বুধবার, ২১ মে ২০২৫
৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহীতে রুয়েট শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
ইউএনবি
প্রকাশিত
ইউএনবি
প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৮:৫৫

রাজশাহী নগরীর একটি ছাত্রাবাস থেকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নগরীর ফুদকিপাড়া এলাকার এবেলা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’


ওভারটেক করতে গিয়ে বাস খাদে, ২০ যাত্রী আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ওভারটেক করতে গিয়ে যাত্রীবাহি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে খাদে পড়ে অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। এ সময় বাসের মধ্যে ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিলেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার পূর্ব সদরদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে।

আহতরা হলেন—পটুয়াখালীর আব্দুর রশিদের ছেলে মো. সজিব (২৫), আমতলী বরগুনার পূর্বটিলা গ্রামের মো. রনির স্ত্রী সুইটি বেগম (২১), ভোলার কালপুরা থানার আটুয়া গ্রামের আলকাজ কাজীর ছেলে মিরাজ কাজী (৩২), গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী চরঘাট গ্রামের মোশাররফ।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান বলেন, ‘ইকরা পরিবহন নামের একটি যাত্রীবাহী বাস ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ছিটকে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসে থাকা প্রায় ৪০-৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ২০-২২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।’

আহতরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান ওসি।

এ বিষয় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শেষ করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


নকশা জটিলতায় চার বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ!

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
নাসরিন সিপু, বরগুনা:

নকশা জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে চার বছর ধরে সেতুর কাজ বন্ধ। ভোগান্তিতে পড়েছে সোনাকাটা ইকোপার্কের পর্যটক, জেলে, বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয়রা। সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় খেয়ায় নদী পার হতে হয়। এতে পর্যটক সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্বাসমূলীয় ট্যাংরাগিরি ইকোপার্কের কথা বলছিলাম। এটি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ফকির হাটে অবস্থিত। ইকো পার্কে যেতে সোনাকাটা খাল পার হতে হয়। গত ২০ বছর ধরে ওই খালে স্থানীয়রা সাঁকো নির্মাণ করে আসছেন। ওই সাঁকো দিয়ে পর্যটকরা ইকো পার্কে প্রবেশ করতেন।

২০২০-২১ অর্থ বছরে আরবিআরপি প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সোনাকাটা খালে ৭২ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দরপত্র আহবান করে। ৬ কোটি ৯৭ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৫ টাকা ব্যয়ে কাজ পায় বরিশালের এমএস বিল্ডার্স এন্ড মেসার্স আমির ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড। ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তারা যথাসময়ে কাজ শুরু করেননি। ওই বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু করেন। আর ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর দুই পাড়ের গার্ডার নির্মাণ করেই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, নকশা জটিলতার কারণে স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়।

কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশলী অফিস নকশা জটিলতার একটা ঠুনকো অজুহাত তুলে কাজ বন্ধ রাখে। বার বার উপজেলা প্রকৌশল অফিস ও ঠিকাদারকে সেতুর কাজ সমাপ্তের কথা বললেও তারা করছেন না। গত চার বছর ধরে সেতু নির্মাণ না করায় ভোগান্তিতে পড়েছে পর্যটক, বন বিভাগের লোকজন ও স্থানীয়রা।

বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুকনো মৌসুমে প্রতিদিন অন্তত চার-পাঁচ শতাধিক পর্যটক ইকো পার্কে আসত। কিন্তু সেতুর এ অবস্থার কারণে পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সরকার গত চার বছর অন্তত কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছে। এ ছাড়া সেতুর এমন অবস্থার কারণে ইকো পার্কের সংস্কার কাজ বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সেতুর দুই পাড়ে ৪৮ মিটার গার্ডার নির্মাণ করা হয়েছে। মাঝ খানের ২৪ মিটার কাজ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া দুই পাড়ের অ্যাপ্রোচ সড়কের নির্মাণ কাজ হয়নি।

পর্যটক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সোনাকাটা ইকো পার্কে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভোগান্তির শেষ নেই। সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় খেয়ায় খাল পার হতে হয়েছে। তাতে তো আরো ভোগান্তি। খেয়া থাকলে মাঝি থাকে না। মাঝি থাকলে খেয়া থাকেনা।’

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো. মহসিন বলেন, সোনাকাটা খালটি ভাড়ানি খাল না। এটা দিয়ে বড় কোনো নৌযান চলাচল করে না, করে ছোট নৌযান। এতে সেতুর মধ্যখানে উচ্চতায় কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। কিন্তু ঠিকাদার ও স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর নকশা জটিলতার অজুহাত তুলে চার বছর ধরে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এতে পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. টুকু সিকদার বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ মিলে গত চার বছর ধরে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন। কেন বন্ধ করে রেখেছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় এলাকার পর্যটক, জেলে ও বন বিভাগের লোকজনের বেশ সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত এ সেতুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তের দাবী জানান তিনি।

ফরেস্টার জাকির হোসেন বলেন, সেতুর কারণে পর্যটক আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। পর্যটকরা আসলেই সেতুর এমন অবস্থা দেখেই ইকো পার্কে প্রবেশ না করে ফিরে যাচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, ওই খালে বড় কোন নৌযান চলাচল করে না। যে কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছে তা কোন কারণই না। তিনি আরও বলেন, সেতু নির্মাণের নকশা অনুসারে কাজ করতে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসে লিখিত দিয়েছি কিন্তু ঠিকাদার ও প্রকৌশলী অফিস কাজ শুরু করছেন না। দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শুরুর দাবী জানান তিনি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তালতলী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, স্থানীয়দের বাধার কারণে নকশা জটিলতায় সেতুর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। তিনি আরোও বলেন, ঠিকাদার যে পরিমাণ কাজ করেছে তাকে সেই পরিমাণ বিল ছাড় দেওয়া হয়নি। তাকে অল্প বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে।

বরগুনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান সেতুর কাজ বন্ধ থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি সেতু নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করেছি। ওই স্থানের জন্য সেতুর বর্তমান নকশাই যথেষ্ট। আমি সেতুর বর্তমান অবস্থা জানিয়ে প্রধান প্রকৌশল অফিসকে অবহিত করেছি। সেতুটির কাজ শুরু করতে স্থানীয় চেয়ারম্যান লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। অধিদপ্তরের অনুমতি পেলেই কাজ শুরু করা হবে।’


হেঁটে কক্সবাজার থেকে এভারেস্ট চূড়ায় শাকিল

পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
কক্সবাজার প্রতিনিধি

সপ্তম বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। হেঁটে ৮৪ দিনে কক্সবাজার থেকে এভারেস্টের শিখরে পৌঁছান তিনি। গতকাল সোমবার পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটির চূড়ায় পৌঁছে বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান এ স্বপ্নবাজ তরুণ।

গতকাল দুপুরে ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে ইকরামুল হাসান শাকিলের অভিযান সমন্বয়কেরা জানান, ‘এই মাত্র খবর পেলাম শাকিল সামিট করেছে এবং সুস্থ আছে। ক্যাম্প ৪-এ নেমে এসেছে। নেটওয়ার্ক না থাকায় বিস্তারিত তথ্য এখন দেয়া যাচ্ছে না।’

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ার উদ্দেশ্যে হেঁটে যাত্রা শুরু করেছিলেন ইকরামুল হাসান শাকিল। তিনি এই অভিযানের নাম দিয়েছেন ‘সি টু সামিট’।

‘সি টু সামিট’ অভিযানে তিনি চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা ও মুন্সিগঞ্জ হয়ে ১২ দিন পর ঢাকায় পৌঁছান। রাজধানীতে কয়েক দিনের বিরতি দিয়ে তিনি আবারও হাঁটা শুরু করেন এবং গাজীপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান পঞ্চগড়ে। ২৯ মার্চ ইকরামুল হাসান বাংলাদেশ থেকে প্রবেশ করেন ভারতে। এরপর ভারতের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং হয়ে ৩১ মার্চ পৌঁছান নেপালে। প্রায় এক হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ হেঁটে গত ২৯ এপ্রিল এভারেস্ট বেজক্যাম্পে পৌঁছান ইকরামুল হাসান। এরপর কয়েক ধাপে নানা বাধা পেরিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গটির চূড়া জয় করেন এ বাংলাদেশি। এর আগে ১৯৯০ সালে অস্ট্রেলিয়ার পর্বতারোহী টিম ম্যাকার্টনি-স্নেপ ভারতের গঙ্গাসাগর থেকে ৯৬ দিনে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পদচিহ্ন রাখেন।


পড়াশোনায় ‘বাধা’ দারিদ্র্য থেমে গেছে স্বপ্নের পথচলা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
রহমত উল্লাহ, টেকনাফ (কক্সবাজার)

বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। পর্যটনে সমৃদ্ধ হলেও শিক্ষার আলো এখনো পুরোপুরি পৌঁছায়নি দ্বীপটিতে। এই দ্বীপেরই বাসিন্দা সালমা আক্তার। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী এই তরুণী। তবে হঠাৎ কালো ছায়া নেমে এসেছে তার জীবনে। বন্ধ হতে বসেছে তার পড়াশোনা।

সালমা বর্তমানে কক্সবাজার সরকারি কলেজে স্নাতকে (অনার্স) অধ্যয়নরত। জেএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া এই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলেও থেমে যাননি। কক্সবাজার শহরে থেকে হোস্টেলে থাকতেন, চালিয়ে যাচ্ছিলেন লেখাপড়া। তবে হোস্টেলের তিন মাসের বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে না পেরে বাধ্য হন সেখান থেকে সরে আসতে। ফিরে যান সেন্টমার্টিনে। এরপর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে তার পড়াশোনা।

সালমা বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম পড়ালেখা করে কিছু একটা করব, পরিবারকে তুলে ধরব। কিন্তু এখন সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে।’ সালমার স্বপ্ন পড়াশোনা শিখে বড় হয়ে সুদিন ফেরাবেন পরিবারে। দুঃখ ঘুছাবেন বাবা-মা’র। আর কাজ করবেন সমুদ্রের লোনা জলে পোড়া মানুষের জীবনমান উন্নয়নে।

দ্বীপের অধিকাংশ বাসিন্দার জীবিকা পর্যটন ও মৎস্য আহরণ কেন্দ্রিক। বর্তমানে সরকারি নির্দেশনার কারণে পর্যটকদের সেন্টমার্টিনে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে মাছের প্রজনন মৌসুমে (১৫ এপ্রিল থেকে) মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় আয়-রোজগার একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকের।

সালমার বাবা জামিল হোসেন বলেন, ‘মাছ ধরা বন্ধ, পর্যটকের কাজও নেই। আগে যা-ও কিছু করতাম, এখন তাও বন্ধ। মেয়ের পড়াশোনা আর চালাতে পারছি না।’

টানা আয় বন্ধ থাকায় চরম সংকটে পড়েছেন দ্বীপবাসীরা। এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষার্থীদের ওপর। অনেকেই পড়াশোনা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘সালমার বিষয়টি আমাদের জানা আছে। আমরা তাকে সহায়তা করার বিষয়ে ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি।’

কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. সুলেমান বলেন, ‘সালমার মতো মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে আমরা চেষ্টা করছি। তার পড়াশোনা যেন বন্ধ না হয়, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেন্টমার্টিনের শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্লাসে ফিরতে চান সালমাসহ পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীরা। কার্যকর কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দ্বীপের বাসিন্দাদের রক্ষা ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির দাবি সংশ্লিষ্টদের। যেন আর্থিক কারণে কেউ শিক্ষার আলো থেকে ছিটকে না পড়ে।


সিলেটে পরিবারের শাসনে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্যা

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সিলেটে পরিবারের লোকজন শাসন করায় অভিমান করে ইতি দাশ (১৬) নামের এক কিশোরীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় মোগলাবাজার থানাধীন শিববাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ইতি সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার পলক গ্রামের হিরন দাশের মেয়ে। পরিবারের সঙ্গে শিববাড়িসংলগ্ন কিষানপুরের (সিসিকের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড) বাবুল মিয়ার কলোনিতে ভাড়া থাকত ইতির পরিবার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওড়নার দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে ইতি। সোমবার সন্ধ্যায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পরিবারের লোকজন শাসন করার কারণে অভিমানে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’


টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধ: গুলিবিদ্ধসহ আটক ৩, ইয়াবা অস্ত্র উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১৯ মে, ২০২৫ ১৯:০১
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফে মাদকবিরোধী অভিযানে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধসহ তিন রোহিঙ্গা নাগরিককে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৩০ হাজার ইয়াবা, একটি বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

আটকরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও গুলিবিদ্ধ আব্দুল শক্কুর (৪০)। গুলিবিদ্ধ শক্কুরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটায় টেকনাফের মেরিন ড্রাইভের তুলাতলী ঘাটসংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে একটি সন্দেহভাজন ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকাকে থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্ট গার্ড সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে এক পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হন। প্রায় এক ঘণ্টার ধাওয়া শেষে নৌকাটি জব্দ করা হয়।

পরে নৌকায় তল্লাশি চালিয়ে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ৯ মি.মি. বিদেশি পিস্তল ও চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। অভিযানের সময় পাচারচক্রের আরও চার সদস্য সাগরে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়।

কোস্ট গার্ড জানায়, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

অন্যদিকে স্থানীয় জেলেদের দাবি, সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আট জেলে সাগরে মাছ ধরতে যান। পরে গোলাগুলির ঘটনায় তাদের একজনের নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কায় স্বজনরা তুলাতলী ঘাটে ছুটে আসেন।

কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান পরিচালনা করছে কোস্ট গার্ড। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”


সুনামগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক আহত

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

সুনামগঞ্জ বিশ্বম্ভরপুর সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। সোমবার (১৯ মে) ভোরে জেলার রাজাপাড়া সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ সামছু মিয়া (২৫) বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রাজাপাড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বম্ভরপুরের রাজাপাড়া সীমান্ত পিলার ১২১১ নম্বর দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে চোরাইপণ্য আনতে যান ৪-৫ জন চোরাকারবারী। এ সময় চিনাকান্দি বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে ১৯৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রাজাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে শামসুল গুলিবিদ্ধ হন।

পরে সহকর্মীরা উদ্ধার তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন ২৮ বিজিবির অধিনায়ক একেএম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত যুবক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পণ্য আনতে গিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’


বল ভেবে ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত তিন শিশু

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

যশোরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেলকে টেনিস বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে তিন শিশু আহত হয়েছে। আহত শিশুরা সম্পর্কে ভাই-বোন।

সোমবার (১৯ মে) সকাল ৮টার দিকে শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকায় শাহাদাত হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিশুরা হলো— আহত শিশুরা হলো, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার শাহাদৎ হোসেনের মেয়ে খাদিজা খাতুন (৫), সজিব হোসেন (৬) এবং আয়েশা খাতুন (৩)। আহত শিশুদের প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে খাদিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

আহতদের স্বজনরা জানান, পাঁচ বছর বয়সী খাদিজা আজ (সোমবার) সকালে বাড়ির পাশে ছোটনের মোড়ের মাঠে খেলতে যায়। সেখানে পড়ে থাকা একটি ককটেলকে টেনিস বল ভেবে সে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে ওই বল দেখে তার ভাই সজিব আহমেদ ও বোন আয়েশা সুলতানা একসঙ্গে খেলায় অংশ নেয়। খেলার একপর্যায়ে হঠাৎ ককটেলটি বিস্ফোরিত হলে তিনজনই গুরুতর আহত হয়।

পরে তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হলে খাদিজার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। আহত তিন শিশুই একই পরিবারের সদস্য।


শেরপুরে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বন্যার আশঙ্কা

ঝিনাইগাতীতে সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শেরপুর ও ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি

গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত এবং ভারতের মেঘালয় ও আসামে অব্যাহত বর্ষণের কারণে শেরপুর জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলায় আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েক দফা মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পাঠানো এক জরুরি সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো আগামী ২০ মে পর্যন্ত সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে। এতে করে জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃষিরও বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেরপুর জেলা কৃষি বিভাগ মাঠে থাকা আধা পাকা ধান দ্রুত কেটে নিরাপদ স্থানে রাখার আহ্বান জানিয়েছে।

বিশেষ করে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলাগুলোতে যেসব ধান ৮০ শতাংশের বেশি পেকে গেছে, তা কেটে উঁচু স্থানে সংরক্ষণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসন এরই মধ্যে বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় গত রাত থেকে শুরু হয়েছে মাইকিং। প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

১৮ মে বিকেলে নদীর পানি পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান রাসেল। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগাম বন্যা হলে তা মোকাবিলা করতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি।

এদিকে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। গতকাল ভোরে নদীর পানি উপচে পড়ে ধানশাইল এলাকার বাগেরভিটা গ্রামে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ডুবে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হঠাৎ করে পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা কিছুই বাঁচাতে পারেনি। দোকানদার লিখন মিয়ার প্রায় আড়াই লাখ টাকার মালামাল পানিতে ভেসে গেছে। তার দোকানের পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতেও পানি ঢুকে গোলার ধান এবং ঘরের জিনিসপত্র নষ্ট হয়েছে।

এলাকার একটি প্রধান রাস্তার বড় অংশ পানির স্রোতে ভেসে গেছে। স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন একটি সেতু জমে থাকা আবর্জনা এবং ভেসে আসা গাছপালার কারণে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এতে পানির স্রোত আরও শক্তিশালী হয়ে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যার পূর্বাভাস পাওয়ায় তারা কৃষকদের আগেভাগেই ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছিল। এ কারণে প্রায় ৯৫ শতাংশ ধান রক্ষা পেয়েছে। তবে কিছু জমির ধান এখনো পানির নিচে রয়েছে।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ইতোমধ্যে সোমেশ্বরী নদীতে নির্মাণাধীন ব্রিজের ঠিকাদারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং তারা রাস্তা মেরামত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘কয়েক দিনের বৃষ্টিপাত এবং পাহাড়ে ঢলে ঝিনাইগাতী উপজেলার কয়েকটি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে। আগাম বন্যার প্রস্তুতি হিসেবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুততম সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।


‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ মনু মিয়া হাসপাতালে

তার ঘোড়াটি মেরে ফেলল দুর্বৃত্তরা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
শফিকুল ইসলাম

বিনা পারিশ্রমিকে ৩০৫৭ কবর খুঁড়েছেন মনু মিয়া। দরদ দিয়ে যত্নের সঙ্গে কবর খোঁড়েন বলে নিজ গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় তাকে সবাই চেনেন ‘শেষ ঠিকানার কারিগর’ হিসেবে। বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি গ্রামে। কারও মৃত্যুর সংবাদ কানে আসামাত্রই খুন্তি, কোদাল, ছুরি, করাত, দা, ছেনাসহ সহায়ক সব যন্ত্রপাতি নিয়ে কখনো হেঁটে কখনো ঘোড়া ছুটিয়ে চলে যান মৃতের বাড়ি কিংবা কবরস্থানে। এভাবেই কবর খননের কাজ করে তিনি পার করে দিয়েছেন তার ৬৭ বছরের জীবনের সুদীর্ঘ ৪৯টি বছর। কোনো ধরনের পারিশ্রমিক কিংবা বকশিশ না নিয়ে এ পর্যন্ত খনন করেছেন ৩ হাজার ৫৭টি কবর। এমন কি দূরদূরান্তে গিয়ে কবর খুঁড়েও কোনো মৃত পরিবারের দেওয়া খাবারও তিনি খাননি। নিজের টাকা দিয়ে খাবার কিনে খেয়েছেন।

মনু মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বয়স এখন ৬৭ বছর। জীবনভর কবর খোঁড়ার কাজ করতে গিয়ে নিজের দিকেই খেয়াল দেওয়া হয়নি মনু মিয়ার। রোগে কাবু হয়ে সম্প্রতি শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তিনি। গত ১৪ মে তাকে রাজধানীর বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই একরকম মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার। স্বামীর পাশে আছেন স্ত্রী রহিমা বেগম এবং ভাতিজা শফিকুল ইসলাম।

কবর খুঁড়তে দূরের যাত্রায় দ্রুত পৌঁছাতে নিজের ধানি জমি বিক্রি করে কয়েক বছর আগে একটি ঘোড়া কিনেছিলেন তিনি। ঘোড়াটি সচল রেখেছিল তাকে। বাড়িতে মনু মিয়া ও তার স্ত্রী রহিমা বেগমের অনুপস্থিতিতে অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়ে ঘোড়াটি। গত শুক্রবার (১৬ মে) সকালে পাশের মিঠামইন উপজেলার হাশিমপুর ছত্রিশ গ্রামের একটি মাদরাসার পাশে পানির মধ্যে ঘোড়াটির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। ঘোড়াটির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মনু মিয়ার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভেবে স্ত্রী ও স্বজনেরা তার কাছে গোপন রেখেছেন ঘোড়াটি হত্যার কথা।

স্থানীয়রা জানান, মনু মিয়ার এমন সংকটকালেই বর্বরতার বলি হয়েছে তার প্রিয় ঘোড়াটি। বাড়িতে মনু মিয়া ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম না থাকায় অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়া ঘোড়াটি গত তিন দিন বাড়িতে ছিল না। বাড়ি থেকে প্রাণীটি একা বের হয়ে যায় নাকি কেউ বের করে নিয়ে যায় সে তথ্য জানেন না গ্রামবাসী।

আলগাপাড়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত তিন দিন গ্রামের কারও নজরে পড়েনি ঘোড়াটি। তবে গত শুক্রবার সকালে পার্শ্ববর্তী মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাশিমপুর ছত্রিশ গ্রামের একজন বাসিন্দার কাছে একটি ফোনকল আসে। তাতে ওই প্রান্ত থেকে জানানো হয় যে একটি ঘোড়া মৃত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে এবং এটি মনু মিয়ার ঘোড়া বলে মনে হচ্ছে। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান আলগাপাড়া গ্রামের তিন তরুণ যুবক। তারা গিয়ে ছত্রিশ গ্রামের একটি মাদরাসার পাশে পানির মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ঘোড়াটিকে দেখতে পান। বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঘোড়াটি সেখানে নিথর হয়ে পড়ে ছিল।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ঘোড়াটিকে শনাক্ত করতে যাওয়া তিনজনের একজন ছিলেন এস এম রিজন। তিনি দাবি করেন, মিঠামইন উপজেলার কাটখাল ইউনিয়নের হাশিমপুর ছত্রিশ গ্রামে গিয়ে তারা এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, ওই এলাকার শাওনের একটি স্ত্রী ঘোড়া রয়েছে। ওই স্ত্রী ঘোড়াটিকে না কি মনু মিয়ার ঘোড়াটি আঘাত করে। এই অপরাধে মনু মিয়ার ঘোড়াটির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে শাওন। তাতে মনু মিয়ার ঘোড়াটি মারা যায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শাওনের বাবার নাম আজমান এবং তার চাচার নাম হাসান মাস্টার।

মনু মিয়ার ভাতিজা শফিকুল গতকাল সকালে দৈনিক বাংলাকে ফোনে জানান, ‘মনু মিয়ার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। মনু মিয়া জীবনে কারও কোনো ক্ষতি করেননি। এত দিন জানতাম, উনাকে মানুষ ভালোবাসে। উনার এমন খারাপ অবস্থায় কী করে এমনভাবে উনার প্রিয় ঘোড়াটিকে মানুষ মেরে ফেলতে পারল। এই খবরটা আমরা উনাকে দিলে উনি কোনোভাবেই সহ্য করতে পারবেন না।’

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার জানান, বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য তিনি নির্দেশনা দেবেন।


দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৫

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
ইউএনবি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

সোমবার (১৯ মে) সকাল ৬টার দিকে উপজেলার দিনাজপুর-ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের ২৬ মাইল এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান জানান, গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মধ্যে আজ (সোমবার) সকালে ঠাকুরগাঁওগামী একটি সিমেন্টবোঝাই ট্রাক এবং ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুরমুখী একটি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাস চালকসহ দুইজন নিহত হন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।

নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালক মানিক (৩৫) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিহরপুর এলাকার মৃত আবুলের ছেলে।

দুর্ঘটনাস্থলেই নিহত হওয়া যাত্রী দেলোয়ার হোসেন (৪৫) একই জেলার হাজীপাড়ার বাসিন্দা ও স্থানীয় ট্রেজারি অফিসের একজন কর্মকর্তা। তিনি মৃত হাফিজুর রহমানের ছেলে।

তবে হাসপাতালে নেওয়ার সময় নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহতদের ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।


রাতের বৃষ্টিতে সকালে রাজধানীর বাতাসের মানে উন্নতি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
unb

শনিবার ছুটির দিনে সরকারি অফিস খোলা থাকলেও রাজধানীর বাতাসের মানে উন্নতির দেখা মিলেছে। গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যারাতে বৃষ্টির প্রভাবে বাতাসে দূষণের মাত্রা কমেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ (১৭ মে) সকাল ৯টায় বাতাসের মান নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট আইকিউ এয়ারে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ৯৬, মানের দিক থেকে যা ‘মাঝারি’। দুপুর ১২টায় অবশ্য তা বেড়ে ১১৯-এ উন্নীত হয়েছে, সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য যা অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত।

তবে বেশ কিছুদিন ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর থাকার পর আজ সকালে বাতাসের মানে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

যখন কণা দূষণের একিউআই মান শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তখন তাকে ‘ভালো’ বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। এরপর একিউআই সূচক ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ এবং ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূচক ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক পাঁচটি দূষণের ওপর নির্ভরশীল। সেগুলো হলো— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন।

ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় জর্জরিত। এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে বেশি অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে এবং বর্ষাকালে উন্নত হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বায়ুদূষণের ফলে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।


মধুমাসে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

মধুমাস জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীসহ সারা দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে নানা স্বাদের ফল। এই মাসে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, ডেউয়া, লটকন, গোলাপ জাম, বেতফল, গাব, তালশাঁস, জামরুল, আতাফল, কাউফলসহ বিভিন্ন রকমের মিষ্টি-টক রসালো ফল পাওয়া যায়। এগুলো সবই দেশি ফল। ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এসব মৌসুমি ফল রাজধানীসহ দেশের সব জেলায় পৌঁছে যায়।

ফলের সুমধুর গন্ধে জ্যৈষ্ঠ মাস হয়ে উঠেছে মধুময়। জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীর ছোট-বড় বাজার ছেয়ে গেছে রসালো ফলে। আম, কাঁঠাল, লিচু, তালশাঁস, আনারস, জামরুলসহ নানান ফলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। তবে এইসব ফল তুলনামূলক বেশি দাম হাঁকছেন ক্রেতারা।

এ ছাড়া মৌসুম শেষ হলেও বেল, বাঙ্গি ও তরমুজও পাওয়া যাচ্ছে ফলের দোকান ও আড়তে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, খিলগাঁও, শান্তিনগর, রামপুরা, বনশ্রী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে বর্তমানে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে আম ও লিচু। বিশেষ করে লিচু বাজারে আসতে শুরু করেছে এ সপ্তাহে। এ ফলটি বেশিদিন পাওয়া যায় না। তবে লিচুর দাম এ মুহূর্তে তুলনামূলক বেশি। একশ লিচু ৪০০ টাকা থেকে লিচুর জাত বুঝে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। রাজশাহী দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার লিচু বাজারে আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

তবে ফলে চাষিরা যে দামে বিক্রি করেন আড়ত ঘুরে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে দামে তারতম্য হয় বলে জানান ক্রেতারা।

বাজারে সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী থেকে আসা বাহারি নামের আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। প্রতিকেজি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতিটি তাল ৩০-৪০ টাকা, আনারস ৩০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে ভ্যানে করেও মৌসুমি এসব ফল বিক্রি করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়, গোবিন্দভোগ ১২০ টাকা, গোপালভোগ ১২০ টাকা, গুটি আম ১০০০ টাকায়। তাছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির আম বিক্রি হচ্ছে।

জাম, কাঁঠালসহ অন্যান্য দেশি ফল তুলনামূলক দাম বেশি। তবে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দাম সহনীয় ও সাধারণ ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে চলে আসবে বলে জানান দোকানিরা।

বাজারে এ সময়ে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ কম। কিছুদিনের মধ্যেই বাজার ছেয়ে যাবে কাঁঠালে আশা করছেন ফল ব্যবসায়ীরা। সবজি হিসেবে রান্না করার জন্য কাঁঠাল বিক্রি হচ্ছে। এটি দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, আলুসহ পাঁচমিশালী সবজি দিয়ে কাঁঠাল রান্না এখন ভীষণ জনপ্রিয়।

খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ফল বিক্রেতা আবু তাহের বলেন, সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আম আসছে। আমের দাম তুলনামূলক কম। সব ধরনের আমের বিক্রিই ভালো।

মিরপুর এলাকায় ফল ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া বলেন, বাজারে যে লিচুগুলো এখন আসছে সেগুলো আকারে কিছুটা ছোট। আগামী সপ্তাহ থেকে বড় লিচু আসবে, দামও কিছুটা কমবে। পাকা কাঁঠালের একটা বড় অংশ আসে গাজীপুর ও সাভার থেকে। দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজারে পাকা কাঁঠালের সরবরাহ বাড়বে বলে তিনি জানান।

ব্যবসায়ীরা জানান, মধুমাস জ্যৈষ্ঠে আম, লিচু ও দেশি অন্যান্য ফলের কারণে বিদেশি ফলের চাহিদা কম থাকে। বনশ্রী এলাকায় ফল ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম বলেন, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়ে মানুষ আম-কাঁঠাল ও দেশি ফল খাবে। তবে রোগীর জন্য অনেকেই মাল্টা, আপেল, আনার কিনছেন।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেশি বিভিন্ন ফলের দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ক্রেতাদের মাঝে।

ক্রেতারা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে আমের দাম ১০০ টাকার ওপরে থাকে। ভরা মৌসুমে কিছুটা কমে। শেষ দিকে আবার বেড়ে যায়।

অনেক ক্রেতা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষেরা বিদেশি ফল সারা বছর দামের কারণে কিনে খেতে পারেন না। জ্যৈষ্ঠ মাস আসার অপেক্ষায় থাকেন তারা। সাধ্যের মধ্যে দেশি ফল কিনে খাওয়ার অপেক্ষা করেন।

একজন ক্রেতা জানান, আম-লিচুর দাম সহনীয় হলেও দেশি অন্য ফলের দাম কিছুটা বেশি।

বাজার ঘুরে দেখে গেছে, দেশি কালোজাম ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দাম তুলনামূলক বেশি। বিক্রেতারা বলেন, এসব ফলেরও বাণিজ্যিক চাষাবাদ বাড়ানো প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ মাসে সামর্থ্যে নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও সব শ্রেণি পেশার মানুষই দেশি ফলের স্বাদ নেন। এটি আমাদের দেশের ঐতিহ্য।


banner close