত্মবিশ্বাস এবং মর্যাদার সঙ্গে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবেন।
নাচে-গানে আদিবাসী খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী ১২৬তম বর্ষ বিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে। খাসিয়া সম্প্রদায়ের পাশাপাশি এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বাঙালি ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকরা অংশগ্রহণ করেন। বর্ষপুঞ্জি অনুযায়ী ১২৬তম বর্ষকে বিদায় ও ১২৭তম বর্ষকে বরণ করে নিলেন খাসিয়া জনগোষ্ঠী।
ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ২৩ নভেম্বর খাসি বর্ষ বিদায় ‘খাসি সেঙ কুটস্যাম’ পালন করা হয়। তবে বিভিন্ন সমস্যার কারণে শনিবার দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান খাসিয়া ভাষায় ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ (Khasi Seng Kutsnem) অনুষ্ঠিত হয়।
খাসিয়া সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে সিলেট অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত খাসিয়া পুঞ্জির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল পুঞ্জি প্রধানকে পাগড়ি পড়িয়ে সম্মাননা জানানো হয় এবং আমনত্রীত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
জানা যায়, সেং কুটস্নেম বা বর্ষ বিদায় খাসিয়াদের একটি সার্বজনীন উৎসব। প্রাচীন খাসিয়া সমাজে দেবতার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশের মধ্য দিয়েই এ উৎসব পালিত হতো। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া পুঞ্জির খেলার মাঠে নানা সমাহারে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
মাগুরছড়া ফুটবল মাঠের একপ্রান্তে বাঁশের খুঁটির ওপর প্রাকৃতিক পরিবেশে নারিকেল গাছের পাতার দিয়ে ছাউনী দিয়ে আলোচনা সভার মঞ্চ তৈরি করা হয়। এ মঞ্চে বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ফোরামের কো-চেয়ারম্যান ও মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি প্রধান জিডিসন প্রধান সুচিয়াংয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাখন চন্দ্র সূত্রধর, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মৌলভীবাজার-৪ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী হাজী মুজিব, এনসিপি (যুগ্ম সদস্য সচিব) শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ আসনের প্রার্থী প্রীতম দাশ প্রমুখ।
নরসিংদীতে বিচার বিভাগ কর্তৃক ‘Civil Rulers and Orders ও Criminal Rules and Orders (Pratice and Procedure of Subordiants Courts)-2009’ এর 480 অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে জেলা জজ আদালত ভবনে এ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র বিচারক শেখ হুমায়ূন কবীর।
এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালের বিচারক মুহাম্মাদ আলী আহসান, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ লুৎফর মজিদ নয়ন, পুলিশ সুপার মো. মেনহাজুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া, সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ আমিরুল হক শামীম, জেল সুপার মো. তারেক কামাল, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আ.মান্নান ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধিসহ স্থানীয় বিচার বিভাগের উধ্র্বতন কর্মকর্তার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আগত অতিথিরা দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিচার নিষ্পত্তি ও বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি করণ, পারিবারিক মামলায় লেভি ওয়ারেন্ট, সাজা পরোয়ানা তামিল, ফৌজদারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন, গ্রেপ্তারি ও ক্রোক পরোয়ানা তামিল, ফৌজদারি মামলায় সাক্ষী হাজিরা নিশ্চিত করণ, জারি মোকদ্দমার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, জব্দকৃত আলামত সংরক্ষণ ও নিষ্পত্তিকরণ, ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ও জখমি সনদপত্র, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়ানি ও ফৌজদারির পুরাতন মামলাসমূহ নিষ্পত্তির উপায় উদঘাটনসহ আদালতে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সমূহ নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
ঢাকাসহ সারাদেশে গত শুক্রবার ৫.৭ মাত্রার হয়ে যাওয়া ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের খুব কাছেই মাধদীতে। এ কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে রূপগঞ্জ। গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ভূমিকম্প হয় যার উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের তারাব। রিখটার স্কেলে এটি ছিল ৪ মাত্রার। একই বছরের ১৭ এপ্রিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল রূপগঞ্জের ডহরগাঁও। সেই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩ মাত্রা।
রূপগঞ্জে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে ৮৫ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে এবং প্রাণহানি লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা। ১৭৬.০৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট রূপগঞ্জের ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌর সভায় মোট ৭ লাখ ৪ হাজার ৭২ জন লোকের বসবাস। গত চার বছরে দেশের ভেতরে ৩৭টি ভূকম্পন ঘটলেও বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প বাস্তব ঝুঁকি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।
শুক্রবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। নজিরবিহীন এই ঝাঁকুনিতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক ভবন ফেটে গেছে। একজন শিশু নিহত হয়েছে। তার মা ও প্রতিবেশি আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছে। গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা হুরুহুরি করে নামতে গিয়ে আহত অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চারদিকে অবস্থানরত সক্রিয় টেকটনিক প্লেটগুলো অস্বাভাবিক গতিশীল অনুমোদনহীন ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা বেড়েছে কয়েক হাজার।
সরকারী মুড়াপাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর নুরুজ্জামান বলেন, ‘অনেক ভবন পুরানো হয়ে গেছে। তারাব চনপাড়া ঘনবসতিপূর্ন এলাকা। এগুলোর প্রায় ৮৫ শতাংশই ঝুঁকিপূর্ণ। নতুন অনেক ভবনও ভূমিকম্প প্রতিরোধী নকশা ছাড়া নির্মাণ করা হচ্ছে। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে এক থেকে দেড় লাখ মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার এবং সাগরের নিকটে হওয়ায় নির্মাণসামগ্রীর কিউরিং প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ভবনগুলো আরও দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, ‘যেসব ভবন রেট্রোফিটিং করে ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব, সেগুলো করতে হবে। আর যেগুলো টেকনিক্যালি ঝুঁকিমুক্ত করা সম্ভব নয়, সেগুলো ভেঙে ফেলতে হবে। উদ্ধারকারী বাহিনীর গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে সংকীর্ণ সড়কগুলো প্রশস্ত করতে হবে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর উচিত নিয়মিত মানুষকে সতর্ক করা।’
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প যে কোনো সময় ঘটতে পারে এবং যথাযথ প্রস্তুতি না থাকলে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ।
পৌরসভার নগর পরিকল্পনাবিদ নিগার সুলতানা বলেন, আমাদের ক্ষমতা সীমিত। ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার নেই। অবৈধ ভবন কত আছে এমন পরিসংখ্যান নেই। তবে অবৈধ ভবন চোখে পড়লে নোটিশ করি। ব্যবস্থা নেই। আমাদের লোকবল কম। রূপগঞ্জ বড় ভূমিকম্প হলে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটতে পারে।
উপজেলা দুর্যোগ ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আইমিন সুলতানা বলেন, আসলে উপজেলা পর্যায়ে কোন প্রশিক্ষণ নেই। তবে দুর্যোগ প্রশমন দিবসে ভূমিকম্পসংক্রান্ত মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লিটন সরকার বলেন, নকশা ও অনুমোদনবিহীন ভবন তৈরির সাথে নির্দিষ্ট মাপের জায়গা না রেখেই অনেকে ভবন নির্মাণ করেছেন। ইমারত নির্মাণ আইন লঙ্ঘনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে নির্মাণাধীন ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই অভিযান চলমান থাকবে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গণহত্যা দিবস নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার ভোরবেলা তেরশ্রী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা, জেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা শহীদদের স্মরণে দিনটি পালন করেন। পরে শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাশিতা তুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘিওর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তানভীর ইসলাম, ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কোহিনূর মিয়া, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাহিনুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর মানিকুজ্জান মানিক, সাধারন৷ সম্পাদক কাজী ওয়াজেদ আলী মিস্টার, পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. শাররফ হোসেন মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ।
গতকাল ২২ নভেম্বর ছিল মানিকগঞ্জের ঘিওরের তেরশ্রী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তেরশ্রীর তৎকালীন জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায় প্রসাদ চৌধুরী, তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমানসহ ৪৩ জন স্বাধীনতাকামী মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ওই সময় পুরো গ্রামের ঘরবাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয় পাক সেনারা। সেই ভয়াল দিনের কথা মনে পড়লে আজও আঁতকে ওঠেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ঘিওরের পয়লা ইউনিয়নের তেরশ্রী গ্রামের মানুষগুলো ছিল সাংস্কৃতিক মনা। বাম রাজনীতির কেন্দ্র বিন্দু ছিল তেরশ্রী গ্রাম। মুক্তিযোদ্ধাদের আনাগোনা ছিল জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর দোসররা টার্গেট করে এই গ্রামটিকে। গোপনে শিক্ষানুরাগী, মুক্তিযোদ্ধা, ভাষাসৈনিক, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবিদের তালিকা করে দালালেরা। নীল নকশা করে এই গ্রামটিকে ধ্বংস করার। ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর ভোর কেটে সূর্য ওঠার মুহূর্তেই পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকার ঘিরে ফেলে তেরশ্রী গ্রামের সেন পাড়ার কালি মন্দিরটি। ২১ নভেম্বর গভীর রাতে এদেশীয় দালালদের নিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী গোপনে একটি মিটিং করে তেরশ্রী গ্রামে সেনপাড়া কালিবাড়ী মাঠ প্রাঙ্গনে। তারা পরিকল্পনা করে ২২ নভেম্বর হত্যাযঞ্জের। ঘিওর থেকে সিধুঁনগর গ্রামের মধ্য দিয়ে শতাধিক পাকিস্তানি সেনা এদেশীয় ঘাতকদের সহযোগিতায় ভারি অস্ত্র নিয়ে তেরশ্রী গ্রামে পৌঁছে। কনকনে শীতের সকালে অনেকেই তখন ঘুম থেকে উঠেনি। ঠিক সেই মূহুর্তে পাকিস্তানি সেনারা অতর্কিত হামলা চালায় গ্রামটিতে। ঘরে ঘরে দেয় আগুন। ঘর থেকে বের হবার সুযোগ দেয়নি গ্রামবাসিকে। বৃষ্টিরমত গুলি ছুড়তে থাকে নিরীহ গ্রামবাসীর উপর। তাদের চিৎকারে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। অপারেশনের সময় এদেশীয় দালালরা মুখোশ পরে নেয় যাতে তাদের কেউ চিনতে না পারে। ৬ ঘন্টার অপারেশনে ঘাতকরা একের পর এক বেওনেট চার্জ করে এবং গুলি করে ৪৩ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে। বেলা ১২টার মধ্যে হত্যাযজ্ঞ শেষ করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা চলে যায় ঘিওর সদরে। এই সময় পুরো এলাকা রক্তে ভেসে য়ায। লাশগুলো কোন রকম দাফন করা হয়। স্বাধীনতার ৫৪টি বছর অতিবাহিত হবার পরেও সেন পাড়া গ্রামের মানুষগুলো এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
২০১১ সালের ২২ নভেম্বর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এর অধীনে শহীদদের স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার্থে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মিত হয়েছে ২৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধকালীন এম,সি,এ ও কমান্ডার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোসলেম উদ্দিন খান হাবু মিয়া, মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম আনোয়ারুল হক। ২০১২ সালের ১৩ নভেম্বর শুভ উদ্বোধন করেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম। সেই সাথে উন্মোচিত হয়েছে তেরশ্রীবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান বলেন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি আন্দোলনে তেরশ্রী গ্রামের কৃতিত্ব রয়েছে। তেরশ্রীতে ৪৩ জন শহীদদের স্মরনে দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য লোকজন স্মৃতিস্তম্ভ দেখার জন্য আসে। প্রতিদিন যাত্রা পথে বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলারসহ গ্রামীন জনপদের মানুষ ঐতিহ্যবাহী তেরশ্রীতে এমন একটি নান্দনিক স্থাপনা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে।
পয়লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেন মানিক বলেন, ২২ নভেম্বর ভোর রাতে পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে এদেশীয় রাজাকার আলবদররা মিলে তেরশ্রী গ্রামসহ আশপাশের চারটি গ্রাম জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়। হত্যা করা হয় নিরীহ ৪৩ জন মানুষকে। তেরশ্রী কালি নারায়ণ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার পাশে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ করা হয়।
সিরাজগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আয়োজনে মাসিক পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১০ টায় সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠিত কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন, সিরাজগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. আব্দুল মতিন।
কনফারেন্সে বক্তারা বলেন- পুলিশসহ অংশীদারী সব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটগণের সেতুবন্ধন সৃষ্টি করে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্স। অংশগ্রহণকারী সংশ্লিষ্ট সকলে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে। বিচার বিভাগের সকল অংশীদারদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সহজ হবে।
উক্ত কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বুলবুল আহমেদ। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইখলাস উদ্দীন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ জনাব কে এম শাহরিয়ার শহীদ বাপ্পী। ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. রিয়াজুল ইসলাম। সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাবলিক প্রোসিকিউটর (পি.পি) রফিক সরকার, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মো. হুমায়ুন কবির। জেলার সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণসহ বিচার কাজে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধিগণ।
কনফারেন্সের সভাপতি চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিন ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে গতিশীল ও জনবান্ধব করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে পেশাদারিত্বের সাথে নিজ-নিজ দায়িত্ব পালন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে কনফারেন্সের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
শ্রেষ্ঠত্বের উল্লাস, গর্বের পথনেতৃত্ব জরুরী প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) নানা আয়োজনে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ২০২৫।
১৯৯৮ সালের এ দিনে ইনস্টিটিউট অব পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ ইন এগ্রিকালচার (ইপসা) থেকে দেশের ১৩তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে গাকৃবি। যার দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় গাকৃবি টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) র্যাঙ্কিং ২০২৫ এবং ২৬ এর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশসেরা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও রাখে গৌরবময় অবস্থান। আবার উরি র্যাঙ্কিং ২০২৫ এ জাতীয়ভাবে প্রথম হয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট এন্ড অ্যাপ্লিকেশন’ ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে গাকৃবির অবস্থান ৭৭তম। সাম্প্রতিক কিউএস র্যাঙ্কিয়েও দেশসেরা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের খেতাব অর্জন করেছে ২৮ বছরে পদার্পণকারী এ সেন্টার অব এক্সিলেন্স খ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়টি। টানা তিনবছর ধরে ইউজিসির এপিএ মূল্যায়নেও হয়েছে প্রথম। অন্যদিকে গাকৃবির বিজ্ঞানীগণ এ যাবৎ ৯৩টি ফসলের উন্নত জাত এবং ২০টির বেশি কার্যকরী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছেন অধিক সমৃদ্ধ। এতসব অর্জনের মহাসড়কে দাঁড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের দিনব্যাপী কর্মসূচির শুরু শনিবার ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেলুন উড়িয়ে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির কামনায় প্রতীকী বার্তা প্রেরণ করে দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। পরে সকাল ১০টায় প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন ৩৬ জুলাই চত্বর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মাঠ কর্মীদের সমবেত অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বের হয়। র্যালিটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ৩৬ জুলাই চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে দিবসের উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভা পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শরীফ রায়হান। এতে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. সফিউল ইসলাম আফ্রাদ এবং রেজিস্ট্রার মো. আবদুল্লাহ্ মৃধা।