চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে পদ্মা নদীর পারে ১৩টি গ্রাম নিয়ে ৫০ বছরের পুরোনো চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ। ইউনিয়ন সদর থেকে নৌপথে দুই কিলোমিটার ভেতরে বকচর, যার অবস্থান ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও লালগোলা। ভয়ংকর মাদক হেরোইনের প্রধান তিনটি প্রবেশদ্বারের একটি এই বকচর। আফগানিস্তানের তৈরি এই মাদক ইরানের নৌকায় করে ভারত-পাকিস্তান হয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী। আর দুই দশক ধরে ব্যাপক হারে হেরোইন-ফেনসিডিল ঢুকছে ওই চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন দিয়ে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে আসা হেরোইনের ৯০ শতাংশই ঢুকছে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা দিয়ে। পাশের দেশ থেকে ঢোকা সেই মাদক ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তে মাদকের ব্যবসার সঙ্গে অন্তত ৭৫০ জন জড়িত। তারা ১৮টি সিন্ডিকেটের হয়ে কাজ করেন। এসব সিন্ডিকেটের প্রধান পরপর দুবারের ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ রানা টিপু। যাকে জেলার প্রায় সবাই চেনেন। অভিযোগ আছে, টিপুর ছত্রচ্ছায়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে এ ব্যবসা।
মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার অভিযোগের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ সময় দৈনিক বাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন টিপু। স্বীকার করেছেন তার এলাকা দিয়ে হেরোইন পাচারের কথা। জানিয়েছেন তিনি নিজেও একসময় এসব কারবারের নেতৃত্ব দিতেন। এমনকি গরু পাচারকাণ্ডে ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়া মুর্শিদাবাদের আলোচিত এনামুল হকও ছিলেন তার সিন্ডিকেটের লোক। তবে টিপুর দাবি, ২০১৪ সালের পর থেকে তিনি মাদক কারবার ছেড়ে দিয়েছেন। এখন এই কারবার নিয়ন্ত্রণ করেন অন্য মানুষ।
যদিও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র্যাব- সবার তালিকাতেই শীর্ষ মাদক কারবারি হিসেবে আছে টিপুর নাম। মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আসামিদের মুখেও বারবার এসেছে তার নাম। কিন্তু টিপুর নামে কোনো মাদক মামলা নেই।
রাজশাহী বিভাগের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান দৈনিক বাংলাকে বলেন, সিন্ডিকেটগুলো এতটাই শক্তিশালী যে একজন অন্যজনের নামে মুখ খুলতে চায় না। যে কারণে জব্দ হওয়া কোনো চালানের হোতা পর্যন্ত সহজে পৌঁছানো সম্ভব হয় না।
আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এইচ এম আবদুর রকিব বলেছেন, মাদক কারবারিদের কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ, অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। চলতি বছরও ৫৩৯ জন কারবারিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সরেজমিন সীমান্তবর্তী এই জেলাগুলো ঘুরেছেন দৈনিক বাংলার এ প্রতিবেদক। হেরোইন সিন্ডিকেট, মাদকের টাকা লেনদেন, রুটসহ কথা হয়েছে অভিযুক্ত হেরোইন কারবারির সঙ্গেও।
শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান-ভারত হয়ে যেভাবে ঢুকছে দেশে
জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধবিষয়ক কার্যালয়- ইউএনওডিসির তথ্য অনুযায়ী, আফিমের সর্ববৃহৎ উৎপাদনকারী দেশ আফগানিস্তান। সারা বিশ্বে আফিম সরবরাহের ৮০ শতাংশের বেশি চাষ হয় আফগানিস্তান ভূখণ্ডে। পপিগাছের নির্যাসে আফিম থেকে হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদক তৈরি করা হয়। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আফগানিস্তানে এই মাদকের উৎপাদন বহুগুণ বেড়ে গেছে।
ইউএনওডিসির তথ্য বলছে, আফগানিস্তান থেকে হেরোইন মূলত ইরানের পথ ধরে আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরের পথ ধরে পাচার হয়। অধিকাংশ সময়ই ইরানি জাহাজের কনটেইনার বা নৌকা ব্যবহার করে হেরোইন পাচার করা হয়। মাদক যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য পানি নিরোধক মোড়ক করা হয়। বড় বড় প্যাকেটের ওপর আলাদা চিহ্ন করে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারতের নাম উল্লেখ থাকে। সেখানে অবশ্য বাংলাদেশের নামে কোনো প্যাকেট থাকে না। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান হয়ে শেষ চালান আসে ভারতে। মূলত ভারতের চালান থেকেই খুচরা বিক্রেতারা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আনে এই মাদক।
গত অক্টোবরে মাদক পাচারের খুব বড় চক্র ফাঁস করে ভারতীয় নৌসেনা ও নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। ২০০ কেজির হেরোইনের বড় চালান আটক করে তারা, যার মূল্য আনুমানিক ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে মাদক ঢোকে ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ দিয়ে। মাদক সিন্ডিকেটের একটি অংশ মুর্শিদাবাদ ব্যবহার করে রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা এলাকার পদ্মারচর, সুলতানগঞ্জ, কোদালকাটি, চরআষাঢ়িয়াদহ, মানিকের চরে চালান পৌঁছে দেয়। অন্য অংশ মালদহ ব্যবহার করে চাঁপাইয়ের সদর থানার চরবাগডাঙ্গা, সুন্দরপুর, শাহজাহানপুর ইউনিয়ন ব্যবহার করে হেরোইন আনে। আরেকটি সিন্ডিকেট মাদক আনে চাঁপাইয়ের চরআলাতুলী দিয়ে। কারবারিরা দেশের ভেতরে এসব জায়গায় ১৫-২০ কেজির বস্তাগুলো ভেঙে ২-৩ কেজির প্যাকেট তৈরি করে পদ্মা পার করে জেলা শহরে পাঠায়।
হেরোইনের চরআলাতুলী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ভারত সীমান্ত ঘেঁষা ইউনিয়ন চরআলাতুলী। জেলা সদর থেকে চরাঞ্চলের সুন্দরপুর, চরবাগডাঙ্গা, দেবীনগর তিনটি ইউনিয়ন পেরিয়ে বিদ্যুৎহীন আলাতুলী যেতে পদ্মা ও শাখা পদ্মা নদী অতিক্রম করতে দিন শেষ। পদ্মা নদী পেরিয়ে রাজশাহী জেলার চরআষাঢ়িয়াদহ ইউনিয়নের ৮-৯ কিলোমিটার ধু-ধু বালুচরে একমাত্র বাহন ভাড়ায় চলাচলকারী মোটরসাইকেল। মাদক নিয়ে কাজ করা বাহিনীগুলো বলছে, চরআলাতুলী ইউনিয়ন হেরোইন পাচারের এক স্বর্গরাজ্য।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন স্বীকার করেন, ওই সীমান্তের অধিকাংশ মানুষই হেরোইন পাচার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এর বাইরে হাতেগোনা দু-একজন ছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও একসময় মাদক ব্যবসা করতেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের কিরণগঞ্জ, ভোলাহাট, কানসাট, আজমতপুর, চাকপাড়া, কামালপুর, শিয়ালমারা, ভাটিয়া বিল, তেলকুপি, রঘুনাথপুর, ওয়াহেদপুর, জহুরপুর টেক ও ফতেহপুর সীমান্ত দিয়েও মাদক ঢোকে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একাধিক চালান অনুসরণ করে তারা জানতে পেরেছেন, মাদকগুলো শহরে এসে পিটিআই মোড়, আরামবাগ, ঝাপাইপাড়া মোড়ে অন্তত চার-পাঁচটি ভাড়া বাসায় রাখা হয়। সেখানে ১০০ গ্রামের ছোট ছোট প্যাকেট করা হয়। পরবর্তী সময়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ধাপে ধাপে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হয়।
রাজশাহী র্যাব-৫-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, পদ্মার চরগুলো দুর্গম এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা অনেক সময় কষ্টকর। এ কারণে মাদক চোরাচালান চক্র চর এলাকা মাদকের প্রাথমিক সংরক্ষণের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করছে।
কারা চালাচ্ছেন এই মাদক সিন্ডিকেট
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বলছে, রাজশাহীর গোদাগাড়ী থানা এলাকার অনেকেই মাদকের সঙ্গে জড়িত। কেউ তথ্য দিয়ে, কেউ হাত বদল করে, কেউ সরাসরি যুক্ত থেকে কোনো না কোনোভাবে এসব চালান পার করতে সহযোগিতা করেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুধু গোদাগাড়ীতেই হেরোইন ব্যবসায়ী রয়েছেন অনন্ত ৪০০ জন। হেরোইনের প্রধান দুই প্রবেশদ্বারে একটি চরবাগডাঙ্গা হলে অন্যটি এই গোদাগাড়ী।
র্যাব-পুলিশ ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের হেরোইন কারবারির তালিকায় চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদ রানা বাদেও নতুন নতুন নাম উঠে এসেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে একই ইউপির সদস্য জুয়েল ও নুরুলের। তারা এখন আলাদা আলাদা করে সিন্ডিকেট চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অবশ্য জুয়েল বা নুরুল কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ রানা দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, ‘ওরা আগে যা করার করেছে। আমার ইউপিতে সদস্য হওয়ার পর আমি পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। ওসব কিন্তু আর চলবে না।’
কারবারি তালিকায় আরও আছে সুন্দরপুরের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের নাম। তা ছাড়া রয়েছে মোজাহার, হান্নান কন্ট্রাক্টর, কাশেম, কাজল, গোলাম নবীর নাম। এদের সবার অনন্ত ২০-২৫ জনের একটি করে গ্রুপ আছে। এদের প্রত্যেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা হয়। তবে কেউই সাড়া দেননি।
কেজিতে লাভ ৭৩ লাখ টাকা, হুন্ডিতে টাকা পাঠান মতি
সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকান হেরোইনের প্রভাব সারা বিশ্বে বাড়তে শুরু করেছে। তবে আফগানি হেরোইনে চাহিদা এখনো বেশি। দামও আকাশছোঁয়া। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, কারবারিরা সীমান্তের চরে হেরোইন ভাগ করে নেন। তখন প্রতি কেজির দাম পড়ে ২৭ লাখ টাকা। পরে সেগুলো ১০০ গ্রামের প্যাকেটে ভাগ করা হয়। তখন কেজিপ্রতি দাম দাঁড়ায় ১ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজিতে লাভ হয় ৭৩ লাখ টাকা। মাদকের দাম হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাঠানোর আগে মধ্যস্থতাকারী একজনের কাছে টাকা জমা থাকে। চালান পদ্মা নদীতে ধরা পড়লে সেটি ভারতীয় কারবারির ক্ষতি হিসেবে ধরা হয়। আর বাংলাদেশি কারবারির হাতে পৌঁছানোর পর পুলিশ ধরলে সেটি দেশি ব্যবসায়ীর ক্ষতি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দারা বলছেন, একাধিক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তারা জানতে পেরেছেন টাকা জমা রাখা মধ্যস্থতাকারীদের একজন শিবগঞ্জ উপজেলার মতি। মতি তিন কেজি স্বর্ণ চোরাচালান মামলারও একজন ফেরারি আসামি।
হেরোইন সেবনকারীর সংখ্যা বেশি রাজশাহীতে
মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযানে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ইয়াবা উদ্ধারের হার বেশি হলেও হেরোইনে আসক্তের সংখ্যাই বেশি। এমন তথ্য উঠে এসেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে। সংস্থাটি বলছে, দেশের ভেতর হেরোইনের আধিক্য বেশি রয়েছে রাজশাহীতে, পরের অবস্থানে ঢাকা।
চিকিৎসার জন্য ভর্তি হওয়া মাদকাসক্তদের সংখ্যা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দেশে ২০২১ সালে হেরোইনে আসক্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসাদের সংখ্যা ৩৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
হেরোইনসংক্রান্ত মামলার তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, শনাক্ত ও উদ্ধারের হার রাজশাহী বিভাগে ৪৭ দশমিক ৯৮, ঢাকা বিভাগে ২৫ দশমিক ৬৭, রংপুর বিভাগে ৯ দশমিক ৯১, খুলনা বিভাগে ৩ দশমিক ৩৭, ময়মনসিংহ বিভাগে শূন্য দশমিক ৫১ ও বরিশাল বিভাগে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ।
উদ্ধারও কম না
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছরই তারা ৪ কেজি ৮০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে ৪ কেজি ৫৯০ গ্রাম, বিজিবি উদ্ধার করেছে ৪ কেজির মতো। সর্বশেষ ২০২১ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র্যাব মিলে উদ্ধার করে ৫৪ কেজি ১৮৯ গ্রাম, যার মূল্য ৫৬ কোটি টাকার ওপরে।
সারা দেশে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থার অভিযানে ২০২১ সালে হেরোইন উদ্ধার হয়েছে ৪৪১ কেজি, ২০২০ সালে ২১০ কেজি, ২০১৯ সালে ৩২৩ কেজি ও ২০১৮ সালে ৪৫১ কেজি।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, মাদকের সহজলভ্যতা কমাতে সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে বিষয়টি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে।