শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২
সেই তন্ময় গ্রেপ্তার

থানা থেকে লুট করা অস্ত্র দিয়েই প্রেমিকাকে খুন

শিহাব আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত
শিহাব আহমেদ, মুন্সীগঞ্জ
প্রকাশিত : ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ২২:২৫

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের প্রকাশ্যে ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে প্রেমিকা সাহিদা ইসলাম রাফাকে হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময় (২৩)। সোমবার ভোরে ভোলার তারানগর ইউনিয়নের ইলিশঘাটে ঢাকা-মনপুরা রুটের লঞ্চ থেকে তন্ময়কে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পরে তার দেয়া তথ্যে ঢাকার কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে পানি থেকে হত্যকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার অভিযানে অংশ নেয়া ডিবির সূত্রটি ওই যুবককে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে জানায়, উদ্ধারকৃত বিদেশি পিস্তলটি ৫ আগস্ট রাজধানীর ওয়ারি থানা থেকে লুটকৃত। ইউটিউবে ভিডিও দেখে পিস্তল চালানো আয়ত্ত করে ওই যুবক। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত অস্ত্র দিয়ে ম্যাগজিনে থাকা ৬ রাউন্ড গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক।

তবে তন্ময় জানিয়েছে, তার ছোড়া একটি গুলি রাফার শরীরে লাগেনি।

ডিবির সূত্রটি জানায়, নিহত সাহিদা ইসলাম রাফার (২৪) একাধিক সম্পর্ক নিয়ে তৌহিদ শেখ তন্ময়ের (২৩) সাথে দ্বন্দ্ব ছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে (২৯ নভেম্বর, শুক্রবার) সাহিদাকে ফোন করে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হতে বলেন তৌহিদ। পরে লোকাল বাসে করে দুজনেই চলে আসেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটে। রাতভর সেখানে ঘোরাঘুরির পর গত শনিবার ভোরে খানবাড়ি সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায় আসেন তারা। সেখানে প্রেমিকা সাহিদা নিজেকে গর্ভবতী দাবি করে প্রেমিক তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। আশপাশের লোকজন তাদের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসতে থাকলে তৌহিদ ওই নারীকে নিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের সার্ভিস লেন ধরে পদ্মা সেতু উত্তর টোল প্লাজা থেকে ২০০ মিটার অদূরে দোগাছি ফুটওভার ব্রিজ পার করে। পথে কয়েক দফায় সাহিদাকে চড়থাপ্পড় মারে তৌহিদ। একপর্যায়ে আর রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সাথে থাকা থানা থেকে লুটকৃত পিস্তল দিয়ে প্রথমে এক রাউন্ড গুলি ছুড়লে সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরপরই আরও ৫ রাউন্ড গুলি ছুড়লে সেগুলো সাহিদার শরীরের বিভিন্ন অংশে বিদ্ধ হয়। মুহুর্তেই সড়কে উপুড় হয়ে পড়ে মৃত্যু হয় সাহিদার। রক্তাক্ত প্রেমিকার লাশ ফেলে পেছন দিকে দৌড়ে পালায় তৌহিদ। এরপর খানবাড়ি এলাকায় গিয়ে লোকাল বাসে চড়ে রওনা দেয় ঢাকার উদ্দেশ্য।

তিনি জানান, মাঝপথে পিস্তলটি ফেলে দেয় কেরাণীগঞ্জ বেইলি ব্রিজের নিচে। ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে যাওয়ার চেষ্টা করে তৌহিদ। একপর্যায়ে আঁটিবাজার এলাকায় নিজের বোনের বাড়িতে গিয়ে ওঠে সে। ওই বাড়িতে বোন জামাই, বোন ও তৌহিদের মা লঞ্চে করে মনপুরা দ্বীপে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয় তৌহিদকে। পরদিন রোববার সন্ধ্যায় ওই ৩ জন সদরঘাট গিয়ে পৌঁছে দেয় তাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা-ভোলা-মনপুরা রুটের লঞ্চে উঠে পড়ে তৌহিদ।

এদিকে সাহিদা হত্যার বিষয়টি সারা দেশে আলোড়ন তৈরি করলে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে ডিবি। তৌহিদকে প্রধান সন্দেহভাজন চিহ্নিত করে তার মোবাইল নাম্বারের সর্বশেষ লোকেশন নিশ্চিত হয় তারা। তখন দেখা যায়, তৌহিদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি শুক্রবার রাতে সবশেষ ঢাকার ওয়ারি এলাকায় চালু ছিল। এরপর থেকে সেটি বন্ধ আছে। তখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসে তাহলে ডিবির সন্দেহ কি ভুল! এরইমাঝে আরেকটি সূত্র খুঁজে পায় ডিবি। তৌহিদের মোবাইল কলের সূত্র ধরে উদঘাটন হয় পরিবারের সকল সদস্যের নম্বর।

রোববার ডিবির দলটি যখন ঢাকার আঁটিবাজারে তৌহিদের বোনের বাড়িতে অভিযানে যায় তখন তারা একসাথে তৌহিদের মা, বোন ও বোন জামাইয়ের মোবাইলের লোকেশন সদরঘাটে দেখতে পায়। এরপরে অভিযান কার্যক্রম আরও জোরদার করে ডিবি। চৌকস টিমটি ছুটে যায় সদরঘাটে। সিসিটিভি ক্যামেরায় তৌহিদের লঞ্চে উঠার দৃশ্য শনাক্ত করে তারা।

গ্রেপ্তারের পর ডিবির কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তন্ময় জানায়, গ্রেপ্তার এড়াতে কৌশলের অংশ হিসাবে মাওয়া আসার আগে ঢাকার ওয়ারিতে থাকতেই মোবাইলটি বন্ধ করে দেয় সে। যাতে হত্যার পর লুকালেও পুলিশ কোন ক্লু বের করতে না পারে।

এদিকে, সোমবার ভোরে মুন্সীগঞ্জ ডিবি পুলিশের ৫ সদস্যের ওই টিমটি অবস্থান নেয় ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে। টার্গেট করা লঞ্চে অনুসন্ধানে ডিবির হাতে ধরা পড়ে তৌহিদ।

এর আগে গত রোববার সকালে নিহত সাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা খাতুন শ্রীনগর থানায় প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওইদিন দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর রাতে ময়মনসিংহ সদরের বেগুনবাড়ি এলাকায় জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয় সাহিদার। আলোচিত এ ঘটনার পরপরই অভিযুক্তের খোঁজে মাঠে নামে ডিবি।

নিহত সাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সাথে থাকতেন ও নারিন্দা এলাকার বলধা গার্ডেন সংলগ্ন জনৈক কামাল মিয়ার বাড়িতে দেখাশোনার (ডে-কেয়ার) কাজ করতেন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের মৃত মো. মোতালেবের মেয়ে তিনি। তারা ২ ভাই ও ৩ বোন। তাছাড়া ৭-৮ বছর আগে সাহিদার একটি বিয়েও হয়েছিলো। পরে সেই সম্পর্ক টিকেনি। গ্রেপ্তারকৃত তৌহিদ শেখ তন্ময় রাজধানী ঢাকার ওয়ারী থানার মৃত শফিক শাহের পুত্র।

এদিকে তৌহিদকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহম্মদ শামসুল আলম সরকার বলেন, দায়েরকৃত মামলায় উদ্ধারকৃত আলামতসহ আসামিকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।


সারিয়াকান্দিতে পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আপন মামার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জোরপূর্বক জমিদখল, বাবাকে হত‍্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে আহতের বিচার ও নিজের এবং বাবার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা চেয়ে আপন মামার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী।

গত শুক্রবার সকালে সারিয়াকান্দি মডেল প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে আপন মামার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ী এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে শারমিন আক্তার জনি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮নভেম্বর আনুমানিক সকাল ১১ ঘটিকায় উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ী এলাকায় তার আপন মামা সামছুল মোল্লা, দুলা মিয়া, মুন বাবু, রশিদুল, নাহিদ ও লাইলীসহ বেশ কয়েকজন মিলে তার মা রহিমা বেগম, বাবা জয়নাল আবেদীনসহ তার চাচা-চাচিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালিজ করেন এবং বিভিন্ন হুমকি প্রদান করেন। এসবের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার মামার বাহিনী অতর্কিত হামলা চালায়। এক পর্যায়ে জনির আপন মামা সামছুল মোল্লা জনির বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কুড়াল দিয়ে আঘাত করেন এবং তার মা ও চাচা-চাচিকে রড দিয়ে বেধরক পিটায়। কুড়ালের আঘাতে জয়নাল আবেদীনের মাথায় গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং অনবরত রক্তক্ষরণ চলতে থাকে। এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সামছুল মোল্লাসহ তার বাহিনী পিছু হটে। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় আহতদের প্রথমে সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসাপত্র প্রদান করেন এবং জয়নাল আবেদীনের মাথায় রক্তক্ষরণ বন্ধে ৬টি সেলাই দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এখন তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এর আগেও গত অক্টোবর মাসে এ জমি দখলের উদ্দেশ্যে সামছুল মোল্লার মেয়ে জামাই নাহিদের নেতৃত্বে বগুড়া থেকে প্রায় শতাধিক সন্ত্রাস বাহিনী জয়নাল আবেদীনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দেয়। একই দিনে সন্ত্রাস বাহিনী ধারালো অস্ত্র দিয়ে জমিতে রোপনকৃত ১৫টি বনজ ও ফলজ বৃক্ষ কর্তন করে এবং এরকমই গাছের মতো তাদের দেহ থেকে মাথা আলাদা করার হুমকিও প্রদান করে। এটা সমাধান করার জন্যে মাত্র ৭দিন সময় বেঁধে দেয় সন্ত্রাসরা। সাত দিনের মধ্যে আমরা তাদের কথা মতো জমি না ছাড়ার পেক্ষিতে গত ৮নভেম্বর শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটায়।

সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে শারমিন আক্তার জনি তাদের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই পরিবারের কোনো ক্ষতি হলে সামছুল মোল্লাসহ তার বাহিনী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দায়ী থাকবে বলেও তিনি লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।


আটক আসামির বক্তব্য প্রচার: রাজশাহী পুলিশ কমিশনারকে আদালতে তলব

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রাজশাহী প্রতিনিধি

বিচারকের ছেলেকে হত্যা ও স্ত্রীকে আহত করার ঘটনায় পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে ১৯ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার সকালে মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মামুনুর রশীদ এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, মিডিয়ায় প্রচারিত বিভিন্ন সংবাদ থেকে আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের বাসায় অভিযুক্ত লিমন মিয়া কৌশলে প্রবেশ করে তার ছেলে তাওসিফ রহমানকে (১৭) ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এছাড়া তাঁর স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এর প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল থেকে লিমন মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখা যায়, লিমন মিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে বক্তব্য দেয় যা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বনাম রাষ্ট্র ৩৯ বিএলডি ৪৭০সহ বিভিন্ন মামলায় প্রদত্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভিকটিমকে দোষারোপ করে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য প্রদান করার সুযোগ দেওয়ায় কেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।


হ্যান্ডকাপসহ পালালো আ.লীগ নেতা, সাঁড়াশি অভিযানে পুলিশ

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় আক্রমণ করে ক্যান্ডকাপসহ পালিয়েছেন এক আ.লীগ নেতা। তাকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। রাতভর অভিযানের পরও তাকে ধরা যায়নি। পলাতক জসিম উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য।

এরআগে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুটিজুরী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণ পরই জসিম মেম্বার ও সহযোগীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এতে পুলিশের এসআই মহসিন রেজা সৌরভ আহত হলে জসিম মেম্বার পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ জসিম মেম্বারকে গ্রেপ্তার করার পরে সে চিৎকার করে উঠলে তার সহযোগীরা তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলাই আন্দোলনে অস্ত্রসহ হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একাধিক মামলার আসামি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন।

বাহুবল মডেল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, নাশকতার চেষ্টার অভিযোগে জসিম মেম্বারকে ধরতে গেলে সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। আর হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি।


ভোরের আলো ফোটার আগেই ফ্ল্যাটে মিললো স্ত্রীর লাশ, গুরুতর আহত স্বামী

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের কোনাবাড়িতে শনিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ফ্ল্যাটে মিলেছে স্ত্রীর লাশ। এ সময় গুরুতর আহত স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ভোরে বাইশমাইল এলাকার নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার স্থানীয় একতা টাওয়ারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রহিমা খাতুন ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার আমতৈল গ্রামের কসাই এমরান হোসেনের স্ত্রী । তিনি একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, ইমরান কসাই এর কাজ করেন। তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও মেয়ে শারমিনকে নিয়ে বাইমাইল এলাকায় একতা টাওয়ারের ৫ম তলার ফ্ল্যাটে ভাড়ায় বসবাস করতেন। শুক্রবার দিবাগত রাতে অজ্ঞাত পরিচয় দুর্বৃত্তরা ওই বাসায় প্রবেশ করে ইমরান ও তার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রহিমা খাতুনের মৃত্যু হয়। শনিবার ভোরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমরানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ও স্ত্রীর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), সিআইডিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, লাশ উদ্ধারের কিছুক্ষণ পর তল্লাশি চালালে স্বামী এমরান হোসেনের পালস পাওয়া যায়। তাই তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার স্ত্রী রহিমার লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের মেয়ে শারমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


লক্ষ্মীপুরে আগুনে পুড়লো ৬ দোকান

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালাল বাজারে বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডে ৬টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) গভীর রাতে বাজারের তেমুহনীতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানায়, আজাদের সিএনজি অটোরিকশার গ্যারেজে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন আশে পাশের দোকান গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই ৬টি দোকান পুড়ে গেছে।

লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুতের শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি।


জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে রাজধানীতে ৫ শতাধিক তরুণদের ধর্মঘট

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জলবায়ু ন্যায্যতার দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিশাল ‘গ্লোবাল ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ (বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ-এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ১৩ যুব সংগঠনের পাঁচ শতাধিক তরুণ জলবায়ু কর্মী এই সমাবেশে যোগ দিয়ে একটি সবুজ, ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ বিশ্বের দাবি জানিয়েছে।

সমাজের সর্বস্তরের তরুণ জলবায়ু কর্মীরা একত্রিত হয়ে বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে ন্যায়বিচার-কেন্দ্রিক পদক্ষেপের দাবি জোরদার করেছেন। তরুণরা বিভিন্ন রঙিন ফেস্টুন, ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডের মাধ্যমে তাদের কণ্ঠকে জোরালো করে তুলেছে। জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন বন্ধ করা; জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ স্থানান্তর করা এবং সবার জন্য সবুজ, সমতাপূর্ণ, ন্যায্য ও টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

তরুণ জলবায়ু কর্মীরা সম্মিলিতভাবে ন্যায্য রূপান্তরের এজেন্ডাটি পুনঃউল্লেখ করে দাবি জানিয়েছে, কপ-৩০ যেন একটি সিদ্ধান্তমূলক কপ হয়, যেখানে গ্লোবাল সাউথের জনগণের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়। তারা জোর দিয়ে বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু আলোচনা এবার ব্যর্থ হওয়া উচিত নয়। বিশ্বনেতাদের কাছে ফাঁকা প্রতিশ্রুতি থেকে বেরিয়ে এসে সুনির্দিষ্ট ন্যায়বিচার-কেন্দ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বৃহত্তর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।

এই ধর্মঘটে কেবল ঢাকা নয়, খুলনা, নেত্রকোনা, বান্দরবান, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, পটুয়াখালী, ভোলা, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, নোয়াখালী, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, কুড়িগ্রাম, টেকনাফ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ ২৪টিরও বেশি জেলা থেকে এবং গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম লোকাল ইয়ুথ হাবের হাজারেরও বেশি অ্যাক্টিভিস্ট ও তরুণরা ‘ফ্রাইডেস ফর ফিউচার’-এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে অংশ নেয়।

দেশজুড়ে এই প্রাণবন্ত ও শান্তিপূর্ণ জলবায়ু পদযাত্রায় তরুণরা জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ রূপান্তরের জন্য তাদের আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করতে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে স্লোগান দেয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: জাস্ট ট্রানজিশন নাউ, ফান্ড আওয়ার ফিউচার, ক্লাইমেট ফাইন্যান্স, স্টপফসিলফুয়েল, ক্লাইমেট জাসটিস নাউ, পে আপ ফর লস অ্যান্ড ড্যামেজ, ক্লাইমেট স্ট্রাইক, অ্যান্ড ফসিল ফুয়েল।


মোহাম্মদপুরে কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণে ককটেল উদ্ধার

অভিযানে বিপুলসংখ্যক ককটেল ও ককটেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ককটেল তৈরির গোপন কারখানার সন্ধান পাওয়ার পাশাপাশি ৩৫টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার জেনেভা ক্যাম্পে গোপন ককটেল তৈরির একটি কারখানায় অভিযান চালায় পুলিশ।

মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৩৫টি ককটেল ও ককটেল তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, কার্যক্রম নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ আগামী ১৭ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে ককটেল তৈরি করছিল। ককটেলগুলো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহের কথা ছিল।


স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের ঘর পেলেন ভ্যানচালক মমিন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে অসহায় ভ্যানচালক আবদুল মমিনের হাতে নতুন টিনসেড ঘর তুলে দিয়েছে স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশন। শুক্রবার সংগঠনটির ‘আশ্রয়ন প্রকল্প’-এর উদ্যোগে জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী সাতঘড়ীয়া গ্রামে ঘর পেয়ে খুশিতে আবেগাপ্লুত হন তিনি।

ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মোনাজাত করেন উপজেলা সম্মিলিত ওলামা পরিষদের সভাপতি ও চিওড়া আজগরিয়া ফাযিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ। স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মনির হোসেন খোকন, চিওড়া ইউনিয়ন ব্লাড ডোনেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হোসেন নয়ন, পাঁচরা জনকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা নুর মোহাম্মদ সুমন, উপদেষ্টা আবুল হাশেমসহ সংগঠনটির সদস্য ও গ্রামবাসী।

নতুন ঘর পেয়ে আবদুল মমিন বলেন, ‘ভ্যান চালিয়ে কোনোমতে সংসার চলত। টাকার অভাবে জরাজীর্ণ ঘরে থাকতে হতো। এই নতুন ঘর পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’

স্বপ্নপূরণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন জানান, আবদুল মমিনের আবেদন পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের পর প্রবাসী ও দেশের মানবিক ব্যক্তিদের সহায়তায় ঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় পরিবারকে আরও পাঁচটি নতুন ঘর প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রবাসীদের দেওয়া অনুদান যথাযথভাবে পৌঁছে দিতে আমাদের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।


কুমিল্লায় ৪০০ এতিম ও দুস্থ পরিবারে কাতার চ্যারিটির খাদ্য সহায়তা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কুমিল্লা দক্ষিণ প্রতিনিধি

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার খুরুইল বুটিয়াকান্দি দরবার শরীফে প্রতিষ্ঠিত সাখা অরফেনজ সেন্টারের উদ্যোগে ৪০০ এতিম ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে কাতার চ্যারিটি। শুক্রবার দুপুরে দরবার শরীফ প্রাঙ্গণে এ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দরবার শরীফের পীর ড. শাহ মো. এনামুল হক আল আজহারী। প্রধান অতিথি ছিলেন কাতার চ্যারিটির কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আহমেদ আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অরফেনজ ডিরেক্টর ড. আব্দুল কাদের।

বিতরণ কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন পীরজাদা মাওলানা এমদাদুল হক, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। সভাপতির বক্তব্যে ড. শাহ মো. এনামুল হক আল আজহারী বলেন, ‘এই কঠিন সময়ে এবং রমজান মাসকে সামনে রেখে এতিম ও দুস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাতার চ্যারিটির প্রতি কৃতজ্ঞ। এই সহায়তা ৪০০ পরিবারের জন্য বড় স্বস্তি।’

অতিথিরাও সমাজসেবামূলক এ উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশা প্রকাশ করেন।


আমতলীতে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন

ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৫ জন আটক
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার আমতলীতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে স্বর্ণা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মালিক পক্ষ। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পৌর শহরের ফেরিঘাট সড়কের গাজীবাড়ির সামনে পার্কিং অবস্থায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর বন্দরের শহীদ দেওয়ান দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পরিবহন ব্যবসা করছেন। তার মেয়ে স্বর্ণার নামে তৈরি বাসটি বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কে চলাচল করত। ঘটনার রাতে ফেরিঘাট সড়কে ৮টি বাস পার্কিং ছিল। সামনের অবস্থানে থাকা স্বর্ণা পরিবহনের বাসটিতে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে মুহূর্তেই পুরো গাড়িটি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও ততক্ষণে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতাউর রহমান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ খান, পৌর যুবলীগ সদস্য তন্ময় গাজী, কাওসার রনি ও সগির মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।

বাস মালিক শহীদ দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, দুর্বৃত্তরা আমার জীবনের সঞ্চয় পুড়িয়ে দিয়েছে।

তার ছোট ভাই ইউপি সদস্য ও বিএনপি নেতা বাতেন দেওয়ান বলেন, পরিকল্পিতভাবেই এই অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমি বিএনপি করি বলেই আমাদের বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

বরগুনা বাস মালিক সমিতির লাইন সম্পাদক অহিদুজ্জামান সজল মৃধা জানান, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ক্ষতিপূরণের বিষয়েও আলোচনা চলছে।

আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ারহাউস ইন্সপেক্টর মো. হানিফ বলেন, দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে আরও বড় ক্ষতি হতো।

আমতলী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আরও যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


তেঁতুলিয়া সীমান্তে নতুন পর্যটন স্বর্গ গড়ে উঠছে

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
তেতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি

সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় গড়ে উঠছে একের পর এক নতুন পর্যটন আকর্ষণ। এরই মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে তেঁতুলিয়া সদর ও শালবাহান ইউনিয়নের সীমানায় অবস্থিত কুমারটুল এলাকার নোম্যানস ল্যান্ড। সীমান্তঘেঁষা এই স্থানটি এখন পর্যটকদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠছে ছোট্ট ভারত নামে।

তেঁতুলিয়ায় প্রবেশের আগে বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত ভাগ করা ৪৩৬ নম্বর মূল পিলারকে ঘিরে গড়ে উঠেছে এক অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্যপট। একদিকে বাংলাদেশের শান্ত, সবুজ গ্রামীণ প্রকৃতি- অন্যদিকে ভারতের বিস্তীর্ণ সমতলভূমির চা-বাগান ও সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিরাপত্তার মাঝেও প্রতিদিনই এখানে ভিড় জমছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায়, নোম্যানস ল্যান্ডের পাশ দিয়ে যাওয়া তেঁতুলিয়ার মূল সড়কের পাশে সবুজে মোড়ানো চারপাশ, সীমান্ত পিলারের অপর পাশে ভারতের চা-বাগানের সারি আর দেখা মিলছে ভারতীয় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। দৃশ্যটি এতটাই মনোমুগ্ধকর যে পর্যটকদের ভাষায়, একবার না দাঁড়ালে যেন ভ্রমণ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কেউ তুলছেন ছবি, কেউ ভিডিও করছেন- সব মিলিয়ে জায়গাটি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এক, চেক-ইন স্পট।

ঘুরে আরো দেখা গেছে, শীতের আগমনী বার্তা আর হেমন্তের নরম রোদে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর সীমান্তের এ এলাকাটি। কেউ তুলছেন স্মৃতি-বন্দি ছবি, কেউবা নিরাপদ দূরত্ব থেকে ভারতের চা-বাগানের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন আর ছবি তুলছেন।

ঢাকা থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা নুসরাত জাহান বলেন, আমরা মূলত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে এসেছি। কিন্তু সীমান্তের এই জায়গায় এসে মনে হলো, না এসে থাকলে ভ্রমণটা অসম্পূর্ণ থাকত। এখানে দাঁড়িয়ে ভারতের চা-বাগান দেখা এক অনন্য অভিজ্ঞতা। পরিবার নিয়ে মজা করার পাশাপাশি ছবি তুলছি।

রাজশাহী থেকে আসা মঞ্জুরুল ইসলাম সোহেল বলেন, ‘আমরা মূলত সীমান্তের খুব কাছাকাছি দাঁড়িয়ে আছি- একদম ভারতীয় মাটির সামনেই। সবকিছু মিলে দারুণ লাগছে।’

বগুড়া থেকে বাইক নিয়ে আসা পর্যটক অরজুন রায় বলেন, ‘আমরা চারটি বাইক নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এই জায়গাটা অন্যরকম। তাই সবাই মিলে এখানে ছবি তুলছি।’

স্থানীয়রা জানান, এলাকাটি এখন ফটোগ্রাফার, ভ্রমণব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের নতুন প্রিয় জায়গা। সকাল কিংবা বিকেলের আলোয় সীমান্তের মনোরম দৃশ্য ধারণ করতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে।

এ নিয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজ শাহীন খসরু বলেন, তেঁতুলিয়ায় পর্যটকের আগমন বেড়েছে। সামনে আরও বাড়বে। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে। একই সাথে সীমান্ত নিরাপত্তায় কাজ করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সদস্যরা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রে তেঁতুলিয়ার রয়েছে বিশেষ অবস্থান। বিশ্বের তৃতীয় উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা খালি চোখে দর্শন ছাড়াও এখানে রয়েছে বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট, সমতলের বাংলার বিস্তৃন্য মাঠজুড়ে সমতলের চা-বাগান, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো ও মহানন্দা নদীসহ বিভিন্ন স্থাপনা। সব মিলিয়ে তেঁতুলিয়া এখন যেন উত্তরবঙ্গের প্রকৃতি রাজধানী- আর নতুন সংযোজন এই ছোট্ট ভারত নামের সীমান্ত এলাকা।


মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার প্রেমিকা

দুই ধর্ষক গ্রেপ্তার
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
মেহেরপুর প্রতিনিধি

মেহেরপুরে প্রেমিকের সাথে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক প্রেমিকা। ঘটনায় সাথে জড়িত দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার রাজাপুর মাঠে গত বুধবার সন্ধ্যায়। আটক দুই ধর্ষক হলেন, রাজাপুর গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, জুমাত আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম। আরেক ধর্ষক নজরুল ইসলামের ছেলে মিনারুল পালাতক রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দুই আসামিকে সদর থানা পুলিশের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আর গত বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আটক দুই ধর্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, গত বুধবার বিকালে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী তার প্রেমিক সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্রের সাথে মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। পরে সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মাঠের রাস্তা দিয়ে আসার সময় তিন যুবক তাদের পথরোধ করে একপর্যায়ে তারা প্রেমিকের গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ইউপি সদস্য চঞ্চলের ভাটার পেছনে আম বাগানে নিয়ে যায়। এ সময় তারা প্রেমিকের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাদের দুজনকে বিবস্ত্র করে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। এ সময় প্রেমিক তার প্রেমিকাকে তিন যুবকের কাছে রেখে টাকা নিতে মেহেরপুর শহরে আসেন। টাকা নিয়ে ফিরে গিয়ে দেখেন তার প্রেমিকা কান্নাকাটি করছে। পরে প্রেমিকা জানান, তাকে জোর করে তিনজন ধর্ষণ করে। এ সময় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বাড়ি পাঠায়।

এ নিয়ে ৩ যুবককে আসামি করে মেহেরপুর সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

সদর থানার ওসি অপারেশন জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত দুই জনকে আটক করা হয়েছে। পালাতক আসামিকে আটকে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।


জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা ১ম বিভাগ ক্রিকেট লিগের শুভ উদ্বোধন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শিউলি আফরোজ সাথী, মাগুরা

তারুণ্যের উৎসব, খেলাধুলার প্রাণচাঞ্চল্য এবং জুলাই শহীদদের স্মরণে মাগুরায় শুরু হয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি মাগুরা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ ২০২৫’। শুক্রবার সকালে মাগুরা জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এ লিগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক মো. অহিদুল ইসলাম।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক জুলফিকার আলী খান, মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা, জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার ১০ শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

মাগুরা জেলা পরিষদ এবং চিকিৎসক সিমিন মজিদ আখতারের পৃষ্ঠপোষকতায় জেলা ক্রীড়া সংস্থা এ লিগের আয়োজন করেছে। ১৬ ক্লাবের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টটি চলবে এক মাসেরও বেশি সময়। সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থা এবং বিসিবির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। পরে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অতিথিরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিগের সফলতা এবং মাগুরার ক্রিকেট অগ্রগতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

শহীদ সোহান শাহের বাবা শাহ সেকেন্দার বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মাগুরার তরুণরা দেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিল। সেই শহীদদের নামে এই লিগ আমাদের পরিবারের জন্য সম্মান ও আবেগের বিষয়।’

বিসিবির পরিচালক জুলফিকার আলী খান বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথম জেলা হিসেবে মাগুরায় এ বছর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ মাঠে গড়াল। স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নে মাগুরার এই উদ্যোগ অন্য জেলার জন্য উদাহরণ।’

পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা বলেন, ‘মাগুরা তরুণদের শহর- এই লিগ তরুণদের সুস্থ ধারার সম্পৃক্ততায় আনবে এবং শহীদদের আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেবে।’

জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণ করে আমরা শুধু ইতিহাসই নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এই লিগ মাগুরার ক্রিকেটে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে।’

ক্রীড়া সংস্থা সূত্র জানায়, মাগুরায় সর্বশেষ ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিভাগ ও ২০২১ সালে প্রথম বিভাগ লিগ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে মাগুরা প্রেসক্লাব।


banner close